মিষ্টি প্রেমের গল্প ২০

মিষ্টি প্রেমের গল্প – শেষ পর্ব | স্যারের সাথে প্রেম | Love Story Bangla

মিষ্টি প্রেমের গল্প – শেষ পর্ব (২০) | স্যারের সাথে প্রেম: দেখতে দেখতে আমরা গল্পের শেষে চলে এসেছি। স্যারকে সহ্য করতে না পারা মিষ্টি কেমন করে স্যারকে বিরক্ত করতে গিয়ে ভালবেসে ফেলে। আবার ছাত্রীর কাজে বিরক্ত স্যার কিভাবে গল্পের ছলে ভালবেসে ফেলে তা আমরা প্রতিটি পর্বে একটু একটু করে দেখেছি। ফাইনালি নাটকীয় বিয়ে আর বাসর রাত নিয়ে বেশ ভালই কেটেছে আপনাদের আশা করি। তো আজ দেখি তাদের সংসার জীবনের শুরুটা কেমন হয়?

শশুড় বাড়িতে মিষ্টির প্রথম দিন

নিচে গিয়ে দেখি রোদ, ওর বাবা-মা, রিফাত ও রোদের কিছু আত্মীয় সবাই খেতে বসেছে। আমি সবাইকে সালাম দিয়ে যেই রোদের পাশে বসতে যাবো তখনি কোথা থেকে যেনো সিমা নাকবুচিটা এসে আবারো রোদের পাশে ধপ করে বসে পড়লো। আর আমি রাগে মরে যাচ্ছি। আমার ইচ্ছা হচ্ছে সিমাকে মাথার উপরে তুলে এক আছাড় দেই।

কিন্তু সবাই এখানে তাই আমি কিছু করতে ও পারছি না। আর না পারছি কিছু বলতে। কিছু বললে আবার বলবে নতুন বউ ঝগড়ুটে। তা না হলে আজকে সিমাকে কেউ বাঁচাতে পারতো না আমার হাত থেকে।

খাম্বাটায় আমার দিকে তাকাচ্ছেই না। নিচের দিকে তাকিয়ে খাচ্ছে। বলি, জীবনে কি খাস নাই। এদিকে তোর বউ এর জায়গায় অন্য কেউ আর তুই কিছুই বলছিস না।

সবাই সিমার এই কাজে কিছুটা রেগে যায়। তাই আমি আর বিষয়টা না বাড়িয়ে রোদেলার পাশে বসে পড়ি।

রোদের বাবাঃ মিষ্টি মা, তোমার কোন অসুবিধা হচ্ছে নাতো।

মিষ্টিঃ না আংকেল, আমার কোন অসুবিধা হচ্ছে না।

রোদের বাবাঃ আংকেল কি, হ্যা? আংকেল কি? বাবা বলবা আমাকে।

মিষ্টিঃ জ্বী, বাবা।

রোদের বাবাঃ আমার ছেলের পচ্ছন্দ আছে বলতে হবে। আমার জন্য একটা মিষ্টি মা নিয়ে আসছে।

মিষ্টিঃ এবার মিষ্টি একটু লজ্জা পায়।

রোদের মাঃ তোমার ছেলে মানে ও কিন্তু আমারো ও ছেলে। হুম।

সিমাঃ বড় বাবা, আমিও কিন্তু সুন্দর।

রোদেলাঃ সিমা আপু, তুমিও সুন্দর কিন্তু তোমার থেকে মিষ্টি ভাবী আরো অনেক বেশি সুন্দর।

এবার মিষ্টি আরো একটু বেশি লজ্জা পায়। মিষ্টির প্রশংসা শুনে সিমার একটু গা জ্বলে উঠে।

বউয়ের সাথে প্রথম ঝগড়া

তারপর সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমাকে রোদেলা উপরে নিয়ে চলে যায়।

মিষ্টিঃ রোদেলা, নিচেতো কাউকে দেখলাম না। শিমু ওরা কই?

রোদেলাঃ আসলে ভাবি, শিমু আপু ভাইয়াকে নিয়ে একটু বাইরে গেছে। কিছুক্ষণ পরই চলে আসবে।

মিষ্টিঃ ওহ!

রোদেলাঃ হুম।

কিছুক্ষণ পর রোদ আসে।

রোদঃ মিষ্টি।

মিষ্টি একটু অন্যমনস্ক হয়ে আছে।

রোদঃ কথা বলছো না কেনো?

মিষ্টিঃ এমনি।

রোদঃ এমনি মানে?

মিষ্টিঃ এমনি মানে এমনি।

রোদঃ এমনি হলে কথা বলো।

মিষ্টিঃ আমি কথা বললেই কি আর না বললেই কি! তাতে আপনার কি যায় আসে। আপনি যান আপনার ওই নাকবুচি সিমার সাথে গিয়ে কথা বলেন যান।

রোদঃ মানেহ। ও আচ্ছা বুঝেছি, তুমি সকালের ব্যাপারটা নিয়ে জ্বলে যাচ্ছো তাই না। এই জন্যই আমি এতক্ষণ পুড়া পুড়া গন্ধ পাচ্ছিলাম, হুম।

এবার মিষ্টি একটু রেগে গেল।

রোদঃ দেখো তুমি রাগ করছো কেনো বলোতো। ওখানে তো কিছুই হলো না।

মিষ্টিঃ আপনার পাশে ও বসলো কেন? আর আপনি ওকে কিছু বললেন ও না।

রোদঃ ও কেনো বসলো সেটা তো আমি জানি না। তবে আমি কিছু বলিনি। কারণ ওখানে আমি কি বলতাম তুমিই বলো। কিছু বললে সকলে কি ভাবতো, হুম? আর সিমা জাস্ট আমার কাজিন আর কিছু না। আর ও আমার পাশে বসছেতো কি হইছে আমার বউতো তুমিই আছো আর থাকবে। তাই না!

মিষ্টিঃ হুম।

মিষ্টি প্রেমের গল্প বলি

বিকালে শিমু আর রোদেলা মিলে আমাকে সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়ে ওরা সাজতে চলে যায়। তখন খাম্বাটা এসে আমাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বলে-

রোদঃ আমার বউটাকে আজকে অনেক কিউট লাগছে।

মিষ্টিঃ ও তাই নাকি! আজকে কিউট লাগছে আর অন্যসময় লাগে না, তাই নাহ!

রোদঃ নাহ্, লাগে। হুম, লাগতো তো। ওইযে পেত্নীর মতো সুন্দর।

মিষ্টিঃ (কনুই দিয়ে রোদের পেটে জোরে গুতা দেয়)

রোদঃ আউউউউচচ, কি করলেটা কি তুমি এটা? এভাবে কেউ গুতা দেয়।

মিষ্টিঃ অন্য কেউ না দিলেও মিষ্টি দেয়।

রোদঃ হ্যা, তুমি তো দিবাই। পেত্নীরা তো আরো কতো কি করে।

মিষ্টিঃ আপনি এখানে কি করছেন? হুম। (কোমরে হাত দিয়ে)

রোদঃ দেখতে আসছিলাম আমার বউকে। (আস্তে করে)

মিষ্টিঃ কিহ!

রোদঃ আসলে আমি রেডি হতে আসছিলাম।

মিষ্টিঃ তো রেডি হোন, কে না করছে?

রোদঃ এতক্ষণ তো তোমরা পুরা রুমটা দখল করে ছিলা তো রেডি হতাম কিভাবে আমি।

মিষ্টিঃ ওকে, এখন রেডি হয়ে নিন, আমি যাচ্ছি।

রোদঃ তুমি কোথায় যাচ্ছো?

মিষ্টিঃ রোদেলার রুমে।

রোদঃ ওখানে কেনো?

মিষ্টিঃ কেনো আবার, আপনি চেঞ্জ করবেন, তাই।

রোদঃ তোমার যেতে হবে না। এখানেই থাকো তুমি।

মিষ্টিঃ না, আমার লজ্জা করছে।

রোদঃ তাই নাকি!

মিষ্টিঃ হুম।

রোদঃ কালকে লজ্জা ভাঙেনি।

মিষ্টিঃ নাহহহহ!

রোদঃ কি হলো, হুম।

মিষ্টিঃ আপনি একটা অসভ্য লুচু।

রোদঃ তাই!

মিষ্টিঃ হুম।

রোদঃ তাহলে কিছু লুচুগিরি করি। কি বলো তুমি?

মিষ্টিঃ একদম না। প্লিজ, না।

বান্ধবীর বাঁদরামি

এরপর রোদ আমাকে একটু একটু করে আমার কাছে আসতে থাকে।

মিষ্টিঃ স্যার প্লিজ না, আর কাছে আসবেন না। প্লিজ।

বলতে বলতে একদম আমার কাছে চলে আসে। আর আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি। তারপর রোদ আমার কপালে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে রেডি হয়ে নেয়। আর আমি তো লজ্জায় লাল হয়ে দাঁড়িয়েই আছি।

তারপর রোদ নিচে চলে যায়। আর আমাকে রোদেলা, শিমু এসে নিয়ে যায়। নিচে গিয়ে দেখি আমার পরিবারের সবাই চলে আসছে। এরপর সবার সাথে কথা বলে নেই।

মুনঃ বান্ধুপ্পি, কি গো কেমন কাটছে স্যার কে নিয়ে? আমি কবে ছোট আম্মু হতে পারবো বলো।

মিষ্টিঃ মুনয়ায়ায়ায়া, বান্দরনি, চুপ কর।

মুনঃ দেখ, ভালো কথা জিগাই আর আমারে ধমক দেয়।

মিষ্টিঃ এগুলা তোর ভালো কথা।

মুনঃ এইগুলাই তো ভালো কথা।

মিষ্টিঃ বান্দরনি তুই আমারে এতোদিন রোদের সাথে আমার বিয়ের কথা কিছু বলিস নাই কেন?

মুনঃ বললে তোরে সারপ্রাইজ দিতে পারতাম বল।

মিষ্টিঃ তোর সারপ্রাইজ এর জন্য যে আমি কতো কষ্ট পাইলাম। তার বেলায়…

মুনঃ দেখ, তুই একটু কষ্ট পাইছিস। কিন্তু এখন কতোটা হ্যাপি, আমি প্রথমে তোকে বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু রোদ স্যার না করছিলো তাই আর বলিনি।

মিষ্টিঃ তোরা সবগুলা শয়তান। এক একটা বদের হাড্ডি।

মুনঃ তুইও আছিস। তুই তো আমাদের থেকেও বেশি ছিলিস।

মিষ্টিঃ ওম্মম।

এক বছর পর সংসার

এক বছর পর,

এই এক বছরে রিফাত আর মুনর বিয়েটা রোদ আর মিষ্টি দিয়ে দেয়। আজকে রোদ মিষ্টির Marriage anniversary. মিষ্টি অপেক্ষা করছে কিছুর জন্য। তার মনে প্রচুর ভয় কাজ করছে। আবার একটু ভালো লাগাও। মিষ্টির অপেক্ষা যেন শেষই হচ্ছে না। অবশেষে কলিং বেলের আওয়াজে দৌড়ে দরজা খুলে দিয়ে কিছু একটা নিলো।

তারপর সেটা খুলে মিষ্টি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। সে মনে মনে যা ভেবেছিলো ঠিক তাই হয়েছে। অজান্তেই মিষ্টি চোখে পানি চলে এলো। মিষ্টি এখন রোদের অপেক্ষায় আছে। কখন রোদ আসবে তা ভেবে।

সন্ধ্যায় রোদ বাড়ি ফিরে। মিষ্টি দৌড়ে সামনে এসে দারায়। তারপর

রোদঃ মিষ্টি তুমি।

মিষ্টি রোদের ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে রোদের হাতে কিছু একটা কাগজ দেয়। রোদ মিষ্টিকে ইশারা করে বলে কি এটা, মিষ্টি ও ইশারা করে পড়তে বলে, রোদ কাগজটা খুলে পড়ে মিষ্টির দিকে তাকিয়ে ওকে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরে। রোদের চোখে পানি, মুখে কিছুই বলতে পারছে না। রোদের এক অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে। এ ফিলিংসটা প্রতিটি বাবাই পেয়ে থাকে তার প্রথম সন্তানের আগমনের খবর শুনে।

সেই কাগজটা প্রেগন্যান্সি টেস্ট রিপোর্ট ছিলো। মিষ্টি আগেই বুঝতে পেরেছিলো ওর মধ্যে আরো একটা অস্তিত্ব বেড়ে উঠছে। তবুও শিওর হওয়ার জন্য টেস্ট করে রিপোর্ট পজিটিভ দেখে মিষ্টির ও খুশি যেনো দ্বিগুণ হয়ে গেলো।

রোদঃ মিষ্টি, মিষ্টি, মিষ্টি (কোলে তুলে নিয়ে) তুমি আমায় সেরা গিফটটা আজকে দিলে। আমার লাইফের সবচেয়ে সেরা গিফট, আমি বাবা হতে চলেছি মিষ্টি, আমি বাবা হতে যাচ্ছি, থ্যাংক ইউ সো মাচ মিষ্টি আই লাভ ইউ, আই লাভ ইউ, আই লাভ ইউ। আজকে আমার থেকে বেশি খুশি আর কেউ নেই, কেউ না।

মিষ্টিঃ এবার আমাকে নামান প্লিজ, আমি পড়ে যাবোতো।

রোদঃ তোমাকে আমি পড়তে দিলেতো।

মিষ্টি যখন মা

তারপর কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে মিষ্টিকে রোদের আনা গিফট শাড়ি আর কিছু গহনা রোদ নিজের হাতে মিষ্টিকে পড়িয়ে সাজিয়ে দেয়।

এরপর মিষ্টির চোখ কাপর দিয়ে বেধে ওকে কোলে নিয়ে ছাদে চলে যায়। ছাদে গিয়ে মিষ্টির চোখ খুলে দেয় আর দেখে ওখানে সবাই ওদের জন্য অপেক্ষা করছে। তারপর সকলে ওদের উইশ করছে। মিষ্টি শুধু অবাক হয়ে সবটা দেখছে। রোদ আর মিষ্টি সবাইকে সুখবরটা দেওয়ার পর ওরা সবাই ও অনেক খুশি হয়ে যায়।

মুনঃ ওই বান্ধরনি আমারে আগে বলিসনি কেন? আমি ছোট আম্মু হইয়া যাইতাছি।

মিষ্টিঃ এখনতো বললাম, এখন শোন।

মুনঃ শোন, তোর বাবুটারে কিন্তু আমিই বড় করমু, তোরে কিন্তু দিমুনা।

মিষ্টিঃ দিস না, তুই নিয়া যাস, যা।

মুনঃ থ্যাংকু বান্ধুপি।

মিষ্টিঃ ওয়েলকাম।

সাতমাস পর,

এখন মিষ্টির পেট অনেকটা বেড়েছে। রোদ মিষ্টির পেটে মাথা রেখে বাবুর নড়াচড়া বুঝতে চায়। বাবুর সাথে কথাও বলে। আর যখন বাবু নড়ে রোদেরও যেন খুশি আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়।

দুই বছর পরের প্রেম

মিষ্টি আর রোদের একমাত্র ছেলে রোদ্র। রোদের নামের সাথে মিলিয়ে রোদ্র রাখা হয়েছে। রোদ্র যেনো রোদেরই কাবর্ন কপি। আর দুষ্টুমিতে একদম মিষ্টির মতো হয়েছে। রোদ্র কিউটের ডিব্বা, গুলুমুলু, পাকাপাকা মিষ্টি মিষ্টি করে কথা বলে তাই ছোট থেকে সকলেরই আদরের। সকলের চোখের মণি রোদ্র। রোদ্র সারাবাড়ি ছুটাছুটি করে এটা ওটা ভাঙে আর মিষ্টি রেগে রোদ্রকে মারতে গেলে রোদ্র দৌড়ে দাদাভাই বা দাদির পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে উকি দিয়ে থাকবে। আর রোদ্রকে বাচাতেঁ তারা দুইজন মিষ্টিকে বুঝাতে বুঝাতে গলা শুকিয়ে ফেলে। তবুও মিষ্টিকে বুঝাতেই থাকে।

কলিং বেলের আওয়াজে মিষ্টি দরজা খুলে দিলে রোদ্র দৌড়িয়ে নিচে গিয়ে রোদের কোলে উঠে চুমু আর তার জন্য চকোলেট আনা যেনো রোদ্র রোদের জন্য রুটিন করে দিয়েছে। আর রাতে রোদ বাসায় ফিরলে রোদ্রের সকল বায়না, অভিযোগ, বিচার সব রোদকেই শুনতে হবে। আর রোদ মিষ্টির সাথে দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া করলে রোদ্র খিলখিলিয়ে হাসে। আর তা দেখে রোদ আর মিষ্টি ও হেসে দেয়। রোদের সাথে এক সাথে বসে রোদের হাতেই রোদ্র খাবে আর রোদের কাছেই রোদ্র ঘুমাবে। রোদ্রর কাছে রোদই সব। রোদ্র মাম্মামের থেকে তার পাপ্পাকেই যেন বেশি ভালোবাসে। আর রোদ ও রোদ্রকে ছাড়া থাকতে পারে না। মিষ্টি শুধু বাবা ছেলের খুনশুটি গুলো দেখে আর হাসে। এভাবেই কেটে যায় মিষ্টি রোদের

এরইমাঝে রোদেলার বিয়ে হয়ে যায়। মুন আর শিমুর দুজনেরই মিষ্টি মেয়ে হয়। মুনর মেয়ের নাম তিন্নি আর শিমুর মেয়ের নাম তিশি রাখা হয়। রোদ্র, তিন্নি আর তিশির একসাথে হলে ওদের হৈ-হূল্লোড় আর চিক্কুর পাক্কুরে সবাই পাগল হয়ে যায়।

হাসি কান্না, আনন্দ, বেদনা সবকিছু নিয়ে চলে সংসার জীবন। তারপর একসময় বুড়োবুড়ি হয়ে যাওয়া, অতপর সুন্দর মিষ্টি প্রেমের গল্পটাই হয় তখন নিত্যদিনের বেঁচে থাকার সঙ্গী।

লেখিকা- মিষ্টি মেয়ে মরিয়ম

ধন্যবাদ ২০ পর্বের এই গল্পটি পড়ার জন্য। আমাদের আরো কিছু পর্বের গল্প আছে যেগুলো আপনার অনেক বেশি ভাল লাগবে আশা করি। আমাদের সাথেই থাকুন।

আরো পড়ুন- রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প – ভাইয়ের বন্ধু বর পর্ব ১

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *