মাই ওয়াইফ ইস এ ল্যাডি গ্যাংস্টার – বাংলা লাভ স্টোরি

মাই ওয়াইফ ইস এ ল্যাডি গ্যাংস্টার – বাংলা লাভ স্টোরি: এই বলে আমার কাছে বন্দক টা এগিয়ে দিলো। এটা দেখে ওরা অবাক। যে আমার কাছে কেন এরকম করছে। আর বাকি যারা আচে তারা ভয়ে কিছই বলছেনা।


মূলগল্প

আজ আমার বিয়ে। হ্য ঠিকি শনছেন আজ আমার বিয়ে। কিন্ত বিয়ে করার আমার একদমই ইচ্ছা নাই। কেন জানেন? কারণ যেই মেয়ের সাথে আমার বিয়ে হবে সে গ্রামের মেয়ে। তার কাজ কাম দেখলে আমার আত্মা বের হয়ে যায়। এইরকম মেয়ে আমি একদমই সহ্য করতে পারিনা। এমন না যে ওকে দেখতে খরাপ।

ওকে দেখে যেকোনো ছেলে পাগল হয়ে যাবে। কিন্ত ও গ্রাম্য টাইপের তাই ওকে ভালো দেখা গেলেও ওইসব ভালো লাগেনা। বিয়ের কাজটা আপাতোত সম্পন্ন হলো। আমরা চলে আসব বাসায় নতন বউ নিয়ে। যা বলছিলাম গ্রামের মেয়ে। এতো কান্না করতে পারতে শেষ মহর্তে। যাই হোক সেখান থেকে চলে আসলাম।

ওহ আপনাদের তো পরিচয় দেওয়াই হয়নি। আমার নাম রিমন। আপনারা জানেন। আর যার সাথে বিয়ে সে লাবন্য। আর হলো আমি একটা কোম্পানিতে চাকরি করি। কিন্ত আমার এখন বিয়ে করার ইচ্ছা নাই। মানে আছে ঠিকি। কিন্ত এইসব মেয়েকে বিয়ে করার একদমই ইচ্ছা আমার নেই। বাবার বন্ধুর মেয়ে।

তার সাথে নাকি আমার আগেই বিয়ে টিক হয়ে ছিলো আমি জানিনা সেটা। আমাকে বলে নাই কেও। আমি ছিলাম না দেশে। যেদিন আসলাম সেদিন ই আমাকে নিয়ে এখানে চলে আসলো। আর যতদূর আমি জানি। মেয়েটা কথা কম বলে। আমরা সেখান থেকে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে সবাই বউ দেখা নিয়ে ব্যস্ত।

আমি ছাদে চলে আসলাম দেখি আমার বন্ধুরা ভালোই প্রেম করছে। আমি তাদের থেকে একট দূরে গিয়ে দাড়ালাম। ভাবতাচি একটা সিগারেট খাবো। কিন্ত খেলে যদি আবার আব্বা চলে আসে। যাই হোক ফালতু কথা বলে সময় নষ্ট করবনা। আমার কাছে আসল এক বন্ধু। এসে……
_ আমি তোর অবস্থা বঝতে পারচি। কিন্ত কিচ্ছু করার নাই।
_ তই চপ কর না হলে তোকে মারা শুরু করব আমি।
_ আচ্ছা করলাম। এখন চল।
_ কোথায়।
_ কোথায় মানে ভাবি ওখানে অপেক্ষা করছে তোর জন্য।
_ আমি যাবোনা।

সালার যাবোনা যে কিসের জন্য বলতে গেছিলাম তার নাই ঠিক। আমাকে জোর করে সালারা নিয়ে গেলো। বাসর ঘরের সামনে দাড়িয়ে আছি। ওরা সবাই আমাকে ভিতরে ঢুকাই দিয়ে বাইরে থেকে বন্ধ করে দিলো। আমি আর কি সামনে এক পা বাড়ালাম। দেখি বউ আমার বড় একটা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে।

আমাকে দেখে আমার কাছে আসল। পা ছয়ে সালাম করল। তারপর আবার গিয়ে বিছানার উপর বসে পড়ল। আমি ওর কাছে গেলাম। বিছানায় বসে ওর মখটা দেখার চেষ্টা করলাম। বাহ খব মিষ্টিতো। এখন আরো সন্দর দেখা যাচ্ছে। কিন্ত ওর কথা আর কাজ কাম আমার পছন্দ না বলে আমি ওকে বললাম,
_ সরি আমাকে ক্ষমা করবেন।
_ ক্যন ক্যন।
_ না মানে আমি আপনাকে বউ হিসেবে মানতে পারবোনা।
_ ক্যন ক্যন। আমারে দেখতে কি সন্দর লাগেনা।
_ না তেমন না। কিন্ত আপনার কথা বার্তা আর আপনি যেভাবে মানে বঝতেচেনইতো ওইসব আমার ভালো লাগেনা।
_ তাইলে আমারে বিয়া কইরলেন ক্যন।
_ আমি করতে চাইনি আমার আব্বা আমাকে জোর করে আপনার সাথে বিয়ে করিয়ে দিয়েছে।
_ আপনি আমার জীবনটা নষ্ট কইরতে পারেননা। আপনাকে আমারে মাইনে নিতেই হবি।
_ না কখনই না এইজন্যই আপনাকে আমার পছন্দ হয় না।

এই বলে আমি চলে যাচ্ছিলাম। তখন আমার মাথার সাথে কি যেন ধরল মেয়েটা। আমি পিছনে ঘদে দেখি What the……..? এটাতো বন্দক। আর এর কাছে এগলো আসলো কেমনে। আমি পরো ভয় পেয়ে আছি। আর ওর মখে শয়তানি হাসি। ভাবচি পালাবো। বাট যদি গলি করে দেয়। তখন আমি……
_ প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন। আপনার যতো টাকা লাগবে আমি দেবো তাও আমাকে মারবেননা।
_ আমার তোর টাকা লাগবেনা। অন্য কিছ লাগবে।
_ কি…..কি।
_ আমি যা বলব তই তাই করবি। তা না হলে এখনই তোর মাথায় গলি করে খলি উরিয়ে দেবো।
_ কি করতে হবে আমাকে।
_ প্রথমে হয়চ্ছে তই আমাকে কোনো প্রশ্ন করতে পারবিনা। আর তই আমাকে খব ভালোবাসবি। আর আমার যা যা লাগবে তাই তই এনে দিবি। আর আমাকে নিয়ে প্রতিদিন ঘরতে নিয়ে যাবি।
_ ওয়েট ওয়েট। তা না হয় করব। কিন্ত আপনি তই করা বাদ দেন। আমি আপনার স্বামী হই।
_ তাতো পারবোনা সোনা। আমার তই বলে অভ্যাস। কিন্ত তই যখন বলছিস তাহলে আমি তমি করে বলার চেষ্টা করব। এখন আমাকে কোলে নে।
_ তা না হয় নেব। কিন্ত আপনার হাতের বন্দকটা ফেলে দিলে ভালো হয়।
_ তাতো করবনা সোনা। আমি বন্দক ফেলে দেই আর তই পালিয়ে যাবি এখান থেকে তাইতো। তা কোনো দিনও হবেনা।

এই মেয়েটা কেমনে জানলো আমি এইসব ভাবতাচি। আর এই মেয়ের কথা বার্তাও পরো পাল্টে গেছে। আর ওর হাতে বন্দকও আছে। নকল না আসল বন্দক। আমি দেখে বলতে পারি। কারণ বন্দক এর বিষয়ে সব জ্ঞান আমার আছে। কেমনে আছে তা না হয় পড়ে বলি। আমি ওর কোমড়ে হাত দিলাম। তখন…..
_ প্লিজ ওখানে ধরিস না। আমার কেমন জানি লাগে।
_ পারবোনা আপনার কথা শনতে।

আমি আস্তে করে ওর কোমড়ে হাত দিলাম। দেখলাম ও কেমন জানি করচে। আর শদ ও না যেকোনো মেয়েই করবে। কেও খারাপ ভাবে নিবেননা কথাটা। আমি ওর পেটের ওখানে মখ দিলাম। ওর নাভির একট উপরে কিস করলাম। ও সাথে সাথে বন্দকটা ফেলে দিলো। আমিও৷ সাতে৷ সাথে ওর বন্দকটা হাতে নিয়ে ওর দিকে ধরলাম। তখন……
_ আপনি কে? সত্যি সত্যি বলবেন।
_ আমাকে বন্দকটা দিয়ে দে।
_ আগে৷ বলন আপনি কে? না হলে এটা দিয়ে আপনাকে মেরে ফেলবো।
_ জাস্ট সাট আপ। তই আমাকে কোনো দিনও মারতে পারবিনা। কারণ আমি তোর বউ। আমাকে মারলে তই জেলে যাবি। এখন বল আমাকে মারবি তই।
_ পারলে তাই করব। এখন বলো তমি কে?
_ তোর জানতে হবেনা তই বন্দকটা দিয়ে দে।
_ আমি বন্দকের ট্রিগার টা চালাতেই যাবো তখন মেয়েটা তার ঠোট আমার ঠোটের সাথে এক করে দিলো।

সত্যি কথা বলতে তারপর যা যা হয়েছে তার জন্য আমি দায়ি না। সকাল হয়ে গেছে। লাবন্য আমাকে জরিয়ে ধরে শয়ে আছে। আমাদের শুরুীরে একটা সতো পর্যন্ত নাই। ওকে আমি সরিয়ে ওয়াশুরুমে যাবো। তখন ও উঠে গেলো। ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। একবার আমার দিকে তাকাচ্ছে আবার ওর শুরুীরের দিকে তাকাচ্ছে।

কথা নাই বার্তা নাই কিল ঘসি মারা শুরু। আচ্ছা মতো আমাকে মেরে ওয়াশুরুমে চলে গেলো। জানিনা মেয়েদের মনে কি চলে। দেখলাম বন্দকটা এখনো পড়ে আছে বালিশের পাশে। দেখি বন্দকে মাত্র ৬ টা গলি আছে। আর থাকার কথা ১২ টা। কিন্ত আমি একটা কথা বঝতেচিনা। যে এই বন্দক একেবারে ইললিগাল।

তার কারণটা হলো এটার লাইসেন্স করতে প্রচুর টাকা লাগে। আর তারাই ব্যবহার করতে পারবে যারা এজেন্ট কিংবা আর্মিদের মতো। কিন্ত ওকে দেখে মনে না যে ও কোনো এজেন্ট। তাহলে আমি যা ভাবছি ও কি সেটা। যাই হোক আমার হাতে বন্দকটা আছে। আমি ভাবছি কি করা যায় এটা নিয়ে। আচ্ছা লাবন্য কে।

আমি যতদূর জানি ও তো গরীব। ওর বাবা কৃষক। তাহলে এইসব জিনিস৷ তারপর ওর কথা বলার স্টাইল। সব কিছ কেমন যেন গলিয়ে যাচ্ছে। তখন দেখি লাবন্য বের হয়ে আসছে ওয়াশুরুম থেকে। দেখি ও তোয়ালে পড়ে আছে। সতয়ি কথা বলতে আমার কাচে একটা মাত্র তোয়ালে। আমি ওয়াশুরুমে ঢকব।

তখন ওর পড়নের তোয়ালেটা আমি নিয়ে ওয়াশুরুমে ঢকলাম। অস্থির একটা কাজ করচি তাইনা। ও আমাকে মেরেছে। ওর শাস্তি এটাই। আমি দেখলাম ও ওর কাপড় গলো ধয়ে নি। যাই হোক আমারই ধতে হলো। আমি গোসলটা সেরে বাইরে বের হলাম। দেখি ও একটা শাড়ি পড়েছে। আমি আপাতোত লঙ্গি পড়লাম আর একটা গেঞ্জি।

লাবন্য টেবিলের সামনে বসে সাজছে। আমি পিছন থেকে জরিয়ে ধরলাম। ভাবলাম একট মজা করা যাক। তাই ওর পিঠে একটা কিস করছি কি করি নাই তা আমি জানিনা। কিন্ত এটা জানি যে থাপ্পর আমার মখে অবশ্যই পড়ছে। এটা কি হলো। আমি কি আমার বউকে একট আদরও করতে পারবোনা। আজবতো।

আমার বন্ধদের কাছে শনেছি তারাতো কতো মজা করে তাদের বউকে নিয়ে। তাহলে আমি কি পারবনা। এই কষ্ট কোথায় রাখবো। মন খারাপ করে বিছানায় বসলাম। বসে ল্যপটপ বের করে কাজ করতে থাকলাম। কাজ করার সময় আমি সার্চ করে দেখলাম যে লাবন্যর বিষয়ে কিচ্ছু পাওয়া যায়না কি। কিন্ত না কিচ্ছুই পাওয়া যায়নি।

আমি আমার যতো সোর্স আছে সব কয়টা লাগায় দিছি। আসা করি কালকের মধ্যে খবর গলো পেয়ে যাবো। আমি আমার কাজ শেষ করে অফিস যাবো। কিন্ত না তা আর হলো না। আমরা দজনে কেতে গেলাম নিজেকে। কিন্ত এটা কি। লাবন্যতো এভাবে কথা বলে না। ও এতো মর্ডান হয়ে গেলো এক রাতে।

আমার মাথায় কিচ্ছুই ডকচে না। আমি বাবলাম ও হয়তো কিচ্ছু কিছ বলতে জানে। কিন্ত না ও তো ইংরেজিও এতো৷ ভালো জানে যে আমিও ফেল। হয় ও আমার থেকে ১ বছরের ছোট। তো কি হয়েছে। তাই বলে ও এতো কিছ জানলো কেমনে। মানে ও গ্রামের মেয়ে। ও সব কিছই জানে। এটা হতে পারেনা।৷

সত্যি কথা বলতে আমি পাগল হয়ে গেছি। আমরা খাওয়া শেষ করলাম। তখন আব্বা বলল….
_ রিমন।
_ জী আব্বা।
_ এক কাজ কর। তই লাবন্য কে নিয়ে ঘরতে যা কোথাও।
_ কিন্ত আমারতো অফিস আছে।
_ তোর ভাই সামলে নিবেনে। তোর চিন্তা করতে হবেনা।
_ কিন্ত আব্বা…..
_ কোনো কিন্ত না।
_ আচ্ছা ঠিকাছে। তোমরা যা ভালো বোঝো।

আমি উপরে চলে আসলাম। তখন লাবন্যও আমার পিছন পিছন আসলো। এসে দরজাটা লাগায় দিলো। আমার কাছে এসে রাগান্বিত হয়ে বলতে লাগলো…..
_ ওই তোর সমস্যাটা কি রে…..
_ আমার আবার কি সমস্যা।
_ তই ওখানে যাবিনা বললি কেন।
_ আপনাকে আমার ভালো লাগেনা।
_ তাহলে আমার সাথে সারা রাত যা করলি সেগলো কি ছিলো। আর একট আগে আমার সাথে যা করলি সেগলো কি ছিলো।
_ আমি জানিনা। আর হ্য আমার কথা ভলে জান।
_ তাতো হবেনা। আর শোন। তই আমার সাথে সব করেছিস। তাই তোকে আমি ছাড়ছি না। আর তোকে তো বললাম যে আমি যা বলব তাই করবি।
_ আমিও বললাম পারবোনা। আর আমাকে জোর করবেননা।

তখন ও ড্রয়ের থেকে বন্দক বের করে আমার কপালের সাথে ধরে বলতে লাগলো…..
_ যদি তই আমার কথা না সনিস তাহলে কাল যা করিনি আজ তাই করব।
_ মানে আমাকে মেরে ফেলবেন।
_ হম মারবোতো। তই যদি আমার কথা না শনিস তাহলে অবশ্যই মারবো।
_ তাই।
_ হম।

এবার আমি ওর কাছ থেকে বন্দক নিয়ে লাবন্যম৷ ও বঝতেই পারলোনা আমি কেমনে লাবন্যম। এবার আমি ওর কোমরে অর্থাৎ নাভির পাশে বন্দকটা ধরলাম। আর বললাম…..
_ এটা শুধু আপনি না আমিও চালাতে পারি ওকে। আর আপনি এটা কতো বছর হলো পারেন। আপনার থেকে আমি বেশি ভালো চালাতে পারি।
_ তই কোথা থেকে শিখলি।
_ শিখেছি আর্মিতে ট্রেনিং নেওয়ার সময় শিখেছিলাম। (মিথ্যা কথা)
_ ও কিন্ত তোর বন্দক ধরার স্টাইল। আর তই এখন আমার সাথে যেভাবে ব্যবহার করছিস তাতেতো মনে হয় তইও আমার মতো।
_ আমার মতো মানে।
_ মানে আমি গ্যংস্টার আর তইও।

সাথে সাথে আমার হাত থেকে বন্দক টা পড়ে পড়ে গেলো। আমি ভয় ভয়ে অবস্থা খারাপ। কারণ লাবন্য গ্যংস্টার। ও আব্বাা এ তমি কার সাথে আমার বিয়ে দিলে। মনে মনে কতো কথাই যে বললাম। তার নাই ঠিক। তখন ও বললো….
_ কি হলো শনে মনে হলো তই ভয় পেয়েছিস।
_ না….না…না আ..আমি ভয় পাইনি।
_ এরকম করছিস কেন। গ্যংস্টার এর নাম শনে ভয় পেলি নাকি।
_ মা…মানে।
_ থাক। আর বলতে হবেনা। আমি সব বঝি।
_ আচ্ছা সেসব কথা বাদ। আপনি যদি আমার সাথে তমি করে কথা না বলেন তাহলে আমি আপনার কথা শনবনা।
_ আচ্ছা ঠিকাছে বলবো। তার আগে একটা কিস দেও।
_ দেবো তার আগে বলো তখন আমাকে থাপ্পর মারলে কেন।
_ আসলে আমার তো এসবের অভ্যাস নাই৷ তাই আর কি। তখন ভল করে মেরেছিলাম।
_ ও আচ্ছা।

আমাকে পরোটা বলতেও দিলোনা তার আগেই কিস। যাই হোক আমরা আমাদের ব্যগ গচিয়ে লাবন্যম। যাবো বেড়াতে। কিন্ত নাহ৷ যাওয়া যাবেনা। আগে লাবন্যর ব্যপারে সব খোজ খবর নিতে হবে তারপর। তাই লাবন্যকে কোনো ভাবে ময়নেজ করায় ১ সপ্তাহ পর ঠিক করলাম বেড়াতে যাওয়ার জন্য। আজতো যেতে পারবোনা অফিস।

তাই ওর সাথে বাসাই থাকতে হবে। আমি শয়ে আছি কারণ কেমন যেন শুরুীর দূর্বল হয়ে আসছে।

বুঝতে পারছি এবার আমার খাবারে কে জানি ঘমের ঔষধ মিশিয়ে দিয়েছে। আমি ঘমিয়ে গেছি অথচ আমি জানিনা। ঘম থেকে উঠে দেখি দপর হয়ে গেছে। আজবতো। তখন দেখি লাবন্য আমার পাশে বসে আছে আর ফোন টিপছে। তখন আমি যেই লাবন্যকে বলতে যাবো যে আমার কাবারে ঘমের ঔষধ মিশানো কেন।

_ কি হলো উঠছো কেন। শয়ে থাকো।
_ আমার কি হয়েছিলো।
_ আমিতো বলতে পারবোনা। তমি রমে এসে সেন্সলেস হয়ে গেছিলে। তারপর এখন তমি ঘম থেকে উঠলে।
_ আমি জানি যে আমি সেন্স লেস হয়ে যায়নি। আর আমি এটাও জানি তমি আমার খাবারে ঘমের ঔষধ মিশিয়েছো।
_ তোমার মনে হয়না তমি প্রয়জনের থেকে একট বেশি জেনে ফেলেচো।
_ তমি আমাকে হমকি দিচ্ছো।
_ না তো আমি কি আমার স্বামীকে হমকি দিতে পারি।
_ তাহলে এরকম ভাবে বলছো কেন। আচ্ছা আমাকে ঘমের ঔষধ খাওয়ায় দিয়েছিলে কেন।
_ তা তোমার জানতে হবেনা।
_ না বললে তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো।
_ দে না ডিভোর্স আমার সাথে যা করার তাতো করেইছিস। তই জানিস যে আমাকে এখন ডিভোর্স দিলে কেও আমাকে আর বিয়ে করবেনা।

আমি ওর কথা না শনেই চলে গেলাম। অফিস শেষ হবে ৫ টার দিকে। আমি রেডি হয়ে না খেয়ে চলে গেলাম। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে অবাক। কারণ কাল আমার বিয়ে হয়েছে। আর আমি আজ এখানে আসচি। আমি আমার কেবিনে গেলাম। গিয়ে দেখি প্রচুর কাজ পড়ে আচে। একটা একটা করে সব শেষ করলাম।

রাত ৮ টা বাজে। ৬ টার দিকে সবাই চলে গেছে। আর আমার কাজও শেষ। তাই আমি এখন বাসায় যাবো। বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা হলাম বাসার সামনে নামলাম তখন সিএনজির ভারাটা দেবো তখনই দেখি লাবন্য কোথায় যেন যাচ্ছে। আজবতো এখন আবার এতো রাত্রে কোথায় যাচ্ছে। আমাকে দেখতে পায়নি। তাও ভালো। আমি ওর পিছ যেতে থাকলাম।

ও বড় একটা বাসার ভিতরে ঢকল। কিন্ত ঢোকার সাথে মানে তার সাথে আরো দইটা লোক ও ঢকল। আমি এবার প্রচন্ড রেগে গেচি। কারণ কাল আমাদের মিলন হলো। আর আজ ও ছিছিছি। আমি আর এখানে থেকে কি করব। আমি বাসায় যাবো তখনই বন্দকের আওয়াজ শনলাম। আওয়াজ মনে হয় ভিতর থেকে আসল মনে হয়।

যেহেত রাস্তা পরো ফাকা। আর এই এলাকায় যদি কেও খনও হয়ে যায় তাহলে কেও বঝবেনা। কারণ এখানে বেশি কেও বসবাস করেনা। হ্য আমি জানি এখানকার ব্যপারে। কারণ না থাক নাই বললাম। আমি বাসার ভিতরে ঢকে গেলাম। লকিয়ে লকিয়ে দেখলাম আমার মতো কয়েকটা ছেলে লাবন্যর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।

আর লাবন্যর সামনে একটা মানষ রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। তার মানে একেই মারা হয়েছে। কেন মারল। আরেকট দেখার চেষ্টা করতেই দেখলাম যে একটা মেয়ে খবই সন্দর কিন্ত বোবা। আমি যতটক আন্দাজ করার চেষ্টা করেচি তাতে মনে হয় এই লোকটা মানে যাকে মেের ফেলা হয়েছে সে এই মেয়েটাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলো।

কিন্ত মেয়েটা পালিয়ে এখানে চলে আসে। তার পিছ পিছ লোকটাও চলে আসে। কিন্ত মারা যায়। কারণ জানত না যে এখানে আসলে কি হতে পারে। এমন না যে ওখানে আরো মানস চিলোনা। কিন্ত এখানে মেয়েরাও আছে। তাদের স্টাইল দেখে মনে হয় কোনো মাফিয়া হবে। আমি তাদের মধ্যে ডকে গেলাম।

যেহেত কেও আমাকে চেনেনা। কারণ এদের মধ্যে কেওই আমাকে দেখেনি। আর এরা আমাকে এখানে দেখেও বজতে পারেনি যে আমি ওদের গ্যং এর সদস্য না। কিন্ত একটা মেয়ে আমার সাথে লাইন মারার চেষ্টা করছিলো। কিন্ত আমি কান দিচ্ছিলাম না। আমি শেষ। কারণ কে জানি পিছন থেকে আমার কাধে হাত দিলো।

মনে হয় আমি ধরা পড়ে গেছি। আমাকে টান দিয়ে নিয়ে চলে গেলো। কেও বঝলোও না। আজবতো কি হলো এটা। আমাকে উপরে নিয়ে গেলো। তাও আবার ওয়াশুরুমের মধ্যে। দেখি আরে এটাতো জান্নাত ও আবার এখানে কবে আসল। ও আমাকে দেখে বলল……
_ বস এখানে কি করছেন আপনি।
_ সরি আপনার কোথায়৷ ভল হচ্ছে আমি কোনো বস টস না।
_ আরে অসবিধা নাই আমি কাওকে বলবনা আর ম্যমকেতো বলবইনা।
_ আপনার সত্যি কোথায় ভল হচ্ছে।
_ তাই নাকি। আমাকেতো ভলেই গেচেন। আগে আমাকে কতো ভালোবাসতেন। আর ম্যমকে পেয়ে আমাকে ভলে গেলেন।

এই বলে আমাকে কিস করল। আমার এতে কোনোই ইচ্ছা নাই কারণ আমি পাল্টে গেছি। আর আমার তো একটা বউও আচে আপনারা জানেনই। পাঁচ মিনিট পর ছাড়লো মেয়েটা। তারপর…..
_ আপনি এখনো বদলান নি। আগের মতোই রয়ে গেছেন। আর আগের থেকে একট বেশিক্ষন ধরে কিস করতে পারেন।
_ দেখকো এইসব ঠিক না। আমার একটা বউ আছে।
_ জানিতো। কিন্ত বউ থাকলেইতো এই না যে আরেকজনের সাথে ফূর্তি করা যাবেনা।
_ আমি পারবোনা আমাকে ছেড়ে দেও।
_ কেন পারবেননা। আচ্ছা ম্যম কি আপনাকে আমার থেকে বেশি সখ দেয়।
_ জানিনা আমি।

_ তাহলে আর কোনো কথা না আজ রাত আমার সাথেই কাটাতে হবে।
_ পারবোনা আমি এটা পাপ। আর আমার বউ আছে।
_ কেন আগেই কই গেচিলো আপনার পাপ। ম্যম কে বিয়ের আগে আমার সাথে যে রাত কাটিয়েছেন তার কি হবে। আর ম্যম জানে এসব।
_ তোমার ম্যম এটাও জানেনা যে আমি কে।
_ কেন কেন।
_ আগে বলো তোমার ম্যম কি গ্যংস্টার।
_ হ্য
_ কয়বছর হলো এইসব করছে
_ তাও ধরন ২ বছর। আপনি চলে যাওয়ার ৩ মাস পর ম্যম আসছে।
_ ও আচ্ছা তাহলে আমি যাই না হলে সমস্যা হতে পারে।
_ যাওয়ার আগে একটা কিস তো দিয়ে যান।
_ ওমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমাহ। এখন খশি।
_ হম খব খব খশি।

আপনারা ওতো চিন্তা করেননা আমি ওর গালে কিস করেছি। ঠোটে না। যদি করতাম তাহলে ও ওখানেই শুরু করে দিতো। আমি নিচে নামলাম দেখি লাবন্য এখন মনে হয় বের হবে। আমি তার আগেই বাসায় চলে আসলাম। আম্ম বললো…..
_ এতোক্ষণ কই ছিলি।
_ এইতো অফিস থেকে একট ঘরতে।
_ তোর সাথে লাবন্য ছিলোনা।
_ হ্য ছিলোতো। ও আমার অফিসেই গিয়েছিলো সেখান থেকে একসাথে ঘরতে গেচিলাম।(মিথ্যা কথা)
_ তাহলে লাবন্য কই। ওকেতো দেখছিনা।
_ ও আসতিচে ওতো চিন্তা করোনাতো আমি আমার রমে গেলাম।

আমি আমার রমে এসে ফ্রেশ হলাম। তখন ওয়াশুরুম থেকে বের হয়ে দেখি লাবন্য চলে আসছে। আর শুধু আসেই নি রেগেও আছে। কেন আছে আমি নিজেও জানিনা। ও কোনো কথা না বলে ফ্রেশ হতে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসে দজনে একসাথে খেতে গেলাম। ভাইয়া ভাবি আগেই খেয়ে ঘমিয়ে গেছে। আম্ম জেগে থাকে আমার জন্য।

আম্মর চিন্তা হয়। আমরা খাবার টেবিলে বসে খাচ্ছি। লাবন্য একটা কথাও বলছেনা। আমি ওকে কতো কিছ বললাম তাও ও একটা কথার উত্তর দিলোনা। খাওয়ার শেষের দিকে দেখলাম ওর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। ওর আবার কি হলো। আমি ওকে বললামও কি হয়েছে। ও বললোনা। আমরা খাওয়া শেষ করে রমে চলে আসলাম।

লাবন্য আমার আগেই শয়ে পড়ল। আর কাদছে। কিন্ত কেন তখন…….
_ ওই কান্না করছ কেন।
_ কান্না চাল।
_ বলবা না আমি চলে যাবো।
_ যা না যা তোকে নিষেধ করছে কে। আমি কি তোকে ভালোবাসিনি নাকি সকালের জন্য তই আমার সাথে এরকম করলি।
_ আজবতো। আমি জানিনা তমি কি বলছো। বঝিয়ে বলো।

তখন ও ওর ফোন বের করে ভিডও দেখালো। আমি দেখে শক। মানে জান্নাত আমার সাথে তখন যা করেছে সব এখানে দেখা যাচ্ছে। কিন্ত শব্দ শোনা যাচ্ছেনা। এবার মরচি আমি। আমি লাবন্যর দিকে তাকিয়ে আছি। ও কেদেই চলেছে। এখ কি করি আমি। ওকে শান্তও করতে পারবোনা। কারণ আমি ওকে এখনো ভালো করে চিনিনা।

তখন ও নিজেই আমাকে কিস করল। আমি…..
_ আচ্ছা তোমরা পাইছো টা কি বলোতো।
_ কেন কেন কি হইছে।
_ ওখানে ওই মেয়েটা আমাকে কিস করে। আর এখানে তমি আমাকে কিস করছো।
_ কেন তমি ওর সাথে করতে পারলে আমি তোমার সাথে করবনা।
_ না তা করো প্রবলেম নাই কিন্ত আমার ঠোট টাকে একট শান্তি দিতে হবে তাইনা। আমার ঠোট কামরাচ্চো কেন।
_ আচ্ছা আর করবনা।

যাক বাচা গেলো। আমি ওর থেকে একট দূরে গিয়ে ফোন দেখার চেষ্টা করছি। আমি ফোন টিপছি। তখন আমি জানিনা লাবন্য কি করছে। লাবন্য হঠাৎ করেই আমার সামনে আসলো। What the……….? তখন……
_ ওই মেয়ে তমি কাপড় কেন খলে ফেলছো।
_ কেন তমিতো বললা।
_ আজবতো আমি আবার কখন বললাম।
_ কেন তমি বলোনি আমি তোমাকে ভালোবাসিনা। আমি তোমাকে সখ দিতে পারিনা।
_ আমি আবার কখন বললাম। আমার মাথায় কিছই ঢকছে না।
_ কেন তমি জান্নাতকে বলোনি এইসব কথা না হলে ও তোমার সাথে এরকম করবে কেন।
_ কোনটা ওহ ওই মেয়েটা।
_ হম।
_ না বলি নাই।
_ থাক কি বলছো না বলছো আমি জানিনা। এখন আমাকে ভালোবাসতেই হবে তোমার।
_ আমি পারবোনা।

আর থাকতে পারলাম না। তাই বলে আমার ঠোটের উপর ই নির্যাতন করা লাগবে। যাক সকাল হয়ে গেছে। রাত্রের কথা কিছই মনে নাই। দেখি লাবন্য উল্টো ভাবে শয়ে আছে মানে আমার মখের উপর দই পা দিয়ে শয়ে আছে। এই মেয়েটা কেমন জানি। আমি ওকে আমার দিকে শোয়ায় দিলাম। তখন ও উঠে গেছে।

আমার দিকে কেমন ভাবে যেন তাকিয়ে আছে। আমার দিকে৷ অনেকক্ষন তাকিয়ে থেকে মচকি হাসলো। আমি কি করবো আমার তো লজ্জা করছে তাইনা। তারপর বলতে লাগলো……
_ কি হলো কথা বলছো না যে রাগ করেছো রাত্রের জন্য।
_ তোমার উপর কি রাগ করতে পারি নাকি আমি।
_ তাহলে একটা কিস দেও।
_ আবার কিস। আমার ঠোট একেবারে শেষ। আবার যদি দেই তাহলে আর কোনোদিন কিস দিতেই পারবো না যে।
_ তাহলে কপালে দেও।
_ একটা কিন্ত।
_ না আমি যতোক্ষণ না পর্যন্ত বলব ততক্ষণ দিতেই থাকবে।
_ আচ্ছা।

শুরু হলো কিস দেওয়া বাট ঠোটের সাথে ঠোট না একবার গালে একবার কপালে। এইভবে দিতেই আছি। আমি জানি লাবন্য খবই ভালো মেয়ে। কিন্ত মাঝে মাঝে রেগে গেলে আমার বারোটা বাজে। কাল যেরকম বাজলো। যাই হোক। আমরা দজনই গোসল করতে গেলাম। গোসল শেষ করে এসে দেখি লাবন্যর তো শাড়ি নাই।

মানে আছে ঠিিক। কিন্ত ও পাতলা গলো পড়তে বেশি ভালো বাসে। সেগগলো নাই।ত তাই ওকে আমার দই বছর আগেকার একটা শার্ট আর প্যন্ট দিলাম। What the fuck? এটা কি দেখলাম।এখন যদি লাবন্যর চল ছোট হতো তাহলে ওকে দেখে কেও বলবেনা যে ও মেয়ে। আমরা নিচে আসলাম। দেখি সবাই খাবার টেবিলে বসে আছে।

আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। লাবন্য কে দেখে সবাই হাসাহাসি করছে। এইজন্য আবার আমার মার খাওয়া লাগলো। সবাই এইজন্য হাসছে কারণ লাবন্যকে আজব দেখা যাচ্ছে। এমনিতে কোনো মেয়ে যদি শার্ট প্যন্ট পরে তাহলে যে কেও বলবে যে ওই মেয়েটা হট। তাইতো কিন্ত না আমার সব কাপড় ঢিলা। তাই লাবন্য ওটা পড়ে থাকায় ওরকম কিছই মনে হচ্ছেনা।

আমরা খাওয়া শেষ করে অফিস যাবো। কারণ আজ একটা মিটিং আচে। অন্য কোম্পানির বসের সেক্রেটারির সাথে। কারণ বসের নাকি সময় নাই। আর ওনাদের কোম্পানি অনেক বড়। তাই ওদের সাথে ডিলটা ফাইনাল করতে পারলেতো কি বলব ভাষাই নাই। তাই আমাকেই যেতে হবে মিটিং টা করার জন্য। ভাইয়া বলল সে নাকি মেয়ে।

আমি জানিনা মেয়েরা আমার কথা শনে পটে কেন যায়। আর ভাইয়া সেইটার ই ফায়দা নিবে। সে জানে আমার বিয়ে হয়ে গেছে তাও আমারকে দিয়ে এরকম কাজ করাবেই। ভাবি জানেনা অবশ্য জানলে আমি শেষ। ভাইয়াকেতো খজেই পাওয়া যাবেনা। তাই ভাইয়া জানবেও না। যাই হোক আমি আর লাবন্য রমে চলে আসলাম। তখন……
_ আচ্ছা শোনো আজ ডিলটা ফাইনাল করে আসবো।
_ হ্য আমাকে বলছো কেন।
_ না মানে আজ আসতে কালকের মতো দেরি হবে।
_ ও আচ্ছা। তাহলে আমার জন্য কি নিয়ে আসবে।
_ শোনো তমি কোথাও যাবেনা ওকে। আমি আসার সময় শাড়ি নিয়ে আসবো।
_ কেন কেন আমার কাজ আছেতো।
_ বললামতো যেতে হবেনা। আমি তোমার কাজ দেখবোনে। তমি কোথাও যাবেনা।
_ কিন্ত ওরাতো তোমাকে চেনেনা। তাহলে কেমনে করবে।
_ বলব৷ যে তমি আমার বউ। তাহলে ওরা আমাকেও মেনে নিবেনে।
_ তোমার কথা বিশ্বাস করবে।
_ তোমার বর আমি বিশ্বাস করতেই হবে।

আমি রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। যাওয়ার আগে লাবন্যর কপালে দটা চম দিয়ে বের হলাম। অফিসে চলে গেলাম। বলল যে কয়েকটা ডকমেন্ট নিয়ে নাকি ওমক হোটেলে যেতে হবে। আমিও চলে গেলাম। হোটেলের ভিতর ঢকে দেখি কালো শাড়ি পড়ে একটা মেয়ে টেবিলে বসে আছে। হয়তো সেই হবে। কিন্ত তাকে পটানোর আগে জানতে হবে তার কি পছন্দ হবে।

আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি। ৩ মিনিট মনে হয় ওর দিকে তাকিয়ে আছি। এবার ও মখটা উপর দিকে তাকিয়ে দেখলো। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। তখন ও ওর শাড়িটা ঠিক করল। আজবতো আমি কি ওইসবের ধান্দায় আছি নাকি। মেয়েরাও না আজকাল একট বেশি নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা করে। আমি গিয়ে ওর সামনে বসলাম।

আমি জানিনা এটা মিটিং কি না। কিন্ত এখানে কিচ্ছুতো একটা হতে চলেছে। আমি ফাইলগলো দিলাম ওনার কাছে। উনি ফাইল গলো দেখছে আর আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছে। আমি জানি মেয়েটা পটে গেচে। আমার থেকে বয়সে কম হবে। ফাইল দেখা শেষ। তারপর বলল……
_ হম আপনার প্রর্যেক্ট টা আমারর কাছে খবই ভালো লেগেছো। আমরা রাজি। কিন্ত আমার একটা সর্ত আছে।
_ খাইছে এখন উল্টা পাল্টা কিছ না বললেই ভালো। (মনে মনে)
_ কি হলো কিছ বলশছেন না যে।
_ না কিছনা সর্তটা কি।
_ সর্তটা হলো আপনাকে আমার ভালো লেগেচে। আর আমি এখানকার কিছই চিনিনা তাই ভাবছিলাম আপনাকে নিয়ে আস এই শহরে ঘরব।
_ কাজটা কি ঠিক হবে।
_ কেন আপনার কোনো সমস্যা আচে।
_ না নাই। আমার বিয়েও হতে পারে। তাহলে আমার বউ যদি দেখে ফেলে তংন কি করবেন।
_ সেটা আমি সামলে নিবোনে আপনার চিন্তা করতে হবেনা।
_ আচ্ছা। ঠিকাছে তাহলে কোথায় যেতে চান সেটা বলেন।

আমাকে নিয়ে চলে গেলো হোটেলের একটা রমে। আমাকে ভিতরে ঢকতে বলল। আমিও ঢকে গেলাম। তখন মেয়েটা আমাকে বিছানায় ফেলে দিয়ে আমার উপর উঠল। আমি জানতাম এরকম কিছ একটা হবে। তখন…….
_ ভাবলাম আপনি ভয় পাবেন। কিন্ত না আপনি তো ভয় পলেন না।
_ কেন ভয় পাবো সেটা বলন।
_ কারণ আমি যে আপনার সাথে এরকম করছি।
_ ওওও আচ্ছা। আমিতো আগেই জানতাম আপনি এরকম কিছ একটা করবেন। আপনাকে দেখেই বঝা যাচ্ছে।
_ তাই আর কি কি বঝতে পারছে আমাকে দেখে।
_ বলবো রাগ করলে আমার দোষ নাই।
_ বলেন। রাগ করবো কেন।
_ আচ্ছা তাহলে শোনেন। আপনি এখন কালো কালারের শাড়ি পড়েছেন। ভিতরে পিংক কালারের ব্রা আছে। আর পিংক কালারের প্যন্টি পড়ে আছেন৷
_ বাহ আপনাকে মানতে হবে। তা আমার উপর যাছছি করছিলেন নাকি।
_ নাতো।
_ তাহলে পার্ফেক্ট ভাবে বললেন কেমনে। আমাকেতো বাইরে থেকে বোঝায় যাচ্ছে না।
_ সেটা নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হবেনা৷
_ তাহলে কি করব।
_ আমি জানিনা।

সালার কিসের জন্য যে আমি জানিনা বলতে গেলাম। মেয়েটা আমার ঠোটের উপর বসায় দিলো। আমি শেষ আমার ঠোট দিয়ে রক্ত বের হচ্চে। ও দেখে বললো…..
_ কি হলো এই টকতেই রক্ত বের হয়ে গেছে।
_ জি না। আপনার ভাবি আমার উপর অনেক অত্যাচার করেছে।
_ তার মানে বিয়ে হয়েছে রাইট।
_ হম।
_ তাহলেতো আপনার সাথে কিছই করা যাবেনা।
_ কেন যাবেনা।
_ -কারণ আপনার সাথে এখন আমি সেক্স করি তাহলে আপনি কি আমাকে বিয়ে করবেন।
_ অবশ্যই না৷ কারণ আমার বিয়ে হইছে।
_ সেই জন্যই আপনার সাথে কিছ করবনা। তাহলে চলেন শপিং করতে যাবো আমি।
_ আচ্ছা চলেন।

আমি মখ মছলাম। মছে এখন যাবো সপিং করতে। কিন্ত এটা কি হলো। আমি কি ওর চাকর নাকি। আমাকে দিয়ে এতো গলো ব্যাগ নেওয়াইছে। আর ও তো কম কিছ কেনেনি। যাই হোক কোনো মতে শপিংটা শেষ করে ওকে পাঠিয়ে দিলাম হোটেলে। আর লাবন্যর জন্য আমি শাড়ি কিনতে গেলাম।

দেখি ওখানে জান্নাতও ছিলো। আমাকে দেখে এতো খশি হইছে আর কি বলব। আমি তাও ওর থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করলাম। কিন্ত না তা আর পারলাম কই। আমি যেখানে যেখানে যাচ্ছি মেয়েটাও সেখান সেখানে যাচ্ছে। আমি কোনো মতে শাড়িটা কিনে চলে আসব তখন আরেক বিপদ সামনে আসলো।

কেমন বিপদ জানতে চান। তা হলো আমি বিলটা পে করে পিছনে তাকাতেই দেখি জান্নাত। আমি তার পাশ দিয়ে যাওয়া শুরু করলাম। কিন্ত তাতেও ঝামেলা। মেয়েটা আমার হাত ধরে বলল…..
_ আমার সাথে এরকম কেন করছেন।
_ হাত ছাড়ো আমার।
_ না পারবোনা।
_ দেখো আমার হাত ছাড়ো। এমনিতেও তোমাদের জন্য আমার পাঠকরা ভাবছে গল্পটা চটি হয়ে যাচ্ছে।
_ তো আমার কি।
_ তোমার কিছই যায় আসেনা। কারণ তমি আসলে নাই। কিন্ত আমি আছি। আর কথাগলা আমারই শোনা লাগে।

এইসব বলে আমি ওখান থেকে চলে আসি। বাসায় চলে আসলাম। দেখি লাবন্য বসে থেকে আমার ল্যপটপ ঘাটছে। কাম সারছে। ওখানে আমার সব ছবি আছে। মানে যবে থেকে ফোন পাইছি তখন থেকে আজ পর্যন্ত যতো ছবি তোলা হইছে সব ল্যপটপে রেখে দিছি আমি। আর ওখানে স্কল কলেজের মেয়েদের ছবিও আছে।

লাবন্যর কাছ থেকে এখন কেড়ে না নিলে ও যে কি করবে তার নাই ঠিক। তখন…..
_ কি করছো।
_ দেখছি। তমি ল্যপটপ দিয়ে কি করো।
_ যাই করি না কেন। আকাম তো আর করিনা।
_ সেটা বঝতেই পারছি।
_ কি?
_ কিছনা৷
_ ভালো।

আমি ওয়াশুরুমে গেলাম ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে দেখি লাবন্য আমার জন্য খাবার নিয়ে আসছে। তখন…..
_ জানো এগলো সব আমি রান্না করছি।
_ তাই। তাহলেতো খেয়ে দেখতে হবে।
_ হ্য খাও নিষেধ করছে কে।
_ আচ্ছা আমি হাত মখ মছে নেই।

যাই পরো ক্লিন হয়ে খেতে বসলাম। বাহ খাবার টা তো অস্থির। আমি খাওয়া শেষ করলাম। শেষ করার পর ও গিয়ে রেখে আসলো মনে হয়। তখন…..
_ খাবারটা অস্থির হয়েছে।
_ দেখতে হবে কার বউ।
_ বাট এটা তোমার রান্না না।
_ কেমন জানলে তমি।
_ এটা ভাবির রান্না ভাবি ছাড়া এরকম করে আর কেও রান্না করতে পারেনা।
_ ও আচ্ছা। ভবলাম আমার টা দিয়ে চালিয়ে দেবো।
_ দেখো রান্না করতে পারোনা৷ শিখতে তো পারো।
_ দেখি চিন্তা করে।
_ দেখো তমি আমার বউ। আমি চাইনা তমি ওইসব কাজ করো। তমি বাসায় থাকবা। ভাবিকে রান্নার কাজে হেল্প করবা। আর বাসার যতো কাজ আছে করবা। না পারলে ভাবির কাছ থেকে শিখবা।
_ আচ্ছা বললামতো দেখবো। এতো রাগ করছ কেনো।
_ দেখলে হবেনা। পারলে আমার কথা শোনো না হলে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যাও।
_ আমার সাথে ডিভোর্স হয়ে গেলে তমি ভালো থাকবে।
_ হ্য অবশ্যই থাকবে। একজন স্বামী তার স্ত্রী এর কাছে কি চায়। সে চায় আমার স্ত্রী যেন মিথ্যা কথা না বলক। কোনো খারাপ কাজের সাথে যক্ত না থাকক। আর বাসায় থাকবে। মানে অন্যান্য স্ত্রী দের মতো।
_ কিছই বঝলাম না৷
_ আমিও না।

যাক কথা বলে লাভ নাই। কারণ এরকম যে চলতেই থাকবে আমি জানি। আপাতোত ঘমিয়ে গেছি। সকালে ঘম থেকে উঠে দেখি লাবন্য আমার পাশে নাই। আমি নিচে গিয়ে দেখি ভবির রান্নার কাজে হেল্প করছে। আমি ফ্রেশ হয়ে খেতে গেলাম। খাওয়া শেষ করে নিজের রমে এসে দেখি আমার কাপড় ও রেডি।

আমি পড়ে যাওয়ার আগে লাবন্যর কপালে দটা চম দিয়ে বের হই। সেটার কোনো মিস নাই। অফিস থেকে বাসায় চলে আসলাম। দেখি লাবন্য বাসায় আছে ভাবির কাছে কাজ শিখছে। এভাবে ৪-৫ দিন চলল। তারপর বাদ। মানে আবার ওইসব কাজ শুরু করে দিছে। না আমি আর এই মেয়ে কে নিয়ে পারবোনা৷ তাই ডিভোর্স এর চিন্তা ভাবনা করছি।

যা ভাবা সেই কাজ পরের দিন। ডিভোর্স এর জন্য গেলাম এপ্লাই করতে। বলল ৬ মাস পর ডিভোর্স এর পেপার এসে যাবে। আর ৬ মাসে মিলও হয়ে যাবে। তাহলে আর ডিভোর্স হবেনা৷ এই সব ফালতু গল্প লেখে কারা। যাই হোক হমকি দিয়ে আসলাম যে ১ সপ্তাহ এর মধ্যে যেন কাজটা পেয়ে যাই। সেখান থেকে বাসায় চলে আসলাম।

লাবন্য খবই কান্না করছে৷ আব্বা আম্ম ভাইয়া ভাবি আমাকে জিজ্ঞেস করছিলো কিসের জন্য। কিন্ত আমি তাদের কে কি বলব। বলব যে তাদের বউমা গ্যংস্টার। তাহলে আমিও ফেসে যাবো। তাই তখন……
_ কি হলো কান্না করছো কেন?
_ কান্না চাল।
_ ওতো ঢং করে লাভ নাই। তোমাকে বলেছিলাম যে আমার কথা শনতে কিন্ত কয়েকদিন করে বাদ দিছো তমি৷ এটা মেনে নেওয়া যাবেনা৷ খরাপ কোনোদিন ভালো হয়না এটা মানতাম না। কিন্ত তোমার কারণে আজ মানতেই হচ্ছে।
_ প্লিজ ডিভোর্সটা না করলে হয়না।
_ না। হয়না।
_ কেন। আমি কি দোষ করছি। আমি যদি ওই কাজ না করি তাহলে ওরা আমাকে মেরে ফলবে।
_ সেটা এখন বলে কি হবে। আগে বললে আমি কি কিছ করতাম না৷
_ তমি কি করতে।
_ সবাইকে মেরে ফেলতাম।
_ তমি বন্দক চালাতে পারো দেখে ওদেরকে মারতে পারবে ভাবছো। তমি জানোনা ওদের গ্যং লিডার কে।৷
_ কে সে।
_ সে কে আমি জানিনা। আমার আসার ৩,৪ মাস আগে সে চলে গেছে। সে নাকি এখন ভালো হয়ে গেছে। কিন্ত ওর হয়ে যারা কাজ করে তারা এখনো ওরকমই আছে। এখন আমি যদি কাজ ছাড়তে চাই পারবোনা৷ তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে।
_ ও আচ্ছা তাহলে তোমাকে যদি এমনি এমনি যেতে দেয়। তাহলে আমার সাথে সাধারান লাইফ কাটাবা।
_ হম কাটাতে চাই। কিন্ত এটা যে কোনোদিনও হবেনা সেটা আমি জানি।

_ কে বলছে যে কোনোদিন হবেনা।
_ কারণ আমি জানি সেটা।
_ তাহলে ভল জানো। চলো এখন একজায়গায় যেতে হবে।

লাবন্যকে রেডি হতে বললাম। আর আমি একট বাইরে গেলাম। দেখে আসতে যে সবাই এখনো ঠিক ঠাক আছে কি না। আমি চলে গেলাম। তখন লাবন্যর ফোন। লাবন্যকে বললাম যে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করতে। তারপর ওকে নিতে আসবো। আমি চলে গেলাম জান্নাতের কাছে। কারণ একমাত্র ওই জানে যে আর বাকি গলো কোথায় আছে।

তো জান্নাত যে বাসায় থাকে সেটাও আমারই বাসা। আমি যখন গ্যংস্টার ছিলাম। তখন ২৬ টা বাসা কিনেছিলাম। কাজের জন্য। কিন্ত পরিবারের কারণে তা আর হলো গ্যংস্টার থেকে চলে আসি আমি। কারণ আব্বা আম্ম জানতে পারলে কষ্ট পাবে। এমনিতেও আমরা কোনো খারাপ কাজ করতাম না। তাও ছেড়ে দিতে হলো আমার।

একটা কথা বলে নেই আমারই শুধু মাত্র ২৬ টা বাসা ছিলো। আর বাকি গলোর ৫,৬ টা করে আছে। ভাড়া দিয়ে রাখছে। কিন্ত আমার বাসা অল টাইম ফাকাই থাকে। তার মধ্যে একটাতে জান্নাতকে থাকতে দিয়েছিলাম আমি। এখন ও ওখানেই আছে নাকি তাও আমি জানিনা। আমি সেখানে পৌছে গেলাম।

বাসার অবস্থা দেখে মনে হয় যে এখানে কেও থাকে। আগেই বলেছিলাম আমার বাসা। তাই বাসার চাবি আমার কাছেই থাকবে। আমি ঢকে গেলাম। দেখি বাসার মধ্যে কেওতো আছে জান্নাত কি না সেটা জানিনা। আমি ওর রমে চলে গেলাম। দেখি কে জানি গান করছে। দরজা খোলাই আছে। আমি ঢকলাম।

What the fu..ck? জান্নাত তো কোনো কাপড় ই পরে নাই। সত্যি কথা বলতে ওর শুরুীরে কোনো কাপড় ই নাই। মনে হয় কেবল গোসল করে বের হলো। শুরুীর দিয়ে এখনও পানি পরছে। সাথে সাথে জান্নাত পিছনে তাকালো। আমি শেষ। যদি চিল্লানি দেয়। আমাকে দেখে এমন ভাব করছে মনে হয় কিছই হয়নি৷ তখন……

_ কি ব্যপার আমার কাছে কেন।
_ কাপড় পরে নেও আগে।
_ আপনার লজ্জা করেনা যে আপনি এইভাবে না বলে আমার রমে চলে আসছেন।
_ লজ্জার কথা তমি আর বলোনা। আর হ্য বাসা আমার।
_ তো কি হয়েছে। যান বাইরে যান আমি কাপড় পড়বো।
_ হম তা না হয় যাবো। একটা কথা।
_ কি?
_ সার্ভার এখনো বন্ধ আছে না খোলা।
_ আমি কেমনে জানবো।
_ তমিতো হ্যকার৷। আর্মিদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা চরি করে নিয়েছো।
_ এটা আপনি জানলেন কি করে।
_ সেটা বড় ব্যপার না। আমাকে সার্ভার এর কোড টা দেও। আর সবাইকে আজ বিকাল ৪ টার দিকে বনের মধ্যে আমাদের যে হেড কোয়ার্টার আছে সেখানে আসতে বলো।

আর কি করব আমার যা বলার আমি বলেছি। বলা শেষ করে আমি বিছানায় বসে পড়লাম। বিশ্বাস করেন। এটা আমার প্রথম বাসা ছিলো আমি কিনেছিলাম। কিন্ত নিজের টাকা দিয়ে না। আমরা গ্যংস্টার তাই আমাদের অনেক শত্র আছে। কেও তাদের কে কিছ বলতে পারতো না। কিন্ত আমি প্রথম প্রথম এসে সবাইকে শেষ করে ফেলি।

তারপর তাদের যা টাকা আছে সব আমি আমার কাছে রেখে দেই। অবশ্য এ কথা কেও জানেনা। এখনো আমার কাছে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার মতো আছে। তাই আমার ওতো চিন্তা নাই। আমি বসে বসে ভাবছি যে এই রমে কিছ একটা আছে যেটা আমাকে খব ডিস্টার্ব করছে। এতোক্ষণে জান্নাতের কাপড় পড়াও শেষ হয়েছে৷

কাপড় বলতে কি। ও শুধু জিনস আর শার্ট পড়ে। যাই হোক ও সবাইকে বলে দিলো আসতে। আমি সার্ভারে ঢকে দেখি সব গন্ডগোল করে রেখে দিছে৷ কে জানি। মানে ভাইরাস দিয়ে দিছে সার্ভারে। তাই সব কিছ উল্টা পাল্টা হয়ে গেছে। তখন……
_ আচ্ছা জান্নাত তমি এই সার্ভারের যে হোস্ট আছে ওটা হ্যক করতে পারবে।
_ হম পারবো। কিন্ত ঝামেলা আছে এতে।
_ কিরকম ঝামেলা।
_ ঝামেলা হলো আমি যদি এখন সার্ভার হ্যক করি তাহলে আমার লাইসেন্স নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
_ সেটার চিন্তা তমি করোনা। ১ টা গেলে ১০ টা এনে দিবো আমি।
_ সত্যি।
_ হম।
_ তাহলে এখনি করে দিচ্ছি।

জান্নাত ওর কাজে ব্যস্ত। আমি শুধু দেখছি যে ও কি কি করছ। হ্য সবই বঝতে পারছি ও যা যা করছে। কাজ শেষ হওয়ার পর দেখি এখানে যতো ডকমেন্ট আছে সব কে যেন পাল্টে দিয়েছে। তাই লাবন্য ভয় পাচ্ছে। আমি ওখান থেকে কিছ না বলে বাসায় চলে আসলাম। দেখি লাবন্য সাজগজ করছে। আমি দেখে অবাক।

লাবন্য নীল বোরকা পড়ে আছে। এতো সন্দর লাগছে আর কি বলব। ক্রাশ খাইতে খাইতে এমনি এমনি মরে যাবো। যাই হোক লাবন্য কে নিয়ে চলে গেলাম হেড কোয়ার্টারে। লাবন্য ভাবছে যে আমি কেমনে জানলাম যে হেড কোয়ার্টার এখানে। আমি নামলাম আমার সাথে লাবন্যও নামল। দেখলাম সবাই এখনো ঠিক ঠিক ই আছে।

কিন্ত তার সাথে আরো নতন রাও আছে। আমাকে দেখে সবাই অবাক হয়ে গেছে। কারণ আমি আবার ফিরে এসেছি। কিন্ত শুধু কাজের জন্য। কাজ টা শেষ হয়ে গেলে আবার চলে যাবো। তো যারা নতন তারা আমার দিকে আসল৷ তারা লাবন্যর থেকে সিনিয়র। আর আমার থেকে অনেক জনিয়র। কিন্ত আমাকে চেনেনা।

তাই তারা আমার কাছে এসে বলল,
_ কি চাই এখানে। (নতন দের মধ্যে একজন)
_ না মানে বসের সাথে দেখা করতে এসছি। (লাবন্য)
_ হবেনা। সে এখন বিজি আছে। (ঐ)
_ কিন্ত খব দরকারই কাজ আছে। (লাবন্য)
_ কি কাজ আছে আমাকে বলেন। (ঐ)
_ আসলে আমি আর এই কাজ করবনা। তাই বসকে বলতে এসেছিলাম। (লাবন্য)
_ কিহ তোর এতো বড় সাহস তই কাজ করবিনা। তাহকে তোকে মেরে ফেলবো। (ঐ)

এই বলে লাবন্যর দিকে এগিয়ে গেলো। আর ওকে মারা জন্য হয়তো যাচ্ছে। যখন হাত তলতে যাবে। তখন আমি হাত ধরলাম। ধরে আচ্ছা মতো হাত মোচর দিছি। তখন…..
_ তোর এতো বড় সাহস। তই আমাদের এখানে এসে আমাদেরকেই মারছিস। আজ তোরা কেও এখান থেকে যেতে পারবিনা। ওই সব রাস্তা বন্ধ করে দে।
_ দিচ্ছি বস।

তার সাথে যারা ছিলো সব বন্ধ করে দিছে। এখন আমাকে মারবে। তখনই পিছন থেকে বন্দক চলার আওয়াজ হলো। তো সেটা আর কেও না সেও৷ আমার হয়েই কাজ করতো। হ্য আমি তার থেকেও বড়। সেই তাদের বস। তখন……
_ কি হচ্ছে এখানে।
_ বস জানেন এই যে আমাদের এখানে দইবছর হলো নতন কাজ করছে লাবন্য মনে নাম। আর তার সাথে যে ছেলেটা আছে সে আমাদের সাথে মারামারি করতে চাচ্ছে।

ওয়েট ওয়েট লাইক সিরিয়াসলি। কেও এবভাবে বলে নাকি। আমি জানিনা এদের কাজে কে রাখছে।

_ কই দেখি।

আমার দিকে তাকালো। আমি তার দিকে মচকি হাসলাম। সে দৌড়ে এসে আমার কাছে এসে বলল…..
_ বড় ভাই।৷ আপনি এখানে।
_ না মানে আমার বউ লাবন্য আমাদের একমাস হলো বিয়ে হয়েছে। তো কিছ কথা বলার দরকার ছিলো।
_ বড় ভাই আমাকে ক্ষমা করে দেও। এদের জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি। পারলে আমাকে মেরে ফেলো তাও ক্ষমা করে দেও।

এই বলে আমার কাছে বন্দক টা এগিয়ে দিলো। এটা দেখে ওরা অবাক। যে আমার কাছে কেন এরকম করছে। আর বাকি যারা আচে তারা ভয়ে কিছই বলছেনা৷ কারণ একট উল্টা পাল্টা হলে সবাই মারা যাবে। চলন ফিরে যাওয়া যাক।

_ আচ্ছা৷ তোদের মধ্যে কে বড় ভাইয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে।
_ ভা….ভাই আমি।
_ ঠাস ঠাস ঠাস।

ওয়েট ওয়েট আপনারা মনে করছেন যে চর মারল তাইতো। আরে না চর মারেনি। গলি করছে। কিন্ত গলি করলে কেমন শব্দ হয় সেটা আমি জানিনা। তাই ওটাই দিছি। যাই হোক গল্পে ফিরে আসা যাক। তখন…..
_ আরে মেরে ফেলার কি দরকার ছিলো।
_ ওরা দোষ করেছে। আর দোষ করলে কোনো ক্ষমা হয়না।
_ ও আচ্ছা কিন্ত ওরা নতন ছিলো। আমাকে চেনেওনা।
_ জানি আমি। কিন্ত চিনে রাখা ভালো ছিলো। কারণ আমাদের প্রথম কথাই হলো সবাইকে চিনে রাখা। কিন্ত তোমাকেতো ওরা চেনেনা। তার মানে ওরা নিয়ম অনযায়ী চলেনা।
_ ও আচ্ছা তাহলে কথা বলা যাবে কি।
_ হ্য অবশ্যই। ভিতের চলো।

আমরা ভিতরে চলে গেলাম। লাবন্য আমার দিকে এখনো অবাক হয়ে রয়েছে। কারণ সে ভাবেই নি যে আমি এরকম একটা কাজ করব। আমি গিয়ে দেখি সবাই চলে এসছে। আর আমাকে দেখার কোনো ইচ্ছাই নাই তাদের। মোট মাট তাও ১০০০-৩০০০ এর মতো মানষ হবে। সবাই স্মার্ট। মানে কাউকে দেখে বলা যাবেনা যে দেখতে খারাপ দেখা যায়।

আমি শুধু হাসছি। কারণ আমি যখনই মিটিং ডেকেছি তখনই সবার আগে ৫০০০ করে টাকা দিতে হয়েছে। আর এখনও তাই হলো। সবাই ৫০০০ টাকা করে জমা দিয়ছে। আমি খব খশি। কারণ টাকা গলো খারাপ কাজে না ভালো কাজে ব্যবহার করা হবে। কাজটা হলো যে আমরা রাস্তা দিয়ে হাটি। তখন কতো অসহায় ছেলে মেয়ে দেখি।

এই ধরেন ৫,৬ বছর। তারা পড়াশোনা করা বাদ দিয়ে ভিক্ষা করছে। তো আমাদের যে হেড ছিলো। হ্য আমারও হেড আছে কিন্ত মাত্র ৫ জন। তারা সিদ্ধান্ত নিলো যে সব অসহায় ছেলে মেয়ে কে নিয়ে এসে তাদেরকে লেখা পড়া করানো হোক। যতো টাকা লাগবে আমরা দেবো পারলে টাকা উঠানো হবে প্রতি মাসে।

তো তাদেরকে ভালো করে মানষ করে তোলা আমাদের দায়িত্ব। তাদের মধ্যে অনেকে এমনও যােদর বাবা মা নেই। সত্যি কথা বলতে এখানে সবাই অনাথ। খব কম ই আছে যােদর বাবা মা আছে। আর তারাতো টাকার জন্য আমাদের কাছে দিয়ে গেছে। তাই তারা বড় হয়ে আমােদর জন্য কাজ করবে।

আমিও আগেও বলছি এখনো বলছি আমরা কোনো খারাপ কাজ করিনা। না আমাদের টাকার লোভ আছে। আর যাদের আছে তাদের আমরা বাচায় রাখিনা। খবর পাওয়া মাত্র তাদের কে মেরে ফেলা হয়েছে। আমিও মেরেছি। যাই আসল কথায় আসি। আমরা সবাই বসলাম। সবাই এই বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলছি যে আমাদের সার্ভার এ সব কিছ উল্টা পাল্টা করল কে।

কেও জবাব দিতে পারছেনা। পরে একজনের জানতে পারলাম যে এর পিছনে নাকি জান্নাত আছে। কারণ একমাত্র জান্নাত ছাড়া আর কেও আমােদর সার্ভার হ্যক করতে পারবেনা। কারণ ও সব কিছই জানে। আমারও এটাই ধারনা হয়েছে যে ওই এটা করেছে। কিন্ত না জেনে এটা করা ঠিক না। আমি জান্নাত কে আসতে বললাম।

ও চলে আসল। তখন……
_ হ্য আমাকে ডাকলেন যে।
_ তমি সার্ভারের বারোটা বাযাইছো কেন?
_ আমি কিছই করিনি।
_ সত্যি কথা বলো।
_ আমি সত্যি কিছই করিনি আমি শুধু সার্ভার চেক করার জন্য দেখছিলাম তখন আমার ছোট বোন আমার ল্যপটপে কি দিয়ে কি চাপ দিয়েই যাচ্ছ। তখন এরকম হইছে। আমিতো জানিনা যে এটা ঠিক করে কেমনে।

এটা বলে কান্না করতে শুরু করল। আমি জানি জান্নাত এরকমই। আর ও এমনিতেই কান্না করে। একেবারেই দূর্বল। তাই ভেবেছিলাম যে ওকে বিয়ে করব। হ্য আমি বিয়েও করেছিলাম। কিন্ত ও হয়তো জানেনা। কারণ ও সেইদিন নেশার মধ্যে ছিলো। তাই ও জানেনা এ ব্যপারে। আমাদের বাসর ও হয়েছে। আমার এভাবেই কাটিয়েছি ৩ টা বছর।

ও জানেনা আমাদের বিয়ে হয়েছে। তাও আমার সাথে থাকতো। বাসায় কেও জানত না যে আমােদর বিয়ে হয়েছে। আর আমি বলতেও ভয় পেতাম। জান্নাত আর আমি খব ভালোভাবেই কাটিয়েছি। ও না জেনেই আমার সাথে এমন ব্যবহার করত মনে হয় যে ও আমার স্ত্রী। আমি ওকে খব ভালোবাসতাম। কিন্ত পরে জানতে পারলাম ও অন্য কাউকে ভালোবাসে।

তাই আমি গ্যংস্টার ছেড়ে দিয়েছি। ছেরে দেওয়ার পর একটাই সর্ত ছিলো যে আমি যাতে এই ইনফরমেশন কাউকে না বলি তাহলে আমাকে নাকি মেরে ফেলা হবে। আমাকে এমনিতেও মারতে পারবেনা। তাও আমি চলে আসি। তখন থেকে আর জান্নাত এর সাথে কথা হয়না। দইবছর বাসায় থেকে লেখা পড়া করি।

তারপর বিদেশে চলে যাই। সেখান থেকে বাসায় ফিরে লাবন্যর সাথে বিয়ে হয়। তারপর কি হলো আপনারা জানেনই। হ্য লাবন্য আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। জান্নাত কে আমি ডিভোর্স দেইনি। আমার মনে ছিলোনা। যাই হোক চলে আসলাম সেখান থেকে লাবন্যকে নিয়ে। যাওয়ার সময় বলে আসলাম যে লাবন্য আর কাজ করবেনা।

তো কেও কিছ বললনা। কিন্ত একটাই কথা ছিলো সেটা হলো আমাকে যে সর্ত দিয়ে বের হয়ে যেতে হয়েছে ওরও একি। যাওয়ার সময় জান্নাতকেও নিয়ে চলে আসি। কারণ ওকে বিয়ে করব আমি। লাবন্য রেগে আছে। কিন্ত জান্নাতও আমার বউ। এখনো বউ। তাই লাবন্যকে অনেক কষ্টে বঝালাম। জান্নাত তো মহা খশি। আব্বা আম্ম শনে কিচ্ছুই বললনা।

শুধু এটাই বললো যে তোর যা ভালো মনে হয় কর। আমরা আর কি বলবো। আমি জান্নাত কেও বিয়ে করে ফেলি। বাসর ঘরে আর না যাই। মার খাওয়া লাগচে আমার প্রচুর। যাই হোক গল্পটা শেষ। কারণ আমরা আর গ্যংস্টার না। কিন্ত পরে যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই গ্যংস্টার হতে হবে।

লেখা – অচেনা পথের পথিক

সমাপ্ত

(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “বাংলা লাভ স্টোরি”গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)

আরো পড়ুন – রাগী মেয়ের ভালোবাসা – অফিসের বসের সাথে প্রেম (পর্ব ১)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *