পরিবর্তন – Husband Wife Romantic Love Story

আমার স্ত্রীকে আমার আর ভালো লাগে না,এর ব্যাখ্যা কি ডক্টর?তাকে এখন আর আমার পছন্দ না। সাইকোলজির মতে এর ব্যাখ্যা জানতে চাই।
অপর পাশে বসা ভদ্রলোকের কথা শুনে বিস্মিত হইনি মোটেই। এরকম উদ্ভট ঘটনা নিয়ে প্রায়ই লোক আসে আমার কাছে। আমি মুচকি হেসে চশমা ঠিক করলাম। বললাম,
চা খাবেন নাকি কফি?

কিছু খেতে চাই না। আমি আমার সমস্যা নিয়ে সিরিয়াস ডক্টর। এর পার্মানেন্ট সলুউশন দরকার।
আমি চা অর্ডার করলাম। বললাম আপনি আপনার প্রবলেম টা ক্লিয়ারলি বলুন। কেন ভালো লাগে না,কবে থেকে ভালো লাগে না এ টু জেড।
লোকটি কলার ঠিক করলো। চায়ে চুমুক দিয় বলতে শুরু করলো,

আমার স্ত্রী এর সাথে আমার প্রেমের বিয়ে! তখন তার বয়স ছিল উনিশ। ভার্সিটি লাইফের প্রেম আমাদের। সেসময় সে প্রচন্ড সুন্দর ছিল। তার রুপে মুগ্ধ হয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেই। তাকে রাজি করাতে প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে আমায়। সে এতটাই সুন্দর ছিল যে আমার বন্ধুরাও তার রুপে বিমোহিত হতো।

গত চার বছর আগে আমি তাকে পালিয়ে এনে বিয়ে করি। কারন তার মা বাবা আমার সাথে অনন্যার বিয়ে দিবে না। তাদের একটাই সমস্যা ছিল যে আমার মাসিক আয় তখন কম,যা এখন একটু বেড়েছে! তাছাড়া অনন্যা তার মা বাবার এক মাত্র মেয়ে তাই বড়লোক ছেলে খুঁজছিল,সেক্ষেত্রে আমি মধ্যবিত্ত।

অনন্যা নিজেও আমায় খুব ভালোবাসতো, কেয়ার করতো। ইদানিং সে সবসময় খিটখিট করে। অফিস থেকে ফিরলেই এটা ওটা নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি করে। আগের মতো আমার খেয়াল রাখা তো দূর আমার কোনকিছুই তার মনে থাকে না। তার চেহারায় এখন লাবন্যতা নেই, শরীরের গঠন ভালো নেই, আগে যেমন সুন্দর ছিল এখন তেমনটা নেই, যেন সে ত্রিশ বছরের কোন দূর্বল নারী।

তার চোখে মুখে এখন আর কোন মুগ্ধতা খুঁজে পাই না। মনে হয় সে প্রেমিকা হিসেবেই ঠিক ছিল। বিয়ের দু বছরের মাথায় তার প্রতি আমার আকর্ষন কমে যায় আর এখন সেই আকর্ষণ নেই বললেই চলে। আমি জানি আমার মন মানসিকতা কে আপনি দায়ী করবেন কিন্তু অনন্যার পরিবর্তনের কারনে আমি আতঙ্কিত।

আমি হাত বাড়িয়ে ভদ্রলোক অর্থাৎ আয়মান নামক লোকটিকে থামালাম। জিজ্ঞেস করলাম,
আপনার বাসায় কে কে আছেন?
প্রত্যুত্তরে সে বললো,
মা-বাবা,আর আমার ছেলে,অনন্যা,আমি আর আমার এক বোন। তবে বছরের বেশিরভাগ সময় দাদা দাদী এসে আমাদের বাড়িতে থাকেন।
আমি বললাম,
আপনার মাসিক আয় কত?
ত্রিশ হাজার।

