অপবাদ – koster premer kahini: হাসপাতালের বেডে রাফিজা রাজিজা বলে চিৎকার করছে ঈমান। বেচে নেই মেয়েটা। মারা গেছে একসিডেন্টে। আর তাকে শোকে পাগল এখন সে।
পর্ব ১
প্রথম যেদিন গ্রাম থেকে কলেজে এসেছিলাম সেদিন একটা মেয়ে আমাকে দেখে তার বাবাকে বলেছিলো, এই ছেলে টা আমার বুকে হাত দিতে চেয়েছিলো, এই ছেলে টা আমার ওরনা ধরে টেনেছি তুমি এই ছেলেটাকে ছাড়বেন না? ( কান্না করতে করতে মেয়েটা তার বাবাকে বলতেছে )
সেদিনে বুঝতে পেড়েছিলাম যে আমার কপাল খারাপ আজকে। একটা কথা কি যে টাকা আছে যার সব আছে তার। টাকার জোড়ে এখন পৃথিবীতে সব কিছু করা যায়। গরীবদের আবার কপাল খারাপ, ভালো থাকে নাকি।
কি বন্ধুরা বুঝতেছেন না তো সবেই বুঝবেন দারান?
আমি ঈমান হক। আমার বাসা গ্রামে, পড়াশুনা করার জন্য আজকে প্রথম শহরে আসলাম।
শহরে এসে প্রথমে কলেজের গেট দিয়ে ঢুকে ক্লাস রূমে যাবো তার আগে একটা মেয়ে আমাকে দেখিয়ে একটা মুরব্বীকে কি যেনো বলতেছে আমি কিছু বুঝতেছিনা।
তারপর সেই মুরব্বীটা আমার কাছে এসে বলতেছে।
এই ছেলে তোর নাম কি?
আমার নাম ঈমান ইসলাম।
বাসা কই তোর?
আমার বাসা দিনাজপুর, ফুলবাড়ি। কেনো আংকেল কোন সমস্যা হয়েছে কী?
তুই আমার মেয়েকে ধর্ষন করতে চেয়েছিস তোকে আমি ছারবো না। আমার মেয়ের ওরনা ধরে টেনেছি ছোটলোকের বাচ্ছা তোকে আমি পুলিশে দিবো। তোকে আমি যদি জেলের ভাত না খাওয়াতে পারি আমার নাম মমিন চৌধুরী না।
আংকেল আপনার কোথাও ভূল হচ্ছে আমি কেনো আপনা মেয়েকে ধর্ষন করতে যাব।
চুপ, ছোটলোকের বাচ্চা বেশিকথা বলিস।
আপনি আমাকে কি বলবে বলেন কিন্তু আপনি আমার বাবা মাকে গালি দিবেন না। যদি আর একবার আমার মা_বাবাকে গালি দেন তাহলে আমি আর আপনাকে মুরব্বী মানবো না। তখন আমিও আপনাকে ছাড়বো না। আর আমি আজকে এই প্রথম কলেজে আসলাম আর আপনি বলতেছে আমি আপনার মেয়েকে ধর্ষন করতে চেয়েছি।
ছোটলোকের বাচ্ছা বেশি কথা বলিস।
তারপর লোকটা কাকে জেনো ফোন দিলো। কথা এমন ভাবে বলতেছে,
হেলো আপনি কি থানার ওসি বলতেছেন?
হে আপনি, কে বলতেছে?
আমি মমিন চৌধুরী বলতেছি আপনি তারাতারি ফুলবাড়ি সরকারী কলেজে আসেন।
কেনো স্যার, কোন সমস্যা হয়েছে?
হে আসেন, তারা তারি একটু।
ওকে, স্যার।
(এই ভাবে কার সাথে কথা বলতেছে ফোনে)
তার কিছুক্ষন পরে কলেজের গেট দিয়ে তিনটা পুলিশের গাড়ি কলেজে ঢুকতেছে।
কলেজের সব ছাত্র _ছাত্রীরা কলেজের গেটের দিকে তাক লেগে দেখতেছে কি হচ্ছে আজকে কলেজে।
তারপর গাড়িগুলো সেই লোকটা কাছে এসে থামলো।
ওসি এসে ঔই লোকটাকে বলতেছে, স্যার কি হয়েছে কোন সমস্যা?
হে, সমস্যা তো হয়েছে এই ছোট্ট লোকের বাচ্চা আমার এক মাত্র মেয়ে জান্নাতুন চৌধুরী তাকে ধর্ষন করতে চেয়েছে। আপনি এই ছেলেকে নিয়ে গিয়ে এমন মার মারবেন যেনো কোন দিও হাটতে না পারে আর কোন দিন যদি কোন মেয়েকে ধর্ষন করতে চাইলে ভয় পায়?
স্যার, আপনার মেয়েকে একটু এখানে ডাকেন।
মা, জান্নাতুন এদিকে আসো তো।
হে বাবা,
মা, নাফিজা এই ছেলেটা তোকে কি ধর্ষন করতে চেয়েছিলো?
হে, আংকেল এই ছেলেটা আমাকে ধর্ষন করতে চেয়েছিলো।
ওসি, সাহেব আপনি এই ছোট লোকের বাচ্চাকে থানায় ধরে নিয়েন যান।
এই ছেলে তুই আমার সাথে থানায় চল। তোকে আজকে এমন মার মারবো তো জীবনো কোন মেয়েকে ধর্ষন করতে চাইবি না।
তোমরা একে গাড়িতে তুলো?
স্যার, প্লিজ আমার কথাটা শুনেন একটু। আমি এই মেয়েকে আজকে প্রথন দেখলাম, আর মেয়েটা মিথ্যা কথা বলতেছে। আমি এই মেয়েকে ধর্ষন করতে চাই নি। আমি গ্রাম থেকে পড়াশুনা করতে আসছি, আমার বাবা একজন কৃষক গরিব ঘরের ছেলে আমি আমাকে ছেড়ে দিন স্যার।
এই মেয়ে আমি আপনাকে চিনি না আজকে প্রথম দেখলাম আর আপনি আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। প্লিজ আপনি বলেন না আমি নির্দস। আমার বাবা _মা শুনলে খুব কষ্ট পাবে যে তাদের ছেলে শহরে পড়াশুনা করতে এসে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে গেছে।
প্লীজ আপনারা আমাকে ছেড়ে দেন, আমি এগুলো কিছু করি নাই ( কান্না করতে করতে বললাম )
ওসি সাহেব আপনি এই ছেলের কথা না শুনে একে থানায় নিয়ে জান? একে থানায় নিয়ে গিয়ে রিমান্টে নিবেন। তাহলে সব কথা শিখার করবে।
প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন? আমি এগুলো কিছু করি নি ছেড়ে দেন আমাকে ওসি, একে গাড়িতে তুলো থানায় নিয়ে গিয়ে রিমান্টে নিলে এমনিতে সব শিকার করবে।
তারপরে আমাকে তারা থানায় নিয়ে গেলো। গাড়িতে বসে ভাবতেছি আমি কি দোষ করছি মেয়েটার যে আমাকে ধর্ষনের মিথ্যা অপবাদ দিলো। কেনো করলো এমন আমি কিছু বুঝতেছিনা?
মা বাবা জানলে কি হবে। মা বাবাকে কিভাবে এই মুখ দেখাবো। এগুলো ভাবতে ভাবতে তারা আমাকে থানায় নিয়ে আসলেন।
তোমরা একে লকাপে ঢুকাও।
ওকে, স্যার।
তারপর তারা আমাকে লকাপে ঢুকে দিয়ে বাহিরে তালা গেটে মারলো।
স্যার আমি কিছু করি নি আমাকে ছেড়ে দিন না, স্যার? ( কান্না করতেছি আর এগুলো থানার ওসিকে বলতেছি )
এই ছেলে তুই বেশি কথা বলিস কেনো, চূপ করে থাক। দেখতেছিনা আমি কাজ করতেছি।
স্যার আমি ওই মেয়েকে চিনা না। আমি ওকে ধর্ষন করতে চাই নাই, স্যার।
তোকে রিমান্টে নিলে সব ঠিক করে শিখার করবি। তোদের মতো ছেলেদের আমার ভালো করা চেনা আছ বুঝলি। এখন চুপ চাপ থাক লকাপে।
তারপর তারা আমাকে রিমান্টে নিয়ে এমন মার মারলো আমি ঠিকভাবে,?
পর্ব ২
তারপর তারা আমাকে রিমান্টে নিয়ে এমন মার মারলো আমি ঠিকভাবে, দারাতে পারতেছি না। তাদের এতো করে বললাম স্যার আমি কিছু করি নাই আমাকে ছেড়ে দিন। তাও তারা আমাকে ছেড়ে দিলো না?
ওসি স্যার, এতো মার মারলাম কিন্তু ছেলেটা তো একটা কথাও তো শিখার করলো না। মারতে মারতে আদামরা করলাম।
ওসি ;এই ছেলে বাসা কই রে তোর?
আমাররর বাসাসাসা ফুলবাড়ি, রাজারাম পুর। মারার জন্য মুখ দিয়ে ঠিক ভাবে কথা বলতে পারতেছিনা ঠীক ভাবে।
ওসি, তোর শরীলে দম আছে তো রে। এতো মারলাম কিন্তু তুই মেয়েটাকে জোর করে ধর্ষন করতে চেয়েছি এই কথাটি শিখার করলি না।
স্যার ;আপনাদের আর কত বার বলবো আমি ওই মেয়েটাকে ধর্ষন করতে চাই নাই কেনো আপনার বিশ্বাস করতেছেন। মেয়েটা আপনাদের মিথ্যা বলতেছে স্যার আপনারা আমাকে ছেড়ে দেন প্লিজ স্যাম।
আমার মা _ বাবা চিন্তুা করতেছে। ( সেই সকালে থানায় এনেছে তারা এখন বিকাল হতে চলছে কিন্তু আমাকে তারা লকাব থেকে ছাড়া দিচ্ছে না। ) ভাবতেছি এখন এখান থেকে কিভাবে বাহির হবো। আমাকে তো এখানে কোন আত্মীয় নাই যে বেল দিয়ে থানা থেকে বাহির করবে। মা_বাবাকে তো আর বলা যাবে না আমি থানায় আছি।
দেখতেছি ওসি সাহেব কাকে জেনো ফোন দিলো।
হেলো মনিন স্যার, আমি থানার ওসি বলতেছিলাম।
হে, বলেন ওসি সাহেব? কি ছেলেটাকে শাস্তি দিয়েছেন তো।
ছেলেটাকে এতো মারলাম কিন্তু আপনার মেয়েকে ধর্ষন করতে চেয়েছে এটা তো একদম শিকার করতেছে না। বার বার বলতেছে আমি ওই মেয়েটাকে ধর্ষন করতে চাই নি। শিকার করতেছে না তো স্যার। এখন কি করবো মমিন সাহেব?
ছেলে টাকে রিমান্টে নিয়েছিলেন তো।
হে স্যার, এমন মার মেরেছি জীবনে বেচে থাকতে মেয়েদের দিকে তাকাবে না।
ওকে তাহলে ছেড়ে দেন ছেলেটাকে। আর কিছু টাকা দিয়েন চিকিৎসা করার জন্য।
ওকে স্যার। এ তোমরা কে আছো ছেলেটাকে লকাব থেকে বাহিরে নিয়ে আসো।
এই ছেলে উঠ? ( হাবিলদার )
মারা কারনে ঠিকভাবে হাটতে পারতেছিনা। পুলিশ টা আমাকে ধরে লকাবের বাহীরে বার করলো।
ওসি, এই ছেলে এখানে সাইন কর। আর এই নে দুইহাজার টাকা শরীরের চিকিৎসা করাস।
সাইন করলাম আর বললাম, স্যার আমরা গরিব হতে পারি কিন্তু কারো দয়া নিয়ে থাকি না ওকে আপনার টাকা আপনার কাছে রাখেন। তারপর আমি জেল থেকে ছাড়া পেলাম। খুরিয়ে খুরিয়ে থানা থেকে বাহির হইলাম খুব কষ্টে। তারপর একটা রিকশা নিয়ে বাসা যাওয়ার বাস এস্টানে আসলাম।
রিকসা ওলা, ভাই আপনার এমন আবস্হ কে করলো।
না ভাই কলেজ থেকে আসতে একটু একসিডেন হয়ে।
ও আমি তো মনে করছিলাম,
থাক ভাই আর মনে করতে হবে না আপনি রিকশা চালায় মনো যোগ দাও।
রিকশায় বসে ভাবতেছি মেয়েটা কেনো আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিলো এর প্রতিশোধ আমি নিয়ে ছাড়বো।
আমি জীবনো কোন মেয়েকে চোখ তুলে তাকায় নি কিন্তু ওই মেয়েটা আমাকে একজন ধর্ষক বানালো তাকে আমি ছাড়বো না। আমি গরিব দেখে আজকে আমাকে একজন ধর্ষক বানালো। (এগুলো বসে ভাবতৃছি )
মামা, নামেন বাস এস্টান এসেছে।
ওকে ;কতো টাকা মামা।
বিশ টাকা। এই নেন আপনার টাকা। তারপর বাসের একটা টিকেট কেটে বাসের ছিটে বসলাম। সাথে বাস ছেড়ে দিলো। বাসের লোকেরা কেমন করে জেনো আমাকে দেখতেচে। কে কি দেখে দেখুক আমি ভাবতেছি বাসায় গিয়ে কি বলবো,?
পর্ব ৩
বাসায় গিয়ে আমার রূমে ঢুকতেই মা রান্না ঘর থেকে বলতেছে, বাবা তোর কলেজ থেকে আসতে এতো দেরি হলো যে। আজকে প্রথম দিন কলেজ কেমন লাগলো।
খুব ভালো মা? মাকে বলা যাবে না যে প্রথম দিন কলেজে গিয়ে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল থানায় মিথ্যা অপবাদের জন্য এই কথাটা বললে মা অনেক কষ্ট পাবে তাই মিথ্যা বললাম।
মা, বাবা ঈমান তুই টিউবওয়েল থেকে হাত মুখ ধূয়ে আয় আমি তোকে ভাবার দিচ্ছি। তোর জন্য তোর পছন্দের খাবার রান্না করছি।
মা বাবা কই?
তোর বাবা একটু জমীতে ফসল দেখতে গেছে।
ওকে, তো কখন গেছে, আর আসবে কখন। এক সঙ্গে খাবার খাইতাম।
তারপর খুরিয়ে খুরিয়ে টিউবওয়েলে হাত মুখ ধুতে গেলাম। হাতটে খুব কষ্ট হচ্ছে। ( সালারা এমন মার মারছে মনে হচ্ছে তাদের বাবা সব সম্পত্তি চুরি করতে গিয়ে ধরা পরছিলাম একটু ও মারতে দয়া করলো না। )
তারপর হাত মুখ ধুয়ে খাবার টেবিলে আসতেছি। দেখতেছি মা ভাত প্লেটে দিচ্ছে। এবার তো মনে হয় ধরা পড়বো। খুরিয়ে ছাড়া তো হাটতে পারতেছি না। তাও ঠিকভাবে হাটার চেষ্টা করতেছি।
মা, বাবা তুই খুরিয়ে হাটতেছিস কেনো। সকালে তো ভালোভাবে কলেজে গেলি আর কলেজ থেকে এসে খুরিয়ে হাটতেছি। কলেজে গিয়ে তুই কি আবার কারো সাথে মারা মারী করছি নাকি আবার।
আরে না মা, কলেজ থেকে আস্তে একটু বেথা পেয়েছি।
তুই আমাকে মিথ্যা বলতেছি?
না মা, তোমাকে মিথ্যা কেনো বলবো। কলেজ থেকে আস্তে রিকশা থেকে পড়েগিয়েছিলাম তাই একটু বেথা পেয়েছি। ( আল্লাহ্ সব মাদের এমন একটা শক্তি দিয়েছে যে সন্তানের কোন ক্ষতি হলে মা আগে বুঝতে পায়। আর মার কাছে মিথ্যা বললেও বুঝতে পারে )
মা, দেখি কই বেথা পেয়েছিস তুই।
আরে না তুমি এখন আমার পা দেখতে যাবে।
মা, আচ্ছা ঠিক আছে বস আমি খাবার দিচ্ছি।
খাবার টেবিলে বস্তে না বস্তে বাবা বাহির থেকে বলতেছে,
ঈমানের মা তুমি কই?
এই তো আমি এখানে, ঈমানকে খাবার দিচ্ছি।
ঈমান কলেজ থেকে এসেছে। (বাবা রূমে ঢুকতে ঢুকতে জিগ্যেসা করতে মাকে )
মা, হে এসেছে তুমি তারাতারি হাতমুখ ধুয়ে আসো।
বাবা, তুই আজকে আমাকে ছেড়ে খাবার খাইতে বসেছি।
আমি যখন আসছি তুমি তো তখন বাসায় ছিলে না তাই আমি খাইতে বসলাম তোমাকে ছেড়ে।
মা, বাপ ছেলের কথা বলা শেষ হলে আপনি এখন হাতমুখ ধুয়ে আসেন ওকে।
বাবা, ওকে আমি যাচ্ছি, এই যাবো আর আসবো।
মা, বাবা খাচ্ছি না কেনো।
বাবা আসুক একসাথে খাবো।
পর্ব ৪
তারপর বাবা হাত মুখ ধুয়ে টেবিলে এসে বসলো, বাবা ছেলে এক সঙ্গে খাবার খাইলাম।
খাবার খেয়ে টেবিল থেকে যখন উঠতে যাবো,
মা, বাবাকে বলতেছে,
তোমার ছেলে কলেজ থেকে আস্তে পায়ে নাকি বেথা পেয়েছে। ঠিকভাবে হাটতে পারতেছে না।
বাবা, কিভাবে বেথা পেলো।
মা, আমি জানি না। তুমি তোমার ছেলেকে জিগ্যেসা করো। কেমন করে বেথা পেলে।
বাবা, ঈমান বাবা এদিকে আমার কাছে আয় তো।
কেনো বাবা কি হয়েছে। ( এই রে এবার তো মনে হয় ধরা খাবো বাবার কাছে। মাকে তো মিথ্যা বলে মেনেচ করছি এবার বাবাকে যে কি বলি? )
বাবা, তুই নাকি কলেজ থেকে আস্তে পায়ে বেথা পেয়েছি। আর কিভাবে পায়ে বেথা পেলী।
বাবা, কলেজ থেকে আস্তে রিকসা থেকে পরে গিয়েছিলাম। আর অল্প বেথা পেয়েছি। *(বাবা কেউ মিথ্যা বললাম )
বাবা, ঠিক ভাবে চলতে পারিস না। শুন তোর মার কাছ থেকে বেথার ঔষধ খেয়ে রেস্ট নে।
তারপর মার কাছ থেকে ঔষধ নিয়ে খেয়ে খুরীয়ে খুরীয়ে রূমে রেস্ট নেওয়ার জন্য গেলাম। পায়ের বেথা এবং শরীল ঠীক হতে প্রায় পাচ দিন লাগলো। পাচ দিন আর কলেজে যাওয়া হলো না।
(বন্ধুরা খালি ভাবতেছেন যে গল্পে খালি আমার কথা বলতেছি। লেখক নাইকার কথা কই বলতেছে এটাই তো ভাবতেছেন তাই না। এবার নাইকার কাহিনী শুনী )
আপনারা নাইকার নাম তো জানেন তবুও বলি, তার নাম হচ্ছে রাফিজা চৌধুরী রাহি। বাবা মার এক মাত্র সন্তান। এটুকু থাক।
মা রাফিজা তুই কলেজে যাবি না? এই রাফিজা মা উঠ তারাতারি ( নাইকার বাবা নাইকাকে সকালে ঘুম থেকে তুলতেছে
বাবা আর একটু ঘুমাই না।
না, উঠ তারাতারি নয়টা বাচতেছে। তোর কলেজের ক্লাস নাকি নয়টা তিরিশে শুরু।
কি বলো নয়টা বাজতেছে আগে ডাকবে না আমাকে বাবা।
সেই কখন থেকে ডাকতেছি তুই তো শুনতেছি না। তারাতারি ফ্রেস হয়ে নাস্তার করতে আয়।
ওকে বাবা তুমি যাও আমি যাচ্ছি। আচ্ছা বাবা একটা প্রশ্ন করি?
হে বল?
কালকে ছেলেটাকে থানায় নিয়ে গিয়ে কি করছে বাবা।
ওই ছোটলোকের বাচ্চাকে থানার ওসি এমন মার মেরেছে জীবনো কোন মেয়েকে খারাপ চোখে দেখতে ভয় পাবে। এখন তোকে দেখলেই ভয় পাবে।
ঠিক করছে বাবা।
ওকে তুই ফ্রেস হয়ে তারাতারি নিচে আয়।
ওকে বাবা। আজকে আমার কি যে খুশি লাগতেছে। আমার বান্ধুবিকে ধোকা দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে পেরেছি। এই সুখবরটা আমার বান্ধবিকে মিম কে তারতারি বলি।
হেলো, মিম?
হে রাফিজা, বল কেমন আছি?
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি রে। তুই কেমন আছিস?
তুই তো জানিস কেমন আছি। তাও জিগ্যেসা করতেছি।
এ মিম শুন না, তোর জন্য একটা শুখবর আছে? তোকে যে ছেলেটা ধোকা দিয়েছে আর তুই আমাকে কালকে যে ছেলেটার পিক দিলি তাকে আমি কালকে কলেজে আমাকে ধর্ষনের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এমন মার খাওয়াছি আবার তাকে জেলও পাটিয়েছি। তোকে ধোকা দেওয়ার প্রতিশোধ আমি নিয়েছি।
কি বলিস, আর শুন রাফিজা কালকে তোকে যে পিকটা দিয়েছিলাম না ওটা আমাকে যে ছেলেটা ধোকা দিয়েছিলো তার পিক ছিলো না। তার পিক দিতে গিয়ে অন্য একটা ছেলের পিক দিয়েছি। তোকে যে পরে এতো ফোন দিলাম কিন্তু তোর ফোন বারে বারে বন্ধ দেখায়। তাই তোকে আর বলতে পারি নাই?
কি বলিস, তোর সাথে কথা বলার পরে আমার ফোনে চার্জ ছিলো না তাই বন্ধু হয়ে গিয়েছিলো। আমি এটা কি করলাম তোর একটা ভূলের জন্য নির্দশ একটা ছেলেকে শাস্তি দিলাম। তাকে আমি ধর্ষনের অপবাদ দিলাম আবার পুলিশ ধরেনিয়ে গেলো থানায়। এটা আমি কি করলাম।
তোকে আমি কি বলছিলাম আমাকে যে ধোকা দিয়েছে তাকে শাস্তি দিতে।
চূপ, তোর একটা ভূলের জন্য একটা ছেলেকে কি কঠিন শাস্তি দিলাম। তোর সাথে কথা বলতে আর মন চাচ্ছে না। ওকে বায়?
এই রাফিজা শুন টুতটুতটুতটু, এই যা ফোনটা কেটে দিলো। আজকে কলেজে গিয়ে কথা বলবো কি হয়েছে।
এটা আমি কি করলাম। এখন আমার খুব কষ্ট লাগতেছে। না আগে ফ্রে হয়ে নেই তারপর বাবাকে জিগ্যেসা করবো ছেলেটা কই আছে।
ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে নাস্তা করতে টেবিলে বসলাম।
মা রাফিজা কি হয়েছে মন খারাপ নাকি? কিছুক্ষন আগে তো ঠিক হাসি খুসি ছিলি এখন আবার কি হলো।
কিছু হয় নাই বাবা। আচ্ছা বাবা সেই ছেলেটা এখন কই আছে থানায় নাকি।
কেনো মা?
আরে বলো তো দরকার আছে।
ছেলেটাকে তো সেই দিন বিকালে ছেড়ে দিয়েছে। এখন কঈ আছে সেটা তো জানি না।
আচ্ছা বাবা আমি কলেজে গেলাম আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে।
তুই তো কিছু খাইলি না। না খেয়ে কলেজে যাবি?
বাবা আমি কলেজের ক্যান্টিন থেকে খেয়ে নিবো। ওকে বায় বাবা। কলেজে এসে দেখতেছি ছেলেটা,?
পর্ব ৫
কলেজে এসে দেখি সবাই আসছে কিন্তু সেই ছেলেটা আসে নাই। তারপর দেখতেছি আমার সব বান্ধুবি গুলো এসেছে তাই তাদের কাছে আস্তেই
কেমন আছি রে নাফিজা? (নীলা)
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো তুই? .
আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও ভালো। তো বস এখানে আর কি হয়েছে তোর কলেজে আসার পর থেকে তুই কি যেনো খুজতেছি। কিরে দোস কারো প্রেমে টেমে পড়লি নাকি আবার।
আরে না তুই তো জানিস আমি প্রেম জিনিস টা বিশ্বাস করি না তাও বলতেছিস তুই।
বলা তো যায় না, তুই কারো প্রেমে পড়তেও তো পারিস।
এ দোস শুন না। আমি একটা বড় অপরাধ করে ফেলছি। আচ্ছা কালকের ছেলেটাকে দিকছিস কি তোরা কেউ।
সবাই এক সাথে বললো, কোন ছেলেটা রে রাফিজা।
কেনো কালকে যে ছেলেটাকে আমাকে ধর্ষন করার অপরাধে জেলে দিলাম। সেই ছেলেটা কি আজকে কলেজে আসছে রে।
না তো, আমরা কেউ দেখি নাই (নীলা)
ও ছেলেটাকে আমার খুব দরকার।
কেনো রে ছেলেটার প্রেমে পড়লি নাকি (নীলা)
আরে না, কালকে আমাকে যে ছেলেটা ধর্ষন করতে চেয়েছিলো সেই ছেলেটা ছিলো নির্দশ। একটা ভূল এর জন্য ছেলেটাকে মিথ্যা ধর্ষন এর অপবাদ দিয়ে পুলিসের হাতে ধরিয়ে দিলাম। এটা আমি খুব বড় ধরনের অপরাধ করছি। ছেলেটার কাছে ক্ষমা না চাওয়া পযর্ন্ত আমার মনে শান্তি পাচ্ছি না।
কি বলিস, কেমনে কি হলো (নীলা)
তারপর কি হয়েছে সবাইকে বুঝিয়ে বললাম। কেমনে মিম এর ভূল ছবি দেওয়ার কারনে ভূল মানুষের উপর প্রতিশোধ নিয়েছি।
নাফিজা তুই এটা কিন্তু ঠিক করিস নাই। নীরহ ছেলেটাকে এভাবে তুই শাস্তি দিলি। যে দোষ করছে সে তো বুক ফাটে বেড়াচ্ছে। আর অন্য একটা ছেলেকে শাস্তি দিলি ( সবাই বলতেছে )
তো এখন আমি কি করবো বল। সব দোষ এই মিম এর কারনে।
ওকে যা হবার তো হয়ে গেছে। এখন ছেলেটা কলেজে আসলে তার কাছে ক্ষমা চাইবি আগে ওকে। তারপর কি কারনে ভূল হয়েছে এটাও বুঝিয়ে বলবি তাহলে তোকে ক্ষমা করতে পারে।
ওকে ক্ষমা আমি চাবো ছেলেটার কাজ থেকে। এভাবে কথা বলতে বলতে ক্লাস এর ঘন্টা দিলো। তারপর সবাই সবার নিজ নিজ ক্লাস রূমে গেলাম। প্রথম ক্লাস করার পরে আর ক্লাস করতে মন চাচ্ছে না। তাই ক্লাস রূম থেকে বাহির হলাম।
এই রাফিজা ক্লাস করবি না আর?
না আর ক্লাস করবো না আমি তুই করলে কর ওকে। আমি এখন বাসায় যাবো।
ওকে তাহলে তোর সাথে আমিও বাসায় যাবো। তুই যখন আর ক্লাস করবি না তাই আমিও করবো না।
কলেজের গেটে এসে দুইজনে একটা রিকশা
নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। আর দুই জন টুক টাক কথা বলতেছি দুইজনে।
দোস আমার তো বাড়ি আসছে আমি নেমে যাচ্ছি (নীলা)
ওকে তাহলে যা। মামা রিকশাটা সামনে দার করান তো। তারপর নীলা নেমে গেলো তার বাড়ির গেটের সামনে আর আমি রিকশা টা নিয়ে বাসায় যাচ্ছি আর ভাবতেছি ছেলেটা তো আজকে কলেজে আসলো না কালকে কি আসবে। ছেলেটা কলেজে যদি না আসে তাহলে আমি তার কাছে ক্ষমা চাবো কিভাবে। এগুলো কথা ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসলাম। তারপর রিকশা ওলা মামাকে তার রিকশা ভাড়া দিয়ে আমি বাসায় যাচ্ছি।
এভাবে প্রায় প্রতি দিন কলেজে যাই কিন্তু কলেজে প্রায় পাচ দিন থেকে কলেজে আসে না।
মা, আমি আজকে কলেজে যাবো কিছু টাকা দাও তো। মার কাছ থেকে টাকা নিয়ে কলেজ যাওয়া জন্য রেডি হচ্ছি। আজকে প্রায় পাঁচ দিন পরে কলেজে যাচ্ছি কেমন যেনো লাগতেছে।
মা, আমি কলেজে গেলাম।
মা, বাবা দেখে শুনে যাস।
ওকে মা আমি গেলাম বায়। বাসা থেকে বাহির হয়ে একটা রিকশায় উঠে বাজেএস্টানে আসলাম। তারপর বাজের একটা টিকেট কেটে সিটে বসলাম। এখন একটু আরাম পাইলাম। কি খরম গরমের কারনে গা ঘেমে একাকার। বাজে করে কলেজে যাইতে প্রায় দুই ঘন্টা লাগে। তাই সিটে ভালোভাবে হেলান দিয়ে রেস্ট নিচ্ছি।
এদিকে গল্পের নাইকা ছয় দিনের মাথায় নায়ক এর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য কলেজে সকাল সকাল এসে বসে আসে। আর আল্লাহ্ কাছে বলতেছে আল্লাহ্ ছেলেটা যদি আজকে কলেজে আসে। এগুলো ভাবতেছি বসে বসে।
কিরে নাফিজা আজকে এতো তারাতারি কলেজে। ( মীম যার জন্য গল্পের মিন সমস্যা )
(আমার মনে হয় মিম নামে মেয়েরা সব সময় কোন না কোন সমস্যা করে থাকে এটা কি ঠিক বন্ধু রা। আর যেখানে সেখানে ঝামের করে থাকে। মিম নামের কোন পাঠীকা আছে নাকি থাকলে কমেন্ট করে জানান একটূ )
এমনি রে দোস আসলাম একটু তারাতারি দরকার ছিলো।
ও তো কি খবর। ( মিম )
তোকে তো আমি ছাড়বো না যদি ছেলেটা আমাকে ক্ষমা না করে।
কোন ছেলেটার উপর তুই প্রতিশোধ নিয়েছিলি। (মীম)
সেই দিন থেকে ছেলেটা আর কলেজেই আসে না।
এদিকে নায়ক আমাদের কলেজের গেটে বাস থেকে নামলো। বাস থেকে নেমে কলেজের গেট দিয়ে ঢুকতে সরম লাগতেছে। সেই দিন মেয়েটা আমাকে এমন অপমান করছে এবং ধর্ষনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলো তাই সরম লাগতেছে আবার খুব ভয় ও করতেছে। মাথা নিচ করে কলেজের গেট দিয়ে কলেজে ঢুকতেছি। কিছু দূর হাটার পরে এক জনকে দেখে দুইটা পা থর থরে কাপতেছে,?
ভাবতেছি আজকে কি যে করে মেয়েটা আমার নামে। ভাবতেছি আবার কলেজ থেকে ঘুরে যাবো নাকি। পরে আবার ভাবতেছি যা হবার হবে পরে দেখা যাবে। আল্লাহ র নামে আবার হঠা শুরু করলাম কিন্তূ কিছুদূর যেতে আমার জীবনে সব পানি সুখে গেছে মনে হচ্ছে।
পর্ব ৬
কলেজের গেট দিয়ে মাথা নিচ করে কলেজের ভিতরে যাচ্ছি আর মনে পড়ে গেলো সেই দিনের অপবাদের কথা। আমি তো ওই মেয়ের উপর প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়বো। যে আমাকে কলেজের সবার সামনে একজন ধর্ষক বানিয়েছে এবং আমাকে মিথ্যা অপবাদে থানায় পাটিয়েছে তাকে তো আমি ছাড়বো না (আর মনে মনে আল্লাহ্ কে ডাকতেছি আর বলতেছি আল্লাহ্ আজকে জেনো ওই মেয়েটা কোন ঝামেলা না করে।
সেদিন কিছু করি নাই তাও ওই মেয়েটা আমাকে থানায় পাঠিয়েছে। এগুলো ভাবতেছি আর কলেজের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি)
এই নীলা, দেখ তো ওই দিনের ছেলেটা না, যাকে আমি ধর্ষনের মামলা দিয়ে থানায় দিয়েছিলাম।
হুম সেই ছেলেটাই তো (নীলা)
কোন ছেলেটা রে, রাফিজা (মিম)
ওই দেখ মাথা নিচ করে কলেজের ভিতরে আসতেছে।
এই ছেলেটাকে দেখে তো মনে হচ্ছে গরীব ঘরের সন্তান। পরোনে কমদামি কাপড় আর দেখে তো মনে হচ্ছে ছেলেটা সাদাসিদা। তুই এই ভূলটা কেমনে করলি রে রাফিজা। (মিম)
সব দোস তো তোর, তোর ভূল এর জন্য একটা নির্দশ ছেলে শাস্তি পেয়েছে।
হয়েছে এগুলো বলে আর লাভ নাই। কিভাবে ছেলেটার কাছে মাফ চাইবি সেটা ভাবেক(নীলা)
হুম ঠিক বলছি।
তারপর আমি কিছুদূর হেটে যাওয়ার পরে পড়লাম বিপরীতে কারন তাদের পাশ দিয়ে হেটে যাইতে তারা আমাকে ডাকতেছে। তাই মনে মনে আল্লাহ্ কে ডাকতেছি আর বলতেছি আল্লাহ্ আজকে আবার কোন ঝামেলা করার জন্য আমাকে তাদের কাছে ডাকতেছে নাকি।
তাদের ডাকে সারা না দিয়ে মাথা নিচ করে হেটেই যাচ্ছি কারন আমি আজকে কোন ঝামেলাম পড়তে চাই না।
আবার ডাকতেছে
এই যে ভাইয়া, একটু এদিকে আসেন তো আপনার সাথে একটু কথা আছে। (নীলা)
মাথা উচু করে দেখতেছি একটা মেয়ে আমাকে ডাকতেছে। জ্বি, আমাকে বলতেছে আপু?
হে ভাইয়া আপনাকে বলতেছে?
হে আপু বলেন, কি বলবেন?
আমি না তো আমার বান্ধুবি আপনাকে কি যেনো বলবো।
আপনার কোন বান্ধুবি?
ওই যে ওখানে বসে আছে।
প্লিজ আপু আমি আজকে কোন ঝামেলায় পড়তে চাই না। আমি গরীব ঘরের সন্তান আমাদের ওতো বেশি টাকা নাই আপনাদের মতো। তাই আমি ওই মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবো না। ওই মেয়ে আমাকে প্রথম দিন কলেজে সবার সামনে একজন ধর্ষক বানিয়ে। তারপর আবার আমাকে থানায় দিয়েছে।
থানায় তারা আমাকে এমন মার মেরেছে যে পাঁচদিন আমি ভালোভাবে হাটতে পারি না। আমি সেদিন তাদের এতো করে বললাম যে আমি এগুলো করি নাই কেঊ আমার কথা শুনে নাই। আচ্ছা বলেন তো আপু গরীবদের কি কোন সম্মান নাই নাকি হে। তোমাদের মতো অনেক বড়লোক আছে যারা গরীবদের কে সম্মান করে না তাই বলতেছি আপু প্লিজ আপনারা আপনাদের মতো থাকে আর আমি আমার মতো থাকি।
কি রে মিম এখনো, নীলা আসতেছে না কেনো। এতোক্ষন ধরে কি কথা বলতেছে।
ঠিক বলছিস রে রাফিজা, মিম ছেলেটাকে এতোক্ষন কি বলতেছে। (মিম)
তাহলে আপু প্লিজ আপনার বান্ধুবীকে বলে দিবেন গরীবদেও একটা সম্মান আছে। আর আপনার বান্ধুবির সাথে আমি আর কথা বলতে চাই না আমি কোন আর ঝামেলায় পড়তে চাই না।
আরে আর আপনার সাথে ঝামেলা করবে না ভাইয়া। আমি আছি না। একটু কথা বলেন?
ছরি আমি আর কারো সাথে কথা বলতে চাই না। আমি এখন ক্লাস করতে ক্লাস রূমে যাবো।
আচ্ছা ভাইয়া আপনার নামটা কি?
আমার নাম ঈমান ইসলাম। আপনার?
আমার নাম নীলা চৌধুরী।
ওকে বায় আপু আমি এখন ক্লাসে যাবো।
ওকে জান।
কিরে এভাবে মুখ আন্দার করে আসলি কেনো। কি বললো ছেলেটা তোকে।
কিছু বলে নাই। তোর সাথে কথা বলতে চায় না। তুই ছেলেটাকে মিথ্যা ধর্ষনের অপবাদ দিয়ে থানায় পাঠিয়ে ঠিক করিস নাই। থানায় ছেলেটাকে এমন মার মেরেছে যে পাঁচদিন ঠিক ভাবে হাটতে পারে না। তাই এই পাচদিন কলেজে আসে নাই।
ছেলেটা অনেক ভালো গরীব হলে হবে কি মনটা অনেক ভালো। (নীলা)
ভূল তো মানুষে করে। তেমন আমিও একটা ভূল করছি ক্ষমা তো আমাকে চাইতে হবে তাই তোদের দিয়ে হবে না।
আচ্ছা ছেলেটার নাম শুনছিস কি?
হে ছেলেটার নাম ঈমান ইসলাম(নীলা)
নামটা তো অনেক সুন্দর তাই না রে নীলা (মীম)
পর্ব ৭
এই রাফিজা, চল ক্লাস শুরু হবে এখন ক্লাস রূমে যাই। আরে মন খারাপ করতেছিস কেনো পরে না হয় কথা বলিস। তখন ক্ষমা চেয়ে নেস এখন ক্লাসে চল। ছেলেটা তো আর কলেজ থেকে চলে যায় নাই তাই মন খারাপ করিস না (নীলা)
আচ্ছা চল, তাহলে ক্লাস রূমে যাই। ক্লাস শেষ হলে কথা বলবো।
হে ঠিক বলছিস রে নীলা, ছেলেটা কলেজে আছে তো পরে না হয় কথা বলিস রে রাফিজা। (মীম)
কথা বলবে তো আমার সাথে ঈমান। ওকে আমি অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলছি। আমি যে ভূল করছি এই ভূলের ক্ষমা করবে কি?
আরে চল ক্লাসে যাই। ক্ষমা করবে তোকে মানুষ মাত্রে তো ভূল হয়। (মিম)
চল, তারপর তিন জনে এক সাথে ক্লাস রূমে যাচ্ছি। ঈমান কি আমাকে ক্ষমা করবে? মনে মনে ভাবতেছি।
সেই তখন থেকে ক্লাস রূমে বসে আছি স্যার এখনো আসে না কেনো। সব ছাত্র ছাত্রি আমার দিকে কেমন করে যেনো দেখতেছে। ((আমী)
পাশের সিটে দুই জন বলা বলি করতেছে, এই দেখতো এই ছেলেটা সেই ছেলেটা নয় যে ধর্ষন করতে চেয়েছিলো রাফিজাকে।
তারা এগুলো বলা বলি করতেছে।
আর আমার দিকে সবাই তাক লেগে দেখতেছে মনে হচ্ছে আমি ভিন্ন গ্রহ থেকে এসেছি। কে কি বলাবলি করে করুক তারা তো আর জানে না কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। এগুলো ভাবতেছি।
তারপর দেখতেছি ক্লাস রূমের গেট দিয়ে সেই তিন জন মেয়ে আসতেছে যারা আমার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলো। তাহলে মেয়েগুলোও এই ক্লাসে পড়ে।
এ রাফিজা দেখ সেই ছেলেটা না, নাম টা কি যেনো হে মনে পড়ছে ঈমান। মীম
কই রে মীম, রাফিজা
ওই দেখ শেষের সিটে মাথা নিচ করে আছে। মিম
তাহলে ছেলেটা আমাদের সাথে পড়ে ভালোই হলো রে রাফিজা যখন তখন কথা বলতে পারবি। নীলা
হে ঠিক বলছিস। এই শূন না ওর সামনের সীটে ফাকা আছে গিয়ে আমরা বসী। যদি কথা বলতে পারি এর ফাকে। মীম
ঠিক বলছিস চল তাহলে। রাফিজা
কি বেপার মেয়ে গুলো আমার কাছে আস্তেছে কেনো। আবার কোন ঝামেলা করবে নাকি। (মনে মনে ভাবতেছি )
তারপর দেখতেছে তারা আমার সামনের সীটে বসতেছে।
রাফিজা কি বলবি বল তারাতারি ছেলেটাকে এটায় সুযোগ, না হলে ক্লাসে স্যার আসবে। মীম
দেখতেছি মেয়েটা আমার দিকে দেখতেছে। মনে হচ্ছে আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলতে পারতেছেনা। এর ভীতরেই স্যার ক্লাসে চলে এসেছে। (আমি )
হেলো, এভ্রিবডি সবাই কেমন আছো। (স্যার)
ভালো স্যার, আপনি (সবাই)
আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও ভালো। তো তোমাদের সবার কলেজ কেমন লাগতেছে দ্বিতীয় দিন। (স্যার )
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো স্যার। (সবাই)
তোমারা তো আমাকে চিনো না বা আমিও তোমাদের চিনো না তাই আজকে সবাই সবার থেকে নিজের পরিচয় জানি। তো প্রথম সীট থেকে বলা শুরু করি ( স্যার)
তারপর সবাই সবার পরিচয় দিচ্ছে। তারপর সেই মেয়েটা তার পরিচয় দিচ্ছে।
আমার নাম রাফিজা চৌধুরী।
ও তাহলে মেয়েটার নাম রাফিজা। নামটা শুনে মনে হচ্ছে অনেক ভালো মেয়েটা কিন্তু ততোটা ভালো না মেয়েটা প্রথম দিন বুঝতে পারছি। (এগুলো ভাবতেছি )
ঠিক আছে মামুনি বসো। এই ছেলে তোমার নাম বলো (স্যার)
জ্বি স্যার আমি।
হে তুমি তোমার নাম এবং পরিচয় বলো (স্যার)
আমার নাম ঈমান ইসলাম আর বাসা দিনাজপুর ফুলবাড়ি।
ওকে তো এবার আমরা ক্লাস শুরু করি। সবাই সবার পরিচয় জানলাম। (স্যার)
ওকে স্যার শুরু করুন (সবাই)
এভাবে প্রায় পাঁচটা ক্লাস করলাম। তারপর কলেজ থেকে বাসার যাওয়ার জন্য ক্লাস রূম থেকে বাহির হচ্ছি। কলেজের গেটে আস্তে
এই যে ঈমান ভাইয়া একটু দারান না আপনার সাথে কথা আছে। (মিম)
আপু তোমাকে তো তখন বললাম যে আপনারা আপনাদের মতো থাকেন আর আমাকে আমার মতো থাকতে দেন না প্লিজ।
আমরা গরীব মানুষ আর আমি কি দোষ করছি যে আপনারা আমার উপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন। আমাকে আমার মতো থাকতে দেন না প্লিজ।
আরে ভাই একটু কথা বলেনা আমার বান্ধুবির সাথে। শুধু একটু কথা বলেন তারপর আর কিছু বলবে না আপনাকে। শুধু পাচঁ মিনিট কথা বলেন প্লিজ ভাই, মিম
ওকে শুধু পাঁচ মিনিট
ঠিক আছে আমি তাকে ডাকতেছি ভাই। আপনি একটু এখানে সাইটে দারে থাকুন। মীম ঠিক আছে আমি এখানে আছি আপনি আপনার বান্ধুবীকে এখানে ডেকে আনেন।
এই রাফিজা চল, অনেক কষ্টে রাজি করলাম তোর সাথে কথা বলার জন্য কিন্ত তোর সাথে শুধু পাঁচ মিনিট কথা বলবে আর বেশি না আর এর ফাকে কি বলবি সেটা তোর বেপার। পরে আমাকে কিছু বলতে পারবি না, মীম ওকে চল পাঁচ মিনিট কথা বললেই হবে।
আসসালামু লাইকুম, আমি রাফিজা চৌধুরী কেমন আছেন?
ওলাইকুম আসসালাম, আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি আপনি?
আমি বেশি ভালো নাই। আমি সেই দিনের জন্য একবারে ছরি। আমি একজনে উপর প্রতিশোন নিতে কিয়ে ভূল করে আপনার উপর প্রতিশোধ নিয়ে ফেলছি। আমি আপনার কাছে খুবেই দুঃখীত।
ভূল করে নাকি ইচ্ছা করে আপনারা আমার উপর প্রতিশোধ নিয়েছে। আপনারা একটা জিনিস পারনে সেটা হচ্ছে গরীবের উপর কিভাবে অত্যচার করা যায়। আর আমরা তো গরীব তাই আমারা কোন প্রতিবাদ করতে পারি না।
প্লিজ আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমার ভূল হয়ে গেছে।
আচ্ছা আপনার ভূল হয়েছে মানলাম। শুধু ছরি বললে কি আপনারা আমার এই কলেজে যে সম্মান ছিলো সেটা কি ফিরিয়ে দিতে পারবে।
পারবেন না শুনে মিস রাফিজা চৌধুরী আপনাদের টাকা পয়সা আছে দেখে সব কিছু করতে পারেন কিন্তু আমরা কিছু করতে পারি না। আপনাদের ওই দিন বললাম যে আমি কিছু করি নাই কিন্তু আপনারা আমার কথা কেউ শুনলেন না তারপর আমাকে থানায় দিলেন সেখানেও এমন মার মারলো পাঁচ দিন ঠিক ভাবে হাটতেই পারি না।
ভাই যা হবা হয়েছে আপনি ওকে মাফ করে দেন, মীম
ঠীক আছে মাফ করে দিলাম। আর যদি আপনাদের ভূল না হয়। এটা ভাবেন যে গরীব রাও কিন্তু আপনাদের মতো মানুষ,?
পর্ব ৯
ঠিক আছে মাফ করে দিলাম। আর যদি আপনাদের ভূল না হয়। এটা ভাববেন যে গরীব রাও কিন্তু আপনাদের মতো মানুষ, আপনাদের যেমন মন আছে তেমন গরীব দেরও একটা সুন্দর মন আছ, সম্মান আছে এগুলো নিয়ে খেন না জীবনে।
ওকে বায় ভালো থাকবেন। বাড়িতে যাইতে হবে আমার।
আর একটু কথা বলি আপনার সাথে, রাফিজা
না আমার সময় নাই আমাকে বাড়িতে যেতে হবে। বাড়িতে মা চিন্তা করবে।
আচ্ছা আমরা কি বন্ধু হতে পারি না। আমরা তো এক ক্লাসে পড়ি আমরা তো সবাই বন্ধু হতে পারি, রাফিজা
সরি, আমি মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করি না। আর আপনারা তো বড়লোক মানুষ হয়ে আমার মতো গরীবের ছেলের সাথে আপনারা বন্ধুত্ব করতে চাচ্ছে।
গরীব হয়েছো তো কি হয়েছে গরীব রাও তো মানুষ। এখন বলো বন্ধু হবে কিনা, রাফিজা
হে ভাইয়া আমরা তো এক ক্লাসে পড়ি বন্ধু হতে সমস্যা কি, মিম
ঠিক আছে কালকে ভেবে বলবো
কালকে না এখনে ভেবে বলো বন্ধু হবে কিনা, রাফিজা
কি যে করি, আমি ভেবে পাচ্ছি না তারা আমার সাথে বন্ধু করতে চাচ্ছে কেনো। আর আবার বন্ধুত্ব করে কি আমার আবার ক্ষতি করবে নাকি।
কি ভাবতেছো বলো এখন বন্ধু হবে কি না,?
কিছু না, আজকে থেকে আমরা বন্ধু। এখন আমি যাই তারাতারি বাসায় যাবো আপনারা থাকেন।
এই এতো তারা কিসের?
বাসায় যাইতে হবে বায় আপনারা থাকে। এদের কাজ থেকে যাইতে পারলে বাচি। এই রাফিজা মেয়েটাকে দেখলে আমার কেমন যেনো ভয় লাগে কখন কি করে ফেলে। তাই তারাতারি ওদের থেকে যাইতে যাচ্ছি তবুও যাইতে দিচ্ছে না। কি জ্বালায় না পড়লাম।
এই দারাও একটু
কি হলো আবার আপনার? আমাকে যাইতে দিন না প্লিজ।
আমরা তো বন্ধু তাই তোমার ফোন নাম্বার টা দিয়ে যাও।
আমি তো ফোন ব্যবহার করি না।
আমার কাছে মিথ্যা কথা বলতেছো। এখান থেকে যাইতে পারবে না নাম্বার না দিলে।
কি মেয়েরে মাইরি অল্পতে রাগ দেখায়। ঠিক আছে নেন নাম্বার। 017737**ওকে বায় এবার আমি গেলাম।
ওকে এবার তুমি যাইতে পারো। আমি তোমাকে রাতে ফোন দিবো যদি আমার ফোন না ধরো তাহলে কালকে কলেজে আসলে মেরে বালিশ বানাবো।
ওকে ধরবো, ভালো থাকবেন। এই মেয়েকে যে বিয়া করবে তার জীবন তেনা তেনা করে ছাড়বে। (সবাই এটা ভাববে মেয়ে মানুষ মানেই পেরা। তারা শুধু পেরা দিতে পারে। আর যার জিএফ আছে তার কথা তো নাই বললাম। জীবন তেনা তেনা করে ছাড়বে )
তারপর বাসায় আসলাম। ফ্রেস হয়ে খাইতে বসলাম
মা তারা তারি খাইতে দাও।
বাবা আজকে কলেজ থেকে তারাতারি আসলি যে।
মা এগুলো কথা বাদ দেও তো খাবার দেও খুদা লাগছে। তারপর খাওয়া করে রেস্ট করতে রূমে গেলাম। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখতেছি কে যেনো 10 বার মিচকল দিয়েছে। দেখতেছি আবার ফোন বাজতেছে অচেনা নাম্বার থেকে কি যে করি ধরবো না ধরবো। না থাক ধরবো না।
কি বেপার ফোন ধরতেছে না কেনো। কতবার দিলাম ভূল নাম্বার দিলো না তো। দেখি এবার একটা মেসেজ দেই।
দেখেতেছি কে যেনো একটা মেসেজ দিলো ফোন টং করে উঠলো। মেসেজ ওপেন করে দেতেছি লেখা, আমি আমি রাফিজা ফোনটা একটু ধরো।
এর ভিতরে আবার ফোনটা বেজে উঠলো তাই ফোনটা রিচিপ করলাম।
একক্ষন ফোন দিতেছি ফোন ধরো না।
আমি কি জানি এইটা আপনার নাম্বার। আর আমি অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলে ফোন ধরি না।
ঠিক আছে এখন তো চিনতে পারছো তাই আমার নাম্বার টা ছেফ করে রাখো। আচ্ছা তুমি আমাকে আপনি করে বলতেছো কেনো আমি কি তোমার বড় হই নাকি হে। আর আমরা তো এখন বন্ধু তাই না আমাকে তুমি করে বলবে।
ঠিক আছে বলো নি তুমি করে। (আমি)
তো এখন কি করো। (রাফিজা)
এই ত সুয়ে আছি তুমি, আমি
আমিও সুয়ে আছি। খাওয়া করছো? , রাফিজা
হুম ওকে বায় পরে কথা হবে এখন আমি ঘুমাবো, আমি
ওকে বায় রাতে ফোন দিবো। ফোন রিচিপ করিও ওকে। রাফিজা
ওকে, তারপর আমি ঘুমাইলাম। ঘুম থেকে উঠতে প্রায় সাত টা বেজে গেছে। কি বেপার আজকে এত দেরিতে ঘুম থেকে উঠলাম। তারাতারি বিছানা থেকে উঠে হাতমুখ ধূতে গেলাম। হাতমুখ ধুয়ে খেতে আসলাম।
মা খাবার দাও খুদা লাগছে।
মা;বস দিতেছি
তারপর খেয়ে আবার রূমে আসলাম পড়তে বসার জন্য। পড়তে বস্তে না বস্তুে কে জেনো আমার ফোনে ফোন দিলো। নাম্বার দেখে চিন্তে পারলাম এটা রাফিজা
আসসালামু লাইকুম
ওলাইকুম আসসালাম, কি করো।
পড়তে বসছি তুমি কি করো?
আমি সুয়ে আছি।
কালকে কলেজ আসবা না?
হুম যাবো ওকে বাই কালকে কলেজে যাবো সেখানে দেখা হবে।
ওকে বায় আল্লাহ্ হাফেজ
এভাবে প্রায় আমাদের বন্ধুত্ব ভালো চলতেছিলো। কলেজের কেমপাসে বসে আছি হঠাৎ করে রাফিজা বলতেছিলো যে;;;;, ;
এই ঈমান শুন না একটা কথা বলি রাখবি তো
হে বল কি বলবি? রাখার মতো হলে তো রাখবো।
সত্যি রাখবি তো।
আচ্ছা বল রাখবো।
আমি না তোকে ভালো বেসে ফেলছি। তোকে ছাড়া আমি এক মহুত্ব থাকতে পাড়তেছিনা। যেখানে যাই সেখানেই শুধু তোকে দেখতে পাই। সবসময় তোকে নিয়ে খালি ভাবি।
I love you Iman আমি তোকে খুব ভালো বাসি।
হঠাৎ করে রাফিজা আমাক propose করবে ভাবতে পারি নাই। এটা কিভাবে সম্ভব ও কই আর আমি কই। এই সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না। মনে মনে ভাবতেছি
কি হলো ঈমান, চূপ করে আসিছ কেনো কথা বল আমার উত্তর দে।
রাফিজা এটা হয় না। তুই কোথায় আর আমি কোথায় এটা কেমনে হয় বল। আর তুই বন্ধুদের ভীতরে প্রেম ভালোবাসা আনতেছিস কেনো বল। এটার কারনে খালি সম্পর্ক নষ্ট হবে। আমরা যেটা আছি সেটাই ভালো আছি তুই বুঝার চেষ্টা কর।
না আমি কিছু বুঝতে পারবো না তুঈ বল আমাকে ভালো বাসবি কি না। যদি না রাজি হস তাহলে আমি অত্যহত্যা করবো।
না এটা হয় না। তুই বুঝতেছিস না কেনো যেটা আছি সেটাই ভালো আছি।
হঠাৎ দেখতেছি রাফিজা তার বেগ থেকে,?
পর্ব ১০
এটা হয় না। তুই বুঝতেছিস না কেনো যেটা আছি সেটাই ভালো আছি।
হঠাৎ দেখতেছি রাফিজা তার বেগ থেকে একটা বিষের বোতল বের করে বলতেছে আমাকে যদি ভালো না বাসো তাহলে এই বিষ খেয়ে মারা যাবো।
কি ঝামেলাই না পড়লাম। কি করি এখন রাজি না হলে তো বিষ খাবে নাকি। (এটাই তো আমার সুযোগ রাফিজার থেকে প্রতিশোধ নিবো। আমাকে প্রথম দিন কলেজে ধর্ষনের অপবাদ দিয়ে জেলে পাঠানোর প্রতিশোধ নিবো। মনে মনে ভাবতেছি )
কি হলো কি ভাবো। বলো আমাকে ভালোবাসবে কি না। না বললে আমি বিষ খাবো।
এটা কেমন পাগলামি তোমার জোর করেকি ভালোবাসা হয় বলো।
না আমি তোমাকে জোর করে হলে আমাকে ভালোবাসাবো। এখন কি করবা বলো।
ওকে আমি কালকে ভেবে বলবো। এখন আমি বাসায় যাবো কালকে কথা হবে।
কালকে যদি হ্যা শুনি যদি না শুনি তাহলে আমার মরা মুখ দেখবে।
ওকে বায় কালকে কথা হবে কলেজে। প্রতিদিন যেভাবে বাসায় যায় সেভাবে গেলাম। বাসায় গিয়ে ভাবতেছি রিয়েল প্রেম করবো নাকি প্রতিশোধ নিবো।
এগুলো ভাবতে ভাবতে মা এদিকে খাবার খেতে ডাকতেছে। তারপর খাবার খেয়ে রুমে গিয়ে বিছানায় সুয়ে ভাবতেছি প্রেম করবো তারপর দেখা যাবে কি হয়।
এভাবে পুরা দিনটা চলে গেলো কেমনে বুঝতে পারলাম না। তারপর রাতে খাবার খেয়ে অল্প একটু বই পড়ে ঘুমানোর পুস্তুতি নিচ্ছি তাতে আমার ফোন টা বেজে উঠলো।
কে যে ফোন দিলো অসময়ে। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখতেছি রাফিজা ফোন দিয়েছে।
হোলো আসসালামু লাইকুম
ওলাইকুম আসসালাম, কি করো?
এই ত ঘুমানোর পুস্তুতি নিচ্ছি তুমি।
আমিও সুয়ে আছি। এখন বলো কি ভাবলে। আমাকে ভালো বাসবে কি না?
রাফিজা তুমি বুঝতেছো না কেনোনোনো, কথা বলতে না দিয়ে রাফিজা বলতেছে
আমি অত কিছু বুঝি না আমি এটা বুঝি খালি তুমি আমাকে ভালো বাসবে ওকে।
এখন বলো কি রাজি আমার প্রস্তাবে। রাজি না হলে বুঝতে পারতেছো তো কি করবো?
আমি তো তোমাকে বললাম কালকে বলবো এখন শুনতে চাচ্ছো কেনো আমি কালকে দিবো তোমার প্রস্তাবের উত্তর।
ওকে ঠিক আছে কালকে যদি পাই উত্তর। ওকে বায় ভালো থেকে গুট নাইট।
ওকে বায়। এখন কই যাবা রাফিজা চৌধুরী এখন তো আমার সুযোগ তোমার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার হাহাহাহাহা। এগুলো ভাবতেছি আর হাসতেছি। এভাবে কখন যে ঘুমাই গেছি নিজেই জানি না। সকালে মার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো। তারপর ফ্রেস হয়ে সকালের নাস্তা করে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি। রেডি হয়ে মাকে বলতেছি
মা আমি গেলাম বায়।
ওকে যা বাবা দেখে শুনে যাস।
কলেজে এসে প্রথমে বাগের হাতে পড়লাম। এখানে বাগ বলতে রাফিজাকে বলতেছি।
কেমন আছো ঈমান। আর আমার প্রস্তাবের উত্তর দেও? উত্তর যদি হ্যা হয় না হলে এই যে বিষের বোতল সব খেয়ে ফেলবো বলে দিলাম।
আর খালি তুমি ভয় দেখাও কেনো আমাকে। আমি বলতেছি উত্তর কিন্তু আমার কিছু শর্ত আছে যদি এগুলো মানো তাহলে তোমার প্রস্তাবে আমি রাজি।
আচ্ছা ঠিক আছে বলো তোমার কি সর্ত? আমি তোমার সব সর্ত মানতে রাজি আছি
প্রথম মতো আমার সর্ত গুলো শুধু তোমাকে বলতে চাই বা আমার এই শর্তের কথা কেউ জানবে না। তোমার কোন বান্ধুবিও
ঠিক আছে কাউকে বলবো না, এবার বলো
আমার প্রথম শর্ত হলো আমি তোমার সাথে রিলেশনে যাওয়ার আগে তোমার সাথে রূম ডেট করতে চাই।
দ্বিতীয় শর্ত আমার কথা সব শুনতে হবে। এগুলো যদি মানো তাহলে তোমার প্রস্তাবে আমি রাজি।
কি বলো এগুলো বিয়ের আগে কেউ রূমডেট করে। আর আমি তো তোমাকেই বিয়ে করবো তাহলে এগুলো বিয়ের পরে করবো। বিয়ের আগে করতে চাচ্ছ কেনো। এগুলো বিয়ের আগে করলে তো পাপ হয়। আমি এগুলো করতে পারবো না প্লিজ তুমি রূমডেটের কথা বাদ দিয়ে যাবলবে তাই করবো আমি।
আমি তো আগে বললাম আমার শর্ত যদি মানো তাহলে তোমার প্রস্তাবে আমি রাজি। আমার সাথে প্রেম করতে হলে আগে আমার সাথে রূমডেট করতে হবে।
ঈমান তুমি এতো খারাপ একটা মানুষ আগে জানতাম না। আর কেনো তুমি আমার সাথে এমন করতেছো বলো।
( আপনাদের কাছে প্রশ্ন প্রতিশোধ কি নিবো নাইকার থেকে)
পর্ব ১১
ঈমান তুমি এতো খারাপ একটা মানুষ আগে জানতাম না। আর কেনো তুমি আমার সাথে এমন করতেছো বলো।
আমি আবার কি করলাম। তুমি যদি আমার সর্তে রাজি থাকো তাহলে আমি তোমার সাথে প্রেম করবো।
প্লিজ ঈমান তুমি এমন করো না। আমি তোমাকে সত্যি ভালো বাসি। আমি তো তোমাকে বিয়ে করবো প্লিজ এমন করো না। আমি তোমার সব কথা মানবো কিন্তু রুমডেট এর কথা বলিও না প্লিজ। আমি তোমাকে না পেলে মারা যাবো।
তুমি এখন কি করবা করো আমি জানি না কিন্তু যদি আমার সর্ত মানো তাহলে আমি রাজি তোমার প্রস্তাবে। এখন আমি ক্লাসে গেলাম তুমি এখানে বসে ভাবো কী করবা।
তারপর এগুলো কথা রাফিজাকে বলে আমি ক্লাস রূমে ক্লাস করতে যাচ্ছি।
আর এদিকে রাফিজা ওখানে বসে আছে।
কি করবো এখন আমি। ঈমানকে আমি এতো ভালোবেসে ফেলেছি এ কয় দিনের তাকে ছাড়া তো কিছুই ভাবতে পারতেছিনা। আমার মন প্রান জুরে ঈমাকেই শুধু অনুভব করি। যেভাবে হক ঈমানকে আমি রাজি করাবে। যদি রূমডেট করতে হয় তাও করবো কিন্তু তাকে আমি রাজি করাবো। ঈমানকে আমার করে ছাড়বো।
(রাফিজা এগুলো ভাবতেছে বসে বসে)
আমি ক্লাস রূমে বসে স্যার এর অপেক্ষায় বসে আছি। কি বেপার রাফিজা এখনো আসতেছে না কেনো। আজকে কি ক্লাস করবে না।
তারপর আমি বসা থেকে ক্লাস করতে ক্লাস রূমে যাচ্ছি। দেখতেছি ঈমান সিটে বসে আছে।
দেখতেছি রাফিজা ক্লাস করতে রূমের গেট দিয়ে আসতেছে। সে আমার সামনে সিটে এসে বসলো। মনে হচ্ছে মন খারাপ। ভাবতেছি কথা গুলো কি বলে ভূল করলাম নাকি। তারপর স্যার আসলো ক্লাস নিতে। পর পর পাঁচটা ক্লাস করলাম। টিফিন দিলো তাই কেন্টিনে খেতে গেলাম।
কোথায় থেকে যেনো রাফিজা আমার কাছে এসে বলতেছে,
তুমি এখানে আর আমি সেই কখন থেকে পুরো কলেজ খুজে বেড়াচ্ছি আর তুমি এখানে বসে আছো।
কেনো কি হয়েছে?
কি হয়েছে মানে আমি তোমার শর্তে রাজি। রূমডেট করতে রাজি আমি। কিন্তু তুমি আমাকে ছেড়ে জাবে না। আমি তোমাকে অনেক ভালো বাসি।
সত্যি তুমি রাজি তো
হ্যা, মাথা নিচ করে বলতেছে।
ঠাস ঠাস ঠাস তুই আমাকে এতোদিন চিন্তে পারলি না। আমি কি ওই রকম নাকি। আমি গরীব হতে পারি কিন্তু আমি কখনো কোন মেয়েকে খারাপ চোখেই দেখি নাই আর তুই কিভাবে ভাবলি আমি তোর সাথে রূমডেট করবো।
আমি ভাইতেই পারি না ই যে ও আমার সর্তে রাজি হবে।
কান্না করতেছে মাথা নিচ করে।
আমি তোকে পরিক্ষা করে দেখলাম তুই আমাকে সত্যি ভালোবাসিস কি না।
তুমি তো বলছো রুমডেটে কথা এখন তুমি আমাকে মারতেছো। আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি দেখে তোমার সর্তে রাজি হয়েছি। আর তুমি আমাকে মারলে (কান্না করতে করতে এগুলো বলতেছে )
ছরি সোনা খুব লেগেছে তাই না। দেখি কই লেগেছে।
হয়েছে দেখতে হবে না মারার সময় তো মারলে এখন আসছে আদর করতে।
আমি আস্তে মারতে চেয়েছিলাম কিন্তু জোরে লেগে গেছে। ছরি ছরি ছরি এই দেখো কান ধরতেছি মাফ করে দেও আর হবে না।
হয়েছে কান ধরতে হবে না সবাই দেখতেছে। এক সর্তে মাফ করতে পারি এখন আমাকে প্রোপোস করতে হবে।
এখন কিভাবে। ফুলতো নাই কিভাবে প্রোপোস করবো। আমি তো প্রোপোস করতে পারি না কিভাবে করবো।
সেটা তুমি জানো কিভাবে করবে।
পরে করি প্রোপোস। এখন কিভাবে করবো।
সবার সামনে আমাকে প্রোপোস করতে হবে তাহলে মাফ করবো।
কি জ্বালায় না পড়লাম। (বন্ধু রা বলো তো কেমনে প্রোপোস করে প্রথম লাভ প্রথম প্রেমে কেমনে প্রোপোস করছিলে কমন্টে জানাবেন কেমন ফ্লিলিংস হয়েছিলো। )
আচ্ছা ঠিক আছে করতেছি। করতেই হবেই কি?
হে করো তারতারি
আচ্ছা শুনো তাহলে রাফিজা আই লাভ ইউ। আমি তোমাকে ভালো বাসি।
এ এটা কেমন প্রোপোস হলো। এই রকম দিয়ে হবে না রোমান্টিক ভাবে করো। এইভাবে তো সবাই করে/ না হলে মাফ করবো না।
পর্ব ১২
আচ্ছা শুনো তাহলে,
রাফিজা আই লাভ ইউ। আমি তোমাকে ভালো বাসি।
এ এটা কেমন প্রোপোস হলো। এই রকম দিয়ে হবে না রোমান্টিক ভাবে করো। এইভাবে তো সবাই করে/ না হলে মাফ করবো না।
ঠিক আছে এবার করতেছি,
জানো তোমায় যেদিন দেখেছি,
যানি না কি এক টানে
হারিয়ে গিয়েছি।
ভালোবাসা তো জানি না কিন্তু তোমাকে ছাড়া এই ঈমান অসম্পূর্ণ।
তোমাকে আমার খুব বেশি দরকার আলতো করে চুমি খাওয়ার জন্য হলেও বা এক সাথে ছাদে বসে চাঁদ দেখার জন্য হলেও ভালো বাসি।
কারন ছাড়া অহেতুক i love you!
কি হলো এমন করে কি দেখো আমার লজ্জা লাগতেছে। তারাতারি উত্তর দেও সবাই দেখতেছে। আর কতক্ষন এভাবে হাটু ফেলে বসে থাকবো।
তুমি এতো সুন্দর ভাবে প্রোপোস করবে আমি ভাবতেই পারতেছি না। দেখতেছি তুমি তো সেই রোমান্টিক কিন্তু তোমাকে বাসির থেকে বুঝা যায় না।
আমি কি এভাবেই বসে থাকবো হাটু ফেলে। উত্তর দেও?
i love you 2 আমি ও তোমাকে ভালো বাসি ঈমান। খুব ভালো বাসি। এবার উঠো আর হটু ফেলে থাকতে হবে না।
আচ্ছা চলো এখান থেকে সবাই আমাদের কেমন করে যেনো দেখতেছে।
কে দেখে দেখুক আমরা তো এখন দুইজন দুইজনকে ভালো বাসি। আর শুনো আজকে আর আমরা ক্লাস করবো না। রিকশায় করে পুরো শহর ঘুরে বেড়াবো।
আজকে আমাদের প্রেম শুরু হওয়ার প্রথম দিন।
কি যে বলো না, চলো ক্লাস করবো। শহর ঘুরতে হবে না?
না আমি আর ক্লাস করবো না এবং তোমাকেও করতে দিবো।
কি করি এখন। পুরো শহর ঘুরতে গেলে টাকার দরকার আর আমার কাছে আছে 50 টাকা এই টাকা দিয়ে তো হবে না। তাই না যাইতে চাচ্ছি।
কি ভাবতেছো চলো তো আমরা আজকে শহর ঘুরবো।
হাত ধরে টানতেছে।
আরে থামো আমার বেগটা তো নেই আগে। আর শুনো তুমি আজকে পুরো শহর ঘুরতে চাচ্ছা এগুলো বাদ দিয়ে আমরা আজকে ক্লাস করি। অন্যএকদিন না হয় শহর ঘুরবো।
না আমরা আজকেই ঘুরবো।
ভাবতেছি আজকে যে কি হয়? টাকা নাই পকেটে।
কলেজের গেটে এসে দেখতেছি রাফিজার বান্ধুবি রাফিজাকে বলতেছে যে
কি রে রাফিজা কই যাচ্ছি ঈমান কে নিয়ে? মিম
এই ত সামনে একটু যাবো।
ঈমানকে পেয়ে তো দেখতেছি আমাদের ভূলে যাচ্ছি।
কি যে বলিস না তোদের ভূলতে পারি কি। শুন তোদের সাথে পরে কথা হবে এখন যাই আমার একটু তারা আছে।
আমি দারে থেকে তাদের কথা শুনতেছি।
মিম বায়, কালকে কলেজে দেখা হবে।
ওকে বায়।
তারপর রাফিজা বলতেছে এই শুনো একটা রিকশা ঢাকো তো।
দেখতেছি একটা রিকশাওলা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।
এই মামা যাবেন?
কই যাবেন, হে চলেন?
কই যাবো জানি কিন্তু পুরো শহর আজকে ঘুরবো।
ঠিক আছে চলেন।
রাফিজা চরো রিকশায়।
হে চরতেছি। প্রথমে রাফিজা চরলো তারপর আমি চরলাম। মাঝখানে গেফ রেখে বসলাম।
তো মামা চলেন।
ঠিক আছে।
কেমন যেনো লাগতেছে তাই রাফিজার কাছ থেকে একটু দুরে বসে আছি। প্রথম কোন মেয়ের সাথে রিকশায় বসেছি তো তাই এমন মনে হচ্ছে।
কি বেপার তুমি শুধু ওদিকে সরে যাচ্ছ কেনো পরে যাবে তো। আমার দিকে চেপে বসো।
আমার কেমন যেনো লাগতেছে। আর আমি এখানে ঠিক আছি।
না তুমি ঠিক নাই এদিকে চেপে বসো না হলে পড়ে যাবে।
জোর করে চেপে বসালো তার কাছে। তারপর সে আমায় হাল্কা জরিয়ে ধরে আমার কাধে মাথা রাখলো। এই প্রথম আমি কোন মেয়ের কাধে মাথা রাখলো আমার কেমন অস্হির অস্থির লাগতেছে আবার ভালো লাগতেছে।
কি ভাবো। এখন আমার না খুব ভালো লাগতেছে তোমার কাধে মাথা রেখে।
তাই শুন না মাথাটা নামাও না আমার কেমন যেনো লাগতেছে। আর এভাবে কেউ দেখলে খারাপ ভাববে।
কেমন লাগতেছে আমি বুঝি না কিন্তু আমার ভালো লাগতেছে। আর দেখলে কেউ কিছু বলবে না।
ঠিক আছে তাও কেউ দেখলে কি ভাববে।
তারপর সে আমাকে একটা শপিংমলে নিয়ে গেলো।
কি বেপার এখানে আসলে কেনো।
এখানে আমার একটু কাজ আছে। আর তুমি বেশি কথা বলো কেনো তুমি আমার সাথে আসো।
ঠিক আছে চলো। কেনো যে এখানে আসলো। জীবনে প্রথম দেখলাম এতো বড় শপিংমল দেখলাম। শপিংমলে র ভীতরে ঢুকে চার পাশে দেখতেছি। তারপর সে আমাকে একটা দোকানে নিয়ে গেলো।
কেমন আছেন ভাইয়া।
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আপু। বহু দিন পরে আসলেন যে আপু। কি লাগবে আপু, দোকান দার
ভাইয়া কিছু শার্ট আর কিছু প্যান্ট দেনো তো।
কার জন্য আপু,
আরে এতো প্রশ্ন করো কেনো। দেন তো তারাতারি।
তারপর সে আমার মাপ নিয়ে দুইটা শার্ট আর দুইটা প্যান্ট নি। ামি কিছুই বুঝতেছি না কার জন্য এগুলো নিচ্ছে। জিগাসা করলেও বলতেছে না।
তোমাকে না বলছি বেশি কথা বলবে না।
ঠিক আছে আমি আর কিছু বলবো না। চুপ করে থাকবো তারপর সে প্যান্ট আর শার্ট এর দাম দিয়ে আবার শপিংমল থেকে বাহির হলাম।
নিচে এসে আমরা দুই জনেই অবাক দেখতেছি,?
শেষ পর্ব
ঠিক আছে আমি আর কিছু বলবো না। চুপ করে থাকবো তারপর সে প্যান্ট আর শার্ট এর দাম দিয়ে আবার শপিংমল থেকে বাহির হলাম।
নিচে এসে আমরা দুই জনেই অবাক দেখতেছি
রাফিজার দুই বন্ধুবি শপিংমলে আসতেছে।
কি রে রাফিজা এখানে কেনো, মিম
এই তো কিছু কাপড় কিন্তে আসছিলাম।
তুই না বাসায় যাবি বললি কলেজে, মিম
আরে একটূ কাজ ছিলো তাই এখানে আসলাম। এখন বাসায় যাবো। তো তোরা এখানে কি করতে আসছি। কিছু কি নিবি?
হুম,
ওকে তোরা যা তাহলে আমরা যাই।
ওকে যা তাহলে। তারপর আমরা একটা রিকশা ডেকে তাতে দুই জনে উঠলাম।
আচ্ছা তুমি এগুলো কার জন্য কিনলা আর বলতেছ না কেনো কার এগুলো।
এগুলো আমার বয় ফেরেন্টকে দিবো। তুমি জানো আমার বয় ফেরেন্ট কে?
না তো জানি না, কে তোমার বয়ফেরেন্ট। (মজা করে বললাম কারন আমি তো তার bf )
তুমি সত্যি জানো না আমার bf কে?
না তো কে বলো তার নাম কি?
আচ্ছা বলো তো আমার পাশে কে বসে আছে।
কেনো আমি বসে আছি।
হুম তুমি হলে আমার bf.এখন বুঝতে পারছো কার জন্য নিয়েছি। এই নেও এগুলো তোমার জন্য। প্যান্ট স্যার্ট গুলো আমার হাতে দিয়ে এগুলো বলতেছে।
এগুলো করার দরকার ছিলো না। আমি কি তোমার থেকে এগুলো চেয়েছি।
তুমি এতো কথা বলো কেনো। তোমাকে আমি আমাদের রিলেশন শুরু হওয়ার প্রথম গিপ্ট দিলাম নেও তো। (রেগে বলতেছে )
তাই ভয়ে কাপড় গুলো নিলাম। ওকে দাও আর আমি তো তোমাকে কিছু দিতে পারলাম না।
আমি কি বলছি আমাকে দিতে।
তাও তুমি দিলে আমাকে।
না আমাকে কিছু দিতে হবে না। শুধু বেশি করে আমাকে ভালো বাসবে আর আমাকে ছেড়ে যাবে না কথা দাও। তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে আমি বাচবো না।
ওকে কথা দিলাম তোমাকে ছেড়ে কোথায় যাবো না। এভাবে রাফিজাকে জরাই ধরলাম। রিকশায় এগুলো কথা বলতেছি। তারপর হঠাৎ কোথায় থেকে যেনো খুব জোরে আমাদের রিকশার দিকে আসতেছে। রাফীজা এই ডাকটা দিতেই আর কিছু বলতে পারলাম না।
আমি এখন কই?
ডাক্তার সাহেব রোগির জ্ঞন ফিরেছে (নার্চ)
তারপর দেখতেছি আমার মা বাবা আমার কেবিনের ভিতরে আসতেছে। মনে মনে ভাবতেছি আমি এখানে আসলাম কিভাবে। আর আমার মাথা খুব বেথা করতেছে কেনো।
ডাক্তার, রোগি এখন বিপদ মুক্ত। আর ভয়ের কোন কারন নাই। আমাক চেক করে বলতেছে।
তারপর মা আমার পাশে বসে বলতেছে
বাবা এখন কেমন লাগতেছে তোর।
ভালো মাথাটা খুব ব্যাথা করতেছে মা।
সব ঠিক হয়ে যাবে বাবা।
আচ্ছা মা আমি এখানে আসলাম কিভাবে আর রাফিজা কই?
তোকে একটা লোক রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে এখানে হাসপাতালে আনে আর তোর ফোন থেকে আমাদের ফোন দেয় তারপর আমরা এখানে আছি।
তুই আজকে পাচঁ দিন পরে তোর জ্ঞন ফিরলো?
কি পাচদিন আমি হাসপাতালে ছিলাম। আচ্ছা বাবা আমার সাথে একটা মেয়ে ছিলো সে কই আছে এখন আমাকে তার কাছে নিয়ে চলো।
বাবা পাগলামি করিস না সে আছে। মা
কই আছে আমি তার কাছে যাবো। আমাকে তার কাছে যাবো?
বাবা মেয়েটা আর বেচে নাই। সেই দিন ই মারা যায় একসিডেন্টে। পুরো মাথাটা ফেটে গেছে। হাসপাতালে আন্তে মারা গেছে।
এটা কি বলতেছো তোমরা, আমার রাফিজা মারা যেতে পারে না আমাকে ছেড়ে আমাকে তার কাছে নিয়ে চলো। আমি তার কাছে যাবো।
মা বাবা তুই পাগলামি করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে। যে মরে যাওয়ার গেছে তাকে তো আর ফিরে আন্তে পারবো না। বাচা মরা আল্লার হাতে।
না আমি এইটা মানি না। ও আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না। খুব বেশি পাগলামি করতেছি আর এগুলো বলতেছি।
তুমি ডাক্তার কে ডাকো তো মা
ঠিক আছে। তারপর দেখতেছি ডাক্তার আমাকে জোর করে কি যেনো আমার শরীলে ঢুকে দিলো চোখ দিয়ে আমি আর কিছু দেখতে পারতেছি না। চোখ দিয়ে ঘোলা দেখতেছি আর বলতেছি আমি রাফিজার কাছে যাবো। আর বলতে পারি নি কথা।
এই রাফিজা কে ডাক্তার
মা ওর ফেরেন্ট হয়।
তাকে ডাকেন না হলে রোগি আবার সমস্যা হবে।
বেচে নেই মেয়েটা। মারা গেছে একসিডেন্টে।
ও! তাহলে রোগিকে থামা মুশকিল হবে। তাকে এখন ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছি চার ঘন্টা ঘুম পারবে।
ওকে
তারপর মা বাবা আমাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনলো। আর আমি বাসা থেকে বাহির হই না। ঘরের আলো নিভে দিয়ে বসে থাকি। এখন আর আলো ভালো লাগে না।
আমার ছেলেটার কি হলো, তুমি আমার ছেলেকে ভালো করে দাও মা বাবাকে বলতেছে।
তোমার ছেলে তো ভালো হতেই চাই না দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছে। শুধু রাফিজা রাফিজা করে। আমি কি করবো এখন বলো।
এভাবে ঈমান রাফিজার মৃত্যুর শোকে পাগল হয়ে যায়। আগে মতো আর হাসি ঠাট্টা করে না। শুধু রাফিজা বলে ডাকে আর বলে আমি আসতেছি তোমার কাছে।
দুইটি মন আর মিল হলো না। ভালোবাসা অপূর্ন থেকে গেলো দুইজনার। এভাবে গল্পটা শেষ হলো অপবাদ দিয়েই চলে গেলো সেই রাফিজা ঈমানকে। তাই সে এখন তার শোকে পাগল হয়ে বেড়াচ্ছে। এখানেই শেষ।
লেখা – ইমান হক
সমাপ্ত
(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “অপবাদ – koster premer kahini” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)
আরো পড়ূন – বোকা জামাই – এর বাসর ঘরে ভালোবাসা