উঠতি বয়সের অবাধ্য অনুভূতি – আবেগ শুরুর গল্প

উঠতি বয়সের অবাধ্য অনুভূতি – আবেগ শুরুর গল্প: রাকিব বন্ধু মহলে বেশ পরিচিত। শুধু বন্ধু মহলেই না, পুরো এলাকা বেশ পরিচিত। তাই তার জি এফ হওয়ার সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায় নি রিমি।


মূলগল্প

~ আপু আমি তোর হবু বরের সেকেন্ড জিএফ কে আজ প্রপোজ করছি।
~ তো কি হইছে?
~ ও হ্যাঁ বলে দিছে।
~ ভালো তো… দাড়া কি বললি? আমার হবু বর মানে লিমনের সেকেন্ড জিএফ কোথা থেকে আসবে?

~ কেন? তুই জানতিস না?
~ নাহ, ওর কোন জিএফ নাই। ভাগ এখান থেকে।
~ হুম তোদের কলেজেই পড়ে, এখন ক্লাস টেনের রিমি।
~ মজা করিস না তো। যা এখান থেকে।

~ আমি কোন মজা করছি না। তোর হবু বরই দুটো মেয়ে সামলায়, আমি তাই ভাবলাম ওকে প্রপোজ করে ফেলি, যাতে তোর আর ভাইয়ের মধ্যে না আসতে পারে, অন্তত বিয়ের আগে না।
বলেই বাইরে চলে যায় রাকিব। ওর বড় বোন রায়মা তখনও ওখানে বসে আছে আর ছক মিলাচ্ছে। সত্যিই তো রিমি কে তো লিমনের সাথে দেখেও আনদেখা করেছিল সে। কিন্তু ব্যাপার টা যে এতো দূর সেটা বুঝতে পারে নি। তাই আপাতত ওর ভাই যা করছে তাতে ই সায় দেওয়া উচিত কাজ বলে মনে হল রায়মার। একে তো গ্রাম এলাকা তার উপর যদি বিয়ে ভেঙে চলে যায় তাহলে বেশ সমস্যায় পড়তে হবে তাকে সহ তার পরিবারকে। এক্ষেত্রে তার ভাইকে সাপোর্ট করলে ঠিক হবে ভেবেই চুপ থাকল রায়মা।

অন্যদিকে রাকিব এই ভেবে খুশি যে তার ও এখন একটা গার্ল ফ্রেন্ড আছে। এতো দিন বন্ধুদের খোঁটা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে সে। সবে মাত্র একাদশ শ্রেণীতে উঠেছে। কিন্তু আশেপাশে তার বন্ধুরা মনে হয় এই পর্যন্ত ১০ টা ব্রেক আপ ও করা শেষ। কিন্তু রাকিব এসবে জোড়ায় নি কখনো। তাই বন্ধুদের কাছে বেশ করে কথা শুনতে হয় প্রায়ই । এ সময় যখন বন্ধুরা ও ছেলে কি না ~ এমন প্রশ্ন তুলল তখন কয়েক দিন সময় নিয়ে সব ভেবেই রিমিকে প্রপোজ করে। এতে করে একদিকে বোনের বিয়েতে কোন বাঁধা থাকবে না, অন্যদিকে বন্ধুদের কাছ থেকে ক্তহা শোনা লাগবে না।

রাকিব বন্ধু মহলে বেশ পরিচিত। শুধু বন্ধু মহলেই না, পুরো এলাকা বেশ পরিচিত। তাই তার জি এফ হওয়ার সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায় নি রিমি। তাই শুরুতেই হ্যাঁ বলে দিয়েছিল। কিন্তু এক্সথে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলতে হচ্ছে তাকে। একদিকে লিমন তো অন্যদিকে রাকিব।

কিন্তু রাকিব বন্ধুকে দিয়ে ওর আর রিমির ছবি লিমন কে পাঠায়। ঈতে কাজ ও হয়ে যায়। লিমন রিমির সাথে ব্রেক আপ করে ফেলে। একেই তো কয় দিন বাদে বিয়ে। তার উপর রিমি ওর থেকে বেশ ছোট। নেহাৎ শখের বসেই ওর সাথে রিলেশনে গিয়েছিল। কিন্তু ফিরে আসার পথ পাচ্ছিল না।
রিমির সাথে রাকিব কিছু না করলেও সবাইকে দেখিয়ে ঘুরে বেড়ায় শুধু। এই টুকু না করলে যে ওর আবার কথা শুনতে হবে তাই।

দেখতে দেখতে খুব ভাও ভাবেই রায়মার বিয়ে হয়ে যায় আর রায়মাকে নিয়ে লিমন শহরে চলে যায় পার্মানেন্টলি । এদিকে রাকিব এর ও ভালো লাগছিল না এসন রিলেশনে থাকা তাই ব্রেক আপ করে নেয় রিমির সাথে।

তবে রিমি থেমে থাকে নি। আবার আরেকটা বয়ফ্রেন্ড হয়ে যায় ওর।

লেখা – সাদিয়া সৃষ্টি

সমাপ্ত

(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “উঠতি বয়সের অবাধ্য অনুভূতি – আবেগ শুরুর গল্প” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)

আরো পড়ূন – তোমাতে আমি আবদ্ধ – valobasar golpo kotha

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *