বেনু কখনো ভাবেনি আজ তিন বছর পর এসেও ওকে সাফায়েত ভাইয়ের মুখোমুখি ঠিক এভাবে হতে হবে। সময়টাও কত জলদি বদলে যায় কিন্তু সেই টিপটা এখনও নানুর সেই পুরানো যুগের ছোট্ট ড্রেসিং টেবিলের কাঁচের সাথে একইভাবে কতই না অযত্ন স্বত্বেও শক্ত করে লেগে আছে। কিছু কিছু জিনিস শুধুই স্মৃতিগুলো মনে করায় না সাথে মনের অব্যক্ত অনুভূতিগুলোকেও জাগিয়ে দু’চোখ ভাসায়।
তিন বছর আগে যখন সেবার সবাই নানু বাড়ি এসেছিলাম তখন টিপটা আসলে কালো টিপটা আমিই আয়নার গেঁথে দিয়েছিলাম। সেদিন মামাতো বোন জয়ীর বিয়েতে সবাই খুব সেজেছিল কিন্তু আমি ছিলাম পুরোপুরি আলাদা। এইসব সাজুগুজু আমার একদমই ভালো লাগতো না।
কিন্তু তবুও সেদিন বিয়ের বাড়িতে সবার জোরাজুরিতে অনেক কষ্টে শাড়ী, কাজল আর একটা কালোটিপ পরেছিলাম। সেদিন প্রথমবারের মতন সাফায়েত ভাই আমার একটুখানি প্রশংসা করেছিল। আর তাতেই আমি এতটা খুশি হয়েছিলাম যা বলার মতন না। সাফায়েত ভাইকে বরাবরই আমার খুব ভালো লাগতো হয়তো পরে ভালোও বেসে ফেলেছিলাম কিন্তু সেটা এক পাক্ষিক ছিল বোধহয়।
সাফায়েত ভাই খুব সুন্দর করে ছবি আঁকতে পারতো। তার আঁকা ছবিগুলো মনে হত যেন জীবন্ত এক একটা ছবি। সাফায়েত ভাইয়ের কথা বলা, ঘাড় অবধি চুল, চোখের চশমা আর গালের উপরের তিল সবই যেন আমার ভালোলাগা আরো দ্বিগুণ করে দিত। সেদিন বিয়ের বাড়িতে আমি শাড়ী পাল্টিয়ে কাজল তুলছিলাম চোখের আর তখন নানুর ঘরে সাফায়েত ভাই আর খালামণিও ছিল। কালো টিপটা ঠিক তখনই আমি আয়নায় গেঁথে দেই। তখন সাফায়েত ভাই বলেছিল_ -আয়নার কাঁচে না গেঁথে বরং কপালেই পরে থাক। আমি হেসে বলেছিলাম_
~ নাগো ভাল লাগে না এসব আমার। কারো মনে তো গেঁথে রইতে পারলাম না তাই আমার এই টিপটা নাহয় আয়না তেই গেঁথে থাকুক।
তখনই সাফায়েত ভাইয়ের কাছে একটা ফোন এসেছিল। মনে গেঁথে থাকার কথাটা আমি সাফায়েত ভাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলেছিললাম কারণ আমি যেন দিন দিন সাফায়েত ভাইয়ের প্রতি আরো মুগ্ধ হতে লেগেছিলাম আর জয়ী আপার বিয়ের দিনের একটু প্রশংসা যেন তা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছিলো।
হ্যাঁ আমিই সেই হতভাগী বেনু। কিন্তু সেই ভালোলাগার কথা কখনো বলতে পারিনি সাফায়েত ভাইকে। তার আগেই যেন সব উল্টো হয়ে গেল। জয়ী আপার বিয়ের পরদিন শহর থেকে সাফায়েত ভাইয়ের এক বান্ধবী এসেছিল। আসলে উনার বিয়ের আগেই আসার কথা ছিল কিন্তু কোনো এক কাজে আটকে গিয়েছিল তাই পরদিন এসেছিল। গ্রামের বিয়ে বাড়ী আর কনে-জামাই নিয়ে ছবি আঁকার খুব শখ ছিল তাই নিজের চোখে অভিজ্ঞতা নিতে সাফায়েত ভাই দাওয়াত করেছিল স্নিগ্ধা আপুকে। নামটা যেমন সুন্দর আপু দেখতেও তেমন সুন্দর ছিল।
সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার সময় সাফায়েত ভাই খুব খুশি ছিল আর যে কটা দিন আপু ছিল দেখে বুঝা যাচ্ছিলো ওদের বন্ধুত্বটা কতটা গভীর আর ঘনিষ্ঠ। একদিন আমাকে ডেকে মুখের উপর বলেই দিলো সাফায়েত ভাই, যদি কখনো বিয়ে করে তবে স্নিগ্ধা আপুর মতন কাউকেই বিয়ে করবে।
আমাকে ব্যঙ্গ করে আপুর সামনে বলেছিল আমাদের বেনু নামে একটা ভাই আছে জানিস স্নিগ্ধা! সে কখনো মেয়েদের মতন মাথার চুলটাও আঁচড়ায় না। তবে জয়ীর বিয়ের দিন দেখলাম আমার ভাই একটু বোন সেজেছিল। সাফায়েত ভাইয়ের কথা শুনে সবার মাঝে হাসির রোল পড়ে গেল। আমার চোখ বেয়ে একটু হলেই পানিটা পড়ে যাচ্ছিলো। খুব অপমানে সেখান থেকে উঠে এসেছিলাম।
আমি পরদিন সকালেই নানু বাড়ি থেকে চলে এসেছিলাম। মা খুব করে বলছিল আর ক’টা দিন থেকে যাই কিন্তু আমি থাকিনি। আমার সাথে মাকেও নিয়ে চলে এসেছি। জয়ী আপাও হয়তো একটু রাগ করেছে সেদিন চলে আসাতে। তবে সেসব গায়ে না মাখিয়ে আমি চলে এসেছিলাম। সেদিনের পর বদলে গিয়েছিল অনেক কিছুই।
সেদিনের অপমানটা হয়তো আমার একটু বেশিই লেগেছিল। এরপর কেন যেন রাগ আর জেদেই নিজেকে বদলিয়ে ফেললাম। সেদিন পর আমি আর সাফায়েত ভাইয়ের সাথে কখনো কথা বলিনি। হঠাৎ করে নানু মারা গেল। সাফায়েত ভাই এক বছরের জন্য বিদেশ চলে গেল। অবশ্য যাওয়ার আগের দিন ফোন করেছিল উনি আমি কথা বলিনি। ছোট্ট করে একটা টেক্সট করেছিল শুধু যেখানটায় লিখা ছিলো,
“খুব রাগ করেছিস! একটা কথাও বললি না। ভালো থাকিস পাগলি”
সেদিন কেঁদেছিলাম খুব। কেন কেঁদেছিলাম জানি না! তবে সাফায়েত ভাইয়ের উপর রাগটা আমার কমেনি। উনি ভাল থাকুক স্নিগ্ধা আপুকে নিয়ে। আমার মত মেয়ের সাথে তো আর তার যায় না। বাবা অসুস্থ ছিল বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলো অনেক। ছেলেও খুব ভাল সবার পছন্দের তাই হুট করেই হয়ে গেল বিয়েটা। তবে আগের বেনু আর এখনকার বেনুর মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক।
এই বেনুকে দেখলে হয়তো সাফায়েত ভাইয়ের আর ভাই লাগতো না। যে বেনু কখনো সাজতো না সে বেনুর শরীর জুড়ে এখন গহনা থাকে। সব সময় সেজেগুজে পুতুল হয়ে থাকে এখনকার বেনু। যে কেউ একবার দেখলেই বেনুর রূপে মুগ্ধ হয়ে যাবে এখন। সময়টা এভাবে বদলাবে আমি ভাবতেও পারিনি। আর সময়ের সাথে নিজেকে এতটা বদলে ফেলেছি আমি নিজেরই অবাক লাগে আমার।
আজকাল মা খুব অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। শুনেছি সাফায়েত ভাই নাকি দেশে এসেছে। এবার খালামণিকে নিয়ে একবারে যাবে। তাই সবাই শেষ বারের মতন হ্যাঁ হয়তো শেষ বারই হবে সবাই নানুর মৃত্যুবার্ষিকীতে গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার যাবার কোনো ইচ্ছে নেই তবুও মায়ের অনুরোধের কারণে আমাকে যেতে হচ্ছে। আর গিয়েই মুখোমুখি হতে হলো সাফায়েত ভাইয়ের। তবে এবার সাফায়েত ভাই আর বেনুকে দেখে ব্যঙ্গ করেনি বরং চোখে মুখে ছিল একটা অনুতপ্ত আর দুঃখের ছাপ। নানুর ঘরে বসে আছি ঠিক সেসময় সাফায়েত ভাই এসে বললো__
-কেমন আছিস বেনু? রাগ কি এখনো কমেনি?
এতদিন পর সাফায়েত ভাইয়ের কন্ঠে নিজের নাম শুনে একটু যেন ইমোশনাল হয়ে গেলাম। তবে রাগ নিয়েই বললাম_ ~ ভাল আছি খুব ভালো। হয়তো তুমি স্নিগ্ধা আপুর সাথে যেমন আছো তার চেয়েও ঢের ভালো। সাফায়েত ভাই মুচকি হেসে বললো_
-আমি স্নিগ্ধার সাথে আছি তোকে কে বললো? তবে স্নিগ্ধা বর বাচ্চা নিয়ে বেশ আছে। প্রায়ই কথা হয়। তা তোর বর কোথায়? দেখাবি না! হুট করে বিয়ে করে ফেললি তোর বিয়েতে থাকতেও পারলাম না।
~থাকার খুব ইচ্ছে হয়তো তোমার হতো না। আমি তো তোমার ভাই তাই না!আমি ঠিক মত চুলটাও আঁচড়াতে পারি না কিনা।
-বেনু তুই এখনো সেই কথা মনে রেখে রাগ পুষে রেখেছিস! বাবা ওটা তো শুধুই ফাজলামো ছিল তোকে রাগানোর জন্য। তুই চাইলে স্নিগ্ধাকেও জিজ্ঞেস করতে পারিস।
~দেখ আমি কাউকেই আর কিছু জিজ্ঞেস করতে চাই না। আর আমি যতটা জানি তোমার সাথে আপুর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
-আমরা শুধুই ভালো বন্ধু ছিলাম। এর চেয়ে বেশি কিছুই নয়। আমি অন্য কাউকে বলতে গিয়েই সাফায়েত ভাই থেমে গিয়ে বলল বাদ দে।
এই প্রথম হয়তো আমার চোখের পানি সাফায়েত ভাইয়ের সামনেই চোখ থেকে গড়িয়ে পড়লো। তবে আড়াল করে ফেললাম। কিন্তু পাশে বসা মানুষটা তা বুঝতে পেরেছে ভালো করেই বুঝে গেলাম আমি।
সাফায়েত ভাই সেই কালো টিপটা দেখিয়ে বললো__
-মনে পড়ে দেখতো? আমি একপানে মিনিট দুয়েক তাকিয়ে থাকলাম কালো টিপটার দিকে।
তারপর বললাম_ ~কি হবে এখন আর এসব মনে করে বলো? সাফায়েত ভাই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো_
-হ্যাঁ রে বেনু তুই খুব ভাল আছিস তাই না? খুব সুখে আছিস বরকে নিয়ে। কোনো কিছুর অভাব নাই নিশ্চয়ই তোর। খুব ভালোবাসে তোর বর তোকে তাই না!
এই কথার উত্তর কি দিবে ভেবে দিশেহারা হয়ে যাই আমি। ভাল তো আছি আমি আর কোনো কিছুর অভাবও নেই কিন্তু ভালোবাসা! আচ্ছা ভালোবাসা কি আছে আমার জীবনে? হাসি খুশি বেনুর সুন্দর মুখশ্রীর পিছনে বেনুর মনের খবর আর ক’জনা রাখে। আমি শুধু মুচকি হেসে বললাম আমি খুব ভালো আছি সাফায়েত ভাই খুব ভালো। আর আমার বর আসলে একটা জরুরি কাজে আটকে গেছে তাই আসতে পারেনি। ওর অবশ্য আসার কথা ছিল কিন্তু আমার জন্য সুখ, বিলাসিতা আর ভালোলাগা একত্র করতে ব্যস্ত সে। আমার ভালোবাসাটা তার কাছে মুখ্য নয় গো।
এতদিন পরেও টিপটার কথা তোমার মনে আছে ভেবেই অবাক লাগছে আমার। এমন অনেক কিছুই আমার মনে আছে যা ভেবে তোর হতবাক হয়ে যাবার কথা। কেন করলি এমন? আগ্রহের স্বরে বললো সাফায়েত ভাই।
শুধু রাগ করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলি। যা নিজে কিছু বললি আর না আমায় বলার সুযোগ দিলি। বেনু উদাস মনে বললো_ ~আমার কখনো মনে হয়নি তুমি আমার প্রতি এমন কোনো অনুভূতি তোমার মনে রেখেছো! আর আমি বলার সুযোগ পাইনি। আসলে আমার দ্বিতীয়বার অপমানিত হতে ইচ্ছে করেনি আর জানো তো আত্নসন্মানে আঘাত আমার গায়ে লাগে খুব। সাফায়েত ভাই বলেই ফেললো_
-বেনু তুই এখনও কিন্তু আমায় ভুল বুচ্ছিস।
আমি কিছু না বলে ড্রেসিংটেবিল থেকে কালো টিপটা তুলে ফেলে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম। পরের দুদিন আর কথা কিংবা দেখা করিনি সাফায়েত ভাইয়ের সাথে। তবে খালামণি বলছিল দীঘির পাড়ে নাকি দুইদিন যাবত মনযোগ দিয়ে কি এক ছবি আঁকছেন তিনি। অথচ এককালে আমি কত করে বলতাম আমার একটা ছবি এঁকে দিতে, বাধাই করে দেয়ালে ঝুলাবো বলে। কিন্ত বরাবরের মতন সাফায়েত ভাই বিদ্রুপের হাসি হাসতো আর বলতো দেয়ালের অসন্মান হবে বেনু তোর ছবি আঁকলে।
কিন্তু আজ সেই সাফায়েত ভাই কতটা বদলে গেছে। ওসব নাকি ফাজলামো ছিল। অনুভূতিগুলো কখনো কখনো সঠিক সময়ে বলে দিতে হয় নয়তো বড্ড দেরি হয়ে যায়। তখন আর কিছুই করার থাকে না। শুধু মনে মনে অনুভবের আগুনে পুড়ে মরতে হয়। যেমনটা এখন আমার হচ্ছে হয়তো সাফায়েত ভাইয়ের তারচেয়েও বেশি কষ্ট হচ্ছে।
চলে আসার দিনে গাড়িতে উঠে বসার পর জয়ী আপা এসে আমার হাতে একখানা কাগজে মোড়ানো ছবি দিয়ে গেল।
আমি জিজ্ঞেস করাতে বললো, সাফায়েত দিয়েছে তোকে দিতে। নিজেই নাহয় খুলে দেখে নে। আমি আনমনে কাগজ ছিঁড়ে ছবিটা দেখে কয়েক মুহূর্ত’র জন্য যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। এটা যে আমারই ছবি। তবে কি এই দুইদিন সাফায়েত ভাই এই ছবিটাই আঁকছিল মনযোগ দিয়ে! ছবিটা দেখেই আমি জয়ী আপার বিয়ের দিনে ফিরে গেলাম। যেমনটা সেজেছিলাম ঠিক তেমন ছবি। সেই শাড়ী, সেই কাজল আর সেই কালো টিপটা। যেন জীবন্ত এক বেনুকে দেখছি আমি নিজের চোখে।
কিন্তু একি! টিপটা যে আসল টিপ, তুলির আঁকা টিপ নয়। সেদিন কি তবে ফেলে দেয়া কালো টিপটা সাফায়েত ভাই তুলে নিয়েছিল! কেন নিয়েছিল? এই ছবিতে ব্যবহারের জন্য!আচমকা জলপাই গাছটার পেছনে কাউকে যেন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম।ওটা যে সাফায়েত ভাই এটা বুঝতে আমার কোনো রকম অসুবিধা হলো না। তবে সাফায়েত ভাইয়ের চোখের কোণের জলটা ঠিকই দেখে ফেললাম। এমন সময় মা এসে গাড়িতে বসলো। সবাই আমাদের বিদায় দিলো একে একে কিন্তু সাফায়েত ভাই আসলো না।
গাড়ি ছেড়ে দিলো আমি ছবিটা হাতে ধরে চুপচাপ বসে আছি। মা ছবিটা দেখে সাফায়েত ভাইয়ের খানিক প্রশংসা করলো। আমি গাড়ির গ্লাস নামিয়ে মুখটা বাহিরে দিয়ে কান্না আড়াল করার চেষ্টা করলাম। মা দেখে ফেললে আবার হাজারো প্রশ্ন শুরু করবে আর সত্যি বলতে এখন কোনোটারই জবাব আমি দিতে পারবো না। আসলে খুব কষ্ট হচ্ছে এই মুহূর্তে। বুকের বাঁ পাশে চিনচিনে একটা ব্যথা অনুভব করছি। ছবিটা আরো একবার দেখে নিলাম আমি।
আমার এখন এক দৌড়ে জলপাই গাছটার পিছনে দাঁড়ানো সাফায়েত ভাইয়ের কাছে ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে। ইচ্ছে করছে গিয়ে সাফায়েত ভাইকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি লাগিয়ে জড়িয়ে ধরে একটানা কাঁদতে। কিন্তু নিয়তি আমার ভাগ্যের গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। সেই গাড়ি বহুদূরে চলে গেছে সেখান থেকে চাইলেই আর জলপাই গাছের পেছনের মানুষ মুখচ্ছবি দেখা যাবে না। আমি সাফায়েত ভাইয়ের আঁকা ছবিটা বুকে জড়িয়ে নেই খুব সাবধানে যেন কালো টিপটা উঠে না যায় ছবি থেকে। সেই কালো টিপ যেটা এত বছর পর সাফায়েত ভাই খুব যত্ন করে, হোক না ছবিতে তবুও পরিয়ে দিয়েছে আমার কপালে নিজ হাতে।
গল্পঃ কালো টিপ (True Love Story)
লিখাঃজান্নাতুল ফেরদৌস
Read more: ভালোবাসার স্পর্শ – পিচ্চি বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প