এলিয়েন রহস্য পর্ব ১২

এলিয়েন রহস্য পর্ব ১২ – এলিয়েন মানবের গল্প | Alien Story

এলিয়েন রহস্য পর্ব ১২ – এলিয়েন মানবের গল্প: একটার পর একটা বাঁধা আমাকে কাবু করে ফেলছে, সুপার শক্তি থাকার পরেও কিছু করতে পারছি না। সব প্লানের মধ্যে গণ্ডগোল পাকাচ্ছে এই প্রযুক্তি টিম এবং তাদের রোবট। জানি না কি হবে আমার? কি করব আমি?

রোবটিক সফলতা

ন্যাশ রাগন্বিত চোখে শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও গাড়িতে উঠে। সর্ব শরীরে সবুজ রক্তে মাখামাখি হয়ে থাকার পরেও ন্যাশ ও বর্ণের প্রস্থানের দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে থাকে দ্যা পয়জন কিং।

রিভার্স ওয়ার্ল্ড এ একাকী দিন কাটছিল লিন্ডার। তার বাবা এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে নি। বাইসন এর সিকিউরিটি সাইবর্গ গুলো এমনিতেই সারাদিন সারারাত ধরে লিন্ডা ও ন্যাশ কে খুঁজে বেড়ায়। এর ভিতরে আরো একটা খারাপ সংবাদ আসে লিন্ডার কাছে। বাইসন নাকি “ও. এল. ভি. ওয়ান” নামের পঞ্চম মাত্রার একটি রোবট তৈরি করেছে লিন্ডা এবং ন্যাশকে পাকড়াও করার জন্য। যদি সেটা সত্য হয় তবে ন্যাশ এবং লিন্ডার কপাল একেবারেই পুড়লো।

পঞ্চম মাত্রার রোবট এর কাছে লিন্ডা – ন্যাশের মত শক্তিশালী সাইবর্গরাও খেলনা পুতুলের মত। এদের থাকে হুবুহু মানুষের মতই হাসি কান্না ভালোবাসা এবং দুঃখের অনুভূতি। আরো থাকে নিম্ন মানের রোবটের সিকিউরিটি সিস্টেম ব্রেক করে তাদের কপোট্রোন হ্যাক করে ফেলার মত ক্ষমতাও। একটা পঞ্চম মাত্রার রোবট অনেক গুল প্রথম দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ মাত্রার রোবটের অবস্থান সনাক্ত করতে পারে এবং মস্তিষ্ক হ্যাক করে নিজের ইচ্ছেমত তাদেরকে কন্ট্রোল করতে পারে।

পঞ্চম মাত্রার রোবটের এ ক্ষমতার কারণেই ধারণা করা হত একদিন রোবটরা সবাই মিলে পৃথিবী দখল করে নিবে। বাইসনের মাথায় ও এ বিষয়টি উঁকি দিয়েছিলো। তাই সে “ও. এল.ভি. ওয়ান” রোবটটিকে ধ্বংস করার জন্য ক্যাসপার নামের একটি শক্তিশালী ভাইরাস প্রোগ্রাম ফাইল ও তৈরি করে রাখেন।

সাইবর্গদের অবশ্য এ রোবটের হাত থেকে বাঁচার একটা উপায় রয়েছে। সাইবর্গদের যান্ত্রিক অংশটুকু ডিজেবল করে রাখলে পঞ্চম মাত্রার রোবট স্কান করেও তাদের সিগন্যাল খুঁজে পাবে না। কিন্তু সাইবর্গদের যান্ত্রিক অংশ অচল করে দেওয়া মানে অকেজো হয়ে মরার মত পরে থাকা। লিন্ডা প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মারাত্মক টেনশনে পরে যায়। একটা মেয়ের কাছে এই মুহূর্তটায় তার প্রিয়জন কাছে থাকাটা সত্যি ই অনেক জরুরী। লিন্ডার কাজ কর্ম করে দেয়ার জন্য অবশ্য ন্যাশ এবং তার নিজের অনেকগুলো ক্লোন রয়েছে। কিন্তু তাও প্রিয়জনের শূন্যতা পূরণ করার মত অন্য কোন ধরণের পরিপূরকই যথেষ্ট নয়।

ন্যাশের মাথা প্রচন্ড রকমের খারাপ হয়ে আছে। শ্রাবণের রক্ত লেগে তার গায়ের কিছু জায়গার চামড়া গলে গিয়ে ধাতব অংশ বের হয়ে এসেছে। বর্ণ না থাকলে রেজর সোর্ড দিয়ে মুহূর্তেই শ্রাবণকে দু’টুকরো করে ফেলতে পারতো ন্যাশ।

বর্ণ ন্যাশকে বুঝাতে চেষ্টা করছে, তাদের ঠান্ডা মাথায় সামনের দিকে আগাতে হবে। শ্রাবণকে খুন করে ফেলা মানে তাদেরই লস। আটক করে তথ্য নেয়া এবং তাদের এই ধংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পেছনের গল্প জানা খুব বেশি জরুরি। ভবিষ্যতে যাতে এমন কিছু না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

ভাবনার সাগরে ভাসা

জহির আংকেলের কাছে চার্লি ন্যাশ একটি বিষ্ময়কর বস্তু হয়ে উঠেছে। ন্যাশের যান্ত্রিক হাত ধরে কিছুক্ষন টিপাটিপি করে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলে, ওরে বাবা এ তো দেখি অনেক শক্ত। ন্যাশ বিরক্ত প্রকাশ করে টান দিয়ে জহির আংকেলের কাছ থেকে হাত সরিয়ে নেয়। জহির আংকেল তাতে কিছু মনে করেন না। সে ন্যাশের কানে কানে গিয়ে জিজ্ঞেস করে কিভাবে বাথরুম ব্যবহার করে ন্যাশ! কোন সমস্যা হয় কিনা! যদি সমস্যা হয় তাহলে যেন তাকে জানায়, লোহার কমোড বানানোর ব্যবস্থা করা যাবে।

তুরান জহির আংকেল এর এসকল কার্যকলাপ দেখে হাসতে হাসতে ই শেষ। তবে বর্ণ তার গম্ভীরতা কাটিয়ে উঠতে পারছে না। প্রতিদিন অনেক লোকজন বিনা কারণেই তাদের প্রাণ হারিয়ে ফেলছে। বর্ণ এবং ন্যাশ একটা ব্যপার ঠিকই বুঝতে পেরেছে। সেটা হলো রাতের আঁধার নামলেই বেড়ে যায় ডেভিলসদের শক্তি। দিনের আলোতে তারা অনেকটাই দুর্বল। ন্যাশ তার পকেট থেকে ছোট্ট একটা বক্স বের করে।

বক্স খুলতেই বের হয়ে আসে খুবই ক্ষুদ্র আকৃতির লাখ লাখ রোবোটিক পিঁপড়া। এগুলোকে বলা হয় মাইক্রোবট, যাদের মাথায় রয়েছে অতিক্ষুদ্রকার ক্যামেরা এবং অতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার লাইট। ফ্লোরের উপরে বসে বক্সটি উল্টে সব গুলো মাইক্রোবট ফ্লোরে ঢেলে দেয় ন্যাশ। ছোট ছোট অতি ক্ষুদ্রাকার ধাতব পা ব্যাবহার করে মুহূর্তের মধ্যেই মাইক্রোবটগুলো দৌড়ে বের হয়ে যায় বর্ণের বাসার কোন এক ফাঁকা জায়গা থেকে।

রাতে নামলেই শহরে ঘোর অন্ধকারের সাথে সাথে নেমে আসে প্রচন্ড ভয়।

আন্তর্জাতিক ভাবে ঢাকার এ ঘটনাকে নাম করন করা হয় ব্লাক ডেথ নামে। এই কালো মৃত্যুর তান্ডবে শহর একেবারেই খালি খাঁ খাঁ করছে। যারা আছেন এখন ও গা কামড়ে, তারা রাতে বাইরে নামা বন্ধ করে দেয় সবাই। শ্রাবণ এবং তাইসন কখনোই কারো ঘরে ঢুকে হামলা করে নি৷ কিন্তু রাতের বেলা যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছে তারা খুব কম সংখ্যকই জীবিত বাসায় ফিরতে পেরেছে।

শহরটা কেমন শূন্য। বাজারে বাজার বসানোর লোক নেই। বাসের জ্যাম নেই, খালি রাস্তাঘাট, ফার্মগেটের ভিক্ষুক গুলো আর ওভারব্রিজে ঘুমায় না। তারাও চলে গিয়েছে এখান থেকে৷ ভিক্ষা দেয়ার মানুষ নেই। শহরকে দেখাশোনা করা লোকের বড্ড অভাব দেখা দেয়। রাস্তাঘাটে ধুলো জমতে শুরু করে। আস্তে আস্তে হয়ত ধুলোর আস্তরণে ঢাকা পরে যাবে এই মায়ার শহর ঢাকা। শুধু ঢাকা না। হয়ত বাংলাদেশ তারপর পুরো পৃথিবী।

রহস্যের সন্ধান

এসব ভাবনা বর্ণকে ভীষণ পীড়া দিচ্ছে। বর্ণর বাটারফ্লাই ড্রোণ এবং ন্যাশের মাইক্রোবট মিলে শহর তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকে শ্রাবণ অথবা তাইসনকে। মাইক্রোবট থেকে অতি উচ্চ মাত্রার ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে শ্রাবণ বা তাইসনকে বাগে আনার চেষ্টা করবে বর্ণ এবং ন্যাশ। ন্যাশ আরো একটা ব্যপার খুব ভালো করে বুঝতে পারে, শ্রাবণ বা তাইসনের মধ্যে কোন একটা যোগসূত্র থাকলেও তারা একে অপরের বিরোধী মস্নেহাবের।

কারণ তাইসন এবং শ্রাবণ কখনোই একত্রে কারো উপরে হামলা করেনি কিংবা ওদের একত্রে দেখাও যায়নি। অথচ দুজন দুপ্রান্তে মৃত্যুর লীলাখেলা চালাচ্ছে, একজন আরেকজনের খবর নিশ্চয়ই রাখে।
ড্রোণ ও মাইক্রোবট দিয়ে সার্চ করতে করতে হঠাৎ খালি রাস্তার উপরে কাউকে একজন কে খুঁজে পায় ন্যাশ৷বর্ণ খুব আস্তে আস্তে তার ড্রোণ সামনে আগায়। রোড লাইটের আলোয় স্পষ্ট একটা মেয়ের অবয়ব দেখতে পায় ন্যাশ বর্ণ তুরাণ এবং জহির আংকেল। মেয়েটার গায়ে মিলিটারির পোশাক পরা। ঘাড়ের একটু নিচ পর্যন্ত চুল। স্লিম দেহ এবং মাত্রাতিরিক্ত ইনোসেন্ট চেহারা।

বুকের উপরের ব্যাজে খোদাই করে লেখা রয়েছে অলিভিয়া নামটি৷
হঠাৎ একটা ঝড়ো বাতাসে বর্ণের ড্রোণ কেঁপে উঠে। চারদিকে চোখ বুলাতেই বর্ণের সাথে উপস্থিত সবাই দেখতে পায় দূর থেকে যেন ভীষণ কালো কোন ধোঁয়া ছুটে আসছে অলিভিয়ার দিকে। ঠিক এই ভয়টাই পাচ্ছিল এতক্ষন ধরে ন্যাশ এবং বর্ণ।

খালি রাস্তায় এত রাতের বেলা একা একা হাঁটার মূল্য এখন সুদে আসলে হয়ত শোধ করতে হবে মেয়েটার। অলিভিয়া কেন যেন আচমকা ড্রোণের ক্যামেরার দিকে চোখ রেখে একটা মিষ্টি হাসি দেয় সাথে সাথেই অকার্যকর হয়ে ভূপাতিত হয় বর্ণের ড্রোণ। ন্যাশের মাইক্রোবট গুলো ও এখন আর কাজ করছে না। কি ঘটে চলেছে তার কিছুই দৃষ্টি গোচর হচ্ছে না বর্ণ কিংবা ন্যাশ এর৷

এদিকে বাসায় লাইট জ্বালিয়ে বসে থেকেই রাত কেটে যায় শ্রাবণের।

আলোর সম্মুখে থাকায় তার ভিতরকার ডেভিল পাওয়ার ও বাইরে আসতে পারে না। রাতে এভাবে জেগে থাকা আর দিনে ঘুমিয়ে পার করা এরকম জীবনটা জেলখানার জীবনের চেয়েও খারাপ লাগতে থাকে শ্রাবণের কাছে৷

কিন্তু তাও কিছু করার নেই। অন্য মানুষের জীবনের নিরপত্তার জন্য নিজের জীবন থেকে এতটুকু স্যাক্রিফাইস করাই যায়৷
প্রতিদিন সময় সবার সমান যায় না। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবেই সেদিন হঠাৎ লোডশেডিং ঘটে। আর তাতেই শ্রাবণের রুম ও ঘোর অন্ধকার হয়ে যায়। লোডশেডিং হতে দেরী শ্রাবণের দরজা খুলে বাইরে নামতে দেরী হয় না। তবে নিজের ভিতরে অদ্ভুত একটা পরিবর্তন খেয়াল করে শ্রাবণ।

স্নেহাকে বন্দি করা

অন্যান্য দিনের মত তার হুঁশ জ্ঞান আজ একেবারে চলে যায় নি। নিজের উপরে সামান্য কনট্রোল চলে এসেছে তার৷ দেহে প্রচন্ড তৃষ্ণা তৈরি হয়েছে জীবন্ত মানুষের ভিতরকার শক্তি শুষে নেয়ার জন্য। কিন্তু শ্রাবণ সে ইচ্ছেকে অনেকটাই সংবরণ করতে পারছে। কিন্তু সেটা খানিক সময়ের জন্য। কিছুক্ষণ পর পর সে তার নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে। আবার কিছুক্ষণ পর সামান্য ভাবে নিজের নিয়ন্ত্রন ফিরে পায়৷ এভাবেই দোটানায় ভুগে, মাতাল মানুষের মত টলতে টলতে রাস্তায় হাঁটতে থাকে শ্রাবণ।

বেশ কিছু সময় চলে যাওয়ার পরে ড্রোণ এবং মাইক্রোবট এর কন্ট্রোল ফিরে আসে বর্ণ এবং ন্যাশ এর কাছে। তাদের ক্যামেরা গুলো আবার ও কাজ করতে শুরু করে৷

কিন্তু ক্যামেরা অন করার সাথে সাথে একটা বড় ধাক্কা খায় বর্ণ। স্নেহা নামের যে মেয়েটার শরীরে ভড় করে হত্যাকান্ড চালাতো ডার্ক ডেভিল, সেই মেয়েটা রাস্তার উপরে মুখ থুবড়ে পরে আছে। পাশেই পরে রয়েছে একটি বক্স। যে বক্সের চারদিকের দেয়ালে অতি উজ্জল রশ্মি সেট করা। কি হয়েছে বা হবে তার হিসেব করার সময় নেই একদমই।

ন্যাশ তার মাইক্রোবট গুলো দিয়ে স্নেহার চারপাশ ঘিরে ফেলে। তারপর চারদিক থেকেই আলো জ্বলে দেয়। মাঝখানে অসহায়ের মত পরে থাকে স্নেহা৷ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পরে ন্যাশ বর্ণ এবং তুরাণ। উদ্দেশ্য প্রশাসনের কোন লোক দেখে ফেলার আগেই স্নেহাকে বন্দী করে নিয়ে আসা এবং কিছু তথ্য সংগ্রহ করা।

মাইক্রোবটের আলোয় স্নেহাকে ঘিরে রেখে আলোকিত হয়ে আছে চারদিক। বিষয়টি চোখ এড়ায় না দায়িত্বে থাকা সেনা সদস্যদের তারা গোটা বিশেক হ্যালিকাপ্টার নিয়ে পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলে। একটা পার্কিং প্লেসে গাড়ি পার্ক করে আড়াল থেকে সব কিছুই দেখে চলে বর্ণ ন্যাশ ও তুরান।

স্নেহাকে বাঁচাতে শ্রাবণ

অনেক কষ্ট করে চিতাবাঘ হরিণ শিকারের পর সিংহ এসে সেটা ছিনিয়ে নেয়ার মত ই দুঃখ পাচ্ছে তুরাণ ও বর্ণ। কিন্তু ন্যাশ রাগে টগবগ করছে। এরকম একশ হ্যালিকাপ্টার এবং ট্যাংককে টেম ডাউন করার ক্ষমতা রয়েছে ন্যাশ এর। কিন্তু বর্ণের নিষেধে সেরকম কিছুই করতে পারছে না সে। ন্যাশ রাগে তার মাইক্রোবট গুলোর আলো নিভিয়ে দেয়। সাথে সাথেই অন্ধকার হয়ে যায় চারদিক।

তবে একটা কাজ ন্যাশ ঠিকই করতে পেরেছে। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আলোকিত বক্সটিকে নিজেদের করায়াত্তে নিয়ে আসতে পেরেছে সে।
এদিকে আলো নিভে যাওয়ার পর পর ই রেড এলার্ট বেজে উঠে সকল মিলিটারি সেনার বাহনে। স্নেহাকে দেখা মাত্রই মিনি মিসাইল দিয়ে ফায়ার করতে এক সেকেন্ড ও দেরী করে না তারা।

কিন্তু তাদের মিসাইলের থেকেও দ্রুত গতিতে কেউ একজন এসে অজ্ঞান হয়ে পরে থাকা স্নেহার সামনে দাঁড়ায়। মিসাইলগুল গিয়ে স্নেহার বদলে তার গায়ে আঘাত করে৷ মিনি মিসাইল ব্লাস্ট হওয়ার ধোঁয়ায় আবছা অন্ধকার হয়ে যায় চারদিক। অন্ধকার কেটে গেলে সবাই দেখতে পায় যেখানে চিন্ন বিচ্ছিন্ন দুটো লাশ পরে থাকার কথা ছিল, সে জায়গাটি একেবারেই ফাঁকা।

জীর্ণ শীর্ণ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ডেজ করে দিয়ে স্নেহাকে বিছানায় শুইয়ে দেয় শ্রাবণ। অনেক দিন পরে স্নেহা আজ তার বাসায়৷ তাইসন এখন আর স্নেহার দেহের ভিতরে নেই।

হয়ত নতুন কোন দেহে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে সে।

ঠিকভাবে গোসল খাওয়া না হওয়ায় একদম মৃতপ্রায় হয়ে গিয়েছে স্নেহা৷ এতদিন তাইসন দেহের ভিতরে অবস্থান করায় তাকে অনেক শক্ত সামর্থ দেখালেও বাস্তবে স্নেহার শরীরের অবস্থা ভীষন খারাপ। শেষ একটা খুন করতে হবে শ্রাবণের। সিদ্ধান্ত নেয় সে।

স্নেহাকে একজন ভাল ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে৷ স্নেহা সুস্থ হওয়ার পর সেই ডাক্তারকে চিরদিনের জন্য গায়েব করে দিতে হবে। পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে স্নেহা একজন খলনায়ক। স্নেহাকে নিজের কাছে অত্যন্ত গোপন করে রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রাবণ।

চলবে….

পরের পর্ব- এলিয়েন রহস্য পর্ব ১৩ – এলিয়েন মানবের গল্প

1 thought on “এলিয়েন রহস্য পর্ব ১২ – এলিয়েন মানবের গল্প | Alien Story”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *