নিতুর সাথে আমার বিয়ে হয়েছে পাঁচবছর। বিয়ের পাঁচবছরের ভিতরেও কোনো সন্তান হয়নি আমাদের। নিঃসন্তান আমরা। বিয়ের একমাস না পেরুতেই একদিন রান্নাঘরে মা নিতুর কাছে আবদার করে বলেছিলো, -‘বউমা তোমাদের কাছে আমার বেশি কিছু চাওয়ার নেই, শুধু বছর ঘুরতেই যেন আমি একটা ফুটফুটে নাতি-নাতিন কোলে নিয়ে সারাবাড়ি ঘুরে বেড়াতে পারি। সেদিকে একটু খেয়াল রেখো কেমন?’ নিতু সেদিন মায়ের কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলো। অবশ্য বিয়ের পর মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে চায় না এমন মেয়ে মনে হয় লাখে মিলবে বলে সন্দেহ। নিতুরও ইচ্ছে হলো শাশুড়ির আবদারটা পূরণ করবার। তারপর দুজনে চেষ্টা কম করিনি। ডাক্তার,কবিরাজ, হাকিমি যতরকম চেষ্টা সবকিছুই করেছিলাম। কিন্তু কোনোকিছুতেই কিচ্ছু হলো না। শেষমেশ ডাক্তার দুজনকে পরিক্ষা করে রিপোর্ট দিলো। রিপোর্টে দেখলাম আমার স্ত্রীর সমস্যা ধরা পড়েছে। সে আর কখনো মা হতে পারবে না।
স্ত্রীর কাছে বিষয়টা চেপে গিয়েছিলাম তখন। আমি চাইনি বিয়ের প্রথম কয়েকমাসে তার আনন্দটাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে। নিতুকে বলেছিলাম, -‘ডাক্তার বলেছে, চেষ্টা করে যেতে। বাকিটা উপরওয়ালার হাতে।’ মায়ের আবদারটা আর পূরণ হলো না। মা গত হয়েছে একবছর হলো। মা মারা যাওয়ার দিন মায়ের মৃত্যু শোকের চায়তে মায়ের অপূর্ণ আবদারের কথা ভেবে খুব কষ্ট হয়েছিলো সেদিন। বিয়ের চারবছর পর আমার স্ত্রীকে একদিন বললাম, -‘আসলে সমস্যাটা আমারই। ডাক্তার বলেছে আমি সন্তান জন্ম দেওয়াতে অক্ষম। ক্ষমা করে দিও তুমি। তোমাকে মাতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করবার জন্য।’
নিতু সেদিন মুখে হাত চেপে ধরে বলেছিলো, -‘ সন্তান দেওয়া না দেওয়া সবটাই উপরওয়ালার হাতে।সমস্যার কথা বলছো তুমি? ওটা তো আমারো হতে পারতো। তখন কি তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যেতে? হযরত ইব্রাহিম (আঃ)কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে পিতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন। ভেঙ্গে পড়ো না। উপরওয়ালা নিশ্চয় আমাদের জন্য সবকিছু পূর্বেই ভেবে রেখেছেন। কারণ তিনি উত্তম পরিকল্পনাকারী।’ ভাগ্যের নিয়তি আমরা দুজনে মেনে নিলেও সমাজের মানুষগুলো তা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেনি। কুসংস্কারাচ্ছন্ন প্রতিবেশীর দল কথার তীর ছুঁড়ে আঘাত করতো সময় অসময়ে সুযোগ বুঝে।
আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে একবছর আগের ঘটনা। আমার খালাতো এক বোনের বাচ্চা হওয়ার সংবাদ শুনে আমরা দুজনেই নবজাতককে দেখতে গিয়েছিলাম। আমার স্ত্রী তাঁর মাতৃত্বের অভাববোধ থেকেই হয়তো
নবজাতক শিশুটাকে দেখা মাত্রই কোলে তুলে নিতে গিয়েছিলো। ঠিক সেই মুহূর্তে আমার খালা বজ্রকণ্ঠে আমার স্ত্রীকে ভরা মজলিসে একটা কথা বলেছিলো, -‘এই বউমা, কি করো কি করো! যাহ্, কি করলে তুমি! তোমার এইভাবে বাচ্চা শিশুটাকে কোলে নেওয়াটা একদমই উচিত হয়নি বউমা।’
আমি প্রশ্ন করে বলেছিলাম, -‘কেন খালা?’ খালা কঠিন চোখে উত্তর দিয়েছিলো, -‘কেন আবার জানো না? সবকিছু কি খুলে বলা লাগে। সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাদেরকে বন্ধ্যার কোলে দিতে হয় না। এতে বাচ্চার ক্ষতি হয়।’
কথাটা শুনে সেদিন পায়ের নিচ হতে মাটি সরে গিয়েছিলো। শুধু খালা দেখে সেদিন গায়ে হাত তুলতে বাকি রেখেছিলাম। প্রতিবেশীরা যা বলে বলুক,শেষমেশ নিজের খালাও এমন একটা কঠিন কথা বলতে পারলো?
আমার স্ত্রী কোলে নেওয়া বাচ্চাটার মতই ডুকরে কেঁদে বলেছিলো, -‘ খালা, আমি নিঃসন্তান। এইটা কি আমার দোষ? উপরওয়ালা যদি না চান তাহলে কার সাধ্যি আছে বলেন? আমার ভুল হয়ে গিয়েছে,এই নিন আপনাদের বাচ্চা।’ মা না হতে পারার কষ্টটা সেদিনই প্রথম দেখেছিলাম নিতুর চোখে। ওর কষ্ট দেখে নিজের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিলো একবারে। আসমানের দিকে তাকিয়ে সেদিন মনে মনে উপরওয়ালার কাছে ফরিয়াদ জানিয়েছিলাম, -‘ আল্লাহ,তুমি তো সবকিছুই দেখো, জানো, অজানা তো কোনকিছুই নাই তোমার। তাহলে কেন আমার নিষ্পাপ স্ত্রী টাকে এইভাবে কষ্ট দিচ্ছো?’
এরপর কেটে গিয়েছে কয়েকটা মাস। আমার স্ত্রী আর তারপর থেকে কোনো বাচ্চাকে কখনো কোলে নেওয়ার মত দুঃসাহস দেখায়নি। আমাদের পাশের বাসায় নতুন এক মহিলা ভাড়া উঠেছে। সাথে একটা বাচ্চাও আছে। মেয়ে। মাশা-আল্লাহ অনেক কিউট একটা বাচ্চা। মাঝে মাঝে সেই মহিলা তার মেয়েকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসে। আমার স্ত্রী সাথে তার বেশ সখ্যতা গড়ে উঠেছে। মেয়েটার নাম রুহাইবা। প্রথম প্রথম নিতু, রুহাইবাকে কোলে না নিতে চায়লেও রুহাইবার কোমলমতি আচরণ আর রুহাইবার মায়ের জোরাজোরিতে কোলে নিতে বাধ্য হয়েছে।
যেখানে বন্ধ্যা মেয়েদেরকে সমাজের কিছু মানুষ অভিশাপ মনে করে,সেখানে এই নারী পুরোটাই ভিন্ন। তার অভিমত হলো, বাচ্চা দেওয়া না দেওয়া সম্পুর্ণ উপরওয়ালার হাতে। আর কোনো নারী স্বইচ্ছায় তো আর বন্ধ্যা হয় না। আর বন্ধ্যা নারীও আমারই মতই একজন নারী।’ আমিও মাঝেমাঝে রুহাইবাকে কোলে নিই। বেশ শান্ত আর মিষ্টি একটা বাচ্চা। অফিস থেকে ফেরার সময় মাঝেমাঝে চকলেটও নিয়া যায়। মেয়েটা বড্ড পছন্দ করে।
একদিন অফিসে বসে আছি এমন সময় নিতুর ফোন এলো। ফোনটা রিসিভ করতেই নিতু হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বললো, -‘রিহান, রুহাইবা মামোনি এক্সিডেন্ট করেছে। ওর জরুরী দুই ব্যাগ রক্ত লাগবে। ও নেগেটিভ।
আমি এক ব্যাগ ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছি। আরও এক ব্যাগ লাগবে। তুমি একটু আসো না।’ কথাটা শুনে মনের ভিতরে অজানা এক কষ্ট অনুভব হলো। যেন নিজের সন্তানের এক্সিডেন্টের খবর শুনলাম আমি। কাজ ফেলে দ্রুত বেরিয়ে পড়লাম হাসপাতালের উদ্দ্যেশ্যে। যতটা সম্ভব দ্রুত আরও এক ব্যাগ রক্ত দিলাম আমার শরীর থেকে।
রুহাইবার মা হাত জোড় করে কৃতজ্ঞতা জানাতে গেলে বললাম,
-‘ভয় পেও না বোন। উপরওয়ালা রুহাইবার পাশে আছেন।
রুহাইবাকে পেয়ে আমরা আমাদের সন্তান না থাকার কষ্টটা ভুলে গিয়েছি। সেই তুলনায় সামান্য এক ব্যাগ রক্ত কিছুই না। লাগলে শরীরের সমস্ত রক্ত দিয়ে দিবো।’ দীর্ঘ দুই ঘন্টা পর রুহাইবার জ্ঞান ফিরলে আমাদের তিন জনার শরীরেও প্রাণ এলো। রাত তখন প্রায় দশটা। এর মধ্যে রুহাইবার নানু বাড়ির লোকজনও সবাই চলে এসেছে।যেহেতু বিপদ কেটে গিয়েছে। তাই আমরা আর থাকলাম না। হাসপাতালে সবার থাকা ঠিক নয়। সবকিছু ভালোমত মিটিয়ে রুহাইবার আম্মু আর নানু বাড়ির সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি আর নিতু বেরিয়ে পড়লাম বাসায় ফেরার উদ্দ্যেশ্যে। এদিক ওদিক খুঁজে একটা রিক্সা দেখতে পেয়ে ডাক দিলাম।
-‘এইযে রিক্সা যাবেন?’
অন্ধকার থেকে রিক্সাটা ধীরগতিতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসলো। রিক্সাচালক একজন বৃদ্ধ। খানিকটা অবাক হলাম দুজনেই। নিতু তো রিক্সাওয়ালার সামনেই বলে ফেললো, -‘এত বয়স্ক একটা মানুষ। আমাদের দুজনকে টানতে উনার বড্ড কষ্ট হবে। তার চায়তে বরং চলো আরেকটু সামনে গিয়ে দেখি।’ রিক্সা চালক রিনরিনে কণ্ঠে বললো, -‘মা,আমি বৃদ্ধ হইলেও তোমাগো টানতে পারুম। অভ্যাস আছে আমার। তোমরা তারপরও অন্য রিক্সাতে যাইও না। বৃদ্ধ দেইখা সারাদিন তেমন ভাড়া পাই না। বাড়িতে তোমাগো চাচি অপেক্ষা করতাছে। এই ভাড়াটা মারলে, ভাড়ার টাকা দিয়া কিছু কিইন্না নিয়া যামু।’ কথাটা শুনে খুব খারাপ লাগলো। হাসপাতাল থেকে বাসায় যাওয়ার পথ ভাড়া পঞ্চাশ টাকার মত হবে। আমি মানিব্যাগ থেকে একশো টাকার একটা নোট বার করে রিক্সাওয়ালা চাচার হাতে গুঁজে দিতে গেলে তিনি নাকচ করে দিলেন।
বললেন, -‘ভিক্ষা কইরা পেট ভরালে তো রাস্তায় বইসা থাকতাম। এই শরীর নিয়া রিক্সা চালাইতাম না। তোমরা আমার রিক্সাতে উঠো বাজান।’ মুরুব্বির নিজের আত্মসম্মান দেখে একদিক থেকে খুশি হলেও খানিকটা লজ্জাতেও পড়তে হলো। এমন বয়স্ক একটা মানুষ কষ্ট করে রিক্সা চালাবে,আর আমরা আরামে বসে থাকবো।
কিন্তু কি আর করার,মুরুব্বি যখন চায়ছে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে তবেই টাকাটা নিবে। তখন তো আর কিছু করার থাকেনা। দুজনেই রিক্সাতে উঠে বসলাম। রিক্সা ধীরগতিতে চলতে শুরু করলো। মুরুব্বির গায়ে একটা সাদা সেন্ডো গেঞ্জি। দায়িত্বের ভরে সেন্ডো গেঞ্জিতে অসংখ্য ছিদ্র এসে বাসা বেঁধেছে। এই বয়সে এসেও একটা মানুষ এত কষ্ট করে উপার্জন করছে কেন? এই প্রশ্নটা প্রথম থেকেই মনের মাঝে একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো আমার। তাই কৌতূহল মেটাতে বলে বসলাম, -‘চাচা একটা কথা জিজ্ঞাসা করবো? যদি কিছু মনে না করেন।’
বৃদ্ধ লোকটা সামান্য ঘাড় ঘুরিয়ে বললো, -‘তোমরা কি বলবা তা আমি জানি। আমি এই বয়সে আইসাও কেন রিক্সা চালাইয়া পেট চালাইতাছি? এইডায় তো?’ খানিকটা অবাক হয়ে বললাম, -‘আপনি কীভাবে জানলেন?’
-‘আসলে আমারে দেখলে সবাই এই কথাডায় জানবার চায়।’
-‘আপনার সমস্যা হলে থাক,বলতে হবেনা।’
-‘রিক্সা চালকের আবার কি সমস্যা থাকবে বাজান।’
তারপর মুরুব্বি চুপ করে গেলো। ভাবলাম হয়তো তিনি তার ব্যক্তিগত কথা সেয়ার করতে চায়ছেন না। তাই আমিও চুপ করে রইলাম। রিক্সা ধির গতিতে এগিয়ে চলেছে রাতের আঁধারে। খানিকটা পথ যাওয়ার পর একটা দোকানের সামনে রিক্সা থামিয়ে মুরুব্বি বলে উঠলো, -‘ আমার এক পুলা এক মাইয়া আছিলো। মাইয়াডারে দেইখা শুইনা একটা পুলার লগে বিয়া দিছিলাম। কিন্তু মাইয়াডা আমার বেশিদিন সংসার করবার পারলো না। জামাই নেশাখুর আছিলো।
রোজ রাইতের বেলায় মাইয়াডারে পি*ডাইতো। ফুলের লাহান মাইয়াডারে অত্যাচার কইরা কইরা বিয়ের ছয় মাসের মাথায় মাইরাই ফেলাইলো। আর এইযে দোকান খানা দেখতাছো,এইডা আমার পুলার দোকান। বেশ বড়সড় দোকান ফান্দাইছে তাই না?’
-‘আপনার ছেলে এই দোকানের মালিক! তাহলে আপনি এই পেশায় কেন?’
-‘পুলাডা তো এহন আর আমাগো নাই রে বাবা। অনেক কষ্ট কইরা পুলা-মাইয়ারে লেখাপড়া শিখাইছিলাম। মাইয়াডা তো অকালে মরলো।
আর পুলাডা থাইকাও নাই। বউমার বাপে এই দোকান কিইন্না দিছে। তাই পুলা এহন তাগো কথা শুনে। বউমারে লইয়া আলাদা বাড়িত থাকে। আর আমরা দুই বুড়া-বুড়ি কোনরকম আছি পাশের ওই বস্তিতে। বুড়া
মানুষ কেউ কোনো কাম দেয় না। নিজেরও টেকা পয়সা নাই যে কিছু একটা করুম।
তাই তোমার চাচির হাতের একজোড়া চুড়ি বেইচ্চা রিক্সা আর বস্তিতে একখান ঘর ভাড়া লইয়া থাকি। সারাদিনে দু একটা ভাড়া মাইরা যা টেকা কামাই তাই দিয়া কোনরকমে বুড়া- বুড়ির চইলা যায়।’
মুরুব্বিকে কথাগুলো বলার সময় দেখলাম চোখ জোড়া জলে ভরে উঠেছে। চোখের পানি মুছে নিয়ে বললো, -‘বাজান আইসা পড়ছি।’
বাকরুদ্ধ নয়নে আমি আর নিতু দুজনেই মুরুব্বির দিকে তাকিয়ে আছি। মুরুব্বির মুখে ক্লান্তির ছাপটা অন্ধকারেও ফুটে উঠেছে। যেই বয়সে মানুষটার নাতি-নাতিনদের সাথে খেলা করে কাটানোর কথা। সেই বয়সে রিক্সা চালিয়ে আহার জোগাচ্ছে!
-‘চাচা কত দেবো?’
-‘পঞ্চাশ টাকা।’
-‘এই নিন। টাকাটা ধরুন। রাতে আর ভাড়া মারতে হবেনা। যা কেনাকাটা করার,কিনে নিয়ে সোজা বাসায় চলে যাবেন ঠিক আছে।’
মুরুব্বি কোনভাবেই ভাড়ার বেশি টাকাটা নিবেনা। এক প্রকার জোর করে হাতে গুঁজে দিয়ে রিক্সাতে তুলে দিলাম। মুরুব্বি রিক্সার সিটে চেপে ক্লান্তি ভরা মুখে একটুখানি হাসলো। নির্লিপ্তের হাসি। তারপর প্যাডেলে চাপ দিতে দিতে মিশে গেলো অন্ধকারের মাঝে। নিতু পুরো রাস্তা জুড়ে কোনো কথা বলেনি। এবার সে মুখ খুললো। বললো, -‘ রিহান,এতদিন কোন সন্তানের জন্য আমরা কেঁদেছি? যেই সন্তান বড় হওয়ার পর নিজের জন্মদাতা বাবা-মাকেই ভুলে যায় সেই সন্তান হওয়ার চায়তে নিঃসন্তান থাকা অনেক ভালো। তাই না বলো?’
আমি কোনো উত্তর করলাম না। শুধু নিতুর কাঁধে শক্ত করে হাত রাখলাম। এই কাঁধটা মরার আগ পর্যন্ত থাকলেই চলবে। এটাই তো আমার সব ভরসা।
~~বেলা শেষে~~
- আশিক মাহমুদ
More: ত্রিভুজ প্রেমের গল্প