প্রকৃত ভালোবাসা পর্ব ৩ – রিয়েল লাভ স্টোরি | সত্যিকারের প্রেম

প্রকৃত ভালোবাসা পর্ব ৩ – রিয়েল লাভ স্টোরি: জীবন যে কতটা অকল্পনীয় তা আসলে এই ঘটনার পরে বুঝতে পেরেছি। যে মেয়েটিকে নিয়ে ফূর্তি করে টাকা ছুরে দিতে চেয়ে ছিলাম সে মেয়েটির অসহায় মায়ার জালে আটকে গেলাম মনে হয়। নিজের ভিতর কেমন জানি একটা অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে। জানি না কি হবে এরপর? এই অন্ধকার জগত থেকে তাকে মুক্তি করতে পারব কিনা! তবে মায়াবী রুপের এই মেয়েটি কোন রাজকন্যার মত আমাকে রাজপুত্রের মত তাকে উদ্ধার করতে এক পলক চেয়ে আছে, যা আমি বুঝতে পারি।
ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ
দালালকে বিশ হাজার টাকা দিলাম। দালালটা খুশি হয়ে চলে গেলো।
একটু শান্তি পেলাম মনে। এখন আর ভয় কাজ করছে না।
অন্য একটা পুরুষ মেয়েটার কাছে যাব, শুনে বুকের ভেতরটা কেমন মুচর দিয়ে উঠলো। কিন্ত কেনো তা এখনো জানি না। আমি চাইনা ওর জীবনটা এভাবে কেউ নষ্ট করুক।
এতিম মেয়ে, পৃথিবীতে এসে সব কিছু হারিয়েছে। এখন যে যদি তার শেষ সম্বলটাও হারিয়ে ফেলে। তাহলে যে তার আর বেচে থাকতে ইচ্ছে করবে না।
এত নেককার একটা মেয়ে। এইভাবে তার জীবন ধংস হয়ে যাবে আমার চোখের সামনে। এটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারবো না।
মেয়েটার তো কোনো দোশ নেই। এমনকি এখন পর্যন্ত সে অপবিত্র হয়নি। কোনো পুরুষ জাতির ছোয়া পায়নি সে। সে এখনো পবিত্র। আর যে করেই হোক, তাকে আমি রক্ষা করবো।
রুমের যাওয়ার জন্য পেছন মূখ ফেরতে গেলাম এক ঝটকা। মেয়েটা আমার সামনে দাড়িয়ে আছে।
জানি না কি চলচ্ছে ওর মনে। তবে যাই চলুক না কেনো। যতই মেয়েটা আমাকে ভুল বুজুক না কেনো। আমি ওকে যে করেই হোক একসময় এই নরক থেকে বের করে নিয়ে যাবোই।
নিরবতা ভেঙে মেয়েটা কাদো কাদো গলায় আমাকে বললতে লাগলো।
নীলিমাঃ আমাকে যদি আপনার এতই ভালো লাগে তাহলে প্রথম রাতেই আমার জীবন ধংস করে দিতে পারতেন। ফের কেনো আমাকে আবার টাকা দিয়ে রাত কাটানোর জন্য কিনতে গেলেন। আপনি তো গতকাল রাতেই আমাকে ভোগ করতে পারতেন। কেনো করলেন এটা। আমার জীবনটা ধংস করার জন্য কেনো উঠে পড়ে লেগেনছেন।
আমিঃ দেখো তুমি আমাকে ভুল বুজছো। আমি তোমার জীবন ধংস করার জন্য নয়। বরং তোমার জীবন বাচানোর জন্য ওই লোকটা টাকা দিয়েছি। আর তোমাকে আমার ভালো লেগেছে এই কথাটা না বললে লোকটা কিছুতেই রাজি হতো না। তাই বাধ্য হয়ে এসব কথা বলেছি। আর সোনো তোমাকে ভোগ করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। কেনো জানো?
কারণ তুমি এমনিতেই সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে আছো। এখন যদি তোমার সব থেকে মূল্যবান সম্পদটাও নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তুমি কি নিয়ে বাচবে বলো।
তাই তোমার ভালোর জন্যই এটা করছি।
মেয়েটা চুপ হয়ে গেলো আমার কথা শুনে। মাথা নিচু করে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছিলো।
আমি কি বলবো বুজতে পারছিলাম না। কি করে ওকে বুজাবো আমি ওর ক্ষতি চাইনা ভালো চাই।
আগলে রাখা মন
তারপর হঠাৎ করে মেয়েটা মুখে হাত দিয়ে দৌড়ে ঘরের মধ্যে চলে গেলো। আমি ও তার পিছন পিছন গেলাম। কিন্ত তার আগেই মেয়েটা দরজা বন্ধ করে দেয়।
আমিঃ প্লিজ, দরজাটা খুলো। আমার কথাটা শুনো, প্লিজ।
নীলিমাঃ আমি আপনার কোনো কথা শুনতে চাইনা। দয়া করে আমাকে একটু একা থাকতে দেন, প্লিজ।
আমি বুজতে পারলাম ওর মনের অবস্থা এখন ভালো নেই। ওকে এখন একা ছেড়ে দেওয়াই ভালো হবে।
তাই আমি দরজার এপাশ থেকেই বললাম,
আমিঃ ঠিক আছে, আমি এখন চলে যাচ্ছি। তবে রাতে আবার আসবো কেমন!
আর আমার বিজিটিং কার্ডটা দরজার এখানে রেখে গেলাম নিয়ে নিয়ো কেমন!
যদি কোনো কিছু প্রয়োজন পরে আমাকে শুধু একটা মিস দিও। আমি বেগ করবো কেমন। আসি, খোদা হাফেজ। নিজের খেয়াল রেখো।
কথা বলা শেষ হতে আমি পকেট থেকে মানিব্যাগটা বের করে একটা বিজিটিং কার্ড বের করে দরজার সামনে রেখে চলে এলাম। এসে সিরির পাশে দারিয়ে রইলাম। দেখতে মেয়েটা সত্যি কার্ডটা নেয় কি না। খানিক বাদে দেখলাম মেয়েটা দরজাটা খুলে কার্ডটা তুলে নিয়ে আবার ভেতরে গিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দিলো।
নিজের অজান্তেই আমার মুখে হাসি ফুটে উঠলো।
নিচে নেমে এলাম। বাড়ি থেকে বের হবার আগে একবার রুমের জানলার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। জানলাটা খুলা ছিলো। কিন্ত তার সামনে কেউ ছিলো না।
তাই আর কিছু না ভেবে চলে এলাম আমার বাসায়। ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে অফিসে গেলাম। ব্রেকফার্স্টটা অফিসেই সেরে নিলাম।
দেখতে দেখতে দিন পার হয়ে গেলো সন্ধ্যা নেমে এলো। রাতের আকাশটা ঘন কালো মেঘে ডাকা পড়ে রইলো। বাইরে ঠান্ডা বাসাত বইছে। মনে হয় বৃষ্টি হতে পারে। পরক্ষনেই মেয়েটা কথা মনে পরলো। সারাদিন মেয়েটা কিছু খেয়েছে কিনা কে জানে। এখন কি অবস্তায় আছে আল্লাহই ভালো জানে। না আর অফিসে বসে থাকলে চলবে না। যাই এখন ওর কাছে যাই।
কষ্টের জীবনের কথা
অতপর অফিস থেকে বেরিয়ে পরলাম। গাড়ি চালাতে চালাতে ওই বাড়ির সামনে এসে পৌছালাম। ঘরের জানলাটা এখনো খোলা রয়েছে। তাই তাড়াতাড়ি করে দৌড়ে বাসার মধ্য যেতে লাগলাম। হঠাৎ একটা কিছু আমার পায়ের সাথে বাড়ি খায়। আমি পড়ে গেলাম মাটিতে। মাটিতে পড়ার ফলে, ডান হাতের আঙুল আর কনুই এর যায়গাই বেশ অনেক খানি চামরা উঠে গেছে। রক্তা বের হতে লাগলো। পকেট থেকে রুমালটা বের করে নিজেই নিজের ক্ষত স্তানে চেপে ধরলাম।
হঠাৎ করে খুব ঝোড়ে একটা বিদু্ৎ চমকালো। আমি কিছুটা ভয়ে আতকে উঠি। এতটাই ঝোরে বিদুৎ চমকাছিলো। কারণ এখন বৈশাখ মাস যেকোনো সময় কাল বৈশাখি ঝড় আঘাত হানতে পারে।
আকাশের এর দিকে তাকিয়ে দেখি। মেঘের আড়ালে একটু পর পর বিদুৎ চমকাচ্ছে। দেখতে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছিলো। কিন্ত সেই সাথে একটু ভয়ানক ও লাগচ্ছিলো।
হঠাৎ উপর থেকে কারো চিৎকারের শব্দ শুনতে পেলাম। শব্দটা জানলার ভেতরে থেকে আসচ্ছে। আমি বুজতে পারলাম এটা মেয়েটার গলার আওয়াজ।
তাই দেরি না করে দৌড়ে মেয়েটার রুমের সামনে গেলাম। মেয়েটা এখনো চিৎকার করছে।
জানি না কেনো? তার মানে কি ওর ঘরে অন্য কেউ ঢুকেছে। মনের মধ্যে ঢুকে পরলো এক অজানা ভয়।
এখন কি করি? না আর কিছু না ভেবে জোরে জোরে দরজা ধাক্কাতে লাগলাম।
অনেক বার দরজা ধাক্কালাম খুললো না। আবার দরজা ধাক্কা দিলাম।
আর বললাম,
আমিঃ ওই তোমার কি হয়েছে এভাবে চিৎকার করছো কেনো? দরজাটা খুলো, প্লিজ।
সাথে সাথে দরজাটা খুলে গেলো। মেয়েটা আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ফেলল। আমি অবাক হয়ে গেলাম।
সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি ঘরের মধ্যে কেউ নেই। তাহলে চিৎকার করছিলো কেনো?
আমিও মেয়েটাকে আলতো করে জরিয়ে ধরলাম। মেয়েটা আমার বুকের মধ্যে ঢুকার চেষ্টা করছে। যেনো আমার বুকটাই ওর জন্য নিরাপদ স্থান।
বুক মধ্যে মুখ গুজে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে।
ওর কান্না শব্দে শুনে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না। শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। বেশ অনেকক্ষণ জড়িয়ে ধরে রয়েছি।
রোমান্টিক মুহুর্ত
ধীরে ধীরে কান্নার শব্দটা শেষ হয়ে গেলো।
তাই আমি বললাম,
আমিঃ আচ্ছা, কি হয়েছে তোমার? এভাবে কাদছো কেনো?
কোনো কথা বলছে না। চুপ করে আছে। খুব শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। কিছুতেই ছাড়তে চাচ্ছে না।
আমিঃ ওই কি হয়েছে, বলোনা?
কিন্ত মেয়েটা কোনো কথা বলছে না।
এবার আমি মেয়েটাকে কোলে তুলে নিলাম।
অবাক হলাম, কারণ মেয়েটা আমার গলার জরিয়ে ধরে আমার বুকে তখনো মুখ লুকানোর চেষ্টা করছে। কিছু বলছে না মেয়েটা।
তারপর আমি ওকে কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দিলাম। আমার ছাড়তে চাচ্ছিলোনা। জোর করে ছাড়াই ছিলাম।
মেয়েটা শুয়ে রয়েছে। আমি তার পাশে বসে হাত ধরে বললাম।
আমিঃ কি হয়েছে বলোতো, এরকম করে কান্না করছিলে কেনো?
মেয়েটা এবার উঠে বসলো।
নীলিমাঃ তেমন কিছু না একটু ভয় পেয়েছিলাম।
আমিঃ কেনো কেনো কি দেখে ভয় পেয়েছিলে। যার জন্য এতো জোরে জোরে কাঁদতেছিলো ।
নীলিমাঃ ইয়ে মানে.. আসলে… আকাশে বিদুৎ চমকাচ্ছিলো তো, তাই।
ওর কথা শুনে আমি নিজের হাসিকে ধরে রাখতে পারলাম না। হেসে ফেললাম।
আমিঃ বিদুৎ চমকালে কেউ ভয় পায় নাকি!
নীলিমাঃ জানি না তবে আমার খুব ভয় করে। জানেন যখন বাবা-মার কাছে থাকতাম ভয় পেলে আব্বু আম্মু দুজনের মাজখানে শুয়ে থাকতাম। তারা আমাকে জরিয়ে ধরতো। আমার সব ভয় নিমিষেই দূর হয়ে যেতো। আর আজকে যখন আপনাকে…..
বলতে গিয়ে থেমে গেলো। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
আমিঃ আমাকে কি বলো?
মেয়েটা মাথা নিচু করে লজ্জা স্বরে বললো,
নীলিমাঃ কিছুনা।
আমিঃ এই একদম কথা ঘুরানোর চেষ্টা করবে না। কি বলতে চেয়েছিলে, বলো?
নীলিমাঃ আরে কিছুনা। আচ্ছা আপনি খাওয়া দাওয়া করছেন।
আমিঃ না, এখনো খায়নি একটু পর বাইরে থেকে খেয়ে আসবো।
নীলিমাঃ বাইরে থেকে কেনো খাবেন। আমি আপনার জন্য রান্না করেছি।
আমিঃ তাই নাকি! তা কি রান্না করেছেন, শুনি।
মেয়েটা ভেংচি কেটে আমাকে বলে,
নীলিমাঃ আমি আপনার জন্য রান্না করেছি। কেনো রাতে মানুষ কি খাবার খায়, তা জানেন না বুজি।
আমিঃ হমমম জানি তো ভাত খায়।
নীলিমাঃ হমম ভাতেই রান্না করেছি।
আমিঃ শুধু ভাত।
নীলিমাঃ না, ভাতের সাথে ভাতের ফেনাও রান্না করেছি।
আমিঃ এ্যা কি বলছো ভাতের ফেনা আবার রান্না করে কিভাবে?
নীলিমাঃ এত কিছু না জানলেও চলবে। যান, গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে আসুন। আমি খাবার বাড়ছি আপনার জন্য।
আমিঃ আচ্ছা।
অতপর আমি উঠে ওয়াশ রুমে গেলাম হাত মুখ ধোয়ার জন্য।
কনুই আর আঙুল এর এখানে এখনো রক্ত জমে আছে।
ওগুলো ভালো ভাবে পষ্কিকার করে রুমাল দিয়ে কনুই এর এখানে গিট দিলাম।
কেয়ারিং ভালোবাসার অনুভূতি
তারপর ভালো মতন হাত মুখ ধুয়ে খাবার টেবিলের কাছে গেলাম।
মেয়েটা আমাকে দেখেই বলল,
নীলিমাঃ একি আপনার হাতে কি হয়েছে?
আমিঃ এমনি একটু খানি কেটে গেছে আরকি!
নীলিমাঃ কই দেখি দেখি।
তখন সে আমার সামনে এসে হাত ধরে বসলো।
নীলিমাঃ একি আঙুলের এখানেও তো ছিলে গেছে । দেখছি কিভাবে হলো এটা। (কেদে কেদে বলছে)
ওর কান্নার গুন গুন শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। শুধু দেখতে পাচ্ছিলাম না। কারণ খুব ভালো ভাবেই বোরকাপরে নিকাব করে রেখেছে।
ওর কান্না করাতে আমি বেশ অবাক হলাম। অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
আমিঃ আরে কাদছো কেনো?
নীলিমাঃ এমনি আপনি বলেন কি করে এটা হলো। (কেঁদে কেঁদে)
আমিঃ ওই তো তোমার কাছে তখন তাড়াহুরো করে আসতে গিয়ে মাটিতে পরে যাই। তখনই ছিলে গেছিলো।
নীলিমাঃ আপনি কি পাগল! একটু সাবধানে চলাফেরা করতে পারেন না। আর এত তাড়াহুরো করার কি দরকার। আমি তো আর মরে যাইনি।
আমিঃ আচ্ছা এর পর থেকে ভালো ভাবে চলবো। আর তুমি আমার সামনে এখনো নিকাব পরেছে কেনো। আমি তো তোমাকে অনেক আগেই দেখেছি।
নীলিমাঃ একবার দেখেছেন বলে বারবার দেখতে হবে নাকি!
আমিঃ না তা নয়। কিন্ত এখন যদি একবার দেখতাম তোমার কান্না ভেজা মুখটা, তাহলে খুশি হতাম।
নীলিমাঃ আমাকে কাদতে দেখে আপনার খুব ভালো লাগে, তাইনা।
আমিঃ আমি কি তাই বলেছি নাকি!
নীলিমাঃ তাই তো বললেন।
আমিঃ আচ্ছা, বাদ দেও। দেখাতে হবে না। (অভিমান স্বরে)
নীলিমাঃ হইছে আর রাগ দেখাতে হবে না। নিচের কাপরটা তুলে দেখতে পারেন অনুমতি দিলাম।
ওর কথা শুনে খুব খুশি হলাম,
মূখে হাসি নিয়ে। আস্তে করে ওর নিকাবটা তুলে দিলাম।
ওকেই দেখেই মূহুতেই আমার মনটা আনন্দে ভরে উঠলো।
কাজল মাখা চোখ গুলো আমাকে নেশা ধরিয়ে দিয়েছে।
মনের কথার আলপনা
কান্না করার ফলে, চোখের কাজল গুলো কিছুটা এলোমেলো হয়ে গেছে।
চোখের কোনে এখনো বিন্দু বিন্দু জলের ফোটা দেখা যাচ্ছ। আমি আমার হাত দিয়ে ওর চোখের জল গুলো মুছে দিলাম।
আর বললাম,
আমিঃ আর কখনো এভাবে কাদবে না ওকে।
নীলিমাঃ হমমম, চলেন এখন খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
পরে আমি গিয়ে টেবিলে বসে পরলাম। খাবার খেতে যাবো এমন সময় মেয়েটা বলে উঠলো।
নীলিমাঃ আরে আরে কি করছেন কাটা হাতে খাবার খেলে হাত ঝালা করবে তো।
আমিঃ তাহলে কিভাবে খাবো?
নীলিমাঃ আমি তুলে খাইয়ে দিচ্ছি। আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না।
খুশি মনে মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক জবাব দিলাম। মেয়েটা আমাকে নিজ হাতে তুলে খায়িয়ে দিলো।
খাওয়া দাওয়া শেষ। মেয়েটা রান্না ঘরে আর আমি বসে আছি খাবার টেবিলে।
বসে বসে ভাবছি হঠাৎ করে একদিনে মেয়েটা আমার প্রতি এত দুর্বল হলে কি করে।
তাহলে ও আমাকে ভালো বেসে ফেলছে। আচ্ছা আমি ও তো মেয়েটার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছি।
ওর কথা মনে হলেও একটা মনের মধ্যে একটা শান্তির বাসাত বয়ে যায়।আর আজকে যখন ও আমাকে জরিয়ে ধরলো। খুব ভালো লাগছিলো তখন।
কয়েক মূর্হতের জন্য মনে হয়েছিলো। যদি সময়টা এখানেই থমকে যেতো। তাহলে ওকে সারাজীবন এইরকম ভাবে বুকে আগলে রাখতাম।
যদি ওকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে পাই,তাহলে বলবো। আমার থেকে ভাগ্যবান ব্যক্তি এই পৃথিবীতে আর দুটো হবেনা।
কে না চাইবে। তার জীবনসঙ্গী একজন নেককার মহিলা হোক। তাকে সে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসুক। সব সময় তার কেয়ার করুক। এমন জীবনসঙ্গী সবার হলে পৃথিবীতে আর প্রেম ভালোবাসার নামে নোংরা কাজ হতো না।
আজকাল কার মেয়েরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে মেকাপ করে সাজ-গোজ করে। অথচ কেউ তাদের দিকে তাকালে বা খারাপ নজর দিলে ছেলেরা সব খারাপ বলে দাবি করে। একবার ও এইটা ভাবে না যে, ছেলেদের এমন খারাপ আচরণের জন্য ওরা নিজেরাই দায়ী।
এত সুন্দর সুন্দর মর্ডান কাপড় না পড়ে যদি মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করে বোরকা নিকাব করে চলতো। তাহলে বাংলাদেশে এত নারি ধর্ষণের শিকার হতো না।
আজকাল কার মেয়েরা এটা জানে না যে, একদিন তাদের এই রূপএর বাহার আর থাকবেনা মাটির সাথে সব কিছু মিশে মাটিতেই পরিণত হবে। যাক সে সব কথা বাদ দিলাম।
হঠাৎ মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা পাক ঘরে থালা বাসন গুলো মাজতেছে। আমি শুধু মেয়েটার দিকে এক নজরে তাকিয়ে ছিলাম।
হঠাৎ করে লাইট ওফ হয়ে গেলো।
মেয়েটা চিৎকার দিয়ে উঠলো,
চলবে…
পরের পর্ব- প্রকৃত ভালোবাসা পর্ব ৪