রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প – ভাইয়ের বন্ধু বর পর্ব ১৮ | Love Story

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প – ভাইয়ের বন্ধু বর পর্ব ১৮: মাহির জীবনটা রঙ্গিন আলোয় ভরিয়ে দিচ্ছে নাবিল। কেউ যে কাউকে এতটা ভালবাসতে পারে তা নাবিলকে না দেখলে বোঝার উপায় নাই। কিন্তু তার এই ভালবাসায় বরাবর কেউ না কেউ কাঁটা হয়ে এসেছে। বিয়ের পরেও কি তবে এই কাঁটা বিধবে তার বুকে? চলুন দেখি কি হয়?
কেয়ারিং ভালোবাসা
অনুষ্ঠান শেষ হতে এখনো বাকি, এখনো কিছু গেস্ট আছে যারা একটু দেরি করে আসবে। তাই নাবীল – মাহি, নিশি ও ভাবীকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে। আর ভাই, বাবা ও মার সাথে নিজেও পার্টিতে রয়ে গেলো গেস্ট এটেন্ড করার জন্য। মাহির মা বাবাকে ও পাঠিয়ে দিয়েছে, রাত বেশি বলে। কিন্তু শফিক রয়ে গেছে।
মাহি বাসা এসে ফ্রেস হয়ে বসলো। খুব ক্লান্ত, তাই ঘুম আসছে। কিন্তু্ ক্ষুধাও খুব লাগছে। বলা হয় না, যার বিয়ে সেই খেতে পারেনা কিন্তু বাকি সবাই আনন্দ করে পেট ভরে খায়। অনুষ্ঠানে সবার সামনে লজ্জায় কিছু খেতেই পারেনি। কিন্তু এখন টিকা যাচ্ছে না। আর এই বাসার কোন কিছু আমি জানিই না কোথায় কি আছে, তা না হলে রান্নাঘর থেকে কিছু নিয়ে খেয়ে নিতাম। মাহি ভাবছে….। আর এমন সময় ফোন আসলো। স্ক্রিনে লিখা নাবীল।
মাহিঃ হ্যালো…. আসসালামালাইকুম।
নাবীল সালামের জবাব দিয়ে,
নাবীলঃ বাসায় পৌঁছিয়েছো।
মাহিঃ হুমমমমম।
নাবীলঃ কখন?
মাহিঃ এইতো কিছুক্ষণ হলো।
নাবীলঃ ফোন কেনো দেও নাই?
মাহিঃ না আসলে, ভাবলাম আপনে ব্যস্ত।
নাবীলঃ আমি যতোই ব্যস্ত থাকি, তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকি।
হঠাৎ নাবীলের মুখে তুমি শুনে মাহিতো অবাক।
নাবীলঃ কি হলো, কথা বলো না কেন?
মাহিঃ না, আসলে সরিরিরির।
নাবীলঃ ওকে বাদ দেও, শোনো।
মাহিঃ হুমমমম।
বউয়ের যত্ন
নাবীলঃ আমার আলমারীর চাবী দেখো বালিশের নিচে আছে। ওখান থেকে চাবিটা নিয়ে আলমারীটা খোলো।
মাহি চাবী নিয়ে আলমারীরটা খুললো।
নাবীলঃ দেখো, আলমারীর নিচের তাকে তোমার জন্য কিছু খাবার আছে। তুমি সারাদিন তেমন কিছুই খাওনি। এখানেও কম খেতে দেখলাম। আর এখন বাসায় তোমাকে খাবার দেয়ার মতো কেউ নেই। তুমি এখান থেকে কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পরো। খালি পেটে তোমার ঘুম আসবে না। আমার আসতে লেট হবে, তাই তুমি ঘুমিয়ে পরো।
মাহি মনোযোগ দিয়ে নাবীলের কথা শুনছে, আর ভাবছে। আলমারীর নিচের তাকে বিস্কুট, কেক, জুস, আরো কিছু খাবার আছে। এখানের সব খাবারি মাহির পছন্দের। কি করে সম্ভব, একটা মানুষ এমন কি করে হতে পারে!
নাবীলঃ মাহি হ্যালো, মাহি, শুনতে পাস।
মাহিঃ হুমমমমম, আমি শুনছি। (চিন্তা থেকে ফিরে)
নাবীলঃ তাহলে রাখি, এখন।
মাহিঃ আপনে খেয়েছেন।
নাবীলঃ না, এখন বসবো শফিকের সাথে।
মাহিঃ ওকে।
বায় বলে ফোন রেখে দিলো মাহি। কিছু হালকা খাবার খেয়ে মাহি বিছানায় পিঠ লাগাবার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পরলো।
বর বউয়ের মিষ্টি প্রেম
নাবীলের আসতে আসতে রাত ১ টা বেজে গেলো। নাবীল এসে দেখে মাহি ঘুম, তাই আর ডাক দেয়নি। ফ্রেস হয়ে মাহির পাশে শুয়ে, মাহিকে একটান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসলো। মাহিকে জরিয়ে ধরে নিজেও ঘুমিয়ে পরলো।
আজ সকালে মাহির ঘুম আগে ভাঙ্গলো, মাহি দেখে নাবীলের বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে আছে। মাহির কিছুটা লজ্জা লাগলো। মাহির নাকে একটা মিষ্টি ঘ্রাণ আসে। এই ঘ্রাণটা নাবীলের শরীর থেকেই আসছে। নাবীলের শরীলের এই ঘ্রাণটা মাহির খুব ভালো লাগে। এর আগেও কয়েকবার পেয়েছে, যখনি নাবীল ওর একদম কাছে ছিলো।
নাবীলের শরীলের ঘ্রাণটা মাহিকে কিছুটা মাতাল করে তুলছে, তাই মাহির উঠতেই মন চাইছে না আজ। সারাদিন নাবীলের বুকে মাথা রেখে শুয়ে থাকতে মন চাইছে। হঠাৎ মনে পরলো আজতো মাহির নিজেদের বাসায় যাওয়ার কথা। না, উঠতেই হবে। মাহি আস্তে করে উঠে চলে যেতে চাইলে কিছুতে টান অনুভব করে। পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে নাবীলের হাতে মাহির শাড়ীর আচলটা। মাহি চলে যেতে চাইলে নাবীল আচল ধরে টান মারে। মাহি সামলাতে না পেরে নাবীলের বুকের উপর পরে যায়।
নাবীলঃ আমার মাহি পাখি, যাচ্ছ কোথায়, আমাকে ছেড়ে?
মাহিঃ আপনে জেগে ছিলেন এতোক্ষণ।
নাবীলঃ চুপিচুপি আমাকে দেখার কি আছে, আমিতো পুরাই তোর। আর এতোই শখ আমার বুকে ঘুমানোর তাহলে কোথায় যাস? সারাদিন তোকে আমি এই বুকের মধ্যে রাখতে পারবো। (মাহিকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে কথাগুলো বলছে নাবীল)
মাহিঃ না না, আমার এতো শখ নেই। প্লিস ছাড়ুন, তা না হলে আজ বাসায় গেলে আমি আর আসবো না।
এবার নাবীল মাহিকে বিছানায় ফেলে, মাহির উপর উঠে দুহাত চেপে ধরে।
মাহি কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।
কি বললি, তুই? আসবি না। তুই আমার বাঁধনে বেধে আছোস। আর এই বাঁধন ছিড়ার সামর্থ কারো নেই। মাহির কপালে কপাল দিয়ে, নাকে নাক ঘসছে আর বলছে। তুই না আসলে তোকে বেধে নিয়ে আসবো। পালাতে চাইলে শিখল দিয়ে বেধে রাখবো। তাই আমাকে ছাড়ার স্বপ্ন ছেড়ে দেন ম্যাডাম। (মাহির ঠোটে একটা লিপ কিস করে)
এরপর নাবীল উঠে চলে যায় ফ্রেস হতে।
ভালবাসার গল্প
মাহির চোখ মনে হয় কপালে উঠে গেছে, নাবীলের কিস করায়! মাহি এখনো ভাবছে কি হলো এটা? ওর যেন বিশ্বাস হচ্ছে না। মাহি এতোটাই চিন্তায় মগ্ন ছিলো যে ও সব কিছু ভুলেই গেছে।
নাবীল এসে দেখে মাহি এখনো ভাবছে।
নাবীলঃ কি রে এতো কি ভাবছেন? আরো কিছু লাগবে। (ঠিক মাহির সামনে এসে)
মাহিঃ না না, আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।
মাহি ফ্রেস হয়ে দেখে নাবীল রেডি হচ্ছে অফিসে যাওয়ার জন্য।
মাহিঃ আপনে কোথাও যাবেন?
নাবীল মাহিকে আয়নার সামনে এনে পেছন দিয়ে জরিয়ে ধরেছে। আর নিজের থুতনি মাহির কাধে রেখে, হুমমম। আমাকে অফিসে যেতেই হবে ভাইয়ার সাথে। অনেক কাজ আছে, আমি না গেলে ভাইয়ার উপর সব চাপ পরে যাবে। শফিক আসবে তোমাকে নিতে, তুমি চলে যেও ওর সাথে। আমি অফিস থেকে সরাসরি চলে আসবো তোমার কাছে।
কথাগুলো বলছে আর মাহির গলায় কাধে কিস করছে। নাবীলের এতো কাছে আসা, আর ওর একটা কিসে মাহি কেপে উঠছে। তাই নাবীল মাহিকে আরো একটু শক্ত করে ধরে। নাবীল মাহির কানের কাছে মুখটা নিয়ে, এখনি যদি এতো কাপতে থাকস তখন কি করবি, যখন আমি তোকে ভালোবাসার সাগরে ডুব দেওয়াবো। নাবীলের কথায় মাহির মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। কিন্তু কেনো জানি ভালোও লাগছে?
মাহিঃ হইছে, এখন ছাড়ুন। সবাই বসে আছে, আমাদের জন্য।
নাবীলঃ আচ্ছা, চল। (নাবীল একটু হেসে দিলো মাহির এ অবস্থা দেখে)
মাহিকে নিয়ে নিচে নেমে এলো।
খাবার টেবিলে,
নাবীলের মাঃ কি রে নাবীল, তুই অফিসে যাবি? আজ না মাহিদের বাসায় যাওয়ার কথা। একদিন না গেলে কি হয়?
নাবীলঃ না মা, আজ যেতেই হবে। অনেক কাজ বাকি পরে গেছে। আর আমি শফিককে সব বুজিয়ে বলে দিছি। তাই চিন্তা করোনা, আমি অফিস শেষ করেই ওখানে চলে যাবো।
নাবীলের বাবাঃ আমি বলি কি, আমি না হয় চলে যাই, তুই থাক।
নাবীলঃ না বাবা, তোমার বয়সের তুলনায় তুমি অনেক কাজ করেছো, আর না। এখন আমাদের ভাইদের উপর ছেড়ে দেও। আচ্ছা আমার শেষ, ভাইয়া তুমিও তাড়াতাড়ি চলে আসো আমি বাহিরে আছি।
ভাইয়াঃ আচ্ছা চল, আমারো হয়ে গেছে।
মাহির সংসার ও পরিবার
নাবীল অফিসে চলে গেলো। আর মাহি নাস্তা করে ভাবীর সাথে টেবিল গুছাচ্ছে।
নাবীলের মাঃ আরে মাহি মা, তুমি কেনো করছো? তুমি যাও, রেডি হয়ে নেও। শফিক চলে আসবে।
মাহিঃ এই কাজটা করেই আমি যাচ্ছি।
নাবীলের ভাবীঃ থাক মাহি, আমি আর খালা মিলে করে ফেলবো, তুমি রেডি হতে যাও।
মাহিঃ সমস্যা নেই ভাবী আমার রেডি হতে তেমন সময় লাগবে না। আমাকে সাহায্য করতে দেও এখন।
নাবীলের ভাবীঃ নাবীল ঠিকই বলেছে, তুমি অনেক জেদি।
এরপর মাহি ভাবীর সাথে কাজগুলো করে রুমে চলে আসে রেডি হতে।
কিছুক্ষণ পর নিশি এসে,
নিশিঃ মেঝো ভাবি, তোমার ভাইয়া আর বাবা এসেছে নিচে। তোমাকে মা ডাকছে চলো।
মাহি নিশিকে নিয়ে নিচে এসে ভাইয়া আর বাবার সাথে দেখা করে। কিছুক্ষণ সবাই কথা বলে, মাহি সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে যায়।
মাহির মা মাহির জন্য অপেক্ষা করছে, মাকে দেখে মাহি জরিয়ে ধরে।
মাহির মাতো কান্না করতে থাকো।
মাহিঃ এতোই যদি ভালবাসতে তাহলে আমাকে বিদায় করার জন্য এমন উঠে পরে লাগলে কেনো? এখন বিদায় করে, এতো কান্না করছো।
মাহির মাঃ পাগল মেয়ে, তুই যেদিন মা হবি সেদিন বুঝতে পারবি। ভেতরে আস এখন। আজ আমি তোকে নিজের হাতে খাওয়াবো, ঠিক আছে।
মাহিঃ ওকে মা জননি।
মাহির মাঃ আর শোন তোর রুমে সীমা আর রুহি বসে আছে তোর জন্য। এই কথা আগে বলনি কেনো?
বান্ধবীদের সাথে দুষ্টামি
মাহি দৌড় দিয়ে রুমে চলে আসে।
মাহিঃ কি রে শাঁকচুন্নিরা, তোরা আমার রুমে কি করোস?
রুহিঃ মাহিইইইই। (রুহি দৌড়ে এসে মাহিকে জড়িয়ে ধরে)
মাহিঃ হইছে ছাড়।
সীমাঃ আমিও কিন্ত আছি।
মাহিঃ তাই! আমিতো দেখিনি।
সীমাঃ তাইইই, শয়তান মাথারী, আমাকে নাকি দেখেনি।
এরপর সীমা আর মাহি রুমের চারপাশে দৌড়াচ্ছে, মাহিকে মারার জন্য।
রুহিঃ হইছে থাম, এখন।
রুহিঃ হে রে মাহি এবার বল।
মাহিঃ কি বলবো?
রুহিঃ এই তো, তোর বাসর রাতের কাহিনী।
মাহিঃ মানেএএএএ।
রুহিঃ মানে মানে করছোস কেনো এতো? আমাদের একটু বল আমাদেরও ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
মাহিঃ এতোই যদি বাসর রাতের কাহিনী শুনতে মন চায় তোর, তাহলে সীমাকে জিঙ্গেস কর। ওরতো আমার চেয়ে বেশি আইডিয়া আছে, যা ওর থেকে শিখে নে।
রুহি সীমার দিকে তাকিয়ে আছে।
সীমাঃ কি রে, আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছোস কেনো? দেখ, আমি কিছু বলতে পারবো না। তোর জানার এতো ইচ্ছা থাকলে তুই বিয়ে করে নে। তোর জামাই তোরে সব শিখিয়ে দেবে।
সীমাঃ এখন না না করছো কেন সীমা বেগম? এতোক্ষণ আমার পিছে লেগেছিলে তখন মনে ছিলোনা।
সীমাঃ আরে বাদ দে, ও একটা ফাজিল মেয়ে। বিয়ের আগে বাসর ঘর করার শখ বেশি, দেখছ না।
রুহিঃ তাই! (রুহি সীমাকে মারার জন্য তেরে উঠে)
মাহি থামিয়ে দেয়।
মাহিঃ হইছে। আর না, এবার বস তোরা। তিনজন বিছানায় শুয়ে উপরের পাখার উপর তাকিয়ে আছে।
রুহিঃ মাহি, নাবীল ভাই তোকে অনেক ভালোবাসে তাই না।
মাহিঃ হুমমমম।
রুহিঃ বিয়ের আগে নাকি পরে?
মাহিঃ বিয়ের আগে থেকে।
রুহিঃ তাইইই। দেখে কখনো মনেই হতো না।
মাহিঃ হুমমমম।
রুহিঃ তুই ভাইয়াকে ভালোবাসিস।
ভালবাসার কষ্ট
মাহি রুহির কথায় একটু লজ্জা পেয়ে বলল- যদি তোকে কেউ বলে, সে তোকে ৫ বছর ধরে ভালোবাসছে, বিনিময় কিছুই তোর কাছে আসা না করে। তোর অপেক্ষায় নির্গুম রাত কাটিয়েছে কবে তুই একটু বড় হবি। আর তাকে একটু ভালোবাসার চাদর দিয়ে জরিয়ে ধরবি। কেউ যদি তোর জন্য নিজের ক্যারিয়ার স্বপ্ন বিসর্জন দেয় শুধু তোকে নিজের নজরে রাখতে আর অন্যের নযর থেকে বাঁচাতে। তোর বিপদে সবার আগে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে। এমন অনেক কিছু যা বলে শেষ করা যাবে না। এমন মানুষটিকে, না ভালোবেসে থাকা যায়।
রুহিঃ সত্যি বলছিস, ৫বছর ধরে। মানে তুই যখন অষ্টম শ্রেণীতে পরস, তখন থেকে তোকে ভালোবাসে।
মাহিঃ হুমমমমমম।
রুহিঃ নাবীল ভাই সাংঘাতিক মানুষ। এতো কিছু মনে লুকিয়ে রাখছে কিভাবে?
মাহিঃ জানিনা, কিন্ত এখন উপলদ্ধি করে, তাকে নাকি আমি অনেক কষ্ট দিছি।
রুহিঃ ভালোই হলো মাহি। তোর বিয়েটা যেভাবে হইছে, আমিতো ভাবছিলাম অনেক সমস্যা হবে। কিন্ত নাবীল ভাই যেহেতু তোকে ভালোবাসে দেখবি আর কোন সমস্যা হবে না।
মাহিঃ কিন্ত ওর সীমাহীন ভালোবাসা দেখে আমারতো ভয় লাগে!
রুহিঃ আরে ভয়ের কিছু নেই, আস্তে আস্তে দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। ভাইয়ার রাগও অনেক কমে যাবে।
মাহিঃ তাই যেন হয়। চলবে…
পরের পর্ব- রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প – ভাইয়ের বন্ধু বর পর্ব ১৯
সকল গল্পের ধারাবাহিক সব পর্ব এখানে গিয়ে খুঁজুন – ধারাবাহিক পর্বের গল্প