রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প ২৪

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প – ভাইয়ের বন্ধু বর পর্ব ২৪ | Love Story

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প – ভাইয়ের বন্ধু বর পর্ব ২৪: আমাদের স্বামী স্ত্রীর অভিমান আর দূরুত্ব শেষ হয়েছে, যার ক্রেডিট আমাদের সংসারে আগুন লাগানো লাবনীর। ওর কারণে আমাদের মাঝে লুকোচুরি সম্পর্ক শেষ হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক পূর্ণতা পেয়েছে।

রোমান্টিক আলাপ

সকালে আমার ঘুম আগে ভাঙ্গলো। আর প্রতিদিনের মতো আজও নিজেকে নাবীলের বুকের উপর পেলাম। ঘুমন্ত নাবীলকে দেখতে কেনো জানি আজ অনেক ভালো লাগছে। আর কাল রাতের কথা মনে পড়তে ভীষণ লজ্জাও লাগছে। ভালো করে দেখলাম উনি ঘুমিয়ে আছে, তাই আস্তে করে উনার কপালে, গালে কিস করে ঠোঁটে জেতেই এই কি হিটলার চোখ মেলে তাকালো। উনার এভাবে তাকানো দেখে লজ্জা পেয়ে চলে যেতে নিলে উনি হাতটা ধরেই নিজের কাছে টেনে আনলো। নিজেকে সামলাতে না পেড়ে উনার বুকের উপর গিয়ে পরলাম। কাল রাতের কথা মনে পড়ায় লজ্জায় উনার দিকে তাকাতে পারছি না।

নাবীলঃ কি হলো ঘুমন্ত অবস্থায় আদর না করে, জেগে আছি এখন কর।

মাহিঃ উমমম, উনাকে আদর করতে বয়েই গেছে আমার, বলে উঠার চেষ্টা করলাম।

নাবীলঃ তাইইই, তাহলে এতোক্ষণ কি করছিলি?

মাহিঃ মশা মারছিলাম। অনেকগুলো মশা বসেছিলো, তাই আস্থে করে মেরে দিলাম।

নাবীলঃ তাইইইনি। আমার গাল, আমার কপাল, তাহলে তুই মারলি কেনো, আমাকে ডেকে দিতি। আমিই তাদের একটু আদর করে দিতাম।

মাহিঃ ঠিক আছে, নেক্সট টাইম ডেকে দিবোনি। এখন ছাড়ুন আমায়।

নাবীলঃ না ভুলতো করেছিস, এখন তোকে জরিমানা দিতে হবে।

মাহিঃ কি জরিমানা দেবো আমি। কিছু বলার আগেই নাবীল আমাকে বিছানায় ফেলে নিজে আমার উপর উঠে যায়। আমার ঠোঁটের চারপাশে স্লাইড করতে করতে বলো, যেটা বাকি ছিলো সেটা এখন চাই।

নাবীলঃ কি বাকি ছিলো? আমি কপাল কুচকে…..।

মাহিঃ এটা… ঠোটটা দেখিয়ে।

নাবীলঃ না না না কিছু বাকি নেই। বলার আগেই নাবীল আমার ঠোঁট নিজের দখলে নিয়ে নেয়। আমি বাধা দিতে চাইলে হাত দুটো বিছানায় চেপে ধরে। অনেকক্ষণ পর নাবীল ছেড়ে দেয়, আমি চোখ বন্ধ করে আছি এখনো। তাই নাবীল আমার ঘাড়ে, গলার আর বুকের কমড়ের দাগ গুলোতো ডিপ কিস করে দেয়।

আমি চোখ খুলেই নাবীলের দিকে তাকাই।

নাবীলঃ আমি ব্যথা দিয়েছি। দেখছিস, এখন আমিই আদর করে দিলাম।

আমি একটা ভেঙ্গছি কেটে, নাবীলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। গায়ের চাদরটা ভালো করে পেছিয়ে উঠে চলে যেতে চাইলে নাবীল আবার হাতটা ধরে ফেলে।

নাবীলঃ কোথায় যাস? একটা ভ্রু উঠিয়ে জিঙ্গেস করে।

মাহিঃ সারাদিন কি এভাবেই থাকব? ফ্রেস হতে হবে না। (একটু রাগ করে)

নাবীল বিছানায় পা জুলিয়ে বসে আমাকে কোলে বসিয়ে কোমড়টা শক্ত করে ধরে আমার পিঠে নাক দিয়ে স্লাইড করে, আগে আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিবি তারপর যাবি। তা না হলে একদমও নড়তে পারবি না।

মনের কথা বলা

আমি ঢোক গিলে উনাকে জিঙ্গেস করলাম,

মাহিঃ কি প্রশ্ন?

নাবীলঃ কাল এমন করলি কেনো? তোকে কেউ কিছু বলছে।

মাহিঃ না তো কেউ কিছু বলেনি। নাবীলকে বলতে চাচ্ছি না, যদি উনি আরো রাগ করে।

নাবীলঃ দেখ মাহি, তোকে আমি নিজের চোখে বড় হতে দেখেছি। তুই কখন কি করস, আর কেনো করস তার আইডিয়া আমার আছে? তাই ভালো চাইলে বলে দে, কারণ আমি পরে অন্য কারো থেকে জানলে তোর জন্য ভালো হবে না। নাবীল মাহিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলো। বল কে কি বলেছে?

আমি নিচের দিকে তাকিয়ে,

মাহিঃ লাবনি আপু।

নাবীলঃ কি বলেছে? নাবীল জানতো লাবনি ছাড়া আর কেউ না।

এরপর মাহি নাবীলকে লাবনি কি কি বললো সব বলে দিলো।

নাবীল কিছুটা রাগ হলেও মাহিকে বুজতে দিলো না।

দেখ মাহি, তোকে বিয়ে করে আফসোস হবার কোন কথাই আসে না, আমি তোকে ভালোবাসি। তাই আজ হলেও করতাম, কাল হলেও তোকেই বিয়ে করতাম, তুই রাজি না হলে জোর করে হলেও তোকে বিয়ে করতাম। তবুও তোকে আমি অন্য কারো হতে দিতাম না। কারণ তুই শুধু আমার। মাহির মুখটা দুহাতে আবদ্ধ করে। আর হে অনেক প্রস্তাব আসছে, আসতেই পারে। লাবনির সাথে বিয়ের জন্য মামাও বলেছে। কারণ লাবনি আমাকে অনেক আগে থেকেই নাকি ভালোবাসে।

কিন্তু আমি ওকে সেই নযরে কখনো দেখিনি, ভালোবাসাতো দূরে থাক। দিন দিন লাবনির পাগলামো বেড়ে যাচ্ছিলো। এমনকি নিজের শরীল দেখিয়েও আমাকে বশ করতে চাইছিলো, সেদিন আমার সহ্যেরবান শেষ হলো, আর আমি সেদিন ওকে কয়েকটা থাপ্পর মেরেছিলাম। শরীল দেখিয়ে ছেলেদের বশ করা মেয়েগুলো পতিতা থেকেও খারাপ হয়, জানিস।

সেদিনের এই কথায় ও আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলো। কিন্তু মামা সময় মতো বাঁচিয়ে ফেলে। এরপর মামাও অনেকবার বলেছে ওকে বিয়ে করতে, কিন্তু আমি মানা করে দিই। আর মামাকে লাস্ট বার মানা করার সময় বলেদি, আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।

মামা এটা শুনার পর আমাকে আর কখনো বিয়ের জন্য কিছু বলেনি।

তোর সাথে বিয়ের কথা মামা জানার পর লাবনিকে তাড়াতাড়ি দেশের বাহিরে ওর মামার কাছে পাঠিয়ে দেয়। এতো দিন ও ওখানেই ছিলো। কিন্তু কিভাবে যেন লাবনি যেনে যায়। আর সাথে সাথে মামাকে না বলে আমাদের বাসায় এসে পরে। আমি ওকে প্রথম দিন দেখেই বুজতে পারি ও কেনো এসেছে? ও রিয়েক্ট করলে আমার স্বাভাবিক লাগতো কিন্তু ও চুপচাপ থাকতো, যা একদম অস্বাভাবিক। আমি বুজতে পারছিলাম না ওর মনে কি চলছিলো? এখন বুজছি। ও কৌশলে তোকে আমার কাছ থেকে সরাতে চাইছিলো।

কিন্তু ব্যাচারীর কষ্ট বিফলে গেলো। আমি একটু হেসে…..।

বউয়ের সাথে দুষ্টুমি

ও তো আমার মাহিকে ঠিকমতো জানেই না। কোমরটা শক্ত করে জরিয়ে। মাহির মাথায় যে বুদ্ধি কম গিলু বেশি। তা যদি জানতো তাহলে এমন প্লান করতো না।

মাহিঃ কি আমার মাথায় বুদ্ধি কম, ছাড়ুন আমায়। থাকবো না আমি আপনার সাথে। বুদ্ধিমতী কাউকে বিয়ে করে নিয়েন। নাবীলের হাত ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টা করে একটু রেগে।

নাবীলঃ আমার বুদ্ধিমতী লাগবে না, আমার উচ্চ শিক্ষিত লাগবেনা, আমার শুধু মাহি লাগবে। তুই যেমন আছিস আমি তোকে তেমনি পছন্দ করি। তোর পরিবর্তন আমি চাই না। তাই নিজেকে চেন্জ করার চেষ্টাও করবি না। আর আমাকে ছেড়ে যাওয়ার খুব শখ, তাই না। একদম পা দুটো ভেঙে দেবো আর একদিন এমন কথা শুনলে।

মাহিঃ হইছে এবার ছাড়ুন, ফ্রেস হয়ে আসি।

নাবীলঃ না, আমার আরো একবার লাগবে রাতের টা। একটু দুষ্ট হাসি দিয়ে।

মাহিঃ কিকিকিকিকি একদম না, এমনেই সারারাত ঘুমাতে দেননি। আমি এখন ফ্রেস হয়ে নিচে যাবো, ছাড়ুন।

নাবীলঃ ওকে পাওনা রইলো, আজ রাতের জন্য।

আমি ছেড়ে দিলে মাহি দৌড় দিয়ে কাভার থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াসরুম এ চলে গেলো।

আমি হাসত হাসতে উপর হয়ে আবার বিছানায় শুয়ে পরলাম।

দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া

বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখে চোখ উপরে উঠে গেলো আমার, শরীলের দাগগুলো দেখে। কোনো রকম গোসল সেরে বাহির হয়ে দেখি নাবীল শুয়ে আছে উপর হয়ে। আমি গিয়ে চুল ঝারা দিলাম উনার সামনে ইচ্ছা করে। এতে চুলের পানি উনার শরীলে পরলে লাফ দিয়ে উঠে পরে।

নাবীলঃ এটা কি হলো, আমাকে এভাবে পানি মারছিস কেনো?

মাহিঃ এগুলো কি? (নিজের দাগ গুলো দেখিয়ে)

নাবীলঃ কোনগুলো?

মাহিঃ এগুলো দেখেন না, এগুলো নিয়ে আমি নিচে যাবো কি করে? নিশা ও ভাবী আমাকে জ্বালিয়ে মেরে ফেলবে। আর মা দেখলে কি মনে করবে? বাড়ীতে আপনার কাজিনরাও আছে। আমি মুখ দেখাবো কি করে? (মুখ দুহাত দিয়ে ডেকে)

আমার খুব হাসি পাচ্ছে মাহির কথা শুনে। মাহির হাত দুটো ধরে নিজের সামনে এনে, এগুলো আমার ভালোবাসা। আমি এমনেই ভালোবাসি। তোকে অভ্যাস করে নিতে হবে। আর হে কেউ কিছু বললে আমাকে বলিস আমি সবাইকে বলে দেবো জেনো কেউ আমার মাহিকে না জ্বালায়। ঠিক আছে। আমি মুসকি মুসকি হাসছি আর মাহিকে বুঝাচ্ছে। আমাদের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্পটা একটু আলাদা হয়ে থাক।

মাহিঃ আপনে একটা শয়তান, অসভ্য আর রাক্ষস। (বলেই দৌড় দিয়ে বাহিরে চলে গেলাম)

নাবীলঃ এই দাঁড়া দাঁড়া কি বললি?

ব্যাচারী ভয়ে নিচে চলে গেলো। আমিও ফ্রেস হতে চলে গেলাম।

বউয়ের লজ্জা

আমি ভালো মতো চুল আর আচল দিয়ে দাগ গুলো ডেকে রুহিম, ভাবীর সাথে টেবিলে নাস্তা লাগাচ্ছিলাম।

ভাবীর চোখ ফাকি দিতে পারলাম না, ভাবী হেসে হেসে বলছে,

তানজিলাঃ সব ঠিক আছে, মাহি।

মাহিঃ উমমম ভাবী, সব ঠিকই আছে।

তানজিলাঃ সকাল সকাল গোসল, উমমম তাইতো বলি নাবীল আজ এখনো বাসায় কেনো? তাহলে সাহেবের রাগ ভাঙ্গছে মনে হয়।

মাহিঃ ভাবী তুমিও না, একটু বেশি ভাবো।

তানজিলাঃ আমি ভাবিনা বোন, তেমার শরীলই বলে দিচ্ছে। ভাবী হাসতাছে।

এমন সময় নিশি ও লাবনি এসেও হাজির হলো। লাবনি ভাবলো আমি মন খারাপ করে থাকবো। কিন্তু আমাকে ভাবীর সাথে হাসতে দেখে অনেকটা অবাক।

লাবনিঃ কি হলো কি নিয়ে এতো হাসাহাসি?

তানজিলাঃ তুমি বুঝবে না ননদিনী, বিয়ের পর বুঝবে।

লাবনিঃ কি এমন কথা যা এখন বুঝবো না, বলে দেখো।

তানজিলাঃ মাহির সকালে গোছলের রহস্য।

হা হা হা করে তানজিলা ও নিশি হাসলেও লাবনি হাসতে পারলো না।

লাবনিঃ নাবীল আছে নাকি আজও নাস্তা না করে চলে গেছে।

মাহিঃ না আপু, ও তো বাসায়। আজ না আপনারা চলে যাবেন তাই একটু দেরি করে যাবে। আপনে বসুন নাস্তা করে নিন, তা না হলে আবার দেরি হয়ে যাবে।

সুখের সংসারে অশান্তি

লাবনির মাথায় কিছু আসছে না, মাহি এমন বিহেভ কেনো করছে? হঠাৎ মাহির ঘাড়ের দাগগুলো দেখে লাবনির মাথায় রক্ত উঠে যায়। লাবনি নাস্তা না করেই উঠে রুমে চলে যেতে নিলে সিড়িতে নাবীলের সাথে দেখা হয়।

লাবনিঃ কেনো করলে আমার সাথে এমন?

নাবীলঃ আমি কি করলাম তোর সাথে? নাবীল হাত দুটো পকেটে রেখে।

লাবনিঃ তুমি আর মাহি কাল….। (আর কিছু বলতে পারলো না)

নাবীলঃ উমমম, আমি আর মাহি কাল এক হয়ে গেছি। জানিস, আমাদের এক হওয়ার পিছে কার হাত বেশি। একটু হেসে – তোর। তোর কারণেই মাহি কাল আমাকে ওর মনের কথা বলে দিয়েছে, ও আমাকে ভালোবাসে। আমি সত্যি খুব খুশি, ধন্যবাদ আমার এতো বড় উপকার করার জন্য। নাবীল হাসতে হাসতে নিচে চলে গেলো।

আর লাবনি দাঁতে দাঁত চেপে নিজের রুমের দিকে চলে গেলো। ওর মন চাইছে ঘরের সব ভেঙ্গে ফেলতে।

নাবীল নাস্তা করে ড্রয়িংরুম এ বসে ওর কাজিনদের সাথে কথা বলছে কারণ ওরা কিছুক্ষণ পর চলে যাবে।

নাবীলঃ মাহি আমার ফোনটা রুমে রেখে আসছি, নিয়ে আস তো।

আমি ফোন আনতে রুমে গেলাম, ফোনটা ডেসিং টেবিলের উপর ছিলো। ফোনটা নিয়ে পেছনে ঘুরতেই দেখি লাবনি আপু দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু তাকে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ তাকে দেখলেই মনে হচ্ছে খুব রাগান্বিত সে।

মাহিঃ আপু আপনে, কিছু লাগবে।

লাবনিঃ তুই কি ভেবেছিস, তুই আমার নাবীলকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিবি। আর আমি চুপচাপ বসে বসে দেখবো। ভেবেছিলাম তোকে বুঝিয়ে বললে তুই ভালোয় ভালোয় চলে যাবি। কিন্তু তুইতো ওকে তোর রুপ আর শরীল দিয়ে বশ করতে চাইছিস। তা আমি হতে দেবো না।

মাহিঃ আপু এসব কি বলছেন, আপনার মাথাতো ঠিক আছে। নাবীল আমার স্বামী। আর সব থেকে বড় কথা নাবীল আমাকে ভালোবাসে। তাই ওকে আমার শরীল আর রুপ দিয়ে বশ করার প্রয়োজন নেই। তাই এসব চিন্তা বাদ দিন। আর আমি সব জেনে গেছি, নাবীল আমাকে সব বলে দিয়েছে। তাই আপনার কোন কথাই শুনতে চাই না আমি।

ভালোবাসার যুদ্ধ

তুই বেঁচে থাকলে আমি নাবীলকে কোনদিনও পাবো না। তাই তোকে আজ আমি নিজের হাতেই মেরে ফেলবো। লাবনির হাতে একটা চাকু ছিলো যা ওড়না দিয়ে ডেকে রেখেছিলো। তাই মাহি এতোক্ষণ দেখতে পারেনি। এখন চাকুটা বের করে মাহির দিকে এগিয়ে আসছে।

মাহিঃ আপু আপনে পাগল হয়ে গেছেন। আমাকে মেরেও আপনে নাবীলকে পাবেন না। তাই এসব পাগলামি বন্ধ করুন।

লাবনি চাকু নিয়ে মাহির দিকে এগোচ্ছে,

লাবনিঃ আর হে আমি পাগল হয়ে গিয়েছি। নাবীলকে ছাড়া আমি এমনেই বাঁচতে পারবো না। আমি ওকে না পেলে তোকেও পেতে দিবো না।

মাহিঃ আপুপুপু, আআআআআআআআ।

লাবনিকে বাধা দিতে গিয়ে মাহির হাত কেটে গেছে, আর প্রচুর রক্ত বের হচ্ছে।

আর এদিকে, নাবীল নিশিকে রুমে পাঠালো।

নাবীলঃ দেখতো, তোর ভাবী রুমে কি করে? ওকে মোবাইল আনতে পাঠালাম এখনো আসছেনা কেনো?

তাই নিশি রুমে এসে দেখে মাহি ফ্লোরে বসে আছে আর হাত দিয়ে রক্ত পরছে। আর লাবনি মাহিকে মারার জন্য সামনে আবার এগিয়ে আসলে, নিশি চিৎকার দিয়ে উঠে।
নিশিঃ ভাবীইইইইই।

তাওহিদ মাত্র রুম থেকে বের হয় নিচে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কিন্তু নিশির চিৎকারে ছুটে যায়।

নাবীল এবং বাকি সবাইও শুনতে পায়, তারাও ছুটে যায়।

বউ পাগল স্বামী

লাবনি মাহিকে চাকুটা মারতে নিলেই তাওহিদ হাতটা ধরে ফেলে।

তাওহিদঃ পাগল হয়ে গিয়েছোস। চাকু ছাড়, বলছি।

লাবনি হাত পা ছুটাছুটি করে তাওহিদ থেকে মুক্ত হবার জন্য।

এতোক্ষণ নাবীল ও বাকি সবও এসে পরে। নাবীল মাহিকে দেখে দৌড়ে মাহির কাছে যায়।

নাবীলকে মাহির পাশে দেখে লাবনি সামনে একটা ফুলদানি ছিলো তা মাহিকে লক্ষ করে মারলে, নাবীল মাহিকে জরিয়ে ধরে ফুলদানির সামনে এসে পরে। নাবীলের পিঠে আঘাত লেগে ফুলদানিটা ভেঙ্গে যায়।

নাবীলও পিঠে ব্যথা পায় কিন্তু তাতে তার কোন রিয়েক্ট নাই।

রক্ত দিয়ে ফ্লোর ভরে গেছে। অতিরিক্ত রক্ত আর ভয় পাবার কারণে মাহি অঙ্গান হয়ে যায়। নাবীল সাথে সাথে মাহিকে ধরে ফেলে।

নাবীলঃ মাহি, এই মাহি উঠ।

মাহিকে এই অবস্থায় দেখে নাবীল প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছে, ও কিছু চিন্তাও করতে পারছে না।

তানজিলা এসে মাহির হাতটা কাপড় দিয়ে পেছিয়ে দেয় রক্ত বন্ধ করার জন্য।

নাবীলের মাঃ নাবীল তাড়াতাড়ি ওকে হাসপাতালো নিয়ে যা। উঠ নাবীল, শুনতে পাসনা কি বলছি। তা না হলে আবার দেরি হয়ে যাবে। মাহিকে উঠা। (নাবীলের মা চিল্লিয়ে বলছে)

নাবীলের এতোক্ষণন পর হুস আসলো, মাহিকে কোলে করে নিয়ে গাড়ীতে তুললো। অর্ক গাড়ী চালাচ্ছে আর নাবীল হাসপাতালে ওর বন্ধু নাঈমকে বলে সব রেডি করতে বলে দিলো। হাসপাতালে যাবার সাথে সাথে চিকিৎসা শুরু হয়ে গেলো।

বউয়ের জন্য দোয়া

এদিকে বাসায় নাবীলের মামা এসব শুনে হতোভম্ভ হয়ে গেলো। সবার সামনে লাবনিকে কষে এক থাপ্পর মাড়লো। লাবনি এখনো রাগে ফুলছে। কারণ মাহিকে পুরোপুরি মারতে পারেনি বলে।

তাওহিদ, তানজিলা ও নাবীলের বাবা মা ও এসে পড়েছে হাসপাতালে।

নাবীলঃ মা আমার মাহির কিছু হলে ওই লাবনিকে আমার হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না, কেউ না।

নাবীলের মাঃ নাবীল শান্ত হো বাবা, সব ঠিক হয়ে যাবে।

নাঈম অপারেশন রুম থেকে বের হলে নাবীল দৌড়ে নাঈমের কাছে যায়।

নাবীলঃ মাহি ঠিক আছে। প্লিস দোস্ত বল, আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।

নাঈমঃ আরে রিলেক্স ব্রো। সব ঠিক আছে। রক্ত একটু বেশি গিয়েছে। অল্পের জন্য হাতের রগটা কেটে যায় নি। ভয়ে আর দূর্বল হয়ে অঙ্গান হয়ে পরেছে। এখন ও ঘুমিয়ে আছে। আমরা স্যালাইন দিয়ে রেখেছি। কাল সকালে নিয়ে যেতে পারবি।

নাবীল নাঈমকে জরিয়ে ধরে,

নাঈমঃ হইচে এবার মেয়ে মানুষের মতো কান্না বন্ধ কর।

নাবীলঃ কান্নার জন্য মেয়ে হতে হয় না, কষ্টটা বেশি হলে চেখের জল এমনেই পরে।

নাঈমঃ আরে বাহ তুই দেখি রোমিও হয়ে গিয়েছোস। তা আবার জুলিয়েট এর না মাহির।

দুবন্ধু হেসে দিলো। নাবীল সবাইকে বাসায় পাঠিয়ে দিলো। আর ফোন করে শফিককে সব বললো। কারণ শফিক মাহির ভাই, তাই তাদেরও অধিকার আছে সব কিছু জানার। চলবে….

পরের পর্ব- রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প – ভাইয়ের বন্ধু বর পর্ব ২৫

সকল গল্পের ধারাবাহিক সব পর্ব এখানে গিয়ে খুঁজুন – ধারাবাহিক পর্বের গল্প

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *