পাপ্পি চাপছে – গার্লফ্রেণ্ডকে চুমু খাওয়ার গল্প: আমার জন্য একটু দোয়া কর। যাতে অল্পতেই আমার মতো সুন্দরী কোন মেয়েরে জরাই ধরতে পারি। না মানে আমার মতো এতো সুন্দরী না হলে ও চলবে। একটু সুন্দরি হলেই হবে। হি হি।
পর্ব ১
- রাত্রে শুয়ে শুয়ে কোলবালিশটারে দুই হাত দিয়ে ধরে বলতেছি।
ওরে বইন কোলবালিশ। তুই আমারে ক্যান এতো ভালোবাসিস। তোর ভিতরের ঐ ভালোবাসার পাওয়ারে। আজ অব্দি তুই ছাড়া আর কোন মেয়ের ঠাঁই। আমার এই জরাই ধরতে চাপা বুকটার কপালে হইলো না।
বইন কোলবালিশ। তোর ভিতরের ভালোবাসা গুলারে একটু কমাই দিয়া।
অন্য মেয়ে গুলারে ও একটু আমার বুকের ভিতরে আসার রাস্তা কইরা দে, প্লিজ।
এমনে আর কতদিন একলা একলা তোরে
জরাই ধরে শুয়ে থাকমু তুই ‘ক’।
তুই যদি একটু জরাই ধরতে পারতি তবু একটু সহ্য হইতো।
তবে তোর পায়ে ধরতেছিরে বইন।
না মানে তোর তো আবার পা নাই।
আচ্ছা পা না থাক। তোর পেঁটে ধরতেছিরে বইন।
আমারে একটু কম কইরা ভালোবাস।
যাতে অন্য কোন মেয়ে ও একটু আমার দিকে আগাইতে পারে।
আর হ্যা। এতোদিন মেলা ভালো করে তোরে বলছি। এরপর ও যদি আমার প্রতি তোর ভালোবাসা না কমে।
তাইলে ভাই সিওর তোরে কোন জাহাজ মার্কা লোকের কাছে বেঁইচা দিয়া আসমু।
আর জাহাজ মার্কা লোকের হাতে পড়লে
কী হইবো সেইটা তুই ভালো করোই বুঝতে
পারতেছস।
তাই বলতেছি। আমার মতো কিউট
গুলোমুলো একজনের সাথে থাকতে হলে।
তোর ভিতরের ভালোবাসা গুলারে কমাই দিয়া।
আমার জন্য একটু দোয়া কর। যাতে অল্পতেই আমার মতো সুন্দরী কোন মেয়েরে জরাই ধরতে পারি। না মানে আমার মতো এতো সুন্দরী না হলে ও চলবে। একটু সুন্দরি হলেই হবে। হি হি।
আর এখন বুকে আয়। ঘুমে ও চাপছে জরাই ধরতে ও চাপছে।
তোরে ছাড়া তো আর কাউরে জরাই ধরে ঘুমানো আমার কপালে নাই। তাই তোরে জরাই ধরেই ঘুমাই যাইতে হইবো।
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে।
দুই হাত দুই দিকে দিয়ে গা টানা দিতেছি।
এমন সময় হঠাৎ। জানালা দিয়ে একটা বল এসে সোজা আমার কপালে।
উহু রে। কপালডা মনে হয় গেছে।
সালার পিচ্চি গুলা মাসের ত্রিশটা দিন।
সাত সকালে উঠে ক্রিকেট খেলতে আমার জানালার সামনে আসবে।
আজকে হালার পুতেরা আসুক বল চাইতে। সব গুলার প্যান্ট খুলে পাছার মধ্যে বল দিমু।
কয়েক মিনিট পড়েই জানালার কাছে।
পঞ্চাশ কেজি ওজনের হনুমানের বাচ্চার মতো একটা পিচ্চি আসলো।
- স্বারথী বলটা দে।
- ও মা গো। তোর তো ভাই মেলা সাহস।
কিন্তু তোর বড় গুলা আইসা এত্ত ভাই ভাই করে
তাও ওদের বল দিই না।
আর তুই তো আইসাই নাম ধরে ডাকছস তার উপরে আবার তুই তুকারি করছস।
এই বল তো জীবনে ও তোরে দিমু না।
- ভাইয়া বলটা দিন প্লিজ। আজকেই আপু বলটা নতুন কিনে দিছে।
- ওরে সালা। এর মধ্যেই টিউন বদলাইছস।
একটু আগেই না নাম ধরে তুই তুকারি করলি।
- সরি ভাইয়া।
এর মধ্যেই মাথাই একটা শয়তানি বুদ্ধি আসলো।
আজকে এদের প্যান্ট খুলে ভিডিও করে ফেসবুকে দিমু। হু হু হু।
এখন একটু ভালো করে কথা বলে
রুম অব্দি ডেকে নিয়ে আসি।
- আচ্ছা তোর নাম কী।
- নীল।
- কে তোর এই নাম রাখছে ‘ক’ তো।
তোর যেই সাইজ। তোর নাম রাখা লাগতো টাইগার।
যাই হোক, তোরে দেখে ভদ্রই মনে হচ্ছে।
কিন্তু প্রথমে এসে যে আমার নাম ধরে ডাকলি প্লাস তুই তুকারি করলি। এইটা কী তুই তোর নিজের বুদ্ধতেই কইছস নাকি কেউ শিখাই দিছে।
- আসলে ভাইয়া, রাফি আমারে ওমন ভাবে বলতে শিখাই দিছিলো।
- আচ্ছা ঠিকআছে। রাফিরে ডেকে নিয়ে আইসা
বল নিয়া যা। - ওকে।
আজকে তো এই দুইটারে খাইছি।
কিছুক্ষণ পরে।
- ভাইয়া রাফিকে নিয়ে আসছি।
- গুড।
(আগেই এদের ভয় পাওয়ার মতো
কিছু বলা যাবে না। তাহলে আর রুমে আসবে না।
সুন্দর ভাবে আগে রুমে নিয়ে আসি তার পরে দেখামু মজা) - কিরে। এই কী তোদের বাহিনীতে নতুন।
- হুমমমমমমমম।
- ভালো। তো এতো দূরে দাঁড়াই আছোস ক্যান।
কাছে আয়। - না আমি এখানেই ঠিকআছি।
- ঠিকআছে তুই ওখানেই থাক।
আর নীল শোন। যদি বল নিতে চাস।
রাফিরে সাথে নিয়ে আমার রুমে এসে
বল নিয়ে যা। - রাফি চলো ভিতরে গিয়ে বল নিয়ে আসি।
- না না আমি তো ওর ঘরে যাবো না। একবার
বল নিতে গেছিলাম আমার প্যান্ট খুলে নিচে।
ওই অনেক খারাপ। আমি তো যাবো না। - স্বারথী ভাইয়া। রাফিতো রুমে আসবে না বলতেছে।
- আমি কিছু জানি নারে ভাই। বল নিতে চাইলে ওরে নিয়া রুমে আয়।
আহারে কী সুন্দর বল। এইটা কাঁটার সময়
আমারি মেলা কষ্ট হবে।
- স্বারথী ভাইয়া। বলটা দেন প্লিজ।
- এমনে বলিস নারে ভাই। ওরে না নিয়ে আসা
অব্দি। আমি তোরে বল দিতে পারমু না।
আমার সাথে এত কথা না বলে। রাফিরে নিয়ে রুমে আসলেই তো বলটা দিয়ে দিউ নাকি।
- রুমে গেলে তো কিছু করবেন না।
- আচ্ছা শোন। তোদের রুমে ও আসা লাগবে না। আর বল নেওয়া ও লাগবে না যা।
- ঠিকআছে। রাফিকে সাথে করে রুমে নিয়ে আসলে তো বল দিবেন।
- হুমমমমমমমম। এবার যা। ওরে সাথে করে
নিয়ে আয়। - ঠিকআছে।
রাফিরে গিয়ে কী বলছে না বলছে।
দুই বান্দা রুমে হাজির।
- স্বারথী ভাইয়া। রুমে তো আসছি।
এবার বলটা দেন। - দরোজার উপরে বল আছে পাইরা নে।
- আরে দরোজার উপর পর্যন্ত তো
আমাদের হাত যাবে না। - হাত না গেলে এখন আমি কী করমু।
- আপনি একটু পেড়ে দেন না।
- ঠিকআছে। ( টোপ গিলছে। এইবার তো দরোজা লাগাই দিয়ে দুইটারেই আটকামু। হি হি)
- দরোজার কাছে গিয়ে ঠাস করে দরোজা লাগাই দিলাম।
এইবার কই যাবা বাছাধন।
তোদের তো আজকে সেই মজা দেখামু।
প্রথমে তো বল মাথাই মারছস।
দুইয়ে রাফিল্লা তুই আবার এরে শিখাই দিছোস
আমারে তুই তুকারি কইতে।
তিনে তুই সালা হনুমানের বাচ্ছা আমারে এসে
তুই তুকারি করছোস।
আজকে তো তোদের হবে।
এবার ‘ক’ বলটা কে মারছে।
আর বলিংয়ে ছিলো কে।
- বলিংয়ে ছিলো নীল। আর ব্যাট করতেছিলো
রাজ। - এরে দিছোস বল করতে। তাইলে তো এমনেই
মারবে। এর সাইজ দেখছস একবার।
এই এর হাতির মতো দেহ নিয়া দৌঁড়াবে নাকি
বল করবে।
আচ্ছা যাই হোক,
আগে তোদের ঘটনা ঘটাই। তারপরে ঐ সালা
রাজ’রে দেখতেছি। ওর খুব শক্তি হয়ে গেছে।
দুইটার প্যান্ট খুলে পাঁচ মিনিট ভিডিও করছি।
ব্যাস। তোদের দুইটার কাজ হয়ে গেছে।
এখন তোরা দুইটা যা করবি সেটা হলো রাজকে
গিয়ে ধরে আন।
কারণ, যার জন্য তোদের এমন অবস্থা।
ওর যদি কিছু না হয়। তাহলে জিনিসটা
কেমন লাগে বল।
এখন তোরা চাইলে ওরে গিয়ে ধরে আনতে পারিস। আর না চাইলে না আনতে পারিস।
আমার যা কাজ হওয়ার সব তো হয়েই গেছে।
কিন্তু যার জন্য তোদের এমন অবস্থা ওরি
কিছু হইলো না এইটার জন্য মেলে কষ্ট
লাগতেছে। রে।
- স্বারথী ভাই আপনি রুমে থাকেন।
আমরা ওরে ধরে আনতেছি। - এই না হলে বাঘের বাচ্চা। ঠিকআছে।
তোরা ধরে আন আমি রুমেই আছি।
দুইটা গিয়ে ঐ একটারে ও ধরে আনলো।
হের ও প্যান্ট খুলে ভিডিও করলাম।
- স্বারথী ভাই এইবার তো বলটা দেন।
- ঠিকআছে ধর। তোদের তিনটার ইজ্জত
নিয়া মেলা ছিনিমিনি করছি।
বলটা তোদের প্রাপ্য।
বলটা নিয়ে জানালার ঐ পার গিয়ে
আমারে উঁড়াধুরা গাইল দিতে শুরু করছে।
এরা এই বয়সেই যা গাইল শিখছে।
আমি এতো বড় হয়ে ও এতো গাইল শিখি নাই।
কী খারাপ পোলাপান। এদের ভিডিটা তো ফেসবুকে দিমুই দিমু।
ভিডিওটা ফেসবুকে আপলোড দিয়ে
গোসল করে ভার্সিটিতে গেলাম।
এর মধ্যে ভিডিওটার কথা ভুলেই গেছিলাম।
ক্লাস শেষ করে। আমার কুত্তা ফ্রেন্ড
গুরারে নিয়ে বাঁদরামি করতেছিলাম।
এমন সময় আমাদের ক্লাসের দশ পনেরোটা মেয়ে ভিলেনের মতো এসে আমাদের সামনে হাঁজির।
সব গুলাই কেমর রাগে ফুঁসতেছে।
- হারামি সজীব্বা। আবার তুই কোন
মেয়েরে দেখে খারাপ কথা কইছস তাই না। - আরে ভাই না। আমি তো দুই মাস ধরে
কোন মেয়ের দিকেই তাঁকাই নাই। - তাইলে এই লেডি বাহিনী এখানে কেনো।
এমন সময় আমার নাম ধরে ডাকতেছে।
- স্বারথী। এই দিকে আয়।
- কেনো। ঐ দিকে যামু কেনো।
- ভালোই ভালোই আসবি নাকি রিনারে পাঠামু।
ও গেলে কিন্তু কাঁন্দে করে নিয়ে আসবে।
ওরে তো ভালো করেই চিনস। - ওরে আবার আসতে বলবি কেনো।
আমি কী বলছি যে যামু না। - আচ্ছা আমাদের সাথে আয়।
- তোদের সাথে ক্যান যামু। আমি একলা
একলাই যামু। - বাঁদরামি বন্ধ করবি নাকি রিনারে ডাকমু।
- আরে আসতেছি তো। খালি খালি ওর ভয়
দেখাইতেছিস ক্যান। - তাইলে এখন আমাদের সাথে চল।
- হুমমমমমমমম।
সব জায়গায় ভয়ঙ্কর একটা করে জিনিস থাকে।
আর আমাদের কলেজের ভয়ঙ্কর জিনিসটার
নাম হচ্ছে রিনা।
হেতির কথা কী আর কমুরে ভাই।
হাইট ছয় ফিট। ওজন কম করে হলে ও ১০০ কেজি তো হবেই।
দেখতে একদম কাল নাগিনীর মতো।
রাগের কথা আর কী কমু সেকেন্ডে। সেকেন্ড
মিনিটে। মিনিটে রাইগা যায়।
কলেজের হাতির মতো সাইজের পোলা গুলা ও
হেতিরে দেইখা দৌঁড়ে পালাই।
আর আমি তো একটা টিকটিকি।
- আরে কই নিয়ে যাইতেছস।
- যেখানেই নিয়ে যাই চুপচাপ আমাদের
সাথে আয়। - হুমমমমমমমমমম।
একটু দূরে দেখি চশমা পড়া সুন্দরী একটা মেয়ে
ব্রেঞ্চে বসে আসে।
ঐ মেয়েটার দিকেই এরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে।
কাহিনী তো কিছুই বুঝতেছি না।
তবে এইটা বুঝতে পারতেছি যে। মেয়েটা আস্তে
আস্তে আমার ভিতরে ইনস্টল হয়ে যাচ্ছে।
- নীলা। এই হচ্ছে স্বারথী।
- মেয়েটা রাগে ফুসতে ফুসতে আমার
দিকে উঠে আসলো।
আর। ঠাসসসসসসসসসসসসসসসস। - আরে আমি করছিটা কী। সেটা তো তোরা
বলবি নাকি।
এক হাত গালে দিয়ে দাঁড়াই আছি।
আর সব ডাইনি মাইয়া গুলা একের পর এক
গাইল দিচ্ছে।
- স্বারথী। তোর চিন্তা ভাবনা যে এত্ত নিচ
এইটা আগে জানতাম না (মিথিলা)। - তুই এই গুলা কেমনে করলি বলতো।
তোর না হয় কোন লজ্জা। সরম সম্মান কিছুর
ভয় নাই। অন্য সবার তো আছে নাকি (মিষ্টি)। - সবাই জানে যে তুই একটু শয়তান।
কিন্তু যে এমন কিছু করবি এটা আমি কখনো ভাবতে পারিনি (মাইশা)।
(অন্যদিকে তো নীলা নামের মেয়েটা আরো
রাগে ফুসতেছে। নেহাত ওর কাছে থেকে
কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে গালে হাত দাঁড়াই আছি।
তা না হলে এতক্ষণে আরো কয়েকটা থাপড়ানি
গালে পড়তো)
- যা হবার তা তো হয়েই গেছে। এবার নীলা তুই বল। এখন এই শয়তানটাকে কী করবি। (মিম)
- ওরে ভাই। আমি করছিটা কি। আমার
অপরাধ টা তো আগে কইবি নাকি। - দেখ দেখ। কেমন ভালো সাঁজার চেষ্টা করতেছে। আমার তো মনে হয়। এরে ধরে
শিশু নির্যাতনের দায়ে থানায় দেওয়া উচিত। - কিইইইইইই। শিশু নির্যাতন। এইবার কিন্তু
আমার সেই রাগ লাগতেছে।
আমি কি করছি সেইটা একটু খুলে বলতো তোরা।
এর মধ্যে আমার কুত্তা ফ্রেন্ড গুলা ও হাজির।
- ছি ছি মামা তুই যে এমন একটা কাজ করবি।
এইটা আমারা জীবনেও ভাবি নাই। - আরে বাল। আমি করছিটা কী ?
- কী করছো তাই না। একে তো বাচ্চারা গুলারে
ল্যাংটো করছো। তার উপর আবার সেই গুলোর
ভিডিও করে ফেসবুকে দিছো।
তোমার কী সামান্য পরিমাণের একটু কমনসেন্স
নেই। - ও আচ্ছা এই ব্যাপার। ওদের ল্যাংটা করছি আমি। ভিডিও করছি আমি। ফেসবুকে দিছি
আমি।
তোমার এতো ফাঁটতেছে কেনো।
আর ঐ গুলারে তোমার বাচ্চা মনে হচ্ছে।
সব গুলা এক একটা শয়তানের গুডাউন। - ওরা শয়তান তো তোমার কী?
তুমি কী ভালো নাকি।
তোমার যদি কেউ ওমন প্যান্ট খুলে ভিডিও
করে ফেসবুুকে দেয়। তাহলে কেমন
লাগবে। - ও হ্যালো। আমি কী ওদের ইচ্ছে করে
ধরে নিয়ে এসে প্যান্ট খুলে ভিডিও
করছি নাকি। - তাহলে কেনো ভিডিও করছো শুনি।
- সকালে ঘুম থেকে উঠতেই। প্রথমে কপালে
বল মারছে। এরপর হনুমানের বাচ্চার সাইজের
মোটা পোলাটা জানালার কাছে এসে।
তুই। তুকারি করে নাম ধরে ডাকছে।
আর বাঁকি দুইটা তো আগের থেকেই খারাপ।
বাপ হইতেছে শয়তানের গুডাউন। আর পোলা
গুলা হইতেছে সেই গুডাউনের মাল।
তবে হনুমানের মতো মোটা সাইজের
পোলাটারে মোটামুটি ভদ্র মনে হইছে।
কিন্তু ঐ ডাক্তারের পোলা রাফিল্লা মোটা
পোলাটারে বুদ্ধি দিছে যে ও যেন আমার
নাম ধরে ডাকে প্লাস তুই তুকারি করে।
এই জন্য সব গুলার প্যান্ট খুলে নিছি।
আর হনুমানের মতো মোটা পোলাটারে
দেখার পর থেকে খালি এইটাই মনে হচ্ছে যে।
ওর সাইজই যদি ওমন হয়। ওর ফ্যামিলির
সব গুলার সাইজ তো হাতির থেকে ও বড় বড়
হবে। হি হি হি।
- ঠাসসসসসসসসসসসসসসসস।
- ঐটা আমার ছোট ভাই। দশ মিনিটের
মধ্যে ভিডিওটা ডিলিট করবা।
কোথাও যেন না থাকে। আর যদি
কোথাও দেখি যে ভিডিওটা আছে।
তখন আর এমন ডেকে আনবো না।
সোজা থানাই গিয়ে শিশু নির্যাতনের
মামলা করবো। কথাটা যেন মনে থাকে।
ধমক দিয়ে চলে গেলো।
মেয়েটার পিছন পিছন সব ডাইনি গুলা চলে গেলো। আর ডাইনি গুলার পিছন পিছন সব
কুত্তা ফ্রেন্ড গুলাও চলে গেলো।
সব সালা মাইয়া বাজ।
মাইয়া মানুষের জন্য ফ্রেন্ডরে ছাইড়া চলে গেলো।
পিছনে ঘুরতেই দেখি সজিব।
অবোলার মতো দাঁড়াই আছে।
- বন্দুরে তুই একমাত্র আমারে বুঝছ।
আর আমিই তোরে সজিব্বা বইলা ডাকি।
মাফ করে দিস ভাই।
আর আয় বুকে আয়। - হুমমমমমমমম।
- আচ্ছা ভাই তুই ‘ক’ আমার কোন রকমের
কোন দোষ আছে। - নাহ্। একদম না।
- আমার জায়গায় তুই থাকলে কী করতি বল।
- আমি তোর জায়গায় থাকলে ইউটিউবে ও দিতাম।
- আবার একবার বুকে আয় বন্দু। তুই আমার
আসল বন্দু। - আসলে মামা তুই আমারে যেইটা ভাবছস।
আমি কিন্তু সেইটা না। - মানে।
- মানে হইতেছে নীলা যখন তোরে ঠাসসস
করে একটা থাপড়ানি দিলো তখন আমি
সবার চাইতে বেশি মজা পাইছি। হা হা হা। - কিইইইইইইইই।
- হুমমমমমমম। আর সব শেষে তুই কেমন
রিয়েক্ট করবি সেইটা দেখার জন্যই দাঁড়াই
আছিলাম। তবে যাই বল শেষে ও মেলা
মজা পাইছি। আচ্ছা মামা তুই থাক
আমি এখন যাই। - তোরা সালা সব গুলা খারাপ। একটা
মাইয়া এসে তোদের বন্দুরে থাপড়ানি দিলো
আর তোরা সালা দাঁড়াই দাঁড়াই মজা নিলি।
মানতেছি মাইয়াটা দেখতে সুন্দরি। তবু তো
কিছু একটা কইতে পারতি নাকি।
সব সালা হারামি।
- আর তুই কী হ্যা। তুই তো সালা আরো খারাপ।
আমারে যখন সব মাইয়ারা মিলে মিথ্যা দোষে
দোষী বানাই ক্যালাইতে ছিলো তখন তোর এই
ভালোবাসা কই আছিলো।
তখন তো সালা তুই ও আইসা আমারে ক্যালাইছস।
তোর কপাল ভালো যে শুধু ঐ মায়াই তোরে
থাপড়ানি দিছে।
- সেই কবে। কী না কী করছি। ঐ কথা
এখনো ধরে আছোস।
তোদের সাথে তো সব সম্পর্ক খতম। - থ্যাংকইউ। তোর মতো হারামি না থাকলেই
আরো বাঁচমু। - সজিব্বারে। আমারে তোরা চিনস না।
এই সবের প্রতিশোধ আমি। পাই টু পাই নিমু। - ঠিকআছে নিস। তবে মামা তোর ভালোর জন্য
লাস্ট একটা কথা বলতেছি। শুনলে শুনবি না শুনলে। সেইটা পরে এমনি টের পাবি।
অন্য সবার সাথে যা ইচ্ছা করিস।
নীলার সাথে ভুলে ও কিছু করতে যাস না।
ও হচ্ছে বর্তমান আমার ক্লাসের টপ ছাত্রী।
সব সাবজেক্টে ৯৫ এর উপরে মার্ক।
আমাদের ক্লাসের ছেলে মেয়ে প্রায় সবাই ওর উপর ফিদা।
আর অন্য ক্লাসের বড় ভাই গুলার কথা আর কী বলমু।
নীলার সাথে যদি উল্টা পাল্টা কোন কিছু
করিস। ওর হাতে তো থাপড়ানি খাবিই।
সাথে তোর কপালে যে আরো কতো কিছু
ঘটবে। নীলার সাথে কিছু করলেই বুঝবি।
- সালা হারামজাদা। শত্রু ও তোর থেকে ভালো।
বন্ধু হিসেবে কই একটু সাহস দিবি। তা না করে আরো ভয় ঢুকাই দিতেছস।
আর ঐ মাইয়া মানে নীলা। ওরে তো আজকের
আগে আর কোনদিন ভার্সিটিতে দেখি নাই।
ওই কেমনে এতো জনপ্রিয় হইলো।
- কয় মাস পরে ঘুম থেকে উইঠা ভার্সিটিতে আইছস হিসার রাখছস কোন।
আর ভাই শোন। তোর সাথে এতো প্যাঁচাল
পারার সময় আমার নাই।
নীলাদের দলে থাকলে এক্সামের সময় তবু একটু হেল্প পামু।
প্রথম দিনেই যা থাপড়ানি খাইছস।
তোর সাথে থাকতে দেখলে। আমারেও আর
ওদের দলে নিবে না।
তাই মামা। তুই এখন থাক। আমি গেলাম। বাই।
সব সালা কুত্তারা চলে গেলো।
পোলা হইয়া পোলার সাপোর্ট না করে।
সব সালা মাইয়াগো দলে যাইতেছে।
পৃথিবী আজ কোথায়।
পৃথিবী আর বেশিদিন নাই। অল্পতেই ধ্বংস
হয়ে যাবে। আমি তো সিওর।
প্রতিদিন একা একাই কলেজে যাইতেছি।
একাই একটা ব্রেঞ্চে বসে ক্লাস করতেছি।
ক্লাস শেষ করে দেওয়ালে হেলান দিয়ে।
একা একাই ফোনে গেমস্ খেলতেছি।
সব ক্লাস শেষ করে একা একাই আবার
বাসাই আসতেছি।
এমনেই দিন যাচ্ছে।
আর অন্য দিকে সব সালারা ঐ নীলারে নিয়ে
পড়ে আছে।
দাঁত কেলাই কেলাই আড্ডা দিতেছে।
কিন্তু আমি তো আর ঐ সব ল্যাঁচড়া মার্কা
পোলা না যে। কোন মাইয়া ভালো
পড়াশুনা পারলেই হেতির লগে চিপকাই থাকমু।
সামনে এক্সাম তাই একটু ভালো করে পড়তেছি।
কোন সালার সাথে কোন সম্পর্ক নাই।
আমারে ছাড়া যখন সব হইতেছে সবই হোক।
ক্লাস শেষ তাই ভাবতেছি বাসাই যাবো।
ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে একটু সামনে
যেতেই দেখি।
নীলা ওর বাহিনীরে নিয়ে এক্সাম সম্পর্কেই কী যেন আলোচনা করতেছে।
আমাদের ক্লাসের একমাত্র আমি বাদে।
প্রায় সকলেই ওর বাহিনীর সদস্য।
আমি ওদের সাইট দিয়েই যাচ্ছিলাম।
- ঐ যে দেখো। আমাদের ক্লাসের একমাত্র ট্যালেন্টেড বয় যাচ্ছে। ওর কাছে থেকে
কেউ কিছু একটু সাজেশন নিয়ে আসো (নীলা)।
(নীলার কথা শুনে সবাই তো দাঁত কেলিয়ে
হাঁসতে হাঁসতে গড়িয়ে পড়তেছে)।
কোন কিছু না মনে করে। চলেই আসতেছি।
- স্বারথী শোন। বেশি ট্যালেন্টেড গিরি
দেখাস না। এইটা এক্সাম। নীলা সবাইকে
সাজেশন দিচ্ছে।
তুই ও আমাদের সাথে থাক। তোর নিজেরই
ভালো হবে। (রাজু)
এইবার আর থাকতে পারলাম না।
রাজুর সামনে গেলাম।
- শোন ভাই। আমি হয়তো তোদের মতো
ওতোটা ট্যালেন্টেড না। তোদের মতো
ওমন ভালো নাম্বার আমি পাই না।
তোদের মতো ভালো পড়াশোনা করি না।
তবে হ্যা। আজ অব্দি কোন এক্সামে কারোর
প্রয়োজন আমার হয় নাই।
কিন্তু আমার প্রয়োজন অনেকের হইছিলো।
কারোর সাজেশন ছাড়াই যখন এতদূরে আসতে
পারছি। সামনে ও আর কারোর কোন
সাজেশন আমার দরকার নাই।
আমি আমারে নিয়েই অনেক হ্যাপি আছি।
তোরা ভাই সাজেশন নে। আমি গেলাম।
ওখান থেকে সোঁজা হেলাল স্যারের কাছে
গেলাম।
পর্ব ২
- স্যার। স্যার। স্যার।
- আবার কী মতলব নিয়ে আসছিস।
- স্যার। এইবার কোন মতলব নিয়ে আসি নাই।
- তাহলে।
- একটা রিকুয়েস্ট নিয়ে আসছিলাম।
যদি রিকুয়েস্টটা রাখেন তাহলে খুব উপকার হইতো। - আগে শুনি কেমন রিকুয়েস্ট।
তারপরে ভাববো। রাখবো কী রাখবো না।
তোর তো আবার কোন বিশ্বাস নাই। - আচ্ছা স্যার। আমি কী ভার্সিটিতে আসার
পর থেকে। আপনার সাথে কোন দুই নাম্বারি
করছি। - ভার্সিটিতে আসার পর থেকে করিস নাই।
তবে। ভার্সিটিতে আসার আগে অনেক
দুই নাম্বারি করছিস।
তোর উপরে কোন ভরসা না। - আচ্ছা ভরসা করা লাগবে না।
আগে তো কথাটা শুনেন।
তারপরে এমনি রাজি হয়ে যাবেন।
- ঠিকআছে। কী কথা আগে বল।
- আর সাত দিন বাদে তো এক্সাম।
যখন এক্সামের সীট বসাবেন তখন আমার
সীটটা একদম সামনের সীটে বসাবেন।
আর আমার আগে পিছে ডাইনে বামে।
অন্য কাউরে বসাবেন না।
- কেনো। হঠাৎ তোর আবার কী হলো।
কোনদিন তো দলবল ছাড়া এক্সাম দিতে
দেখি নাই।
এইবার আবার। বিনা দলবল ছাড়াই একাই
এক্সাম দিবি। মতলব কী?
- কোন মতলব নাই। সব সালারা দুই নাম্বার।
আর আমি ঐ সব দুই নাম্বারদের সাথে বসে
এক্সাম দিতে পারমু না। স্যার।
এখন আর তো আমারে কারোর কোন দরকার নাই।
ক্লাসে সুন্দরী। ট্যালেন্টেড নতুন একটা মাইয়া
আইছে না। ওরে নিয়াই তো সবাই পড়ে আছে।
- ও আচ্ছা। এর মধ্যে তাহলে নীলার সাথে
ঝগড়াও লাগাইছিস। - আমি কোন ঝগড়া লাগাইনি। উল্টা ঐ মেয়েই
আমারে। থাক ঐ সব আর শুইনেন না।
এবার আপনি বলেন যে আমার সীটটা একাই
ফেলাতে পারবেন কী না। - তোরে যদি একাই এক জায়গায় বসাই।
তাহলে তো ভালোই হয়।
তবে সামনের সীটে ঐ ভাবে তোরে একাই বসানো যাবে না।
তোরে একাই একটা ঘরে বসাই দিবো নি। - না না স্যার। একাই এক ঘরে বসা যাবে না।
- কেনো।
- একাই যদি এক ঘরে বসি। তাহলে আবার
ওরা ভাববে যে। একাই এক ঘরে বসে নকল করে লিখছি।
ঐ নীলা যেই রুমে বসবে। ওই রুমেই একটু
বসানোর ব্যবস্থা করেন। - আচ্ছা পিছনের দিকে বসলে হইবো।
- হুমমমম। পিছনে ও হইবো।
- ঠিকআছে। এবার যা। পিছনেই বসাবো নি।
বাসাই এসে কয়দিন মোটামুটি পড়ছি।
এক্সামের দিন।
- রুমে ঢুকার আগে থেকেই দেখতেছি।
নীলারে ঘিরে ধরে সব গুলা বসে আছে।
আমি রুমে ঢুকা মাত্রই টিটকিরি শুরু।
- ঐ যে আমাদের ট্যালেন্টেড বয় চলে আসছে।
ওর সীটটা কেউ একটু খুঁজে দাও (নীলা)।
টিটকিরি গুলা পাত্তা না দিয়ে পিছনের দিকে গেলাম।
স্যারকে যেমনে বলছিলাম। ওমনেই সীট
ফেলছে।
আমার সীটের আগে পিছনে কেউ নেই।
আমার সীটে গিয়ে বসলাম।
ঐ দিকে নীলা আমারে নিয়ে মজা করেই
যাচ্ছে।
একটু পড়ে স্যার খাতা নিয়ে আসলো।
খাতা আর প্রশ্ন পত্র পেয়ে। আমি আমার মতো
লিখতে শুরু করে দিছি।
একঘন্টা পড়ে মাথাটা একটু উপরে তুলে দেখি।
সব গুলা নীলার দেখে দেখে লিখতেছে।
মেয়েটার ও দেখি দয়ার শরীর। সবাইরে
খুলে খুলে দেখাচ্ছে।
দূর। ওরা যা ইচ্ছে করুক।
ওদের দেখে আমার কি কাজ।
আবার মাথাটা নিচে নামাই লিখতে শুরু করছি।
দুই ঘন্টা ত্রিশ মিনিটে আমার লেখা শেষ।
- স্যার। লেখা হয়ে গেছে।
- খাতাটা টেবিলের উপরে রেখে চলে যাও।
- আচ্ছা।
প্রতিদিন এক্সাম দিতে আসি।
নীলা সহ সব গুলা আমারে নিয়ে একটু
মজা করে।
আর আমি চুপচাপ এক্সাম দিয়ে চলে যাই।
এমনেই সব এক্সাম শেষ হলো।
লাস্ট এক্সামের দিন। বাসাই আসার সময়
দেখতেছিলাম।
সব গুলা নীলার কাছে এসে। একে একে তার গুণগান করতেছিলো।
- নীলা। তোমাকে থ্যাংকইউ বলে ছোট
করতে চাই না। তুমি ছিলে বলেই সবার
এক্সাম এতো ভালো হলো (মিম)। - সত্যি নীলা। তুমি আসলেই অনেক ভালো।
এবার তো আমাদের সকলের রেজাল্ট অনেক
ভালো হবে (মিথিলা)। - হুমমমমম। এইবার তো রেজাল্ট দেখেই আব্বু
আমাকে আইফোন কিনে দিবে।
নীলা। তুমি যদি আমাদের ভার্সিটিতে না আসতে। তাহলে এটা কোনদিন সম্ভব হতো না। সত্যি তুমি গ্রেট (রিয়া)।
মেয়েদের চ্যাপ্টার শেষ না হতেই।
সব পাঠা গুলা ও নীলার গুণগান করতে হাজির।
যার যা ইচ্ছে করুক। আমি এই সব দেখে
কী করমু।
বাসাই চলে আসলাম।
ছাব্বিশ দিন পর।
আজকে সব সাবজেক্টের নাম্বার দিবে।
ক্লাসে একাই একটা ব্রেঞ্চে বসে আছি।
সবার মুখে তো হাঁসি ধরতেছে না।
কারণ, সবাই নীলার দেখে লিখছে।
রেজাল্ট ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক।
একটু পড়ে স্যার আসলো।
প্রথমেই নীলাকে দিয়ে শুরু করছে।
নীলার প্রায় সব সাবজেক্টেই নব্বইয়ের উপরে নাম্বার।
নীলার পরে একে একে সবার নাম্বার দিচ্ছে।
সবার নাম্বার প্রায় সেম। দুই তিন মার্ক কম বেশি।
সব শেষে স্যার আমার নাম্বার দিতেছে।
সর্বোচ্চ নাম্বার ৫৫ আর সর্বনিম্ন ৩৫।
তবে আমি এটাতেই অনেক খুশি।
যা লিখছি নিজে লিখছি।
নিজের প্রতি নিজেরই গর্ব হচ্ছে।
একা একা এক্সাম দিয়ে ও কোন সাবজেক্টে
ফেল করি নাই।
ক্লাসের সব চাইতে কম নাম্বারধারি প্রাণী
একমাত্র আমিই।
আর সব চাইতে খুশি ও আমিই।
কারণ, সবার নাম্বারে ভেজাল থাকলে ও।
আমার নাম্বার গুলো হলো একদম খাঁটি।
নীলা ছিলো বলে কেউই কোন সাবজেক্টে ফেল করে নাই।
শুধু মাত্র কম নাম্বার পাইছি আমি।
সবার এতো ভালো নাম্বার দেখে স্যার ও বেশ
খুশি।
তবে আমার এমন কম নাম্বার দেখে।
সবার সামনে দাঁড় করিয়ে ভালোই জ্ঞান দিলো।
ক্লাস শেষ।
কিন্তু ক্লাসেই বসেই আছি।
সবাই দেখি অনেক হ্যাপি।
আগের মতো এখন আর বাঁদরামি। শয়তানি করি না।
তবে বাঁদরামি। শয়তানি যে করি না সেটা
বললে ভুল হবে। শুধু মাত্র ভার্সিটিতে
আসলে করিনা।
কারোর যখন আমাকে দরকার নাই।
আমি ক্যান শুধু শুধু গায়ে পড়ে সবার সাথে
মিশতে যামু।
দুই একজন এসে কথা বলেলে আমি ও কথা
বলি তবে আগের মতো না।
আর একা একা থাকতে ভালোই লাগতেছে।
একদিন ক্লাসে বসে বসে গেমস্ খেলতে ছিলাম।
চারটা ডাইনি সামনে আসলো।
কেউ কিছু বলতেছে না।
স্বারথী সরি। রে।
- কী সমস্যা সেটা বল। এমনি এমনি তো আর
সরি বলতে আসবি না। - পাশের রুমে একটু যাবি। প্লিজ।
- কোন।
- আগে চল না।
- না বলা অব্দি তো আমি যামু না।
- আসলে। নীলা রফিক স্যারের ল্যাপটপটা
কী জানি করার জন্য নিয়ে আসছিলো।
হঠাৎ কী জানি প্রবলেম হইছে।
এমন অবস্থায় স্যারকে ল্যাপটপটা দিলে।
পরে স্যার এসে নীলাকে বকা দিতে পারে।
- তো আমি কী করমু।
- তুই তো অনেক কিছুই পারিস ল্যাপটপটা একটা ঠিক করে দে না।
- দেখ ভাই। ল্যাপটপ সম্পর্কে আমার থেকে আরো ভালো জানে এমন অনেকেই এই ভার্সিটিতে আছে।
তাদের কাছে গিয়ে খালি নীলার নামটা বল।
দৌঁড়াই এসে ঠিক করে দিবে। - আরে সবাইকে ডেকে আনছি। কেউ পারে নাই।
ঐ রুমে চল সব দেখতে পাবি।
স্যারের ভয়ে কেউ কথা বলছে না। - কেউ যখন পারে নাই আমি কেমনে পারমু।
আমিও পারমু না। যা তো। - স্বারথী প্লিজ। তুই পারবি চল। স্যার
কিছু দিন আগেই ল্যাপটপটা দেড় লাখ টাকা
দিয়ে কিনছে।
কেউ ঠিক করতে পারছে না দেখে নীলা
কান্না করতেছে।
নীলার কান্নার কথা শুনে বুকের ভিতরে কেমন
জানি হলো।
হাজার হলে ও প্রথম দেখাই বুকের ভিতরে
ইনস্টল হওয়া কেউ একজন।
- ঠিকআছে। চল।
- হুমমমমমমম।
পাশের রুমে গিয়ে দেখি ভার্সিটির সব
বড় বড় ল্যাপটপ বিশেষজ্ঞরা এসে
উপস্থিত।
নীলাকে দেখি রুমের একটা কোণে দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে চোখ মুছতেছে।
এমন অবস্থা দেখে মনে মনে ভাবতেছি।
কী এমন সমস্যা হইলো রে ভাই।
ল্যাপটপটা চুরি হওয়ার পড়ে যদি এমন অবস্থা
দেখতাম তবু সহ্য হইতো।
- ল্যাপটপটা কই।
- ঐ তো সামনে।
- হুমমমমমমমম।
- সমস্যাটা কী?
- দুইটা ড্রাইভ হারাই গেছে।
- এই সামান্য জিনিস তোরা কেউ পারস না।
ড্রাইভ দুইটা এনে দিয়ে চুপচাপ ওখান থেকে চলে আসলাম।
ক্লাস শেষ করে। বাসার দিকে আসতেছি।
পিছন থেকে স্বারথী বলে কেউ ডাক দিলো।
- পিছনে ঘুরে দেখি নীলা।
- দৌঁড়ে কাছে আসলো।
- স্বারথী। সরি।
- ল্যাপটপের ঐটা কোন সমস্যাই না। থ্যাংকইউ বলার কিছুই করি নাই।
- আরে আমি ঐ দিনের জন্য সরি বলছি।
থ্যাংকইউ বলি নাই। - সেটার জন্য সরি বলার ও কিছু নাই।
খারাপ একটা কিছু করছিলাম দেখেই
থাপড়ানি দিছো।
আমি কিছু মনে করিনি। - তুমি সত্যিই সত্যিই অনেক ট্যালেন্টেড।
নিয়মিত কয়েক ঘন্টা করে পড়লে আমার
থেকে ভালো মার্ক পাবা। - অযথা পাম দেওয়ার কোন দরকার নাই।
আমি আমাকে নিয়ে ঠিকঠাকই আছি।
এখন গেলাম। বাই।
(মন বলতেছিলো নীলার সাথে আরো কথা
বলি। কিন্তু এখন বেশি কথা বলা ঠিক হবে না।
এ জন্য চলে আসলাম)।
পরেরদিন কলেজে গিয়ে দেখি। ক্রিকেট খেলার
আয়োজন চলতেছে।
আমাদের ক্লাস আর ফাইনাল ইয়ারের বড় ভাইদের মধ্যে।
আমাদের ক্লাসের খেলা আর আমিই জানি না।
কিন্তু আগে। আমাকে ছাড়া খেলাই হতো না।
যাই হোক মোটামুটি সব খান থেকেই বাদ
পড়ে গেছি এই কয়েক মাসে।
আমাদের ক্লাসের খেলা। কিন্তু আমি সাপোর্ট করতেছি ফাইনাল ইয়ারের বড় ভাইদের।
কারণ তারা মোটামুটি ভালো খেলা।
আর আমাদের ক্লাসের সব গুলারে আমি ভালো মতো চিনি। আজকে সুন্দর ভাবে কুত্তা গুলা
ঠকে যাবে।
আগের যত ম্যাচে জিতছে। সব আমার বেশি
রানের জন্য।
যাই হোক। এখন হয়তো আমাকে ছাড়া ও ভালো খেলতে পারে।
উপর বসে চুপচাপ খেলা দেখতেছি।
আমার ডান সাইটে নীলা সহ সব মেয়ে গুলাও
খেলা দেখতেছে।
কষ্ট শুধু একটাই হচ্ছে।
ক্রিকেট খেলা হচ্ছে তবু আমাকে একটা
মুখের কথা কেউ বলে নাই।
অন্য কোন খেলা হলে তবু একটু সহ্য হইতো।
দূর। না বলে না বলুক। আমাকে কারোর প্রয়োজন না হলে। আমার ও কারোর প্রয়োজন নাই।
খেলা চলছে।
ফাইনাল ইয়ারের ভাই গুলা আগে ব্যাট
করতেছে।
২০ ওভার করে খেলা হচ্ছে।
ফাইনাল ইয়ারের ভাই গুলা ২০ ওভারে ১৭৫ রানের টার্গেট দিলো।
আমাদের বাহিনী গুলা এবার ব্যাট করতে
নামতেছে।
১৪ ওভার তিন বলে মোটেই ১২০ রান করছে।
এর মধ্যে ৮ টা উইকেট গেছে।
আজকে এদের সুন্দর মতো বাঁশ দিবে।
তবে ৫ ওভারে ৫৫ রান। তেমন বেশি না।
আবার সহজ ও না।
হঠাৎ দেখি। শুভ। সজিব। আর রিফাত হাজির।
- স্বারথী। সরি রে বন্ধু।
- কেনো।
- এই যে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে আর তোরে বলিনি। – আরে না ঠিকআছে। তোরাই তো ভালো খেলতেছস।
- কিন্তু। তোরা ছাড়া জিতা সম্ভব না।
- আরে কে বলছে। ভালো করে ওদের
ব্যাট করতে বল। জিতে যাবি। - এখন প্রতি ওভারে দশ। বারো। করে রান লাগবে।
ওদের দিয়ে হবে না। তুই নামলে তবু একটুু
আসা আছে।
- আরে মামা আমার এখন খেলার মুড নাই।
তোরা যা। - দেখ ভাই। আমাদের জন্য তোরে খেলতে
বলছি না। হারলে পুরো ক্লাসের ইজ্জত শেষ
হয়ে যাবে। - তো আমি কী করমু।
- কী আবার করবি। তুই নামবি ব্যাট করতে।
- এখন মুড নাই পারমু না।
তিনজন মিলে আমারে টানতেছে। নিচে
নিয়ে যাওয়ার জন্য।
টানাটানি দেখে। নীলা সহ আরো
কয়েক জন আমাদের দিকে আসছো।
- ঐ। তোমরা ওরে টানতেছো কেনো।
- আচ্ছা নীলা তুমিই বলো। আমাদের ক্লাস যদি
হেরে যায়। তাহলে আমাদের কোন ইজ্জত থাকবে। - আমাদের ক্লাসের হেরে যাওয়ার সাথে।
স্বারথী কে নিয়ে টানাটানি করার কী আছে।
- আরে ওই যদি এখন ব্যাটিংয়ে নামে।
তবু একটু জেতার আসা থাকবে।
খেলার আগে ওরে বলি নাই দেখে। ওই আর এখন নামবে না। - স্বারথী একটু এই দিকে আসো (নীলা)।
- কেনো।
- আরে আসো না। (হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো)।
- কী?
- ফাইনাল ইয়ারের এক বড় ভাইয়ার সাথে
বাঁজি ধরছি। - কী বাঁজি।
- ওনারা যদি জিতে আমি ওনারে একটা
পাপ্পি দিবো।
কিন্তু আমি কী জানতাম যে আমরা হেরে যাবো।
আর আমি ওনারে কিস করতে চাই না।
আমার জন্য একটু নামো প্লিজ।
এই হেল্পটা করো। প্লিজ।
- কারে পাপ্পি দিতে চাইছো।
- ঐ যে ঐ মোটারে।
- কিইইইই।
- হুমমমমমমম।
- নামো প্লিজ।
- ঠিকআছে। নামতেছি। হুদাই হুদাই পাপ্পির
কথা বলে। আমার আবার পাপ্পি চাপাই দিলা।
আমি কারে পাপ্পি দিমু। - কাউরে দিতে হবে না। যদি আমাদের ক্লাসকে
জিতাইতে পারো। ঐ পাপ্পিটা তোমারেই দিবো। - সত্যি।
- হুমমমমমম।
- তাইলে মনে করো জিতে গেছি। পাপ্পিটা রেডি করে রাখো।
- ওকে।
- সজিব্বা। ব্যাট নিয়ে আয়।
আজকে তো জিতেই উঠমু।
ব্যাট হাতে মাঠে নামতেই সবাই জোরে একটা
চিল্লানি দিয়ে উঠলো।
।
বড় ভাই গুলা ও অবাক।
- ভাই বল করেন।
(প্রথম বলেই চক্কা) - কীরে মামা কী খেয়ে নামছস।
- পাপ্পির বিষয় মামা বেশি দেরি করা
যাবে না।
ব্যাটে বল লাগুক আর না লাগুক।
তুই খালি দৌঁড়াই এইপার আয়।
বাঁকি সব আমি দেখতেছি।
চার বল থাকতেই জিতে গেছি।
ব্যাটটা ফেলে দিয়েই নীলারে খুঁজতেছি।
দুই তলার উপরে উঠার সময় দেখি নীলা সিঁড়ি দিয়ে নামতেছে।
- ঐ। পাপ্পি।
- না দিলে হয় না।
- ও হ্যালো। এইটা পাপ্পির বিষয়।
আর তুমিই আমার পাপ্পি চাপাই দিছো। - ঠিকআছে। কাছে আসো।
- হুমমমমমমমম।
- কাছে যেতেই। ঠাসসসসসসসসসসসসস।
- ঐ এইটা কী হলো।
- লুইচ্চা পোলা। যাও ভাগো।
মেজাজটা কেমন লাগে তাইলে।
এতদিন মেলা চুপ করে থাকছি। কিছু করি নাই।
কিন্তু এখনের এইটা পাপ্পির বিষয়।
এবার তো কিছু একটা করতেই হবে।
পাপ্পি চাপাই দিয়া। পাপ্পি না দিয়া থাপড়ানি।
তোমারে তো আমি সেই মজা দেখামু।
হনুমানের বইন নীলা।
আমারে তুমি চেনোনা। আজকে থেকে আবার
আগের কারেক্টারে ঢুইকা যামুু।
বাসাই আসতেছি আর নীলারে মনে মনে
বকতেছি।
সালা দুই নাম্বার মাইয়া। পাপ্পি চাপাই দিয়া
আর পাপ্পি দিলো না।
উল্টা কী করলো। ঠাসসসস করে একটা
থাপড়ানি দিলো।
সব কিছু সহ্য হয়। কিন্তু পাপ্পি নিয়া
দুই নাম্বারি করলে সহ্য হয় না।
আজকে থেকে তো ঐ নীলার পিছনেই
লাইগা থাকমু। যেমনে ঠাস ঠাস করে
তিনটা থাপড়ানি দিছে। ওমনেই উম্মা উম্মা করে
তিনটা পাপ্পি নিমু।
বিকেলে শুয়ে শুয়ে জানালার উপরে পা দিয়ে
৬x৬ রুবিক্স কিউবটা মিলানোর চেষ্টা করতেছি।
কিন্তু এই সালা তো মিলতেছেই না।
রুবিক্স কিউবটা মিলাইতে মিলাইতে সামনের দিকে চোখ পড়তেই দেখি। নীলার মোটা ভাই। রাফিল্লা। রাজ সহ ওদের বাহিনীর সব গুলা ব্যাট বল নিয়ে মাঠে হাজির।
ঐ সালা মোটারে দেখে ওর বইনের হাতের ঠাসসসস করে দেওয়া থাপড়ানি কথা
মনে হলো। এখনো গাল দুইটা চিন চিন করতেছে।
এই তিনটার জন্য নীলার হাতে খাইছি প্রথম থাপড়ানি।
ঐ সালা মোটার জন্য খাইছি দুই নাম্বার
থাপড়ানি।
আর তিন নাম্বার থাপড়ানি টা তো
মেলা সাংঘাতিক। পাপ্পি চাপাই দিয়া
পাপ্পি তো দিলোই না। উল্টা তিন নাম্বার থাপড়ানিটা দিছে।
যাই হোক। এখন আসল কাহিনীটা হইতেছে যে।
নীলা যখন আমারে থাপড়ানি গুলা দিছেই।
আমি তো আর ওরে গিয়ে থাপড়ানি দিতে পারমু না।
তবে হ্যা। থাপড়ানি গুলার বদলে
পাপ্পি দিয়া ঐ সব থাপড়ানির প্রতিশোধ নিমু।
আর হেতি যে আমারে পাপ্পি চাপাই দিয়া
পাপ্পি দেই নাই। সেটার জন্য তো আলাদা
চার্জ নিমু।
এখন এই সব কাল্পনিক চিন্তা বাদ।
সত্যি সত্যি যদি নীলারে পাপ্পি দিতে চাই
তাহলে প্রথমে ওর ভাই মোটারে হাতে
আনতে হবে।
মোটারে হাতে আনার পড়ে। বাঁকি দুইটারে ও
হাতে আনমু।
কারণ, প্রথম থাপড়ানি মূলে ঐ দুইটা ও ছিলো।
তাই ঐ দুইটারে ও কোন কাজে লাগামু।
প্রথমে ফাঁসামু নীলার ভাই নীলরে।
ওরে ফাঁসাই ওর বোন কাছে যামু।
আর ফটাফট পাপ্পি দিয়া চলে আসমু।
কিন্তু এখনে কাহিনী হইতেছে।
মোটারে ফাঁসাতে গেলে প্রথমে ওর
দূর্বল দিক সম্পর্কে জানতে হবে।
আর এখন কেমনে জানমু।
ঐ সালা মোটার দূর্বল দিক কী?
এই প্রথম কাউরে সালা বলতে।
বুকের ভিতরে এতো ভালো লাগতেছে। হি হি হি।
বাহিরে বের হয়ে মাঠের এক সাইটে দাঁড়াই আছি।
যেমনেই হোক ওদের বাহিনী থেকে এমন একটা
মুরগি দরকার।
যে মোটাকে ফাঁসানোর মতো কোন ক্লু দিতে পারবে।
এমন সময় ওদের বাহিনী থেকে একজনকে
মাঠের বাহিরে চলে আসতে দেখি।
বাহ্। মুরগি মনে হয় ওরাই পাঠাইতেছে।
পোলা তিনটার কপাল যদি সত্যি সত্যি
খারাপ হয়।
তাইলে এই মুরগির কাছেই সব
ইনফরমেশন পামু।
- এই যে ভাইয়া শুনো।
- জ্বী ভাইয়া বলেন।
- ওরা মনে হয় তোমারে খেলে নেই নাই
তাই না। - হুমমমমমমমম।
- আচ্ছা। ওরা যে তোমারে খেলতে নিলো না। তোমার রাগ লাগতেছে না।
- হুমমমমমমম।
- তুমি যদি চাও। তাইলে আমিও ওদের
খেলা বন্ধ করে দিতে পারি। - সত্যি।
- আরে হ্যা। তবে আমাকে একটা
ইনফরমেশন দেওয়া লাগবে। - কী ইনফরমেশন।
- ঐ মোটারে চেনো।
- হুমমমম। ওর নাম নীল। আমরা এক
সাথেই পড়ি।
( বাহ্। আসল মুরগীরেই পাইছি)। - আচ্ছা ওরে কী তোমাদের ক্লাসের কোন মেয়ের দিকে তাঁকাই থাকতে দেখছো।
- হুমমমমম। আমাদের ক্লাসে মেঘা নামের
একটা মেয়ে আছে। ওর দিকে ওই সব
সময় তাঁকিয়ে থাকে। ও ছাড়া আরো অনেকেই
মেঘার দিকে তাঁকিয়ে থাকে। - ওহহহহ আচ্ছা। তো ঐ মেঘার বাসা কই
সেইটা জানো। - এই যে সামনের তিন মাথার মোড় আছে না
ঐ খানেই। - আচ্ছা চিনছি। তিন মাথার মোড়ের ঐ খানে যেই তিন তলা বাসা আছে। ঐ মেঘা।
- হুমমমমমমম।
(কী জামানা আইলোরে ভাই। কয়েক বছর আগেই মেঘা পিচ্চি টারে কোলে করে নিয়ে
ঘুরতাম। আর তখন হেই আমার কোলে মুতু করে দিতো। আর আজ হের দিকেই বুলে কত পোলা
তাঁকাই থাকে)।
কী ছিঁড়লাম এই জীবনে।
- আচ্ছাক ভাইয়া। তুমি এখন বাসাই যাও।
কালকে থেকে ওদের খেলা বন্ধ করে দিবো কেমন। - ঠিকআছে।
আমি আগেই জানতাম পোলার মাইয়া কেস থাকবেই।
কারণ, দুনিয়া এখন এতো দূত এগোচ্ছে যে।
এখনের পিচ্চি গুলা ক্লাস থ্রি ফোরেই যেই লেভেলে পৌঁছে গেছে।
এদের লেভেলে পৌঁছাতে আমাদের দশম
শ্রেণীতে উঠতে হইছে।
বিশেষ করে আমার।
আনেক পিচ্চিদের সাথেই আমার উঠা বসা
আছে।
সেই এক্সপিরিয়েন্স থেকেই এতটুকু বুঝছি যে।
এখনের ক্লাস থ্রি ফোরের প্রায় ৭০% পিচ্চির
মেয়ে কেস আছে।
হায় হায় এইটা আবার খারাপ ভাবে
নিয়েন না কিন্তু।
আমি একটু টুকটাক জানি জন্যই বলছি।
তবে এদের কেসটা তেমন খারাপ কিছু না।
এই ধরেন একটু গুলুমুলু টাইপের কেস।
আর হ্যা। আমার কথা বিশ্বাস না হলে।
আপনার আশেপাশের থ্রি ফোরের কোন
পিচ্চিরে ধরে জিগাইতে পারেন।
প্রথমে না ও বলতে পারে।
তবে একটু চাপাবাজি করলেই বুঝতে
পারবেন।
মেঘাদের বাসাই গেলাম।
মেঘার বাবা সম্পর্কে আমার এলাকার বড় ভই।
সেই আগে থেকেই ওর বাবা মাকে ভাইয়া ভাবি
বলে ডাকি।
সেই সুবাদে তাদের সাথে আমার ভালোই সম্পর্ক।
মেঘা যখন ছোট আছিলো কত্ত কোলে করে নিয়ে ঘুরছি।
আর কত্ত যে মুতু করে দিছে। তার কোন হিসেব নাই। হি হি।
কলিং বেলটা চাপলাম।
টুরুং।
দরোজা খুলতেই দেখি ভাবি।
- ভাবি। আসসালামু আলাইকুম।
- ওয়ালাইকুম আসসালাম।
এতদিন কই হাওয়া হয়ে গেছিলা।
কোন খোঁজ খবর নাই।
আমাদের বাসাতে ও আসো না।
কাহিনী কী শুনি।
- আসলো ভাবি কাহিনী তেমন কিছুই না।
একটা মেয়ে তিনটা থাপড়ানি দিছে।
সেটার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই ঘুরতেছি।
- বাহ্ ভালো তো। ঐ মেয়েকে তো একদিন
বাসাই দাওয়ার করে এনে খাওয়ানো দরকার। - কেনো।
- এই প্রথম তোমার মতো একটা বাঁদরকে
কোন মেয়ে থাপড়ানি দিয়ে। আমার মনের
আসাটা পূরণ করে দিছে।
তো তাকে খাওয়াতে হবে না।
- তারমনে মানে মনে মনে আপনি ও আমারে থাপড়ানি দিতে চান।
- হুমমমমম।
- কিন্তু কেনো।
- কেনো আবার। তোমার মনে নাই।
তোমার ঐ পাপ্পি চাপার রোগটা জন্য।
বিয়ের আগে আমাকে একদিন পাপ্পি
দিতে আসছিলা।
নেহাত তখন একটু পিচ্ছি ছিলা।
তা না হলে যে কত গুলা থাপড়ানি দিতাম।
গুনে শেষ করতে পারতা না।
- ওরে খোদা এখনো সেই কথা
মনে রাখছেন। - যেমন অদ্ভুত এক একটা ঘটনা ঘটাও
সেই গুলো কী ভুলার মতো।
তোমার জন্য এখনো আমি। আমার
কাজিন গুলার সামনে যাইতে লজ্জা পাই। - আচ্ছা ঠিকআছে। সরি। এবার বলেন
আমার প্রিন্সেস টা কই। - ঐ যে রুমের মধ্যে রাগ করে বসে আছে।
- কোনো।
- ওকে নাকি কেউ ভালবাসে না। কেউ ঘুরতে
নিয়ে যায় না তাই। - ওহহহহ আচ্ছা।
রুমের মধ্যে গিয়ে দেখি মেঘা গালে হাত দিয়ে
খাটের উপর বসে আছে।
দেখে বুঝার উপাই নেই যে এই পিচ্চিটা
ক্লাস থ্রিতে পড়ে।
- এই যে ম্যাডাম। ঘুরতে যাবেন।
- নাহ্।
- ও মা কেনো।
- স্বারথী। তুমি অনেক খারাপ।
- কেনো। আমি আবার কী করছি।
- একদিন দুই দিন ঘুরতে নিয়ে যাও।
পড়ে আর এক দুই মাসে ও আসো না। - আচ্ছা সরি। আজকে থেকে প্রতিদিন
ঘুরতে নিয়ে যাবো ঠিকআছে।
এবার চলো।
- হুমমমম। কিন্তু আগে প্রমিস করো যে প্রতিদিন ঘুরতে নিয়ে যাবা।
- আচ্ছা বাবা প্রমিস। এবার চলো।
(এই বয়সেই এমন পাকনা। আরো তো দিন পড়েই আছে। তখন যে কী হবে একমাত্র
আল্লাহ জানে)।
- মা আমি স্বারথীর সাথে ঘুরতে গেলাম।
- এমন ভাবে নাম ধরে ডাকতেছে।
মনে হয় আমি আর ও একই সাথে পড়ি। - মেঘা। তুমি কিন্তু দিন দিন অনেক বেয়াদব
হয়ে যাচ্ছো।
স্বারথী তোমার চাচ্চু হয় বুঝলা।
এমনিতেই তো তুমি করে বলো।
তার উপরে আবার নাম ধরে ডাকতেছো।
আর একদিন যদি স্বারথী বলে নাম ধরে
ডাকতে শুনি। সেদিন কিন্তু মাইর দিবো।
- আমার স্বারথী কে স্বারথী বলে ডাকতেই
ভালো লাগে।
আমি স্বারথীকে চাচ্চু বলে ডাকতে পারবো না।
- মেঘা। এবার কিন্তু সত্যি সত্যি মাইর খাবা।
- ওরে ভাবি থামেন না একটু। আপনি কী
সরল সিদে ছিলে তাই আপনার মেয়ে
সরল সিদে হবে।
আপনি যেই হারে পাকনা ছিলেন। আপনার মেয়ে ও তো সেই হারেই পাকনা হবে নাকি।
- তুমি যেই হারে বাঁদর।
তোমাকে স্বারথী বলে ডাকাই উচিত। - হুমমমমমমম। আমারে সবাই নাম ধরে
ডাকলে আমার ভালোই লাগে।
এবার গেলাম।
- এমনিই ওরে নিয়ে পারি না।
তার উপর আবার তোমার মতো একটা
বাঁদরের সাথে মিল। কী যে হবে আল্লাহ্
জানে। - স্বারথী। তুমি কী যাবা।
- হুমমমম। চলো।
মেঘার হাত ধরে হেঁটে হেঁটে। খেলার মাঠের
ঐ দিকে গেলাম।
মেঘাকে আমার সাথে দেখে। নীলার
ভাই মোটা সহ সব গুলা আমার দিকে
তাঁকাই আছে।
- মেঘা আসো সেলফি তুলি।
- আচ্ছা।
- ওদের সবাইরে দেখিয়ে দেখিয়ে
সেলফি তুলতেছি। - মেঘা। তুমি আমাকে একটা পাপ্পি দাও।
আমি সেলফি তুলতেছি। - ঠিকআছে।
আমাকে পাপ্পি দেওয়া দেখে তো।
নীলার ভাই মোটা ভিতরে ভিতরে সেই
জ্বলতেছে।
সেটা ওরে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
- মেঘা। ক্রিকেট খেলবা।
- হুমমমমমমম।
- আচ্ছা চলো।
- ঐ নীল। ব্যাটটা দে তো।
- বলার সাথে সাথে ব্যাটটা দিয়ে দিলো।
- মেঘা। তুমি বল করো আমি ব্যাট করতেছি।
আর তোরা সবাই বল কুড়িয়ে এনে মেঘারে
দিবি। - হুমমমমমমমম।
প্রথম বলেই এতো জোরে মারছি।
বলটা মাঠ থেকে উধাও।
- মেঘা চলো। ওরা এতো তাড়াতাড়ি
বলটা পাবে না।
আমরা বরং অন্য জায়গায় যাই। - ঠিকআছে।
ঐ তোরা বলটা খুঁজে নিয়ে আসিস।
কালকে আবার খেলতে আসমু।
এরপর মেঘাকে নিয়ে ওখান থেকে
চলে আসি।
পরের দিন সকালে উঠে বাহিরে ব্রাশ
করতেছি।
এমন সময় দেখি। নীলার ভাই স্কুলে যাচ্ছে।
- ঐ নীল শোন।
- হুমমমমম।
- কালকে মেঘার সাথে কত গুলা সেলফি
তুলছি দেখ।
(ও সেলফি গুলা দেখতেছে আর। কেমন জানি
করতেছে। মনে মনে বলতেছি। তোরে তো
আমি এমনেই জ্বালাইতে চাই)। - আমার কাছে মেঘার অনেক গুলা
ফটো আছে। নিবি। - মাথা নাড়িয়ে। হ্যা জবাব দিলো।
- কিন্তু ভাই। আমি তো তোরে মেঘার ফটো
দিমু না। - স্বারথী ভাই প্লিজ। দেন না।
- না না। তোরে তো দিমু নারে ভাই।
ভাবতেছি রাজ আর রাফি মধ্যে কাউরে দিমু।
- স্বারথী ভাই প্লিজ ওদের মধ্যে কাউরে
দিয়েন না। - ঠিকআছে দিমু না। তবে আমি যা বলমু আমার সব কথা তোর শুনতে হবে।
- আপনি যা বলবেন সব কথা শুনবো।
- এই তো গুড বয়।
। - বিকেলবেলা আমার জানালাই এসে ডাক দিস।
তখন তোরে মেঘার ছবি দিমুনি। - স্বারথী ভাই আপনি না সত্যি জোস।
- হুমমমমম। এবার স্কুলে যা। আর বিকেলে এসে
জানালাই ডাক দিস। - আচ্ছা।
পর্ব _৩
- বিকেলে নীলার ভাই জানালাই এসে
স্বারথী ভাইয়া। স্বারথী ভাইয়া বলে
গীত শুরু করে দিছে।
(হালার পোলার এই বয়সেই মাইয়া মানুষের কী টান। মেঘার ফটো নেওয়ার জন্য। লাফাইতে
লাফাইতে চলে আসছে)।
জানালার কাছে গেলাম।
- বাহ্। চলে আসছিস।
- হুমমমমমমম।
- ভিতরে আয়।
- না না ভাইয়া আমি ভিতরে যাবো না।
- কোনো।
- ভিতরে গেলে আবার আপনি প্যান্ট খুলে
নিবেন। - ঠিকআছে। তোর ভিতরে আসা লাগবে না।
তুই বাইরেই দাঁড়াই থাক।
তোর সামনে দিয়ে রুমে এসে যখন রাফি আর
রাজ মেঘার ফটো নিয়ে যাবে। তখন তুই
দাঁড়াই দাঁড়াই হা করে দেখিস।
আমি ভাই তাইলে এখন ঘুমাই।
রাজ আর রাফি আসলে উঠমুনি।
- ভাইয়া। ভাইয়া। ভাইয়া। আমি রুমে
আসতেছি। - হয়। আয়।
ভাবতেছি এরে দিয়ে একটু হাত। পা টিপাই নিমু।
কিন্তু হঠাৎ আর এক মনে বলতেছে।
নাহ্ থাক। এরে কাজে লাগাই তো নীলারে
পাপ্পি দিমুই।
একজনরে দিয়ে এতো কিছু করাইলে পাপ হইবো
ঐ দুইটারে দিয়ে হাত পা টিপাই নিমুনি।
- স্বারথী ভাইয়া প্যান্ট খুলে নিয়েন না। প্লিজ।
- আরে না। প্যান্ট খুলে নিমু না। কাছে আয়।
- সত্যি।
- আমারে দেখে কী তোর মিথ্যা বাদি মনে হয়।
- না তো।
- গুড।
- আচ্ছা ছবি কখন দিবেন।
- প্রথমে আমারে দুইটা তথ্য দে তারপরে ছবি দিমু।
- কী তথ্য।
- রাজ আর রাফির সম্পর্কে গোপন দুইটা
কথা ‘ক’ যেইটা শুনলেই ওদের বাপ। মা রেগে যাবে। - আমি তো ওদের সম্পর্কে তেমন কিছুই
জানি না। - ঠিকআছে ভাই। তোর বলা লাগবে না। তুই যা।
আর খবরদার আমার কাছে কোন ফটো চাইবি না। - স্বারথী ভাইয়া। আমি সত্যি ওদের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না।
- আচ্ছা ভাই তোর কিছুই জানা লাগবো না।
তুই এখন যা। আমি ঘুমামু। - স্বারথী। ভাইয়া।
- দেখতেছস না ঘুমাইতেছি।
- ওদের দুই জনের সম্পর্কে আমি একটা জিনিস
জানি। - কী জানস।
- রাফি আর রাজ একদিন মিনার স্যারের রুমে ঢুকে মারামারি করার সময়। টেবিলের উপর থেকে কম্পিউটারের মনিটর ফেলে দিছিলো।
আর এটা শুধু আমরা তিনজন জানি। - বাহ্। মনের মতো একটা তথ্য দিছস। এবার
তুই যা। তোর তথ্যটা কাজে লাগলে।
কালকে বিকেলে ছবি পাবি। - স্বারথী ভাইয়া। আজকেই দেন না।
- বেশি কথা কইলে কিন্তু কালকে ও দিমু না।
- ঠিকআছে। আচ্ছা কালকে দিবেন তো।
- হুমমমম দিমুনি এখন যা। আর হ্যা রাফি আর
রাজের মারামারির কথা যে আমারে বলছস
এটা যেন ওদের বলিস না। তাইলে কিন্তু
জীবনে ছবি দিমু না। - ঠিকআছে। বলবো না।
- আচ্ছা এবার যা।
পরেরদিন সকালে রাফি আর রাজরে
ধরার জন্য বাহিরে গিয়ে ব্রাশ করতেছি।
একটু পরেই দেখি রাফি আর রাজ লাফাইতে লাফাইতে স্কুলের দিকে যাচ্ছে যাচ্ছে।
(তোদের লাফানো আমি বের করতেছি দাঁড়া।
তোরা দুইটা মারামারি করার সময় ফালাই
দিয়া মনিটর নষ্ট করছোস।
আর ঐ সালা মিনার মাস্টার। সেই মনিটর
আমার কাছে আইনা। সারারাত ধরে বসে
থাইকা মনিটর টা ঠিক করে নিয়ে গেছে।
আর একটা টাকা ও দেই না।
এখন তো আমি তোদের দিয়া হাত পা
টিপাই নিয়া। সব কিছুর শোধ দিমু)।
ব্রাশ করতে করতে দুইটার সামনে গিয়ে
দাঁড়ালাম।
- বাহ্। তোরা দুইটা তো মেলা সুন্দর মারামারি পারস।
- স্বারথী ভাইয়া। আমরা দুইজন মারামারি
করি না। - হয়। মুই তে সেটা জানি।
আচ্ছা তোর দুইটা যখন মারামারি করস না।
তাইলে কী তোদোর মিনার স্যারের রুমে ঢুকে
ঈদের কোলাকোলি করার সময় মনিটর টা
ফ্যালাই দিছস।
আর সিসি ক্যামেরাই যা ধরা পড়ছে।
সেইটা কী ভুয়া। নাকি আমি ভুল দেখছি ‘ক’ তো।
- মিনার স্যারের রুমে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে।
- না না। সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকবে ক্যান।
আমি তো তোদের কোলাকোলি স্বপ্নে দেখছি।
আর সেইটার ভিডিও বানাইছি।
দেখবি তোরা।
- স্বারথী ভাইয়া ভয় দেখায়েন না। প্লিজ।
আমাদের মারামারি করার ভিডিওটা কী স্যার
দেখছে।
- মারামারি করে তো মনিটরটাই নষ্ট করে
ফেলছস। নেহাত আমার কাছে ঠিক করার
জন্য আনছিলো।
আর আমি ভিডিওতে তোদের দেখে।
এক কপি আমার পেন ড্রাইভে নিয়ে।
তোদের স্যারের কম্পিউটার থেকে
ডিলিট করে দিছি। যাদে তোদের সমস্যা না হয়।
আর তোদের আমি অনেক
ভালবাসি বইলাই। এখনো কাউরে ভিডিওটা
দেখাইনি।
- সত্যি।
- হুমমমমমমম।
তবে মনে হয় না আমার এই ভালোবাসা তোদের প্রতি বেশিদিন থাকবে।
- স্বারথী ভাইয়া। ভিডিওটা কাউরে
দেখায়েন না প্লিজ। আব্বু জানতে পারলে সেই মারবে। আর স্যার ও মারবে। - ঠিকআছে। কাউরেই দেখামু না। তবে একটা শর্ত আছে।
- কী শর্ত।
- দুপুরে আমার রুমে আসিস। তখন বলমু নি।
এখন স্কুলে যা। - ঠিকআছে।
(তিনটারেই হাতের মুঠোই নিয়া নিছি। এখন
খালি নীলারে পাপ্পি দেওয়া বাঁকি।
ওরে পাপ্পি দেওয়ার পরেই একটু
শান্তি শান্তি লাগবো বুকের ভিতরে।
আমারে পাপ্পি চাপাই দিয়ে থাপড়ানি দিছে।
এই প্রতিশোধ না নিলে আমার অঙ্গ পতঙ্গ আমারে কোনদিন মাফ করবো না।
হাজার হলে ও পাপ্পির প্রতিশোধ বলে কথা।
কলেজে গিয়ে আবার সেই আগের মতো কুত্তা
গুলার সাথে বাঁদরামি করতেছি।
যতক্ষণ নীলা আছিলো না। ততক্ষণ সব সালা
আমার সাথেই ছিলো। নীলা আসা মাত্রই
নীলার কাছে চলে গেলো।
নীলা হইতেছে চুম্বক আর এই সালারা
হইতেছে লোহা।
চুম্বকের আকর্ষণ পেয়েই সব গুলা
সেই দিকে ছুঁটে গেলো।
আর আমি হইতেছি কাঠ। কেউ আকর্ষণ ও করে না কারো দিকে ছুঁটে ও যাই না।
সবাইকে নীলার দিকে ছুঁটে যাওয়া দেখে।
রেগেমেগে ফোনটা বের করে। দেওয়ালে
হেলান দিয়ে গেমস্ খেলতেছি।
এর মধ্যে কখন যে নীলা সামনে এসে
দাঁড়াইছে খেয়ালি করিনি।
- কী?
- কী। কী?
- দাঁড়াই আছো ক্যান।
- আমার ইচ্ছা তাই দাঁড়াই আছি।
- ঠিকআছে। দাঁড়াই থাকো।
- হুমমমমমমম।
আবার আমার মতো গেমস্ খেলতেছি।
- ঐ তুমি রুবিক্স কিউব মিলাতে পারো।
- না তো। রুবিক্স কিউব কী?
- কেমন ভ্রু কুচকে বললো।
স্বারথী। সোজা কথার সোজা উত্তর দাও
বলছি। - কেনো। সোজা উত্তর দিমু ক্যান। আমি কী
কারোর থাপড়ানি তে ভয় করি নাকি। - ও আচ্ছা ভয় করো না।
- জীবনে ও না।
- ঠাসসসস।
- ঐ মারলা ক্যান।
- তুমি নাকি কারোর থাপড়ানিতে ভয় করো না
তাই।
(মনে মনে বলতেছি। মারো মারো যখন পাপ্পি
দিতে লাগমু। এই সব থাপড়ানির প্রতিশোধ
গুনে গুনে নিমু)।
- ফিস ফিস করে কী বললে বলো তো।
- আমি আবার কী বলছি।
- আচ্ছা আমাকে এখন রুবিক্স কিউব মিলানো
শিখাইবা আসো। - ও হ্যালো। এইটা কোন সাধারণ গেমস্ না যে
একবার শিখাই দিলেই পারবা। - আমি তোমার মতো এতো গাধা না যে।
সারা বছর লাগবে শিখছে। - আসছে। বুদ্ধিমতী।
- তুমি শিখাই দিবা। নাকি আবার
থাপড়ানি খাবা। - আচ্ছা তুমি হওয়ার পড়েই কী তোমার
বাপ মা তোমারে থাপড়ানি দিছিলো।
কথায় কথায় খালি থাপড়ানি দিতে চাও। - ‘হ’ দিছিলো। এবার ঐখানে গিয়ে শিখাবা
চলো। - কোন খানে।
- যেখানে সবাই বসে আছে ঐ খানে।
- আমি তো ঐ খানে যামু না।
- স্বারথী। এবার কিন্তু একবারে দুইটা
থাপড়ানি খাবা। - মারো মারো। যেই হারে থাপড়ানি দিবা।
সেই হারে পাপ্পি পাবা। - কী বললা।
- কই কিছু না তো।
- কিছু না বললেই হলো। পাপ্পি টাইপের কিছু
একটা বললে। - এবার কিন্তু আমি চলে যামু।
- আমারে না শিখাই দিয়া কই যাবা হুমমম।
আর হ্যা। আমার সামনে যদি কখনো
পাপ্পি পাপ্পি করতে শুনি। এমন থাপড়ান থাপড়ামু দুই দিন হা করতে পারবা না।
- আচ্ছা নীলা। তোমাদের ফ্যামিলিতে কী কেউ
ডাকাত আছিলো। - কেনো।
- কেনো আবার। তোমারে তো ডাকাতের মতোই লাগে।
- স্বারথী। আমাকে রাগাবা না বলে দিলাম।
এখন যাবা নাকি। থাপড়ামু। - না যেয়ে আর কী করমু। তোমার বাপে তো
আমার গাল দুইটা থাপড়ানোর জন্য তোমারে
কিন্না দিছে। - হুমমমমম। দিছেই তো।
- কোন কিছু বলেই শান্তি নাই।
(এই মেয়েরে যখন কাছে পামু না।
খালি পাপ্পি আর পাপ্পি দিমু।
উঠতে পাপ্পি। বসতে পাপ্পি। খেতে পাপ্পি।
ঘুমাইতে পাপ্পি। স্বপ্নের মধ্যে ও পাপ্পি দিমু)।
- কীরে নীলা। এরে কই পাইলি।
- যেখানেই পাই তোরে কেনো বলমু।
স্বারথী আমাকে এখন রুবিক্স কিউব
মিলানো শিখাবে। - ও আচ্ছা।
- হুমমমমম। তোর কেউ এখন ডিস্টার্ব করবি না। বলে দিলাম।
- ঠিকআছে শেখ।
(মানুষ জলজ্যান্ত রুবিক্স কিউব নিয়ে ও
শিখতে পারে না। আর এই বুলে ফোনে শিখবে।
পাগলামির একটা লিমিট আছে)।
- সাহরিয়া। নাও এখন শিখাও।
আর হ্যা এক ঘন্টার মধ্যে যদি শিখাতে না
পারো। তাহলে দশটা থাপড়ানি খাবা।
এমন করে একঘন্টাই যতদিনে না শেখাতে
পারছো। ততদিন অব্দি দশটা করে থাপড়ানি
খেতেই থাকবা। - ঐ। আমি কী যাদু জানি যে একঘন্টাই
শিখাই দিমু। - যাদু জানো আর না জানো সেটা তো আমি
শুনতে চাই নাই। একঘন্টাই শিখাই দিবা ব্যাস।
না শিখাতে পাড়লে তো থাপড়ানি আছেই।
কথাটা মাথাই রাখবা। - আহারে বেচারা। ওর তো তাহলে সারাটা জীবন থাপড়ানির উপরেই কেঁটে যাবে (মিম)।
( মিমের কথা শুনে। সবাই তো খিক খিক করে
হেঁসে উঠলো)। - আচ্ছা নীলা শোনো। ফোনের মধ্যে এক ঘন্টাই ক্যান। এক টানা দশ দিন বুঝাইলে ও বুঝতে
পারবা না।
তার থেকে বরং কালকে আমি একটা রুবিক্স
কিউব নিয়ে আসবোনি। ওটাতে তাড়াতাড়ি
শিখতে পারবা। - আমি তো তাড়াতাড়ি শিখবো না।
আর আমাকে ফোনেই শিখাতে হবে। - ওরে খোদা ফোনে শিখতে পারবা না।
- না পারলেই তো ভালো। তোমাকে
ইচ্ছে মতো প্রতিদিন থাপড়ানি দেওয়া হবে। - দূর।
- এবার শেখাও।
এক ঘন্টা হয়ে গেলো। কোন কিছুই
বুঝাইতে পারি নাই।
- বাবু। চোখ দুইটা বন্ধ করে। গাল দুইটা
আগাই দাও। - হুমমমমম। মারো।
তোমার বাপের কিনে দেওয়া গাল। - ঠাসসস। ঠাসসস। ঠাসসসসস।
- থাপড়ানি দিতেছে। কিন্তু তেমন লাগতেছে না।
কী সুন্দর নরম হাত। হি হি হি।
তবে মান সম্মানের ছিঁটে ফোঁটা ও রইলো না।
যাই হোক। দশটা থাপড়ানি খেয়ে বাসাই আসলাম।
শুয়ে আছি।
দুপুরেই রাজ আর রাফি হাজির।
- স্বারথী ভাইয়া। ভিডিও টা তো কাউরে
দেখান নাই। - আরে না।
- এবার বলেন কী শর্ত।
- মনেই আছে তোদের। আমারি তো
মনে নাই।
শর্ত হচ্ছে। আমি যেদিন বলমু আমার
হাত। পা টিপে দিতে হবে।
দুই নাম্বারি করবি তো ভিডিওটা সবাইরে দেখামু।
এবার আয় টিপতে শুরু কর।
আমি ঘুমাই গেলে। দরোজাটা লাগাই দিয়া
চলে যাস।
- ঠিকআছে।
- হুমমমম। এবার টিপা শুরু করে দে।
কখন ঘুমাই গেছি মনে নাই।
এর মধ্যেই আবার স্বারথী ভাইয়া।
স্বারথী ভাইয়া বলে ডাক।
চোখ দুইটা খুলে দেখি। নীলার ভাই নীল।
আমি ঘুমাই গেছি দেখে ঐ দুইটা মনে হয়
চলে গেছে।
- নীল। তুই।
- ভাইয়া আজকে মেঘার ছবি দিতে
চাইছেন। - মনেই আছে তোর।
- হুমমমমমম।
- ঠিকআছে। ছবি দিমু তবে একটা শর্ত।
- কী শর্ত।
- নীলা কী রুমে একাই থাকে।
- হুমমমমমম।
- কোন রুমে থাকে।
- আমার রুমের পাশের রুমেই।
- আরে সালা তোর রুমটাই তো আমি চিনি না।
কেমনে বুঝমু কোন পাশে। - আমার রুমের দরোজাই আমার নাম
লেখা আছে।
আর আপুর দরোজাই আপুর নাম লেখা আছে।
- ওহহহহহ। তো তোর আপু দরোজা খুলে
ঘুমাই নাকি বন্ধ করে। - বেশির ভাগ সময় খুলেই ঘুমাই।
- আচ্ছা ঠিকআছে। ফোন আনছিস।
- আমার তো ফোন নেই।
- তাইলে ছবি কেমনে দিমু।
কালকে ফোন নিয়ে আসিস। ফোনে পার
করে দিমুনি। - কিন্তু আমার তো ফোন নেই।
- মহা ঝামেলার মধ্যে ফ্যালাই দিলি তো।
আচ্ছা কালকে আসিস। আমি ছবি প্রিন্ট
করে আনবোনি। - ঠিকআছে।
রাত্রে খেয়ে দেয়ে শুয়ে আছি আর মনে মনে
ভাবছি। আজকেই নীলার রুমে গিয়ে। ফটাফট
পাপ্পি দিয়ে চলে আসমু।
কিন্তু ভয় লাগতেছে তো।
নিজেই নিজেরে সাহস দিতেছি।
স্বারথী এটা কোন হালতু ফালতু বিষয় না।
এটা হচ্ছে পাপ্পি বিষয়।
ফটাফট উঠে পর। আর পাপ্পি দেওয়ার
উদ্দেশ্যে চলে যা বাপ।
লাফ দিয়ে উঠে। নীলাকে পাপ্পি দেওয়ার
উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
আজকে তো সব গুলা থাপড়ানির বদলে
পাপ্পি দিয়েই বাসাই আসমু।
কপালে যদি জেলে যাওয়া থাকে। তবু ও রাজি।
হাজার হলে ও পাপ্পির বিয়ষ।
। নীলাদের বাসার সামনে গিয়ে ঘুরঘুর
করতেছি। সুযোগ পেলেই ভিতরে ঢুকে যামু
এই প্রথম। চোরের মতো রাইত্রে কারোর
বাসাই ঢুকার জন্য আসছি।
ভয়ে তো হাত। পা সহ অলবডি কাঁপতেছে।
যদি একবার ধরা খাই। চোর ভেবে কী
মাইরটাই না দিবে।
এক মনে বলতেছে। মাইর খাইতে না চাইলে।
এই বাসার ভিতর না ঢুকে। নিজের বাসার দিকে
চলে যা। ওটাই তোর জন্য মঙ্গল।
আর মাইর খাইতে চাইলে এই বাসাই ঢুকে যা।
আমি তোরে আটকামু না।
এমন সময় আর এক মনে লাফ দিয়ে উঠে বলতেছে।
আরে পাগলা সব কিছু পজিটিভ ভাবে ভাব।
মনে কর একবার যদি ভিতরে গিয়ে নীলার
রুমে ঢুকতে পারিস।
তখন তো শুধু পাপ্পি আর পাপ্পি।
এখন যা ভালো মনে করিস।
আমি তোরে আটকামু না।
পাপ্পির কথা মনে হইতেই। কই থেকে
সুপারম্যানের মতো সাহস ভিতরে চলে আসলো।
আর সাথে সাথেই দেওয়াল টপকে সোজা
ভিতরে।
নীলের কথা অনুযায়ী। আস্তে আস্তে চোরের
মতো করে গিয়ে প্রত্যেক দরোজাই
নীলার নাম খুঁজতেছি।
এই তো নাম পেয়ে গেছি।
দরোজাই হালকা ঠেলা দিতেই।
কোচ কোচ করতে করতে দরোজাটা খুুলে গেলো।
ভিতরে সবুজ একটা জিরো বাল্ব জ্বালানো
আছে।
ওটার আলোতে সব কিছু মোটামুটি ভালোই
দেখা যাচ্ছে।
পা টিপে টিপে নীলার কাছে গেলাম।
নীলার মুখের দিকে একটু তাঁকাই থাকতেই শরীফ উদ্দিনের বিখ্যাত একটা গান মনে
হলো।
(আল্লাহ্ নিজের হাতে যত্ন করে বানাইছে তোমায়)।
ঘুমের মধ্যে নাকি মেয়েদের মায়াবী লাগে।
কিন্তু এরে দেখে তো মনে হচ্ছে। ঘুমের মধ্যে ও
কারোর সাথে ঝগড়া করতেছে।
তবে মোটামুটি মায়াবী আছে। হি হি।
বেশি টাইম নষ্ট করা যাবে না।
ফটাফট পাপ্পি দিয়ে কেঁটে পড়ি।
কিন্তু শুরুটা করমু কই থেকে।
দুই মিনিট ধরে ভাবতেছি। পাপ্পি কী
ঠোঁটে দিমু না গালে দিমু নাকি কপালে।
একটু ভেবে ডিসিশন নিলাম।
আমি ভাই এতোটা ও খারাপ না যে
ঘুমন্ত একটা মেয়ের ঠোঁটে বা গালে পাপ্পি দিমু।
নেহাত পাপ্পি চাপাই দিয়া থাপড়ানি দিছে তাই।
তা না হলে এমন অবস্থায় জীবনেও পাপ্পি দিতাম না।
ফটাফট ছয়টা পাপ্পি দিয়ে যেই না সাত নাম্বার
পাপ্পিটা দিতে যামু। এমন সময় নীলার ঘুম
ভেঙে গেছে।
- স্বারথী। তুমি (নীলা)।
- এবার তো আমি শেষ।
নীলার রুম থেকে সোজা দৌঁড়।
এক দৌঁড়ে নীলাদের বাসার বাহিরে।
ওহহহহহহ। কী বাঁচাটাই না বাঁচছি।
কিন্তু এখন তো আর ভুলে ও নীলার
সামনে যাওয়া যাবে না। সামনে পড়লেই তো
থাপড়ানি দিবো।
কী করমু এবার।
বুদ্ধি একটা পাইছি। নানির বাড়ি থেকে ঘুরে আসি কয়দিনের জন্য।
এর মধ্যে এই দিকে ও সব ঠিক হয়ে যাবে।
সাত দিন পরে।
চোরে মতো লুকাই লুকাই ভার্সিটিতে ঢুকতেছি।
যাতে নীলার চোখে না পড়ি।
আল্ হামদুলিল্লাহ্। প্রথম দিন ভালো মতোই
কাঁটছে। আবার কাউকে দেখে তেমন কিছু
মনে ও হলো না।
সব কিছুই স্বাভাবিক।
নীলা মনে হয় কাউকেই কিছু বলে নাই।
দ্বিতীয় দিন একটু সাহস নিয়ে ভার্সিটিতে গেলাম।
একদম পিছনে ব্রেঞ্চে বসে আছি।
আর নীলা সামনের সীটে বসে আছে।
আমার সাথে এখনো দেখা হয় নাই।
ক্লাস শেষ করে বাহিরে দাঁড়াই আছি আর
দেওয়ালের আঁড়াল থেকে নীলারে দেখতেছি।
আগের মতোই সব গুলা নীলার কাছে গিয়ে ঠিকি লেগে আছে। আর ও সবার সাথে
দাঁত কেঁলিয়ে কেঁলিয়ে সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছে।
সব কিছু তো স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে।
তবু বেশি রিক্স নিয়ে লাভ নাই।
আঁড়াল থেকে দেখাই ভালো।
একটু এদিক হয়ে ওদিক তাঁকাইতেই দেখি
নীলা আর ওদের ভিতরে নেই।
ও মা। এই মেয়ে আবার ভূতের মতো কই
উধাও হয়ে গেলো।
দেওয়ালের আঁড়াল থেকেই উঁকি ঝুঁকি
মারতেছি।
- কারে খুঁজতেছো বাবু।
- কথাটা শুনেই তো ধরফর করে পিছনে
ঘুরলাম।
দেখি নীলা। নীলারে দেখেই তো বুকের ভিতরের ধকধকানি আরো বেড়ে গেলো।
চুপ করে দাঁড়াই আছি। - দেওয়ালের এপার থেকে উঁকি ঝুঁকি মেরে
কারে দেখতেছিলে বলো তো। - হি হি। কই কাওরে নাতো।
- ও আচ্ছা। না দেখলেই ভালো।
- নীলা।
- কী?
- আমার না বাড়িতে অনেক গুলা কাজ আছে আমি এখন যাই। হ্যা।
- বাড়িতে তো যাবাই। তার আগে তোমার সাথে
আমার কিছু হিসেব বাঁকি আছে। ঐ গুলো মিটিয়েই চলে যাও। কেমন। - কীসের হিসেব।
- কাছে আসো।
- হুমমমমম।
- ঠাসসস। ঠাসসসস (দুই গালে দুইটা)।
- আউউউওওওওওও।
- সেদিন রাত্রে আমার রুমে কেনো গেছিলা।
- দুই গালে হাত দিয়ে। চুপচাপ দাঁড়াই আছি।
- ঐ। তারাতারি বলবা নাকি আরো থাপড়ানি খাওয়ার পড়ে বলবা।
(মনে মনে বলতেছি। যেই কাম করতে গেছিলাম ঐটা যদি বলি। জুতা দিয়ে পিটানি দিবে।
সেদিন রাত্রে যে ছয়টা পাপ্পি দিছি ঐটা
মনে হয় বুঝতে পারে নাই। যদি বুঝতে পারতো
তাইলে তো আরো থাপড়াই তো।
এখন আউল ফাউল কিছু একটা বলি।
যদি কাজে লাগে)।
- এমন চুপ করে থাকলে কিন্তুু। এই যে থাপড়ানি
দিতে শুরু করলাম। - আরে সেদিন তোমার রুমে গেছিলাম। তোমার নোট গুলা চুরি করতে।
- ও আচ্ছা। তো নোট কী আমার
মুখের উপরে ছিলো। - না তো।
- তাহলে আমার মুখের কাছে কী করতে
ছিলে। - আমি দেখতেছিলাম যে তুমি জেগে আছো
নাকি ঘুমাই গেছো।
এই জন্য তোমার মুখের কাছে গেছিলাম। - তোমার কপাল ভালো যে সেদিন কেউ
কিছু বুঝতে পারে নাই। - হুমমম। আর তুমি ও কিছু বোঝ নাই।
- আমিও কিছু বুঝি নাই মানে।
- না মানে তুমিও তো বোঝ নাই যে আমি
নোট চুরি করতে গেছিলাম। হি হি হি। - তবে এই আট দিন উধাও থাকার কারণে।
তোমার কপাল মেলা খারাপ। - কেনো।
- আমাকে রুবিক্স কিউব শিখানোর কথা মনে আছিলো না।
এই আট দিনের আশিটা থাপড়ানি আগে খাবা
তারপরে আজকে আবার শিখাইতে লাগবা।
আজকে ও যদি একঘন্টার মধ্যে শিখাতে
না পারো। আবার দশটা থাপড়ানি খাবা
তারপরে বাসাই যাবা।
- ও হ্যালো। আশিটা থাপড়ানি খাওয়ার পড়ে। তোমারে রুবিক্স কিউব শিখানোর জন্য কী আমি এই দুনিয়াতেই থাকমু ভাবছো।
- দুনিয়াতে থাকবা না তো কই যাবা।
- আশিটা থাপড়ানি খাওয়ার সাথে সাথেই তো
দ্যা ইন্ড হয়ে উপরে চলে যামু। - উপরে চলে গেলে যাবা। তবু তো আমি আশিটাই থাপড়ানি দিমু। এই আট দিন ছিলা না ক্যান।
- কী মেয়ে তুমি। কোন দয়া মায়া নাই।
- হুমমমমমমম।
- তবে এখন তো তুমি আমারে পাবা না।
বলেই নীলার কাছে থেকে দৌঁড়। - স্বারথী। রুবিক্স কিউব শিখিয়ে যাও বলতেছি।
- রুবিক্স কিউব শিখতে চাইলে। বিকেল চারটার সময় তোমাদের বাসার নিচে থাইকো।
আমি রুবিক্স কিউব নিয়ে যাবোনি।
এখন বাই।
বিকেল চারটার সময় নীলাদের বাসার নিচে
গিয়ে দাঁড়াই আছি।
এমন সময় কই থেকে নীলার ভাই আসলো।
- স্বারথী ভাইয়া আপনি এতদিন কই ছিলেন।
- কেনো।
- প্রতিদিন আমি আপনার জানালাই গিয়ে
ঘুরে আসছি। - বাহ্ বাহ্। ভালো করছিস।
- আচ্ছা। মেঘার ছবি কবে দিবেন।
- দিমু না ছবি। কী করবি।
- আপনি আমার কাছে থেকে যা যা শুনছেন।
সব কিছু রাফি। রাজ। আর আপুকে
বলে দিবো। - ঠিকআছে। বইলা দে। আমি ও সবাইরে বলে দিমু। তুই আমার কাছে মেঘার ছবি চাইছোস।
আর মেঘারে ও। - এই জন্যই ওরা সবাই বলে আপনি অনেক
খারাপ। - হুমমমমম। এবার উপরে যা। গিয়ে তোর
বইনরে তারাতারি নিচে পাঠাই দে।
নীল উপরে যেতেই নীলা নিচে চলে আসলো।
- নীলা। এই যে ধরো ক্যাচ।
- হুমমমমমম।
- এবার রুবিক্স কিউবটা উথাল পাথাল
ঘুরাইতে থাকো। হাতটা একটু ইজি হইলেই।
মিলানো শিখাচ্ছি। - ঠিকআছে।
- আচ্ছা এখানে দাঁড়াই দাঁড়াই শিখবা। নাকি।
সামনে একটা মাঠ আছে ওখানে গিয়ে শিখবা। - ঐ মাঠেই চলো।
- হুমমমমমম।
দুই ঘন্টা চেষ্টার পর মেলা কষ্টে ৭০% মতো
শিখাইতে পাছি।
- ঐ নীলা শুনো। আজকে যা শিখাইছি
এত টুকুই বাসাই গিয়ে ট্রাই করতে থাকো। কালকে ভার্সিটিতে গিয়ে বাঁকি টুকু শিখিয়ে দিমু ঠিকআছে। - আচ্ছা।
এখন বাসাই চলো সন্ধা হয়ে আসতেছে।
- বাসাই তো যাবোই। কিন্তু ভার্সিটিতে যেই
আশিটা থাপড়ানি না খেয়েই দৌঁড়ে চলে আসছো সেইটা প্লাস এখনের দুই ঘন্টার দশ দশ
বিশটা মোট একশোটা থাপড়ানি খাবা
তারপরে বাসাই যাওয়া। - ঠিকআছে। থাপড়ানিই তো দিবা।
আচ্ছা দাও।
চোখ বন্ধ করে গাল দুইটা আগাই দিলাম।
গাল দুইটা আগাই দেওয়ার সাথে সাথেই
ঠাসসস ঠাসসস করে থাপড়ানি শুরু।
ওখান থেকে লাফ দিয়ে চার পাঁচ হাত দূরে গেলাম।
- কী মেয়েরে ভাই তুমি।
- কেনো।
- আমি ভাবলাম। নিজের থেকে যদি
গাল দুইটা আগাই দিই তাইলে হয়তো একটু
দয়া মায়া দেখাই মারবা না।
কিন্তু তুমি তো। গাল দুইটা আগাই দেওয়া মাত্রই
থাপড়াইতে শুরু করে দিছো।
তোমার মধ্যে কী দয়া মায়া বলতে কিচ্ছু নাই।
- নাহ্ নাই। কেবল পাঁচটা হইছে। আরো
পঁচানব্বইটা বাঁকি আছে। কাছে আসো। - তোমার কাছে থাকলে তো। এক ঘন্টাই শহীদ
করে দিবা।
আমি ভাই আর তোমার আগে পিছে নাই।
আমি গেলাম। বাই।
অন্তিম
- ভার্সিটিতে ঢুকা মাত্রই নীলার বাহিনীর
অর্ধেক সৈন্য এসে আমার কাছে হাজির।
এদের এক এক জনকে দেখে মনে হচ্ছে।
এক্ষুনি আমাকে ধরে খেয়ে ফেলবে।
সবার মধ্যে থেকে রাগি রাগি লুক নিয়ে
মিথিলা মুখ খুললো।
- নীলার সাথে কী করছিস।
- আমি আবার ওর সাথে কী করছি।
- তুই যদি কিছু না করিস তাহলে নীলা
কাঁদতেছে কেনো। - আরে ভাই। ওই কেনো কাঁদতেছে আমি কেমনে বলমু।
- নেহাত। নীলা শুধু তোকে ধরে নিয়ে যেতে বলছে। ওর কাছে।
তা না হলে। এতক্ষণে সবাই মিলে তোরে
গণপিটানি দিতো। (মিথিলা)। - নীলা আমারে ধরে নিয়ে যেতে বলছে বলে
এই না যে। আমি ওরে কিছু করছি।
তবে আমার মনে হইতেছে। নীলা এমন
কিছু একটার জন্য কাঁদতেছে। যেটা তোদের সবার দ্বারা হইবো না। খালি আমার দ্বারা হইবো।
এই জন্য তোদের সবাইরে পাঠাইছে আমারে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
- হুমমমমমম। কথাটা একদম ঠিক বলছিস।
আমার মনে হয় কী?
তোর যেমন পাপ্পি চাপে। নীলার ও মনে হয়
থাপড়ানি চাপছে।
কিন্তু ও তো আর আমাদের কাউকে থাপড়ানি দিতে পারবে না।
এই জন্য তোরে ধরে নিয়ে যেতে বলছে। (মিম)।
মিমের কথা শুনে তো সবাই খিল খিল করে
হাঁসতে শুরু করে দিছে।
- একদম ঠিক কথা বলছিস। থাপড়ানির জন্য
পারফেক্ট চয়েস (সুমাইয়া)। - কে কারে থাপড়ানি দিবো। ঐটা নীলার কাছে গেলেই বুঝা যাইবো।
- কেউ কাউরে থাপড়ানি দিবো না বাবু।
নীলা শুধু তোমারে থাপড়ানি দিবো আর
তুমি শুধু খাবা।
আর আমরা দেখবো। হা হা হা (মিথিলা)।
- আজকে সবাই এরে ঘিরে ধরে থাকবি।
কোন ভাবেই যাতে দৌঁড়ানি দিতে না পারে (সজিব্বা)।
- তোরা সালা সব গুলা বেইমান।
- হুমমমমম। এইবার চল (মিম)।
এদের এক এক জনের হাব ভাব দেখে মনে হইতেছে।
আমি এদের হাজার হাজার টাকা
মেরে খেয়ে দুই দিন বছর পর আজ
এদের সামনে পড়ছি।
আর এরা সবাই আমাকে ধরে বিচারকের
কাছে নিয়ে যাইতেছে।
ওদের সাথে নীলার সামনে গেলাম।
ওমা এ তো দেখি এখনো কাঁদতেছে।
কিন্তু এমনে কাঁদার কাহিনীটা তো কিছুই
বুঝতেছি না।
- নীলা এই যে দেখ শয়তানটারে ধরে
আনছি (মিথিলা)। - ওই কানা না যে তো ওমন আগবাড়িয়ে বলা লাগবে না।
- নীলা এবার বলো তো। কেনো এমনে কাঁদতেছো।
(বসা থেকে দাঁড়িয়ে। চোখ মুছতে মুছতে
বললো)। - কাছে আসো।
- কাছে গেলাম।
- ঠাসসসসসসসসসস।
- আউওওওচচচ। আরে আমি কী করছি।
- কালকে তোর বুদ্ধি শুনে। রুবিক্স কিউব
মিলানোর জন্য নিচে নেমে তোর সাথে
মাঠের দিকে যাওয়ার সময় বাবা তোর সাথে
আমাকে দেখছে।
আর তুই নাকি নীলের কাছে শুনতে চাইছিস।
আমার রুম কোনটা। আমি দরোজা খুলে
ঘুমাই নাকি বন্ধ করে ঘুমাই।
আরো যা যা বলছিস। ওই সব কিছু বাবাকে বলে দিছে।
এই সব কিছু দেখে শুনে। গতকাল রাতেই
বাবা তার বস এর ছেলে সাথে আমার বিয়ে
ঠিক করে ফেলছে।
এখন যদি তোর জন্য। বাবার বস এর ছেলের সাথে আমার বিয়ে হয়। তা হলে আমি বিয়ের
প্রথম দিনেই বিষ খেয়ে মরে যামু।
আর একটা চিঠি লিখে যামু। সেখানে
লিখা থাকবে যে। আমার মৃত্যুর জন্য
একমাত্র তুই দায়ী।
তোরে যেনো ফাঁসি দেওয়া হয়।
এই বলে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো।
নীলার পিছন পিছন বাঁকি সবাই ও চলে গেলো।
কী এক বিপদে পড়লাম রে বাবা।
জীবন আর ভালোবাসা এক দড়িতে বাঁধা।
জীবন বাঁচলে ভালোবাসা ও বাঁচবে।
আর ভালোবাসা বাঁচলে জীবন ও বাঁচবে।
বাঁচালে দুই টারেই বাঁচাতে হবে।
যাই হোক ভালোই লাগতেছে।
কিন্তু কী যে করমু কিছুই মাথাই আসতেছে না।
বেশি কিছু না ভেবে। সন্ধাই সোজা নীলাদের
বাসাই যাচ্ছি। ওদের বাসাই গিয়ে যে প্রথমে কী বলে শুরু করমু সেটা ও জানি না।
কিন্তু সন্ধাই যাচ্ছি এই জন্য যে। মাইর টাইর দিলে যাতে বেশি কেউ না জানে।
দরোজার কাছে গিয়ে কলিং বেলটাই চাপ দিলাম।
কলিংবেলের আওয়াজের থেকে বুকের
ধকধকানির আওয়াজ আরো জোরে জোরে
হচ্ছে।
নীলার মা এসে দরোজা খুলে দিলো।
- আস্সালামু আলাইকুম।
- ওয়ালাইকুম আসসালাম। কে বাবা তুমি।
- আন্টি আমার নাম স্বারথী। এই এলাকাই
থাকি। - তো এই সন্ধাই আমাদের বাসাই কেনো।
- আসলে আন্টি আপনাদের সাথে কিছু
জরুরি কথা বলার ছিলো। - কী কথা।
- দুইটা জীবনের মরা বাঁচার কথা আন্টি।
- মানে।
- একটু ভিতরে নিয়ে চলেন না। সব
বলতেছি। - ঠিকআছে। আসো।
- আন্টি আংকেল নাই।
- হুমমমমম।
- ওনাকে ও একটু ডেকে নিয়ে আসেন।
- আচ্ছা তুমি এখানে বসো। আমি ডেকে নিয়ে আসতেছি।
- আংকেল। আস্সালামু আলাইকুম।
- ওয়ালাইকুম আসসালাম। তোমাকে তো
ঠিক চিনলাম না। - আংকেল। আন্টি। আপনারা দুই জন একটু
বসেন। আমি সব বলতেছি।
আমার কথা শোনার পরে এমনি আমাকে
চিনে যাবেন। - আচ্ছা কী কথা বলার জন্য এখানে আসছো
বলতো। - আংকেল আমার নাম স্বারথী।
আপনার মেয়ে নীলা আর আমি এক
সাথেই পড়ি।
আপনাম মেয়ে পনেরো বিশ দিনে আমারে
যত গুলা থাপড়ানি দিছে।
আপনারা দুইজন আপনাদের এত বছরের
জীবনে। কাউরে এতো গুলা থাপড়ানি
খাইতে ও দেখেন নাই।
কিন্তু আংকেল। আসল কথাটা হইতেছে।
আপনি যে আপনার মেয়ের বিয়ে আপনার
বস এর ছেলে সাথে ঠিক করছেন। ঐ ছেলের
সাথে নীলার বিয়ে দিয়েন না। আমি
আপনার পায়ে পড়তেছি।
- কিন্তু কেনো।
- ওরে আংকেল সেই দুঃখের কথা আর বইলেন না।
গতকাল নাকি আপনি উপর থেকে আমাকে আর নীলাকে এক সাথে দেখছেন।
আর তার পরেই নাকি নীলার বিয়ে ঠিক করছেন।
এইজন্য এই বিয়ের সব দোষ নীলা আমারে
দিতেছে। আমার জন্যই নাকি সব হইছে।
আর ও বলছে। ঐ ছেলের সাথে যদি ওর বিয়ে হয় তাহলে নাকি ওই বিয়ের দিনেই বিষ খাবে।
আর একটা চিঠি লিখে যাবে। সেই চিঠিতে
লিখবে সব দোষ নাকি আমার। আমাকে যেন ফাঁসি দেওয়া হয়।
আর নীলা যাদি বিষ খায়। আমি সেদিন ব্যাংক
ডাকাতি দিতে যামু।
আর ধরা খাইলে বলমু আপনারা দুইজনও
আমার সাথে আছে।
নীলার লিখে যাওয়া চিঠির জন্য তো আমারে
ফাঁসি দিবেই।
কিন্তু আপনারা ও ব্যাংক ডাকাতির কেসে
জেলে যাবেন। হুমমমমম।
এবার আমি গেলাম।
যা বলার তা তো বলে আসছি। এবার
আল্লাহ্ জানে কী হইবো।
তিন দিন থেকে নীলা ভার্সিটিতে আসতেছে না।
নীলা ভার্সিটিতে আসছে না দেখে। সব গুলা
আমারে এসে বকা বকি করতেছে।
সব দোষ নাকি আমার।
সবার অত্যাচারে আমিও আর ভার্সিটিতে
যাই নাই।
নীলারে না দেখে আমার ও কেমন কেমন লাগতেছে।
মন ভালো করার ভালো একটা উপায় হইতেছে।
মেঘা পিচ্চিটার সাথে সময় কাঁটানো।
এতো দিন পিচ্চিটার কাছে যাইনি দেখে।
ওই ও অনেক রেগে আছে।
আমার সাথে নাকি আর কোথায় যাবে না।
কোন রকমে হাতে পায়ে ধরে রাগ ভাঙ্গাই
ওরে নিয়ে ঘুরতে বের হইছি।
- মেঘা।
- কী?
- একটু মাথা টিপে দিবা।
- নাহ্।
- ঐ ব্রেঞ্চে বসি চলো।
- হুমমমমম।
- ব্রেঞ্চে বসে। একা একাই
মাথা টিপতেছি। - স্বারথী।
- হুমমমমমম।
- খুব মাথা ব্যাথা করছে।
- হুমমমমমম।
- আচ্ছা টিপে দিচ্ছি আসো।
- হি হি। আচ্ছা।
এমন সময় ফোনটা বেঁজে উঠলো।
হাতে নিয়ে দেখি। অচেনা একটা নাম্বার।
- হ্যালো।
- স্বারথী তুমি কই।
- এই তো ব্রেঞ্চে বসে আছি।
- একটু পড়েই আমার বিয়ে। আমি
বিয়েটা করবো না। আমাকে এসে
নিয়ে যাও প্লিজ। - ঠিকআছে। কিন্তু কে আপনি।
- লাত্থি খাবি হারামি। তোরে কাছে পাইলে যা থাপড়ামু শয়তান।
- নীলা তুমি।
- হুমমমমমমমম।
বেশি কথা বলতে পারবো না।
আমাকে এসে নিয়ে যাও বলতেছি।
টুট টুট টুট।
কী হইতেছে কিছুই তো বুচ্ছি না।
- বিয়ের মধ্যে এত্ত মানুষ কেমনে ওরে নিয়ে আসমু।
এমন সময় মেঘার দিকে চোখ পড়লো।
আর সাথে সাথেই মাথাই একটা বুদ্ধি চলে আসলো। - মেঘা। সোনা আমার।
একটা হেল্প করবা। - কী হেল্প।
- কিছুক্ষণে জন্য আমার মেয়ে হবা প্লিজ।
- কেনো।
- আমার জীবন মরণের প্রশ্ন বাবু। মেয়ে হবা প্লিজ।
- ঠিকআছে। কিন্তু কেনো।
- আমি যাকে ভালোবাসি তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
- কিন্তু আমি মেয়ে হয়ে কী করবো।
- আমি যখন তোমাকে বলবো ঐটা তোমার মা
তখন তুমি মাআআআআআ বলে দৌঁড়ে
গিয়ে তাকে জরাই ধরবা। এই টুকুই করতে হবে। - ওয়াও। জোস তো। আমি রাজি।
নীলারদের বাসাই যেতেই দেখি বর যাত্রী ও
চলে আসছে।
আমার দিকে তাঁকান সবাই।
এই বিয়ে হইবো না। লাফাই লাফাই বলতেছি।
এর মধ্যেই দেখি মেঘা মাআআআ বলে নীলাকে
গিয়ে জরাই ধরলো।
আর নীলাও মেঘাকে জরিয়ে ধরে আছে।
- আমাদের বিয়ে আরো অনেক বছর আগেই
হইছে। আর মেঘা আমাদের মেয়ে।
সেটা তো আপনারা দেখতেই পাইতেছেন। - কিন্তু আমি এটা মানি না (নীলার বাবা)।
- আপনি না মানলে আর কী করার। বাচ্চা তো আমাদের হয়েই গেছে।
আর সে আপনাদের সামনেই আছে।
ছেলের বাবা কাছে গেলাম।
আপনি যদি আপনার ছেলের বিয়ে নীলার সাথে করার।
তাহলে ঐ বাচ্চাটার কী হবে ভেবে দেখছেন।
মা ছাড়া ওমন একটা দুধের বাচ্চা কেমনে থাকবে।
- এই বিয়ে হবে না। উঠে আয় তুই। (ছেলের বাপ)
- হ্যা বাবা চলো।
- আপনারা দাঁড়ান একটু। ( নীলার বাবা)
- মেনে নিলাম যে তোমরা বিয়ে করছো।
বিয়ের কবিন নামা দেখাও। - আপনার মেয়ে এখন কবিন নামা কই রাখছে
আমি কেমনে দেখামু। - আমার মেয়ে রাখছে মানে।
- আপনার মেয়ে রাখছে মানে।
আপনার মেয়ে রাখছে।
এমন সময় মেঘাকে নিয়ে নীলা ও আসলো।
- ঐ। কাবিন নামা কই রাখছো।
তোমার বাপরে দেখাও। - আমি কই রাখছি তুমিই না সেদিন রাখলা।
- আমি তো দুই দিন আগেই তোমারে দিলাম।
- ওহহহহহ। মনে পড়ছে।
- তো এখন তোমার বাপরে বলো।
- ঐ খানে না গেলে তো বলতো পারবো না।
- তো চলো। নিয়ে এসে তোমার বাপরে
দেখাই। - হুমমমম। চলো।
মেঘা আর নীলাকে নিয়ে ওখান থেকে উধাও।
ওহহহহহহহ। কী বাঁচাটাই না বাঁচলাম।
- ঐ এই কয়দিন ভার্সিটিতে আসো নাই কেনো।
- ঠাসসসসসসসসসসসসসসসস।
- আবার কী করছি।
- সেদিন তোমার ঐ সব উল্টা পাল্টা কথা শুনে
বাসা থেকে বের হওয়াই বন্ধ করে দিছে।
কপাল ভালো যে আজকে ফোনটা পাইছিলাম। - কী হলো চুপ করে আছো কেনো।
- কিছু কইলেই তো আবার থাপড়ানি দিবা।
- আমাকে নিয়ে আসার বুদ্ধিটা একদম
জঘন্য ছিলো।
কিন্তু এই কিউট বাচ্চাটাকে নিয়ে গেছো
জন্য বেঁচে গেলা।
- আচ্ছা সোনা। তোমাকে ঐ শয়তানটা
কী বলে নিয়ে গেছে বলো তো। - স্বারথী বলছে। আমি যাকে ভালোবাসি তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
একটুর জন্য আমাদের মেয়ে হবা। - তুমি না অনেক সুইট। আসো পাপ্পি দিই।
- আচ্ছা মেঘা আমি তো তোমাকে
নীলাকে দেখাই দিই না।
তাহলে কেমনে ওর চিনলা। - স্বারথী তুমি না সত্যি একটা গাধা।
তুমি তো বললা।
তোমার ভালোবাসার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
আর ওখানে একমাত্র নীলাই তো
বউ সেঁজে ছিলো।
- একটা বাচ্চা যা বুঝে। তুমি তা বুঝো না।
- হুমমমম। এই জন্যই তো এতদিনে কোন পাপ্পি কপালে জুটে নাই।
সন্ধা হয়ে আসতেছে দেখে।
মেঘাকে ওদের বাসাই রেখে আসলাম।
আর আসার সময় বললাম।
- মেঘা সোনা। তোমার বাবা মাকে যেন এই
সব বলো না কেমন।
আমি আর নীলা গিয়ে কালকে সব বলবো।
- ঠিকআছে।
রাত নয়টা।
- আচ্ছা নীলা এবার কই যাবা।
- আমি না তোমার বউ। বউ আবার কই যায়।
- আরে ঐটা তো এমনি বলছি।
একটু নীরবতা।
- আমাকে ভালোবাসো।
- হুমমমমমমম।
- কিইইইইইইইই।
- না মানে। না বলতে গিয়ে হুমমমম বলে ফেলছি।
- হা হা হা। পাগল।
- হি হি।
- যেদিন আমার রুমে গিয়ে কপালে পাপ্পি
দিছিলে সেদিনই বুঝে ছিলাম। - তুমি সেদিন জেগে ছিলে।
- হুমমমমমম।
- তাহলে সেদিনের জন্য কিছু বলোনি কেনো।
- বলছি তো।
- কই।
- ঐ যে মিছেমিছি রুবিক্স কিউব শেখার
নামে। - তার মানে তুমি রুবিক্স কিউব মিলাতে
পারো। - হুমমমমমমম। তবে তোমার থেকে কয়েক সেকেন্ড বেশি লাগে।
- তুমি না সত্যি একটা।
- সত্যি একটা কী বলো।
- না থাক। আবার থাপড়ানি দিবা।
- আরে দিবো না বলো।
- পাগলি। হি হি হি।
- হইছে। এবার বলো ভালোবাসো।
- হুমমমম।
- আগে বলোনি কেনো।
- প্রথম দিন থেকেই তো থাপড়ানি দিচ্ছো।
সেটার ভয়ে। - তো কী হইছে। ভালোবাসার কথা
চেপে রাখতে নেই বুঝলা।
আজকে যদি আমি ফোন না দিতাম।
তাহলে। - তাহলে আর কী কষ্ট হতো একটু।
- শুধু একটুই।
- একটু মানে অনেক গুলা হইতো।
- এই জন্য ভালোবাসার কথা চেপে
রাখতে নেই। আগে বলে দাও পড়ে যা হবার হবে। - আচ্ছা তুমি আমাকে ভালোবাসতা।
- হুমমমমমমম।
- তাহলে এতো থাপড়ানি দিতে কেনো।
- ভালোবাসি বলেই তো এতো থাপড়ানি দিতাম।
আর থাপড়ানি দিয়ে সবার থেকে আলাদা করে
রাখতাম। - থাপড়ানি ছাড়া কী আর কিছু ছিলো না
দেওয়ার জন্য। - তোমার সাথে তো থাপড়ানি আর পাপ্পি
এই দুইটা ছাড়া আর কোন জিনিস যায় না।
সবার সামনে তো আর পাপ্পি দিতে পারবো না
তাই থাপড়ানি দিতাম।
- বাহ্। কী বুদ্ধি তোমার।
- খুব লাগতো তাই না।
- তেমন বেশি লাগতো না। তবে অনেক গুলা
এক সাথে দিতে তো। তাই একটু লাগতো।
তবে তোমার হাত অনেক নরম। হি হি। - পাগল। আমি থাপড়ানি দিয়ে বাসাই গিয়ে কী ভাবতাম জানো।
- কী ভাবতা।
- যেদিন সুযোগ পাবো থাপড়ানি প্রতি দশটা করে পাপ্পি দিবো।
- কিইইই। আগে বলবা না। তাইলেই তো আর
একটা ও থাপড়ানি মিস করতাম না।
তবে যত গুলা থাপড়ানি দিছো। আজকে
সারা রাত পাপ্পি দিলে ও শেষ হবে না। হি হি।
- কিন্তু আমি তো ভাবছি। আজকে সারারাত থাপড়ানি দিবো।
- কিইইইইইই।
- হা হা হা। আচ্ছা চোখ বন্ধ করে
কাছে আসো। - না জানি আজকে আবার কত গুলা
থাপড়ানি কপালে আছে।
চোখ বন্ধ করে কাছে যেতেই।
- উমমমমমমমমমম্মা।
- ওরে পাপ্পি।
পরানডা মনে হয় কেবল ফিরে আসলো। হি হি হি।
ওরে ভাই পাপ্পি। তোর জন্য এতদিন কী থাপড়ানিটাই না খাইছি। তবে আজকে সব আর বলমু না। সবাই যাও ঘুমাও। আমি কী লুচু তোমরা তো দেখি আমার থেকে আরো বেশি লুচু। হি হি হি!
লেখা – Pantha Shahria
সমাপ্ত
(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “পাপ্পি চাপছে – গার্লফ্রেণ্ডকে চুমু খাওয়ার গল্প” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)
আরো পড়ূন – পাগলামি ভালোবাসা গল্প – bangla love story facebook