ভয়ানক ভৌতিক গল্প ৭

ভয়ানক ভৌতিক গল্প – অশুভ আত্মার প্রতিশোধ – পর্ব ৭

ভয়ানক ভৌতিক গল্প – অশুভ আত্মার প্রতিশোধ – পর্ব ৭: এক অশুভ আত্মার জালায় বাচছি না আবার এদিকে চোল্লাবুড়ির নজরে। কেন আমার সাথেই এরকম হচ্ছে? কি এই রহস্য? আমি তো কারো কোন ক্ষতি করিনি। তবে কেন এত প্যারানরমাল ঘটনা ঘটছে আমার সাথে?

মায়াবী বুড়ি

তখন আমি কি করবো নিজেও ভাবতে পারছি না।

এমন সময় আমার পেছন থেকে একটা হাসির শব্দ শুনতে পেলাম।

তাকিয়ে দেখি একটা মহিলা পানির নিচ থেকে উঠে এসেছে। চুল গুলো অনেক বড় বড়।

বুঝতে বাকি রইলো না, এটাই সেই চোল্লাবুড়ি।

কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না?

তখনই মনে পড়ল সেই তাবিজের কথা। আমি পকেট থেকে তাবিজটা হাতে নিয়ে সেই চুল্লিবুড়ির সামনে তুলে ধরলাম।

চুল্লিবুড়িটা ভয়ঙ্কর একটা চিৎকার দিয়ে আবার পানির নিচে চলে যায়।

এখন শুধু সামনে আরেকটা আত্মা দাঁড়িয়ে।

আমি নিচ থেকে এক দৌড়ে উপরে উঠে গেলাম। উঠে এসেই ওর শরীরের মধ্যে তাবিজটা স্পর্শ করে দিলাম এবং সাথে সাথে ও অশরীরটা গায়েব হয়ে গেল।

কোন রকম ভাবে হোচড় মোচড় খেয়ে রাস্তায় উঠে গেলাম।

রাস্তায় উঠেই এক দৌড় দিলাম নিজের বাড়ির দিকে।

হঠাৎ করে একটা শিকড় এর মধ্যে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছি।

আমার হাত থেকে তাবিজটা পাঁচ থেকে ছয় হাত সামনে চলে গেছে।

যখনই উঠতে গেলাম, তখন খেয়াল করলাম শিকড়ের ধারালো একটা কোনায় আমার পা কেটে গেছে।

অশুভ আত্মার তাণ্ডব

উঠতে গিয়ে ব্যথায় দাঁড়াতে পারলাম না।

এদিকে আমার তাবিজটা সামনে পড়ে আছে।

তাবিজটা নেওয়ার জন্য আমি অনেক জোর করলাম দাঁড়াতে।

কিন্তু কোনমতেই দাঁড়াতে পারছি না। হঠাৎ করে কেউ একজন আমার পা ধরে পেছনের টানতে লাগলো। আমি মাটির মধ্যে চেছড়া খেতে খেতে পিছনে যেতে লাগলাম। হাত দিয়ে মাটি আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছি, কিন্তু উল্টো হাতে ব্যথা পাচ্ছি।

এদিকে আমাকে পিছনে টানতে টানতে সে কবরস্থানের বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে নিয়ে গেছে।

আমি মাটিতে থাকা অবস্থায় পিছনে তাকালাম। দেখলাম যে পিছনে কেউ নেই।

এদিকে ভয়ে আমার শরীর থর থর করে কাঁপছে। হৃদপিণ্ড যেন বাহির হতে যাচ্ছে।

না পেরে কোন রকম এক পায়ে দাঁড়িয়ে লাফ দিতে দিতে কবরস্থান থেকে বের হয়ে পড়লাম।

আরেকটু সামনে যেতেই কেউ একজন আমার পিঠে অনেক জোরে আঘাত করলো, যেন কোনো শক্ত লোহার দন্ড দিয়ে আমার পিঠের মধ্যে আঘাত করা হয়েছে।

আমি সামনে ২-৩ পল্টি খেয়ে পড়ে গেলাম। আবার পেছন দিকে তাকাতেই একটা অদৃশ্য বাতাস আমার গালের মধ্যে অনেক জোরে চড় মেরেছে।

আমি আবার গড়িয়ে সাইডে চলে গেলাম।

এসব কি হচ্ছে আমার সাথে, তখন মনে পড়ল আমার দাদির কথা।

দাদি বলেছিল ভুত-প্রেত কখনো সামনে আসলে নিজের জামা কাপড় খুলে উল্টো করে গায়ে দিতে।

আমি কোনরকম গেঞ্জিটা খুলে উল্টো করে গায়ে দিয়ে ফেললাম।

কিন্তু না, হঠাৎ কেউ একজন আমার চুল ধরে আবার টানতে টানতে কবরস্থানে নিয়ে গেল। আমি আবার গিয়ে পৌঁছালাম সে কবরস্থানে। তারপর আর না পেরে পরনে থাকা প্যান্ট খুলে উল্টো করে পড়ে নিলাম। তখনই পরিবেশ আবার শান্ত হয়ে পড়লো।

এবার আমি নিজের পায়ের ব্যথা দিকে তাকাই নি। কোনরকম দাঁড়িয়ে এক দৌড়ে সে তাবিজের কাছে এসে তাবিজটা হাতে নিয়ে নিলাম।

এখন পরিবেশ শান্ত হলেও আমার শরীর শান্ত নেই।

পুরো শরীর থর থর করে কাঁপছে। হাঁটার জন্য শক্তি পাচ্ছি না।

দুই এক পা সামনে যেতেই আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।

অশুভ আত্মার আক্রমণ

হুজুর আমাকে দেখে বলে- এই রিয়াজ, তুই ঠিক আছিস তো?

চোখ মেলে দেখলাম আমি আমার বাসার মধ্যে। আমার পাশে হুজুর, রনি, আব্বু, আম্মু সবাই বসে আছে।

শাফিনঃ আমি এখানে কি করে আসলাম!

তখন হুজুর বললো,

আমি ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তোকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলাম। এরপর তোর আব্বু আম্মুকে ফোন করে এনে তোকে বাসায় নিয়ে আসলাম। আর তোমার জ্ঞান ফিরল এখন। কাল রাতে কি হয়েছিল তোর সাথে?

আমি হুজুরকে বললাম, আমার সাথে কি কি হয়েছে। হুজুর বললো,

হুজুরঃ কালকে রাতে তোর উপরে তিনটা আত্মা আঘাত হেনেছে।

শাফিনঃ মানে কি হুজুর? তিনটা আত্মা কেন?

হুজুরঃ একটা হচ্ছে সেই চুন্নিবুড়ি, যে তোকে তাবিজের জন্য কিছু করতে পারেনি। আর একটা হচ্ছে বাঁশঝাড়ের একটা অশরীর আত্মা। সেও তাবিজের জন্য তোকে কিছু করতে পারেনি এবং শেষে যে তোকে মেরেছে। সে হচ্ছে সেই তেঁতুলগাছের আত্মাটা। তিনজন আত্মার থেকে বেঁচে ফিরেছিস তুই। এটাই তোর জন্য অনেক।

শাফিনঃ আমি কিছুই বুঝতেছি না, হুজুর। আমি এখন কি করব? আমার সাথে এরকম হতে থাকলে তো হবে না। এর একটা সমাধান তো লাগবেই। আর আপনি বলেছেন সেই আত্মা আমাকে কিছু বলতে চায়।

যদি সে আমাকে কিছু বলতে চায় তাহলে সে আমার উপর আঘাত করেছে কেন?

সেটা তো আমিও বুঝতে পারছি না। তবে হ্যাঁ আরেকটা কথা, আমি নিশ্চিত সেই আত্মা তোকে সত্যিই কিছু বলতে চায়। কালকে রাতেও তো সে তোকে মারতে পারতো তাহলে কেন মেরে ফেলে নি তোকে? ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছে কেন?

শাফিনঃ হুজুর…?

আমি কাপড় চোপড় উল্টো করে গায়ে দিয়ে ফেলেছি, সেজন্য হয়তো।

হুজুরঃ হতে পারে। যাইহোক, এখন তুই বিশ্রাম কর। আমি দেখছি কি করা যায়!

এই বলে হুজুর উঠে চলে গেছে।

পরিবার ও বন্ধুর সাথে

এদিকে আব্বু আম্মু আমার সেবা করতে লাগলো। এমন ভাবে সেবা করতেসে যেন আমি বিদেশ থেকে ২০ বছর পরে এসেছি। যাইহোক, এদিকে ভালই লাগতেছে। এমনিতেই সারাদিন বাঁদর আর ফাঁকিবাজ বলে বলে গালি দেয়। আর আজকে দরদ উথলে পড়েছে। অন্যদিকে রনি ইশার দিল। বুঝতে পারলাম সিগারেট এর সংকেত পেয়েছে। আমি বিছানা থেকে উঠে বললাম,

শাফিনঃ আমার একটু কাজ আছে। আমি আসতেছি আম্মু।

এই বলে আমি এবং রনি দোকানের দিকে চলে আসলাম। আমার পা এখনো অনেক ব্যথা করতেছে। তারপরেও দোকানে এসে সিগারেট খেতে খেতে রনিকে জিজ্ঞেস করলাম,

শাফিনঃ এখন থেকে তুই আমার সাথে থেকে যাবি? আমি যদি কোন বিপদে পড়ে যাই তাহলে তুই সঙ্গে সঙ্গে এসে আব্বু-আম্মুকে বা হুজুরকে খবর দিতে পারবি।

রনিঃ হ্যাঁ সেটা তো ঠিক আছে। কিন্তু তোর সাথে যদি আমাকেও মেরে তক্তা বানিয়ে দেয়। তাহলে কে খবর দিবে।

শাফিনঃ করলে করবে, তোর কোন আপত্তি আছে?

রনিঃ না, আপত্তি থাকবে কোথা থেকে! মার খাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার। সবার কপালে তো আর মার জুটে না। আর তুই দুইহাতে ধরে আমার কপালে মার এনে দিচ্ছিস। তাহলে সেটাই হোক।

জানি মানবতার খাতিরে এখন ডায়লগ মারতেছে।

শাফিনঃ আচ্ছা, ঠিক আছে। শোন, আজকে রাত বরাবর দুইটা বাজে আমাদের তেতুল গাছের নিচে যেতে হবে।

রনিঃ আরে কি বলছিস, বাঘের কাছে গিয়ে ধরা দেওয়ার ইচ্ছা হয়েছে নাকি!

শাফিনঃ সেটা তোকে পরে বলব। কিন্তু আমার সাথে আজকে তোকে যেতে হবে।

রনিঃ তাহলে এক কাজ করিস, দাফনের কাপড় পড়ে যাই। অন্তত ভূতের হাতে মারা গেলে দাফনের কাপড় পড়ে তো মরতে পারবো।

শাফিনঃ তুইও না? একটা ফাজিল…

সারাদিন দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে আসলো। আমি আর রনি ছাদের মধ্যে বসে সিগারেট খাচ্ছি। আজকে বরাবর সাত প্যাকেট সিগারেট রেখেছি। যেন সময় মত কাজে লাগাতে পারি। এমন সময় হুজুরের ফোন আসলো,

হুজুরঃ রিয়াজ, তোকে যেটা করতে বলেছি সেটা অনেক রিক্স এর ব্যাপার। তুই সাবধানে থাকিস। যেকোনো সময়, যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারে।

শাফিনঃ আপনি কোন চিন্তা করবেন না, হুজুর। ইনশাল্লাহ আমি পারবো।

হুজুরের ফোন রাখার পরে রনি জিজ্ঞেস করল,

রনিঃ হুজুরের সাথে কি কথা হলো?

শাফিনঃ আজকে তেতুল গাছের কাছে দুইটা বাজে যেতে বলেছে, হুজুর।

রনিঃ কেন?

শাফিনঃ সেখানে গেলে দেখতে পারবি।

আত্মার মুখোমুখি

এরপর দুজন মিলে কথা বলতে বলতে ২ টার কাছাকাছি চলে এসেছে। আমি সব গুলো সিগারেট পকেটে নিয়ে হাতের মধ্যে একটা টর্চ লাইট নিলাম। আর সাথে হুজুরের দেওয়া তাবিজ টাও।

বাসা থেকে বের হয়ে দেখলাম যে রনি আমাকে অনেক শক্ত করে ধরে আছে। রনিকে কি সান্তনা দিব। তার সাথে যতই বীরপুরুষ গিরি দেখাইনা কেন ভিতরে ভিতরে আমার কি হচ্ছে সেটা তো শুধু আমি জানি। তেঁতুল গাছের কাছে আসতেই পরিবেশ পাল্টে যেতে লাগলো। চারপাশ ঠান্ডা হয়ে আসতেছে। তেঁতুল গাছটা যেন ভয়ঙ্কর ভাবে নড়াচড়া করা শুরু করেছে।

মনে হচ্ছে, আমাদের দিকে হেলে তেঁতুল গাছ আমাদের খেয়ে ফেলবে।

আমি পকেট থেকে সিগারেট বের করে রনিকে দিলাম। ধরাতে বলে নিজেরটাও ধরালাম। ধরানোর পর চিৎকার দিয়ে বললাম,

শাফিনঃ আপনার যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে আমার সামনে এসে আমাকে বলুন। আমি আপনার সমস্যার সমাধান করব। তারপরেও প্লিজ, আমাকে ছেড়ে দিন।

তখনই তেঁতুল গাছের মাথা থেকে একটা বিশাল বড় অগ্নিকান্ডের গোলো আমাদের দিকে তেড়ে আসছে। আমি সাথে সাথেই সে তাবিজটা পকেট থেকে বের করে সামনে ধরে রাখলাম। অগ্নিকাণ্ডের গোলাটা তাবিজ পর্যন্ত এসে অদৃশ্য হয়ে গেল। আর আমাদের স্পর্শ করতে পারেনি। কারণ হুজুর বলেছে সেই অগ্নিকাণ্ডের আগুন হল অশরীরের তৈরি করা।

সেই আগুনে স্পর্শ করতে পারবে না আমাদের।

এমন সময় পাশে তাকিয়ে দেখলাম সেখানে নেই রনি উধাও হয়ে গেছে। আমি রনি রনি বলে দু একবার ডাক দিলাম। তারপর দেখলাম মাটির মধ্যে সিগারেট পড়ে আছে। তাহলে রনি কোথায়?

এবার আমি অনেকটা ভয় পেয়ে গেছি।

তখনই আন্দাজ করলাম আমার পিছনে কেউ একজন দাড়িয়ে দাড়িয়ে নিঃশ্বাস ফেলতেসে।

অশুভ আত্মার সাথে লড়াই

ধুপ করে পেছনে তাকিয়ে দেখলাম আমার থেকে মাত্র এক হাত দুরুত্বে সেই আত্মাটা দাঁড়িয়ে আছে।

আমার চোখের মধ্যে চোখে রেখে। তা দেখে গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না আমার। তারপরেও বলে উঠলাম,

শাফিনঃ প্লিজ, আপনি আপনার সমস্যাটা খুলে বলুন। তারপরেও এভাবে আমাদের কোন ক্ষতি করবেন না।

তিনি তার সবগুলো দাঁত বের করে বলল,

আত্মাঃ সেদিন যখন তুই তেঁতুল গাছের নিচ দিয়ে যাচ্ছিলি তখন আমি তেঁতুল গাছের নিচে ঘুমিয়ে ছিলাম। আর তুই আমার মাথার মধ্যে পা দিয়ে চলে গেছিলি। সেজন্যই আমি তোর পিছু ধরেছি। আমাকে আঘাত করা মানে মৃত্যু। আমি বারবার তোকে ছেড়ে দিয়েছি এজন্য যে তোকে আমি কষ্ট দিয়ে মারবো। কারণ তুই আমার মাথার মধ্যে পা দিয়েছিস।
সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে তখন তোর হাতে সিগারেট ছিল এবং সে সিগারেটের তাপে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। তোকেও আমি কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলবো। হা হা হা হা হা হা!

শাফিনঃ তাহলে এটাই আপনার ফাইনাল ডিসিশন?

আত্মাঃ ফাইনাল ডিসিশন আবার কি!

শাফিনঃ মানে হচ্ছে, এটাই আপনার শেষ কথা? তাহলে আপনি আমার পিছু ছাড়বেন না?

আত্মাঃ কখনো না। আমি তোমার পিছু কখনো ছাড়বো না।

শাফিনঃ ঠিক আছে, তাহলে এবার আমিও দেখবো তুই আমার কি করতে পারিস!

তখনই হাতের তাবিজ সেই আত্মার কপালে লাগিয়ে ধরে রাখলাম চেপে। এক হাত দিয়ে আত্মার মাথার পিছনে ধরেছি। আর এক হাতে তাবিজ তার কপালে ধরে রাখলাম। আত্মাটা ভয়ংকরভাবে চিত্কার দিতে লাগলো। আমিও তাকে ছাড়ছিনা। কারণ এই তাবিজ আমার কাছে যতক্ষণ আছে, সে আমার কিছু করতে পারবে না।

সে সাহস নিয়ে আমি আত্মাটার কপালে তাবিজটা চেপে ধরে মাটিতে শুইয়ে দিলাম।

এরপর পকেট থেকে সিগারেট বের করে একটা একটা ধরিয়ে ধরিয়ে তার গায়ে ছুড়তে লাগলাম।

হঠাৎ করে সে আত্মা গায়েব হয়ে গেছে এবং পাশে তাকিয়ে দেখলাম রনি সে তেঁতুল গাছের উপর থেকে ধপাস করে মাটিতে পড়ে গেছে।
আমি সাথে সাথেই হুজুরকে মিসকল দিলাম।

কারণ হুজুর এতক্ষণ আমার পিছনের বাড়ির চিপায় লুকিয়ে ছিল। হুজুর সেখান থেকে দৌড়ে এসে রনিকে কোলে নিয়ে বলল,

হুজুরঃ এখানে ১০ মিনিটের বেশি থাকা যাবে না। এক্ষুনি বাসায় চল। নাহলে সবাই মারা যাব।

শাফিনঃ আমি বুঝতে পেরেছি কি করতে হবে।

হুজুরঃ যা হবে সব গুলো কালকে সকালে হবে। তাড়াতাড়ি দৌড় শুরু কর শাফিন। চলবে…

পরের পর্ব- ভয়ানক ভৌতিক গল্প – অশুভ আত্মার প্রতিশোধ – পর্ব ৮

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *