নাপা ট্যাবলেট – Bonno premer golpo: পরীক্ষার পর ছুটিতেই আমার শ্বশুরবাড়িতে ঘুরতে এসেছিল রাইসা। এর মধ্যে এতো বন্ধুত্ব? তার উপর মাঝ রাতে ঘর থেকে বের হতে দেখে তো আরও বেশি সন্দেহ হল আমার।
মূলগল্প
নিজের ছোট বোনের ঘর থেকে নিজের দেবরকে বের হতে দেখে খুব অবাক হলাম। এতো রাতে সাহেল রাইসার ঘরে কি করছে? শেষে হেসে হেসে কথা বলে হাত নেড়ে বাই জানিয়ে চলে গেল। আমি অবাক হলাম।
পরের দিন থেকেই রাইসার মধ্যে পরিবর্তন আমাকে অনেক ভাবাচ্ছে। সারাদিন ই কারো সাথে কথা বলে। ফোনে সারা দিন কার না কার সাথে কথা বলে। কিন্তু শুনতেও তো পাই না। কি করব সারাদিন পেলাম না। তারপর দুজনকে একসাথে দেখা করতে দেখি নি।
কিন্তু বোনের পরিবর্তন বেশ ভাবাচ্ছে। আমি আমার বোনকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা বললাম, তখন প্রথম কেন প্রশ্ন তা সাহেল ই করেছিল। ওর হঠাৎ বলা কথায় আমি চমকে গিয়েছিলাম।
নিজের বাড়ি ফিরেও রাইসা ফোন নিয়েই পড়ে থাকে। তবে কেন জানি আমার কাছে অদ্ভুত লাগছে।
নিজের বাবার বাড়ি থেকে আবার ই বাড়ি ফিরে গেলাম। সবাই জিজ্ঞেস করছিল আমার কথা। হঠাৎ সাহেল জিজ্ঞেস করল
~ রাইসা কেমন আছে?
~ ভালো।
~ বাড়ির সবাই কেমন আছে?
~ ওরাও ভাল আছে।
পরীক্ষার পর ছুটিতেই আমার শ্বশুরবাড়িতে ঘুরতে এসেছিল রাইসা। এর মধ্যে এতো বন্ধুত্ব? তার উপর মাঝ রাতে ঘর থেকে বের হতে দেখে তো আরও বেশি সন্দেহ হল আমার।
কিন্তু কি করব? সম্পূর্ণ ভাবে সিউর না হয়ে তো কিছু বলা যায় না।
এমনিও সেদিন সাহেল এর ফোনে একটা ম্যাসেজ আসতে দেখেছিলাম। স্ক্রিনে ভেসে ছিল। রাসু নামে। লেখা ছিল-
‘আই মিস ইউ সাহু’
এটা দেখে সন্দেহের পরিমাণ বাড়ছিল শুধু। কিন্তু সন্দেহ নিয়ে কয়দিন থাকা যায়?
তাই একদিন সিউর হতেই সাহেল কে জিজ্ঞেস করলাম,
~ সাহেল, আচ্ছা ত্তমাকে একটা প্রশ্ন করতে চুলেই গিয়েছিলাম।
~ কি ভাবি?
~ ওই দিন রাইসার ঘর থেকে মাঝ রাতে তোমাকে বের হতে দেখলাম। কিছু কি দরকারে গিয়েছিলে?
শুনেই সাহেল একটু লজ্জা লজ্জা ভাব আনল মুখে। এবার তো আমি আরও নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছি যে ওদের মধ্যে কিছু আছে।
~ কি হল, চুপ করে গেলে যে? বললে না।
~ আসলে ভাবি তেমন কিছু না।
~ আরে বল বল, এতো লজ্জা পাচ্ছ কেন?
~ আসলে ভাবি ওই রাতে…
~ হুম ওই রাতে?
~ ওই রাতে…
~ ওই রাতে তারপর?
চ্রু কুঁচকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম ওর দিকে।
~ আসলে ভাবি ওই রাতে আমি নাপা ট্যাবলেট খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তাই ওর কাছে গিয়েছিলাম।
~ কি? অতো রাতে নাপা ট্যাবলেট নিতে গিয়েছিলে?
~ হ্যাঁ আসলে সেদিন বাবা মায়ের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু ওদের কাছে ছিল না, ভাইয়াকেও জিজ্ঞেস করছিলাম , নেই তাই আলাদা করে তোমাকে জিজ্ঞেস করি নি। রাইসার কাছে গিয়েছিলাম। ও আমাকে দিয়েছিল। আসলে ব্যাথা তা বেশিই বেড়েছিল তাই। রাইসা একেবারে কি ভালো ছোট বোন।
~ ও ছোট বোন?
~ হ্যাঁ , তোমার ছোট বোন ও আমার ছোট বোন। আসলে ও এই বাড়িতে গেস্ট হিসেবে এসেছিল। সে রাতে ওর কাছে কিছু চাইতে লজ্জা লাগছিল। মাঝ রাতে আরেক জনের ঘুমে ডিস্টার্ব করে…
~ ওহ ঠিক আছে। কিছু দরকার হলে আমাকে জিজ্ঞেস করবে। তোমার ভাই কি আর জানে না কি কোথায় কি আছে?
~ ঠিক আছে।
সেদিন নিজের চিন্তা ভাবনার উপর রাগ উঠেছিল। পরে রাইসা কে ও ফোন করে জানতে পারি যে ও এসাইনমেন্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিল ওর বান্ধবির সাথে কথা বলায়। আর সাহেল এর ফোনে ‘রাসু’ হল ওর ফ্রেন্ড রাসেল।
এই একটা নাপা ট্যাবলেট আমাকে কি না কি ভাবালো ! হুহ!
লেখা – সাদিয়া সৃষ্টি
সমাপ্ত
(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “নাপা ট্যাবলেট – Bonno premer golpo” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)
আরো পড়ূন – তুই আমার যোগ্য নোস – Premier golpo