অনন্যা কে বিয়ে করার সময় কত ছিল?
চৌদ্দ হাজার ।
আপনার আম্মুকে কত টাকা দেন,বা পরিবারের জন্য কত টাকা ব্যয় হয়?
বাড়ি ভাড়া,বাজার-সদাই,কারেন্ট বিল,গ্যাস বিল সহ প্রায় সব টাকাই মাকে দিতে হয়। কিছু টাকা রাখি তাতে আমার আর বাচ্চা আরহান এর হয়ে যায়।
আপনার বোনকে কত টাকা দেন হাত খরচ হিসেবে?
ও যখন যেটা চায় তাই এনে দেয়া হয়। হাত খরচ মা ইহ দেন যখন লাগে। একমাত্র বোন বলে সে আদরে মানুষ হয়েছে।
আপনার বাড়ির কাজ কে করে?

অনন্যা সব সামলায়। দাদী বয়স্ক মানুষ,বোনের কলেজ প্রাইভেট আছে তাই তার কাজ শুধু পড়াশোনা। মায়ের শরীর ভালো থাকে না তাই সব দায়িত্ব অনন্যার হাতে। অনন্যা ও সব দায়িত্ব হাসিমুখেই নিয়েছে।
আপনার কি অন্য কাউকে পছন্দ?

না ডক্টর সেরকম নয়। আমি অনুতপ্ত এটা ভেবে যে কেন অনন্যাকে আমার আর পছন্দ নয়,কেন এখন তার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করি না। আগের মতো ভালোবাসা পেলে হয়তো তাকে ভালো লাগতো কিন্তু তার ব্যবহার আর কর্মকান্ড অসহনীয়। আমি তাকে সত্যিই ভালোবাসি কিন্তু তার রুক্ষতার জন্য মন মালিন্য হচ্ছে।
বন্ধু-বান্ধব কতজন আছে আপনার?
অনেক জন।

তাদের সময় দেন কিভাবে?
অফিস থেকে এসে আড্ডা দিই বাইরে। নইলে ছুটির দিন ঘুরে ফিরে। ভার্সিটি লাইফে এরাই সাহায্য করেছিল অনন্যার হাত ধরতে।
আপনার স্ত্রীকে হাত খরচ কত দেন?
এইবার আয়মান সাহেব ইসস্ত হলেন। বললেন,
ডক্টর আমার সমস্যা আমার স্ত্রীকে নিয়ে। আপনি আমার পরিবারকে টানছেন কেন,বন্ধুদের টানছেন কেন??আর ওর হাত খরচের কোন প্রয়োজন হয় না কারন ও বাইরে বের হয় না তেমন। আর টুকটাক যা লাগে আমিই এনে দিই। কিন্তু আপনার এইসব জেনে আদৌ কোন লাভ হবে?আমার সমস্যা তো অন্য কোথাও।

একটা প্রবলেম সলভ্ড করতে অনেকগুলো বিষয় জানতে হয় দেখা যায় সেগুলোই সমস্যার সমাধান। আপনি যদি বুঝতে পারতেন সমস্যাটা কোথায় তাহলে আমার কাছে কি আসতেন?নইলে আমি কি সাইনস্টিস হতে পারতাম?

আপনার সন্তান কেমন ধরনের?মানে শান্ত না দুষ্টু?
ছেলেটা প্রচন্ড দুষ্টু। দু বছর বয়সী ছেলেটা সবাইকে নাজেহাল করে দেয়। আমি সারাদিন অফিসে থাকি। এইসব কথা অনন্যাই আমায় বলে। আর আমি বাড়িতে থাকলে বাচ্চা দুষ্টুমি করে যা বাড়াবাড়ি রকমের নয়। এটা ওটা ভাঙ্গাভাঙ্গি তার স্বভাব।
অনন্যার পড়ালেখা?
বিয়ের পর আর মা পড়তে দেননি। সংসার সামলানো দায় হয়ে পড়েছে তাই। এছাড়া পাড়া প্রতিবেশীরাও কটু কথা বলে।

আমি হাসলাম একটু,আয়মান সাহেব অবাক হলেন। আমি বললাম,
মিস্টার আয়মান আপনি একজন ভালো প্রেমিক হলেও ভালো স্বামী নন। এটা কি আপনি জানেন?
কি সব বলছেন?তার সব দায়িত্ব নিয়েছি,একটা পরিবার দিয়েছি,ভালোওবেসেছি। ইদানিং ওর পরিবর্তনের জন্যই এত মনোমালিন্য।

আমি আয়মান সাহেব কে বললাম,
অনন্যা যখন আপনার প্রেমিকা ছিল তখন সে সুন্দর করে সেজেগুজে আপনার সাথে দেখা করতো। কোন কালার ড্রেস পড়বে,কোন কালার ইয়ারিং পরবে ভাবতে ভাবতেই তার বহুত সময় লাগতো। আপনার সাথে সে সবসময় স্থির শান্ত হয়ে কথা বলতো কারন আপনি তার প্রেমিক।

অনন্যা তার মা বাবার এক মাত্র মেয়ে। বাবা মায়ের আদরে আদরে মানুষ হয়েছে সে। আপনাকে বিয়ে করে সে কি পেয়েছি বলুন তো?আচ্ছা আপনি লাস্ট কবে অনন্যা কে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন মনে আছে?আচ্ছা লাস্ট কবে সে আপনার কাছে কিছু চেয়েছে মনে আছে?মিস্টার আয়মান আপনি অনন্যাকে আপনার বউ এর চেয়ে বেশি বাড়ির বউ ভেবেছেন। আদরে বেড়ে ওঠা মেয়েটা আপনার চৌদ্দ হাজার টাকা বেতনেও আপনার পাশে থেকেছে,আপনার হাত ধরেছে। কঠিন সময়ে সে কিন্তু আপনাকে ছাড়েনি। সে মা-বাবাকে ভূলে আপনার সাথে চলে এসেছে,আর আপনি তাকে রানী করে না রেখে বাড়ির ঝি হিসেবে ট্রিট করছেন।

আয়মান সাহেব বেশ চটে গেলেন। বললেন,
কি বলতে চান আপনি? ঘরের কাজ করলেই সে ঝি হয়ে যায়? বিয়ে মানে শুধু স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন নয় পরিবারের মাঝেও বন্ধন।

মিস্টার আয়মান গত দু বছর আগে আপনার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে। বাচ্চা প্রসবের যে পেইন তা আপনারা বুঝবেন না। সেসময় শরীর দূর্বলের পাশাপাশি সুইং কাটা ছেঁড়ার কষ্ট সহ্য করেছে সে,আপনি তার পাশে ছিলেন কতক্ষন? অনন্যা আলালের ঘরের দুলালি হয়ে আপনার বাড়ির সব কাজ,বাবা মায়ের সেবা, আপনার দাদা-দাদীর সেবা,বোনের সেবা,আপনার সেবা করে গেছে। এত এত কাজ করার পর তার কি মন চাইবে অফিস থেকে ফেরার পর আপনার সাথে মিষ্টি করে কথা বলতে?সেজেগুজে বসে থাকতে?

আপনি আপনার বোনকে কোন কাজ করতে দেন না কারন সে আপনার বোন। অথচ বাচ্চা সামলানোর পাশাপাশি কিভাবে অনন্যা সংসার সামলেছে আল্লাহ্ তায়ালাই জানে।
আচ্ছা আপনি তো বললেন অনন্যা আপনার সাথে ভালো করে কথা বলে না,আপনি বলুন তো আপনি লাস্ট কবে তার প্রশংসা করেছেন?রান্নার হাতের তারিফ করেছেন? তার দিকে ভালো করে তাকিয়েছেন, এটা ওটা করতে সাহায্য করেছেন?

আয়মান চুপ থাকলো। বললাম,
শুধু শারীরিক সম্পর্ক করলেই স্বামী হওয়া যায় না। স্ত্রী শুধু সবার খেদমত করবে আর আপনার চাহিদা মেটাবে এমন নয়। কবে আপনি তাকে নিয়ে ঘুরেছেন?তার সাথে মন খুলে কথা বলেছেন মনে পড়ে?আপনি তার চেহারায় লাবণ্য নেই তাই দুঃখ প্রকাশ করছেন,কিন্তু কেন নেই খোঁজ নিয়েছেন?

ছুটির দিন বাচ্চাকে নিজে রেখে কখনো বলেছেন অনন্যা ঘুমাও, না ঘুমিয়ে চোখের নিচে কালি পড়েছে তোমার? যেই মেয়েটা হাত কেটে গেলে বাড়ি মাথায় তুলেছে সেই মেয়েটা রাত দিন খেটে যাচ্ছে অথচ আপনি ভাবছেন তার রুপ নেই কেন? আপনার স্ত্রী অনন্যা ভালো একটা শাড়ি পড়ে না,মাথা আচরানোর সময় পায় না,রাতে না ঘুমিয়ে শরীর বসে গেছে। এত কিছুর পর সৌন্দর্য থাকবে আপনি ভাবেন কিভাবে?

আয়মান চুপ রইলেন। খেয়াল করলাম তার চোখ চিকচিক করছে। আমি ঠান্ডা চায়ে চুমুক দিলাম গলা ভেজানোর জন্য । সেসময় আমার ফোনে কল এলো। ওপাশের মানুষটা আমার ভিষণ চেনা। আমার ঘরের মানুষ,আপন মানুষ। কল ধরে লাউড স্পিকারে দিলাম,
হ্যালো?
হ্যাঁ বলুন।
কি করছো?
রোগী দেখছি।

আজ তাড়াতাড়ি আসবে কেমন? আমিও ছুটি নিয়েছি। চিত্রাপাড়ের ওখানে মেলা বসেছে আমরা ঘুরতে যাবো কিন্তু। আর তুমি সাদা রঙের শাড়ি পড়বে কেমন?তোমায় শূভ্রপরী লাগবে। আর চুলে গাজরা দিতে ভুলো না।
আমি হাসলাম। বললাম,
আসবো একটু পরেই। আপনিও পাঞ্জাবী পড়বেন।
মেঘু শুনো,
হ্যাঁ বলুন,

ভালোবাসি। অপেক্ষায় রইলাম।
ফোনটা কেটে আমি আয়মান সাহেবের দিকে তাকালাম । উনি আমার আর আমার স্বামী মাহদির কথোপকথন শুনছেন। বললেন,
আমি খুব লজ্জিত ম্যাম। আমি এখন কি করতে পারি? যে অন্যায় করেছি তা কি ক্ষমার যোগ্য?

আপনি অনন্যাকে সময় দিন। ছুটির দিন বন্ধুদের সাথে না ঘুরে অনন্যার সাথে সময় কাটান। তাকে কিছু হাত খরচ দিবেন যা দিয়ে সে নিজের বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে পারবে। অনন্যার যত্ন নিন, পারলে বাসায় একজন সাহায্যকারী রাখুন। অনন্যার সাথে মন খুলে কথা বলুন দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। অনন্যা পছন্দ করে এমন কিছু করুন,তার পাশে থাকুন। পারলে দুজনে হাওয়া বদল করে আসুন।

অনন্যার মনের রাগ,অভিমান,অভিযোগ প্রকাশ করার অধিকার দিন। আয়মান সাহেব,স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর,শান্তির। এতে হারাম নেই,বাঁধা নেই। বিশ্বাস,সম্মান ভালোবাসা একটি সম্পর্কে জরুরী। কেবল সৌন্দর্যের মায়ায় পড়লে চলে না,
ব্যক্তিত্ব, এবং মানুষটার অন্তরের প্রেমে পড়ুন। দুজনের প্রতি দুজনের সম্মান বজায় রাখুন। একবার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলে তা ঠিক হবে না। মনে রাখবেন ভাঙা আয়না জোড়া লাগলেও দাগ রেখে যায়,গায়ে কাঁটা বিধে গেলে তা বের করলেও ক্ষত রয়ে যায়।

আয়মান সাহেব শুনলো। তারাহুরো করে উঠে গেল অনন্যার কাছে। আমিও বের হলাম কেবিন থেকে,মাহদি বোধহয় অপেক্ষা করছে।
আয়মান বাড়ি গিয়ে বেল বাজালো। অনন্যা শাড়িতে হাত মুছে দরজা খুলে বাচ্চাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আয়মান হাতের গাজরা টা অনন্যার দিকে বাড়িয়ে দিল। অনন্যা বিস্মিত চোখে তাকালো, গত কয়েকমাসে এসব সে দেখেনি।

আয়মান বললো,
অনু চলো কোথাও ঘুরতে যাই। কতদিন হলো বলোতো আমরা ঘুরতে যাই না।
অনন্যা খুশি হলো বোধহয়,অভিমান চড়া হলো। ব্যক্তিত্ব টেনে আনলো,পরক্ষণেই বললো,
বাসায় অনেক কাজ। কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়। তুমি বন্ধুদের সাথে যাও। তাচ্ছিল্যের সাথে বললো,আমায় নিয়ে তোমার না ভাবলেও চলবে।
কাজের লোক আসবে কাল থেকে। আজ থেকে আমি তোমার সেবা করবো অনু। যা করেছি ভুলে যাও,আমায় ক্ষমা করে দাও। আমি তোমায় অবহেলা করেছি,তোমার যত্ন নেইনি,আমি স্বামী হিসেবে ব্যর্থ। আমি লজ্জিত অনু,আর এমনটা হবে না। আমি আদর্শ স্বামী হবো কথা দিচ্ছি।

অনন্যা কাঁদলো,এটা বোধ হয় সুখের কান্না,নিজের জীবনের পাওয়া আনন্দ সে আবার পেল। অনন্যা কে ধরে আয়মান বাইরে নিয়ে এসে বললো,
কাল থেকে এক সাহায্যকারী আসবে,সেই বাড়ির সব কাজ করবে আর তার সাথে মায়া(আয়মানের বোন)টুকটাক কাজ করে দিবে,আমার বাচ্চাকে সামলাবে। আর আম্মু তুমি দাদির সেবা করবে। অনন্যাকে এইবার নিজের মতো করে বাঁচতে দাও,নিজের স্বাধীনতায় বাঁচতে দাও। মা বাবা ত্যাগ করে মেয়েটি অনেক কষ্ট পেয়েছে। ওকে একটু নিজের মেয়ে ভাবো।

এর দু মাস পরে আয়মানের সাথে আমার দেখা। হুট তোলা রিকশা চড়ে দুজনে কোথাও যাচ্ছিল। অনন্যা মেয়েটি দেখতে সত্যিই চমৎকার। তার এই সৌন্দর্য ঢাকা পড়েছিল যত্নের অভাবে। এইতো ফাল্গুনের শাড়িতে মেয়েটিকে কি অপূর্বই না লাগছিল। আমি তাকিয়ে ছিলাম দুজনের দিকে।

আয়মানের কাছ থেকে সব শুনলাম। সবকিছু ঠিক হবার গল্প শোনালো। দুজনই ধন্যবাদ দিলো আমায় । আমি দোয়া করে দিলাম। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এতই ঠুনকো নাকি?

~ সমাপ্ত!

পরিবর্তন
লেখনীতে: বৃষ্টি শেখ


Read More:

এক আকাশ আলো

আমি এবং আমরা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *