Bangla Romantic Kobita: সেরা ১০ টি রোমান্টিক প্রেম ও ভালোবাসার কবিতা পড়ুন আর হারিয়ে যান প্রেমের অতল গহ্বরে। কবিতায় মেতে উঠুক মন সবসময়।
মায়া কিংবা নিমজ্জিত অন্ধকারে প্রবেশ
লেখাঃ- মঈনুল হোসেন ফাহাদ
একচুল পরিমাণ অবহেলা অনুভব করলে- অনুভূতি জমানোর,
কিংবা প্রকাশ করে পদ্মপাতার সৌন্দর্য নষ্ট করবার মত-
অজ্ঞ আমি নই।
জানি –
ভুলের উপরেই থাকি- ভুলে কিংবা ইচ্ছেতে,
তবুও সৌন্দর্য মাপতে জানি,
জানি পার্থক্য পড়তে।
একপাক্ষিক সৌন্দর্য নিয়েই চেয়েছি,
যতটুকু সম্ভব স্বার্থ ছাড়া,স্বার্থের বিষয়টা সামনে আসলে-
দূরত্ব মাপতাম – জানি এটাই সত্য।আমাকে যথেষ্ট চিনি আজকাল।
কতটুকু হতাশায় নিমজ্জিত থাকতে পারি,
সেটাও যাচাই করে যাচ্ছি – সময়কে সামনে রেখে,
মনযোগ দিয়ে।
আর মনযোগ দিয়ে মানুষকে বিশ্লেষণ করি বিধায়-
তোমার ছোটখাটো কথাও-
সুনিপুণ ছন্দে বসিয়েছি প্রতিটা সন্ধ্যায়।
জেনেছি বলবার মত কিছুই তোমার নেই।
সাহস কিংবা সরলতা।
তবুও আমি কিছু একটা দেখেছি!
আর দেখেছি বিধায়, বিসর্জন দিয়ে থাকবার চেষ্টা করেছি
কিংবা করি।
তুমি কিংবা ছায়ার মুগ্ধতা এখানেই।
অপারগতায় চেয়ে বসা দিনকালে-
আমাকে হারিয়ে ফেলছি নিয়মিত- তোমার চোখে।
দেখা না হোক, কথা না হোক।
জানা হবে না হয়তো মন খারাপের কারণ। তারপরও
ফুল রঙের হ’য়ে বেঁচে থাকুক।
শত শতাব্দী।
আর আমি শতাব্দী জুড়ে বিশ্লেষণ করে যেতে চাই।
বসন্তের নামে
Farhana Putul
এবারের শীতে অভিমান জমা থাক…
মৌনতার কুয়াশায় গায়ে প্রেমহীন ধূসর চাদর জড়িয়ে,
প্রেমিকের শোকে আরো হিম হোক,
প্রেমিকার বুকের প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস…!
এবারের শীতে অভিমান জমা থাক…
প্রেমিক হৃদয় হিমাগার থেকে
কুড়োক কিছু শীতলতা আরো বেশি,
প্রেমিকের ওই উষ্ণ বুকের আস্তরনে প্রবল হয়ে শীতলতার বরফ জমুক।
এবারের শীতে অভিমান জমা থাক…
প্রেমিকা জানুক প্রেমহীনতার মানে,
প্রেমিকার তবু তৃষ্ণা বাড়ুক,
চোখে নরম নোনা জলগুলি
শীতল হয়ে গাল বেয়ে নেমে যাক।
ঠোঁটের নরমে না বলা কথার বরফ জমুক,
কথাহীন হয়ে বোবা ঠোঁট পরে থাক।
তবু তারপর…
উঁকি দিয়ে যে বসন্ত ছুঁই ছুঁই,
যেদিন, গাছের পাতায় পাতায় সবুজের ভীর,
ভীড়ের ভেতর প্রেমিকার সাজে শিমুল,পলাশ।
হলদে রোদের আবির রাঙা যেদিন সে ভোরে গান গাইবে,
বুলবুলি আর পিহু-পাপিয়া।
সেই প্রভাতের,
বসন্ত গানে একি রাস্তায় দেখা হয়ে যাবে,
চাওয়া না চাওয়ার সব মান ভেঙে না চাইতেও দেখা হয়ে যাবে।
সেদিন খোঁপায় ফুল না,
শুধু আগলা বাঁধনে খোঁপা থাকবে,
প্রেমিক সে চুলে আনাড়ি হাতের ফুল গুঁজবে,
প্রেমিকার মন এতোটুকু শুধু জানে!
আর প্রেমিক জানে,
সেদিন তার কপালের ঘাম
মুছে দিবে কোন কমলা রঙের
শাড়ি জড়ানো চিরচেনা সেই প্রেমিকার আঁচল,
তাই এবারের শীতে অভিমান জমা থাক…
উষ্ণতা টুকু তোলা হয়ে থাক
বসন্তের নামে…!
মাধবীলতা
লেখা: মাহফুজা রহমান অমি
আমার কালশিটে চিত্ত,
একলা কাটানো সময়,
ধোঁয়া ওড়া চায়ের মগটাই সঙ্গ।
আমি উপশম খুঁজি দক্ষিণ বাতাসে,
কিছু ঝরা পাতা সান্ত্বনা হয়ে আসে।
বইয়ের পাতায় বুদ হওয়া অভ্যেস,
চশমা চাপালে ভুলে যাই নিজের বয়স।
আয়না’ই মনে করায়, এখনো বাকি ঢের।
তবুও ভাবি, গাছের কাঁচা পাতাও তো ঝরে বেশ।
আমার অফুরন্ত অবসর,
সময় হয় না তবুও নিজের জন্য ভাবনার।
দেখেছি ঝরা পাতার দিন।
ঝরে পড়ছে একে একে সব সুখ,
একা পড়ে আছি আমি এই অসহায় মুখ।
চারতল এই বাড়িটাই যেন সম্বল,
স্নিগ্ধতা খুঁজে বেড়ায় আমার মর্মাহত মর্মাদেশ।
চিলেকোঠার ঘরটায় উঠেছে চশমা চাপানো এক যুবক।
ঠোঁট জুড়ে তার মলিনতার ছাপ,
সঙ্গে নিয়ে আসে একটি মাধবীলতা গাছ।
সে গাছের সৌন্দর্য প্রশান্তি বিলায়,
শান্তি পেতেই আসি আকাশ দেখার ছুতোয়।
চোখাচোখি হলেও কথা হয়ে ওঠে না কখনো,
ঠিক যেন আমার’ই মত সেও নিঃসঙ্গ।
একদিন সাহস করে প্রশ্ন ছুঁড়লাম, ‘এত ভালোবাসেন কেন মাধবীলতাকে?’
চোখে চোখ রেখে বললেন, ‘আর যে কেউ নেই বলে।’
অন্যের পীড়ায় নিজের পীড়া খর্ব হয়।
সান্ত্বনা অভাবী আমিই আজ তাকে সান্ত্বনা বিলাই।
তারপর একদিন ঝুম বরষা।
অন্তর্দেশে জমে থাকা ক্লেশ তাড়াতে ভিজে চলছি ঠায় দাঁড়িয়ে।
হঠাৎ হাতের মধ্যে এক তোড়া মাধবীলতা গুঁজে দিল সে,
ভেজা চোখে চোখ রেখে বললো, ‘তুমি কী আমার মাধবীলতা হবে?’
হিমানি
ইয়াসিন আহমেদ
দেখেছিলাম হে মায়াবতী তোমার নয়ন স্বপনে,
স্বপন ভেঙ্গে অশ্রু জলে বসেছি তোমায় হারাতে।
চোখ মুছে ক্লান্ত আমি, আবার ঘুমানোর সন্ধানে,
নিদ্রা কালে প্রশ্ন জাগে, তুমি কি আমারই আসলে?
হিমানির মায়া ভরা নয়ন খানা আঁকা কাজলে,
সেই নয়ন আজও পারিনা ভুলতে মন গহীনে।
হঠাৎ কোথায় হারালে তুমি মনের অজান্তে,
মন গহীনে থাকা হিমানি তুমি আসবে কি সন্ধানে?
এখনো ভালোবেসে পথ চেয়ে রই তোমার,
অভিনয়ের ছলে হাতটি কি পাবো তোমার।
যে হাতে থাকবে আমার ভালোবাসার শেষ,
যত দূরেই থাকো প্রিয় থেকো আমারই বেশ!
তবে যদি আমি তোমার নাহ হই কোনো দিন,
এই হাত দিয়ে ফুলের মালা গেঁথ নাহ কোনদিন।
তবে আমি যেনো রই তোমারই হাতের ছোঁয়ায়,
যেখানে অল্পনাতে আঁকা থাকবো রূপ মহীমায়।
তোমার হাসি মুখখান
ফাহাদ মিয়া
ভাবছিলাম, তোমারে একখান নীল শাড়ি আর ডজন খানেক নীল রং এর কাঁচের চুড়ি কিনা দিমু!
সেই নীল শাড়ি আর নীল চুড়ি পইড়া তুমি আমার লগে পুরাডা শহর ঘুইরা বেরাইবা।
আমি আরো ভাবছিলাম,
তোমার লগে ঘুরতে যাইয়া দুই জনে কোনো এক টং এর দোকানে এক লগে বইসা দুই কাপ রং চা খাইমু!
পুরাডা দিন তোমার হাসি মুখখান দেইখা পার করুম।
যখন তুমি আমারে খ্যাপানোর লাইগা আমারে গাল ফুলানির বাপ বইলা ডাক দিবা,
ঠিক তহন তোমার লগে অভিমান করুম, আর তুমি আমার অভিমান ভাঙ্গানোর লাইগা পাগলের মতন ছটফট করবা!
অভিমান ভাইঙ্গা গেলে আমি তোমার হাতখান ধরুম!
তোমার মুখের দিকে হা হইয়া তাকাইয়া থাকুম!
আর তুমি তহন বলবা,”ওমন কইরা কি দেহো?মুখে তো মাছি ডুইক্কা যাইবো”. এইডা বইলাই তুমি হাহাহা কইরা হাইসা উঠবা!
আর তোমার হাসি মুখখান দেইখা তহন আমার পরানডা জুড়াই যাইবো!
তারপর সারাদিন তোমার লগে একসাথে কাটামু!
আমি কত কিছুই তো ভাবছিলাম,
এই যেমন ধরো,
তোমার লগে সুখ দুঃখের কতা কমু,
মনে যা আসে তাই গড়গড় কইরা কইমু তোমারে!
তোমার লগে আহ্লাদ করুম,
তোমার কাছে বায়না ধরুম।
আর আমি যা যা খাইতে ভালোবাসি,সবগুলা তুমি নিজের হাতে রান্ধিবা।
সারাদিন কাম কইরা ক্লান্ত হইয়া যখন গতর(শরীর) দিয়া ঘাম জড়িবো,
তুমি তহন আমার গতর থাইকা ঘাম মুইছা দিবা!
তারপর তোমার হাতের রান্না করা খাবার আইনা দিবা,
আমারে খাবার সামনে দিয়া তুমি বাতাস করবা!
আমি খুব মজা কইরা তোমার রান্ধনের খাবার খাইমু, আর তোমারে নিজ হাতে খাওয়াই দিমু!
এমন কইরা দিন শেষে রাত আইবো, রাতের শেষে আবার দিন আইবো!
তুমি আর আমি এক লগে কাটামু, বছর পার করুম,যুগ পার করুম তোমার লগে।
তুমি সবসময় আমার চোখের সামনে থাকবা!
আমি ভাবছিলাম,
আমগো মধ্যে ভালোবাসা অইবো,আর অনেক রাগ ও অইবো।
কিন্তু কেউ কাউরে ছাইড়া যামু না কোনোদিন!
কিন্তু তুমি তো আমারে ঠিকই ছাইড়া গেলা!
গেলা তো গেলা,
তাও আবার আমার বিশ্বাসের ঘরে আগুন লাগাইয়া!
হাতখান ধরার সুযোগ ও দিলা না আমারে!
আর কোনোদিন তোমারে আবার বিশ্বাস করবার পারমু,
এমন সুযোগটাও রাইখা গেলা না!
ওহন আর তোমারে লইয়া আগের মতো এত কিছু ভাবি না!
ভাববার সময় কই?
তুমি তো বিশ্বাসের ঘরে আগুন দিয়া নিশ্চিন্তে ঘুমাও,
হাসো,ঘুইরা বেড়াও, আগের মতন হাসি খুশিই থাকো!
কিন্তু আমার চোখে তো ঘুম নাই,মুখে হাসি নাই,কিচ্ছু ভালা লাগে না!
তুমি হয়তো জানতা না,
পোলা মাইনসে মাইয়াগো ভালোবাসে বিশ্বাসের উপর ভর কইরা!
আর তোমার উপরে বিশ্বাস না থাকলে তাইলে কেমনে তোমারে ভালোবাসি কও?
ওহন মাঝে মাঝে বাজারে দোকানের সামনে দিয়া যাওয়ার সময় নীল শাড়ি আর নীল চুড়ি চোখে পড়লেই বুকের মধ্যে কেমন জানি মোচর দিয়া উঠে।
তহন তোমার কতা মনে অয়,
তোমার হাসি মুখখান ভাইসা উঠে চোখে,
মনে অয়, আমার পেত্নীডারে নীল শাড়ি আর নীল চুড়িতে না জানি কতডাই না সুন্দর লাগতো!
ইটের দেয়াল
মঈনুল হোসেন ফাহাদ
রক্তাক্ত জখম নিয়ে রক্তের সম্পর্ক রক্ষা করবার –
অদ্ভুত একটা ব্যাপার আমাদের সমাজে গেঁথে আছে।
স্রোতে ভেসে যাওয়া নৌকায় উঠতেও দ্বিধা করে না-
নিয়ম রক্ষা করবার সুবাদে।
নিজেকে বিসর্জন দেওয়ার এই সংস্কৃতি সম্ভবত
উপমহাদেশেই আছে কেবল।
এখানে লোক দেখানো সবকিছুর ভিড়ে –
অযৌক্তিক সম্পর্ক রক্ষা করবার চেষ্টায়
হারিয়ে যাচ্ছে ব্যক্তিক সুখ আর স্বাধীনতা। আমি কেবল
এই দেয়ালটা ভাঙতে চাই-
এই ইটের দেয়াল
সম্পর্কের দেয়াল,বন্দী স্বাধীনতার দেয়াল।
জবাবদিহিতার দেয়াল।
মুখ-মুখোশে লেগে থাকা স্বার্থ সামনে আসুক দেয়াল ভেঙে।
সভ্যতা তবেই মুখ তুলে বাঁচতে শিখবে-
কাকের মত,মাছের মত
জবাব ছাড়া।
অন্ধকারে-
নতুন কোন ট্রাজেডি রচনা হবে না।
হবে না শোক সভা।
মানুষ গেলে মানুষ আসবে- এই নিয়মে
স্পষ্টভাবে ফুটবে ফুল।
একটা জীবন তবেই সৌন্দর্য চিনবার সুযোগ পাবে।
পাবে বৈচিত্র্যময় চরিত্রের দেখা।
অদেখা স্বপ্নের ভিড়ে।
প্রত্যাশার রঙিন চাদর
খায়রুজ্জামান চৌধূরী টিংকু
কামনার দাবানলে প্রেম পুড়ে ছাই,
কামনার উর্ধ্বে প্রেম তার উর্ধ্বে নাই.
প্রকৃত প্রেমে আছে পূর্ণতা,
প্রেমহীন কামনা হীনমধুরতা।
তোমার কৃতি সবুজের প্রীতি বহমান সুর,
কুসুম কলি হয় রূপসী, নয় বেশি দুর,
সাদা সাদা কাশ ফুল রূপে মহিয়ান,
বাতাসের দোলা যেনো সৃষ্টির প্রাণ।
নেই এই জীবণে স্বপ্ন রঙিন নতুন স্বপ্ন সাধনা,
আমার হৃদয় ভরা প্রত্যাশার প্রাপ্তিহীন বেদনা।
ভাসমান জীবণ নিয়ে বাঁচতে হয় প্রত্যাশা নিয়ে,
ললাট জুড়ে থাকুক যতই নিরাশার রেখা দিয়ে।
এ হৃদয়ের মাঝখানে ছোট্ট একটা নীড় বেঁধেছি,
তোমার অজান্তে নীরবে বকুলের মালা গেঁথেছি।
সেদিন ছিলো বিষ্যুদবার শান্ত বিকেল বেলা
গাছেগাছে চিকচিক স্বর্ণ আলো করছিল খেলা।
তুমি অবুঝের মতো করেছো মান হে অভিমানী,
রশিতে বাঁধা আত্মগন্ডির প্রেম বন্ধন প্রেয়সিনী,
হৃদয়ের মাঝে লুকানো প্রেম পবিত্রময়,
বুঝেছি ছিলো সবটুকু তোমার অভিনয়।
অনিন্দ্রা কাব্য
Shobuj Ahammed Murshalin
অনিন্দ্রা, যদি একদিন ঘুম ভেঙে দেখিস,
শহরে আমি কোথাও নেই!
শহর, শহরের অলিগলি, রাজিব চাচার চটপটি, হাসান ভাইয়ের ঝালমুড়ি, গলীর শেষ মাথার লেক, লেকের পাশে কাঠের বেঞ্চ, ঠিক সন্ধ্যা নামার আগে জল খেতে আসা পাখিটাও আছে।
যদি আমাকে কয়েকদিন ধরে ফোন দিয়ে দেখিস,
আমি ফোন ধরছি না!
শুধু তোর সাথেই যোগাযোগ নেই!
নাম্বার, নাম্বার থেকে আসা মেসেজ, রেকর্ড করে পাঠানো কথা, আমার কলের ভিন্ন রিংটোন, স্ক্রিনে ভেসে উঠা ছবি; সবকিছু একই জায়গায় থমকে আছে।
অনিন্দ্রা, যদি বহুদিন পর আবার,
নিস্তব্ধ নগরীর রাস্তার পাশে নিয়নের আলোয়।
মুখোমুখি আমাদের হঠাৎ দেখা,
সামনা সামনি একভাবে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকা।
দ্রুত বেগে ছুটে চলা গাড়ির শব্দ, নিয়নের আলোয় একটা কাকের ছায়া, সহসা কা কা কা শব্দে বুকের ভেতর ঝড় শুরু হওয়া!
আচ্ছা! তুই কি সেদিন মনে মনে হিসাব নিকাশ করবি?
আমি তোকে কতটুকু ঠকিয়েছি?
কে জিতলো, কে হারলো?
আমি তোকে কতটুকু কষ্ট দিয়েছি; পরিমাপ করবি?
অনিন্দ্রা, দয়া করে, হিসাব নিকাশ করিস না।
কিছুই পরিমাপ করিস না!
তাহলে সেদিন আমি হেরে যাবো
জিতে যাবে সমাজ, সমাজের মানুষ,
সত্য হয়ে যাবে তুই আমাকে কখনো ভালোবাসিন নেই!
কেন এমন হলো?
ফাহিম ইকবাল
সেই চিরচেনা শহর আজ আর ডাকেনা আমাকে
কতটা স্বার্থপর হয়ে গেছে চেনা সব মুখগুলো!
ভাবতে বুকটা কেঁপে ওঠে বারবার!
এক অজানা আতংকে দুমড়ে মুচড়ে যায় মন,
কেন এমন হলো বলতে পারো?
এমন তো হওয়ার কথা ছিলনা অনুরাধা।
একদিন একসাথে না হাটলে;
একদিন মনের চাহিদা মত কথা না বললে ;
কি অসম্ভব কষ্ট হতো বলোতো?
মনে হতো কত হাজার বছর কথা হয়নি ‘
দেখা হয়নি! হাটা হয়নি! একসাথে থাকা হয়নি।
আর আজ কতটা দিন কতটা রাত
মনের ভুলেও কথা হয়না;
কেন এমন হলো বলতে পারো?
এমন তো হওয়ার কথা ছিলনা অনুরাধা।
তোমার কন্ঠ শুনতে না পেলে আমার সকাল হতো না
তুমি যদি ভুলক্রমে দুপুরেই কথা বলতে
মনে হতো সকালটা মনে হয় কেবল শুরু হলো!
আর আজ প্রতিটা সকাল কাটে তুমিহীনা;
কতদিন ধরে শুনিনা তোমার সেই মধুমাখা কন্ঠে
“তুমি কেমন আছো ফাহিম”শুভ সকাল!
কেন এমন হলো বলতে পারো?
এমন তো হওয়ার কথা ছিলনা অনুরাধা।
আমি যদি প্রথমবার জীবন পেতাম
মঈনুল হোসেন ফাহাদ
আমি যদি প্রথম বার একটা বারুদমাখা স্টেনগান হতাম
তবে দ্বিতীয় কোন শব্দের কানাকড়ি মারতাম না কিংবা আশপাশ।
যদি শূন্য শব্দের শুরুটা বুঝতাম –
রাতগুলো বেখেয়ালি আচরণে জড়িয়ে রাখতাম না।
জং ধরা জানালার পাশে বসে একটা কবিতা কিংবা
চায়ের কাপে কফি।
বা কফি বানান ভুল করে ‘কপি’ লেখতাম না।
নৈশব্দকে হারিয়ে দিতাম। আমার আকাশে বিব্রতকর কোন পরিবেশ থাকতো না।
থাকতো না অনাকাঙ্ক্ষিত সময়।
অসমাপ্ত গল্প। ভুল সম্পর্ক। জ্বলতো না অস্থায়ী লাইট,
মস্তিষ্কের অসুখে।
আমি যদি প্রথম বার কথা বলা শিখতাম
অ আ,ক খ মুখস্থ করতে পারতাম কিংবা ব্যাকরণ রীতি –
তবে বোধশক্তি আর অবস্থান ভেঙ্গেচুরে একাকার করে
আকাশে হাঁটতাম।
মানুষ কবিতা হ’বার আশায় বুক পেতে দিতো বিছানায়,
শব্দে কিংবা বিকেলে।
আমি যদি প্রথম মানুষ হতাম,
আমি যদি প্রথম বার কাক হতাম।
ভুল ভুলে উড়ে বেড়াতাম –
স্মৃতির খোলসে।
আমি যদি প্রথম বার জীবন পেতাম।
তোমাকে নিতাম,
চোখের মায়া নিতাম কবিতা,
গভীর রাত আর হতাশা নিতাম কিংবা ভুল স্টেশনের ভুল টিকিট।
আরো পড়ুন – প্রাক্তন নিয়ে কবিতা