ধনীর মেয়ের সাথে সম্পর্ক (২য় খণ্ড) – বন্ধুত্ব থেকে প্রেম: রুমে ডুকতেই ও দরজাটা লাগিয়ে দিলো? আর তখনই কয়েকজন লোক মিলে আমাকে উড়াধুরা মারতে লাগলো? আমি বুঝতেছিলাম না ওরা কারা বা কেনোই মারতেছে আমাকে?
বন্ধুত্বের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?
পর্ব ৫
মায়া মাথার কাছে বসে মাথায় হাত বুলাতে লাগলো?
তাই কিছুক্ষন এর মাঝেই হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে?
ঘুম ভাঙ্গলো সন্ধায়? আশেপাশে তাকিয়ে দেখি মায়া নেই? তাই উঠে ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িংরুম এ দেখলাম তাও নেই?
যাক শান্তি হলো মনটা? কিছুক্ষন পর আম্মু তার রুম থেকে বেড়োলো?
আমিঃ আম্মু বোমটা কই?
আম্মুঃ বোম কে?
আমিঃ মায়া কই?
আম্মুঃ মায়া তো?
আম্মুঃ মায়া তো চলে গেছে?
আমিঃ তাই নাকি কখন?
আম্মুঃ অনেক্ষণ ই তো হলো?
আমিঃ যাক বুঝচ্ছে তাহলে? আপদ বিদায় হয়েছে?
আম্মুঃ ঐ তুই মেয়েটার সাথে এমন করলি কেনো?
আমিঃ আম্মু তুমি এতো। (কলিং বেইলটা বেজে উঠলো)
আম্মুঃ এখন আবার কে এলো?
আমিঃ দেখো গিয়ে?
আম্মুঃ হুম! (বলেই আম্মু গিয়ে দরজা খুলে দিলো?)
দরজা খুলতেই আমি চমকে গেলাম? মায়া এসেছে তাও হাতে ব্যাগ আর টেডিবিয়ার নিয়ে?
মনে হয় একেবারের জন্য চলে এসেছে?
আম্মুঃ আরে মা আয় আয়? (আম্মু)
মায়াঃ হুম! (বলেই বাসায় ডুকে গেলো)
আমিঃ ঐ তুই আবার আসলি কেনো?
মায়াঃ এটা এখন আমার বাড়ি. আমার যখন মন চায় তখন আসবো তাতে তোমার কি?
আমিঃ এটা তো আমার বাড়ি তোর হলো কবে থেকে?
মায়াঃ যা তোমার তাইতো আমার? কারণ তুমি ই তো আমার স্বামী?
আমিঃ দেখ মায়া তুই কিন্তু বাড়াবাড়ি করছিস?
মায়াঃ তুই চুপ থাক? (ঝাড়ি মেরে বললো)
আমিঃ ওকে আমিও দেখবো তুই এখানে কিভাবে থাকিস?
মায়াঃ ওকে?
আমি রাগ করে বেড়িয়ে গেলাম বাসা থেকে? ফোন দিলাম তুষারকে?
আমিঃ কিরে তুই কই?
তুষারঃ বাসায়! কেনো?
আমিঃ এখনি মজীবনগর পার্কে আয় কথা আছে? (বলেই ফোনটা কেটে দিলাম?)
কিছুক্ষণের মধ্যেই তুষার চলে আসলো? তারপর ওকে সব খুলে বললাম?
তুষারঃ তো এখন কি করবি?
আমিঃ আঙ্কেল আন্টির কাছে যাবো? ওনাদের বুঝিয়ে বললে? ওনারা গিয়ে ওকে নিয়ে আসবে?
তুষারঃ ওকে? যেমন তোর ইচ্ছা?
আমিঃ হুম! চল এখনই যাবো?
তুষারঃ এখন?
আমিঃ হুম! চল?
তুষারঃ ওকে? (বলেই দুজনে চলে গেলাম মায়াদের বাসায়)
আমিঃ আঙ্কেল কেমন আছেন?
মায়ার আব্বুঃ হুম ভালোই তা তোমার কি খবর?
আমিঃ এতই তো ভালোই? তবে আপনার সাথে আমার কথা আছে?
মায়ার আব্বুঃ কি কথা বলো?
আমিঃ আঙ্কেল মায়া এসব কি শুরু করেছে? আর আপনারাও ওকে কিছুই বলতেছেন না!
মায়ার আব্বুঃ তুমি জানো না ওও কি রকম! ওও বুঝানোর মতো কেউ আছে নাকি?
আমিঃ অন্য ব্যাপারে হলে ওকে ছিলো? কিন্তু এটাতো ওর লাইফের প্রশ্ন? এখন না বললে কি হবে?
মায়ার আব্বুঃ ওও যা করতেছে তাতে ভুল কি?
আমিঃ আপনি ও এই কথাই বলতেছেন?
মায়ার আব্বুঃ দেখো আমার মেয়ের ভালো সে নিজেই বুঝে? তাই এখানে আর আমরা কি বলবো?
আমিঃ তাই বলে।
মায়ার আব্বুঃ মেনে নাও মায়াকে? আমরা আমাদের সব সম্পত্তি তোমার নামে লিখে দিবো?
আমিঃ তুষার উঠ? বুঝে গেছি কামাড়ের দোকানে কোরআন পড়ে লাভ নেই?
বলেই চলে আসলাম সেখান থেকে! তারপর আবার সেই পার্কে এসে বসলাম!
তুষারঃ আচ্ছা রে! তুই কি বলতো? মেনে নে মায়াকে?
আমিঃ আরে তুই একই কথা বলতেছিস?
তুষারঃ কি সমস্যা? বল আমাকে?
আমিঃ আরে আবেগ পড়ে এসব করতেছে? কিছুদিন পর শেষ হয়ে গেলে তখন সব সমস্যার শুরু হবে?
তুষারঃ এসব কিছুই হবে না! ওও তোকে মন থেকে ভালোবাসে?
আমিঃ না! এটা ওর আবেগই? তুই দেখতে থাক আরো কিছুূদিন পাড় হলেই দেখবি ওর সবকিছু শেষ হয়ে গেছে?
তুষারঃ ওকে দেখ তুই! তবে আমি সিওর ওও তোর জন্য সব করবে? আর তোকে পেয়েই ছাড়বে?
আমিঃ তোর ওও মাথা নষ্ট হয়ে গেছে এখন চল বাসায়?
তুষারঃ হুম! (বলেই তুষার আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে সে চলে গেলো)
মায়াঃ আসতে এত লেইট হলো যে?
আমিঃ এমনি! আর তুই এখনো এই বাড়িতে কি করছিস?
মায়াঃ এমনি?
আমিঃ আমার উত্তর আমাকে রিপ্লে করছিস? ভালো?
মায়াঃ হুম! এখন তাড়াতারি এসে ফ্রেশ হয়ে নাও? খাবে?
আমিঃ না! আমার খিদে নেই?
মায়াঃ খেতে আয় বলছি? (চোখ রাঙ্গিয়ে বললো)
আমিঃ হুম! আসতেছি? (বলেই ভিতরে চলে গেলাম)
আর দেখি মায়া হাসতেছে? কিছু না বলে চলে গেলাম ভিতরে?
আমি বুঝি না! ওর পাগলামিতে সবাই এভাবে সায় দিতাছে কেনো? ওরা পাগল না আমি পাগল এটাই বুঝতাছি না! এসব ভাবতে ভাবতে ফ্রেশ হয়ে আসলাম!
মায়া রুমে আসলো? এসেই আমার পাশে বসে পড়লো?
মায়াঃ কি সাহেব আজকে এত কিউট লাগতেছে কেনো আপনাকে?
আমিঃ পাম দিস না প্লিজ?
মায়াঃ সত্যি বলতাছি? তুই আজকে মাশাআল্লাহ?
আমিঃ সরে বস এখান থেকে? আমার মাথা ব্যাথা করতেছে?
মায়াঃ তাহলে তুই শুয়ে পড় আমি তোর মাথায় মলম দিয়ে দিচ্ছি?
আমিঃ লাগবে না! তুই যা তাহলেই হবে?
মায়াঃ ওকে? তবে রাতে পালাবা কই জানু?
আমিঃ রাতে পালাবো কেনো?
মায়াঃ কারণ রাতে তুমি আর আমি একখাটে থাকবো?
আমিঃ কিহ! তোর মাথা ঠিক আছে?
মায়াঃ হুম ঠিক আছে? তাইতো রাতে আমি আমার স্বামীর সাথে একখাটে থাকবো?
আমিঃ মায়া এদিকে আয়? (কাছে ডাকলাম ওকে)
মায়াঃ কেনো?
আমিঃ আয় না প্লিজ?
মায়াঃ হুম বল? (আমার পাশে বসে গেলো)
আমিঃ মায়া তুই না লক্ষি মেয়ে এমন পাগলামি কেনো করতেছিস! দেখ তোকে তোর থেকে বেশি আমি বুঝি? তাই তোর ভালোর জন্যই বলতেছি?
একটা ভালো বড়লোক ছেলে দেখে বিয়ে করে সুখের সংসার কর! আর এতে তোর ভালোই হবে?
মায়াঃ আমি আমার ভালোটা বুঝি তাই প্লিজ আমাকে জ্ঞান দিতে এসো না প্লিজ জানু?
আমিঃ মায়া তুই আমার কথাটা রাখ প্লিজ?
মায়াঃ ঐ তুই গুরুজন দের মতো এভাবে বলছিস কেনো?
আমিঃ দেখ আমি জানি এটা তোর আবেগ তাই আবেগটা সামলা আর তুই নিজেও একটু চালাক হও? বোকামি করে পরে জীবনটা শেষ হবে তোর?
মায়াঃ আমার হবে তাতে তোমার কি? এখন চুপ থাকো নাহলে কিস দিয়ে মুখ অফ করিয়ে দিবো! বলে দিলাম?
আমিঃ ওকে! কিন্তু আমাকে পাবি না এটা বলে দিলাম?
মায়াঃ আচ্ছা আমিও দেখবো তুমি কিভাবে নিজেকে ধরে রাখো?
আমিঃ ওকে?
মায়া ঢেং ঢেং করে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো?
আর আমি মোবাইলটা হাতে নিয়ে টিপতে লাগলাম? আর গান শুনতে লাগলাম!
কিছুক্ষন পর মায়া আবার আসলো?
মায়াঃ জানু খাবে না!
আমিঃ না! বাহির থেকে খেয়ে এসেছি?
মায়াঃ মিথ্যা বলো কেনো? আমি জানি তুমি আজকে আমাদের বাসায় গিয়েছিলে? সেখান থেকে মুজিবনগর পার্কে গিয়ে টাইম পাস করে বাসায় চলে এসেছো?
আমিঃ তোকে এসব কে বললো?
মায়াঃ অর্ধেক টা আব্বু আর অর্ধেক টা তুষার?
আমিঃ ওও! আমার পেটে ক্ষুধা নেই?
মায়াঃ আসবি তুই নাকি আবার মারতে হবে কোনটা?
আমিঃ যাবো না আমি। যা তুই?
মায়াঃ তুই যাবি না তোর চৌদ্দগুষ্ঠি যাবে? (বলে কলারে ধরে টান দিয়ে খাট থেকে নামিয়ে নিচে নিয়ে গেলো)
মায়ার সাহস দেখে আমি অবাক হলাম! কি সাহস মেয়েটার! তাও খেয়ে দেয়ে উপরে চলে আসলাম?
কিছুক্ষন পর মায়া হাসতে-হাসতে রুমে ডুকলো? আর আমার পাশে বসে গেলো?
আমিঃ কি হলো এভাবে হাসছিস কেনো?
মায়াঃ আমার বাবুটা রাগ করছে আমার উপর তাই?
আমিঃ তুই যা অন্য রুমে আমি এখন ঘুমাবো?
মায়াঃ আমি যাবো কেনো?
আমিঃ তাহলে তুই থাক আমিই গেলাম? (বলেই বাহির হতে যাবো তখনই মায়া আমার হাতটা ধরে ফেললো)
মায়াঃ কই যাও চান্দু?
আমিঃ তুই থাক আমি গেলাম পাশের রুমে?
মায়াঃ বউ থাকবে এক রুমে আর স্বামী থাকবে আরেক রুমে তা তো হবে না? (বলেই এক টানে খাটে ফেলে দিলো)
তারপর ওর ওরনা দিয়ে আমার হাত-পা বেধে ফেললো!
আমিঃ ঐ তুই হাত-পা বাধলি কেনো?
মায়াঃ তুমি যেনো অন্য রুমে না যেতে পারো তাই?
আমিঃ তোর।
তাকে বারবার বলতে হবে কেনো?
সে কি জানে না!
তার সাথে কথা বললে আমার
আমার খুব কষ্ট হয়!
আরো পড়ুন – তবুও তোমাকেই চাই (১ম খণ্ড) – আবেগের ভালোবাসার গল্প
বন্ধুত্বের ভালোবাসা গুলো এমনই হয়।
পর্ব ৬
কিছুক্ষন পর মায়া হাসতে-হাসতে রুমে ডুকলো? আর আমার পাশে বসে গেলো?
আমিঃ কি হলো এভাবে হাসছিস কেনো?
মায়াঃ আমার বাবুটা রাগ করছে আমার উপর তাই?
আমিঃ তুই যা অন্য রুমে আমি এখন ঘুমাবো?
মায়াঃ আমি যাবো কেনো?
আমিঃ তাহলে তুই থাক আমিই গেলাম? (বলেই বাহির হতে যাবো তখনই মায়া আমার হাতটা ধরে ফেললো)
মায়াঃ কই যাও চান্দু?
আমিঃ তুই থাক আমি গেলাম পাশের রুমে?
মায়াঃ বউ থাকবে এক রুমে আর স্বামী থাকবে আরেক রুমে তা তো হবে না? (বলেই এক টানে খাটে ফেলে দিলো)
তারপর ওর ওরনা দিয়ে আমার হাত-পা বেধে ফেললো!
আমিঃ ঐ তুই হাত-পা বাধলি কেনো?
মায়াঃ তুমি যেনো অন্য রুমে না যেতে পারো তাই?
আমিঃ তোর।
আমিঃ তোর মতলব টা কি বলতো?
মায়াঃ পাগলটার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবো?
আমিঃ ঐ আমি পাগল?
মায়াঃ হুম! তুমি আমার পাগল? আর আমি তোমার পাগলি?
আমিঃ ছাড় আমাকে? আমি কারোর পাগল হতে পারবো না?
মায়াঃ আজকে কোনো ছাড়া-ছাড়ি নেই একেবারে সকালে ছাড়বো তোমাকে কলিজা?
আমিঃ দেখ পাগলামি করিস না? পাগলামি করে ভালোবাসা হয় না?
মায়াঃ কিভাবে ভালোবাসতে তা আমি ভালোভাবে জানি?
আমিঃ আচ্ছা আমি অন্যরুমে যাবো না! এবার বাধনটা খুলে দে?
মায়াঃ ওয়াদা দে যে বাধন খুলে দিলে তুই আমাকে তোর বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে দিবি? আর অন্য রুমেও যাবি না?
আমিঃ আচ্ছা ওয়াদা দিলাম?
মায়াঃ আরো একটা ওয়াদা দিতে হবে?
আমিঃ কি ওয়াদা?
মায়াঃ বেশি না তোর বুকে যখন মাথা রাখবো তখন তুই আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরবি?
আমিঃ আমি পারবো না?
মায়াঃ তাহলে আর কি সারারাত এভাবেই পড়ে থাক?
আমিঃ দেখ তুই যেটা বলতেছিস সেটা কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ?
মায়াঃ ওরে আমার ইসলামিক জামাই রে? আপনি এত বুঝতে কে বলেছে?
আমিঃ দেখ ছাড় আমাকে?
মায়াঃ তাহলে আমাকে ওয়াদা দে যেগুলো বলছি সেগুলা করবি?! ?
আমিঃ কখনোই না?
মায়াঃ তাহলে আমিও সরি? (বলেই মায়া আমার বুকে মাথা রেখে শুয়ে গেলো)
আমিও ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলাম! কিছুক্ষন পর ঘুমিয়ে গেলাম?
মাজরাতে সজাক হয়ে গেলাম? তাকিয়ে দেখি হাতের বাধনটা খুলা আর আমি মায়াকে জাড়িয়ে ধরে আছি?
তাই তাড়া-তাড়ি ওকে ছেড়ে দিলাম? আর ওর মায়াবি মুখটা দেখতে লাগলাম? আসলেই অনেক মায়াবি ওর মুখটা?
কিন্তু এই মুখের হাসিটা সারাজিবন থাকবে না যদি এই বাড়িতে বউ হয়ে আসে?
কিন্তু ওও তো এটা বুঝতেই চাইতেছে না। পাগল মেয়ে একটা? বুঝ কবে যেনো হবে আল্লাহই জানে?
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম? সকালে মায়ার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো?
আমিঃ কি হলো ডাকছিস কেনো?
মায়াঃ উঠে চা খেয়ে আমাকে উদ্ধার করেন?
আমিঃ খাবো না আমি? আর তুই যা এখন আমি ঘুমাবো?
মায়াঃ ঐ উঠ বলছি নাহলে পানি এনে গায়ে ঢেলে দিবো?
আমিঃ বাসায় এসেই টর্চার শুরু করে দিয়েছিস? আর যদি তোকে বিয়ে করি তাহলে কি করবি আল্লাহ জানে? তাই আর যাই হোক না কেনো তোকে তো আমি বিয়ে করবো না?
মায়াঃ সেটা পড়ে দেখবো এখন উঠ তাড়াতাড়ি?
আমিঃ হুম উঠতাছি! (বলেই উঠে বসলাম)
মায়াঃ হুম গুড বয়? এখন তাড়াতাড়ি করে চা খেয়ে উঠে বাজারে যাও?
আমিঃ তুই এভাবে অর্ডার করছিস কেনো?
মায়াঃ কারণ আমি এই বাড়ির বউ আর তোর কলিজা?
আমিঃ আমি মানি না?
মায়াঃ তুই না মানলে কি হইবো? আব্বু-আম্মু তো মেনে নিয়েছে? এখন আর কোনো সমস্যা নেই?
আমিঃ তোকে নিয়ে সংসার কে করবে?
মায়াঃ তুই?
বিঃদ্রঃ। যেই সমস্ত পাঠক পাঠিকা রা। ইনবক্সে বলতেছেন। গল্প দিতে দেরি করি কেনো? তাদের বলছি। গল্প লিখা এটা আমার শখ। যখন ইচ্ছা আমি গল্প লিখে পোস্ট করি।
কিন্তু আমি কি আপনাদের সাথে টাকা নিয়ে গল্প আপলোড দিয়। তাই আপনারা ইনবক্সে আমাকে গালি দিবেন?
যদি আপনাদের টাকায় গল্প লিখতাম তাহলে আপনারা গালি দিতে পারতেন।
আমি যেই আইডিতে গল্প পোস্ট করি। গতকাল একসাথে ১৬ জন কে ব্লক করেছি।আশা করি সামনে থেকে ইনবক্সে গালি দিলে গল্প লিখা বাদ দিবো। এবং যে গালি দিবে তাকে ব্লক করবো।যারা কথা বলতে চান ভালো মনে তারা ইনবক্সে লক করে কথা বলবেন। তাদের কেনো সমস্যা নাই।
এই গল্পটি অনেক বড় করার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু আপনারা আমার মন ভেঙ্গে দিয়েছেন। তাই আগামী পর্বে গল্প শেষ করে দিবো ইনশাআল্লাহ!
এবার গল্পে আসা যাক!
আমিঃ তোকে নিয়ে সংসার কে করবে?
মায়াঃ তুই?
আমিঃ আমার তো ঠেকা পড়ছে যে তোকে নিয়েই সংসার করতে হবে? দুনিয়াতে আর কোনো মেয়ে নাই?
মায়াঃ তুই আমাকে নিয়েই সংসার করবি? আর কাউকে নিয়ে সপ্ন দেখলে তোকে মারবো প্রথমে তারপর নিজে মরবো মনে রাখিস?
আমিঃ তোকেই দিয়েই সম্ভব?
মায়াঃ কি সম্ভব?
আমিঃ মানুষ মারা তোকে দিয়েই সম্ভব?
মায়াঃ ঐ চুপ করে চা খা আর তাড়াতাড়ি বাজারে যা?
আমিঃ হুম? (বলেই চা খেয়ে ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম বাজারে)
বাজার করে বাসায় এসে আম্মুর কাছে ব্যাগ দিয়ে হাত পা ধুয়ার জন্য ওয়াশরুমে যেতেই চমকে গেলাম?
মায়া কাপড় ধুইতেছে? আর কেমন যেনো অগুছালো হয়ে বসে আছে? বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এর এটাই শেষ নয়।
ওকে দেখে আমি আর হাসি থামাতে পাড়লাম না? তাই হো হো করে হেসে উঠলাম?
মায়াঃ কি হলো হাসছিস কেনো?
আমিঃ তোকে দেখে?
মায়াঃ কেনো?
আমিঃ এই যে এত বড় লোকের মেয়ে হয়ে যে কাপড় কাচতেছিস? আর তাও কেমন অগুছালো হয়ে পাগলের মতো?
মায়াঃ ঐ আমি এখন বড়লোকের মেয়ে না?
আমিঃ তাহলে তুই কি?
মায়াঃ আমি হুসাইনের বউ আর এই বাড়ির লক্ষি বউ?
আমিঃ ওরে খোদা এই পাগলরে একটু বুঝ দাও?
মায়াঃ হুম! বুঝ আমার আছে? তা তুই এখানে কেনো?
আমিঃ হাত-পা ধুতে এসেছি?
মায়াঃ সত্য বলছিস নাকি আমাকে দেখতে চলে এসেছিস?
আমিঃ পেত্নী দেখার আমার এত সখ নাই? সর তুই? (বলেই হাত -পা ধুয়ে বাহিরে আসতে যাবো?)
তখনই মায়া টেনে ধরলো পিছন থেকে? আর দেয়ালের সাথে চাপিয়ে ধরলো?
আমিঃ কি হলো এভাবে টেনে আছিস কেনো?
মায়াঃ তুই একটু হেসে কথা বললে কি হয়?
আমিঃ অনেক কিছুই হয়? ছাড় আমাকে?
মায়াঃ না তুই এখন আমাকে একটু আদর করবি নাহলে দেখেছিস তুই এখন কোথায় আছিস?
আমি তাকিয়ে দেখি মাথার উপরে ঝর্নার লাইনটা?
তারপর মায়া আবার বলতে লাগলো
মায়াঃ ঝর্ণা টা ছাড়লেই দুজনে ভিজে যাবো? তাই আদর করা ছাড়া কোনো উপায় নেই তোর কাছে? (বলেই মায়া আমার এতটা কাছে চলে এসেছে যে আমাদের মাঝে বিন্দু মাত্র ও গেপ নেই?)
আমিঃ দেখ এটা কিন্তু ঠিক?
মায়াঃ ইসক অর জাং মে সাবকোচ জায়েজ হোতা হে মেরি জান?
আমিঃ কিহ?
মায়াঃ হিন্দিতে একটা ডায়লক দিলাম?
আমিঃ কি বললি?
মায়াঃ কানটা কাছে আন তারপর বলতাছি?
আমিঃ হুম এবার বল? (কানটা ওর কাছে নিয়ে বললাম)
মায়াঃ বলছি যে প্রেম আর যুদ্ধে সবকিছুই সঠিক? (বলেই আমার গালে কানে একটা ছোট্ট করে কামড় দিলো)
আমিঃ আওওও?
মায়াঃ এবার আদর কর নাহলে সারা শরীর কামড়ে দিবো?
আমিঃ দিচ্ছি-দিচ্ছি? বল কি করতে হবে?
মায়াঃ তোর যা করতে মন চায় তোর?
আমিঃ ওকে? (বলেই ওর কপালে হালকা করে একটা চু*মু একে দিলাম?)
আমিঃ হইছে তো এবার ছাড়?
মায়ার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখ আগুনের মতো লাল হয়ে আছে? বিষয়টা বুঝতেছি?
মায়াঃ ঐ কুত্তা তোরে আমি কি করতে বলছি আর তুই কি করলি এটা?
আমিঃ আদর করছি? (ভয়ে ভয়ে বললাম)
মায়াঃ এভাবে কি বউকে কেউ আদর করে?
আমিঃ দেখ তুই আমার বউ না তাই এর থেকে বেশি আশা করিস না?
মায়াঃ হুম তাইতো আমি কে তোর? আমি তো পাগল তাই এসব করতেছি? পাগল না হলে করতাম নাকি এসব? আর তুই তো পাশান একটা? (মায়া কাদো কাদো মুখ করে বললো)
আমিঃ বাহ তুই এত তাড়াতাড়ি বুঝে যাবি আমি আগে কখনো ভাবি নি? (বলেই ওয়াশ রুম থেকে বেড়িয়ে গেলাম)
আসার সময় মায়ার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ওর মুখ আবারো লাল হয়ে গেছে? তাই বেড়িয়ে সোজা চলে গেলাম নাস্তার টেবিলে?
নাস্তা করে এসে রুমে ঢুকতেই দেখি মায়া মুখ ফুলিয়ে বসে আছে? তাই আমিও কোনো কথা না বলে খাটে বসে মোবাইল টিপতে লাগলাম?
মায়া বিছানা থেকে নেমে আমার পিছনে গিয়ে দাড়ালো? তারপর আমার মাথায় হাত বুলাতে লাগলো?
আমিঃ কি হলো এরকম করছিস কেনো?
মায়াঃ যাওয়ার সময় কি বলে গিয়েছিলে?
আমিঃ কোন সময়?
মায়াঃ মনে নেই! ওয়াশরুম এ আমাকে কি বলে গিয়েছিলে?
আমিঃ তুই ধিরে ধিরে বুদ্ধিমান হইতাছত? এটাই বলে গেলাম?
মায়াঃ আমি ঐ কথাগুলো কেনো বলছিলাম জানিস?
আমিঃ না! কেনো?
মায়াঃ কারণ এগুলো বললে তোর একটু মায়া হবে আর তুই আমাকে সিমপিথি দিবি? কিন্তু কুত্তা তুই তো একটুও দরদ দেখালি না!
আমিঃ তো এখন কি করবো আমি?
মায়াঃ তোর কিছুই করতে হবে না যা করার আমিই করবো?
আমিঃ কেনো কি করবি তুই?
মায়াঃ এটা করবো। (বলেই!
আরো পড়ুন – ভালোবাসি – পারিবারিক প্রেম কাহিনী
এই পর্বে থাকছে – “ভালোবাসা গভীর করার উপায়।”
পর্ব ৭ (অন্তিম)
মায়া বিছানা থেকে নেমে আমার পিছনে গিয়ে দাড়ালো? তারপর আমার মাথায় হাত বুলাতে লাগলো?
আমিঃ কি হলো এরকম করছিস কেনো?
মায়াঃ যাওয়ার সময় কি বলে গিয়েছিলে?
আমিঃ কোন সময়?
মায়াঃ মনে নেই! ওয়াশরুম এ আমাকে কি বলে গিয়েছিলে?
আমিঃ তুই ধিরে ধিরে বুদ্ধিমান হইতাছত? এটাই বলে গেলাম?
মায়াঃ আমি ঐ কথাগুলো কেনো বলছিলাম জানিস?
আমিঃ না! কেনো?
মায়াঃ কারণ এগুলো বললে তোর একটু মায়া হবে আর তুই আমাকে সিমপিথি দিবি? কিন্তু কুত্তা তুই তো একটুও দরদ দেখালি না!
আমিঃ তো এখন কি করবো আমি?
মায়াঃ তোর কিছুই করতে হবে না যা করার আমিই করবো?
আমিঃ কেনো কি করবি তুই?
মায়াঃ এটা করবো। (বলেই!
মায়াঃ এটা করবো? (বলেই আমার চুলগুলো পিছনের দিকে টেনে ধরলো)
চুলগুলো টানতেই মাথাটা উপরের দিকে আর মায়ায় তার মাথাটা নিচের দিকে নামিয়ে আমার চুলগুলো আকড়ে ধরে আমার ঠোটগুলো কে কামড়ে ধরলো?
আর সমানে চু*মু আকতে থাকে? আর ওর চুলগুলো ছাড়া ছিলো তাই চুলগুলো নিচের দিকে ঝুকে পড়ে আমার মুখটা চারদিক থেকে ঘিরে রাখলো!
আর এতে মায়াও তার কাজও চালিয়ে গেলো? এভাবে কতক্ষণ ছিলাম তা বলতে পারবো না
হঠ্যাৎ মায়া আমাকে ছেড়ে দিয়ে দিলো এক দৌড় সোজা চলে গেলো বাহিরে?
আর আমি ভাবতে লাগলাম এতক্ষণ আমার সাথে কি হলো? কি কঠিন সময় গেলো আমার? আরেকটু হলে শ্বাস আটকে মারা যেতাম?
যাই হোক এসব চিন্তা বাদ দিয়ে উঠে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে? ফ্রেশ হয়ে এসে চলে তুষারের এর কাছে?
তুষারঃ কিরে কি খবর?
আমিঃ পিছনে বাশ থাকলে না মানুষ খুব আরামেই থাকে?
তুষারঃ ওহ! তাহলে তো তুই ভালোই? তা এখানে আসতে বলার কারণটা কি বল?
আমিঃ আসলে মায়া তো আমাকে শেষ করে দিতেছে?
তুষারঃ কেনো কি করেছে মায়া?
আমিঃ তাহলে শুন? (বলেই তুষারকে সব খুলে বললাম)
তুষারঃ সবকিছু তো তোর কথা মতোই চলতেছে তাহলে সমস্যা কোথায়? ওও তো তোর বউয়ের মতো কাজ করে যাচ্ছে?
আমিঃ আরে ওর কষ্ট হইতেছে? তাও সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছে? কিছুদিন পর সহ্যের বাধ ভেঙ্গে গেলে তখন দিবে আরেক মোড়?
তুষারঃ তাহলে তুই আরো কিছুদিন দেখ? আর এদিকে ওর অভ্যাস হয়ে গেলে তখন নাহয় ওকে কবুল করে নিস?
আমিঃ ওকে? (বলেই ওর থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম)
এভাবে চলে গেলো কিছু দিন? পরিক্ষা শেষ করে একটা কোম্পানিতে চাকরি করি?
আর এদিকে মায়াও আমাদের ঘরের একটা মেয়ে হয়ে গেছে? সব চলাচল আমাদের মতোই?
কিন্তু কেনো জানি ওকে মেনে পারতেছি না?
এক সকালে,
তুষারঃ কিরে আর কতো ঘুমাবি?
আমিঃ তুই আসলি কখন?
তুষারঃ সবার সাথেই আসছি? তা উঠ সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করতেছে?
আমিঃ কিসের?
তুষারঃ আজকে তোর আর তানহার না বিয়ে তাই তো সবাই এসেছে উঠ তাড়াতাড়ি?
আমিঃ তোর মাথা ঠিক আছে আমি মায়াকে বিয়ে করবো?
তুষারঃ আবে উঠ তুই করবি তোর চৌদ্দগুষ্ঠি করবো। মেয়েটারে ফাউ আর কত খাটাবি? এবার তো মেনে নে?
আমিঃ মায়া কই ওর সাথে আমার কথা আছে?
তুষারঃ হুম তুই বস? আমি ওকে পাঠাচ্ছি? (বলেই তুষার চলে গেলো)
কিছুক্ষন পর মায়া আসলো?
মায়াঃ আমারে ডাকছিলি?
আমিঃ হুম?
মায়াঃ কেনো?
আমিঃ দেখ আমি এই বিয়েটা করতে পারবো না? কারণ আমি চাইনা তোর একটু পাগলামির জন্য তোর লাইফটা নষ্ট হয়ে যাক?
আমাকে বিয়ে করলে তোকে সারাদিন কাজ করতে হবে? আর যদি তুই এসব পাগলামি বাদ দিয়ে ভালো কোনো ছেলেকে বিয়ে করিস, তাহলে সেখানে তোর কথাই সব চলবে?
দেখ পাগলামি না করে এবার একটু বুঝতে শিখ? নাহলে সারাজীবন তোকে প্রস্তাতে হবে?
তাই বলতেছি যা গিয়ে বিয়েটা আটকে দিয়ে নিজের মতো করে বাচ? আর এই কয়েকদিনে তুই বুঝতে পেরেছিস যে মধ্যবিত্ত লাইফটা কত কষ্ট?
মায়াঃ দেখ আমি কিসে খুশি তা কি তুই আমার থেকে বেশি বুঝিস? (মায়ায় চোখগুলো ছলছল করতেছে)
আমিঃ দেখ পাগলামি করিস না!
মায়াঃ তুই কি খুশি আমি যদি বিয়েটা ভেঙ্গে দেই?
আমিঃ হুম?
মায়াঃ ঠিক আছে? (মায়া বলেই চলে গেলো)
কিছুক্ষণ পর তুষার রুমে আসলো?
তুষারঃ কিরে তুই কি বললি মায়াকে যে ওও বাহিরে গিয়ে বিয়ে করবে না বলতেছে?
আমিঃ আরে ওরে কিছুক্ষন বুঝি বললাম? ওও হয়তো বুঝতে পেরেছে?
তুষারঃ তোর কথায় ঘাবলা আছে রে?
আমিঃ কোনো ঘাবলা নেই? সবই তোর মনের ভুল?
তুষারঃ আচ্ছা তুই থাক আমি গেলাম? (বলেই তুষার চলে গেলো)
তারপর সারাদিন এভাবেই কেটে গেলো? মায়াও ও নিজের বাসায় চলে গেছে? বিকেলে তুষার কল দিয়ে দেখা করতে বললো?
আমিঃ কিরে ডাকলি কেনো? (রাজ)
তুষারঃ তোর সাথে কথা আছে? চল ঐ রুমটায় গিয়ে বসি? (সাকুয়াত)
আমিঃ হুম চল? (বলেই ওর সাথে একটা রুমে ডুকলাম)
রুমে ডুকতেই ও দরজাটা লাগিয়ে দিলো? আর তখনই কয়েকজন লোক মিলে আমাকে উড়াধুরা মারতে লাগলো? আমি বুঝতেছিলাম না ওরা কারা বা কেনোই মারতেছে আমাকে?
মেরে আমাকে একদম শুয়ে দিয়েছে?
তুষারঃ সালা ভালো ভাবে এতদিন বলছি কথা কানে নেস নাই? এখন কেমন লাগে বল? (সাকুয়াত)
আমিঃ তুষার তুই? এভাবে আমাকে মারতে পারলি?
তুষারঃ কালকে মায়াদের বাসায় যদি বিয়ের প্রস্তাব না পাঠাবি নাহলে একেবারে জানে মেরে দিবো?
আমিঃ …
তুষারঃ যদি নিজের ভালো চাস তাহলে এখনি ফোন করে মায়াকে বিয়ের কথা বল?
আমিঃ ….
তুষারঃ মেয়েটা না খেয়ে সারাদিন কাদতেছে? তাই এখন যেই মারগুলো দিলাম সেগুলো তার প্রতিশোধ?
আমিঃ ….
তুষারঃ এবার ফোন বেড় কর আর ফোন দে মায়া কে?
আমিঃ হুম দিতেছি? (বলেই পকেট থেকে ফোন বেড় করে ফোন দিলাম মায়াকে?)
মায়াঃ কি হলো আবার ফোন দিলি কেনো?
আমিঃ বিয়ে করবি আমাকে?
মায়াঃ কিহ!
আমিঃ বিয়ে করবি আমাকে?
মায়াঃ হুম! কিন্তু তুই তো সকালে না করে দিলি আমাকে?
আমিঃ ঐসব কথা বাদ এখন বল বিয়ে করবি কিনা?
মায়াঃ হুম? তুই যখন বলবি তখনই হবে বিয়ে! বল কখন বিয়ে করবি আমাকে?
আমিঃ পরশু! সারাদিন খেয়েছিস কিছু?
মায়াঃ হুম? তুই খেয়েছিস?
আমিঃ এখন কয়েকটা খা নাহলে আমাকে আরো খেতে হবে?
মায়াঃ কি খেতে হবে তোকে আরো?
আমিঃ তুই জেনে কি করবি? তুই খাওয়া-দাওয়া করে বিয়ের জন্য রেডি হ?
মায়াঃ আচ্ছা? (বলেই ফোনটা কেটে দিলো)
আমিঃ নে হয়েছে এবার?
তুষারঃ হুম তবে আরো একটা কথা?
আমিঃ কি কথা?
তুষারঃ বিয়ের ঠিক তিন মাসের মাথায় যদি সুখবর না আসে আমার কানে তাহলে আবার তোকে এমন আপ্যায়ন করা হবে বুঝলি? মানে মায়াকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে বুঝচ্ছস?
আমিঃ হুম?
তুষারঃ তাহলে এবার চল ডাক্তারের কাছে? মারগুলো হজম করাতে হবে?
তারপর কয়েকজন ধরে নিয়ে ডাক্তারের হালকা চিকিৎসা করিয়ে বাসায় দিয়ে আসলো?
দেখতে দেখতে বিয়েটা হয়ে গেলো?
সবাই অনেক খুশি শুধু আমি বাদে না জানি ভবিষ্যৎ কি হয় আমার জীবনে?
চিন্তা শুধু একটাই মায়া আবার বিরক্ত না হয়ে যায় এই মধ্যবিত্ত লাইফটাতে? কি যেনো হয় আমার জীবনে উপর ওয়ালাই জানে?
আসলে মায়াকে আমিও ভালোবাসি তবে হারানো ভয়ে কোনোকিছু স্বাভাবিক ভাবে ভাবতে পারি না?
মধ্যরাত্র এসব ভাবতেছিলাম ছাদে দাড়িয়ে তখনই পিছন থেকে আব্বু ডাক দিলো?
আব্বুঃ কি হলো এতো রাতে বাহিরে কি করো? বউমা ঘরে একা একা যাও ঘরে যাও?
আমিঃ হুম! (বলেই নিচে চলে আসলাম)
রুমে ডুকে দরজা লাগিয়ে দিলাম। পিছনে ফিরতেই মায়া আমাকে নিজের সব শক্তি দিয়ে জড়িয়ে ধরলো?
মায়াঃ ভালোবাসি হুসাইন তোকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি?
আমিঃ হুম আমিও বাসি? তবে কোনোদিন ছেড়ে যাবি না তো?
মায়াঃ ছেড়ে যাবো? তবে জীবন থাকতে না? মরার পর যাবো?
তারপর মায়াকে কোলে করে বিছানায় নামিয়ে দিলাম? আর ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম?
মায়াঃ কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?
আমিঃ এমনি?
মায়াঃ আদর করবি না আমাকে?
আমিঃ হুম?
মায়াঃ তাহলে তাকিয়ে না থেকে এখানে আয়? (বলেই মায়া আমাকে একটানে শুয়িয়ে দিলো?)
তারপর যা হলো আমি বলতে পারবো না? কারণ আমি এখনো সিঙ্গেল। তাই কিভাবে আদর করতে হয় আমি যানি না। যারা বিয়ে করেছেন।বুঝে নিয়েন তাদের সাথে।
১ ঘন্টা পরে।
মায়া আমার উপরে উপরে শুয়ে আছে? আর আমি মায়ায় মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেছে?
মায়াঃ একটা কথা বলবো হুসাইন?
আমিঃ হুম বল?
মায়াঃ তুই তো বিয়ে করবি না বলে সকালে না করে দিয়েছিলি তা বিকেলে আবার রাজি হলি কারণ টা কি বলতো?
আমিঃ ঐ কথাটাই আর বলিস না? ঐ বিকেলে তুষার আমাকে ফোন দিয়ে ডাকে। (তারপর সব বললাম মায়াকে)
মায়াঃ কিহ ওও আমার স্বামীরে মারছে রাখ ওর এখনি খবর নিতাছি? (বলেই মায়া তুষারকে ফোন দিলো)
মায়াঃ ঐ তুই হুসানরে মারলি কেনো?
তুষারঃ সোজা কথায় কাজ হইছিলো না তাই আঙ্গুলটা একটু বাকা করছিলাম আরকি? আর তোকে না ওয়াদা দিছিলাম যে কোনো ভাবেই হোক না কেনো হুসাইনকে তোর করে দিবো?
মায়াঃ যা করার করছোত এখন থেইকা আর কোনো কিছুই। করবি না? এখন থেকে ওও শুধুই আমার যা করার আমি করবো ওকে? বুঝচ্ছত?
তুষারঃ হুম? গুড নাইট এন্ড হ্যাপি মেরিড লাইফ? (বলেই ফোনটা কেটে দিলো)
মায়াঃ গুড নাইট? (বলেই ফোনটা রেখে দিলো)
তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরে গুমিয়ে গেলো মায়া? আমিও আস্তে-আস্তে হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে?
লেখা – Md Anwar Hussain
সমাপ্ত
(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “ধনীর মেয়ের সাথে সম্পর্ক (২য় খণ্ড) – বন্ধুত্ব থেকে প্রেম” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)
আরো পড়ূন – ধনীর মেয়ের সাথে সম্পর্ক (১ম খণ্ড) – বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা