হৃদয়স্পর্শী ভালোবাসার গল্প – বেলা শেষে পর্ব ১০: নীল ও প্রিয়ন্তীর মনের ঘুড়ি একটু একটু করে সমান্তরালে আসা শুরু করেছে। নীলের ঘুড়িটা একটু এদিক ওদিক ছুটলেও প্রিয়ন্তীর মনের ঘুড়ি কিন্তু নীলের ঘুড়ির পিছনেই ছুটছে, অবিরাম ছুটছে। শুধু দেখার পালা কখন দুটো ঘুড়ি একই সুতোয় বাঁধা পড়ে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে দেখার চেষ্টা করি কি হয়?
বান্ধবী মহলে প্রেমের গুঞ্জন
রাকা আর নিহা এসেছে প্রিয়ন্তীর বাসায়। প্রিয়ন্তীকে নিয়ে বের হবে। অনেকদিন একসাথে ঘোরাঘুরি হয়না।
প্রিয়ন্তীও রেডি হয়ে নিল। তারপর তিনজন বের হলো।
আড্ডায় শুরুতেই নিহা ওর আর তানুর বিয়ের প্ল্যান নিয়ে বলল। তারপর রাকা হঠাৎই এক এমন নিউজ দিল যা শুনে নিহা আর প্রিয়ন্তী তো অবাক! রাকা কারো প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে! আর নিহারা এ কথা বুঝতেও পারল না! কি করে সম্ভব!
ওদের গ্যাং ছিল পিউর সিংগেল টাইপ। সবাই যখন প্রেম নিয়ে ব্যস্ত তখন ওরা সবাইকে নিয়ে মজা করতে ব্যস্ত। আর আজ তারাই এক এক করে কেমন প্রেমের বন্ধনে জড়াচ্ছে! বাহহ বাহহ!
প্রিয়ন্তী আর নিহা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছে। কে সেই হতভাগা যার কপালটা রাকা পুড়লো!
রাকা বলতে লাগল ছেলেটার সাথে ওর পরিচয়ের ঘটনা। প্রিয়ন্তী বলে উঠল: “আমরা মিট কবে করছি দুলাভাই এর সাথে?”
রাকা লজ্জা পেয়ে বলল, হবে হবে।
তারপর নিহা প্রিয়ন্তীর দিকে তাকিয়ে বলল, “ডাক্তারবাবুর খবরও তো বলো একটু শুনি আমরা।”
প্রিয়ন্তী : “খবর ভালোই।কাল একসাথে আড্ডা দিলাম।”
রাকা: “বাহবাহ! তো মনের কথা কি তাকে জানানো হয়েছে ম্যাম?”
প্রিয়ন্তী: “আরে নাহ।কিভাবে কি বলব! ওনাকে দেখলেই সব গুলিয়ে ফেলি আমি। যদি না বলে দেয়!”
রাকা আর নিহা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হাসি দিল।
নিহা: “এ কি হয়ে গেল মেয়েটার! কতই চিন্তা করে! এত চিন্তা করলে হবে?”
রাকা: “যাব পেয়ার কিয়া তো ডারনা কেয়া?”
প্রিয়ন্তী: “ধুর তোরাও না! চুপ কর।”
রাতে বাসায় ফিরে প্রিয়ন্তী নীলকে ফোন দিল।
প্রিয়ন্তী: “ডিস্টার্ব করলাম?”
নীল: “নাহ তো!বলো বলো। আমি ফ্রী ই আছি।”
প্রিয়ন্তী:”না মানে এমনিই কি করছেন?”
নীল: “এই একটু কাজ করছিলাম।শেষ হলো। ঘুমিয়ে পড়ব একটুপর।”
(চলবে)