প্রকৃত ভালোবাসা পর্ব ৪

প্রকৃত ভালোবাসা পর্ব ৪ – রিয়েল লাভ স্টোরি | সত্যিকারের প্রেম

প্রকৃত ভালোবাসা পর্ব ৪ – রিয়েল লাভ স্টোরি: একটা অদ্ভুত সময় পার করছি, ভালো লাগা আর কষ্ট দুটোই কেমন জানি অনুভূতি হচ্ছে। একটা বড় দায়িত্ব কাঁধের উপর ভার করে তুলছে। কি করব এই অসহায় মেয়েটিকে নিয়ে ভাবতে পারছি না।

অনুভূতির শিহরণ

আমি একমনে টেবিলে বসে মেয়েটার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম।

মেয়েটা তার কাজে বিজি ছিলো। মেয়েটাকে এখন দেখে কেমন বউ বউ লাগচ্ছে।

খুব ইচ্ছে করছে ওকে এখন পিছন থেকে জরিয়ে ধরি।

কিন্ত এখনো সেই অধিকারটা পায়নি। সমস্যা নেই, আমি ঠিকই পরে আদায় করে নিতে পারবো। আমি যে ওর প্রতি পুরোপুরি ভাবে দুর্বল হয়ে পরেছি।

না চাইতেও ওকে অনেকটা ভালোভেসে ফেলেছি। ওকে ছাড়া এখন আর আমার ভালো লাগে না। কেনো যেনো ওকে সবসময় চোখে হারাই।

বাইরে হালকা হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। কিছুক্ষন পর হঠাৎ করে একটা বাজ পরলো। খুব জোরে বাজটা পরার কারণে। কারেন্ট চলে গেলো। আর মেয়েটা চিৎকার করে উঠলো।

আমি পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে। লাইট ওন করতেই। মেয়েটা দৌড়ে এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো।

আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম,

আমিঃ ভয় পেয়েছো।

চুপ হয়ে আমার বুকে খাপটি মেরে রইলো।

আচ্ছা, একটা কথা বলি‌,

নীলিমাঃ হমম।

আমিঃ হমম চলো বৃষ্টিতে ভিজি।

নীলিমাঃ পাগল হয়েছেন ঠান্ডা লেগে যাবে তো।

আমিঃ লাগুক। তুমি আছো তো সুস্থ করার জন্য।

নীলিমাঃ না, আমি ভিজবো না।

আমিঃ তাই।

ওকে জোর করে কোলে তুলে নিলাম। মেয়েটা অনেক জোরাজুরি করলো। কোল থেকে নিচে নামার জন্য। কিন্ত আমার শক্তির কাছে পেরে উঠলো না।

অবশেষে বাধ্য হয়ে সে আমার গলা জরিয়ে ধরলো।

আমি তাকে নিয়ে গেলাম ছাদে। কোল থেকে নামাতেই ও আমাকে আরো জোরে জরিয়ে ধরলো।

আর বললো,

নীলিমাঃ আহ অনেক ঠান্ডা লাগছে। প্লিজ, আমি আর ভিজবো না। তাহলে শরীর খারাপ করবে।

আমিঃ সমস্যা নাই, আমি তোমাকে ঔষধ কিনে খাওয়াবো।

অতপর আমি তোকে জোর করে ভিজিয়ে দিলাম। আমিও ভিজলাম। খুব ভালোই লাগছে। দুজনে বৃষ্টির মধ্যে ছাদে রাখা দোলনার ওপর বসে দোল খাচ্ছি।

আর বৃষ্টির পানি গুলো, আমাদের দুজনের গায়ে ভালোবাসার পরশ একে দিচ্ছে। এক পর্যায়ে আমি ওর কোলে মাথা রেখে অধশোয়া হয়ে বসে পরলাম।

ও বুজতে পেরেছে আমি কি চাই।

তাই মেয়েটা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। ওর ভেজা চুল গুলো আমার মুখের উপর এসে পরতেই। আমার অন্য রকম একটা অনূভুতি হতে লাগলো।

বৃষ্টিভেজা রাত

হঠাৎ ধীরে ধীরে বৃষ্টির চাপ বারতে লাগলো। এখন আর ভেজা ঠিক হবে না। পরে শরীর সত্যি খারাপ হতে পারে। তাই তাকে নিয়ে রুমে চলে এলাম।

খুব জোরে বৃষ্টি পরতে লাগলো। এবং অনেক জোরে বাতাস বইতে লাগলো। দরজা জানলা গুলো একটু পর পর একে অপরের সাথে বাড়ি খেতে লাগলো।

আমি দরজা জানলা সব বন্ধ করে দিলাম। মোমবাতি জালালাম।

মেয়েটা গেছে ফ্রেশ হতে। মেয়েটা ফ্রেশ হয়ে এলো।

সাদা রঙের একটা জামা পরছে। যা অন্ধকারে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মনে হয় একটি পরি।

আমি গেলাম ফ্রেশ হতে। তারপর ফ্রেশ হয়ে এলাম।

মেয়েটা আমার কাছে এসে বলল,

নীলিমাঃ আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।

আমিঃ আচ্ছা, তাহলে তুমি ঘুমিয়ে পরো।

নীলিমাঃ আপনি ঘুমাবেন না ।

আমিঃ হ্যা ঘুমাবো তো।

তারপর দুজনে যে যার মতো করে শুয়ে পরলাম। আমি মেজেতে বালিশ নিয়ে শুয়ে পরলাম। মেয়েটা বিছানাতেই শুলো।

কিছুক্ষণ পর মেয়েটা নিচে এসে আমাকে ডাকতে লাগলো…

নীলিমাঃ এই যে, উঠুন।

আমিঃ কেনো?

নীলিমাঃ খাটে এসে, শোন না আমার খুব ভয় করছে, প্লিজ।

আমিঃ তোমার অসুবিধা হবে না।

নীলিমাঃ না, আপনি আসেন।

অতপর আমি উঠে খাটের একপাশে শুয়ে পরলাম। ধীরে ধীরে রাত বাড়লো। ঠান্ডাটা আরো বেশি বেড়ে গেলো।

আমি হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে।

লাজুক মেয়ে

সকাল বেলা…

বুকের উপর ভারি কিছু অনুভব করছি। তাই চোখ খুললাম।

চুখ খুলে দেখি মেয়েটা আমাকে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরে একেবারে বুকের উপর শুয়ে আছে।

চুল গুলো তার এলোমেলো হয়ে রয়েছে।

মুখটা তখন চুল গুলোর কারণে ডাকা পরে গেছে। আমি আস্তে করে চুল গুলো সরিয়ে দিলাম। ঘুমন্ত ওর রূপ দেখেই আমি নতুন করে আবার ও প্রেমে পরে গেলাম। চোখের পলক ও পরতে চাচ্ছে না আমার। এতটাই মায়াবি লাগছিলো মেয়েটাকে। আমি আস্তে করে ওর কপালে একটা চুমু খেলাম।

মেয়েটা কিছুটা নড়ে চরে আরো জোরে জরিয়ে ধরলো। আমি কিছুতেই ওকে আমার বুকের উপর থেকে উঠাতে চাইনা। কারণ আমি চাই ও সারাজীবন আমার বুকে এইভাবে মাথা দিয়ে শুয়ে থাক। তাই ওর মাথায় আমি হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।আর ও একে বারে বাচ্চা দের মতো আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে রয়েছে।

হঠাৎ ওর ঘুম ভেঙে গেলো।

আমি ওর দিকে তাকাই। ও লজ্জায় আমার বুকের উপর থেকে লাফ দিয়ে উঠে পরে।

আমি শুধু তাকিয়ে থাকি ওর অবাককরা দৃষ্টির দিকে। ও সরমে দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। আমি বুজতে পারলাম খুব লজ্জা পেয়েছে।
কিছুক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো। আমাকে দেখে মুচকি হাসি দিয়ে বলল,

নীলিমাঃ আপনি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসুন। আমি আপনার জন্য নাস্তা রেডি করছি।

আমি শুধু মাথা নাড়িয়ে একটু হেসে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে এসে খাবার টেবিলে বসে পরলাম।

মেয়েটা নাস্তা রেডি করে আনলো।

রুটি আর বাজি রান্না করলো। যা সচারাচর সব বাঙালির প্রিয় খাদ্য। সে আমাকে খাবার দিয়ে একপাশে দারিয়ে রইলো। আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।

আর মেয়েটা বলল,

নীলিমাঃ এভাবে তাকিয়ে আছেন যে। খাবারটা খান। ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো।

আমিঃ তুমি খাবে না।

নীলিমাঃ পরে খেয়ে নিবো। আগে আপনি খেয়ে নিন।

আমিঃ না, তুমি ও বসো একসাথে খাবো।

নীলিমাঃ না, আগে আপনি খান।

আমিঃ ধুর কিছুই খাবো না। (রাগ দেখিয়ে)

নীলিমাঃ আচ্ছা, বাবা বসচ্ছি। আপনি খেতে শুরু করেন।

আদুরে ভালোবাসা

মেয়েটা টেবিলে বসলো। কিন্ত আমি খাচ্ছি না তাই দেখে মেয়েটা আবার বলে উঠলো।

নীলিমাঃ কি হলো এবার অন্তত খান।

আমি মুখ গোমড়া করে বললাম,

আমিঃ না, খাবো না।

মেয়েটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো।

নীলিমাঃ কেনো?

আমিঃ আপনি খাইয়ে দেন।

নীলিমাঃ কেনো, আপনার হাত নেই।

আমিঃ আছে, আপনি খাইয়ে না দিলে কিন্ত খাবো না।

নীলিমাঃ উফফ এতো জেদি কেন আপনি?

আমিঃ হ্যা আমি জেদি খাইয়ে দিলে দেন না দিলে নাই।

রাগ দেখিয়ে খাবার টেবিল থেকে উঠে পরলাম। পেছন মুখ ঘুরতে মেয়েটা আমার হাত ধরে টেনে বসিয়ে দিলো।

নীলিমাঃ আরে আরে এভাবে কেউ খাবার রেখে উঠে যায় নাকি।

(আমি মুখ ভেংচি দিয়ে মাথা ঘুরিয়ে নিলাম)

নীলিমাঃ হইসে আর রাগ দেখাতে হবে নাই? দেন, খাইয়ে দিচ্ছি।

কথাটা শুনে মুখে হাসি ফুটে উঠলো। ও আমাকে নিজ হাতে তুলে খায়িয়ে দিতে লাগলো। পরে আমি ও মেয়েটাকে নিজ হাত তুলে খাবার খাইয়ে দিলাম।

খাবার খাওয়া শেষ। মেয়েটা কিচেনে গেছে।

আমি ওর সামনে গেলাম।

আমিঃ আচ্ছা, আমি একটু কাজের জন্য বাইরে যাচ্ছি। তুমি নিজের খেয়াল রেখো।

কথাটা শুনে মেয়েটার মুখ কালো হয়ে গেলো। একটু আগে এই মুখে হাসি ছিলো। আর এখন কথাটা শোনা মাত্রই আষারের মেঘের মতো কালো হয়ে গেলো। আমি জানি ও আমাকে ভালোবেসে ফেলছে। কিন্ত মুখ ফুটে বলতে চাচ্ছে না। স্বভাব ও আচরণে বুজাতে চাচ্ছে। আমি মেয়েটার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পরলাম।

ভালোবাসার সম্মান রক্ষা

নিচে এলাম, গাড়িটা স্টাট দিবো এমন সময় দালালটা আমার সামনে এসে দাড়ালো। আমি গাড়ি থেকে নামলাম। মেয়েটার রুমের দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা জানলার সামনে দাড়িয়ে আছে।

আমাকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে। দালালটা বলল,

দালালঃ ব্রো আজ রাতের টাকাটা।

এবার মাথায় একটা উপায় এলো মেয়েটাকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার আর সারাজীবনের জন্য আমার করে পাওয়ার।

তাই আমি লোকটাকে বললাম,

আমিঃ জানেন ভাই, এভাবে রোজ রোজ আসতে দেখলে লোকে খারাপ বলবে। তার থেকে ভালো মেয়েটাকে আমার সাথে নিয়ে যাবো আমার বাসায় থাকবে। কি বলো?

দালালঃ নো ব্রো ইট ইজ ইমপসিবল। আমি মেয়েটাকে ভালো দাম দিয়ে কিনেছি। তুমি ছাড়া অন্য কাস্টমার থেকে ওর দ্বারা ভালো আয় করতে পারবো। কথাটা শুনে আমার খুব রাগ হলো। তবুও নিজের রাগ কে কন্টোল করে বললাম,

আমিঃ কত দিয়ে কিনেছেন মেয়েটাকে?

দালালঃ দুই লাখ।

আমিঃ মাত্র দু লাখ। আমি তোমাকে এর থেকে দশগুন বেশি দিচ্ছি। তুমি মেয়েটাকে আমার বাসায় পাটানোর ব্যবস্থা করো।

দালাল অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো।

এরপর বলল,

দালালঃ টাকাটা কখন পাবো ব্রো?

আমিঃ আমি একটু হাসি দিয়ে পকেট থেকে একটা কাড বের করে দিয়ে বললাম। এই ঠিকানায় সকাল ১০টা বাজে এসে পরো। তোমার টাকা পেয়ে যাবে, আর কাডে আমার বাসার ঠিকানা দেওয়া আছে। সেই ঠিকানায় মেয়েটাকে রেখে আসবা কেমন!

দালালঃ আচ্ছা ব্রো, তুমি চিন্তা করো না। মনে করো তোমার কাজ হয়ে গেছে।

আমি গাড়িতে বসে পরলাম। তারপর গাড়ি চালিয়ে চলে এলাম অফিসে। অফিসে এসেই প্রথমেই, ম্যানেজার সাহেবকে ডাক দিলাম।

ম্যানেজার সাহবে এলেন আর তারপর বললাম,

আমিঃ ম্যানেজার সাহেব এখুন্নি বিশ লক্ষ্যটাকা কেশ করে আনুন।

ম্যানেজারঃ কেনো স্যার?

আমিঃ দরকার আছে, একটু আরজেন্ট কাজ ছিলো। আপনি যত তাড়াতাড়ি পারেন ব্যবস্থা করুন।

ম্যানেজারঃ ওকে স্যার। আমি চেষ্টা করছি।

পরে ম্যানেজার সাহেব চলে গেলেন।

মনের মানুষকে উদ্ধার

আজকে টাকাটা না তুললে পরে আর তুলতে পারবো না। কারণ আগামিকাল শুক্রবার। ব্যাংক বন্ধ থাকবে।

আর কালই যে আমার জীবনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ন একটা দিন হতে চলেছে। প্রায় এক ঘন্টা পর ম্যানেজার সাহেব টাকা কেশ করে নিয়ে এলেন।

টাকাটা আমার টেবিলে রাখলেন।

আমি ম্যানেজার সাহেব কে বললাম,

আমিঃ ম্যানেজার সাহেব, এখুনি একটা বিয়ের হল বুকিং করুন। আগামিকাল আমার বিয়ে। আর আমার বাড়িটাও সুন্দর করে সাজানোর ব্যবস্থা করুন। আর অফিসের সবই যেনো উপস্থিত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। সব দায়িত্ব কিন্ত আপনার।

ম্যানেজার সাহেব আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হাসি মুখে বিদায় নিলো।

তারপর আমি বসে অপেক্ষা করছি দালালটার জন্য।

১০টা বাজলো অবশেষে। হঠাৎ করে অফিসের ল্যানলাইনে ফোল এলো। রিসিভ করলাম।

দারোয়ানঃ স্যার, আপনার সাথে একটা লোক দেখা করতে এসেছে।

আমিঃ হমমম, ওনাকে ভেতরে পাঠিয়ে দাও।

তারপর লোকটা আমার কেবিনে এলো।

আমি তাকে বললাম,

দালালঃ এই নাও তোমার টাকা পুরো বিশ লক্ষ আছে। এখন শর্ত অনুযায়ী মেয়েটাকে আমার দেওয়া ঠিকানাতে পৌছে দিবে। কিন্ত খেয়াল রাখবে মেয়েটা যাতে জানতে না পারে সেটা আমার বাড়ি।

লোকটা সুটকেসটা হাতে নিয়ে বলল,

দালালঃ ওকে ব্রো যেমন তোমার ইচ্ছা।

পরে লোকটা চলে গেলো। যাওয়ার আগে তাকে বলেদিছি। মেয়েটাকে আমার বাসায় পৌছে দিয়ে যেনো আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেয়।

লোকটা সম্মতি জানিয়ে চলে গেলো।

অফিসের সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হলো কাল আমার বিয়ে। সবাই যেনো উপস্থিত থাকে। সবাই খুব খুশি হলো।

কিছুক্ষণ পরে আমার ফোনে একটা ফোন এলো। নাম্বারটা আমার অজানা। তাই প্রথমে রিসিভ করলাম না। ভাবছিলাম মেয়েটার কথা।
আবার কল দিলো। বিরক্তি নিয়ে কলটা রিসিভ করলাম।

হেলো বলতেই,

ফোনের ওপাশ থেকে কান্নার গুনগুন শব্দ ভেসে আসচ্ছিলো।
বুকের ভেতরটা কেমন ধুরপুর ধুরপুর করে উঠলো।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, কে আপনি?

কোনো কথা বললো না। চুপ‌ করে রয়েছে।

আবার কিছু বলার আগেই কলটা কেটে দিলো…

চলবে…

পরের পর্ব- প্রকৃত ভালোবাসা শেষ পর্ব

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *