সিনিয়র চাচাতো বোনের মিথ্যা অপবাদ – রাতের খেলা: আমি মাথাটা নিচু করে রেখেছি। যাতে নিধি আমায় না দেখে। হঠাৎ করেই ভাইয়া বলে একটা ডাক শুনলাম। তারপর মাথাটা উপরে উঠেই দেখি নিধি আমার দিকে দৌড়ে আসছে।
পর্ব ১
বাবাঃ বের হয়ে যা আমার বাড়ি থেকে।
আমিঃ বাবা বিশ্বাস করো আমি কিছু করিনি লাগলে বাবা আমায় আরো মারো তাও বাড়ি থেকে বের করে দিওনা বাবা।
আমি তোমাদের ছাড়া থাকতে পারবোনা বাবা।
বাবাঃ আমায় লাতি দিলো আর বললো, আজ থেকে আমাদের মাত্র একটি মেয়ে আর কোনো সন্তান নেই।
আমি এবার মায়ের কাছে গেলাম। মা বিশ্বাস করো আমি কিছু করিনি।
মাঃ তোর বাবা কি বললো, সুনিস নি বের হয়ে যা বাড়ি থেকে আজ থেকে আমারদের একটি সন্তান বের হয়ে যা বাড়ি থেকে।
আমিঃ আচ্ছা মা আমি চলে যাচ্চি।
কিন্তু একদিন তোমরা তোমাদের ভুল বুজতে পারবে সেদিন আর আমাকে পাবানা।
এই বলে চলে আসলাম।
রাস্তা দিয়ে হাটছি শরীরের অনেক যায়গায় কেটে গেছে।
আর ভাপতেছি যেই সেলে সামান্য শরীর খারাপ হলে বাড়িতে হইচই পরে যেত সেই ছেলের আজ শরীর এর রক্ত পড়ছে। দেখার মতো কেউ নাই।
যে ছেলে গাড়ি ছারা বের হতো না যেই ছেলে আজ রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে।
আজ একটা মিথ্যা অপবাদ আমার জীবনটা নষ্ট করে দিলো।
কি হয়ে ছিলো আজকে তাহলে শুনুন।
ফ্লাসবেক…
আমি রিমন বাবা দেশের নামকরা বিসন্যাস ম্যান তাই তাই টাকা পয়সা গাড়ি বাড়ির অভাব নেই কিন্তু আমার মনে। অহংকার ছিলোনা।
কিন্তু আমার চাচাতো বোনের খুব অহংকার ছিলো যার জন্য আজ আমি বাড়ি ছাড়া।
আমার বাবারা দুই ভাই তারা দুজনেই নামকরা বিসন্যাস ম্যান। তাই বেশী টাকা পয়শা থাকার জন্য ছোটবেলায় থেকে অহংকার করে আসছে।
আমাদের ওদেত চেয়েও ধনী কিন্তু আমি আমার বোন বা আমার পরিবারের কেউ অহংকার করতো না।
ছোটবেলা থেকেই ও গরিবদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে তাই অকে আমি বকতাম। তাই ও আমাকে পছন্দ করতোনা।
তাই মাঝে মাঝে এসে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে যেতো। এই আমি সিগারেট খাই মেয়েদের পিছনে খুরি এসব মিথ্যা অভিযোগ দিতো। কিন্তু আমি কখনো ভাবিনি ও আমার নামে আজ এতবড়ো মিথ্যা অপবাদ দিবে। আজ সকালে অধরা গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলো মাজ রাস্তায় একটা রিকশার সাথে এক্সছিডেন্ট করে।
তারপর ও গাড়ি থেকে নেমেই।
রিকশা ওলার সাথে খারাপ ব্যবহার সুরু করে একপরযায় ও রিকশা ওলাকে থাপ্পড় মারে।
আমি তখন গাড়ি দিয়ে যাচ্ছিলাম ও যে বৃদ্ধ লোকটাকে থাপ্পড় মারে সেটা আমি দেখে নেই।
আর গাড়ি থেকে নেমে থাপ্পড় মারি
অধরাঃ ভাইয়া তুমি এই ছোটলোকটার জন্য আমাকে থাপ্পড় মারলে।
আমিঃ তুই এখন তার কাছে ক্ষমা চাবি নাইলে আবার মারবো।
তারপর অধরা ক্ষমা চেয়ে চলে যায় আর আমাকে হলে দেখে নিবে।
তারপর আমি বাড়ি এসে ফ্রেস হতে চলে গেলাম এসে দেখি অধরা আমার রুমে
আমি বললাম কি রে তুই এখন এই সময় এখানে কি করিস।
অধরাঃ আজ সবার সামনে আমাকে থাপ্পড় মারছিলি তার প্রতিশোধ নিতে এলাম এই বলে ও দরজা আটকিয়ে দেও আর নিজের জামা নিজে ছিড়ে চিৎকার দিয়ে থাকে আমি অকে সরানোর চেষ্টা করছি কিন্তু ততক্ষণে বাড়ির অনেকেই আমার দরজা ধাক্কা দিচ্ছে আর তারা দরজা ভেঙে আমার রুমে আসতেই অধরা গিলও বললো,
পর্ব ২
তারপর অধরা বাবার কাছে গিয়ে বললো,
অধরাঃ বড়আব্বু আমি এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম রিমন ভাইয়া আমাকে ডাক দিয়ে রুমে নিয়ে আমার সাথে এই বলে কাদতে লাগলো
আমিঃ বাবা বিশ্বাস করো আম কিছু করিনি।
বাবা আমার কোনো কথা না শুনে লাঠি এনে আমাকে মারা ধরলো।
আমিঃ বাবা বিশ্বাস করো আমি কিছুই করিনি। বাবা আমাকে আর মেরোনা আমি সয্য করতে পারতেছিনা।
বাবা আমার কোনো কথা শুনলো না তারপর ও আমাকে মারতে লাগলো। আমার শরীরের অনেক যায়গায় কেটে রক্ত পড়তেছে। তারপরও বাবা আমাকে মারতেছে অবশেষে মারা বন্ধ করে আমাকে টেনে বাহিরে নিয়ে গেল।
বাবাঃ বের হয়ে যা আমার বাড়ি থেকে। তোর মতো ছেলের আমার দরকার নেই
আমিঃ অনেক আকুতি মিনুতি করলাম তবু বাবা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলো। তারপরের তা আপনারার জানেন
বতর্মান…
রাস্তা দিয়ে হাটতেছি পকেটে থেকে ফোন বার কতে দেখি। ফোনটা ভেঙে গেছে ফোন থেকে সিমটা বের করে ফোনটা ফেলে দিলাম। সিমটাও ভেঙে ফেলে দিলাম।
তারপর পকেটে থেকে এটিএম কাডটা বের করলাম এটিএম কাডে যে টাকা আছে তা দিয়ে আমার সারাজীবন চলে যাবে।
তারপর আমাকে একটা কাজ করতে হবে।
বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষ করে এসেছি।
কিন্তু সার্টিফির্কেট আমার নিজের বাড়িতে। তাই কোনো কম্পানিতেও চাকর করতে পারবোনো। এসব ভাবছি আর হাটতেছি। কিছুদুর যেতেই কারো চিৎকার আমার কানে এলো। আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি কিছু লোক একটা লোকের পিছু পিছু দৌরাচ্ছে। লোকটা এসে আমার পিছু লোকালো। আর বললো,
লোকটিঃ বাবা আমাকে বাচাও ওরা আমকে মেরে ফেলবে
আমিঃ আংকেল আপনি চিন্তা কইরেন আমি দেখছি
ওরাঃ লোকটাকে ছেড়ে দে বলছি
আমিঃ না ছাড়লে কি করবি।
ওরাঃ কি করবো দেখবি এবার ওদের আমার মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় একসময় ওরা আমার পেটের ভিতর ছুড়ি ডুকিয়ে দিয়ে ওরা চলে যায়। আমি সুয়ে পড়ি আর কিছু মনে নেই।
যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি আমি হসপিটালে আমি যখন উঠতে যাবো তখনি
সেই লোকটি বললো,ঃ তোমার শরীর খারাপ এখন উঠতে হবেনা।
আমিঃ এখানে কি করে এলাম।
আংকেলঃ তুমি যখন অদের সাথে লড়ছিলে তখন ওরা তোমাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে আমি তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি
আমিঃ ধন্যবাদ আমার জীবন বাচানোর জন্য।
আংকেলঃ তা বাবা তোমার বাড়ির নাম্বার দেও তাদের তো জানাতে হবে।
আমিঃ আংকেল আমার কেউ নেই আমি এতিম।
[ মিথ্যা বললাম }
আংকেলঃ তা বাবা তুমি কি করতেছো
আমিঃ আংকেল আমি একটা চাকরি খুজতেছি
আংকেলঃ আচ্চা তুমি গাড়ি চালাতে পারো।
আমিঃ জি আংকেল।
তারপর আংকেল সেটা সুনে আমি মনে মনে হাসতেছি।
আংকেল বললো,
পর্ব ৩
তারপর আংকেল বললো,
আংকেলঃ আচ্ছা তাহলে তুমি আজ থেকে আমার মেয়ের ড্রাইভার।
আমিঃ আচ্ছা আংকেল।
আংকেলঃ তাহলে আমি চলি পরে এসে আমার দেখে যাবো আমার একটা কাজ আছে।
আমিঃ আচ্ছা। তারপর আংকেল চলে গেল।
আমি আবার শুয়ে পড়লাম।
একসপ্তাহ পর আমি ঠিক হলাম এই কয়দিনে আংকেল আমাকে অনেক বার দেখে গেছে।
আজকে আমাকে রিলিজ দেবে।
আংকেলঃ চলো।
আমিঃ কোথায় যাবো।
আংকেলঃ আজথেকে তুমি আমার মেয়ের ড্রাইভার তাই আমাদের বাড়িতেই থাকবে।
আমিঃ আচ্ছা আংকেল।
তারপর আংকেল এর সাথে তার বাড়িতে গেলাম।
আংকেল এর বাড়িটাও বড়ো তবে আমাদের বাড়ি থেকে ছোট।
আংকেল আমাকে একটা রুমের সামনে এসে আমাকে বললো,
আংকেলঃ আজ থেকে এটা তোমার রুম এখানে তুমি থাকবে।
আমিঃ আচ্ছা।
আংকেলঃ আমার ওর বন্ধুদের বাড়িতে গেছে।
আসলে তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো আনে। আর শোনো আমার মেয়ে একটু রাগি তোমাকে মাঝে মাঝে রাগা রাগি করতে পারে তুমি সামলিয়ে নিও বাবা। আসলে ওর মা ছোটবেলায় ওকে জন্মদিতে গিয়ে মারা চায়।
তাই ছোটবেলা থেকে আমি ওকে বেশি শাসন করিনি। তাই একটু রাগি।
আমিঃ আংকেল চিন্তা কইরেন না আমি সামলিয়ে নিবো আনে।
আংকেলঃ তাহলে তুমি রেষ্ট নেও আমি আসি এই বলে আংকেল চলে গেলো। আমিও নিজের জিনিস পত্র গুছিয়ে শুয়ে পড়লাম শরীরটা খুব ক্লান্ত লাগছিলো তাই অল্প তেই গুমিয়ে পড়লাম
ঘুম থেকে উঠে ভাবলাম ছাদ থেকে একটু খুরে আছি।
তারপর ছাদে গিয়ে দেখি অনেক ফুল গাছ আর খুব সুন্দর ফুল ফুটে রয়েছে একটা ফুল আমার খুব পছন্দ হলো তাই ফুলটা ছিরলাম ফুলটা ছিরতেই কেউ পিছন থেকে বলল্
অপরিচিতাঃ এই তুই কেরে আমার গাছের ফুল ছেড়ার সাহস হলো কি করে তোর।
আমিঃ ভয়ে ভয়ে পিছন ফিরলাম।
পিছনে ফিরে তো আমি অবাক কি সুন্দর একটা মেয়ে টানা চোখ গোলাপি ঠোট লম্বা চুল মেয়েটাকে দেখেই আমি ক্রাস গেলাম।
মেয়েটাঃ আমার কাছে এসে এই তুই কেরে আমার গাছের ফুল ছেড়ার সাহস হলো কি করে তোর। আমি এবার একটু ভয় পেয়ে গেলাম।
আমিঃ আমি একটু ভাব দেখিয়ে বললাম আপনার বাড়ি মানে।
আমার শশুর বাড়িতে দাড়িয়ে আমাকে বলছেন আমি কে।
মেয়েটাঃ কি এটা তোর শশুর বাড়ি।
আমিঃ হুম এইবাড়ির একমাত্র মেয়েকে আমি বিয়ে করেছি। আর আপনি বলছেন আমি কে।
আমাদের ঝগড়া শুনে নিজ আংকেল এসে মেয়েটাকে বললো,
আংকেলঃ কি রে মা কি হয়েছে?
মেয়েটাঃ বাবা এই ছেলেটা কে? আমি মেয়েটার মুখে বাবা ডাক শুনেতো শেষ তার মানে ও আংকেল এর মেয়ে আর আমি তাকে বলেছি এটা আমার শশুর বাড়ি।
আংকেলঃ মা ও তোর নতুন ড্রাইভার। আর আমাকে বললো, রিমন এ আমার মেয়ে নিধি। তুমি ওর গাডি চালাবে। তোমরা পরিচিতো হয়ে নাও আমার একটু কাজ আছে এই বলে আংকেল চলে গেলো
আংকেল যেতেই নিধি আমার কাছে এসেই।
পর্বঃ 4
তারপর আংকেল যেতেই নিধি আমার কাছে এসেই।
আমার জামার কলার ধরেই বললো,
নিধিঃ কি বলেছিলি যানি। এটা তোর শশুর বাড়ি।
এই বাড়ির একমাত্র মেয়ে তোর বউ তাইনা।
আমিঃ কখন বলেছি।
নিধিঃ দারা তকে মনে করাচ্ছি এই বলে হাতে একটা লাঠি নিলো। এটা দিয়ে কয়েকটা বাড়ি দিলে তোর সব মনে পড়ে যাবে।
আমিঃ আমার মনে পড়ে গেছে। আসলে আপনি তখন যেভাবে কথা বলছিলেন তখন আমি ভয় পেয়ে যাই। আপনি যেনো আমাকে কিছু না বলতে পারেন তাই বলেছিলাম এটা আমার শশুর বাড়ি। কে জানতো আপনিই আংকেল এর মেয়ে। ভয় পেয়ে কথা গুলো বলে ফেললাম।
নিধিঃআমার ভয় পাওয়া দেখে হাসতেছে।
আমিঃ আবার নিধির দিকে চেয়ে রয়েছি। কি সুন্দর হাসি আমি তো একধ্যানে চেয়ে রয়েছি। নিধি যখন বুঝতে পারলো আমি ওর দিকে চেয়ে রয়েছি। তখন আবার কড়া গলায় বললো,
নিধিঃ এই তুই আমার দিকে এবিল চেয়ে রয়েচিস কেনো?
আমিঃ তোমার হাসি দেখি কি সুন্দর তোমার হাসি কেউ এই হাসি সারাজীবন পার করে দিতে পারবে। গোড়ের মাঝে কথাটা বলে ফেললাম।
নিধিঃ কি বললি তুই।
আমিঃ কই কিছুনা তো।
তখনই আংকেল নিধিকে ডাক দিলো।
আমি মনে মনে বললাম যাক বাবা বাচলাম নাহলে গুন্ডি মেয়েটা আমার কি করতো কে জানে।
আমিও নিচে চলে আসলাম।
তারপর আমি আমার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
রাতে নিধি আমাকে খেতে ডাকলো।
আমিও ফ্রেস হয়ে খেতে গেলাম।
খাওয়ার টেবিলে।
আংকেলঃ নিধি আমি চাই তুমি এবার আমার ব্যাবসায় যোগ দেও।
নিধিঃ বাবা আর কিছুদিন পর এই কয়দিন আমি একটু ঘুরতে চাই।
আংকেলঃ আচ্ছা।
আমি খাওয়া শেষ করে। রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম সকালে নাস্তার টেবিলে।
আংকেলঃ নিধি তুই আজকে কোথাও যাবি।
নিধিঃ হুম বাবা। আজ তিসার জন্মদিন তাই তাই জন্য গিফট কিনবো। আর আমারো কিছু কেনা কাটার আছে। আর রাতে ওর বাড়র্ডে পাটিতে যাবো।
আংকেলঃ রিমন তুমি ওর সাথে যাবে।
আমিঃ জী আংকেল।
তারপর নাস্তা শেষ করে আমি রুমে চলে আসলাম।
কিছুক্ষণ পর নিধি ম্যাম আমার রুমে আসলো।
নিধিঃ রিমন গাড়ি বের করো আমি মার্কেট এ যাবো।
আমিঃ আচ্ছা ম্যাম।
নিধিঃ আমি তোমার ছোট আমাকে নাম ধরেই বলবে।
আমিঃ কিন্তু ম্যাম।
নিধিঃ কোনো কিন্তু নেই আর আমিও তোমার নাম ধরে ডাকবো।
আমিঃ আচ্ছা।
গাড়ি বের করলাম।
রাস্তায়।
নিধিঃ আচ্ছা তোমার বাড়িতে কে কে আছে।
আমার কেউ নাই ম্যাডাম আমি এতিম আমি ছোটথেকেই এতিম খানায় বড় হয়েছি।
নিধিঃ আচ্ছা। তুমি পড়া শোনা করেছো।
আমিঃ হুম ক্লাস ফাইপ পযর্ন্ত পড়ে ছি।
তারপর আমাকে মার্কেট এসে পড়লাম মার্কেট এর দারোয়ান আমাকে দেখে যা করলো তা ভাপতেই পারিনি। দারোয়ান আমার কাছে এসেই।
পর্বঃ ৫
{ গল্পের নাইকার নাম চেঞ্জ করে জান্নাতুল বর্ষা দেওয়া হলো }
আমার কাছে দারোয়ান বললো, স্যার আপনি এখানে?
বর্ষাঃ রিমন ও তোমাকে স্যার বলছে কেনো?
আমিঃ আমি কি করে বললো, একেতো আমি চিনিইনা।
দারোয়ানঃ কি বলছেন স্যার। আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না।
বর্ষা কিছু বলতে যাবে। তখনি বর্ষার এক মেয়ে ফ্রেন্ড এসে বললো,
তিসাঃ কি রে বর্ষা এখানে কি করছিস
বর্ষাঃ শপিং করতে এসেছি
তিসাঃ দোস্ত একটু সাইডে আয় তোর সাথে কথা আছে। তারপর মেয়েটা বর্ষা নিয়ে একটু সাইডে গেলো।
আর এই সুযোগে দারোয়ান কে বললাম
আমিঃ শুনুন আপনি যে আমাকে চিনেন। তা কাউকে বলবেন।
দারোয়ানঃ কিন্তু কেনো স্যার।
আমিঃ আমি যেটা বললাম সেটাই করবেন।
দারোয়ানঃ আচ্চা স্যার।
কিছুক্ষণ পর বর্ষা আসলো এসেই দারোয়ান কে জিজ্ঞেস করলো।
আপনিঃ রিমন কে স্যার বলছেন কেনো।
দারোয়ানঃ আসলে ম্যাডাম আমাদের এখানে যে আছে তাকেই আমরা স্যার বলে ডাকি।
বর্ষাঃ কিন্তু। আমি বর্ষাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে বললাম।
আমিঃ আর সময় নষ্ট করো না চলো তো এখন দেরি হয়ে যাচ্ছে।
বর্ষাঃ হুম চলো।
তারপর বর্ষা অনেক শপিং করলো।
আমাকে অনেক কিছু কিনে দিলো।
তারপর আমরা বাড়িতে চলে আসলাম।
বাড়িতে এসে আমি আমার রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে শুয়ে পড়লাম।
চলুন এখন আপনাদের দারোয়ান কেনো আমাকে স্যার বলে ডাকলো।
আসলে শপিংমল টাই আমাদের আর আমরা ওখান থেকে অনেকবার শপিং করেছি তাই দারোয়ান আমাদের চেনে।
আর তখন যে তিসা নামের মেয়েটা বর্ষা কে নিয়ে সাইডে গেলো কথা বলতে। তা কি কথা বলেছে আপনারা শুনে নিন।
বর্ষাঃ আমাকে এখানে আনলি কেনো।
তিশাঃ দোস্ত আমি ক্রাস খেয়েছি।
বর্ষঃ কি বলিস কখন কার ওপর।
তিসাঃ তর পাশে থাকা ছেলেটার ওপর।
বর্ষাঃ কি বলিস ও আমার ড্রাইভার।
তিসাঃ তাতে কি হয়েছে। আমার বাবার যা সম্পত্তি আছে তা দিয়ে ও আমি আর ও আর আমাদের ভবিষ্যৎ ছেলে মেয়েও বসে বসে খেতে পারবে।
বর্ষাঃ কিন্তু তা তো হবেনা।
তিসাঃ কেনো?
বর্ষাঃ কারণ ও তোর দুলাভাই।
তিসাঃ মানে!
বর্ষাঃ মানে আমি ওকে পছন্দ করি।
তিসাঃ সরি দোস্ত আমি বুঝতে পারিনি।
বর্ষাঃ হুম। আর তুই এখানে কেনো এসেছিস।
তিসাঃ আজ তো আমার জন্মদিন আর তোকে তো বললাম তাই কিছু কেনা কাটা করতে এলাম।
বর্ষাঃ আমি তোর জন্মদিনের গিফট কিনতে এসেছিলাম।
তিশাঃ আচ্ছা সন্ধ্যায় দেখা হচ্ছে বাই।
বর্ষাঃ বাই।
বতর্মান মানে যা হলো কালকে জানবেন।
পর্ব ৬
{ গল্পের নাইকার নাম চেঞ্জ করে জান্নাতি দেওয়া হলো }
তারপর বাইরে এসেই তো দেখি। জান্নাতি সিড়ি থেকে নামতে আছে। আমার মনে হচ্ছে কোনো পরি নামতেছে। জান্নাতি আজ একটা নীল শাড়ি পড়েছে নীল চুড়ি। একদম নীল পরির মতো লাগছে। আমি তো ওর দিকে একধ্যানে চেয়ে আছি। কখন যে ওখান নেমে আমার পাশে আসলো ভুজতেই পারলাম না। আমার ধ্যান ভাঙলো ওর ধাক্কায়।
জান্নাতিঃ আমার দিকে ওবিল করে চেয়েছিলে কেনো?
আমিঃ তোমাকে একদম পরির মতো লাগছে আমি তো দেখেই ক্রাস খেলাম। আস্তে আস্তে বললাম,
জান্নাতিঃ কি বললে।
আমিঃ কই কি বললাম।
জান্নাতিঃ আমি শুনেছি তুমি কিছু একটা বলেছো।
আমিঃ বললাম কই আমি তো কিছুই বলিনি।
জান্নাতিঃ আচ্ছা বলতো আমাকে কেমন। লাগছে।
আমিঃ খুব সুন্দর লাগছে।
জান্নাতিঃ তুমি এখনো রেডি হওনি তারাতাড়ি গিয়ে রেডি হয়ে নেও। যেতে দেরি হলে আবার তিসা রাগ করবে। তারাতাড়ি রেডি হয়ে আসো
আমিঃ আচ্ছা। আমি তারপর রেডি হতে গেলাম। তারপর জান্নাতি আমাকে যা কিনে দিয়েছিলো তার মধ্যে একটা নীল পাঞ্জাবী দেখলাম। আমি নীল পাঞ্জাবী টা পড়ে নিচে আসলাম নিচে আসতেই দেখি জান্নাতি আমার দিকে হ্যা করে তাকিয়ে আছে।
আমিঃ আপনি এখন আমার দিকে এবিল করে তাকিয়ে আছো কেন।
জান্নাতিঃ তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে।
আমিঃ ধন্যবাদ ম্যাডাম এবার চলুন। নালে তো আবার দেরি হয়ে যাবে।
জান্নাতিঃ হুম।
তারপর আমরা গাড়ি বের করে চলে গেলাম।
সেখানে গিয়ে দেখি অনেক বড়ো করে আয়োজন করা হয়েছে। আমরা ভিরতে গেলাম।
ভিরতে গিয়ে যেটা শুনলাম যেটা শুনতো আমি অবাক।
কারণ এখানে বাংলাদেশের টপ বিস্যন্যাস ম্যান এর মেয়ে এসেছে।
শুনে তো আমি অবাক কারণ এখানে যদি নিধি আসে আর ও যদি আমাকে দেখে তাহলে তো সবাই যেনে যাবে। এখানে যে টপ বিস্যন্যাস ম্যান এর মেয়ে এসেছে। আমি সেই টপ বিস্যন্যাস ম্যান এর ছেলে।
তিসাঃ এতো কি ভাবছো।
আমিঃ কই কিছুনা তো।
তিসাঃ চলো ভিতরে চলো টপ বিস্যন্যাস ম্যান এর মেয়ে এসেছে। চলো গিয়ে দেখি আছি।
আমিঃ তুমি যাও আমি এখানে আছি।
তিসাঃ আমি ভিতরে যাই আর তুমি এখান কার মেয়েদের সাথে কথা বলো তাইনা।
এমনি লুচু মেয়ে গুলো কেমন করে তোমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমিঃ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে তোমার সমস্যা কোথায়।
তিসাঃ আমারি তো সমস্যা ওরা আমার জিনিসের দিকে তাকিয়ে থাকবে কেনো।
আমিঃ তোমার জিনিস মানে?
তিসাঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আমিঃ কি?
পর্ব ৭ (অন্তিম)
{ গল্পের নাইকার নাম তিসা দেওয়া হলো }
তিসাঃ ভালোবাসি তোমায়।
আমিঃ হুম।
তিসাঃ হুম কি।
আমিঃ আমিও তোমায় ভালোবাসি।
তিসাঃ আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি।
চলো এখন ভিতরে চলো তারপর তিশা আমাকে নিয়ে ভিরতে নিয়ে গেলো।
আমিঃ আমি মাথাটা নিচু করে রেখেছি। যাতে নিধি আমায় না দেখে। হঠাৎ করেই ভাইয়া বলে একটা ডাক শুনলাম। তারপর মাথাটা উপরে উঠেই দেখি নিধি আমার দিকে দৌড়ে আসছে।
নিধি এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
সবার চোখ এখন আমার দিকে তখনি তিসা।
এসেই নিধিকে সরিয়ে বললো,
তিসাঃ এই মেয়ে তোমার সাহস হয় কি করে অন্যের স্বামি কে জরিয়ে ধরতে। বাবা টপ বিস্যন্যসম্যান বলেই যা ইচ্ছা তাই করবে।
নিধিঃ ভাইয়া তুই বিয়ে করেছিস।
তিসাঃ ভাইয়া।
নিধিঃ হুম ভাবি এ হচ্ছে আমার একমাত্র ভাইয়া।
তিসাঃ তুমি বাংলাদেশর টপ বিস্যন্যাসম্যান।
এর মেয়ে আর রিমন।
নিধিঃ হুম ও হচ্ছে টপ বিস্যন্যাসম্যান এর ছেলে।
তিসাঃ রিমন ও যা বলছে তা কি সত্যি।
আমিঃ হুম সত্যি। আর বাড়ি চলো।
নিধিঃ ভাইয়া তুই বাড়ি চল বাবা মা তার ভুল ভুজতে পেরেছে।
আমিঃ দেখ নিধি আমি আর ওই বাড়ি যাবোনা। আর তিসা চলো। তারপর তিসার হাত ধরে সেখান থেকে চলে আসলাম। তারপর বাড়ি এসে আমি আমার রুমে চলে আসলাম
তারপর তিসা আমার রুমে এসে বললো,
তিসাঃ রিমন তুমি এত বড়লোকের ছেলে হয়েও কেন? এখানে ড্রাইবার হয়ে আসলে।
আমিঃ তাহলে শোনো তারপর তিসা কে সব বললাম দেখলাম তিসা কাদতেছে। আমিঃ অনেক রাত হয়েছে তুমি এখন ঘুমাতে যাও।
তিসাঃ আচ্ছা তারপর তিসা ওর গেলো দুজনেই ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে চেচামেচির শব্দে ঘুম ভাংলো বাহিরে বেড়িয়ে এসেই দেখি। আমার বাবা মা সোফায় বসে আছে।
আমাকে দেখে বাবা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
বাবাঃ আমাকে মাফ করে দে বাবা আমি আমার ভুল ভুজতে পেরেছি।
আমিঃ কে আপনার ছেলে। আমি কারো ছেলে না আমার মতো চরিত্রহিন পোলা কারো ছেলে হতে পারেনা।
বাবাঃ রিমন অধরা আমাদের সব বলে দিয়েছে। ও তোর ওপরে প্রতিশোধ নিয়েছে। তখন আমরা আমাদের ভুল ভুজতে পারেছি।
আমিঃ অধরা যদি না বলতো তাহলে তো কি আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসতেন।
মাঃ বাবা আমরা আমাদের ভুল ভুজতে পেরেছি তুই যদি আমাদের সাথে কথা না বলিস তাহলে আমাদের মরা মুখ দেখবি।
আমিঃ সাথে সাথে মাকে জরিয়ে ধরলাম আর বললাম মা আমি সেদিন খুব কষ্ট পেয়েছি তোমরা তোমাদের ছেলেকে বিশ্বাস করতে পারোনি।
বাবাঃ আমাদের ক্ষমা করে দে।
আমিঃ বাবা আমি তোমাদেত অনেক আগেই ক্ষমা করে দিয়েছি। তারপর বাবাকেও জরিয়ে ধরলাম। তখনি তিসা আসলো নাস্তা নিয়ে।
তিসাঃ এই নিন আন্টি নাস্তাটা খেয়েনিন।
মাঃ তা রিমন এই আমাদের বৌমা।
আমিঃ হুম।
মাঃ খুব সুন্দর। আমরা খুব তারাতাড়ি তোদের বিয়ের ব্যবস্তা করছি
আমরা দুজনেই লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলাম।
তারপর আমাদের বিয়ের দিন ঠিক করলো।
আস্তে আস্তে বিয়ের দিন চলে আসলো। আমাদের বিয়েও হলো। পুর্নতা পেলো আমাদের ভালোবাসা।
লেখক – রিমন তালুকদার
সমাপ্ত
(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “সিনিয়র চাচাতো বোনের মিথ্যা অপবাদ – রাতের খেলা” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)
আরো পড়ূন – সেকেণ্ড ম্যারেজ – রোমান্টিক বিবাহের গল্প