এলিয়েন রহস্য পর্ব ৭

এলিয়েন রহস্য পর্ব ৭ – এলিয়েন মানবের গল্প | Alien Story

এলিয়েন রহস্য পর্ব ৭ – এলিয়েন মানবের গল্প: এক অদ্ভুত অজানা সময় পার করছে শ্রাবণ। মনের মাঝে হাজারো প্রশ্ন, তবে এতটুকু সে জানে যে তাকে অনেক বড় দায়িত্ব নিতে হবে, সুপারহিরোদের মত তাকে জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে হবে ভয়ানক কিছুর সাথে। সময় বলে দিবে তাকে কি করতে হবে।

ক্লান্তি ও হারানোর বেদনা

ফ্লাটের দরজার তালা খুলে ধাক্কা দিতেই ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে খুলে যায় দরজাটি।

ভিতরে ঢুকেই শ্রাবণ দেখতে পায় প্রচুর পরিমানে ধুলোবালি ময়লা পরে আছে ফ্লোরে। সাথে স্নেহার ব্যাবহৃত জামাকাপড় সহ অন্যান্য জিনিসপত্র। হঠাৎ করেই মন খারাপ লাগে তার।

স্নেহার সাথে এ কয়েকদিন থাকতে থাকতে একাকীত্ব জীবন থেকে বেশ অনেকটাই বেরিয়ে এসেছিল শ্রাবণ।

যদিও স্নেহার অতিরিক্ত কথা বলা কিংবা খোঁচানো স্বভাব শ্রাবণের কাছে বিরক্ত লাগতো কিন্তু এখন স্নেহাকেই তার সবথেকে বেশি মনে পড়ছে।

অনেকসময় প্রচুর বিরক্তকরা মানুষগুলো শূন্যতায় ভাসিয়ে দিয়ে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায়। অপরজন বিরক্তিকর মানুষটাকে হারিয়ে ফেলার পরে বুঝতে পারে তার বিরক্তটাই আসলে ভালো লাগা ছিলো। কিন্তু ততক্ষণে হয়ত অনেক দেরী হয়ে যায়। মানুষটাকে আর ফিরে পাওয়া যায়না। আসলে মানুষকে যখন অনেক আপন ভাবা হয় তখন ই তাকে খোঁচানোর বা অপ্রোয়োজনীয় কথা বলে বিরক্ত করার অধিকার চলে আসে। এ ধরণের মানুষরা যখন হঠাৎ হারিয়ে যায় তখন বাতাসে যেনো তাদের কন্ঠ ভাসে, “চলে গিয়েছি, এবার খুশি তো?”

কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মত সুযোগটাও আর পাওয়া যায় না।

শ্রাবণ সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত দেহটাকে বিছানায় এলিয়ে দেয়। মনে মনে ভাবতে থাকে স্নেহা এখন তার গায়ের উপর পা ফেলে বেঘোরে ঘুমোলে সেটাই হয়ত তাকে বেশি প্রশান্তি দিত। ভাবতে ভাবতেই শ্রাবণ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পরে।

শ্রাবণ!

স্নেহার কন্ঠ নাকি?

না স্নেহার কণ্ঠ এতটা মোটা নয়। কান পাতে ভালো ভাবে,
“শ্রাবণ.. শ্রা..” কে যেন নাম ধরে ডেকে চলেছে অনেক্ষণ ধরে। কণ্ঠটা বেশ মোটা। চোখ মেলে তাকায় শ্রাবণ।

চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। কি ব্যাপার! ঘুমানোর আগেও তো দরজা জানালা থেকে প্রচণ্ড পরিমানে আলো এসে উঁকি দিচ্ছিলো।

অন্ধকারেও চারদিকে কি ঘটছে শ্রাবণ তা অনুমান করার চেষ্টা করে। আরেকবার সে তার নাম ধরে কারো ডাক শুনতে পায়।

গলা থেকে অস্ফুট স্বরে বেরিয়ে আসে- কে?

কেউ একজন হয়ত তার এই প্রশ্নের অপেক্ষায়ই ছিলো।

অদৃশ্য পরাশক্তি

উত্তর আসে,

আমি সে, যার জন্য তুমি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেও মারা যাও নি। এখনো বেঁচে আছ।

আমাকে আপনি বাঁচালেন কিভাবে?

কিভাবে বাঁচিয়েছি সেটা অন্য একদিন বলা যাবে। কিন্তু তোমাকে বাঁচানো হয়েছে শুধুমাত্র তাইসনকে মেরে ফেলার জন্য।

তাইসন মারা গিয়েছে।

না, মরেনি। ও আহত অবস্থায় স্নেহার শরীরে প্রবেশ করেছে এবং ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।

তুমি ওকে এখন ই ধ্বংস না করলে ও এবার আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর তাতে পৃথিবীর মানুষ কিংবা আমার, সবারই ক্ষতি।

তাতে আমার মাথাব্যথা নেই। তাইসনের সাথে আমার শত্রুতা নেই।

তোমাকে আমি আমার সম্পূর্ণ পাওয়ার দিয়ে দিয়েছি শ্রাবণ শুধু ওকে হত্যা করার জন্য।

তুমি তোমার পাওয়ার আমার কাছ থেকে নিয়ে নাও। তারপর নিজেই ওকে হত্যা করো।

তবে সেটা তোমার জন্য সুখকর হবে না। আমি তোমাকে মেরে ফেলবো।

ফেলতে পারো,যদি তোমার সেরকম ক্ষমতা থাকে। কিন্তু আমি কারো অর্ডারে কোন কাজ করতে রাজী নই।

হঠাৎ ঘুটঘুটে অন্ধকারের একটা অংশ আলোকিত হয়ে উঠে। আর সেখানে ভেসে উঠে রহিম আলী এবং তার স্ত্রীর বর্তমান ছবি। শ্রাবণের আসল বাবা মা। শ্রাবণ শোয়া থেকে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। শ্রাবণের বাবা এবং মা দুজনেই একটা কক্ষে আবদ্ধ হয়ে পরে আছে। চোখে কেমন যেন একটা শীতল চাহনী।

গায়েবী আওয়াজ বলে চলেছে, হয়ত তুমি তাইসন কে মারবে, অথবা আমি তোমার বাবা মা কে এবং তোমাকে মারবো।

তাদেরকে তুমি কোথায় পেলে?

আমি জানতাম তুমি আমার অবাধ্য হবে একদিন। তবে এতটা তাড়াতাড়ি হবে তা ভাবিনি। তাই ফিউচারের জন্য একটা পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছিলাম।

তাইসন কে মেরে ফেলতে হলে আমার কি করতে হবে?

স্নেহাকে দিনের বেলায় জ্যান্ত পুড়িয়ে মারতে হবে। তাহলে তাইসনের বিনাশ হবে।

স্নেহাকে মারবো কেনো?

তাইসন স্নেহার ভিতরেই আছে। ওকে মারতে হলে স্নেহাকেই মারতে হবে।

স্নেহার ভিতর তাইসনের বাস

শ্রাবণ কিছু একটা বলতে চাচ্ছিলো! হঠাৎ আস্তে আস্তে ঘুটঘুটে অন্ধকার কেটে যায়। জানালার ফাঁক থেকে আলো এসে ঢুকে শ্রাবণের কক্ষে। অনেক স্পিডে ফ্যান চলা সত্ত্বেও প্রচণ্ড ঘামছে সে।

এটা কি ছিল! স্বপ্ন তো না ই। তবে তাইসন কাদের কথা বলেছিলো! যে সে উধাও করে দিয়েছে! বুড়ো বুড়ি বলতে কাদের বুঝিয়েছিলো সেদিন? যে করেই হোক বাবা মা কে বাঁচাতে হবে, আপাতত এটুকুই ভাবতে চায় শ্রাবণ। মনে মনে চিন্তা করে স্নেহাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলতে হবে। আর এতেই তার গা শিওরে উঠে। শ্রাবণ তার মনের ভিতরে অনুভব করে স্নেহা তার খুব প্রিয় একজন মানুষ।

এদিকে স্নেহার খাওয়া দাওয়া প্রচন্ড পরিমান বেড়ে গিয়েছে। সে বাসার খাবারে নাক সিটকায়। আচরনেও ব্যাওপক পরিবর্তন এসেছে। বাবা ছাড়া সবাইকে হুকুম দেয় কাজ করার জন্য। বড় ভাই সহ সবাইকে। ভাইদের বউদের সাথে কাজের মেয়েদের মত আচরণ করতে থাকে। সারাদিন বাসায় বসে খাওয়াদাওয়া করে, আর রাত হলেই বাইরে নামে। তাকে বাঁধা দেয়ার সাহস তো কেউ পায় ই না বরং সবাই ওর মন মত চলার চেষ্টা করে। ইতিমধ্যেই তিন ভাইয়ের গায়েই কোনো না কোনো কারণে স্নেহার হাত তুলতে হয়েছে।

হঠাৎ করেই মিরপুর এলাকার স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়ে যায়। আজকাল এখানকার অলিতে গলিতে মানুষের মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে একটু বেশি পরিমানে। যদিও এদের মৃত্যু খুব স্বাভাবিক, কোন আঘাতের চিহ্ন নেই লাশগুলোর শরীরে, কিংবা নেই কোনো রোগের লক্ষণ।

তবুও হঠাৎ করে রাস্তায় পরে থাকা পথশিশু ও বিভিন্ন পেশার মানুষজন সহ রিকশাওয়ালা এমনকি পতিতা মেয়েদের লাশ পরপর বেশ কয়েকদিন পাওয়া গিয়েছে। ব্যাপারটাকে কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেয়াটা একেবারেই অসম্ভব। শহরজুড়ে ইনভেস্টিগেশন টিম নামে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

শ্রাবণ বেশ কিছুদিন ধরে স্নেহার ব্যাপারে ঘাটাঘাটি করে জানতে পারে।

ইনভেস্টিগেশন ও প্ল্যান

দিনের বেলায় স্নেহা বাইরে বের হয়না । সে শুধুমাত্র রাতে বের হয় বাসা থেকে। এমনটাই হওয়ার কথা ছিলো, হেমন্তপুরেও তাইসন শুধুমাত্র রাতেই বাইরে বের হত। দিনে তার নিজের রাজমহলে রাজার মত সময় কাটাতো। শ্রাবণ প্লান করে, স্নেহাকে ধরতে হলে রাতই উপযুক্ত সময়। রাতে যে করেই হোক তুলে আনতে হবে তাকে। পরে কি করা যায় দেখা যাবে। তবে শ্রাবণের মন কিছুতেই সায় দিচ্ছে না স্নেহাকে পুড়িয়ে ফেলতে। আস্ত একটা মানুষ পুড়িয়ে ফেলার মত জায়গা বা পরিবেশ ও তো নেই।

অলি গলিতে যে আজকাল লাশ পাওয়া যাচ্ছে সেটা প্রশাসনের লোকজন পাবলিকলি জানায়নি, নিজেদের ভিতরে কথাগুলো চেপে রেখেছে।

যাতে দেশে হঠাৎ করে অস্থিরতা শুরু না হয়। তারা গোপনে বিভিন্ন ধরণের ইনভেস্টিগেশন চালানো শুরু করে। স্নেহার পিছনে শ্রাবণ এবং প্রশাসনের লোকজন আলাদা আলাদা ভাবে জড়িয়ে পরে। শ্রাবণের ব্যাপারটা স্নেহা টের না পেলেও প্রশাসনের লোকজনের যে সতর্কতা আছে তা বুঝতে পারে স্নেহা। তাই সে ঠিক করে মিরপুর ছেড়ে দূরে কোথাও গিয়ে তার কাজ পরিপূর্ণ করতে হবে।

শ্রাবণ সন্ধ্যে থেকেই স্নেহার বাসা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে স্নেহা কখন বাইরে আসে সেটা দেখার জন্য। শ্রাবণের হিসেব অনুযায়ী আজ রাতেই স্নেহার বাসা থেকে বের হওয়ার কথা।

অপেক্ষা করতে করতে বেশ কয়েক ঘন্টা পার হয়ে যায়।

শ্রাবণের দাঁড়িয়ে থাকতে মোটেই ক্লান্ত লাগছে না। বরং তার ভিতরে অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করছে। অনেক দিন পর সে আবারো তার প্রিয় মুখ টা দেখতে পাবে।
এদিকে শ্রাবণের গতিবিধি লক্ষ্য করছিলো কিছু সিভিল পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ শ্রাবণের একই জায়গায় দাঁডিয়ে থাকাটাকে তারা ভালোভাবে নেয় নি।

পুলিশ ও নজরদারী

কয়েকজন পুলিশ এসে তাকে ঘিরে ফেলে।

প্রথমজন তাকে জিজ্ঞেস করে,

পুলিশঃ “এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ কি?”

শ্রাবণঃ কাজ ছিলো।

পুলিশঃ কাজ ছাড়া কেউ দাঁডিয়ে থাকেনা, কি কাজ সেটা বলুন?

শ্রাবণঃ বলা যাবে না।

হঠাৎ করে আরেকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে শ্রাবণের ফেসের সামনে নিজের আইডেন্টিটি কার্ড উঁচিয়ে ধরে।

চেঁচিয়ে বলে, আমরা সিভিল পুলিশ।

যা জিজ্ঞেস করবো ঠিক ঠিক উত্তর দিবি নইলে সোজা লকাপে।

হঠাৎ করে তুই শব্দটা শ্রাবণের ভালো লাগেনা। সে পুলিশ অফিসারকে ভদ্র ভাষায় বলে, “আপনি আমার সাথে তুই করে কথা বলবেন না, প্লিজ! এটা আমার অপছন্দ। আমার কাজের কথা আমি আপনাদের বলতে বাধ্য নই।”

কথোপকথন চলার সময়ে হঠাৎ স্নেহাকে বাইরে নামতে দেখা যায়।

শ্রাবণ সেদিকে যেতে চাইলে কয়েকজন মুখে বাজে ভাষা ব্যবহারের সহিত শ্রাবণের জামার কলার খপ করে ধরে ফেলে।

শ্রাবণ ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড রাগে জ্বলে উঠে। যার বহি:প্রকাশ পায় তার বুকের ডানপাশে জ্বলে ওঠা বৃত্তাকার সাইন দ্বারা। ক্রমশই সাইনটি গাড় এবং উজ্জ্বল হয়ে উঠতে থাকে। উপস্থিত সবার চোখে পরে বিষয়টি।

একজন শ্রাবণের জামা খুলে বুকের একপাশ উন্মুক্ত করে ফেলে আর উপস্থিত ৫/৬ জন সবাই একসাথে দেখতে পায় সবুজ বৃত্তাকার সাইনের ভিতরে মানুষের এবং বাঘের মাথার সংমিশ্রণে আঁকা একটি চিহ্ন। বৃত্তাকার সাইনের ভিতরের খালি অংশগুলোতে সবুজ তরল যেন ঢেউ খেলে বেড়াচ্ছে।

সুপার শক্তিশালী শ্রাবণ

একজন অতি উৎসাহী হয়ে হাত দিয়ে টাচ করে সাইনটির উপরে।

ব্যাস, ওখানেই অনড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পুলিশ অফিসারটি। ইলেক্ট্রিক শক খেয়ে যেমন মানুষ মারা যায়, ঠিক তেমনি যেন শক খেয়ে আটকে আছে। কিন্তু একেবারেই নিরব হয়ে আছে সে। কোন সাড়াশব্দ নেই, কথা নেই। বাকি কজনও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। শ্রাবণ অনুভব করতে থাকে লোকটার আংগুল তার বুকের উপরের বৃত্তাকার সাইনে লাগা মাত্রই, ওখান থেকে শরীরের ভিতরে কিছু একটা যেন প্রবাহিত হয়ে চলেছে। সাথে সাথে নিজেকে আরো বেশি শক্তিশালী অনুভব হচ্ছে, শ্রাবণ এবং বাকি সবার চোখের সামনে লোকটার শরীর শুকিয়ে চামড়া একদম হাড়ের সাথে লেগে গিয়ে কাত হয়ে পরে গেলো।

সাথে সাথে শ্রাবণের শরীরটা যেন আগের তুলনায় আরো একটু বড় হয়ে গেল। এটা দেখা মাত্রই সবাই সাথে থাকা রিভালবার বের করে শ্রাবণের শরীর উদ্দেশ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে! শ্রাবণের শরীরে বুলেট বিদ্ধ হয়ে বেড়িয়ে আসে গাড় সবুজ রক্ত। সবুজ গাড় এবং ঘন রক্তের ঘ্রাণ বাতাসে মিশে পুলিশ কজন এর নাকের ভিতরে যাওয়া মাত্রই তাদের নাকের ভিতরে জ্বলতে শুরু করে এবং নিঃশ্বাস নিতে প্রচণ্ড কষ্ট হতে শুরু করে।

এক পর্যায়ে দুজন অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে, অন্য কজন দৌঁড়ে কোনো রকমের সে স্থান ত্যাগ করে। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া পুলিশ অফিসারের কাছে যায় শ্রাবণ। তার হাতটা নিয়ে নিজের বুকের চামড়ার উপরে উদিত হওয়া সাইনের উপরে লাগায়। সাথে সাথে চুপসে যেতে থাকে লোকটির দেহ, শ্রাবণ অনুভব করে তার শরীরের ভেতরে এনার্জি প্রবাহিত হয়ে পুরো শরীরে মিশে যাচ্ছে। বুলেট লেগে সৃষ্ট হওয়া ক্ষতগুলোও ও আস্তে আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে যেতে শুরু করে। চলবে…

পরের পর্ব- এলিয়েন রহস্য পর্ব ৮ – এলিয়েন মানবের গল্প

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *