সেরা ৫টি প্রথম প্রেমের চিঠি – Bangla First Love Letter

সেরা ৫টি প্রথম প্রেমের চিঠি ( Bangla First Love Letter ) : প্রথম প্রেম সবার জীবনে চির স্মরণীয় হয়ে থাকে। প্রথম প্রেম নিয়ে লেখা চিঠি এবার পড়ব আমরা।


ভালোবাসার প্রেম পত্র


প্রিয় চলার পথের সাথী,

ভালবাসা ও অভিমান সমানভাবেই রইলো! ভালবাসি তোমায় সে তো খুব ভালো করেই জানো! কিন্তু গহীনে কত অভিমান থরে থরে সাজানো আছে তার খবর কি গো রাখো?তবুও তুমি আমার কাছে সবচেয়ে দামী, সব রাগ,ক্ষোভ, অভিযোগ ছাপিয়ে তোমায় হৃদয় রাজ্যের শাসক ভাবি।অথচ তুমি কি পরিচয় দিবে আমায়!

তোমার অর্ধাঙ্গীনি,নাকি লোক দ্যাখানো দলিল করা স্ত্রী! যাই বা দাও তাতেই খুশি কেননা এ সমাজ আমায় এ শিকলেই আবদ্ধ করে রেখেছে তাই তোমার পরিচয়ের বাইরে আমার আজ আর কোন পরিচয় নেই।অথচ জানো একটা সময় আমি কারও কন্যা ছিলাম, কারও বোন ছিলাম, কোন স্যারের প্রিয় ছাত্রী ছিলাম, কারও চোখের নিদ্রা কেড়ে নেবার কারন ও ছিলাম।

কিন্তু দ্যাখো সময় বদলে এখন আমি শুধু তোমার জন্য রাঁধি,তোমার জন্য কাঁদি।একটা সময় জানো আমার মনে অফুরন্ত খোলা আকাশ ছিলো, কত কত গল্প ছিলো, কবিতার পসর ছিলো, রঙিন রঙিন স্বপ্ন ছিলো আর এখন তোমার দামী ফ্লাটে আমি এক ডানা ঝাপটানো পাখি! ডানা আছে শুধু উড়ে বেরাবার স্বাধীনতা নেই।

অফিস ফেরত তোমার ক্লান্ত শরীরে চায় চোখ জুড়িয়ে যাওয়া আমার পরিপাটি হওয়া চোখধাঁধানো রূপ। অথচ জানো আমার না খুব সাদমদটাই ভালো লাগে।ছুটির দিনে তাঁতের কিংবা জামদানী শাড়ী পড়ে এলোকেশে হুটখোলা রিক্সায় তোমার সাথে লুটোপুটি হয়ে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করে।কিন্তু তুমি ব্যস্ত ভীষণ, এত্ত সময় কোথায় তোমার। এত্ত অভিমান তোমার হৃদয়ে পৌছবেই না।তারচেয়ে বরং লোকদেখানো ভালবাসায় সো কল সুখী দম্পতিই হয়ে রই।

ইতি
তোমার লোক দেখানো বউ


একটি সুন্দর প্রেম পত্র


নীলমেঘ,
আজকাল খুব আগ্রাসী হতে ইচ্ছে করে, খানিক বাউণ্ডুলে! খানিকটা হ্যাংলাও! সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে নির্লজ্জের মতোন তোমার কথাই ভাবি দিনরাত্তির। তবু সেই দুটো চোখ ভুলি না, একরত্তিতো একখানা ছবি! তার অস্তিত্ব এতো বিশালাকায়!

কবিতার খাতা, গল্পের পাতা, পড়ার টেবিল, বইয়ের তাক; সবটা জুড়েই এখন তোমার অনিবার্য অস্তিত্ব চরমভাবে দৃশ্যমান। তোমাকে সরাতে পারি গায়ের জোরে এমন শক্তি সত্যিই আমার নেই।

জানি আমি, তুমি আমায় পাগলই ভাবো, কিন্তু এই পাগলামীর দায় কি তোমার কানাকড়িও নেই? দিনে রাতে, পলে পলে কানের কাছে সুন্দরের যে অভিধান বর্ণনা করে গেলে, আমার ঘুমহীন রাত্রীরা সেই থেকে সেই সুন্দর আবিষ্কারের নেশায় আকণ্ঠ ডুবে রইল। নেশাতুর, লোভাতুর আমি, আমি অসহায়। আমার হাত ধরে তুমি নিয়ে চলো সখা আমি যে পথ চিনি না।

বড্ড হ্যাংলামো করছি? একদম না, ভাবলাম, সত্যি অনুভবটুকু চিঠিকে বলে যাই। যদি এ লেখা কখনও তোমার দৃষ্টির দাখিণ্য পায়। তোমার চিরসংকুচিত স্বভাবের কাছে আমার কথারা কেবল ফানুসেই হারায়।তাই কতটুকুন বললে যথার্থ হয় তা ভেবে পাই না- রইল না হয় কিছু কথা খুব গোপনে তোলা, রইল না হয় কিছু কথা দুঃখ বেদন ভোলা।

কেমন আছো তুমি? খুব জানতে ইচ্ছে করে, এখনও কি ঘুমের ঘোরে, কাজের ফাঁকে হ্যালুসিনেশন হয় তোমার? হঠাতই মাথায় জ্যাম হয়ে গেলে কাজ থেকে বিরতি যখন চাও তখন আমার মুখটা তোমার জানালায়, বসার ঘরের সোফায়, কিংবা পড়ার ঘরের টেবিলেই দেখতে পাও?

তোমার হাজার বছরের পুরাতন দুরবীনটা কাজ করে এখনও আগের মতো? এখনও কি দেখো, আমি স্নান সেরে ভেজা চুলে দাঁড়িয়ে থাকি দখিনের বারান্দায়! সেদিন আমি তোমার প্রিয় নীল শাড়িতে, খোঁপায় সাদা ফুলের মালা জড়িয়ে কবিতা উৎসবে গিয়েছিলাম, দেখেছিল তোমার দুরবীন সেসব?

মাঝে মাঝে মনে হয়, তুমি ভীষণ নিষ্ঠুর। আমার অমন নাকছাবি নেই, দুধে আলতা রঙ নেই, চাঁনতারা রূপ নেই বলেই কি তোমার এতো অবহেলা? তোমার ওই নির্লিপ্ততা আমায় বড্ড বেশি আগ্রাসী করে তোলে। বাড়ায় তোমাতে আসক্তি বহুগুণে। তবু অভিযোগও যে রাখতে পারি সে পথ নেই খোলা।

আমি বনের নামহারা ফুল। একটুখানি ছোঁয়া পেলে আমিও হই পারিজাত, গন্ধে আকুল! এই অহল্যা মনও জেগে ওঠে অসীম সরোবরে, আর তখনই ভাবি, হ্যাঁ, তুমি, তুমিই তো সেই! যাকে আমি খুঁজেছি অন্ধকার হাতড়ে হাতড়ে। যাকে আমি খুঁজেছি জীবনের ছত্রে ছত্রে।
তোমায় ভোলাতে পারি এমন কিছুই তো নেই আমার, যদি আপনি এসে ধরা না দাও। মনের দামে মন চাইলে দিতে পারি শূন্য করে,আঁজলা ভরে। নিতে যদি পারো সেই তার যোগ্য দাম…
মেঘের কাছে হাত পেতেছি বৃষ্টি বিছন বুনবো বলে
পারিজাতের দল মেলেছে দেখবে কি সে পথের ভুলে!
বৃষ্টি তো নেই, বৃষ্টি উধাও, রোদের কাহন বাড়াবাড়ি
বাড়ছে দহন পুড়ছে হৃদয় নীলের খামে সেই আনাড়ি।
আকাশের সব নীল গায়ে মেখে বসে আছি। ভালো থেকো নীল।

ইতি
তোমার মেঘলীনা


প্রিয়জনের কাছে চিঠি


অরুণিমা,

অন্য আর কিছু নয়, শুধু জানতে চাই,”কেমন আছো?”
আর কোনো প্রশ্ন নয়, জিজ্ঞাসা নয়। কতো কী যেনো জানার ছিলো, কতো কী যেনো বলার ছিলো, কতো দূর যেনো যাওয়ার ছিলো।

কতো বই যেনো পড়ার ছিলো, কতো রাত যেনো জাগার ছিলো, কতো স্বপ্ন যেনো দেখার ছিলো। কতো গান যেনো শোনার ছিলো, কতো বর্ষায় ভেজার ছিলো। কতো শিশির বিন্দু আঙুলে ছোঁয়ার ছিলো, সমুদ্রের জলে পা ডুবিয়ে হাঁটার ছিলো, গোল মস্ত চাঁদ আকাশে রেখে নদীর পাড়ে বসার ছিলো, দুঃখের রঙে উঠোনে একটি মুখ আঁকার ছিলো।

কতো দর্শন কতো তত্ত্ব বোঝার ছিলো, কতো সাধুসঙ্গের প্রয়োজন ছিলো, মাঠের ধারে বটবৃক্ষের নিচে মন্থর দুপুরে চোখ বুজে শোয়ার ছিলো। লাল পাহাড় চুড়োয় ওঠার ছিলো, ছেলেবেলার হারানো পথ খোঁজার ছিলো। কোনো এক বেদনার কথা ভেবে নির্জনে কাঁদার ছিলো, কৈশোরের প্রচ্ছন্ন প্রেমের অগোছালো চুলে হাত বুলোনোর ছিলো।

দীর্ঘশ্বাসের মুখ দেখার অভিলাষ ছিলো, দূরান্তের ভাসমান আঁচল বুকে জড়ানোর ছিলো, ভরা জোয়ারে না-পাওয়াগুলো কাগজের নৌকোয় ভাসানোর ছিলো। নাছোড় অর্থনীতির কতো উঁচু উঁচু সিঁড়ি ভাঙার ছিলো – এমন আরো কতো ইচ্ছে ছিলো, বাসনা ছিলো, আকাঙ্ক্ষা ছিলো। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে চোখের পলকে অবান্তর, অপ্রয়োজনীয়, অসার, তুচ্ছ হয়ে গেলো সব।
এখন আমার সমস্ত স্পৃহা, অভিরুচি, ঈপ্সা, বাঞ্ছা, প্রবৃত্তি একটি মাত্র বাক্যে মিলিত হয়েছে,”অরুণিমা কেমন আছো তুমি?”
যত্ন নিও

ইতি
রুদ্র


আবেগের চিঠি


অরুণিমা,

এক গোধূলি লগ্নে সব অভিযোগ অভিমান ধুলোয় উড়িয়ে আমি ফিরবো। তখন হয়তো দিন শেষের ক্লান্তি ঘিরবে তোমাকে। হয়তো অলস হাঁটবে বাগানে। স্পর্শ করবে ফুল পত্রগুচ্ছো। হয়তো আনমনে আঙুলে জড়াবে চুল। হয়তো দেখবে নীল প্রজাপতি, হলুদ ফড়িং, কৃষ্ণ ভ্রমর, সাদা বক, আগুন লাগা আকাশ, সবুজ ঘাস, নিষ্পাপ শিশু, গোয়ালে ফেরা গরুর পাল, খেলা ফুরনো শূন্য মাঠ, অফিস ছুটি অবিন্যস্ত শ্রান্ত মানুষ, কালো দিগন্তে উড়ে যাওয়া বাদুড়।

হয়তো শুনবে বেলা অন্তের পাখির ডাক, দুরন্ত কিশোরের হাসি, ভেজা হাঁসেদের বুলি, মুয়াজ্জিনের আহ্বান, মন্দিরের ঘন্টা ধ্বনি, ঘরে ঘরে বালক বালিকার পড়তে বসার তোড়জোড়, দূরে কোথাও কুকুরের অস্পষ্ট ঘেউ ঘেউ, কার্নিশে পায়রার আলাপ।

হয়তো তুমি তখন সাঁঝের বাতি জ্বালবে। হয়তো উন্মনা দাঁড়াবে আয়নার সামনে। তারপর কী ভেবে কপালে পরবে ছোট্ট টিপ। পরিপাটি চুলে ধীরে চালাবে চিরুনী। মৃদু গাইবে কোনো গান। শেলফ থেকে টেনে নেবে কবিতা কিংবা উপন্যাস। দু’এক পাতা উল্টে রেখে দেবে পুনরায়।

হঠাৎ ছুটে যাবে রান্নাঘরে। মায়ের বারণ সত্ত্বেও চুলোর কাছে যাবে। মা ধমকে বলবে,”কিচ্ছু করতে হবে না। তোমার রুমে যাও।”
তুমি আবদারের গলায় বলবে,”চাটুকু অন্তত করে দিই।”
অসন্তুষ্ট মা বলবে,”খুব অবাধ্য হয়েছো। কোনো কথা শোনো না।”

খিলখিল হেসে উঠবে তুমি। তারপর বেড়াল ছানার মাথায় হাত বুলিয়ে এসে দাঁড়াবে জানালার কাছে। গোধূলি লগ্ন তখন প্রায় শেষ হতে চলেছে। হাসনা হেনার সুঘ্রাণে ভরে আছে বাতাস। কাঁঠাল গাছের ফাঁক গলে উঁকি দেয় চাঁদ। কতো কী তখন বয়ে যায় তোমার উদাস মনে! অকস্মাৎ দীর্ঘশ্বাস ফেলবে। কারো কথা ভেবে কি?

জানা হবে না কখনো। জানালা বন্ধ করতে যদি একটুখানি দেরি করো তাহলে দেখতে পাবে সরু মেঠো পথ ধরে হেঁটে আসছে একটি যুবক। হাঁটার ভঙ্গি দেখে চিনতে পারবে যুবকটিকে। চোখাচোখি হবে আমাদের। আর ঠিক সেই ক্ষণে গোধূলির অন্তিম আলোয় যে-প্রশ্নটি অজগরের মতো আমাকে পেঁচিয়ে ধরবে তা হলো – আমাকে দেখার পর ক্রোধান্বিত হয়ে দৃঢ় এঁটে দেবে জানালার কপাট নাকি ঠোঁটের কোণে অমল হেসে মেলে দেবে সবটুকু?
মঙ্গল কামনায়…

ইতি
রুদ্র


একতরফা ভালবাসার চিঠি


প্রিয় আনন্দ,

কোনো কোনোদিন অকারণ আনন্দে মন থাকে টইটুম্বুর। আজ তেমনই একটি দিন! বৃষ্টি ভেজা মেঘলা আকাশ, শ্রাবণ দিনের সোনালি বিকেল শেষে রামধনু হাসে আকাশের নৈঋত কোণে। সাতরঙ যেনো আমার বেসুরো জীবনেও আজ সাতসুর মিশিয়ে দিয়েছে। বিকেলের এই স্নিগ্ধ আকাশ এক অদ্ভুত মায়াময় ঘোর তৈরি করেছে! অবাক বিস্ময়ে যা দেখি সবই নতুন লাগে! সবই অন্যরকম এক নরোম আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে আছে; গাছ, ফুল, পাখি, বৃষ্টিধোয়া কচি সবুজ, আর ঘাসের বুকে মুক্তোদানা।

এমন অদ্ভুত ভালোলাগার মুহূর্ত জীবনে খুব অল্পই আসে। ভালো জিনিষ অল্প হয় বলেই না ভাল’র মহত্ব বোঝা যায়! তাই হয়তো দৈবাত আনন্দ নৌকোরা পাল তুলে ভুল করে আমারই ঘাটে নোঙর করে।

আনন্দ, তুমি বলতে জীবনটা এক দীর্ঘতম ট্রেন। ট্রেনের ভিন্ন ভিন্ন কামরায় চলাচল ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর যাত্রীর। তেমনি মানুষের মনেও অনেকগুলো কম্পার্টমেন্ট থাকে, ভিন্ন ভিন্ন স্টেশনের নানা রঙের মানুষের সাথে দেখা হয়। কেউ বন্ধু হয়, কেউ রয়ে যায় আজীবন মুখচেনা। কেউ বা কালেভদ্রে ফোন করে খোঁজখবর নেয়, আর কেউবা হঠাত ভীড়ের মাঝে চমকে দিয়ে চেনা নামে ডাকে। বন্ধু কী খবর বল! এই একটুখানি ডাক, আহলাদি বায়না, বন্ধুত্বের প্রগাঢ় অভিবাদন এতেই জগত জয়ের আনন্দ!

প্রবাস জীবনের নানামুখি ছন্দের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে ছন্দপতনই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছ।এই জীবনের চাকচিক্য ষোলো আনাই সোনায় মোড়ানো, তবে তা আঠারো ক্যারেটের! এই জীবনে মিনিটে বাহাত্তুরের স্পন্দন আছে কাঁটায় কাঁটায়, সেই স্পন্দনে প্রাণের অভাব বড়! প্রাণের খোঁজেই তাই খুঁজি তোমায়!

দেখা না দেখার চোখের বাইরের সেই তুমি, যাকে আবিস্কার করেছি কল্পনার ক্যানভাসে, তার কাছেই করি প্রাণের বন্দনা! কী এক অদ্ভুত প্রার্থনা আমার! তবু তুমি আমার প্রাণের ঈশ্বর! তোমার জন্যেই পাড়ি দিতে পারি সাত সমুদ্র, তেরো নদী, তেপান্তরের অথৈ পাথার!

তুমি এমনই আশ্চর্য এক কষ্টিপাথর, তোমার সান্নিধ্যে এলেই জেগে ওঠে না ঘুমানো শহর, পীড়িত রাত, দুঃখবতী মেঘ, ঘুমায় অনাহারী শিশু পরম মমতায় মায়ের কোলে! কেবল তোমার উপস্থিতিই ম্লান করে দিতে পারে সব হারানোর গ্লানি, হাসিমুখে গলায় পরে পরাজয়ের মালা। আনন্দ তুমি বাঁচাও বঞ্চিতেরে, বেদনার মর্মমূল স্পর্শ করে। তোমাকে লিখতে গেলে আমায় প্রগলভতায় পেয়ে বসে।জমিয়ে রাখা সব কথা আজ বলব..
তোমাকে সব বলব বলেই তো,
এতোটা পথ নিঃশব্দে একাকী হেঁটে আসা,
তোমার কাছে পৌঁছব বলেই তো,
বিরুদ্ধ স্রোতে তরী নিয়ে ভাসা।
তোমাকে দেব বলেই সময়ের গর্ভ থেকে,
সযত্নে তুলে রাখা এক ফোটা ভ্রুণ,
তোমাকে দেবো বলেই আগলে রেখেছি,
আগুনঝরা তিরিশটি ফাগুন।
জীবনের অগণন পথ একাকী হেঁটে হেঁটে আজ সত্যিই জিরোবার ঠাই চাই। যদি জানতাম, পথের শেষে শ্রান্তি ঘুচাতে তুমি আছো, ক্লান্তির ঘাম শুকোবে নিমেষে। জাগবো আবার, দিনগুলিকে রাতের কাছে নিয়ে যেতে! তারপর, কেবল অপেক্ষা! আলো ঝলমলে উৎসবের মতো সুদীর্ঘ এক আনন্দঘন মুহূর্তের। সেই অপেক্ষার যন্ত্রণাও মধুময়! এক অজানা শিহরণে, অপার মুগ্ধতায় থাকি মোহাবিষ্ট হয়ে। অজানা সেই আনন্দধামে একদিন পৌঁছব বলে।
তুমিও থেকো প্রতীক্ষায়, পথের শেষে যদি পথ মিলে যায় কখনও! জীবনের ওপারে যদি মৃত্যু থাকে, সে তো সীমাহীনের সীমানা! তোমার জন্য আমার অভিযাত্রার পরিধি না হয় সেই সীমানাই ছুঁয়ে গেলো! ক্ষতি কী তাতে? বলো তাতে কার ক্ষতি!

ইতি
অনমিত্রা
আগস্ট ২৭, ২০২০, টরন্টো।

আরো পড়ুন – ৫টি সেরা ভালোবাসার রোমান্টিক চিঠি

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *