ধনীর মেয়ের সাথে সম্পর্ক (১ম খণ্ড) – বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা: মায়া তুই এত পাগলামি করিস কেনো? দেখ ওও হলো বস্তির ছেলে ওর সাথে তোর মতো এত বড় ঘরের মেয়েকে মানায় না!
বন্ধুত্ব মানে কি?
পর্ব ১
হাতে লাল গোলাম নিয়ে? হাটু ঘেরে আমার সামনে বসে থাকা মেয়াটা দেখতে পরীর মতো সুন্দর? কিন্তু আমি তার প্রপোজ এসপেক্ট করতে পারবো না!
কারণ মেয়েটা হলো আদরের দুলালি? আর আমি হলাম গরীব ঘরের একজন সন্তান?
চলেন গুছিয়ে বলি?
সকালবেলায় গোসল করে বাহিরে আসতেই শুনলাম ফোনটা বাজতেছে? তাই তাকিয়ে দেখি মায়া? সাথে সাথে রিসিভ করলাম?
মায়াঃ ঐ তর এতক্ষণ লাগে ফোন ধরতে কই ছিলি তুই?
আমিঃ আসলে গোসল করতে গিয়েছিলাম?
মায়াঃ ওহ! হুসাইন তুই কি আজ ভার্সিটিতে আসবি?
আমিঃ হুম কেনো?
মায়াঃ আজকে কতো তারিখ তা তোর মনে নেই?
আমিঃ হুম! আজকে ১৪ ফেব্রুয়ারি! মানে ভালোবাসা দিবস /Valentine day?
মায়াঃ হুম! আর আজকে তোজে একটা কথা বলবো? তুই চলে আয় তাড়াতারি?
আমিঃ কেনো ফোনে বল?
মায়াঃ না! তুই আয় সামনা-সামনি বলবো?
আমিঃ ওকে? (বলেই ফোনটা রেখে দিলো)
হুসাইন রেডি হয়ে চলে গেলো? আব্বুর দোকানে?
(চলুন গল্পের পরিচয় পর্বটা শেষ করে ফেলি)
আমি আনোয়ার হুসাইন! এবার ভার্সিটিতে পড়ি! পরিক্ষাথি? মধ্যবিত্ত ঘরের একজন সন্তান? দেখতে হয়তো স্মাট কারণ লোকে তাই বলে?
বাবার ছোট একটা মুদির দোকান আছে? যেটা মোটামুটি ভালোই চলে তাই আমার লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারটাও চলে যায়? তাই আমি এতদূর পর্যন্ত পড়ালেখা করতে পেরেছি?
বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান! আর আমাকে ঘিরে তাদের সব সপ্ন? তাই আমাকে যেই করেই হোক ভালো রেজাল্ট করতে হবে!
আর যে আমাকে ফোন দিয়ে এতক্ষণ কথা বললো? তার নাম সুমাইয়া আক্তার মায়া! বাবা মায়ের টাকার অভাব নেই? তাও আমার মতো একটা ছেলের বেষ্ট ফ্রেন্ড? আমি মাঝে মাঝে ভেবে পাই না!
কলেজে ফাইনাল পরিক্ষায় ওর সাথে আমার সিট পড়ে ছিলো? তারপর একজন আরেকজনের সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়! তারপর দুজনেই একই ভার্সিটিতে এডমিশান নিয়ে নেই? আর তুষার আমার ছোট বেলার বন্ধু ওদের অবস্থা ও খুবই ভালো? শুধু আমারই অবস্থা খারাপ! তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ!
তাও কি আর করার! মায়া অনেক জেদি? যা চায় তাই দেওয়া লাগবে? না পেলে পৃথিবীটা উল্টে রেখে দিবে? যা চাইবে তাই পাবে? ওর সাথে বন্ধুত্ব করে ভুল করেছি?
এক বেলায় না খেলে জুড় করে খাওয়াবে?
বেশি রাতে অনলাইনে থাকলে মেসেন্জারে ঝাড়বে? আর কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতেছি দেখলেই সাড়ছে?
সব সময় ওর মনের কথাগুলো আমার সাথে শেয়ার করবে! আর সারদিন ফোন দিয়ে জ্বালাবে? আর যা চায় আমার কাছে আমাকেও দিতে হয় বাধ্য হয়ে?
এগুলো গল্পের পরিচয়।
(আর বাস্তবে পরিচয় আমরা দুই ভাই বোন। বোন বড় আমি ছোট। আর সাথে আব্বু আম্মু নিয়ে খুব হেপি ফ্যামেলি। বাসা মেহেরপুর জেলা। মুজিব নগর থানা।)
এবার গল্পে চলুন।
বাবার কাছ থেকে হালকা কিছু টাকা নিয়ে বাসে করে ভার্সিটিতে চলে গেলাম!
বাস থেকে নামতেই তুষারের সাথে দেখা? (আমার কলিজার ফ্রেন্ড)
তুষার- কিরে আজকে আসতে এতো দেরি হলো যে?
আমিঃ আরে বলিস না! রাস্তায় অনেক জ্যম তাই আসতে একটু দেরি হলো?
তুষারঃ তোকে কতোবার বলেছি আমার সাথে চলে আসতে কিন্তু তুই কি করিস বাসে আছিস?
আমিঃ আরে বোকা তুই এতো কিছু বুঝবি না? আমার মতো হলে তারপর সব বুঝতি?
তুষারঃ সালা আমি কি তোর থেকে আলাদা?
আমিঃ না! আচ্ছা এসব বাদ দিয়ে চল ক্লাসে?
তুষারঃ আজকে ক্লাস করবি?
আমিঃ হুম! কেনো?
তুষারঃ আজকে ইলুইলু দিবস আর আমাদের কচি খুকা ক্লাস করবে! (বলেই তুষার হেসে উঠলো)
আমিঃ আবে চুপ কর আর চল ক্লাসে যাই?
তুষারঃ ক্লাসে না গিয়ে চল মায়া পাঠিয়েছে তোকে নিয়ে যেতে?
আমিঃ কোথায়?
তুষারঃ সবাই যেখানে বসে আড্ডা দেয় কেন্টিনে?
আমিঃ ওও! আজকে ফোন দিয়ে বলেছিলো কি যেনো বলবে? চল যাই? (বলেই তুষারকে নিয়ে চলে গেলাম কেন্টিনে)
কেন্টিনে ডুকেই নজর গেলো নীল শাড়ী পড়ে বসে থাকা পরীর দিকে? চমৎকার সেজেছে আজকে? দেখতেও বেশ মায়াবী চেহারা মায়ার! তাই ওর কাছে গিয়ে বললাম?
আমিঃ কিরে তুই না কি বলবি বলেছিলি?
মায়াঃ সোজা হয়ে দাড়া আগে তারপর বলবো?
আমিঃ হুম এবার বল? (সোজা হয়ে দাড়িয়ে বলাম)
মায়া কোনো কথা না বলে একটা হাটু ভেঙ্গে বসে পড়লো! তারপর পিছন থেকে একটা লাল গোলাপ বেড় করে আমার সামনে ধরে বললো?
মায়াঃ আই লাভ ইউ হুসাইন?
আমি অবাক হয়ে গেলাম ওর কথা শুনে? কি বললো ওও আমাকে? ভালোবাসে? হুম দেখতো হয়তো সুন্দর হতে পারি তবে মায়া এখনো জানে না! চেহারা দিয়ে যে জীবন চলে না!
কি বলবো কিছুই বুঝতেছি না! সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে? আমি কিছু বলছি না দেখে তুষার হালকা করে টুকা দিলো?
তুষারঃ কিরে কিছু বলছিস না কেনো?
আমিঃ মায়া উঠ সবাই তাকিয়ে আছে?
মায়াঃ না! তুই আগে রিপ্লে দে?
আমিঃ উঠ তারপর বলতেছি?
মায়াঃ আগে বল তারপর উঠবো?
আমিঃ তুই উঠে বাহিরে আয় তারপর তোর উত্তর দিবো? (বলেই লাজুক চোখে তাকিয়ে ওর সামনে থেকে বাহিরে চলে গেলাম)
মায়া আর তুষার আমার পিছন পিছন ভার্সিটির বাগানের একটা বড় গাছের নিচে গিয়ে দাড়ালাম?
মায়াঃ হুম! এবার আমার প্রশ্নের জবাব দে? (মায়া পিছন থেকে বলে উঠলো)
আমিঃ মায়া আমাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবি?
মায়াঃ হুম বল?
আমিঃ আমার কথা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো প্রশ্ন করবি না ওকে?
মায়াঃ আচ্ছা বল?
আমিঃ আচ্ছা প্রতিদিন তুই কত টাকা খরচ করিস বলতো?
মায়াঃ তুই এই কথা কেনো জিঙ্গাস করছিস?
আমিঃ তোকে না বললাম যে কোনো প্রশ্ন না করতে?
মায়াঃ আচ্ছা?
আমিঃ এবার বল তোর প্রতিদিনের খরচ কতো?
মায়াঃ এই ধর ৩০-৪০ হাজার টাকা মাত্র?
আমিঃ হুম! আর দেখ আমার পকেটে মাত্র ৫৭৭ টাকা? (টাকাগুলো বেড় করে দেখিয়ে বললাম)
আমিঃ আচ্ছ তুই চলাচল করিস কি দিয়ে?
মায়াঃ BMW
আমিঃ হুম আর আমি চলাচল করি পবলিক বাস দিয়ে?
মায়াঃ হুম! তো তুই এসব আমাকে বলছিস কেনো?
আমিঃ তোকে বলছি কারণ!
আরো পড়ুন – মিষ্টি প্রেমের গল্প – পর্ব ১ | স্যারের সাথে প্রেম
এবার শুরু হচ্ছে বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা।
পর্ব ২
আমিঃ মায়া আমাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবি?
মায়াঃ হুম বল?
আমিঃ আমার কথা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো প্রশ্ন করবি না ওকে?
মায়াঃ আচ্ছা বল?
আমিঃ আচ্ছা প্রতিদিন তুই কত টাকা খরচ করিস বলতো?
মায়াঃ তুই এই কথা কেনো জিঙ্গাস করছিস?
আমিঃ তোকে না বললাম যে কোনো প্রশ্ন না করতে?
মায়াঃ আচ্ছা?
আমিঃ এবার বল তোর প্রতিদিনের খরচ কতো?
মায়াঃ এই ধর ৩০-৪০ হাজার টাকা মাত্র?
আমিঃ হুম! আর দেখ আমার পকেটে মাত্র ৫৭৭ টাকা? (টাকাগুলো বেড় করে দেখিয়ে বললাম)
আমিঃ আচ্ছ তুই চলাচল করিস কি দিয়ে?
মায়াঃ BMW
আমিঃ হুম আর আমি চলাচল করি পবলিক বাস দিয়ে?
মায়াঃ হুম! তো তুই এসব আমাকে বলছিস কেনো?
আমিঃ তোকে বলছি কারণ!
আমিঃ তোকে বলছি কারণ তোর সাথে আমার ভালোবাসার সম্পর্ক হয় না। কারণ আকাশ আর জমিন কখনোই এক হয় না। আমি তোর ফ্রেন্ড হওয়ার ওও যোগ্য না! তবে ভাগ্যক্রমে হয়ে গেছি? কিন্তু এখন তুই যেই সম্পর্কের কথাটা বলছিস না! সেটা কখনো হওয়া সম্ভব না!
মায়াঃ আমি তোর কথা বুঝতেছি না!
আমিঃ না বুঝার কি আছে? দেখ আমি সাধারণ আর তুই অসাধারণ। তাই তোর আর আমার মাঝে বন্ধুত্ব থাকাটাই বেশি হয়ে যায়। আর তুই এখন ভালোবাসিস বলছিস!
মায়াঃ দেখ না তুই এমনটা করতে পারিস না আমার সাথে?
আমিঃ আমি তোর সাথে কিছুই করতেছি না! সব ভাগ্যের খেল! আর ভাগ্য হয়তো চায় না আমি কাউকে নিয়ে সপ্ন দেখি? কারণ আমি মধ্যবিত্ত!
মায়াঃ দেখ তুই কি তা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই? আমি শুধু তোকে চাই?
আমিঃ দেখ পাগলামি করিস না! যা বাসায় যা গিয়ে ঠান্ডা হয়ে নে! তারপর আস্তে-আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে?
তুষার এতক্ষণ দাড়িয়ে শুধু আমাদের কথা শুনতেছে আর নির্বাক এর মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে?
মায়াঃ না কিছুই ঠিক হবে না! তুই ছাড়া কিছুই ঠিক হবে না আমার!
আমিঃ তুষার ওরে একটু বুঝাতো প্লিজ!
তুষার এবার হিলহিল করে হাসতে লাগলো? আমি আর মায়া কিছুটা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম!
তুষারঃ মায়া তুই সত্যই একটা বোকা? হুসাইন হয়তো তুই ঠিকই বলছিস! তবে মায়া তার বোকামির কারণেই আজ এমন পরিস্থিতির হয়েছে?
মায়াঃ কি বলতে চাইছিস তুই?
তুষারঃ আমি অনেক কিছুই বলে দিতাম যদি হুসাইন এখানে না থাকতো?
আমিঃ মানে?
তুষারঃ মানে কিছুই না! এখন চল বাসায়! মায়া তুমিও বাসায় যাও? পড়ে দেখা হবে? (বলে আমাকে নিয়ে চলে আসতে লাগলাম)
তুষার এতক্ষণ কি বললো? তা মায়া ভাবতে লাগলো? আর আমাদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো?
চলে আসলাম গেটের বাহিরে এসে তুষারকে জিঙ্গাস করলাম!
আমিঃ আমি না থাকলে তুই তানহাকে কি বলতি?
তুষারঃ আরে মায়া হলো অবুঝ একটা মেয়ে ওকে সারাদিন বুঝালেও কাজ হবে না! তাই কথা কাটিয়ে তোকে ঐ খান থেকে নিয়ে আসলাম!
আমিঃ সালা তুই মানুষ হবি না! tnxx
তুষারঃ ওয়েলকাম!
আমিঃ তবে সাকুয়াত ওরে বিকেলে একটু বুঝিয়ে দিস? যেনো ওও আর এরকম কথা না বলে? তাহলে হয়তো বন্ধুত্ব রাখাটাই অসম্ভব হয়ে যাবে?
তুষার কি যেনো ভাবতে লাগলো? কিছুক্ষন পরে ওকে বললো?
আমিঃ দেখ আবার কোনো পেচ করিস না! তোরে দিয়া বিশ্বাস নাই হারামি?
তুষারঃ এই চিনলি আমাকে যা বিশ্বাস করতে হইবো না! যখন মায়ার সাথে কথা বলবো তখন তোকে আমি কল দিবো! তুই শুধু কানে লাগিয়ে রাখবি আর আমার কানে ব্লুথু থাকবে?
আমিঃ ওরে হারামি? ঠিক আছে।
তারপর তুষার বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো? আমি গোসল করে! খাওয়া-দাওয়া করে দুপুরের পড়ে হালকা একটু ঘুমিয়ে নিলাম! বিকেলে ঘুম থেকে উঠে তুষারকে কল দিলাম!
তুষার মায়ার সাথে দেখা করার জন্য যাচ্ছে! পাশেরই একটা রেষ্টুরেন্টে এ মায়াকে ফোন দিয়ে আসতে বলেছে? আমিও ফোন রেখে বসে ছিলাম কখন তুষার কল দিবে?
আধাঘন্টা পড়ে তুষারের কল আসলো? তাই সাথে সাথে রিসিভ করলাম!
তুষারঃ হুসাইন মায়া আসতেছে, তুই শুধু চুপ থাকবি ওকে?
আমিঃ ওকে?
মায়াঃ হাই?
তুষারঃ হুম! আয় বস?
মায়াঃ তা এখানে ডাকলি কেনো?
তুষারঃ তুই হুসাইনের ব্যাপারে কি সিরিয়াস?
মায়াঃ হুম!
তুষারঃ কি আছে ওর মাঝে যে তুই ওর পিছনে লেগে আছিস?
মায়াঃ কি আছে জানি না! তবে ওকে ছাড়া আমি শূন্য এতুটুকুই জানি?
তুষারঃ দেখ ওও চায় তুই এই ব্যাপারটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করিস না তাহলে হয়তো ওর সাথে বন্ধুত্বটাও হারাবি?
মায়াঃ ওও বলছে এই কথাটা?
তুষারঃ শুন তুই ওর পরিবেশে কখনো থাকতে পারবি না! তুই ভালো হয় ওর জীবন থেকে সরে দাড়া!
মায়াঃ ঐ তুষার তুই তো একটু বুঝ আমাকে? ওকে একটু বুঝা না! ” প্লিজ তোর পায়ে পড়ি?
তুষারঃ নিজেকে এখন ফাটা বাশের চিপায় পড়ে থাকার মতো লাগতেছে?
মায়াঃ প্লিজ প্লিজ প্লিজ?
আমিঃ সাকুয়াত তুই ওকে আরেকটু বুঝা নাহলে ওও আবার এসব ভূত চেপে থাকবে! (আমি ওপাশ থেকে বললাম)
তুষারঃ মায়া তুই এত পাগলামি করিস কেনো? দেখ ওও হলো বস্তির ছেলে ওর সাথে তোর মতো এত বড় ঘরের মেয়েকে মানায় না!
মায়াঃ তুই এসব বলছিস কেনো?
তুষারঃ বলতেছি কারণ ওও ছোট লোক ওর সাথে তোর যায় না তাই? তুই ওকে ছেড়ে দে?
মায়াঃ দেখ রাগ উঠতেছে আমার! ওকে নিয়ে আর যদি এমন কথা শুনি তাহলে তোকে লাথ্থি মারবো বলে দিলাম!
তুষারঃ ওকে! তুই যেটা ভালো বুঝিস কর? পরে আমাকে বলবি না! ওকে তুই থাক আমি গেলাম?
তার তুষার মায়াকে আঙ্গুল মুখে দিয়ে বুঝালো চুপ হয়ে থাকতে! মায়াও কিছু বুঝতে না পেরে চুপ হয়ে বসে রইলো?
তারপর তুষার আমাকে বলতে লাগলো?
তুষার- হুসাইন সবই তো শুনলি? আচ্ছা তুই ভেবে দেখ কি করবি? (সাকুয়াত)
আমিঃ হুম ওকে? রাখি তাহলে? (বলেই ফোনটা রেখে দিলাম)
আর ঐ দিকে তুষার কান থেকে ব্লুথু খুলে টেবিলে রাখলো তারপর মায়াকে বললো?
তুষারঃ এবার বুঝলি কেনো এতক্ষণ হুসাইনকে পচাইতেছিলাম!
মায়াঃ ওও কি এতক্ষণ সব শুনেছে?
তুষারঃ হুম!
মায়াঃ তোদের কি হয়েছে বলবি একটু?
তুষারঃ কিছুই হয় নাই? তবে তোকে যা বলতেছি তা একটু শুন?
মায়াঃহুম বল কি বলবি?
তুষারঃ আসলে আমিও চাই তুই হুসাইনের হ? কিন্তু হুসাইন সবকিছু ভালো ভাবে চিন্তা বিবেচনা করে কথা বলে তাই আমি ওকে বুঝাতে পারি না। তবে এখানে তোরও একটা ভুল আছে।
মায়াঃ আমার আবার কি ভুল?
তুষারঃ তুই হুসাইনকে প্রপোজ করতে গেলি কেনো? ওকে আগে নিজে জালে ফাসিয়ে তারপর নাহয় প্রপোজ করতি? বলদি কোথাকার?
মায়াঃ ঠিক বলেছিস?
তুষারঃ আচ্ছা আগে এটা বল আঙ্কেল আন্টি জানে যে তুই হুসাইনকে ভালোবাসিস?
মায়াঃ হুম আমি বলে দিয়েছি আব্বু-আম্মুকে?
তুষারঃ কি বলেছে আঙ্কেক – আন্টি?
মায়াঃ ওনারা বলেছে আমি যাকেই পছন্দ করি ওনারা তাকেই মেনে নেবে? আর হুসাইনকে তো ওনারা আরো আগে মেনে নিবে?
তুষারঃ ওকে তাহলে তুই ওর পিছনে লেগে থাক আমি বাকিটা দেখতেছি?
মায়াঃ ওকে! প্লিজ ওকে একটু বুঝিয়ে বল যেনো রাজি হয়ে যায়! প্লিজ তুষার প্লিজ?
তুষারঃ আরে বোকা বললাম না আমি দেখতেছি? ওকে জালে ফেলে হলেও তোর করে দিবো? কথা দিলাম!
মায়াঃ tnxx
তুষারঃ ওয়েলকাম!
মায়াঃ জানিস ওকে না খুব ভালোবাসি না পেলে নিজেকে শেষ করে দিবো বলে দিলাম! (বলেই মায়া কাদো কাদো মুখ করে ফেললো?)
তুষারঃ ঐ ঐ ঐ প্লিজ কাদিস না প্লিজ প্লিজ!
মায়াঃ জানিস ওও এমন আচরণ করবে আমি তা ভাবতেই পারি নি? (মায়া বলেই ফুপিয়ে কাদতে লাগলো)
তুষারঃ মায়া প্লিজ কাদিস না এটা পাবলিক প্লেস তুই কান্নাটা থামা!
মায়াঃ ওকে? (বলেই কান্নাটা থামালো)
তুষারঃ শুন আমি তোকে কথা দিলাম! হুসাইন তোর হবেই? এখন আমি উঠি? কালকে দেখা হবে?
মায়াঃ আচ্ছা! (বলেই দুজন বেড়িয়ে চলে আসলো!)
পরেরদিন সকালে রেডি হয়ে আবার বাসে করে চলে গেলাম কলেজে? কলেজে এসেই তুষারের সাথে দেখা?
তুষারঃ কিরে মামা আজকে এত লেট করে আসলি?
আমিঃ আজকে একটু কাজ ছিলো বাসায় তাই?
তুষারঃ তা কি ভাবলি আজকে সারা রাতে?
আমিঃ দেখ আমি যতই ভাবি না কেনো? আমি ওকে জেনে বুঝে জাহান্নামে আনতে পারি না!
তুষারঃ আচ্ছা তুই আমাকে একটু বলবি যে ওকে মেনে নিতে সমস্যাটা কোথায়?
আমিঃ সমস্যাটা অনেক জায়গায়? দেখ ওও আমার ফ্যামিলিতে এসে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে না! ওর জীবনটা তেজপাতা হয়ে যাবে তা কি তুই বুঝিস?
তুষারঃ দেখ ওও হয়তো তোর জন্য সব করতে পারে! ওও হয়তো তোর ফ্যামিলির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতেও পাড়বে?
আমিঃ প্লিজ এখন এমন হাস্যকর কথা বলিস না প্লিজ! এখন হাসতে পারবো না?
তুষারঃ এখানে হাসির কি বললাম?
আমিঃ আচ্ছা তুষার তুই আমাকে কিছু প্রশ্নের জবাব দে তো?
তুষারঃ হুম বল?
আমিঃ যে মেয়ে নিজের হাতে কফি বানিয়ে খায় না সে নাকি আবার আমাদের সংসারের সব কাজ করবে? এটা কখনো সম্ভব না? আর আমাদের এত টাকা নেই যে ওর জন্য আমি কাজের বুয়া রাখবো?
তুষার এবার চুপ হয়ে গেলো? আর আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে?
আমিঃ শুন আবেগটা থাকে কিছুদিন! তারপর সবকিছু শেষ হয়ে যায়! থাক তোকে এসব বলেও লাভ নেই? তুই কি কখনো বুঝবি না! চল এবার ক্লাসে যাই?
তুষারঃ একটু পড়ে যাবো? চল আগে!
আরো পড়ুন – হঠাৎ বিয়ের গল্প – ভাবি যখন বউ হয়ে দেবরের বাসর ঘরে
এই পর্বে থাকছে “ভালবাসার মানুষকে ধরে রাখার উপায়।”
পর্ব ৩
আমিঃ আচ্ছা তুষার তুই আমাকে কিছু প্রশ্নের জবাব দে তো?
তুষারঃ হুম বল?
আমিঃ যে মেয়ে নিজের হাতে কফি বানিয়ে খায় না সে নাকি আবার আমাদের সংসারের সব কাজ করবে? এটা কখনো সম্ভব না? আর আমাদের এত টাকা নেই যে ওর জন্য আমি কাজের বুয়া রাখবো?
তুষার এবার চুপ হয়ে গেলো? আর আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে? এভাবে শুরু হয় আমাদের বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা।
আমিঃ শুন আবেগটা থাকে কিছুদিন! তারপর সবকিছু শেষ হয়ে যায়! থাক তোকে এসব বলেও লাভ নেই? তুই কি কখনো বুঝবি না! চল এবার ক্লাসে যাই?
তুষারঃ একটু পড়ে যাবো? চল আগে!
তুষারঃ ক্লাসে পড়ে যাবো চল আগে মায়ার সাথে দেখা করে আসি?
আমিঃ তুই যা আমি গেলাম ক্লাসে! নাহলে আবার আমাকে দেখলেই শুরু হয়ে যাবে ওর সেই পাগলামিটা
তুষারঃ তুই আয় আমি আছি না!
আমিঃ ওকে চল।
(বলেই দুজনে চলে গেলাম বাগানে! কারণ মন খারাপের সময় মায়া এখানেই এসে বসে থাকে? গিয়ে দেখি ওও পুকিরের দিকে মুখ করে বসে আছে? তাই পিছন থেকে তুষার ডাকলো মায়া কে?)
তুষারঃ কিরে মায়া তুই এখনো এখানে বসে আছিস? দেখ কে এসেছে?
আমাদের কথা শুনে মায়া তাড়াতাড়ি চোখগুলো মুছে ফেললো? তারপর আমাদের দিকে ফিরে তাকালো?
তুষারঃ কিরে মায়া তুই কান্না করতেছিলি নাকি?
মায়াঃ আরে না আয় বস?
তুষারঃ হুম! আমাদের আর মিথ্যা বলিস না আমি সবই জানি?
মায়াঃ আরে না! হুসাইন আয় বস?
আমি গিয়ে একটু দুরুত্ব রেখে বসলাম! আর তুষার এসে আমাদের মাঝ খানে বসে গেলো?
তুষারঃ বল এখন কি নিয়ে গল্প করা যায়?
মায়াঃ জানি না!
তুষারঃ ওও! আচ্ছা তোদের দুজনকে এখানে আসার আসল কারণ কি জানিস?
তুষারের মুখে এমন কথা শুনে আমি অবাক হলাম? তাই ওর দিকে ঘাড় বাকা করে তাকালাম?
তুষারঃ শুন তোরা দুজন মিলে মুজিব নগর পার্কে যা! তাহলে ভালো হবে? নাহলে এভাবে চুপচাপ আর দুজনকে থাকতে হবে না!
আমিঃ দেখ ওও যেই কথা বলতেছে সেটা কখনোই সম্ভব না!
মায়াঃ আমি জানতে চাই কেনো সম্ভব না?
আমিঃ কারণ আমি তোর যোগ্য না।
মায়াঃ কেনো তোর কিসের অভাব? পড়ালেখায় ভালো? স্মার্ট! আর মনের দিক থেকে তে তুই বেষ্ট? আর ভবিষ্যৎ তে তুই তোর টেলেন্ট দিয়ে যে কোনো বড় চাকরি পেতে পারিস! তাহলে আর সমস্যা কোথায়?
আমিঃ হা হা হা! তুই আমার বড় চাকরি পাওয়ার কথা বলতেছিস! সেটা পাওয়ার জন্য যে ঘুষ লাগে তা কি তুই জানিস? আর যদিও ভাগ্যক্রমে পেয়েও যাই? তাহলে সেলারি কতে হবে? বেশি হলে এক লক্ষ টাকা? তাতে তা একদিনের মার্কেটের টাকা? আর সারামাস কি তুই না খেয়ে থাকবি? তোর মেকাপ আরো অনান্য খরচগুলো নাহয় বাদ ই দিলাম!
মায়াঃ দেখ আমি একদম ভালো হয়ে যাবো? আমার এতকিছু লাগবে না! শুধু তুই হলেই চলবে।
আমিঃ দেখ মায়া আবেগ দিয়ে দুনিয়া চলে না! আমি জানি তুই আবেগের বসে অনেককিছু করতে পারিস! কিন্তু যখন বাস্তবতা সামনে এসে দাড়ায় না তখন আবেগ পালিয়ে যায়! তাই বলছি পাগলামি করিস না!
মায়াঃ দেখ আমাকে এতো বুঝাতে আসবি না! আমার তোকে চাই ব্যস?
আমিঃ দেখ একটু বুঝার চেষ্টা কর? তুই মধ্যবিত্ত দের মতো করে বাচতে পারবি না! তুই পারবি না শুধু ভাত, মাছ, আর ডাল দিয়ে বেলা পাড় করতে, তুই পারবি না ৩০০-৪০০ টাকা হাত খরচ নিয়ে দিন পাড় করতে?
এই হাত খরচ থেকে টাকা বাচিয়ে আব্বু-আম্মুর জন্য কিছু গিফট দেওয়া! তুই পারবি না দুই -তিনটা শাড়ী দিয়ে মাস পাড় করতে?
তুই পারবি না বাসে সবার সাথে চাপাচাপি করে ভার্সিটিতে আসতে? তুই পারবি না ভোর বেলায় উঠে বাসায় সবার জন্য নাস্তা রেডি করা? আর সারাদিন গাধার মতো খাটা?
তুই পারবি না! সবার মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের সপ্নগুলো কুরবানি দিতে?
তাই বলতেছি তোর জন্য ভালো হবে তুই নিজের লেভেলের একটা ছেলেকে বিয়ে করে নিজের সব সপ্ন পূরণ কর! লাইফটা আরামে পাড় করে দিতে পারবি? আর আমাকে বিয়ে করলে তুই জিন্দালাশ হয়ে যাবি? তখন আপসোস হবে?
কারণ বাস্তবতা মৃত্যুর চেয়েও কঠিন! যার সামনা তুই এখনো করিস নি? (একবারে সব বলে দিলাম)
মায়াঃ আমি সব করতে পারবো তোর জন্য?
এবার রাগটা আমার মাথার উপর উঠে গেলো? তাই নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না ঠাসসস করে একটা চড় বসিয়ে দিলাম ওর গালে?
মায়া চড় খেয়ে অবাক হয়ে গেলো? আর এতক্ষণআমাদের কথা শুনতেছিলো তুষার ওও চমকে উঠলো?
আমিঃ ঐ পাগল তোকে বুঝাই তোর মাথায় ঢুকে না! যে আবেগ দিয়ে সব হয় না? বাস্বতায় নিজেকে সামলাতে পারবি না তুই? যা বলতেছি তাই কর? (আমি রাগে চিল্লিয়ে কথাগুলো বললাম)
মায়ার চোখদিয়ে সমানে পানি পড়তে লাগলো? আর তখনই তুষার সেখান থেকে আমাকে টেনে নিয়ে আসলো? আর মায়াকে বললো?
তুষারঃ মায়া তুই দাড়া আমি আসতেছি? (তুষার বলেই আমাকে বাহিরে নিয়ে আসলো)
আমিঃ ছাড় আমাকে? পাগলাটাকে বুঝাই একফোটা যদি বুঝতো? নিজেকে শেষ করার ফন্দি আটতেছে ওও! আর কিছুই না?
তুষারঃ আচ্ছা তুই ঠান্ডা হো আমি দেখতেছি কি করা যায়?
আমিঃ হুম বুঝা ওকে নাহলে পরে ওর গলা টিপে মেরে ফেলবো বলে দিলাম?
তুষারঃ ঐ তুই গাড়িতে বস আমি মায়া বুঝিয়ে আসতেছি? (বলেই তুষার চলে গেলো ভিতরে)
ভিতরে গিয়ে তুষার দেখলো মায়া এখনো কাদতেছে?
তুষারঃ মায়া কাদিস না!
মায়াঃ দেখলি তো ওও কেমনটা করলো? কি হয় আমাকে একটু ভালোবাসে?
তুষারঃ দোষ তোর না দোষ হলো সুমাইয়ার?
মায়া এবার কান্না থামিয়ে তুষারের দিকে তাকালো!
মায়াঃ সুমাইয়া কে?
তুষারঃ হুসাইন তোকে কখনো সুমাইয়ার কথা বলে নি?
মায়াঃ না! কে সুমাইয়া!
তুষারঃ তাহলে শুন!
আমরা দুজন তখন ক্লাস 10 এ পড়তাম! হুসাইন ক্লাসের ভালো ছাত্র ছিলো! এবং খুব ভালো গল্প লিখতো অনেক মেয়ে ওই গল্প পড়ে প্রেমে পরে যাইতো!
তার মধ্যে হঠাৎ একটি আইডি থেকে এস এম এস আছে হুসাইনের গল্প লেখা পেজে
মায়াঃ কি ছিলো সেই এস এম এসে?
তুষারঃ তুই চুপ করে শুন। কেনো কথা বলবি না।
মায়াঃ হুম বল!
হুসাইন প্রতি গল্পের শুরুতে লিখে দিত। অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষিদ্ধ। তাই সুমাইয়া এস এম এস দেয়
সুমাইয়াঃ লেখক সাহেব আপনার একটি গল্প কপি করবো যদি অনুমতি দেন! (মেসেজে মাধ্যমে)
হুসাইনঃ অবশ্যই গল্প কপি করতে পারেন. কিন্তু কিছু শর্ত আছে
সুমাইয়াঃ কি শর্ত বলেন
হুসাইনঃ প্রথমত লেখক এর জায়গায় আমার নাম এবং শেষে পেজ লিংক দিতে হবে!
সুমাইয়াঃ আচ্ছা!
হুসাইনঃ কোন গল্প কপি করবেন?
সুমাইয়াঃ সিনিয়র আপুর সাথে প্রেম সিজন ১-২
হুসাইনঃ ওকে, আপনার বাসা কোথায় জানতে পারি।
সুমাইয়াঃ চুয়াডাঙ্গা আপনার!
হুসাইনঃ মেহেরপুর!
এই ভাবে কথা বলতো । বলতে বলতে সুমাইয়ার সাথে ফ্রেন্ডশিপ হয়ে গেলো হুসাইনের।
তারপর একদিন হুসাইন আমাকে এসে বলে, আমি সত্যিই সুমাইয়া কে ভালোবেসে ফেলিছি। তখন আমি হুসাইন কে বললাম প্রোপোজ করতে সুমাইয়া কে যেই ভাবা সেই কাজ হুসাইন গিয়ে প্রোপোজ করে সুমাইয়াও গ্রহণ করে নেয়। আস্তে আস্তে সুমাইয়ার প্রতি ভালোবাসা বেরে যাই। সুমাইয়ার সাথে ভিডিও কলে কথা বলতো।তার পিক সব জায়গায় সেপ করে রাখতো। এককথায় সুমাইয়াকে পাগলের মত ভালো বাস তো। এই ভাবো ২ মাস কেটে গেলে একদিন হুসাইন সুমাইয়া কে বললো,
হুসাইনঃ এই সুমাইয়া তুমি কয়দিন ধরে আমাকে ইগনোর করছো কেনো!
সুমাইয়াঃ আমাকে ভুলে যাও। আম্মু আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে।
হুসাইনঃ কিহ বলছো। তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে তাহলে আমার কি হবে।
সুমাইয়াঃ তুমি প্লিজ আমাকে ভুলে যাও।
হুসাইনঃ আচ্ছা তোমার হুব স্বামী নিয়ে সুখে থাকো।
কিছুক্ষন পরে হুসাইন আমার কাছে আসে।
হুসাইনঃ আমার সাথে এমন হওয়ার ছিলো।
তুষারঃ কি হয়েছে?
হুসাইনঃ সুমাইয়া বললো, (আপনাদের তো বললাম।তাই দ্বিতীয় বার লিখলাম না। আর)
তুষারঃ আচ্ছা তুই সুমাইয়া কে **গুলো বলবি!
হুসাইনঃ পরে যদি ভুল বোঝে।
তুষারঃ পরে দেখা যাবে।
হুসাইন আমার কাছ থেকে বাসায় গিয়ে। সুমাইয়া কে ফোন দেয়। ফোন রিসিভ করার পরে
সুমাইয়াঃ কি হয়েছে তোমাকে। নিষেধ করার পরে কেনো ফোন দাও!
হুসাইনঃ আর ফোন দিবো না। একটি কথা শুনো!
সুমাইয়াঃ কি হয়েছে তাড়াতাড়ি বলো যতসব।
হুসাইনঃ আমাকে বিয়ে করবে।
সুমাইয়াঃ কিভাবে
হুসাইনঃ পালিয়ে
সুমাইয়াঃ জীবনেও না
হুসাইনঃ তুমি যদি আমার সাথে বিয়ে না করলে। তোমার যত পিক আছে ফেবুতে ভাইরাল করবো।
সুমাইয়াঃ এই মানুষ কে আমি ভালোবেসে ছিলাম। আর তোমাকে বিশ্বাস করে। সব করে ছি। পিক দিয়েছি। আর তুমি আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতক করলে।
হুসাইনঃ আমি তোমাকে ছাড়া বাচতে পারবো না। প্লিজ এমন করো না।
সুমাইয়াঃ তুমি আমাকে আর ফোন দিবে না। যদি আমাকে সত্যি কারে ভালোবাসে থাকো। আর ফোন দিবে না।
হুসাইনঃ তুমি সুখি হও সেই দোয়া করি।
সেই রাতে হুসাইন আমাদের আড্ডা খানায় এসে বলে।
হুসাইনঃ তোর বৃদ্ধি তে কাজ হলো না
তুষারঃ কি বলেছে।
হুসাইনঃ আমি যদি তাকে ভালোবেসে থাকি।তাহলে তাকে যেনো ফোন না দিয়।
তুষারঃ আচ্ছা। একটি আইডিয়া আছে
হুসাইনঃ থাক তোর আইডিয়া। আমি বাসায় যাচ্ছি
হুসাইন বাসায় যখন যাচ্ছিলো। আমার কেমন সন্দেহ হলো। তাই আমিও তার পিছু নিলাম।
তারপর কিছু দুর যাওয়ার পর হঠাৎ করে।
বিশ্বাস কথাটি ভালোবাসার থেকে বড় কারণ।
বিশ্বাস না থাকলে ভালোবাসা টিকে না।
আরো পড়ুন – রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প – ভাইয়ের বন্ধু বর পর্ব ১
এখন দেখবেন – “ভালোবাসার মানুষের অভিমান।”
পর্ব ৪
সুমাইয়াঃ তুমি আমাকে আর ফোন দিবে না। যদি আমাকে সত্যি কারে ভালোবাসে থাকো। আর ফোন দিবে না।
হুসাইনঃ তুমি সুখি হও সেই দোয়া করি।
সেই রাতে হুসাইন আমাদের আড্ডা খানায় এসে বলে।
হুসাইনঃ তোর বৃদ্ধি তে কাজ হলো না।
তুষারঃ কি বলেছে।
হুসাইনঃ আমি যদি তাকে ভালোবেসে থাকি।তাহলে তাকে যেনো ফোন না দিয়।
তুষারঃ আচ্ছা। একটি আইডিয়া আছে
হুসাইনঃ থাক তোর আইডিয়া। আমি বাসায় যাচ্ছি
হুসাইন বাসায় যখন যাচ্ছিলো। আমার কেমন সন্দেহ হলো. তাই আমিও তার পিছু নিলাম।
তারপর কিছু দুর যাওয়ার পর হঠাৎ করে।
তারপর কিছু দুর যাওয়া পর হঠাৎ করে দেখি বিষের বোতল বের করে। হুসাইন মুখে দিতে যাচ্ছে।
সাথে সাথে আমি গিয়ে ঠাস ঠাস ঠাস দুটা থাপ্পড় দিলাম।
আর বলতে লাগলাম।
তুষারঃ দোস্ত তুই একটি মেয়ের জন্য বিষ খেতে যাচ্ছি।
হুসাইনঃ আমাকে মরতে দে। তুষার তুই সামনে থেকে সর।
তুষারঃ দোস্ত তুই যদি মরে যাস। সেই মেয়ে ঠিকি সুখে থাকবে। কিন্তু তোর মা বোন বাব। কে দেখবে?
হুসাইনঃ নিশ্চুপ
তুষারঃ আমার মাথায় হাত দিয়ে বল। আর কেনোদিন আত্মা হত্যা করবি না।
হুসাইনঃ আচ্ছা আর করবো না।
তুষারঃ এই ছিলো। হুসাইন আর সুমাইয়ার প্রেম কাহিনী। বুঝতে পরলো মায়া।
মায়াঃ হুম।এখন আমি কি করবো বল?
তুষারঃ আর কিছুদিন ওর পিছনে লেগে থাক নাহলে পরে দেখা যাবে?
মায়াঃ ওকে?
তুষারঃ তুই থাক হুসাইন। গাড়িতে বসে আছে। আমি যায়!
তারপর তুষার আবার ফিরে আসলো?
আমিঃ কিরে এতক্ষণ কি করলি?
তুষারঃ এইতো একটু বুঝাতে সময় লাগলো?
আমিঃ ওও! আজকে আর ক্লাস করবো না! বাসায় চলে যাবো? সালার মুডটাই নষ্ট করে দিলো?
তুষারঃ ওকে চল! (বলেই তুষার আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে আসলো)
এভাবে কয়েকদিন চলে গেলো? আর মায়া পাগলের মতো আমার পিছনে পড়ে ছিলো? কিন্তু আমি বারেবারে সেই একই কথা?
মায়াকে যাই বলি না কেনো? ওও সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে নেয়? আর পাগলের মতো পিছে পড়ে আছে?
এক সকাল,
আমি কলেজে এসে তুষারের সাথে দেখা করলাম? তারপর ক্লাসে যাওয়ার সময় দেখা হয় মায়ার সাথে?
মায়াঃ হাই জানু, কেমন আছো?
আমিঃ দেখ মায়স আমি আগেও তোকে বলেছি যে আমাকে এভাবে রাগাবি না! আর যেটা সম্ভব না সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি সম্ভব না?
মায়াঃ কোনটা সম্ভব না?
আমিঃ তুই কখনো আমাদের মতো চলতে পারবি না! তাই তুই আমার পিছনে আসিস না প্লিজ?
মায়াঃ আমি তোমার জন্য সব করতে পারবো?
আমিঃ কি করতে পারবি তুই বল আমাকে? (কিছুটা রাগান্বিত হয়ে)
মায়াঃ তুমি যা বলবে সব করতে পারবো একবার বলে তো দেখো?
আমিঃ সব করবি তাই না! তাহলে চল? (বলেই আমি মায়া হাত ধরে টেনে ভার্সিটির বাহিরে নিয়ে আসলো?)
মায়াঃ জানু তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?
আমিঃ আগে যাই তারপরেই বুঝতে পারবি? আগে চল?
আমিঃ তুষার গাড়ি স্টার্ট দে?
তুষার গিয়ে গাড়ি স্টার্ট করলো? তারপর মায়াকে নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম?
তারপর মায়াকে নিয়ে ভিতরে গেলাম? গিয়ে আম্মুকে ডাকলাম?
আম্মুঃ কিরে এভাবে ডাকছিস কেনো?
আমিঃ কি করতেছো তুমি?
আম্মুঃ রান্না করতেছি?
আমিঃ তুমি গিয়ে রুমে রেষ্ট করো এখন মায়া রান্না করবে?
আম্মুঃ ঐ তোর মাথা ঠিক আছে ওও কেনো রান্না করতে যাবে? ওও কি রান্না করতে জানে নাকি?
আমিঃ ওও নাকি আমার জন্য সব করতে পারবে? তা কিছুদিন আমাদের সংসারের কাজ করুক তাহলেই ওর সব আবেগ জানালা দিয়ে পালাবে?
আম্মুঃ চুপ থাক তুই? মা তুমি যাও গিয়ে রেষ্ট করো? আর না খেয়ে যাবে না কিন্তু? আর ঐ তুষার তুই দাড়িয়ে কি দেখছিস মায়াকে নিয়ে যা রুমে?
আমিঃ আম্মু তুমি একটু চুপ থাকবে? আর সরো তুমি? (বলেই মায়া নিয়ে রান্নাঘরে গেলাম?)
আমিঃ নাও আজকে দুপুরের সব কাজ তুমি করবে? (মায়াকে উদ্দেশ্য করে) আর আম্মু তুমি ভুলেও হেল্প করতে আসবে না বলে দিলাম?
আম্মুঃ ঐ তুই কি করছিস এসব?
আমিঃ ভূত নামাইতাছি?
আম্মুঃ কিসের ভূত?
আমিঃ প্রেমের ভূত? তুমি এতসব বুঝবে না! তুমি রুমে যাও? (বলেই আম্মুকে রুমে ডুকিয়ে দরজাটা লক করে দিয়ে আসলাম)
আবার মায়ার এখানে চলে আসলাম?
আমিঃ কি হলো রান্না কর?
মায়া আমার দিকে ফেলফেল করে তাকিয়ে আছে?
আমিঃ কি হলো রান্না কর। সব না করতে পারবি? তাহলে কর আজ থেকে আমাদের সংসারের সব কাজ?
মায়া এবার রান্না শুরু করলো? তাই আমি তুষারকে নিয়ে টিভি দেখতে বসে গেলাম?
আর দুজনেই হাসতে লাগলাম! কিছুক্ষন পর মায়া আসলো?
মায়াঃ খাবার রেডি চলো খাবে?
আমি কিছুটা অবাক হলাম! তাও ওকে বুঝতে না দিয়ে বললাম?
আমিঃ খাবার রেডি করো আমরা আসতেছি?
মায়াঃ ওকে! জানু?
রাগি মুখ নিয়ে রুমে গেলাম! গিয়ে তুষার আর আমি ফ্রেশ হলাম! তারপর আম্মুকে ফ্রেশ হতে বললাম! আব্বুও চলে আসলো?
তারপর সবাই মিলে খেতে বসলাম! খাবার মুখে দিয়ে অবাক হয়ে গেলাম!
ভালোই রান্না করেছে! সবাই দেখলাম খাবারের প্রশংসা করতেছে? আর সেই প্রশংসা গুলো আমার গায়ে কাটা হয়ে বিধতে ছিলো? তাই খাবার রেখেই উঠে চলে গেলাম!
গিয়ে ফোন টিপতে লাগলাম! কিছুক্ষন পর হঠ্যাৎ রুমে কেউ আসার আওয়াজ পেলাম! তাকিয়ে দেখি মায়া হাতে খাবারের প্লেট?
মায়াঃ কি হলো না খেয়ে চলে আসলে কেনো?
আমিঃ খেতে মন চাইতেছে না তাই?
মায়াঃ ওলে আমার পিচ্চি বরটা বলে কি? বুঝচ্ছি আমার হাতে খাবে বলে এভাবে না খেয়ে চলে এসেছে?
আমিঃ ঐ ডং টা একটু কম করবি?
মায়াঃ আচ্ছা নাও এবার লক্ষি ছেলের মতো খেয়ে নাও? (মুখের সামনে লুকমা ধরে বললো)
আমিঃ না তুই খা তোর খাবার আমি খাবো না!
মায়াঃ প্লিজ খেয়ে নাও?
আমিঃ না বললাম না!
মায়াঃ প্লিজ জানু প্লিজ খাবারের উপর রাগ করে থাকতে নেই?
আমিঃ আমার খিদে নেই?
মায়াঃ প্লিজ খেয়ে নাও?
আমিঃ না বললাম তো?
তারপর মায়া যা করলো তাতে আমি পুরোই অবাক হয়ে গেলাম!
মায়া- ঠাসসসসসসসস! (মায়া আমার গালে চড় বসিয়ে দিলো) খেতে বলছি খা? (বলেই মুখে ভাত পুড়ে দিলো?)
আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম! আর ভাত খেতে লাগলাম!
মায়াঃ সোজা করে বলতেছি কানে যায় না! এবার বাকা করেই ছাড়লি? ভালো করে বললে কথা শুনবি নাহলে লাথ্থি মেরে কথা শুনাবো মনে রাখিস?
এসব বলতেছিলো আর আমাকে ভাত খায়িয়ে দিতে লাগলো? আর আমি শান্ত ছেলের মতো খেতে লাগলাম!
হঠ্যাৎ দরজার দিকে নজর যেতেই দেখলাম তুষার দাড়িয়ে-দাড়িয়ে হাসতেছে?
আমিঃ সালা এসবের কারণে তুই দায়ি?
তুষারঃ আমি আবার কি করলাম?
আমিঃ তুই এখানে দাড়িয়ে কি করতেছিস?
তুষারঃ এই যে তোর বউ তোকে খায়িয়ে দিতেছে সেটাই দেখতেছিলাম?
আমিঃ ঐ আমি বিয়ে করলাম কবে?
তুষারঃ তা তো জানি না! তবে এতো আদর করে বউ আর মা বাদে কে খাওয়ায় বল?
আমিঃ তুই গেলি না এখন গ্লাস দিয়ে মারবো? (বলেই গ্লাসটা হাতে নিলাম! আর তুষার চলে গেলো)
আর এদিকে মায়া আমাকে খায়িয়ে দিয়ে সব কিছু ঠিকঠাক গুছিয়ে ফেললো?
প্লেট নিয়ে বাহিরে যাওয়ার আগে আমার গালে একটা কিস করে চলে গেলো?
আমি অবাক হয়ে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলাম! কিছুক্ষন পর আবার মায়া রুমে আসলো?
মায়াঁ- কি হলো তুমি এখনো ঘুমাও নি?
আমি রাগে কোনো কথাই বললাম না?
মায়াঃ ওওলে বাবুটা রাগ করছে রে? রাগ করো না প্লিজ?
আমি তাও কিছুই বললাম না!
মায়াঃ আসো আমি ঘুম পাড়িয়ে দেই?
আমিঃ না আমি এখন ঘুমাবো না!
মায়াঃ তাহলে আমাকে এখন আদর করো একটু?
আমিঃ না আমি এখন ঘুমাবো?
মায়াঃ এখন না বললে ঘুমাবে না!
আমিঃ এখন ঘুম পেয়েছে তাই ঘুমাবো?
মায়াঃ ওলে আমার বর টা তো দেখি অনেক অভিমানী?
আমিঃ ঐ তোমার বর কে?
মায়াঃ আমার সামনে যে বসে আছে সে?
আমিঃ আমি কারো বর না! আমি এখনো বিয়ে করি নি? তাই এই নামে ডাকবি না?
মায়াঃ ওলে এত অভিমান আমার বরের? আর কত্ত কিউট লাগে অভিমান করলে তা আজকে না আসলে দেখতেই পেতাম না!
আমিঃ থূর? (বলেই শুয়ে পড়লাম!)
আর মায়া মাথার কাছে বসে মাথায় হাত বুলাতে লাগলো?
তাই কিছুক্ষন এর মাঝেই হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে?
ঘুম ভাঙ্গলো সন্ধায়? আশেপাশে তাকিয়ে দেখি মায়া নেই? তাই উঠে ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িংরুম এ দেখলাম তাও নেই?
যাক শান্তি হলো মনটা? কিছুক্ষন পর আম্মু তার রুম থেকে বেড়োলো?
আমিঃ আম্মু বোমটা কই?
আম্মুঃ বোম কে?
আমিঃ মায়া কই?
আম্মুঃ মায়া তো?
চেয়েছিলাম ভালোবাসতে কিন্তু কখন যে বিরক্তিকরের কারণ হয়ে গিয়েছি বুঝতে পারি নাই প্রিয়।
লেখা – Md Anwar Hussain
চলবে
(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “ধনীর মেয়ের সাথে সম্পর্ক (১ম খণ্ড) – বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)
আরো পড়ূন – ধনীর মেয়ের সাথে সম্পর্ক (২য় খণ্ড) – বন্ধুত্ব থেকে প্রেম