রোমান্টিক প্রেমের গল্প – বান্ধবী যখন বউ – পর্ব ৮: গত পর্বে আমরা দারুণ একটা টার্ণিং দেখেছি। একদিকে মিরা প্রপোজ করার জন্য এগিয়ে আসছে আর অন্যদিকে স্বর্ণা ফিরে এসে কাব্যকে জড়িয়ে ধরেছে। ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী শুরু হবে আজ থেকে। চলুন দেখি কি হয় কাব্যের? কাকে ভালবাসার হাত এগিয়ে দেয় কাব্য?
ত্রিভুজ প্রেমের সূচনা
কিন্তু হঠাৎ করেই স্বর্না মিরার দিকে একরাস বিরক্তি ও রাগ নিয়ে তাকাচ্ছে। মিরারও একই অবস্থা মিরাও প্রথমে একটু অবাক হলেও তার কিছুক্ষণ পরপরই স্বর্নার দিকে একই ভাবে তাকিয়ে আছে। আর আমি শুধু স্বর্নার দিকে তাকিয়ে আছি। ওকে দেখে আমার মনের ভিতর যেন আবার নতুন এক ভালবাসার ফুল ফুটতে লাগলো। কিন্তু যখন ওর অবহেলা আর আমার সাথে যে জঘন্য ভালোবাসার নাটক করেছিলো তা মনে পরতেই সেই ভালোবাসার ফুল ঝরে পরে এক রুক্ষ মরুভুমিতে পরিণত হলো।
তারপর আমার ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে স্বর্না বললো,
স্বর্নাঃ শাঁকচূর্ণী তোর সাহস হয় কি করে আমাকে চড় মারার? (রেগে গিয়ে বললো)
মিরাঃ মেরেছি তো বেশ করেছি। তোর সাহস কি করে হয় কাব্যকে জড়িয়ে ধরার। আর একবার যদি তুই ওকে জড়িয়ে ধরেছিস বা ওর ১০০ হাতের ভিতরেও আসিস তাহলে সেটা তোর জন্যে খুব খারাপ হবে বলে দিলাম। (মিরা রাগ করে বললো স্বর্নাকে)
স্বর্নাঃ আমি কাব্যকে ১বার কেন হাজার বার জড়িয়ে ধরবো। তাতে তোর কি, হ্যাঁ? আর কি যেন বললি আমি যেন ওর ১০০ হাতের ভিতরেও না আসি। তাহলে শুনে রাখ আমি সব সময় ওর সাথে ছায়া হয়েই থাকবো। তাতে তোর কি? কে হয় ও তোর?
(ওরা দুজন যেভাবে কথা বলছে। তাতে মনে হচ্ছে ওরা দুজন দুজনকে আগে থেকেই চেনে। আর ওদের ভিতর নিশ্চয় আগে কিছু একটা হয়েছিলো)
মিরাঃ কে হয় ও আমার তুই জানতে চাস? তাহলে শোন ও আমার ফ্রেন্ড হয় ফ্রেন্ড। আর তুই খুব ভালো করেই জানিস আমি যাদের ফ্রেন্ড মনে করি তাদের কাছে তোর মতো কিছু মানুষকে দেখতেই পারি না।
স্বর্নাঃ হা হা হা ফ্রেন্ড হোস ফ্রেন্ডের মত থাকবি। অযথা উটকো অধিকার দেখাতে আসবি না, বুঝেছিস। আর একটা কথা কান খুলে শুনে রাখ আজকের পর থেকে আমি যেন তোকে কাব্যর আশেপাশেও না দেখি। কাব্য শুধু আমার। আর কারো নয় শুধুই স্বর্নার।
মিরাঃ ও তোর মানে কি বলতে চাচ্ছিস তুই?
স্বর্নাঃ মানে এটাই আমি কাব্যকে ভালোবাসি। আর শুধু আমি যে কাব্যকে ভালোবাসি এটা নয়, কাব্যও আমাকে ভালোবাসে।
স্বর্ণাকে ফিরিয়ে দেয়া
এদিকে আমি স্বর্নার মুখে ভালোবাসার কথাটা শুনে আমার মাথায় যেন আগুন জ্বলছে। তবুও নিজেকে শান্ত রেখে বললাম,
কাব্যঃ এই যে হ্যালো আপনি কে আপনি? (স্বর্নাকে উদ্দেশ্য করে) আর পাগলের মত কি সব বলছেন। আমি আপনাকে ভালোবাসি মানে?
আমি তো জীবনে প্রথম আপনাকে দেখছি। আর তুই (মিরারকে উদ্দেশ্য করে বললাম) তুই এই মেয়েটার সাথে এত কথা বলছিস কেন? কোথায় থেকে যে এসব উটকো ঝামেলা আসে। (একটু বিরক্ত হয়ে বললাম)
স্বর্নাঃ কাব্য, তুমি আমাকে চিনতে পারছো না। তুমি তোমার ভালোবাসাকে চিনতে পারছো না। (অবাক হয়ে বললো স্বর্না)
মিরাঃ ঐ শাঁকচূর্ণী তোকে তো বলেই দিয়েছে যে ও তোকে চেনে না। আর জীবনে আজ ই প্রথম তোকে দেখলো। তাহলে আবার কথা বলছিস কেন? আর দেখ স্বর্না এখনো সময় আছে ভালোয় ভালোয় এখান থেকে চলে যা।
স্বর্নাঃ তুই চুপ থাক। আর কাব্য তুমি এতটা কি করে পাল্টে গেলে যে আজ আমাকেই চিনতে পারছো না। ওহ্ বুঝতে পেরেছি তুমি আমার উপর রাগ অভিমান করে আছো। আসলে এটাই স্বাভাবিক তোমার সাথে আমি যা করেছি তাতে যে কেউ এমনটা করবে। কিন্তু আমি তোমার পায়ে পরছি তুমি আমাকে মাপ করে দাও কাব্য, প্লিজ! (কাঁদতে কাঁদতে বললো স্বর্না)
কাব্যঃ আরে আরে আপনি কি বলছেন এসব! আপনার উপর আমার কিসের রাগ অভিমানের কথা বলছেন। আর আপনাকে তো আজই প্রথম দেখলাম মনে হয়, যখন আজ প্রথম বার দেখলাম আপনাকে তাহলে এ সব রাগ, অভিমান, কোথা থেকে আসছে। আপনার মনে হয় কোথাও ভুল হচ্ছে, দুঃখীত। আর মিরা আমি বাড়ি গেলাম। কোথায় ভাবলাম আজ ক্লাস করবো কিন্তু তা আর হলো না। বলেই আবার কলেজ থেকে বের হয়ে আসলাম আমি।
আমি আসার সময় দেখি কলেজের অনেকেই আমাদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
এদিকে স্বর্না কাঁদতে কাঁদতে চলে যায়। মিরারও এ ঘটনার পর আর কিছুই ভালো লাগছে না। মনের ভিতর যেন অজানা এক ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তাই মিরাও ঠিক করলো সেও আজ আর ক্লাস করবে না। বাড়ি চলে যাবে। ঠিক তখনি মিরার বান্ধবিরা মানে নীলারা এসে মিরাকে বললো,
রিয়াঃ কিরে কোথায় যাস? ক্লাস করবি না।
মিরাঃ নারে ভালো লাগছে না। তোরা থাক আমি বাড়ি গেলাম।
রিয়াঃ আরে আরে কি হয়েছে মিরা শোন তো।
কিন্তু মিরা কিছু না বলেই চলে যায়।
জবটা চলে গেল
আর এদিকে আমি বাড়িতে এসে শুয়ে শুয়ে ভাবছি। স্বর্না এখানে কেন? আবার কি চায় ও? আমার জীবনটা তো একবার প্রায় নষ্ট করেও কি ওর মনের জ্বালা মেটে নাই। না আর ভাবতে পারছি না। মাথাটা খুব ব্যাথা করছে।চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি কখন আর যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতেই পারি নাই। পরের দিন খুব সকালেই আমার ঘুম ভেজ্ঞ যায়। আজ আর কলেজে যাই না। কলেজে না গিয়ে আমি অফিসে যাই। অফিসে এসে নিজের কেবিনে বসতেই পিয়ন চাচা এসে বলল ম্যানেজার স্যার নাকি আমাকে ডেকেছেন। তাই আমি স্যারের সাথে দেখা করতে যাই। স্যারের রুমের দরজা নক করে বললাম,
কাব্যঃ মে আই কাম ইন, স্যার?
স্যারঃ ইয়েস কাম ইন!
কাব্যঃ স্যার আমাকে ডেকেছিলেন।
(রুমের ভিতরে ঢুকে দেখি স্যারের মুখে চিন্তার ছাপ)
স্যারঃ ওহ্ কাব্য তুমি। তা কেমন আছো?
কাব্যঃ এই তো স্যার আলহামদুলিল্লাহ্। আপনাদের দোয়া আর আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। স্যার যদি কিছু মনে না করেন, তাহলে একটা প্রশ্ন করি?
স্যারঃ হ্যাঁ অবশ্যই। বলো কি জানতে চাও?
কাব্যঃ না মানে স্যার আজ আপনাকে দেখে কেন জানি মনে হচ্ছে কিছু একটা নিয়ে চিন্তায় আছেন?
স্যার একবার আমার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমাকে যা বললো তা শোনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। নিমিষেই আমার চোখেমুখে অন্ধকারের কালো মেঘে ঢেকে গেল। কারণ স্যার আমাকে বললো,
স্যারঃ কাব্য তোমাকে কথাটা কি ভাবে বলবো বুঝতে পারছি না? আর কথাটা শোনার পর তুমি আমাদের কি ভাববে এটাও বুঝতেছিনা।
কাব্যঃ স্যার আপনার যা বলার তা আপনি নির্দ্বিধায় বলতে পারেন। যদি আমি কোন অপরাধ করে থাকি, তাও।
স্যারঃ না কাব্য, তুমি কোন অপরাধ কর নাই। তুমি তো আমাদের সবার গর্ব। তুমি আমাদের এখানে পার্ট টাইম জব করেও আমাদের কোম্পানিকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছো। যার জন্যে কোম্পানি তোমার কাছে রিনি। আর আমাদের কোম্পানি অনেক ভাগ্য করে তোমার মত একজন কর্মচারি পেয়েছে। কিন্তু আজ আমাদের কোম্পানির জন্য অনেক খারাপ একটা দিন যে তোমার মত একজন সৎ ও ভালো কর্মচারি হারাতে যাচ্ছি বলে।
কাব্যঃ স্যার আপনার কথা আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। আমি আবার কোথায় হারিয়ে যাবো? (অবাক হয়ে বললাম)
স্যারঃ কাব্য তোমাকে আমাদের কোম্পানি হারাতে যাচ্ছে মানে হচ্ছে। আমি তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম যে তোমাকে আর আমরা আমাদের কোম্পানিতে রাখতে পারবো না। তোমার সব পাওনা তোমার একাউন্টে ট্যান্সফার করে দেওয়া হয়েছে।
কাব্যঃ স্যার আপনি এসব কি বলছেন? প্লিজ স্যার, এমনটা করবেন না স্যার। অনেক কষ্টে আমি এই চাকরিটা পেয়েছিলাম স্যার। আর আজ যদি চাকরীটা চলে যায় তাহলে আমাকে পথে বসতে হবে স্যার। আমি আমার লক্ষে পৌঁছাতে পারবো না স্যার। আমি যদি কোন ভুল করে থাকি তাহলে আপনি আমাকে যে শাস্তিই দেন না কেন আমি তা মাথা পেতে নেবো। তবুও আপনি আমাকে বের করে দিবেন না স্যার। আমি আপনার পায়ে পড়ছি স্যার। (কাঁদতে কাঁদতে)
স্যারঃ আরে আরে কাব্য এটা কি করছো তুমি? তুমি আমার ছোট ভাইয়ের মত। তুমি কোন অপরাধ করো নাই। আসলে কি হয়েছে, তোমার মনে আছে কি গত মাসে একটা প্রজেক্টের কাজ তুমি সহ আরো চার জনকে দিয়েছিলাম।
কাব্যঃ হ্যা, মনে আছে স্যার। আমার প্রজেক্টের ফাইলটা তো আপনাকে দিয়েই দিয়েছি। সেখানে কি কোন…।
স্যারঃ কাব্য তুমি যেমনটা ভাবছো তেমন কিছুই না। আর তুমি তো জানতে গতমাসে অন্য একটা কোম্পানির একটা মিটিং হওয়ার কথা ছিলো ঐ প্রজেক্টের উপর। আর দুর্ঘটনা বসতো মিটিং এর ডেডটা পিছিয়ে যায়। হঠাৎ করেই গতকাল তারা মিটিং এর জন্যে আমাদের কাছে আসে আর প্রজেক্টের ফাইলটা দেখতে চায়। এই প্রজেক্ট সম্পর্কে আমাদের সাথে তাদের কথা হয়। যাই হোক, তোমার ফাইলটা দেখে ওরা খুশি হয়। আর আমাদের সাথে কাজ করতে রাজিও হয়। সেই সাথে তারা এটাও বলেছে আমরা চাইলে তাদের সাথে একটানা ৫ বছরের যেকোনো প্রজেক্টের উপর কাজ করতে পারি।
কাব্যঃ কিন্তু স্যার…! এটা তো ভালো খবর। কিন্তু এটা বুঝতে পারছি না এর সাথে আমার চাকরি যাওয়ার সম্পর্ক কি?
স্যারঃ সম্পর্ক আছে, কাব্য। ওরা বলেছে ওরা আমাদের সাথে কাজ করতে রাজি আছে। কিন্তু তারা আমাদের একটা শর্ত দিয়েছে যে আমরা যেন ভবিষ্যৎতে তোমার সাথে কোন যোগাযোগ না রাখি। আর আজকের মধ্যেই যেন তোমার সব পাওনা মিটিয়ে দেই। এখন তুমি হয়তো বুঝতেই পারছো।
কাব্যঃ আপনাকে আর বলতে হবে না স্যার। আমি সব বুজতে পেরেছি, আমি আসছি।
(আজ নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে স্যার। কারণ আমি হয়তো নিজের স্বপ্নগুলো সত্যি করতে পারবো না।)
(আপনারা হয়তো ভাবছেন একটা চাকরি চলে গেছে তো কি হয়েছে। একটা গেছে আর একটা চাকরি পাবো। আরে ভাই এটা বাংলাদেশ এদেশে চাকরি পাওয়া মানে সোনার হরিণ হাতে পাওয়া।)
বসের সারপ্রাইজ
আর তা পাওয়া মুখে বলা যতটা সহজ বাস্তবে ততটা সহজ নয়। যাই হোক, মন খারাপ করে চলে যাবো। তখনি স্যার বলল-
স্যারঃ আরে কাব্য তুমি কই যাও? আর এতে মন খারাপ করার কি আছে? দেশে কি আর চাকরির অভাব আছে। আর যাই হোক, তোমাকে তো একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। তারা আমাদের একটা অফার দিয়েছে।
কাব্যঃ স্যার অফারটা আপনাদের দিয়েছে। আমি তো আর আজ থেকে আপনাদের অফিসের সদস্য নই। তাই সেটা আমার না জানলেও চলবে।
স্যারঃ কষ্ট করে একটু শুনে তো যাও। হয়তো কথাটা শুনলে তুমিও খুশি হবে।
কাব্যঃ ঠিক আছে স্যার, এত করে যখন বলছেন বলুন কি বলতে চান?
স্যারঃ ওরা শর্ত হিসেবে এটা বলেছে যে। ওরা ওদের কম্পানিতে তোমাকে চাকরি দিতে চায়। আর তোমার বেতন আমাদের থেকে দ্বিগুন দিতে চায়।
কাব্যঃ কি বললেন স্যার আবার একটু বলবেন প্লিজ?
স্যারঃ হ্যাঁ, ঠিকি বললাম।
আমি তো স্যারের কথা শুনে অবাক হয়ে গেছি। কিন্তু আমি এটা বুজতেছি না তারা আমাকে আমাদের কোম্পানি থেকে বের করে দিতে বলে আবার নিজেদের কোম্পানিতেই চাকরি দিতে চায় কেন?
(আমার ভাবনার চেদ ঘটিয়ে স্যার বললো..)
স্যারঃ আরে ভাই কাব্য এবার তো একটু হাসো। তোমার মুখে এমন মেঘের ছায়া মানায় না। (আমি স্যারের কথা শুনে একটা মুচকি হাসি দিলাম) আর একটা কথা আগামিকাল ওরা তোমার সাথে কথা বলতে চায়।
স্যারের কথা শুনে মনটা এখন একটু ভালো হলো। তারপর স্যারের সাথে বেশ কিছু সময় কাটিয়ে ফুরফুরে মেজাজে বাড়িতে ফিরে আসি। আর পরের দিক ঠিক সময় মত নতুন অফিসে চলে আসি। অফিসে আসতেই একটা লোক এসে বললো।
লোকটাঃ স্যার, ম্যাম আপনাকে ভিতরে ঢেকেছেন। (লোকটার কাপড় দেখে বুজতে পারলাম ইনি এই অফিসের পিয়ন)
কাব্যঃ কিন্তু চাচা আমি তো ম্যামের রুম কোনটা তা জানি না। আপনি যদি একটু বলে দিতেন তাহল খুব ভালো হতো।
পিয়নঃ ঠিক আছে স্যার, আপনি আমার সাথে আসুন।
তারপর পিয়ন চাচা আমাকে সাথে করে ম্যামের রুমে নিয়ে যায়। আর ম্যামকে বলেন,
পিয়নঃ ম্যাম, স্যার এসেছেন।
ম্যামঃ ঠিক আছে, আপনি যান। আমি কথা বলে নিচ্ছি। (তারপর পিয়ন চাচা চলে যান এবং আমি মাথা নিচু করে আছি)
নতুন জব
আপনার নাম তাহলে কাব্য। (নাইচ টু মিট ইউ কাব্য)
(ম্যামের কণ্ঠটা কেন জানি পরিচিত পরিচিত মনে হচ্ছে। তাই আমি তাকে দেখার জন্যে যেই মাথা উচু করে তার দিকে তাকালাম। আমি তাকিয়ে দেখি যে ম্যাম একটা বোরকা পরে আছে। কিন্তু বোরকার আড়ালে কে তা বুঝতে পারছি না। আমার শুধু বারবার মনে হচ্ছে বোরকার আড়ালে যে আছে। তাকে হয়তো আমি চিনি)
ম্যামঃ কি হলো কিছু বলছেন না যে আপনাকে কিছু একটা জিজ্ঞাসা করেছি। (একটু কর্কস কণ্ঠে)
কাব্যঃ স্যরি, ম্যাম। একটু ট্যানশনে ছিলাম তো। যাই হোক, আমার নাম কাব্য আহম্মেদ। যাকে আপনারা…।
আমাকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে ম্যাডাম বলতে লাগল,
ম্যামঃ আপনাকে কিছু বলতে হবে না। আপনার সম্পর্কে আমি সব কিছুই জানি। আপনি কে, কোথায় থাকেন, কখন কি করেন?
আমি অবাক হয়ে বললাম-
কাব্যঃ ঠিক বুঝলাম না, ম্যাম। আপনি কিভাবে আমার সম্পর্ক জানেন? আমিতো আজকেই প্রথম..!
(ম্যাম একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো)
ম্যামঃ আমার অফিসে যাকে আমি কাজে রাখবো তার সম্পর্কে একটু হলেও তো খোঁজ রাখতে হবে। বলাতো যায় না কখন..। যাই হোক, আপনাকে যে জন্য আজ ডেকেছি তা হলো আপনার কাজ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। সেই জন্য আমরা আপনাকে আমাদের কোম্পানিতে কাজ করার জন্য নিয়েছি। আশা করি, আপনি আগের কোম্পানিতে যেমন কাজ করতেন আমাদের এখানেও ঠিক তেমনি কাজ করবেন। আর কাজের প্রতি যেন কোন….
চলবে….