রোমান্টিক লাভ স্টোরি – সিনিয়র আপু যখন বউ – শেষ পর্ব: রিমঝিম আপুর কাণ্ড দেখে আমি রীতিমত অবাক, তার বাবা আমার কাছে হাত পাতছে মেয়ের সুখের জন্য। আমিও এদিনটির জন্য অপেক্ষার করছিলাম, তাই হটাৎ তার রুমে ঢুকে গিয়ে একটা চুমু দিলাম, যেটা নিয়ে একটা মজার লঙ্কা কাণ্ড ঘটে গেল। চলুন দেখি আজ শেষ পর্বে কি হয়?
ভালবাসি অনেক বেশি
আমিঃ আমি তো ভাবছিলাম, তুমি আমাকে ভালোবাস। কিন্তু তুমি যখন আমাকে ভালোবাস না তাহলে কি আর করার। আমি দিশার কাছে যাই। মেয়েটা কি ভালো, রাগ করে না। প্রতিদিন একটা করে কিস দেয়।
রিমঝিম আপুঃ কি বললি! দিশা তোকে কিস দেয় এত বড় সাহস ওর।
আমিঃ তুমি রাগ করছো কেনো? তুমি তো আমাকে ভালোবাস না।
রিমঝিম আপু আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে কিছু বলছে না। তারপর উল্টো দিক হয়ে শুয়ে পড়লো।
আমি পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরলাম। এতে রিমঝিম আপু নিজেকে ছাড়াবার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।
আমিঃ এত রাগ কোথা থেকে আসে তোমার? আমি জানি, তুমিও আমাকে ভালোবাসো। তোমার আব্বু আর ভাইয়া আমাকে সব বলেছে, বুঝলা। ঢং করে আর লাভ নাই।
এরপর আমি রিমঝিম আপুকে ছেড়ে দিলাম।
আমিঃ কি হলো কথা বলবা না। ঠিক আছে, আমি চলে যাচ্ছি।
রিমঝিম আপু আমার দিকে ঘুরে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
রিমঝিম আপুঃ খুব ভালোবাসি তোকে। নিজের থেকেও বেশি, কেন বুঝিস না তুই? (কান্না করতে করতে)
আমিঃ তুমি তো আমাকে বলছিলা, তোমার আর রনির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
রিমঝিম আপুঃ সেটা তো তোর মুখ থেকে শুনার জন্য যে তুই আমাকে ভালোবাসিস। ওটা শুধু একটা নাটক ছিলো।
আমিঃ জানো, যেদিন রনি আমাকে বললো যে তোমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে সেদিন মনে হচ্ছিল সারাজীবনের জন্য কিছু একটা হারিয়ে যাচ্ছে। খুব কষ্ট হয়েছিলো সেদিন।
রিমঝিম আপুঃ তাহলে বললি না কেনো?
আমিঃ যদি তুমি ছেড়ে চলে যেতে।
শক্ত করে জড়িয়ে ধরা
রিমঝিম আপু আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
রিমঝিম আপুঃ কোনোদিন তোকে যেতে দেবো না। তুই চাইলেও না।
আমিঃ ওহ, তাই বুঝি!
রিমঝিম আপুঃ হুম তাই। আব্বু কি বললো?
আমিঃ তোমার আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে।
রিমঝিম আপুঃ সত্যি।
আমিঃ হুম, এখন একটা কিস দেও।
রিমঝিম আপুঃ না, বিয়ের পর দিবো।
আমিঃ ঠিক আছে, আমি দিশার কাছে যাই। ওর ঠোঁট দুটো কি মিষ্টি!
রিমঝিম আপুঃ কি বললি, দিশা তোকে কিস করছে! কই কিস করছে বল।
আমিঃ আমার ঠোঁটে।
রিমঝিম আপু তার ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট এক করে দিলো। অনেকক্ষণ পর ছেড়ে দিলো।
রিমঝিম আপুঃ তোর ঠোঁটে শুধু আমার ছোয়া থাকবে আর কারো না। আর ওই মেয়েকে আজ আমি জেলে দিবো।
আমিঃ আরে আরে আমি তো মিথ্যা বলছি। দিশার সাথে আমার কিছুই হয় নি।
রিমঝিম আপুঃ কুত্তা, বাদর আমাকে কষ্ট দিয়ে ভালো লাগে তোর, তাই না!
আমিঃ আরে আপু আমি আবার কি করলাম?
রিমঝিম আপুঃ ঠাসসস, আপু কাকে বললি?
আমিঃ সরি সরি সরি আর বলবো না।
রিমঝিমঃ হুম মনে থাকে জেনো।
আমিঃ এখন উঠো। খাওয়া দাওয়া তো মনে হয় করো না। শরীরের কি অবস্থা করেছো?
রিমঝিমঃ না, উঠবো না এভাবেই শুয়ে থাকবো।
আমিঃ আচ্ছা, তুমি শুয়ে থাকো। আমি নিচ থেকে খাবার নিয়ে আসছি।
রিমঝিমঃ লাগবে না। চুপচাপ শুয়ে থাক। (আমাকে জড়িয়ে ধরে)
হবু বউকে কোলে নেয়া
রিমঝিম আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।
আর আমি পুরোনো কথাগুলো মনে করে হাসতিছি। কি থেকে কি হয়ে গেলো!
সময় বড় অদ্ভুত কার কপালে কি লেখা আছে কেউ বলতে পারে না।
আমিঃ আর কতোক্ষণ শুয়ে থাকবা। এবার তো উঠো।
রিমঝিমঃ বললাম তো উঠবো না।
আমি রিমঝিম আপুকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিলাম। তারপর রিমঝিম আপুকে কোলে তুলে নিয়ে নিচে নিয়ে আসলাম। কেউ দেখার আগে নামিয়ে দিলাম।
আমিঃ কিছু খেয়ে নেও।
রিমঝিমঃ পারব না খেতে, খাইয়ে দাও।
আমিঃ আচ্ছা দাঁড়াও।
আমি রিমঝিম আপুর আম্মুকে ডাক দিলাম। একটু পর তিনি আসলেন।
তারপর খাবার বেরে দিলেন।
বিয়ের প্রস্তাব
রিমঝিম আপু রুমে চলে গেছে। আমি খাবার নিয়ে রুমে আসলাম। রিমঝিম বসে আছে।
আমিঃ কি হলোম, চলে আসলা যে?
রিমঝিমঃ এমনি খাইয়ে দেও।
আমি রিমঝিম আপুকে খাইয়ে দিলাম।
খাওয়া শেষ করে রিমঝিম আপুকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হলাম। আজ আমি খুব খুশি।
কিন্তু আব্বু আম্মু থাকলে আরো ভালো হতো।
সন্ধ্যায় রিমঝিম আপুকে বাসায় রেখে চলে আসলাম। পরেরদিন সকালে রিমঝিম আপু ফোন দিয়ে তাদের বাসায় ডাকলো।
যাওয়ার পর দেখি সবাই বসে আছে।
রিমঝিমের আব্বুঃ রিয়াদ রিমঝিম চাইছে তোমাদের বিয়েটা কালকেই হোক।
আমিঃ কিন্তু আংকেল এত তাড়াতাড়ি। আর আমি তো এখনো পড়ালেখা করি।
রিমঝিমের আব্বুঃ সেটা আমিও ওকে বললাম আগে তুমি পাশ করো একটা চাকরি করো। কিন্তু ও কিছুতেই মানতে চাচ্ছে না।
আমিঃ আংকেল এটা নয় যে রিমঝিম আপুকে বিয়ে করার পর আমি তাকে ভালো ভাবে রাখতে পারবো না। আমার আব্বু আম্মু যা রেখে গেছে তাতে আমি সারাজীবন বসে খেলেও শেষ হবে না। কিন্তু আমি এখন বিয়ে করতে চাচ্ছি না।
তখন রিমঝিম আপু সাইডে রাখা ফুল দানিটা ছুরে মারলো দেওয়ালে। আমি যখন বলছি কাল বিয়ে হবে তার মানে কালকেই বিয়ে হবে। আর বিয়ে না হলে আমি কিছু একটা করে ফেলবো। আর তার দায় তোমরা হবে।
কথাটা বলেই রিমঝিম আপু উপরে চলে গেলো।
হবু বউয়ের রাগ ভাঙ্গানো
সবাই চুপচাপ হয়ে গেলো।
আমিঃ আচ্ছা আংকেল, আপনি বিয়ের ব্যবস্থা করুন
রিমঝিমের আব্বুঃ তুমি পারবে বাবা আমার পাগলি মেয়েটাকে দেখে রাখতে। তোমার কাছে আমরা সারাজীবন ঋনি হয়ে থাকবো।
আমি উপরে চলে আসলাম। রিমঝিম আপু বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি রিমঝিম আপুকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম। রিমঝিম আপু নিজেকে ছাড়ার চেষ্টা করতে থাকলো কিন্তু পারলো না।
আমি রিমঝিম আপুর কানে একটা আলতো করে কামড় দিলাম।
রিমঝিম আপু ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিলো।
আমি রিমঝিম আপুকে টান দিয়ে নিজের কাছে আনলাম।
আমিঃ এত রাগ কোথা থেকে আসে, শুনি?
রিমঝিমঃ কথা বলবি না, সরে যা।
আমিঃ কেনো, আবার কি করলাম?
রিমঝিমঃ তখন বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলিস না কেনো।
আমিঃ এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করে কি হবে?
রিমঝিমঃ লাগবে না তোকে, দূরে যা তুই।
আমিঃ পরে তো বললাম, বিয়ের আয়োজন করতে।
রিমঝিমঃ লাগবে না বিয়ে করতে, করবো না আমি বিয়ে।
আমিঃ আমি তো করবো। বিয়ে না করলে বউয়ের আদর পাবো কেমন করে?
রিমঝিমঃ হইছে আর ঢং দেখাবি না সব জানা আছে।
আমিঃ আমি ঢং করি আর নিজে যে কথায় কথায় রাগ করে তার বেলা কিছু না।
রিমঝিমঃ আমি রাগ করি।
আমিঃ তা নয়তো কি!
রিমঝিমঃ মেরে দাত ভেংগে দিবো।
আমিঃ আগে দোষটা করে নেই তারপর মাইর খাবো।
রিমঝিমঃ মানে?
আমিঃ দাঁড়াও বুঝায় দিচ্ছি।
সিনিয়র আপু যখন বউ
তারপর রিমঝিম আপুর ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট এক করে দিলাম। চার মিনিট পর ছেরে দিলাম।
আমিঃ দাত ব্রাশ করে না মুখে কি গন্ধ!
রিমঝিমঃ কী বললি দারা দেখাচ্ছি!
রিমঝিম আপু আমাকে মারতে আসলো। আমি রিমঝিম আপুকে মুটকি, বুড়ি, এসব বলে রাগাতে লাগলাম। আর রিমঝিম আপু আমাকে মারার জন্য পিছনে দৌড়াতে লাগলো।
পরের দিন আমাদের খুব ধুমধাম করে বিয়ে হলো।
এভাবে চলতে লাগলো আমাদের জীবন। রিমঝিম এখনও আমার উপর রাগ করে কিন্তু বেশি সময় রাগ করে থাকতে পারে না। রিমঝিম সব সময় আমাকে হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করে!
সমাপ্তি
আরো পড়ুন- ঝগড়াটে প্রেমের গল্প – চোখের জলে ধোঁয়া আমাদের বিশুদ্ধ ভালোবাসা