ভালো তুমি বাসবেই – অবশেষে তোমায় পাওয়া: হে হে। সব প্লেন আমার ছিলো। তুই নতুন করে ভালোবাসতে শিখেছিশ। নতুন কাউকে ভালোবাসবি। সুখে থাকবি? তা আমি হতে দিবো? জীবনেও নাহ।
পর্ব ১
আচ্ছা হুজুর। ধর্ষণ করার আগে কোন দোয়া পড়তে হয়?
~ ওই মিয়া এগুলা কি বলেন?
~ না মানে সহবাসের আগে তো দোয়া পড়তে হয়। কিন্তু ধর্ষণের আগে কি দোয়া পড়া লাগে নাহ?
~ এই মিয়া কারে ধর্ষণ করবেন?
~ আমার বউকে।
কি? বউকে ধর্ষণ মানে? মিয়া গাজা টাজা খাইছেন নাকি?
~ আরে হুজুর নাহ। অনেক লম্বা কাহিনি।
বলতে থাকেন তোহ।
হুজুর। ছোট থেকে আমি একটু মেয়েদের প্রতি আসক্ত। তাই বিয়ে করে নিতে চেয়েছি খুব জলদি।
বাবা মাও আমার কষ্ট বুঝে বিয়ে দিয়ে দিছে।
কিন্তু সমস্যা টা দারায় বাসর রাতে এসে।
আমি তো পুরাই লুংগি ড্যান্স দিয়ে ঢুকি বাসর ঘরে।
ঢুকে বউ এর ঘোমটা খুলতেই দেখি বউ তো আমার চরম সুন্দরী।
কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখন যখন।
ঘোমটা উঠানোর সাথে সাথে বউ আমায় ঠাসসসস করে চড় মারে।
ওই বেটা। মেয়ে দেখলে হুশ থাকে নাহ?
~ না মানে তুমি তো আমার বউ।
~ ধুরর। আমি তো মা বাবার চাপে পরে বিয়ে করছি।
~ কি?
~ হে। আর আমার বয়ফ্রেন্ড আছে। সো আমার কাছে আসার চেষ্টা করবি নাহ।
হুজুর আমি তো একদম শেষ।
নতুন বউ এর কাছে চর খাই। তার উপর তুই তাই ব্যবহার। মানা যায় কি?
না না। একদম মানা যায় নাহ। (হুজুর)
এখান থেকে শুরু।
প্রতিদিন সকালে সে গোসল শেষ করে আসে।
মাথার চুল ছেড়ে।
আয়নার সামনে যখন দারায়।
বিশ্বাস করুন হুজুর৷ মনে হয় ও যেনো মানুষ নাহ। খাস পরী।
আমি সহ্য করতে পারি নাহ হুজুর।
রাতে যখন সে আমার পাশে সুয়ে থাকে। আমি সহ্য করতে পারি নাহ।
তো এই অবস্থায় আমি ধর্ষণ করবো না তো কি করবো?
হুম তা ঠিক কিন্তু আরেকটু টাইম দিতে পারেন।
~ না কোন টাইম নাই। আপনি বলেন কোন দোয়া আছে?
হুজুর একটু রেগে দাড়ালো।
~ ওই মিয়া ধর্ষণ করার দোয়া হয় নাকি?
আমি কোন মতে সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম।
আল্লাহ, এই হুজুর নাহ। পুরাই মদীনার খেজুর।
আমি সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম।
বাসায় এসে দেখি বউ আমার বারান্দায় দাঁড়িয়ে কার সাথে যেনো কথা বলতেছে৷
আমি কিছু বলতেও পারি নাহ। আমাকে হুমকি দিয়ে রেখেছে।
যদি আমি কাউকে কিছু বলি তাহলে সে আত্মহত্যা করবে এবং আমার দোষ দিবে।
আমি গিয়ে বসে আছি। আমি যে রুমে আছি তার কোন ভ্রুক্ষেপ ই নেই।
এই যে বউ।
~ এই বউ বউ কি করতেছেন? আমার নাম সাবা। তাই সাবা বলেই ডাকবেন আমায়।
~ আসলে।
~ আর দেখতেছেন নাহ যে আমি আমার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলতেছি? তো ডাকেন কেনো?
~ না মানে খুদা লাগছিলো। যদি কিছু খেতে দিতেন আরকি।
না কোন খাবার নেই। নিজে নিয়ে খান।
আচ্ছা। কি আর করবো। মনে মনে একশো একটা গালি দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই।
বাহিরে আসতেই কোথা থেকে যেনো একটা ইট এসে আমার মাথায় লাগে।
এই কেরে কে?
~ আরে মুবাশ্বির ভাইয়া। আমি। (আমার নাম মুবাশ্বির। এই গল্পে)
আমি কে হে? আমি কে?
~ আরে উপরে দেখো।
~ ও তাওসিফ?
~ হে ভাইয়া।
~ তো কেমন আছো?
~ কি আর বলবো ভাইয়া।
আচ্ছা তাহলে বলার দরকার নেই।
হায় রে আল্লাহ। মানুষ গুলাও যে হইছে।
এমন সময় পকেট এ হাত দিয়ে দেখি বউ ফোন দিছে।
~ হেলো।
~ হে।
~ কই আপনি?
~ আমি বাজারে।
~ একটু কাজ আছে।
~ আচ্ছা তাহলে কাজ শেষ করে ফোন দিয়ো।
এই বলে ফোন রেখে দেই।
আরে কাজ আছে তো কাজ শেষ করে পরে ফোন দিবে। তাই নাহ? কি যে করে।
সাথে সাথে বউ এর ফোন আসে আবার।
~ হে বলো।
~ আরে আমার কাজ আছে।
~ আরে কাজ আছে তো শেষ করে ফোন দেও নাহ।
এই বলে কাটতে যাবো সেই সময়ই বলে উঠে।
~ ওই গাধা। আসার সময় আমার জন্য ২টা চকবার আইনেন তোহ।
ও এখন বুঝলাম ফোন দেওয়ার কারণ।
তো এটা আগে বললেই তো হতো।
হাহ। যা বলছি করেন।
~ হুকুম এমন ভাবে দিবে যেনো মহারানী। (মনে মনে)
~ কিছু বললেন?
~ না না কি বলবো।
আমি হোটেলে গিয়ে হালকা কিছু খেয়ে বাসার উদ্দ্যেশ্যে রউনা হই।
বাসায় বউ থাকতেও হোটেল এ খাওয়া লাগে।
আজ যে করেই হোক বউ কে টাইট করবোই। দরকার হলে বউকেই ধর্ষণ করবো।
আমি বাসায় যাই। বউ আইসক্রিম পেয়ে খুব খুশি।
খেয়ে দেয়ে টিভি দেখছে৷
আর আমি বসে বসে প্ল্যান করছি কি করবো৷
একটা রুমাল নিছি। মুখ বাধার জন্য। দড়ি নিছি।
সব নিয়ে রেডি।
বউ রাতে খেতে যখন ডাকে তখন থেকেই কেমন যেনো ভয় ভয় করতে শুরু করে।
খাবার শেষে বিছানায় শুতেই বুক ধরফর শুরু।
কতক্ষন গেলো জানি নাহ।
ঘড়িতে এখন রাত অনেক।
এখন ই সময়। আমি কোন রকম উঠে সব নেই।
সরি বউ মাফ করে দিয়ো কিন্তু আমায় ভালোবাসার কেউ নেই।
তুমি ভালো না বাসলে কে বাসবে আমায়?
তাই এই পথ বেছে নিতেছি। মাফ কিরে দিয়ো।
মনে মনে এগুলা বলে বউ এর দিকে এগুচ্ছি আর ভয় বারতেছ।
যখন ই বউ এর কাছে গিয়ে বউ এর হাত বাধবো দেখি বউ এর চোখ খুলা।
হায় আল্লাহ। এবার?
পর্ব ২
বউকে ধর্ষণ করবো। কোন একটা দোয়া তো পড়তেই হবে।
কি দোয়া পড়ি।
হুজুর কাছে গেলাম।
হুজুর ও কোন দোয়া দিলো নাহ।
ধুর ধুর।
যতোই বউ এর কাছে যাচ্ছি ততোই যেনো ভয় বাড়তেছে।
যদি কোন দোয়া না পরি তাহলে মনে হয় সমস্যা হবে।
আমি একটা দোয়া বানায়া নেই।
কি হইতে পারে ধর্ষণের মন্ত্র?
আকা সুমমুম তুম। ধর্ষণ হুয়ামতুম।
হে পায়া গেছি।
এখন তো পায়া গেছি।
আকা সুমমুম। ধর্ষণ হুয়ামতুম।
এই দোয়া পড়তেছি আর বউ এর দিকে এগুচ্ছি।
বউ এর খুব কাছে চলে গেলাম।
বউ এর হাত বাধার পালা এখন।
কিন্তু বউ এর হাত ধরতে যাবো তার আগেই বউ আমার হাত ধরে ফেলে।
এমা বউ এর চোখ তো খুলা।
আল্লাহ গো এখন আমাকে কে বাচাবে।
এই বেটা তোরে না। না করছি আমার গায়ে হাত দিতে? তাও তুই আমার কাছে আসছিশ?
না মানে।
কিসের না মানে?
আসলে আমি আসতে চাই নি।
~ তো আসছিশ কেনো?
~ আসলে আমি ঘুমের মধ্যে আসছি।
~ কি?
~ হে আমি তো ঘুমাইতেছিলাম।
উইঠা দেখি তুমি আমার হাত ধরে আছো।
ওই বেটা। পাগল পাইছিশ আমারে?
~ না পাগল কেনো হইতে যাবা?
~ তো আমার উপরে তুই আইছিশ এইডা আমি বুঝমু নাহ?
~ আরে আমি ঘুমে গেছি।
~ ঘুমে আসছো তাই নাহ?
~ হুম।
~ এই নেও ঘুম খাও।
~ কি?
~ ঠাসসসসসসসসসসসস।
ওমা গো।
আর যেনো ঘুমেও আমার কাছে আসতে না দেখি।
আমি চড় খেয়ে আরাম বেরাম হইয়া পইরা আছি।
আল্লাহ গো।
আমি তো মন্ত্র পইরা নিলাম তাও? (এখানে দোয়াকে মন্ত্র বলে নেওয়ার কারণ আমি দোয়াকে বিক্রিতি করতে চাই নাহ)
ওমা গো। আমাকে বাচাইছো আল্লাহ। একটা চড় দিয়েই ছেড়ে দিছে।
সেদিন রাতের মতো ঘুমালাম।
বউ ধর্ষণের ভুত মাথা থেকে নেমে গেছে।
এখন নতুন কোন বুদ্ধি বের করতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাবো।
এমন সময় মনে হলো। বউ প্রেম করতে পারলে আমি কেনো পারবো নাহ?
আমিও প্রেম করবো।
কিন্তু মেয়ে কোথায় পাই?
এমন সময় হঠাৎ। মনে হলো পার্কে ভালো মেয়ে পাওয়া যায়।
অফিস এ সারাদিন মন বসলো নাহ।
বিকেলের দিকে অফিস শেষ এ। বাসায় না গিয়ে পার্কের দিকে গেলাম।
সেখানে গিয়েই দেখি খুব সুন্দর একটা মেয়ে বসে আছে।
আমি তো একেই চাই।
খুব একটা ভাব নিয়ে কাছে গেলাম।
এই যে। তুমি না খুব সুন্দর।
~ তো? (মেয়েটি)
~ আমি তোমায় ভালোবাসি।
~ কি?
~ সত্যি ভালোবাসো?
~ হে।
~ আচ্ছা দারাও আমি আসছি।
~ আচ্ছা।
আমি বসে রইলাম আর মেয়েটি কোথায় যেনো গেলো।
৫মিনিট পরে দেখি মেয়েটি আসছে। তার সাথে ২জন ছেলে।
নিশ্চিত মারতে আসছে এখন আমি কি করবো?
মেয়েটি কাছে এসেই আমার মতো ঢং করে বলতে শুরু করলো।
~ তুমি না খুব সুন্দর। আমি তোমায় ভালোবাসি।
~ বুঝছি রে আমার ভাব নিয়া আমারে মাইর খাওয়াবো। (মনে মনে)
~ সরি আমার বউ আছে। আমি তোমায় ভালোবাসতে পারবো নাহ। (আমি)
বলেই বসা থেকে উঠে হাটা ধরলাম।
পিছনে একবার ও তাকাই নি।
পিছন থেকে চেচামেচির আওয়াজ আসছে।
হায়রে। আল্লাহ কোন রকম বাচাইছে আজকে।
প্রেম এর ভুত ও মাথা থেকে নামলো।
বুঝেছি। আমার বউকেই প্রেমে ফেলতে হবে।
বাসায় গেলাম।
বউ আমার খুব সুন্দর। করে সেজে বসে আছে।
কি গো এতো সুন্দর করে সেজে রয়েছো কেনো?
আজ আয়ান আসবে৷
আয়ান কে?
আমার বয়ফ্রেন্ড।
~ ও আমার বাসায় কেনো আসবে?
~ বাসা এখন তোর নাহ? আমার ও আছে।
~ তোমার কেমনে?
~ ওই চুপ। বিয়ে করছিশ এখন বাড়ি তে যতটুকু তোর অধিকার ততো টুকু আমার।
এর মধ্যেই কলিং বেল বেজে উঠলো।
দরজা খুলতেই দেখি খুব সুন্দর একটা ছেলে।
ওকে দেখে তো আমারই হিংসা হচ্ছে৷
ঘরে ঢুকেই ও সাবাকে হাগ করলো।
সাবা বাবু? কতো দিন পরে তোমায় দেখলাম। কেমন আছো তুমি?
~ ভালো বাবু। কত্তো মিস করতেছি তোমায়।
~ বাবু তুমি ওকে ডিভোর্স কবে দিবা?
~ বাহ। আমার সামনে আমার বউকে ডিভোর্স এর কথা বলতেছে।
এই মিয়া চুপ।
~ বাহ আমার বাসায় এসে আমাকেই গরম দেখাচ্ছে(মনে মনে)
ওরা দুইজন বসে নাস্তা করলো।
আর আমি ঘরে বসে আছি।
হঠাৎ বাহিরে উকি দিতেই দেখি।
আয়ান সাবাকে কিস করতে চাচ্ছে।
আমার যেনো রাগ আর সহ্য হচ্ছে নাহ।
এতো রাগ সহজে উঠে না আমার। আমার বউকে অন্য জন কিস করবে?
এমন সময় পাশে থাকা ফুলের টবটা নিয়ে এগুচ্ছি।
আজ হারামিকে মেরেই ফেলবো।
এই নিয়ত করে আমি এগুচ্ছি।
আর…..
পর্ব ৩
আমার বাড়িতে এসে আমার বউকেই কিস করা হচ্ছে?
আবে হারামি। দ্বারা তোকে মজা দেখাচ্ছি।
আমার রাগ আর কন্ট্রোল হচ্ছে নাহ।
ইসসশহহ৷ কি করি।
এমন সময় হাতের কাছে ফুলের টব দেখতে পাই।
আজ এইটা দিয়েই বেটার মাথা ফাটাবো।
আমি ফুলের টব হাতে নিয়ে এগুচ্ছি।
কিন্তু দরজার কাছে যেতেই দেখি সাবা আয়ানকে বলতেছে।
আয়ান। এগুলা এখন নাহ।
~ তো কখন?
~ আয়ান। আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে অথচ এখন অ আমি আমার স্বামীকে ছুতে পর্যন্ত দেই নি।
আর তুমি কি না চাইতেছো আমি তোমায় বিয়ের আগে কিস করি?
~ তো করতেই তো পারি। কারণ আমরা একে অপরকে ভালোবাসি।
~ ভালোবাসি তাই ছুতে দিছি। অন্য কেউ এমন করলে হাত ভেংগে দিতাম।
~ সাবা?
~ তুমি প্রমাণ চাইছিলা যে বিয়ের পরেও আমি ঠিক আছি কি না। প্রমাণ পাইছো?
~ হে পাইছি।
~ এখন যতো দ্রুত সম্ভব বিয়ের প্রস্তুতি নাও
~ আচ্ছা।
আয়ান চলে গেলো বাসা থেকে। আয়ানের প্রতি সাবার ভালোবাসা দেখে যেনো মুবাশ্বির এর হিংসা হতে শুরু করলো।
তার ও মনে হতে লাগলো ইস যদি এমন করে আমায় কেউ ভালোবাসতো।
আমি ঘুমিয়ে যাই। পরের দিন সকালে সকালে উঠে অফিসে যায় মুবাশ্বির।
সে বসে আছে আর সাবার কথা ভাবছে। জীবনে প্রেম করে নি। কিন্তু এখন কেনো যেনো মনে হচ্ছে সে প্রেমে পড়ে গেছে।
এমন সময় তার এক বন্ধু ফোন দেয়৷
হেলো মুবাশ্বির?
~ হে বল
~ শোন আজ একটু দেখা করতে পারবি?
~ কখন?
~ বিকাল দিকে
~ আচ্ছা।
কাজ মনোযোগ দিলাম।
বিকাল দিকে বের হলাম বাহিরে।
বন্ধুর সাথে দেখা করতে হবে।
সে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতেছে৷
আমি কাছে যেতে সে দরজা খুলে দিলো।
আমি চুপচাপ বসে আছি।
~ কিরে তোর মন এতো খারাপ কেনো?
~ দোস্ত প্রেমে পরে গেছি।
~ কি? সত্যি?
~ হু।
~ সালা তোরে সারাজীবন বলে প্রেম করাতে পারলাম। এখন বলতেছিশ প্রেমে পরছিশ?
~ হুম।
~ তো কি করতে হবে?
~ মেয়েটাকে পটায়া দে।
~ এই ব্যাপার?
~ হুম।
~ আচ্ছা নাম ঠিকানা দে।
~ নাম সাবা। ঠিকানা আমার বাসা।
~ কি? তোর বাসা মানে?
~ আরে আমি আমার বউ এর প্রেম এ পরছি।
~ ওই বেটা মজা লস?
~ ভাই সত্যি।
~ ভাই বউ এর প্রেমে সবাই পরে।
~ তাই?
~ হুম।
~ কিন্তু আমার বউ আরেক জন কে ভালোবাসে।
~ কি?
~ হুম।
আচ্ছা ভাই আমি কিছু একটা করবো।
এমন সময় গাড়ির দরজায় একটা ফকির এলো।
দেখতে স্বাভাবিক আমাদের বয়সের ই।
ভাই তিন দিন ধরে কিছু খাই নাহ।
১০০টা টাকা দেন কিছু খাবো।
~ আরে দিতেছি। বেচারা খায় নি।
আমার দরদ লেগে যায়।
~ আরে মুবাশ্বির আমি দিতেছি।
~ ভাই কয়টাকা লাগবো?
~ ১০০
~ দারাও আমি দিতেছি। (আমার বন্ধু)
~ এহ বাবা। আমার কাছে ৫০০টাকার নোট।
~ দেন ভাই আমি ভাংতি দিতেছি। (ফকির)
~ দেন।
যখন ই ফকির টাকা বের করলো।
~ ওই বেটা তুই তিন দিন ধরে খাশ না তো যা ওইগুলা দিয়ে খা।
এই ড্রাইভার চলো।
আমি হাসতে হাসতে শেষ আর ওই বেটা হা হয়ে আছে।
বাসায় যাওয়ার আগে আমায় কোথায় যেনো নিয়ে আসলো আমার বন্ধু।
দোস্ত চল কফি খাবো।
~ আচ্ছা চল।
আমরা কফি শপে বসে আছি। হঠাৎ দেখি আয়ান ও বসে আছে।
দোস্ত দেখ। আমার বউ ওকেই ভালোবাসে।
আচ্ছা চল তো।
আমরা গিয়ে আয়ানের সামনে বসি।
কিরে অন্যের বউ দেখলে সহ্য হয় নাহ? (বন্ধু)
~ ওই মিয়া। আমি ও কে ভালোবাসি ও আমাকে। আপনাদের কি সমস্যা?
~ সমস্যা হলোও আমার বন্ধুর বউ। আর আমি এখানের চেয়ারম্যানের ছেলে। যদি আর কখনও ওই মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখি নাহ।
~ তাহলে কি করবেন?
~ মারবো ব্রেনে। পরবি ড্রেনে।
~ কিন্তু দোস্ত ব্রেনে মারলে ড্রেনে কিভাবে পড়বে?
~ ওই তুই চুপ থাক মুবাশ্বির।
~ আচ্ছা।
~ আর তোরে যা বলছি তা যেনো মাথায় থাকে।
আয়ান একটু ভয় পেয়েছে মনে হয়।
আমি বাসায় গেলাম।
গিয়ে দেখি বউ আমার রান্না করতেছে।
আমি রুমে যেতেই তার ফোন এ একটা মেসেজ আসে।
তাতে লিখা ছিলো।
সাবা আমরা পালিয়ে যাবো। মুবাশ্বির আমার ধমকানো শুরু করছে। কাল সকাল ১০টায় চলে এসো তুমি।
আমার যেনো এবার রক্ত মাথায় উঠে গেলো।
আমি বাহিরের দিকে যাচ্ছিলাম।
~ এই এতো রাতে আবার কই যান?
~ কাজ আছে।
~ আমি কিন্তু দরজা খুলতে পারবো নাহ।
~ আচ্ছা।
আমি বাহির থেকে একটু কাজ সেরে বাসায় চলে আসি।
এসে দেখি বউ ঘুমাচ্ছে।
আমি আজ সোফায় বসে ঘুমাচ্ছি।
আর ভাবতেছি যদি সাবা আমায় ভালোবাসতো।
হঠাৎ আমার চোখ খুলে যায়। খারাপ একটা স্বপ্ন দেখতছিলাম।
কিন্তু চোখ খুলতেই দেখি সাবা বিছানায় নেই।
আমি সারা বাড়ি খুজতে থাকি।
কিন্তু কোথাও তাকে পাই নাহ।
আমি কোথাও তাকে খুজে পাইতেছি নাহ।
আমি সোজা বাসা থেকে বেরিয়ে যাই। আমার আড্ডা খানায়। যেখানে কাল রাতে আয়ানকে নিয়ে এসেছিলাম।
আমি সেখানে গিয়েই একটা রড হাতে নিয়ে এলো পাতারি আয়ানকে মারা শুরু করি।
এই? এই? সাবা কই আমার? আমার বেবি কই।
~ আমি কিভাবে জানবো? আমি জানি নাহ?
~ তুই অকে পালয়ে নিয়ে যেতে চাইছিলি। বল সাবা কই?
~ আমি সত্যি জানি নাহ। আমাদের পালানোর কিথা ছিলো আজ ১০টায়।
কিন্তু তার আগেই তো আপনি আমায় তুলে এনেছেন।
হুম ও ঠিক বলছে।
কিন্তু তাহলে সাবা কই গেলো।
আমি সারা শহর ওকে খুজলাম। থানায় কমপ্লেন ও করলাম।
কিন্তু একে কোথাও অয়াওয়া যাচ্ছে নাহ।
২দিন হয়ে গেলো। সাবাকে পাই নাহ।
হঠাৎ পুলিশ একদিন আমাদের বাসায় এলো।
আমাকে সাথে করে কোথায় যেনো নিয়ে যাচ্ছে।
একটু পরে বুঝতে পারলাম তারা আমায় মর্গে নিয়ে এসেছে।
আমার আত্মা যেনো কেপে উঠছে। তার মানে কি আমি যা ভাবছি তাই সত্য?
আমার বেবি কি আর আমার মাঝে নাই?
এই ভাবতে ভাবতে আমি মর্গের ভিতরে গেলাম।
সেখানে গিয়ে তারা একটি লাশের থেকে কাপড় সরালো।
আমি দুই তিন কদম পিছিয়ে গেলাম।
না এ হতে পারে নাহ।
এতো নিষ্ঠুর ভাবে এটা কেউ করতে পারে নাহ।
আমি দেখলাম।
পর্ব ৪
আমি মর্গে চলে যাই।
সেখানে যাওয়ার পর যখন আমার সামনে একটা কাপড় সরানো হয়
তখন আমি স্পষ্ট দেখতে পাই এটা সাবার লাশ। কিন্ত সবচেয়ে কষ্টকর বিষয় হলো।
লাশ এর মাথা ছিলো নাহ।
লাশটির হাতে সেই আংটি ছিলো যা আমি বিয়েতে ওকে দিয়ছিলাম।
আর ওর কাছে পুলিশ যে ফোন পেয়েছে তা সাবার।
জামা কাপড় এ সাবার।
এর মানে সাবা কি আর আমার মাঝে নেই?
আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারতেছি নাহ।
আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম নাহ। চেচিয়ে কাদতে শুরু করলাম।
এ কি করে হয় গেলো।
যাকেই আমি ভালোবাসি সেই কি আমার থেকে দূরে সরে যায়।
ও সাবা।
সাবা। উঠো নাহ। আমি যে আর পারতেছি নাহ।
~ মুবাশ্বির থাম। (ফারহান। )
~ ফারহান তুই জানিশ আমি ওকে কত্ত ভালোবাসি? কিন্তু ও চল গেলো কি করে?
~ মুবাশ্বির শান্ত হ।
~ এতো দিন ধরে ওর সাথে আছি। ও স্বামীর অধিকার না দিলেও আমি তো ওকে স্ত্রী মানতাম।
কে করছে ওর এই অবস্থা?
~ মুবাশ্বির আমি দেখছি তুই শান্ত হ।
আমি আর ধরে না রাখতে পেরে অজ্ঞান হয়ে যাই।
যখন জ্ঞান ফিরে পাশে আমার সৎ মা ও বাবা।
মুবাশ্বির।
~ এতো দিন পরে দরদ দেখাতে আসছো?
~ বাবা ভুল বুঝিশ নাহ আমায়। (বাবা)
~ তো পুজা করবো? এতো দিন তো আসো নাই।
~ আরে নাই আজ আসছে। বাবার সাথে কেউ এভাবে কথা বলে? (সৎ মা)
~ এই তুই কথা বলবি নাহ। তোর জন্য আমার বাবা এমন হইছে। যা তুই বের হ। আর বাবা তুমি ও বের হও। যাও।
আমার মাথা কাজ করতেছে নাহ। এটা কিভাবে হলো। আয়ান তো আমার কাছে। তাহলে সাবাকে কে মারতে,পারে।
আমি পুলিশ স্টেশন গিয়ে জানতে ওরা নদীর ধারে লাশ পাইছে।
এক জেলে নাকি দেখে পুলিশে খবর দেয়।
আমার বাসায় আর কেউ নেই এখন। খুব একা আমি।
এতোদিন তো এই বাসায় সাবা ছিলো আজ তো কেউ ই নেই।
কেউ ই নেই।
এখন আমি কিভাবে থাকবো৷
কে আপনি? আমাকে কেনো আনছেন তুলে?
~ আজ থেকে এখানেই থাকবা তুমি।
~ না আমি থাকবো নাহ।
~ যা বলছি না শুনলে তোমার পরিবার বিপদে পরবে সাবা। তুমি চাও নাহ তোমার মা ভালো থাকুক?
~ মানে?
~ আজ থেকে এটাই তোমার বাসা। যদি চালাকি করো তাহলে তোমার মা বিপদে পরে যাবে।
না প্লিজ আমার মাকে কিছু করবেন নাহ।
~ করবো না ঠিক। কিন্তু আমার পরিবারের সাথে আমার গার্লফ্রেন্ড হয়ে থাকতে হবে।
~ কি?
~ হে। আর কিছু দিন পরে তোমায় আমি বিয়ে করবো।
~ কি?
~ হে।
~ কিন্তু আমি তো বিবাহিত।
~ নো প্রব্লেম।
এখন চলো আমার সাথে।
কোথায় যাবো?
~ আমার বাসায়।
আচ্ছা।
হায় মা।
~ কিরে কই ছিলি?
~ মা? তুমি বউ চাইছিলা নাহ?
~ হুম।
~ এই দেখো। পরি নিয়ে এসেছি।
সাবাকে সামনে বের করলো৷
ওমা। এ তো মেয়ে না রে। সত্যি ই পরী।
এই ঝিলমিল। আবরার। তোরা কই।
দেখ দেখ। এদিকে আয়।
হে মা?
এই দেখ তোদের ভাই ভাবী নিয়ে এসেছে। রে।
কই মা?
এই দেখ।
পুরো বাড়িতে যেনো খুশির রোল পরে গেলো।
কিন্তু সাবার যেনো কিছুই ভালো লাগতেছে নাহ।
সবাই যেনো সাবাকে পেয়ে আকাশের চাঁদ পেয়ে ফেলেছে।
কিরে বাপ জান। এতো দিন বিয়ে বিয়ে করলাম। আজ পরী নিয়ে এসে পরলী?
আসলে মা ওর বাসা থেকে মেনে নিচ্ছিলো নাহ।
তাই ও চলে এসেছে।
এমা দ্বারা আমি ওকে বুঝাচ্ছি।
অপরদিকে মুবাশ্বির যেনো পাগলের মতো হয়ে যাচ্ছে।
রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। সাবার খুনিকে সে মেরেই ফেলবে।
ওর ধারণা মতে সাবা মারা গেছে। কিন্তু তা তো নাহ।
মুবাশ্বির পুলিশ এর থেকে খোজ নিয়ে সেই জেলের কাছে যায়৷
সেখানে গিয়ে জানতে পারে লাশ নাকি পরে ছিলো রাতের দিকে৷
এর পর সে ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্ট এ যায়।
সেখানে জিজ্ঞাসা বাদ করে জানতে পারে লাশ নাকি ৭দিন পুরোনো।
কিন্তু আমি সাবা তো পালিয়েছিলো ৬দিন হলো।
মুবাশ্বির এর কিছুটা খটকা লাগে
সে রাস্তায় বের হয়।
হাটতে হাটতে বাড়ি যাবে৷
হঠাৎ তার সামনে থাকা একটা গাড়িতে সে দেখতে পায় সাবা বসে আছে৷
সাবা কে দেখে মুবাশ্বির যেনো আরো উত্তেজিত হয়ে গেলো।
সে দৌড় দিলো।
খুব দ্রুত যাচ্ছে।
যতোই কাছে যাচ্ছে তার মন আর মানছে নাহ।
সে গাড়ির খুব কাছে চলে গেলো।
এবং সে গাড়ির দরজা খুললো।
পর্ব ৫
সাবা সামনের গাড়িতে ছিলো।
মুবাশ্বির সব কিছু ছেড়ে ভু দৌড় দেয়।
কিন্তু যখন গাড়ির কাছে গিয়ে সে গাড়ির দরজা খুলে।
সে সেখানে সাবাকে দেখতে পায় নাহ।
অন্য মেয়ে রয়েছে সেখানে।
সে সরি বলে চলে আসে।
কিন্তু সে একটা বিষয় এ ক্লেয়ার থাকে যে।
আর যাই হোক সাবা বেচে আছে।
এদিকে সাবা নিজের ঘরে বসে আছে।
আর ভাবছে কে হতে পারে এই লোকটা।
যে সাবাকে তুলে এনেছে।
আর তার থেকেও বড় কথা। আজ সে আয়ানের সাথে থাকতো। হয়তো তাদের বিয়ে হতো।
কিন্তু এখানে তো কিছুই হলো নাহ।
তার জীবনই পাল্টে গেলো।
এমন সময় রুমে প্রবেশ করলো সেই লোকটি।
কি সাবা। ঘুমাচ্ছো নাকি?
না ঘুমাচ্ছি নাহ। আচ্ছা আপনি কেনো আমায় তুলে এনেছেন?
~ শুনতে চাও গল্প?
হুম শুনতে চাই।
আচ্ছা তাহলে শোন।
আমি তখন কলেজের ফাইনাল ইয়ারে।
কলেজে তখন ২জনের রাজ চলতো।
আমার আর ফাতিনের।
ফাতিন আর কেউ। নাহ। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
আসলে আমাদের দুইজনের রাজত্ব চলতো বললে ভুল হবে। চলতো শুধু ফাতিনের।
আর আমি তো বন্ধু হয়েও ওর চাকর ছিলাম।
তাও ভালোই চলতেছিলো।
হঠাৎ আমাদের কলেজে একটা জুনিয়র মেয়ে ভর্তি হয়। মাইশা।
দিনটা কি বার ছিলো কিংবা কত তারিখ ছিলো আমাদের মনে নেই।
কিন্তু কাহিনি টা মনে আছে।
Going To The Past।
এই ফাতিন?
~ হে বল।
~ দোস্ত আজ ক্রিকেট ম্যাচ আছে।
~ কাদের সাথে?
~ আরে ওই যে এম্পায়ার টিম এর সাথে।
~ আম আসতে পারবো নাহ। তুই ই যা।
~ ফাতিন। আমরা হারতে পারি তুই না খেললে।
~ আরে যা তো।
আমি চলে আসি।
আসার সময় হঠাৎ দেখি কলেজের গেট দিয়ে অনেক গুলা মেয়ে মাঠের দিকে যাচ্ছে।
আমাদের কলেজের একটা নিয়ম ছিলো যে যদি কোন ক্রিকেট ম্যাচ হতো সব জুনিয়র রা যেতো।
সেখানেই যাচ্ছিলো মেয়ে গুলো। তাদের মাঝেই ছিলো একজন মাইশা।
আমি না চাইতেও মুখ দিয়ে ওয়াও শব্দটা বেরিয়ে আসে।
আরে দোস্ত সত্যিই তো ওয়াও রে মেয়েটা।
~ ফাতিন তুই?
~ হে দোস্ত। আমি।
~ মেয়েটারে ভালো লাগছে?
~ দোস্ত তুই তো জানিশ ই। মেয়ে মানেই আমি সেখানে।
~ কি?
আরে চল খেলতে হবে
ফাতিন সেইদিন অনেক ভালো খেলেছে।
। খেলার পরে ফাতিন কে মাইশা ডাক দেয়৷
এই যে মিষ্টার? হেলো?
~ আমাকে ডাকতেছেন?
~ হুম। আপনাকেই।
~ হুম বলুন।
~ ৫০টাকা দিন।
কেনো? (ফাতিন)
~ আরে? আমি বাজি ধরছিলাম আপনি ডাক মারবেন। কিন্তু মারেন নাই। আপনার জন্য আমার টাকা লস গেছে এখন টাকা দেন।
~ আরে বাস। বাজি ধরবেন আপনি আর টাকা দিবো আমি?
~ হে আপনাকেই দিতে হবে জলদি দেন।
ফাতিন সবার সামনে কথা বলতে পারলেও যেনো সেদিন একদম চুপচাপ মেয়েটিকে টাকাটা দিয়ে দেয়।
২দিন পরে আবার ম্যাচ হয়।
সেই ম্যাচে ফাতিন ইচ্ছে করে ডাক মারে।
এইবার ও মেয়েটি ডাকে।
~ এই যে হেলো।
~ হে বলুন।
~ আজ ১০০টাকা দেন।
~ কি? প্রতিদিন টাকার পরিমাণ বাড়ে নাকি?
~ হে। আজ ১০০টাকা ধরছিলাম যে আপনি ৫০করবেন। কিন্তু ডাক মারছেন। এখন আমার টাকা দেন।
~ আহহহহ।
ফাতিন সেদিন এ টাকা দিয়ে দেয়।
কিছুই করার নেই তার। সে যেনো একদম চুপ। বাচ্চার মতো লাগছে।
~ কিরে? মাইয়া পছন্দ হইছে?
~ ধুরর। (ফাতিন)
ফাতিনের মাইশাকে পছন্দ হয়ে যায়।
এবং আশ্চর্যজনক ভাবে কিছুদিনের মাঝেই তাদের রিলেশন শুরু হয়ে যায়।
ভালোই চলছিলো তাদের রিলেশন। ফাতিন সারাদিন মোবাইল নিয়ে পরে থাকতো।
হঠাৎ।
একদিন আমাদের পাড়ার বড় ভাই।
আলিফ ভাইয়ের ছোট ভাই।
মানে আরমানের সাথে ফাতিনের ঝগড়া লাগে।
ঝগড়ার কারণ সে মাইশাকে টিচ করছে।
এক পর্যায়ে ফাতিনের রাগ বেশি হয়ে গেলে সে খুন করে ফেলে।
ঘটনা খুন সহজেই সে চাপা দিয়ে দেয় এক্সিডেন্ট বলে।
কিন্তু সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো। কিছুদিন পর।
আলিফ ভাই চুপ থাকে নি।
তার ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ শুনে সে চুপ করে থাকে নি।
সেদিন খুন বৃষ্টি হচ্ছিলো কলেজে।
ফাতিন আর আমি বসে চা খাচ্ছিলাম।
হঠাৎ পিছন থেকে চেচানোর আওয়াজ আসে।
ফাতিইইন। (মাইশা)
আমরা পিছনে চেচাতেই দেখি মাইশা দৌড় দিয়ে আসছে।
হঠাৎ ঠাসসসস করে একটা আওয়াজ হলো।
আওয়াজটা ছিলো গুলি করার।
হে। পিছন থেকে আলিফ ভাই গুলি চালাইছিলো মাইশার উপর।
আমি আর ফাতিন দৌড়ে মাইশার কাছে যাই।
কিন্তু মাইশা তখন প্রায় শেষ।
ফাতিন মাইশাকে উঠাতে যাবে তখনই মাইশা বলে উঠে।
ফাতিন। আমি আর বাচবো নাহ। কিন্তু যাওয়ার আগে এইটুকুই বলে যাই।
প্লিজ তুমি এর মারামারির দুনিয়া থেকে বেরিয়ে যাও। আর আমার কসম তুমি আমার মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে কিছুই করবে নাহ।
আর হে খুব সুন্দর একটা মেয়েকে নিয়ে সুখে থাকবে। আমি সব সময় তোমার পাশে থাকবো।
এই বলে মাইশা মারা যায়।
আলিফ ভাই ফাতিন কে কিছুই করে নাহ।
শুধু এইটুকু বলে যায় যে।
দেখ নিজের কেউ মরলে কেমন লাগে।
~ আচ্ছা এই গল্পের সাথে আমার কি সম্পর্ক?
~ তা তুমি পরে বুঝবে সাবা।
লোকটি চলে যায়৷
আর সাবা রুমে শুয়ে থাকে। হঠাৎ তার চোখে একটা ডাইরি পরে।
সে বিছানা থেকে উঠে সোজা ডায়রির কাছে চলে যায়।
ডায়রিটা হাতে নিয়ে পরতে থাকে কিন্তু তাতে যা লিখা ছিলো তা সে কল্পনাও করতে পারে নি।
পর্ব ৬
সাবার মাথায় বিভিন্ন রকম প্রশ্ন জাগতে লাগলো।
কে এই ফাতিন।
আর এই লোকটাই বা কে? কেনোই বা এমন করছে সে?
আর মাইশার মৃত্যুর সাথে এই লোকটার কি সম্পর্ক?
এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ সাবার চোখে একটা ডায়রি চোখে পড়লো৷
সে সেটা হাতে নিলো।
এবং সে চিন্তাও করতে পারে নি যে। এটা হতে পারে।
ডায়রির প্রথম পৃষ্ঠাতেই লিখা ছিলো।
মুস্তাকবির লাভ মাইশা।
তার মানে ওই লোকটার নাম মুস্তাকবির?
সে ডায়রির পরের পেজ এ দেখতে পায়৷
সেখানে লিখা।
কলেজে যখন তুমি প্রবেশ করলে মাইশা। সেই দিন থেকে তোমায় ভালোবাসি আমি। কিন্তু ফাতিন ও তোমায় ভালোবাসে। ওকে যে আমি কিছু করতে পারবো নাহ।
২ ৩ পৃষ্ঠা পরে আবার লিখা।
আজ তুমি ফাতিন এর গার্লফ্রেন্ড। আমার সামনে তোমরা হাসছো খেলছো। তোমায় আমি কিছুই করতে পারতেছি নাহ। কিন্তু সহ্য ও করতে পারতেছি নাহ মাইশা।
এরপর অনেক গুলা পৃষ্ঠা উল্টালো সাবা। কিন্তু শেষ এর দিকে গিয়ে লিখা।
সরি মাইশা। তোমায় মারতে বাধ্য হলাম আমি। অনেক ভালোবাসি তোমায়। তাই ফাতিন এর সাথে তোমায় দেখে সহ্য করতে পারলাম নাহ। মাফ করে দিয়ো আমায়।
সাবা যেনো এটা পরে বিরাট রকমের একটা শক খায়।
তার মানে এই লোকটাই মাইশাকে মেরেছিলো?
কিন্তু এই ফাতিন টাই বা কে আর আমাকেই কেনো ধরে আনা হয়েছে।
আহহহহ।
সাবার যেনো মাথা ফেটে যাচ্ছে।
এদিকে মুবাশ্বির রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ তার সামনে একজন লোক পরে। তারই বন্ধু।
সে মুবাশ্বিরকে দেখেই দৌড় দেয়।
মুবাশ্বির বড় রকমের শক খায়। ও তো মারা গেছিলো। তাহলে ও এখানে কিভাবে?
মুবাশ্বির ওর পিছু নেয়।
এবং কিছু দূর যাওয়ার পরেই অকে ধরে ফেলে।
কিরে দৌড়াচ্ছিলি কেনো? আর তুই না মারা গেছিশ?
। ~ ভাই ভাই আমায় মাফ করে দে।
~ কি করছিশ তুই? বল।
~ আসলে ভাই।
তারপর মুবাশ্বিরকে তার বন্ধু এমন কিছু৷ বলে যা শুনে মুবাশ্বির এর মাথা খারাপ হয়ে যায়।
এই কি করে সম্ভব।
এইকে মুস্তাকবিরের মা সাবার সাথে তার বিয়ের সব প্রস্তুতি করে ফেলছে।
কিরে মা? তোর মন খারাপ লাগতেছে? (মুস্তাকবিরের মা)
~ না আন্টি। সমস্যা নেই।
~ আরে মা বলেই ডাকতে পারো আমায়। আর দুদিন পরেই তো আমায় বউমা হবে। আর হে। তোমার মা বাবাকেও আমরা মানিয়ে নিবো।
এই বলে মুস্তাকবিরের মা চলে গেলো।
বাড়ির সবাই বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আর সাবা শিয়ে শুয়ে আয়ানের জন্য কাদছে।
আজ হয়তো সে আয়ানের কাছে থাকতো। কিন্তু আয়ানের কি সাবার কথা একটু ও মনে হচ্ছে নাহ?
সাবা কাদছে। কিন্তু সেই কান্না তো আয়ানের কান পর্যন্ত পৌছাচ্ছে নাহ।
মুবাশ্বির আয়ানকে ছেড়ে দিছে। সবার মতো সেও জেনে গেছে সে সাবা মারা গেছে। এর পরে আর তাকে দেখা যায় নি।
আজ সাবা আর মুস্তাকবির এর বিয়ে।
সবাই খুব খুশি।
কি ভাবী? রুমি রেডি হচ্ছো নাহ কেনো। চলো আমি রেডি করে দেই তোমায়।
সাবার হবু ননদ এরা সাবাকেরেডি করতেছে। পার্লার থেকেও লোক আসা শুরু হয়ে গেছে।
সব সাজ গুজ শেষ সাবা বসে আছে মুস্তাকবির এর সামনে।
কাজী সাহেব এ আছেন। এমন সময় হঠাৎ সদর দরজায় কেউ প্রবেশ করলো।
থামুন মিষ্টার ফারহান মুস্তাকবির নীল। সাহেব।
~ ফাতিন তুই?
~ মুবাশ্বির তুমি? (একসাথে বসে মুস্তাকবির আর সাবা)
মুস্তাকবির এর মুখে মুবাশ্বির এর নাম ফাতিন শুনে বড় ধরনের একটা ঝটকা খায় সাবা।
হে আমি। ফাতিন মুবাশ্বির ইজ কাম।
সাবার মাথায় কিছুই কাজ করতেছে নাহ। কি হচ্ছে এটা।
কাহিনি কি? মুবাশ্বির ই হলো তাহলে ফাতিন?
কিন্তু এতো কিছু কেনো হলো? আমাকে কেনো কিডন্যাপ করা হলো?
পর্ব ৭ (অন্তিম)
সাবার মাথায় বিভিন্ন রকম প্রশ্ন ঘুরতেছে।
কেনো মুস্তাকবির আমাকে তুলে নিয়ে এলো। আর এই ছেলেটাই কি ফাতিন?
এমন সময় ফাতিন বলে উঠলো।
আমার বউকে বিয়ে করছো বন্ধু। আমায় দাওয়াত দিলা নাহ?
~ ফাতিন দেখ।
~ দেখা দেখির টাইম নাই। তুই তো সেই নিচ রে।
~ তোর থেকে কম ই আছি।
~ আমি কি করছি?
~ কি করছিশ তুই? আমার ভালোবাসা কে কেরে নিছিশ। তুই ফাতিন। আমার জীবন নরক বানিয়ে দিছিশ।
~ তাই?
~ হে তোর জন্য আমি নিজের ভালোবাসাকে নিজের হাতে মারছি।
আর আমি তোকে জীবনেও মাফ করবো নাহ।
~ মাফ তোকে আমি করবো নাহ ফারহান মুস্তাকবির নীল।
সব সময় আমার কাছে থেকে আমার সব খবর শুনলি আর সুযোগ বুঝে আমার বউ কেও তুলে নিলি?
হে হে। সব প্লেন আমার ছিলো। তুই নতুন করে ভালোবাসতে শিখেছিশ। নতুন কাউকে ভালোবাসবি। সুখে থাকবি? তা আমি হতে দিবো? জীবনেও নাহ।
তাই আমি সাবাকে কিডন্যাও করি। তুই যেমন আমার ভালোবাসাকে কেরে নিছিলি। আর আমি তোর ভালবাসা কেরে নিছিলাম।
আর সাবার লাশ বানিয়ে আরেকজনের লাশ রেখে দেই। যাতে দুনিয়া সাবাকে মৃত ভাবে আর ও আমার থাকে।
কিন্তু তুই ফেল। এখন তোকে মরতে হবে।
আমি মরবো? হাহা।
~ হে। এই দেখ।
এই বলে ফাতিন সোজা গিয়ে ফারহানের গলায় ছুড়ি ধরে।
খুব কষ্ট দিছিলি না আমার মাইশাকে? এখন দেখ কি হয়।
এই বলে সোজা ফারহানের গলায় চাকু বিধিয়ে দেয়।
বিয়ের অনুষ্ঠান এ অনেকেই ছিলো। কিন্তু মুখ কেউ খুলে নি। আসল খুনি ও ধরা পরে নি।
ফাতিন সাবাকে নিয়ে চলে আসে।
কিন্তু সাবা তো এসেই আয়ান কে দেখবে বলে বসে আছে।
ফাতিন সাবাকে একটা ভিডিও দেখায়। আয়ান আরেক মেয়ের সাথে।
সাবা যেনো এটা বিশ্বাস কিরতে পারছে নাহ।
সাবাও অনেক কাদে সেদিন। ফাতিন এর কাধে মাথা রেখে।
ফাতিন আর কিছুই বলে নাহ। শুধু মনে মনে ভাবে।
এখন আমায় ভালো তুমি বাসবেই।
লেখা – Ayat Mushtaruh Ayan
সমাপ্ত
(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)
আরো পড়ূন – ভালবাসার প্রাপ্তি – স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন