পিংক কালারের বিষ – একটি ছোট্ট প্রেমের গল্প

পিংক কালারের বিষ – একটি ছোট্ট প্রেমের গল্প: আচ্ছা এখন ভরা পেট আছে, আপাতত আপনার পিংক কালারের বিষ খাবো না। যখন আপনার সাথে কথা বলে মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে তখন খাবো।


পর্ব ১

এই দোকানের মালিক কে?

  • জ্বি আমি…

এই ছোট বয়সের কেউ মালিক হয়?

  • জ্বি হয়, এই যে আমি।

আচ্ছা আপনার দোকানে বিষ আছে?

  • জ্বি।

আমাকে বিষ দিন।

  • জ্বি ইয়ে মানে।

আজব ছেলে তো বাংলা কথা বুঝেন না।

  • জ্বি।

সিয়াম তাকিয়ে আছে সামনে দাঁড়ানো মেয়েটির দিকে। মনে হচ্ছে সারা রাত কান্নাকাটি করেছে।
চোখ দুই টা হালকা ফুলে আছে।

সিয়ামের মনে হচ্ছে এই সেই নাটোরের বনলতা সেন।

যাকে কবি না দেখে আন্দাজে রুপের বর্ননা দিয়েছিলেন। এত সুন্দর মেয়েদের মুখে বিষ শব্দ টাও সুন্দর শোনায়।

তবে যাই হোক এই মেয়ে কে বিষ দেওয়া আর জেলখানার একটা ১৪ সিকের রুম কেনা উভয় সমান।

হ্যালো। এই যে আমি আপনাকে বলছি। বিষ দিন আমাকে।

সিয়াম মেয়েটির কথায় হকচকিয়ে গেল।
একটু মজা করেই বলল, আচ্ছা বলুন কি কালারের বিষ লাগবে?

মেয়েঃ মানে, বিষের আবার কালার হয় না কি?
সিয়ামঃ আলবাত হয়, এর আগে একবার খাইলে বুঝতেন। ‘

এই যেমন কালো, সাদা, নীল, পিংক কালার ইত্যাদি।
মেয়েঃ কালো বিষ দেন।

সিয়ামঃ ছিঃ ছিঃ ভুল করেও খাবেন না, মরার পরে দাঁত কুচকুচে কালো দেখাবে।

আপনাকে যারা দেখতে আসবে সবাই বলবে মেয়ের দাঁত কালো।

মেয়েঃ নাহ থাক তাহলে। আচ্ছা নীল কালার আমার খুব পছন্দ। নীল কালারের বিষ দেন।
সিয়ামঃআরে না, নীল কালারের বিষ নিমের পাতার মত তিতা।

তবে আপনার সাথে পিংক কালারের বিষ ভাল মানাবে।

মেয়েঃ ধ্যাত বিষের এত কাহিনী। যা মনে চায় দিয়ে দিন।

সিয়াম সিভিটের পাতা থেকে ২ টা সিভিট সাদা কাগজে জড়িয়ে দিলো।
মেয়েঃ কত টকা?

সিয়ামঃ আপাতত টাকা লাগবে না। পড়ে এসে দিয়েন।
মেয়েঃ আপনি কি আমাকে পাগল পেয়েছেন?

সিয়ামঃ কেন?
মেয়েঃ আমি মারা যাওয়ার পর কিভাবে দিবো?
সিয়ামঃ তাহলে ফোন নাম্বার দিয়ে যান।

মেয়েঃ নাহ ফোন নাম্বার দিতে পারবো না।
সিয়ামঃ ওকে তাহলে আমার টা নিয়ে যান।
বিষ খাওয়ার আগে কল দিয়েন।

কিভাবে খেতে হবে বলে দিবো।
সিয়ামের কথাতে মেয়েটার মুখে কিছু টা হাঁসি ফুটলো।
রাত ১১.৪৭ মিনিট।

হ্যালো! কে বলছিলেন?

  • আমি সিয়াম।

আপনি মিয়া একটা ফাউল।

  • কেন? ?
    আপনার বিষ সিভিটের মত কেন?
  • আপনি কি খালি পেটে খেয়েছেন?
    জ্বি।
  • সেই জন্য সিভিটের মত লেগেছে। এক কাজ
    করুন ভরা পেটে খান।

আপনি যেমন, আপনার দোকানের বিষ তেমন।
আমি এখন ভাত খাইলে রাগ চলে যাবে।
কারণ ভরা পেটে আমার রাগ থাকে না।

  • তাহলে খেয়ে উঠে আমাকে কল দেন, আমি
    রাগ বাড়িয়ে দিয়ে বিষ খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবো।
  • তবে আপনি যেমন মানুষ তাতে খারাপ বলেন নাই।

কারণ আপনাকে কল দিলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে।
ওকে আমি খেয়ে এসে কল দিচ্ছি।

সিয়াম অপেক্ষা করতে থাকলো সেই ফোন কলের।
রাত ১২:১৯ মিনিট।
সিয়াম ফোন হাতেই ঘুমিয়ে পরেছে।
হাতেই ফোন বেজে চলছে।

কাঁচা ঘুমের মাঝে ফোন না রিসিভ করেই হ্যালো হ্যালো করতে থাকলো সিয়াম। ততক্ষনে ঘুম ভেঙে গিয়েছে সিয়ামের।
তাকিয়ে দেখলো ৩ টা মিসকল!
সিয়াম সাথে সাথে ফোন ব্যাক করলঃ
অপর পাশে থেকে মেয়েটি হ্যালো বলল,
কিন্তু সিয়াম তো নাম জানে না মেয়েটির।
তাই বললঃ হ্যালো আপনি কি পিংক কালারের বিষ বলছেন?
মেয়েটি শুনেই ফিক করে হেঁসে ফেললো।

  • হ্যালো মিঃ আমার নাম নেহা। আমার নাম পিংক কালার না।
    সিয়ামঃ নাম জানা হয় নাই, তাহলে কি বলে ডাকবো?
  • আচ্ছা এখন ভরা পেট আছে, আপাতত আপনার পিংক কালারের বিষ খাবো না। যখন আপনার সাথে কথা বলে মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে তখন খাবো।
    আর যদি তাতেও কাজ না হয় তবে ফাঁসি নিবো।
    সিয়ামঃ এই কাজ ভুল করেও করবেন না।
    নেহাঃ কেন?

সিয়ামঃ আপনি যথেষ্ট সুন্দরী একটা মেয়ে। ফাঁসি নিলে সবাই দেখতে আসবে।
আর ফাঁসি নেওয়া মানুষের জিব্বা বাহির হয়ে যায়।
সবাই দেখে বলবে মেয়ে টা ভেংচি কাটছে সবাই কে।
নেহাঃ না না থাক তাহলে।

সিয়ামঃ আচ্ছা একটা কাজ করতে পারেন, মারা যাওয়ার আগে হালকা কাজল এবং কালো টিপ পরতে পারেন।
তাতে সুন্দর লাগবে।

নেহাঃ এই ছেলে আমাকে বোকা পেয়েছেন।
আমি মারা গেলে সুন্দর দেখবে কে?
সিয়ামঃ শুনুন আপনি মারা যাওয়ার পর আপনার লাশ যাবে লাশ কাটা ঘরে।
এরপর ডোম আপনার লাশ কাটবে।

চেহারা ভাল না দেখা গেলে, ডোম রা না কি ভাল করে সেলায় করে না।
নেহাঃ হায় হায় কি বলেন এই সব। সত্যি তো এই সব ভাবি নাই আগে।
এই সব কিছুর জন্য আপনি দ্বায়ী।

এক বিষ চাইলাম, হাজার রকম বিষের নাম বলে কনফিউজ করলেন।
শেষে পিংক কালারের বিষ দিলেন কিন্তু সে টা খেয়ে কিছু হল না।
পরে বললেন ভরা পেটে খাওয়ার জন্য।
সত্যি সত্যি ভরা পেটে খেলাম।

এত রাগের মাঝে ভাত খাওয়া কত কষ্টের আর মান ইজ্জতের ব্যাপার আপনি বুঝবেন না। আম্মা তাকিয়ে মুচকি মুচকি হেসেছে আমার খাওয়া দেখে।
কিন্তু ভরা পেটে আমার আবার রাগ থাকে না।

এখন ওয়েট করছি আপনার সাথে কথা বলে রাগ বাড়ানোর জন্য।
সিয়ামঃ কিছু সময় কথা বলুন রাগ এমনি এমনি উঠে যাবে। তখন খেয়ে নিবেন।
নেহাঃ শুনুন ভরা পেটে যদি পিংক কালারের বিষ কাজ না করে তাহলে কিন্তু কারেন্ট ধরব আমি।
সিয়ামঃ ধরতে পারেন, তবে পুড়ে আপনার চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে। কালো দেখাবে। তখন টিপের কালার আর ফেসের কালার এক হয়ে যাবে।

নেহাঃআপনার ফালতু পিংক কালারের বিষের জন্য সব প্ল্যান নষ্ট হয়ে গেল। এখন তো আমি আমার বান্ধবীর চিন্তাই আছি।
আচ্ছা আমাকে একটু বুব্ধি দিতে পারবেন?

তবে দয়া করে উল্টাপাল্টা বুব্ধি দিয়েন না।
সিয়াম: জি বলুন ফ্রেস বুব্ধি দিবো।
নেহাঃ আমার বান্ধবী একটা ছেলে কে ভাল বাসে, ছেলেও ভালবাসে, কিন্তু ইদানীং ওদের মাঝে আরেক টা মেয়ে চলে আসছে।

সিয়ামঃ আরে এত তো সহজ বুব্ধি।
যে মেয়েটি মাঝে চলে আসছে। কথা প্রসঙ্গে তার বয়ফ্রেন্ড কে বলে দিক, অমুক মেয়েটি আমার বান্ধবী হয়।

দেখবেন ছেলেটি ভুল করেও আর সেই দিকে যাবে না।
কারন মেয়েরা পেটের খবর একে অপর কে বলে দেয়।

শেষে যদি সম্পর্কের কথা জেনে ফেলে একে অপরের সেই ভয়ে।
নেহাঃ বুব্ধি টা খারাপ না। আপনাকে যতটা ফালতু ছেলে ভেবেছিলাম তত টা ফালতু না।
সিয়ামঃ জ্বি চোর হলেও বংশ ভাল আমাদের।

নেহা এই কথা শুনে হাসতে শুরু করল। নেহা এক নাগাড়ে হেসে চলছে।
মনে হচ্ছে অনেক দিনের চেনা একটা মানুষের সাথে কথা বলছে।

তবে যাই হোক এই মেয়ে বলে বিশ্বাস নাই,
কখন যে কি করে ফেলে।
যে করেই হোক আটকাতে হবে।

মেয়েদের মনে যত টা রাগ থাকে, ঠিক তত টাই নরম মনের হয়।
হ্যালো

  • জ্বি শুনতে পাচ্ছি।
    হ্যালো
    জ্বি শুনতে পাচ্ছেন।
    হ্যালো।

আপাতত নেহা আর সিয়ামের ফোনের নেটে সমস্যা।
নেটওয়ার্ক ঠিক হলে আবার লিখবো।


পর্ব ০২ (অন্তিম)

অনেকক্ষণ হ্যালো হ্যালো করার পর সিয়াম তাকিয়ে দেখলো নেট সমস্যা।
শীতের রাতে কম্বলের নিচে কথা বলা টা কষ্টকর।

আর কম্বলের নিচে কথা বলতে গেলে মাঝে মাঝে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
সিয়াম তাড়াহুড়া করে গায়ে শীতের চাদর জড়িয়ে রুমের বাহিরে চলে গেল।
হিমেল হাওয়াতে দাঁতে দাঁত ঠকঠক করা অবস্থায় ফোন দিতে গিয়ে দেখলো,
নেহা অলরেডী ফোন দিয়েছে আগেই।

সিয়ামঃ হ্যালো।

নেহাঃ জ্বি শুনতে পাচ্ছি।
সিয়ামঃ নেট সমস্যা।
তাই বাহিরে এসেছি।

নেহাঃ ফিক করে হেঁসে বলল, আমিও লেপের বাহিরে এসেছি।
সিয়ামঃ বাহ বাহ দুইজনের একি অবস্থা।

নেহাঃ আচ্ছা শুনুন আপাতত আপনার পিংক কালারের বিষ খাওয়ার ইচ্ছা চলে গিয়েছে।
কারন আপনি ইচ্ছা করে এমন বিষ দিয়েছেন।

সিয়ামঃ হা হা হম এত আমি ইচ্ছা করেই দিয়েছি।
এত সুন্দর মানুষ এত আর্লি ইচ্ছা করে মারা গেলে হয়,
আর আপনি কেন মারা যেতে চান সে টা বলুন।

নেহাঃ আপাতত বলব না, পরে কোন একদিন বলব।
সিয়ামঃ আচ্ছা আপনার কি কি পছন্দ?

নেহাঃ পিংক কালারের ড্রেস, পিংক কালারের নেইল পলিশ, পিংক কালারের টিপ, পিংক কালারের লিপিটিষ্ট, পিংক কালারের চুড়ি, পিংক কালারের আলতা, পিংক কালারের জুতা।

আর সবচেয়ে বেশী ভালবাসি মেহেদী দিয়ে দুই হাত লাল করতে।
সিয়ামঃ থামুন থামুন আমি পিংক কালারের পানি খেয়ে আসি।
আল্লাহ একটা মানুষের এত পিংক কালার কিভাবে পছন্দ হয়।

নেহাঃ আপাতত পিংক কালারের বিষ এবং পিংক কালারের বিষের মালিক কেউ খারাপ লাগছে না।
সিয়ামঃ প্লিজ দয়া করে এখন আমাকে পিংক কালার হতে বলবেন না।

আমার দোকানে পিংক কালার নাই, যেটা আমার গায়ে মেখে পিংক কালারের মানুষ সাজবো।
নেহা কথা শুনে আবার হাঁসা শুরু করল।

মেয়ে টার সাথে যত কথা হচ্ছে,
সিয়াম ততই অবাক হয়ে যাচ্ছে।

নেহাঃ শুনুন কাল আমি আপনার পিংক কালারের বিষের দাম দিতে আসবো। কত টাকা সে টা আগেই বলুন।

ওহ আরেক টা ব্যাপার, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অবশ্য সামনে গিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।

সিয়ামঃ বলুন তো আমাকে কেন ধন্যবাদ দিচ্ছেন?
নেহাঃ আসলে আমার বিয়ের কথা হচ্ছিল, কিন্তু আমি এখনো পড়াশুনা করছি। কিন্তু বাসা থেকে বিয়ের ব্যাপারে বলেছে!

যদিও বলেছে আমার যদি পছন্দ থাকে তার সাথেই দিবে কিন্তু আমি বিয়ের ব্যাপারে মোটেও রাজি না।

সেদিন প্রচন্ড রাগ হচ্ছিল, সত্যি সত্যি যদি বিষ থাকতো তাহলে খেয়ে ফেলতাম!
আপাতত বিয়ের ব্যাপারে আর কোন কথা বলছে না।

বলছে আমার যেদিন যাকে পছন্দ হবে সেদিন তার সাথে বিয়ে হবে।
কিন্তু আপনার সাথে কথা বলতে চাইলাম রাগ বাড়ানোর জন্য কিন্তু আপনি এত ফ্যানি একটা মানুষ কথা না বললে বুঝতে পারতাম না।
সিয়ামঃ যাক তাহলে ভালই করেছি।

শুনুন চীনা একটা প্রবাদ আছে উত্তেজিত মস্তিষ্ক কখনো সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারে না’’ তাই কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে আগে রাগ কমিয়ে তারপর নিতে হয়।
আচ্ছা আপনি কি কাল আসবেন?

নেহাঃহম আসবো আপনার পিংক কালারের বিষের টাকা দেওয়ার জন্য।
সিয়ামঃ ওকে যেহেতু পিংক কালারের বিষ খাওয়াতে পারি নাই। তাহলে আপনাকে পিংক কালারের ফুসকা খাওয়াবো।

নেহা কথা শুনে হেঁসে ফেললো।
নেহাঃ ওকে তাইলে একটা শর্ত আছে, আমি পিংক কালারের ড্রেস পরোব, সাথে আপনিও পিংক কালারের সার্ট পড়বেন।
সিয়ামঃ কি যন্ত্রণা।

পিংক কালার মেয়েদের কালার। আর এই কালারের কোন সার্ট নাই।
নেহাঃ বা রে আপনি বললেন আমি সুন্দরী আর সুন্দরী মেয়ের এই আবদার টা রাখবেন না। নাই তো কি হয়েছে বানিয়ে নিবেন।

সিয়ামঃ এখন রাত ২ টা। কাল কখন আমি মার্কেট যাবো আর কখন বানাবো।
নেহাঃ ওকে তাইলে পিংক কালারের যেকোন একটা কিছু আপনার সাথে থাকলেই হবে।
সিয়ামঃ ওকে তা থাকবে।

তবে আপনাকে স্বাগতম জানানোর জন্য ফুল থাকবে, তবে দয়া করে পিংক কালারের ফুল চাইবেন না।

নেহা হেঁসে চলছে এক নাগাড়ে।
কথা বলতে বলতে ভোর ৫ টা বেজে গেল।
তবুও যেন কথা শেষ হওয়ার না।
ফোন রাখার পরে ঘুমাইতে গেল দুইজন।
সকাল হয়ে যাচ্ছে তবুও ঘুম দুইজনের চোখে।
কথা হয়েছে বিকাল ৫ টার সময় দেখা হবে।

নেহা আসবে পিংক কালারের বিষের দাম মেটানোর জন্য।
সিয়াম নেহা নামক দুই মানব- মানবী নতুন কোন স্বপ্নের পথে।
সিয়াম ফুল হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
ঘড়ির কাটার সময় যেন কিছুতেই যাচ্ছে না।
৪ টা ৫৩ মিনিট।

প্রতিটি মিনিট যেন ঘন্টার মত।
এর মাঝে ৪ বার ফোন দিয়েছে।
দূর থেকে সিয়াম দেখতে পেলো,
রিক্সাতে পিংক কালারের ড্রেস পরে কেউ একজন আসছে।
মুখ টা বোঝা যাচ্ছে না।

একটু কাছে আসতেই দেখতে পেলো নেহা।
সিয়াম কি বলবে?
অনেক কথাই বলা হয়নি।

রাস্তার ওপারে নেহা রিক্সা ভাড়া মিটিয়ে এপারে আসতেছে।
সিয়াম দেখতে পেলো নেহা সত্যি সত্যি পিংক কালারের ড্রেস কপালে পিংক কালারের টিপ পড়েছে।

সিয়াম ভাবলো এইবার তো তার জন্য পিংক কালারের একটা কাজী অফিস খুঁজা লাগবে। ঐ কথাটা নেহা বলতে লাগল পিংক কালারের একটা কাজী অফিসে তারা বিয়ে করবে, নেহা বলে উঠল দূর পাগল পিংক কালারের কাজী অফিস লাগবেনা আমার, যে কোন একটা অন্য কালারের হলেই চলবে। আর – হ্যাঁ আমি আপনাকে পিংক কালারের মানুষ বানিয়ে রাখতে চাই আমার জীবনে।

আপনাকে এতদিন যেভাবে জেনেছি ঐভাবে থাকা লাগবে পিংক কালারের মানুষ হয়ে।
এভাবে চলতে লাগল দুই জন পাগল আর পাগলির পিংক কালারের জীবন কাহিনী।

আর যারা গল্পটা পড়েছেন তাদের জন্য রইল এতগুলা পিংক কালারের ভালোবাসা।

লেখা – পিংকি

সমাপ্ত

(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “পিংক কালারের বিষ – একটি ছোট্ট প্রেমের গল্প” টি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ। )

আরো পড়ূন – প্রিয়তম – Romantic premer golpo in bengali

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *