ভোলা – নতুন বাংলা রম্য গল্প: কিছুক্ষণের মাঝেই ভোলা আমার প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে দৌড়ে সাথে৷ আর সাথে তার ভয়ঙ্কর ডাক৷ আমি এইবার বললাম আল্লাহ বাঁচাও আমাকে। দুই টাকা না পাঁচ টাকা দিবো মসজিদে… না না দশ টাকা দিবো।
মূলগল্প
মিতু আপুর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে!
কথাটি শুনে আমি এতোটাই কষ্ট পেয়েছিলাম যে; পকেটে থাকা ৫টি চকলেট একসাথে মুখে নিয়ে কামড়ে খেয়েছিলাম।
আমি কাব্য৷ তখন ক্লাস ফোর এর বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছি।
নিজের মধ্যে একটা সিনিয়র সিনিয়র ভাব এসেছে। আর কিছুদিন পরেই পরেই আমি ক্লাস ফাইভে উঠবো। প্রাইমারী লেভেলে ক্লাস ফাইভ মানে স্কুলের সব থেকে সিনিয়র পার্সন। অলরেডি এলাকার পিচ্চিদের সারাদিন দৌড়ের উপরে রাখি। এলাকার সব পিচ্চিরা আমার নাম শুনলেই ভয় পাই৷ কারণ সামনের বছর যারা ক্লাস ফাইভে উঠবে তাদের কে নিয়ে একটি গ্যাং আছে আমার। আমার গ্যাং বিপক্ষে আরো একটি গ্যাং আছে।
সেই গ্যাং টা হলো খান পাড়ার ফয়সালের। রাস্তের একপাশে গাজীপাড়া। অন্য পাশে খানপাড়া। আমাদের দুজনের মধ্যে প্রায়ই তুমুল মারামারি হয়। মারামারিতে আমার প্রধান হাতিয়ার হলো চোতরা পাতা। এই পাতা একবার কারো গায়ে ডোলে দিলে চুলকাতে~ চুলকাতে রফাদফা হয়ে যায় তার। আমার গ্যাং সাথে ফয়সালের গ্যাং এর সবসময় মারামারি লেগেই থাকে।
আমাদের দোতলা বাড়ি।
নিচতলায় মিতু আপুরা ভাড়া থাকে। মিতুপু এখন অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী। মিতু আপুকে আমি ভালোবেসে মিতুপু বলে ডাকি। মিতুপুর বাবা আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনিও আমাকে খুব ভালোবাসেন। কারণ আমি দুষ্টু হলেও ক্লাসের ফার্স্ট বয়। মিতুপুর কাছে আমি সেই ক্লাস ওয়ান থেকে প্রাইভেট পড়ি। আমি আগে পড়তে বসতে চাইতাম না। সেজন্য আমার মা আমাকে প্রায়ই মারধর করতো। পরে মিতুপুই আম্মুকে বলে যে,আন্টি এখন থেকে কাব্য কে আমি পড়াবো।
ওকে পড়ানো নিয়ে আপনার আর ভাবতে হবে না। মিতুপু আমাকে অনেক ভালোবাসে৷ কখনো সে আমাকে মারেনি৷ খুব আদর করতো আমাকে। প্রতিদিন পড়তে বসার আগে বিভিন্ন খাবার খেতে দিতো। আর চকলেট তো রোজই দিতো। ঈদের ছুটিতে মিতুপুরা তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যেতো। প্রায় ১০দিন মতো থাকতো গ্রামের বাড়িতে। সেসময় টা আমার জন্য খুবই কষ্টের ছিলো। এই সময়টাতে খুব বেশি মিস করি মিতুপু কে। মিতুপু কে এলাকার কলেজ পড়ুয়া অনেক ছেলেই পছন্দ করতো। তারমধ্যে সব থেকে বেশি খারাপ ছিলো অন্তর ভাই। অন্তর ভাই তো দুপুরের কড়া রোদের মধ্যেও মিতুপু কে একনজর দেখার জন্য বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো৷ আবার আমাকে পটানোর জন্য একগাদা চকলেট দিতো। আর তার বিনিময়ে চিঠি পৌঁছে দিতে বলতো মিতুপুর কাছে। যেটা একদমই সহ্য হতো না আমার।
আমি চকলেট গুলো নিয়ে বাসায় চলে আসতাম। আর চিঠিটা ছিড়ে ফেলতাম। ব্যাটার সাহস কতো আমাকে দিয়ে মিতুপু কে চিঠি দেওয়াবে। একবার তো আমি ছাদ থেকে বড় একটা ইট মেরেছিলাম নিচে দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর ভাইয়ের মাথার উপর। কিন্তু তার ভাগ্য ভালো ইট মাথায় না লেগে হাতে লেগেছিল। তারপর থেকে আর আমাদের বাসার নিচে দাঁড়ায় না। তবে মিতুপু বাসা থেকে বের হলে তাকে রাস্তায় মিতুপুর পিছু নিতে দেখা যেতো।
একদিন বিকালে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ফয়সালের সাথে তর্কাতর্কি হয়। ঝামেলার মূলে ছিলো কারা আগে ব্যাটিং করবে এটা নিয়ে৷ একপর্যায়ে মারামারি লেগে যায়৷ তারপর খেলা বন্ধ করে বাসায় চলে আসি৷ বাসায় আসতেই জানতে পারলাম আগামীকাল ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে মিতুপু কে। পছন্দ হলেই নাকি সামনের সপ্তাহে বিয়ে। কথাটি শুনে আমার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো৷ আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না যে মিতুপুর বিয়ে হয়ে যাবে। তাকে আর দেখতে পাবো না। আমি সোজা মিতুপু দের বাসায় যায়৷ গিয়ে মিতুপুর আব্বুর সামনেই বলি আমি তোমাকে বিয়ে করবো৷ শুনে সবাই হো হো করে হেসে দেয়।
কেউ আমার অবুঝ মনের ভালোবাসার কোনো মূল্যই দেয় না।
মিতুপুও আমার সাথে মজা নেয়৷ বলে চল কাব্য আমরা বিয়ে করি। তখন সবাই আরেক দফায় অট্টহাসি তে মেতে ওঠে। আমি রাগে সেখান থেকে বের হয়ে এলাকার পশ্চিম পাশের বড় মাঠে গিয়ে বসে৷ প্রায় সন্ধ্যে নেমে এসেছে। পকেটে হাত দিয়ে ৫ টা চকলেট পায়৷ তখন ১ টাকাতে ৪ টা চকলেট পাওয়া যেতো। আমি প্রতিবারই চকলেট কিনতে গিয়ে কৌশলে ৫ টা চকলেট বের করে নিতাম বোয়াম থেকে। রাগে ৫টা চকলেট মুখে নিয়ে চিবোতে থাকি।
এদিকে মশার কামড় ও আর সহ্য করা যাচ্ছেনা। পায়ের কাছে একটা ইট পড়ে ছিলো। সেটা হাতে নিয়ে মাঠের অন্যপাশে ছুড়ে মারি। কিন্তু বিধিবাম। কে জানতো সেখানে এলাকার সবথেকে পাগলা কুকুর ভোলা দাঁড়িয়ে ছিলো। ইট লাগতে না লাগতে ভোলা ঘেউ ঘেউ করে আমার পিছে তাড়া করে। আর আমি তখন চোখ বুঝে দৌঁড়াতে থাকি। আর মনে মনে বলি আল্লাহ এই শেষবার। আর কখনো এইরকম করবো না। এইবারের মতো আমাকে বাঁচাও। আমি শুক্রবারে মসজিদে দুই টাকা দিবো৷
কিছুক্ষণের মাঝেই ভোলা আমার প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে দৌড়ে সাথে৷ আর সাথে তার ভয়ঙ্কর ডাক৷ আমি এইবার বললাম আল্লাহ বাঁচাও আমাকে। দুই টাকা না পাঁচ টাকা দিবো মসজিদে… না না দশ টাকা দিবো। এভাবে কিছুক্ষণ দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে মাঠ পার করে একটা বাড়ির সামনে পৌঁছায়। বাড়িটির গেইট খোলা ছিলো। আমি তাড়াতাড়ি ভিতরে ঢুকে গেইট লাগিয়ে দেই।
তারপর খেয়াল হয় যে এটা অন্তর ভাইদের বাড়ি৷ গেইটে শব্দ পেয়ে ভেতর থেকে অন্তর ভাইয়ের মা বেরিয়ে আসে। আমি যখন বলি যে ভোলার দৌঁড়ানি খেয়ে এই অবস্থা। তখন আন্টি আমাকে ভেতরে আসতে বলে। আমাকে বসতে দিয়ে আন্টি নুডুলস বানিয়ে আনে। নুডুলস আমার খুবই প্রিয়। আমি গোগ্রাসে গিলতে থাকি। কিছুক্ষণ পরে অন্তর ভাই আসে।
আর তারপর জানতে পারি কাল অন্তর ভাই~ ই দেখতে যাবে মিতুপু। এই কথা শোনার পরে ওখানে আর এক মুহূর্ত থাকতে ইচ্ছে করছিলো না। কিন্তু নুডুলস তখনও অনেক খানি রয়ে গেছে বাটিতে৷ তাই চুপচাপ নুডুলস খাওয়া শেষ করে উঠে পড়ি। অন্তর ভাই আমাকে এগিয়ে দিতে আসে৷ আমি আর আপত্তি করি না। পিছে আবারও যদি ভোলার কাছে দৌঁড়ানি খেতে হয় সে ভয়ে চুপ থাকি। পুরোটা পথ আমি চুপচাপ ছিলাম। বাসার কাছাকাছি আসতেই আমি অন্তর ভাইকে বলি,
~ তুমি এখন যাও। আমি একাই যেতে পারবো।
~ আর তো অল্প একটু পথ আছে। এটুকুও এগিয়ে দেই।
~ লাগবেনা। আমাকে কি তোমার ভীতু মনে হয় নাকি?
~ আচ্ছা সাবধানে যাস।
~ হু…
আমি একটু সামনে এগোতেই দেখি ভোলা চার হাত-পা মেলে বসে আছে রাস্তার মাঝে। আমি দেখেই চমকে যায়। দৌঁড়ে গিয়ে অন্তর ভাইয়ের হাত ধরি।
তারপর বলি,
~ আচ্ছা তুমি যখন এতো করে বলছো, তাহলে একবারে বাসা পর্যন্তই চলো৷ আর তো বেশি পথ বাকি নেই।
~ তুই যা। আমার একটু সেলুনে যেতে হবে। চুল দাড়ি ছাটতে হবে।
~ পরে হবে৷ তুমি চলো আমার সাথে।
পরে আমার অনেক জোরাজোরি তে অন্তর ভাই এগিয়ে দেয় আমাকে। কিন্তু গেইটের সামনে আসতেই আমি তাকে বিদায় দিয়ে দেই।
পরদিন অন্তর ভাই তার বাবা মায়ের সাথে দেখতে আসে মিতুপু কে৷ এবং বিয়ের তারিখও ঠিক করে ফেলে। সামনের সপ্তাহে বিয়ে। দেখতে দেখতে গড়িয়ে যায় একটি সপ্তাহ। আগামীকাল মিতুপু আর অন্তর ভাইয়ের বিয়ে৷ আমি কি করবো ভেবে না পেয়ে বিকালে বড় মাঠের এক পাশে বসে থাকি। আমাকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে ফয়সাল আসে।
এমনিতে ওর সাথে আমার সারাক্ষণ মারামারি লেগে থাকলেও একই ক্লাসে পড়ার সুবাদে আমরা বেশ ভালো বন্ধু। ও আমাকে জিজ্ঞাসা করে,
~ কাব্য কি হইছে রে তোর? কারো সাথে গ্যাঞ্জাম লাগছে
? খালি নাম টা বল। একদম ভেঙে দিয়ে আসবো তাকে।
~ নারে ওইরকম কিছু না।
~ তাহলে?
~ কিছু না বাদদে।
~ আল্লার কিরে কাটলাম। কাউ রে কিছু কবো না। কি হইছে বল আমাকে।
~ মাথা ছুঁয়ে বল কাউকে বলবি না৷ যদি বলিস তাহলে তুই কিন্তু মইরে যাবি।
~ আচ্ছা। এইযে মাথা ছুঁয়ে বললাম। এবার বল।
~ না তুই মাথা ছুঁইস নি। তুই চুল ধরে বলছিস।
~ তাহলে ক্যামনে ধরবো মাথা?
~ থাক। তুই চোখ ছুঁয়ে প্রমিস কর৷ যদি কাউকে বলে দিস তাহলে তোর চোখ কানা হয়ে যাবে।
~ আচ্ছা চোখ ছুঁয়ে বললাম। এবার বল।
~ না চোখ ধরলেও হবেনা। তুমি মাটির উপরে দাঁড়িয়ে বল।
~ আচ্ছা মাটির উপরে দাঁড়িয়ে বললাম। কাউকে বলবো না।
~ না তুই তো স্যান্ডেল এর উপরে দাঁড়ানো। হবেনা।
~ আচ্ছা এই নে স্যান্ডেল খুললাম। এবার বল।
~ এবার তো ঘাসের উপরে দাঁড়িয়ে আছিস।
~ তাহলে মাটি কই? তুই ই বল।
~ ওইযে গর্তে পানি জমে কাদা হয়ে আছে। ওখানে মাটি আছে। ওখানে দাঁড়িয়ে বল।
ফয়সাল আমার গোপন কথা শোনার জন্য কাদা পানির ভেতর গিয়ে দাঁড়ালো।
তারপর বললো,
~ হইছে? এবার তো বল।
~ হুমম। আচ্ছা বলতেছি। কিন্তু কাউকে বলবি না কিন্তু। যদি বলিস, তাহলে তুই পরীক্ষায় ফেল করবি।
~ কসম কাটলাম কাউকে কিছু বলবো না।
~ আচ্ছা তাইলে শোন…
~ হুমম বল।
~ আমি আসলে…
~ তুই আসলে কি?
~ আসলে আমি একজন কে পছন্দ করি।
~ কাকে পছন্দ করিস?
~ আছে একজন। তাকে তুইও চিনিস।
~ নাম কি তার?
~ মিতুপু…
~ কি কস? মিতুপু তো তোর থেকে অনেক বড়। তাইলে ক্যামনে কি?
~ জানি না। আগামীকাল অন্তর ভাইয়ের সাথে মিতুপুর বিয়ে৷ এখন কীভাবে বিয়ে ভাঙা যায় সেই বুদ্ধি দে।
~ আচ্ছা তাহলে একটা কাজ কর।
~ কি কাজ?
~ মিতুপু রাতে ঘুমানোর আগে কি মুখে কিছু মাখে?
~ মানে?
~ আমার আপুকে দেখছি রাতে ঘুমানোর আগে মুখে কিসব ফেসপ্যাক না কি জানি লাগিয়ে ঘুমায়। পরে সকালে উঠে ধুয়ে ফেলে।
~ হ্যাঁ। মিতুপুও মাখে।
~ তাহলে তো হয়েই গেল।
~ কি হলো?
~ শোন তুই মেহেদী পাতা বেটে রাখবি। আজ রাতে মিতুপু মুখে যা মাখে তার সাথে মেহেদী পাতা বাটা মিশিয়ে দিবি। তাহলেই হয়ে যাবে।
~ কি হবে তাহলে?
~ তাহলে সকালে যখন মুখ ধুবে, তখন পুরো মুখ লাল রং হয়ে যাবে। তাহলে ঐ অবস্থায় আর বিয়ে হবেনা।
~ সত্যি? কাজ হবে?
~ হ্যাঁ হবে হবে।
~ দোস্ত তুই এতো ভালো। যা কাল তোকে আগে ব্যাটিং করতে দিবো৷ এখন যাই আমি। মেহেদী পাতা ম্যানেজ করতে হবে।
~ আচ্ছা যা। কি হয় জানাস।
আমি রাতে মিতুপু মুখে যা মাখে সেটার সাথে মেহেদী পাতা বাটা মিশিয়ে মনের আনন্দে ঘুমাতে গেলাম।
যদি সবাই জেনে যায় যায় সেই ভয়ে সারারাত আর ঘুম হলোনা। তাই পরদিন খুব ভোরে কাউকে কিছু না জানিয়ে খালা বাড়ি চলে গেলাম। দু’দিন পরে বাড়ি ফিরতেই দেখি মিতুপুর আম্মুর মুখ লাল হয়ে আছে। মানে ঐদিন মেহেদী বাটা মিতুপু মাখেনি। ওটা মেখেছিল মিতুপুর আম্মু। তারপর জানতে পারলাম মিতুপুর বিয়ে গেছে। কথাটা শুনে যতোটা না কষ্ট হলো, তার থেকে বেশি রাগ হলো ফয়সালের উপরে। ওর বুদ্ধি মতো কাজ করেই আজ এই অবস্থা। ওকে আজ মজা বুঝাবো। দু’হাতে পলিথিন বেঁধে অনেক গুলো চোতরা পাতা নিলাম।
তারপর এগিয়ে গেলাম বড় মাঠের দিকে। ঐতো ফয়সাল। ব্যাটা আমাকে উল্টো পাল্টা বুদ্ধি দিয়ে এখন মজা করে ক্রিকেট খেলছে। আমি দু’হাত পিছনে লুকিয়ে রাখে ফয়সাল কে ডাক দিলাম৷ আজ ওকে মজা বুঝাবো। ফয়সাল আমার ডাক শুনে ব্যাট রেখে দৌঁড়ে চলে আসলো আমার সামনে। আমি যেই না দু’হাত সামনে নিয়ে ওর গায়ে চোতরা পাতা লাগিয়ে দিবো, ঠিক তখনি কোথা থেকে জানি ভোলা এসে হাজির৷ ভোলা ঘেউ ঘেউ করে ডেকে উঠলো। ভোলার ডাক শুনে আমার আত্মা পারলে বুকের খাঁচা ছেড়ে পালাবে। দু’জন দুদিকে দৌঁড় দিলাম৷ দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে মনে মনে বললাম,
“আল্লাহ এবারের মতো আমাকে বাঁচিয়ে দাও৷ এবার আমি সত্যি সত্যিই শুক্রবারে মসজিদে ২০ টাকা দিবো৷ সাথে আগের দিনের দশ টাকাও দিয়ে দিবো। এবারের মতো বাঁচিয়ে দাও আমাকে। “
লেখা ~ কাব্য গাজী
সমাপ্ত
(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “ভোলা – নতুন বাংলা রম্য গল্প” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ। )