রাগী মেয়ের ভালোবাসা – অফিসের বসের সাথে প্রেম পর্ব ৪: বদমেজাজি মেয়েদের মন অনেক নরম হয়, একটুতেই এরা অভিমান করে, কাঁদে। ঠিক এমনটাই আমার ম্যাম মানে আমার মনের মানুষ। এক প্রকার হিটলার স্বভাবের এই মেয়েটির ভিতর একটি শিশুর বাস। আমি ক্রমে তার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ছি।
বসের অত্যাচারী ভালোবাসা
নিলা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
নিলাঃ গিফটটা কেমন লাগলো? আর একটা দিব নাকি!
আমি কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম।
অন্য দিকে নিলা আমার যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,
নিলাঃ ভালোতো আমাকে বাসতে হবেই। আমার ভালোবাসার সাথে তোমার রাগ অভিমান পেরে উঠবেনা।
এই বলে নিলাও আমার পিছন পিছন যেতে লাগলো।
আমি যেতে যেতে একলা একলা বলছি,
আমিঃ এই মেয়ের লজ্জা বলতে কিছুই নেই। ওর এরকম ভালোবাসায় আমার রাগ অভিমান পানি হয়ে যাচ্ছে। নাহ ওর কাছ থেকে দুরে দুরে থাকতে হবে। না হলে ওর ভালোবাসায় জড়িয়ে যাব।
নিলা পিছন থেকে বলল,
নিলাঃ কি বিড়বিড় করছো? গাড়িতে উঠো।
আমি গাড়িতে উঠলাম। নিলা আমার পাশে বসলো। আমারর একটা হাত ওর হাতের ভিতর নিয়ে নিল। আমারো ভালো লাগছিল। তাই আর সরালাম না। কিছুক্ষণ পর আমার কাদে মাথা রেখে আমার দিকে তাকিয়ে রই…
এই মেয়েতো আমার মন রাজত্ব করেই ছাড়বে।
এরপর গাড়ি চলতে লাগলো নিলাদের বাসার উদ্দেশ্যে।
কিছুক্ষণ পর নিলাদের বাসার সামনে এসে উপস্থিত হলাম।
নাহ, পিছন থেকে বেশ জাকজমক করেই সাজিয়েছে বাড়িটা।
নিলাঃ কি হলো ভিতরে চলো?
আমিঃ ও হ্যা, চলো।
ও আমার হাত ধরে হাটা ধরলো। আমি হাত ছাড়িয়ে নিলাম।
এত লোকের মাঝে মালিক কর্মচারি হাত ধরে হাটবে কেমন দেখায়!
নিলা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
নিলাঃ হাত ছাড়ালে কেন?
আমিঃ দেখ, এখানে অনেক মানুষ। হাত ধরে হাটা সবাই ভালো চোখে দেখবে না।
নিলা আবার আমার হাত ধরে বললো,
নিলাঃ কারো দেখাতে আমার কিছু যায় আসে না।
আমিঃ পাগলামি করো না। পরেও হাত ধরে হাটতে পারবে।
নিলাকে কোনো রকম বুঝিয়ে আগে পাঠিয়ে দিলাম।
আমি পিছন পিছন ভিতরে গেলাম।
ভিতরে অনেক মানুষ দেখা যায়।
ভালবাসার জন্মদিন
নিলাদের বিজনেস পার্টনাররা সহ তাদের রিলেটিবরা এসেছে। আর অফিস স্টাফরাও এসেছে।
আমি গিয়ে নিলার বাবার সাথে কুশল বিনিময় করল…
লোকটা অনেক ভালো।
চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখছি অন্য দিকে নিলাকে তার কাজিনরা সহ তার বান্ধুবিরা আটকিয়ে রেখেছে।
নিলা বারবার আমাকে খোজ করছে।
একপাশে গিয়ে বসলাম, পাশে তাকাতেই দেখি ইরা আর ফয়সাল হাতে হাত ধরে বসে আছে।
আরে প্রেম রে!
আমি ওদের কাছে গিয়ে বললাম,
আমিঃ ইসকিউজমি?
আমাকে দেখে ওরা হাত ছেড়ে দিল।
ফয়সালঃ আরে জনি তুমি।
ইরাঃ ভাইয়া, কেমন আছেন?
আমিঃ এইতো ভালো তোমরা কেমন আছো?
ইরাঃ জি ভাইয়া, ভালো।
আমিঃ আচ্ছা, থাকো তোমরা। আমি চারপাশটা একটু ঘুরে দেখি।
তারপর আমি ওখান থেকে চলে আসলাম।
নিলাকে দেখার জন্য মনটা কেমন উসখুস করছে।
তাই চলে গেলাম ওকে দেখতে।
সবাই গোলবেধে নিলাকে আটকিয়ে রেখেছে। আর নিলা বারবার চারদিকে কাকে যেন খুজছে, হয়তো আমাকে।
নিলার এ অবস্থা দেখে খুব হাসি পাচ্ছে আমার।
কেননা, ও চাইলেও ওদের কাছ থেকে ছুটে আসতে পারছে না।
একটু পর নিলার জন্মদিনের কেক কাটা হবে। সবাই কেকের পাশে এসে দাড়ালো।
আর আমি আরালে লুকিয়ে গেলাম। তা না হলে দেখা যাবে আমাকে তার পাশে দাড় করিয়ে সবার আগে কেকটা আমাকে খাইয়ে দিত।
যথা সময় কেক কাটলো।
অপমানিত হৃদয়
কেক কাটার পরবো শেষ করতেই একজন সুদর্শন ছেলে এসে নিলার হাত ধরে হাতে একটা চুমু দিল। সাথে সাথে আমার হৃদয়টা কেপে উঠলো।
বুকে চিন চিন ব্যথা হতে লাগলো।
আমার এমন হচ্ছে কেন? আমি কি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি?
ভালো যদি নাই বাসি তা হলে আমার এমন হচ্ছে কেন? নাহ আর ভাবতে পারছি না।
ওই ছেলেটা দেখলাম, নিলাকে উপরের বারান্দার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আমিও পিছন পিছন গেলাম।
দেখলাম, ছেলেটা নিলার গায়ে হাত দিয়ে কথা বলছে।
নিলা এতে কোনো রিয়েক্ট করছে না।
মাথাটা গরম হতে লাগলো আমার।
একটু পর ছেলেটা নিলাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো দুই হাত দিয়ে। নিলার দু হাত ধরে ছেলেটা আস্তে আস্তে তার মুখ নিলার মুখের কাছে নিচ্ছে। এতে নিলা ছুটার জন্য চেষ্টা করছে। এটা দেখে আর ঠিক থাকতে পারলাম না।
যখনই কিস দিতে যাবে ঠিক তখনই দৌড়ে গিয়ে ছেলেটাকে একটা লাথি দিলাম। যার ফলে ছেলেটা দু’হাত দূরে গিয়ে পরলো।
জানি না, তখন আমার কি হয়েছিল?
ছেলেটাকে একবারে পুরো দস্তুর মারতে লাগলাম।
হঠাৎ কে যেন আমার কলার ধরে দাড় করিয়ে ঠাস ঠাস করে দু গালে দুটো থাপ্পর দিলো।
আমি ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম, সে আর কেউ না। স্বয়ং নিলা।
আমি নিলার দিকে বিস্মিতভাবে তাকিয়ে রইলাম।
তারপর নিলা যা বললো তা শুনে আমার চোখ দিয়ে দু’ফোটা পানি পরে গেল।
নিলাঃ লুচ্চা লাফাঙ্গা কোথাকার? তোকে এ জন্য এনেছি আমি। গুন্ডামি করার জন্য। ছোটলোক তো ছোট লোকই থাকে। বাজে ছেলে কোথাকার?
ওর বান্ধুবিরাঃ এই ছোট লোকটাকে এখানে ঢুকতে দিছে কে? গুন্ডামি করার আর যায়গা পায় না।
আরেক বান্ধুবিঃ আরো দুটো থাপ্পর দে। তা হলে উচিৎ শিক্ষা হবে।
তারপর নিলা ছেলেটাকে ধরে ভিতর নিয়ে গেল।
আমি চোখের পানিটুকু মুছে ওদের বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাটছি আর ভাবছি হায়রে ভালোবাসা। অভিনয়ের সেরা ট্রপি দেওয়া উচিৎ নিলাকে।
এত কষ্টের মাঝেও এই ভেবে হাসি পেল যে ছেলেটার নাক থেকে তো রক্ত বের করেছি। কতবড় সাহস আমার জিনিসের দিকে নজর দেয়।
কি বললাম আমি? আমার জিনিস হাহাহা!
নিজের কথায় নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছি।
বড় লোকদের সবই অভিনয়। যার জন্য করলাম চুরি সেই বলে চোর। আমাকেই লুচ্ছা বলছে আবারো চোখ দুটো ভিজে যাচ্ছে।
এ ঘটনা অফিসের কেউ দেখেনি। দেখলে হয়তো মুখ দেখানো যেতো না।
যাওয়ার সময় এক পাতা ঘুমের ঔষধদ নিয়ে গেলাম বাসায়। রাতে ঘুম আমার চোখে ধরা দিবে না। তাই এই পদ্ধতি।
রাতে আর খেতে ইচ্ছে করলো না। তাই বাসায় এসেই ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমের দেশে পারি জমালাম।
মনের ব্যথা
অন্যদিকে….
নিলা রাতে শাড়ি পাল্টাতে গিয়ে শিড়ির দিকে চোখ গেল। আর তখন মনে পরে গেল আমার কথা।
নিলা মনে মনে ভাবছে, এ আমি কি করলাম! জনিতো ঠিকই করছে রাফিই (নিলার সাথের ছেলেটা) তো আমার সাথে অসভ্যতামি করেছে।
আর আমি কি না, উফ রাগ উঠলে কিযে করিনা আমি। এখন নিজের চুল নিজে উঠাতে ইচ্ছে করে। ছেলেটা না খেয়ে চলে গেল।
নাহ একবার কল দেই। নিলা কল দিল কিন্তু কল কেউ ধরে না। তাই আবার দিতে থাকে। এভাবে একাধারে কল দিতেই থাকে। কিন্তু কেউই কল ধরে না।
অন্যদিকে আমি তো ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়েছি। কোনো হুস নেই আমার।
আমার ফোন বাজছে তো বাজছেই। কিন্তু আমার কান পর্যন্ত শব্দ পৌছায়নি।
ওই দিকে নিলাও রাতে খাবার না খেয়ে ঘুমিয়ে আছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম। দাড়াতেই ঘুরে পরে গেলাম।
আসলে গতকাল দুপুর থেকে না খেয়ে আছিতো তাই শরীর পুরো দূর্বল হয়ে গেছে।
কোনোরকম রান্না ঘরে গেলাম। যা রান্না করা ছিল সব পচে গেছে।
বুয়া আসতে অনেক দেরি আছে।
সেল্প খুজে এক বাটি মুড়ি পেলাম।
এত বেশি খিদা ছিল যে সব শেষ হয়ে গেল।
তারপরও খিদা কমেনি। আবার সেল্প হাতিয়ে এক প্যাকেট বিস্কিট পেলাম।
আসলে এগুলা কবে এনে রেখেছি নিজেও জানি না।
বিস্কিটগুলো কিছুটা ড্যাম। খিদার কাছে এগুলা কিছুই না। এগুলা খেয়ে পানি খেলাম। এবার খিদা কিছুটা কমেছে।
মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি নিলা বেশ কয়টা কল দিয়েছে।
কিছুক্ষণ পর আবার কল দিল নিলা। মোবাইলটা সাইল্যান্ড করে পাশে রেখে দিলাম।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ পর বুয়া আসলো রান্না করে দিয়ে চলে গেল।
আমি খেয়ে আবার ঘুম দিলাম।
মন ভাঙ্গার বেদনা
রাত পেরিয়ে সকাল হলো।
যথাসময় আমি অফিসে চলে গেলাম।
আমি আমার ডেক্সে বসে বসে ভাবছি ম্যামের সামনে কিভাবে মুখ দেখাব?
তখন ফয়সাল পাশের থেকে বলল,
ফয়সালঃ কি জনি সাহেব, কাল কেক কাটার পর আর আপনাকে দেখলাম না যে।
আমিঃ আসলে আমি খেয়ে আগে চলে এসেছি।
ফয়সালঃ ও।
আমি বসে বসে ফাইল দেখছি। তখন ম্যাম আসলো। আমরা সবাই দাড়িয়ে গেলাম।
আমি মাথা নিচু করে দাড়ালাম।
কিছুক্ষণ পর ম্যামের কেবিনে ডাক পরলো।
আমিঃ আসবো, ম্যাম।
ম্যামঃ হ্যা, আসো। চেয়ারে বস।
আমি গিয়ে বসলাম মাথা নিচু করে।
ম্যামঃ আসলে জনি আমি সত্যি সরি কালকের জন্য। তুমিতো জানই রাগ উঠলে আমার মাথা ঠিক থাকে না। আসলে রাফি হলো আমাদের বিজনেস পার্টনার। ওদের সাথে চার কোটি টাকার বিজনেস ডিল হয়েছিল। ও যদি ডিলটা ক্যানসেল করে দেয়। তা হলে আমাদের অনেক লস হয়ে যাবে। আর আমি যখন ওকে থাপ্পর দিতাম তখন তুমি এসে মাইর দিলে। আসলে আমি সরি। তোমাকে থাপ্পর দিয়ে আমি নিজেও অনেক কষ্ট পেয়েছি। আমাকে মাপ করে দেও। (নিলা আমার হাত ধরে বলল)
আমি হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম,
আমিঃ না ম্যাম, ঠিক আছে। আমার মতো সামান্য একজন কর্মচারির জন্য আপনাদের এত বড় ক্ষতি হতে যাচ্ছিল।
ম্যাম আহত কন্ঠে বললো, জনিইই প্লিজ। মাপ করে দেও। সরি তো।
আমিঃ আচ্ছা, ঠিক আছে। মাপ করে দিলাম।
ম্যামঃ তাহলে আপনি আপনি করে কেন বলছো?
আমিঃ হাহাহা হাসালেন ম্যাম। সামান্য একজন কর্মচারি হয়ে মালিককে তুমি তুমি করে বলবো, হাসালেন ম্যাম।
ম্যামঃ জনিই সরি তো।
দেখলাম ম্যামের চোখ জোড়া ভিজে আসছে।
আমিঃ ম্যাম কোনো কাজ থাকলে বলেন অযথা বসিয়ে রাখবেন না। টেবিলে অনেকগুলো ফাইল জমা হয়ে আছে।
ম্যাম আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।
ম্যাম মাথা নিচে দিয়ে বসে আছে।
বসের কষ্টভরা মন
ডেক্সে বসে কাজ করছি। তখন দেখলাম রাফি নামের সেই ছেলেটি ম্যামের কেবিনে যাচ্ছে।
মনে হয়, ডিলটা ফাইনাল করতে যাচ্ছে।
ওকে দেখে হাসি পেল মুখটা এখনো দাগ হয়ে আছে।
কিছুক্ষণ পর ম্যামের কেবিন থেকে চিৎকারের আওয়াজ আসছে।
আমি কাজে মন দিলাম।
এবার শব্দটা জোরে কানে এলো। তাকিয়ে দেখি রাফি ম্যামের কেবিনেরর সামনে পরে আছে। আর ম্যাম গেট আউট বলে ডিলের কাগজ পত্রগুলো ওর মুখের উপর ছুড়ে মারলো।
রাফিঃ তোমাকে দেখে নেব।
এই বলে রাফি চলে গেল।
আমি একটু হাসলাম- হায়রে অভিনয়।
দুপুরের সময় ম্যামের কেবিনে আবার ডাক পরলো।
আমিঃ আসবো, ম্যাম।
ম্যামঃ আসো। (একটু গম্ভীরভাবে বললো)
ম্যামঃ বসো।
আমি বসলাম।
আমিঃ ম্যাম, রাফির সাথে ডিল ক্যানসেল করে দিয়েছেন কেন?
ম্যামঃ ওর জন্য তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি, তাই।
আমিঃ আমার মতো সামান্য একটা কর্মচারির জন্য এত বড় ডিলটা ক্যান্সেল করে দিলেন। এতে আপনাদের অনেক লস হবে।
ম্যামঃ বারবার কর্মচারি বলবে না। আর তোমার চাইতে ডিলটা বেশি বড় না।
আমিঃ হাহাহা ম্যাম হাসালেন। যাক, আমার জন্য যেহেতু আপনার এত বড় লস হয়েছে তাই আমি সামান্য হলেও এর জন্য ক্ষতি পূরণ দিব। তা তিন মাস পর পেয়ে যাবেন। আচ্ছা, আমি আসি। দাঁড়াও, এখানে বসো।
অভিমানী ভালোবাসার কথা
দেখলাম ম্যাম খাবার বারতে লাগলো।
ম্যামঃ নাও হাত ধোও।
আমি হাসলাম। দেখি, ম্যাম আগের মতো শুরু করে দিয়েছে।
ম্যামঃ হাসো কেন?
আমিঃ সরি, আমি আপনার সাথে খেতে পারবো না।
ম্যামঃ আমার রাগ বারিও না। এখানে চুপচাপ বসে পর। তোমার সাথে খাব বলে এখনো খাইনি।
এবার ম্যামের চোখে স্পস্ট পানি দেখতে পেলাম।
আমিঃ দুঃখিত, ম্যাম। আমি খেতে পারবো না। মাফ করবেন। বেরিয়ে আসতে যাব তখন ম্যাম আমার হাত ধরে ওনার কাছে নিয়ে আসলেন।
কিছুটা রেগে বলল,
ম্যামঃ জনিই।
আমি হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম,
আমিঃ ইচ্ছা হলে আমাকে চাকরি থেকে বের করে দিতে পারেন।
মহুর্তের মধ্যেই ম্যামের রাগটা বেদনায় পরিণত হতে লাগলো। আমি রুম থেকে বের হয়ে কিছুদুর যেতেই ম্যামের কেবিনে ভাঙ্গা চুরার আওয়াজ পেলাম।
পরে পিওনের কাছ থেকে জানতে পারলাম খাবারের সবগুলা পেয়ালা ধরে ধরে আছার মেরে ভেঙ্গেছে।
মাঝে শুধু কষ্ট বাড়লো পিওনের, খাবার পরিস্কার করতে করতে। এরই মধ্যে আমি বাহিরে গিয়ে খেয়ে এসেছি।
বিকালে ডেক্সে বসে আছি তখন…চলবে….
পরের পর্ব- অফিসের বসের সাথে প্রেম পর্ব ৫
nice this story