রোমান্টিক প্রেমের গল্প ১

রোমান্টিক প্রেমের গল্প – বান্ধবী যখন বউ – পর্ব ১

রোমান্টিক প্রেমের গল্প – বান্ধবী যখন বউ – পর্ব ১: একটা সময় ছিল যখন বান্ধবীকে বিয়ে করা তো দূরের কথা, বান্ধবীর মুখটাও দেখা যেত না। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া করলেন প্রতিবাদ, মেয়েরা শুরু করল মক্তবে, মাদ্রাসা, স্কুলে যাওয়া। আর সেই থেকে মেয়েদের দেখা ও কাছে গিয়ে মনের কথা বলার এক দারূণ সুযোগ পেয়ে গেল ছেলে সমাজ। তারপর চিঠি দেয়া, ভালবাসা, প্রেম নিবেদন আরো কত কি। শুধু কি এই বিয়ে পর্যন্ত গড়াল বিষয়টা। সভ্যতার এই যুগে এখন তো বান্ধবী বা বন্ধুকে বিয়ে করা একেবারে ডালভাত বরাবর হয়ে গিয়েছে। চলুন আমি আর বকবক না করি আমাদের লেখক কাব্য আহম্মেদ শোনাবে এরকমই একটি সুখ-দুঃখ হাসি কান্না মিশ্রিত রোমান্টিক ভালবাসার গল্প – বান্ধবী যখন বউ। চলুন তবে শুরু করা যাক।

গল্পের প্রথম দৃশ্যপট

ঠাসস ঠাসসস….

স্বর্নাঃ তুই কি ভেবেছিস আমি তোকে ভালোবাসি। আরে বোকা তোর মাথায় কি বুদ্ধি বলতে কিছুই নেই। যে তোর বা তোদের মত নিচ গরিব ঘরের ছেলেদের সাথে আমরা শুধু সামান্য একটু হেসে কথা বলতে পারি। কিন্তু ভালবাসতে পারি না।

কাব্যঃ তাহলে এত দিন কি ছিলো এসব? আমি তো কোন দিন তোমাকে বলতে যাই নাই যে আমি তোমাকে ভালোবাসি। বরং তুমিই তো আমার পিছনে পিছনে ঘুরতে আর বলতে তুমি নাকি আমাকে ভালোবাসো।

স্বর্নাঃ আরে বোকা তুই ছিলি আমাদের কলেজের টপার। আর তোর কারণে আমি কলেজে টপ হতে পারছিলাম না। তাই তোর সাথে এত দিন ভালোবাসার অভিনয় করেছি। যাতে আমার ভালোবাসায় পাগল হয়ে তুই লেখা পড়ায় আমার থেকে পিছিয়ে পড়িস। আর এখন দেখ তুই কতটা পিছিয়ে পড়েছিস। তুই আমার থেকে এতটা পিছিয়ে পড়েছিস যে কোন ভাবেই আর আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারবি না।

আর এদিকে কলেজের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসতেছে। আর একে অন্যেকে বলতেছে দেখছিস কাক ময়ুর হতে চেয়েছিল। কিন্তু কাক এটা হয়ত জানতা না যে কাক যতই না ময়ুরের পেখম পড়ুক কাক কাকই থাকে।

কাক কখনো ময়ুর হতে পারে না। আমি ওদের কথা শুনে যতটা না কষ্ট পেয়েছি। তার থেকেও বেশি এটা ভেবে কষ্ট পেলাম যে জীবনে এত বড় একটা ভুল করলাম। শেষ পর্যন্ত আমি কিনা একটা ভুল মানুষকে ভালোবাসলাম।

যে কিনা এতদিন শুধু আমার ক্ষতি চেয়ে এসেছে। তাকেই ভালবেসেছি। ছি ছি ছি! এসব ভাবতেই বুকটা যেন আমার কষ্টে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই কলেজে আর না থেকে বাড়িতে চলে আসলাম। ওখানে থেকে আর অপমানিত হতে পারছি না।

(ওহ আপনাদের তো আমার পরিচয় দেওয়াই হয় নাই। আমি হলাম কাব্য আহম্মেদ নীল। মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে)

কলেজে পড়াশুনায় ভালো ছিলাম বলে অনেকেই আমার সাথে সম্পর্কে জড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি সবাইকে না করে দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন জানিনা, স্বর্নার সাথে এমন হলো?

হ্যাঁ স্বর্না!

স্বর্না হলো আমাদের কলেজের সব চাইতে ধনী পরিবারের একমাত্র মেয়ে। আর সেই সাথে কলেজের টপার গাল। তবে আমার থেকে পিছিয়ে ছিলো।

প্রতিদ্বন্দ্বী অহংকারী বান্ধবী

কিন্তু এটা নিয়ে ওর মধ্যে কোন দিন আমার জন্য হিংসা বা অহংকার ছিলোনা। বরং আমাদের মধ্যে অনেক ভালো বন্ধুত্ব ছিলো। ওর সাথে আমি আমার সব ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করতাম। আর ওর সাথেই বেশি সময় থাকতাম। আর এতেই আমি ওর প্রতি একটু একটু দুর্বল হয়ে পড়ি। তবে আমি যে স্বর্নাকে ভালোবাসি তা ওকে কখনো বলে ওঠার সাহসই পাই নাই। যখনি ওকে মনের কথা বলতে যাবো ভাবতাম তখনি বার বার মনে হত। যদি ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে ওর সাথে বন্ধুত্বটা হারাই।

আমি স্বর্নার জন্য এতটাই পাগল ছিলাম যে ওর কথা ভাবতে ভাবতে কি ভাবে যে লেখা পড়ায় পিছিয়ে পড়ি বুঝতেই পারি নাই।

অনেকদিন আগের কথা-

একদিন ও আমাকে হঠাৎ করেই কলেজ শেষে কলেজের পিছনে পুকুর পারের কাছে থাকতে বলে। কিন্তু কি জন্য তা জানি না।

আমিও স্বর্নার কথা মত কলেজ শেষে যখন ওখানে ওর জন্য ওয়েট করছিলাম। তখনি কে যেন পিছন থেকে হঠাৎ করেই আমাকে জড়িয়ে ধরে। আর এতে আমি অনেকটা ভয় পেয়ে যাই। আর ভিত গলায় বলতে লাগলাম।

আমিঃ আরে কে আপনি। আর আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছেন কেন?

আমি আমার ভালবাসাকে জড়িয়ে ধরেছি তাতে তোর কি, হ্যা?

(মেয়েটার গলার আওয়াজ শুনে আমি যেন স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কারণ এটা যে ছিলো স্বর্নার কন্ঠস্বর। আমি মনে মনে খুশিও হলাম। তবে হঠাৎ মনে হল স্বর্না বুঝি আমার সাথে মজা করছে)।

আমি নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে স্বর্নাকে বলতে লাগলাম-

কাব্যঃ ঐ ফাজিলের বান্ধরনী ফাজিল। তোর ফাজলামি বন্ধ করে এটা বল কি জন্য আমাকে এখানে ডেকেছিস।

স্বর্নাঃ ঐ কে ফাজিল, হ্যাঁ। আর আমি কি ফাজলামি করলাম, হ্যা?

কাব্যঃ ফাজলামি না তো কি, হ্যা? কলেজের সব ছেলের ক্রাস আমার মত একটা গরিব ছেলেকে ভালোবাসবে তা ফাজলামি ছাড়া আর কিই বা হবে।

স্বর্নাঃ দেখ কাব্য, আমি কোন ফাজলামি করছি না। আমি কিন্তু সিরিয়াস। আর তুই গরিব বলে কি আমি তোকে কখনো কোন খোটা দিয়েছি। দেই নাই বরং তোকে ভালোবেসে ফেলেছি। আর আমি এটাও যানি যে তুই ও আমাকে ভালবাসিস।

বান্ধবীর প্রথম প্রপোজ

আমি হঠাৎ স্বর্নার কথাই চমকে উঠে বলি,

কাব্যঃ কি বলছিস তুই এসব? আমি কেন তোকে ভালোবাসতে যাবো? আমি তো তোকে শুধু…।

স্বর্নাঃ থাক থাক আর মিথ্যা বলে লাভ নেই চাঁদ। আমি সব যানি তুই আমাকে ভালোবাসিস। আর হয়তো এটা ভাবছিস এসব আমি কি করে জানলাম।

তাহলে শোন তুই একদিন আমাকে বলেছিলি যে তুই তোর মনের সব অব্যক্ত কথা তুই তোর এই ডাইরিতে লিখিস। আর আমি সেখান থেকেই জানতে পেরেছি। তাই তোর না বলার কোন মানেই দেখি না। আর একটা কথা মনে রাখিস ভালোবাসা কখনো টাকা পয়সা, ধনী-গরীব থেকে আসে না। এটা আসে মানুষের সুন্দর একটা মন থেকে। আর সেই মন থেকেই আমি তোকে ভালবাসি। বলেই আবার আমাকে জড়িয়ে ধরে।

(আমি কি আর বলবো ভেবে পাচ্ছি না। একেতো আমিও ওকে ভালোবাসি। আর এত দিন ওকে হারানোর ভয় ছিলো। কিন্তু ও যখন আমাকে ভালোবাসে তখন কি লাভ ওকে ফিরিয়ে দিয়ে)

তাই আমিও ওকে ভালবাসি। আর এভাবেই শুরু হয় আমাদের ভালোবাসার রঙিন দিন। ওর সাথে সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে আমি সব কিছুতেই পিছিয়ে পড়ি।

আর এতটাই পিছিয়ে পড়ি যে যেখান থেকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে অনেক সময়ের প্রয়োজন।

কিন্তু হাতে বেশি সময় নেই। তবুও অনেক কষ্টে নিজেকে কিছুটা গুছিয়ে নেই। যাই হোক, দেখতে দেখতে আমাদের HSC ফাইনাল পরীক্ষা আসে। অনেক কষ্টে আমি সবগুলা পরিক্ষা দেই। আর যে দিন পরিক্ষার রেজাল্ট দেয় সে দিন আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লে। কারণ একমাত্র আমিই সবার থেকে একটু বেশিই খারাপ রেজাল্ট করেছি।
তাই আজ আমাকে সবাই অপমান করছে। আজ কেউ পাশে দাড়িয়ে আমাকে এটা বলে সান্তনা দিচ্ছে না যে একটা রেজল্ট খারাপ হয়েছে তো কি হয়েছে? সামনেরবার ভালো করবি।

মনে মনে কষ্ট নিয়ে যখন আমি স্বর্নার কাছে যাই তখন সে আমাকে কতটা ভালোবাসে কতটা পাশে আছে তার প্রমান কি দিলো তা তো দেখতেই পেলেন।

পরিবারে প্রথম ঝড়

যাই হোক, মনে একরাশ কষ্ট নিয়ে যখন বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। তখন একটা কথাই বার বার মনে হচ্ছিলো কোন মুখ নিয়ে বাবা মার সামনে যাবো। তবুও বাড়িতে যাচ্ছি কারণ নিজের কারনে যে ভুল করেছি তার ফল তো ভোগ করতেই হবে।

এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে বাড়ির কাছে চলে এসেছি বুঝতেই পারি নাই। যখন বাড়িতে ঢুকবো। তখন দেখি বাড়ির উঠানে আগুন জ্বলছে। কিন্তু এটা বুঝতে পারছি না কে এখানে আগুন লাগিয়েছে। তারপর যখনি আমি বাড়ির ভিতরে ঢুকলাম। তখন যেন আমার মাথায় ২য় বারের মত আকাশ ভেঙে পড়ল।

কারণ মা বাবা দুজনে মিলে আমার সব বই খাতায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। সেই সাথে আমার কাপড়ও বাহিরে ছরিয়ে ছিটিয়ে রেখেছে। আমাকে ঢুকতে দেখার সাথে সাথেই আব্বু বলে উঠলো।

আব্বুঃ তুই এ বাড়িতে কেন এসেছিস?

আমিঃ বাড়িতে আসবো না তো কোথায় যাবো আব্বু? (করুন দৃষ্টিতে আব্বুর দিখে তাকিয়ে বললাম)

আব্বুঃ তুই কোথায় যাবি সেটা তুই ভালো করে জানিস? তবে আজকের পর থেকে তুই না এ বাড়িতে থাকবি আর না আমাকে আব্বু বলে ডাকবি।

আমিঃ আব্বু এসব তুমি কি বলছো? আমি কি..(কাঁদতে কাঁদতে)

আব্বুঃ তোকে বলেছি না আমাকে যেন তুই আব্বু বলে না ডাকিস। আর এটাই জানতে চাস তো কেন আজ তোর সাথে এরকম?

আমিঃ না থাক, আমি বুঝতে পেরেছি কাউকে কিছু আর বলতে হবে না। আমি চলে যাচ্ছি। যদি আমার চলে যাওয়াতে তোমরা ভালো থাকো তাহলে আমি চলে যাচ্ছি। (কাঁদতে কাঁদতে)

হতাশা থেকে ঘুরে দাঁড়ার চেষ্টা

তারপর বাড়ি থেকে বের হয়ে আসি। বাড়ি থেকে আসার সময় দেখি প্রতিবেশিরাও আজ আমাকে দেখে হাসাহাসি করছে। যে মানুষগুলো এক সময় আমাকে নিয়ে নাকি গর্ব করতো। আজ আমি তাদের কাছেও শুধু হাসির আর তাচ্ছিলের পাত্র। যাই হোক, মনের ভিতর একরাশ কষ্ট নিয়ে যখন রাস্তা দিয়ে হাটছি তখন মনে একটা কথাই বার বার মনে হচ্ছিলো। এই ব্যর্থ জীবন রাখবো না। এই ব্যর্থ জীবন রাখার থেকে না রাখাই ভালো।

হঠাৎ তখনি মনে পড়ল আমাদের নবি (সোঃ) তো কোন বিপদেই পিছু পা হয় নাই। ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে হাজারো কষ্টের সম্মুখীন হয়েছেন। কত কঠিন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন। কখনো তো তিনি হতাশ হন নাই। বরং বার বার চেষ্টা করেছেন। আবার আমাদেরকেও হতাশ না হয়ে চেষ্টা করতে বলেছেন।

হ্যাঁ, আমিও চেষ্টা করবো। আর অন্যদেরকেও এটা দেখিয়ে দিব। কাব্য পিছিয়ে পড়ার ছেলে নয়। আমি নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করবো যাতে আজ যারা আমাকে অপমানিত করলো। তারাই যেন এক সময় নিজের কাজের জন্যে অপমানিত বোধ করবে।

আর তাই আমি নিজেকে নতুন রুপে তৈরি করার জন্যে সবাইকে ছেড়ে আজ আমি চলে যাচ্ছি। যদি কখনো ফিরে আসি তাহলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেই ফিরবো।

তারপর আমি চলে আসি ঢাকায়। এখানে এসে অনেক কষ্টে একটা থাকার ব্যবস্থা করি। থাকার ব্যবস্থা করার পর মনের ভিতর একটা প্রশ্নই ঘূড়পাক খাচ্ছিলো থাকার ব্যবস্থা হলো। কিন্তু টাকা কোথায় পাবো। আমার কাছে যা টাকা আছে তা দিয়ে বড় জোর মাত্র ১৫ দিন চলবে। কিছু একটা করতে হবে। যাতে নিজের স্বপ্ন গুলো আবার শেষ থেকে শুরু করতে পারি।

যাই হোক, ঢাকায় এসে অনেক কষ্টের পরও একটা চাকরির ব্যবস্থা করতে পারলাম না তখন নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল। ক্রমশ নিজের ইচ্ছা শক্তি হারিয়ে ফেলছিলাম। প্রতিটা মুহুর্ত শুধু এটাই মনে হচ্ছিলো আমি নিজেকে কি আবার প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো। নাকি আমার স্বপ্ন গুলো বালির বাধের মত ভেঙে যাবে।

তবুও নিজেকে কিছুটা শান্ত রেখেছিলাম। আর আল্লাহর কাছে একটাই প্রার্থনা করতাম যাতে ভাগ্য কিছুটা সহায় হয়।

টিউশন স্যার আমি

তারপর হঠাৎ করেই একদিন বাড়ীর মালিকের ছোট ছেলে আমাকে এসে বলে যায় আমাকে নাকি বাড়ীর মালিক ডেকে পাঠিয়েছে। মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় কাজ করছে। জানিনা কাজ যোগার করতে পারছি না বলে আবার বাড়ী থেকে বের করে দিবে না ত। এরকম হাজার চিন্তা মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল।

যখন আমি বাড়ি ওয়ালার বাড়িতে যেয়ে বাড়ির কলিং বেল বাজতেই বাড়ি ওয়ালার বৌ দরজা খুলেই বলতে লাগল।

আন্টিঃ ওহ বাবা, তুমি। আসো। ভিতরে আসো।

তারপর আন্টির সাথে তাদের বাড়ির ভিতরে যাই।

আন্টিঃ আরে বাবা দাঁড়িয়ে আছ কেনো চেয়ারে বসো। (একটা চেয়ার এগিয়ে দিয়ে)

আমিঃ না না আন্টি এভাবেই ঠিক আছে। বলছিলাম কি আন্টি আঙ্কেলকি বাড়িতে আছে?

আন্টিঃ না তোমার চাচা তো বাড়িতে নেই। তবে আমাকে বলে গেছে যে,

আমিঃ কি বলে গেছে আন্টি? (চিন্তিত হয়ে)

আন্টিঃ সে রকম কিছু না। তবুও কেমন জানি একটু সংকোচ লাগছে। যাইহোক, বলছিলাম কি বাবা তুমিত বিজ্ঞানের ছাত্র। আর এখন বসেও আছো। যদি একটু কষ্ট করে আমার ছোট ছেলেটাকে পড়াতে। তাহলে একটু ভালো হতো।

(আন্টির কথা শুনে আমার দেহে যেন প্রাণ ফিরে এল। সেই সাথে খুশিও হলাম। কারণ ওনার ছেলেকে পড়ালে আমার হাতেও কিছু টাকা আসবে)

আন্টিঃ কি ভাবছো বাবা তুমি? তোমাকে কিছু ভাবতে হবে না।

আমিঃ কিছু না আন্টি। তা কখন থেকে পড়াতে আসবো, তাই ভাবছিলাম।

আন্টিঃ তোমার যখন সময় হবে তখন আসবে।

আমিঃ ঠিক আছে আন্টি। সন্ধা ৭টায় পড়াতে আসবো।

তারপর আমি ওখান থেকে চলে আসি। আর রাত্রে হালকা কিছু খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়েই কাজের উদ্দেশ্যে বের হই। আজকেও অনেক কষ্টে যখন কাজ পেলাম না তখন হতাশ হয়েই সন্ধার সময় বাড়ীর দিকে আসছিলাম। তখনি দেখি একটা লোক। চলবে…..

পরের পর্ব- রোমান্টিক প্রেমের গল্প – বান্ধবী যখন বউ – পর্ব ২

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *