অত্যাচারী বেয়াইন – Dusto misti valobasar golpo: বাসর রাতে শাড়ীটা ভারি বলে ও কাপড় চেঞ্জ করে। এরই মধ্যে আমি বিছানায় উঠে বসলাম। আলো অনেক ছোট- ছোট কাপড়- চোপড় পড়ছে। এইটা দেখে আমি চেঁচিয়ে বলে উঠলাম। তারপর….
পর্ব ১
“উফফ। ইশশ। লাগছে! প্লীজ। রোদ? আমাকে ছেড়ে দাও! আমার ভয় করছে! (আলো)
রোদঃ আলো গলা ফাটিয়ে কেঁদে- কেঁদে চিৎকার করছে আর নিজেই নিজের জামা- কাপড় ছিঁড়ছে। খুব ডেন্জারাস একটা মেয়ে!
ওকে দেখলেই ভয়ে আমার হাত- পা কাপাকাপি শুরু হয়ে যায়। ভয়ে এইদিকে আমার প্যান্ট ভিজে যাওয়ার মত অবস্থা! এই মেয়ে। কি করছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না! কিন্তু যেটায় করুক নাহ কেনো। আমাকে ফাঁসানোর জন্য যে করছে এইটা আমি নিশ্চিত!
আলোঃ প্লিজ। রোদ! উফফফ। ইশশস। লাগছে তোহ! রোদ। তুমি আমার চরিত্র খারাপ করো নাহ। প্লিজ! তুমি আমার কাছে যাও চাও। আমি তোমাকে সব দিবো। প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেও! আমি তোমার দুটি পায়ে পড়ি। তারপরেও আমাকে ছেড়ে দাও!
রোদঃ ওমা। আমি তোহ কিছুই করছি নাহ! ও নিজেই কাঁন্না করছে, আর একা একা কথা বলছে। আলো জোড়ে চিৎকার করায় ভাইয়া আর আব্বু দুজনেই দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করছে।
দরজা ভাঙ্গা যেহেতু পুরুষ মানুষের কাজ। সেহেতু ভাইয়া আর আব্বু ছাড়া তোহ আর কেউ হবে নাহ! তাই একটু হাপ ছেড়ে বাঁচলাম। শয়তান মেয়েটা জামা- কাপড় ছিড়ে একদম অর্ধ- উলঙ্গ হয়ে গেছে। আমার স্মৃতি শক্তি মনে শূন্য হয়ে গেছে। আমার মুখ থেকে টু- শব্দও বের হচ্ছে নাহ! দরজা ভাঙ্গার পর আম্মু আর আন্টি ভেতরে ঢুকলো। আলো কাঁদো- কাঁদো কণ্ঠে আমার আম্মুকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে বলল,
আলোঃ আন্টি গো! তোমার ছেলে আমাকে একা রুমে পেয়ে কিভাবে ধর্ষণ করলো। এই দেখো! (কাঁন্না করতে করতে)
রোদঃ হায়। আল্লাহ! তার মানে এই সাতচুন্নীর মনে এই ছিলো! আর কি অভিনয় করে। দেখলে মনে হবে সত্যিই ধর্ষণ করছি। আন্টি বিছানায় থাকা এলোমেলো চাঁদর আলোর গায়ে জড়িয়ে দিলো। আমি আমতা আমতা করে বললাম,
রোদঃ বিশ্বাস করো। আম্মু? আমি ওর সাথে কিচ্ছু করি নি!
আম্মুঃ ঠাসস! ঠাসসস!
রোদঃ প্রথম চড়টা আস্তে মারলেও, দ্বিতীয় চড়টা একটু বেশিই জোড়ে মারলো। আমি গালে হাত রেখে মায়াবী- নীষ্পাপ চোখে আম্মুর দিকে তাকিয়ে বললাম,
রোদঃ আম্মু। তুমি আমাকে মারতে পারলে?
আম্মুঃ হ্যাঁ। মেরেছি! তুই আর কোনোদিন ওই মুখে আমাকে আম্মু ডাকবি নাহ! (মুখে আঁচল দিয়ে কাঁদছে)
রোদঃ প্লিজ। আম্মু? আমার কথা একটি বার শোন! আমি কিচ্ছু করি নি! ও নিজে নিজেই।
আম্মুঃ চুপ! একদম চুপ। হারামজাদা!
আলোঃ আন্টি। আমার এখন কি হবে? আন্টিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে- কাঁদতে বললাম। আর চাঞ্চে রোদকে একবার চোখ টিপ মারলাম! এইবার বুঝবে, আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়ার মজা!
আম্মুঃ কাঁদিস নাহ মা! এই ধর্ষণের খবর আর কেউ জানবে নাহ!
আলোঃ কিন্তু। আন্টি, আমার চরিত্রের যে দাঁগ পড়েছে, তা আমি মুঁছবো কেমন করে?
আম্মুঃ চিন্তা করিস নাহ! আমরা একটা নাহ একটা ব্যবস্তা করবোই!
রোদঃ এতোহ্মন যে এতো ভালো অভিনয় করলো, তার নাম তোহ আপনেরা এতোহ্মনে জেনেই গেছেন। ওনি হলেন আমার বড় ভাইয়ের একমাত্র শালী। আর আমরা দুজনেই এইবার ইন্টার এক্সাম দিয়েছি! আলো আজকে সকালেই আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছে। আলো দেখতে অনেক ইনোসেন্ট আর কিউট। কিন্তু ভাই বিশ্বাস করেন। ওর ভিত্তে সব ভেজাল! ওরে দেখলেই আমার কেনো জানি ওর চুল ধরে টানতে ইচ্ছা করে! ইচ্ছা করে ওর চুল ধরে টেনে ছিঁড়ে ফেলতে। সন্ধ্যায় আমি আমার রুমে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলাম।
হঠাৎ কে জানি লুঙ্গি ধরে টানা- টানি শুরু করে দিলো। ঘুমের মধ্যেই দিলাম এক ঘুষি! ঘুষি খেয়ে তোহ আলো আরও রেগে গিয়ে, দিলো আমার লুঙ্গি ধরে এক টান! এই অবস্থা দেখে আমি মান- সম্মানের বাঁচানোর জন্য, লুঙ্গি যেভাবেই হোক নিজের কপজায় আনতে চাচ্ছিলাম কিন্তু লুঙ্গি পরপর করে ছিঁড়ে দুই ভাগ হয়ে গেলো। ভাগ্য ভালো। আমার নিচে আরেকটা প্যান্ট ছিলো।
রোদঃ ছাড়। বলছি! নয়তো ভালো হবে নাহ। বলে দিলাম!
আলোঃ শুনি। তুই আমার কি করবি?
রোদঃ তোর নামে মামলা করবো। জেলের ভাত খাওয়াবো!
আলোঃ হিহিহি। আর আমি তোকে বিয়ে করবো!
রোদঃ তোর মত মেয়েকে বিয়ে করতে আমার বয়েই গেছে! সারাজীবন কুমার হয়ে থাকবো। তারপরেও তোকে বিয়ে করবো নাহ!
আলোঃ ১০০ বার করবি!
রোদঃ নাহ। করবো নাহ!
আলোঃ দেখবি। তোকেই আমি আমার স্বামী বানাবো?
রোদঃ পারলে দেখা তোহ দেখি!
রোদঃ ব্যাস। তারপরে তোহ সব হয়েই গেলো। এখন যদি আমি খাবার টেবিলে বসি তাহলে সবাই উঠে যায়। সবার সঙ্গে টিভি দেখতে বসলে, আমাকে দেখলেই সবাই চলে যায়। বেশ কিছুদিন পর সকাল ৯- ১০টার দিকে উঠে ব্রাশ করার জন্য বাথরুমের দিকে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ তখনই বমি করার শব্দ কানে আসলো। ভাবলাম ভাবি হয়তো খুশির খবর দেবে কিন্তু এতো দেখি আমার নিজের ১২টা বাজার খবর। সবাই কেমন করে যেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম,
রোদঃ নাহ। নাহ! আমি কিছু করি নি! আমাকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করার জন্য, এইসব কিছুই আলো অভিনয় করছে!
আম্মুঃ ব্যাস। আমরা তোর কোনো কথা শুনতে চেয়েছি? তোর এখন আলোকে বিয়ে করতে হবে! আর নাহলে আমার বাড়ী থেকে চলে যাহ।
রোদঃ বিশ্বাস করো। প্লিজ আম্মু!
আম্মুঃ আজকেই তোদের বিয়ে আর কোন কথা হবে নাহ!
রোদঃ ঠিক আছে। আম্মু!
রোদঃ নিচু কন্ঠে বলে, ব্রাশ করা ফ্যানা গুলো ঢোগ গিলে খেয়ে ফেললাম। কি আর হবে? বেশি হলে পেট খারাপ, তাও ভালো মরে তোহ যাবো! একটু ভালো করে তাকিয়ে খেয়াল করলাম, আলোর পেটও একটু একটু ফোলা মনে হচ্ছে। আচ্ছা। অন্যর পাপের ফল, আমার উপর চেপে দিচ্ছে না তোহ?
রুমে ঢুকে গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে বিছানার দিকে নজর গেলো। আলো চিৎ হয়ে আমার বিছানায় শুয়ে আছে। আমি বিছানায় উঠে, লাথি দিয়ে আলোকে ফেলে দিলাম। ধাপ করে শব্দ আসলো পড়ে যাওয়ার। মনে মনে ভাবলাম, বাচ্চাটা তাহলে নষ্ট করতে সক্ষম হয়েছি আমি। খুশিতে পাশে থাকা ফুলদানি নিয়ে একটা চুমু দিয়ে,
অন্তিম পর্ব
মনে মনে ভাবলাম, বাচ্চাটা তাহলে নষ্ট করতে সক্ষম হয়েছি আমি। খুশিতে পাশে থাকা ফুলদানি নিয়ে একটা চুমুু দিয়ে,
রোদঃ ইয়াহহু! আই এম উইন। আই এম উইন! আমি বাচ্চা নষ্ট করে দিছি!
আলোঃ বুদ্ধু! অনেক জোড়ে হাসতে হাসতে আমি বললাম।
রোদঃ এইইই। তুই এইভাবে হাসছিস কেনো? আর বাচ্চা কি নষ্ট হয় নি!
আলোঃ এটা তোহ একটা বালিশ। প্রেগন্যান্ট হয়ছি। সেটা সবাইকে দেখানোর জন্য অভিনয় করেছি মাত্র!
রোদঃ হায়। আল্লাহ! আমার সাথে এতো বড় ধোকা! তুই এইটা কেমনে করলি?
রোদঃ শয়তান মাইয়ার কথা শুনে তোহ আমি অবাক! আমাকে ফাঁসানোর জন্য প্রেগন্যান্ট হওয়ার অভিনয় করছে। আবার এখন আমার কান টেনে ধরল।
রোদঃ আহহহহ। আহহ! লাগছে তোহ আমার। ছাড় বলছি!
আলোঃ বল আমাকে বিয়ে করবি?
রোদঃ আমি মরে গেলে, তুই ধর্ষিতা হয়ে থাকবি! কান ছাড় লাগছে তোহ আমার!
আলোঃ যা ছেড়ে দিলাম! শোন বিয়ের পর আমার সাথে সপ্তাহে একদিন শপিং করতে যেতে হবে কিন্তু! আর আমার যখন ফুচকা খেতে মন চাইবে। তখনই কিন্তু আনতে হবে! মাঝ রাতে বাহানা ধরলে চকলেট খাইয়ে দিতে হবে।
রোদঃ মামার বাড়ির আবদার পাইছো? একটা নিরীহ- অসহায় ছেলেকে ধর্ষণ করে বিয়ে করছিস! আবার সংসারের চিন্তা মাথায় ঢুকিয়ে দিচ্ছিস! আমি কথা গুলো বলতে বলতে কষ্টে কেঁদেই দিলাম।
আলোঃ ওলে আমার বাবুটা। কান্দে নাহ! চোখের জল মুঁছো। আমি আমার হাতের আঙ্গুল দিয়ে ওর চোখের পানি মুছে দিলাম।
রোদঃ আলো। তুই যদি আমাকে ভালোবেসে থাকিস, তাহলে একটা কথা মনে রাখবি, আমি এখনও একজন স্টুডেন্ট! আর সংসার কি জিনিস এসব আমি বুঝি নাহ। যদি আমাকে বেশি টেনশন দিস, তাহলে কিন্তু আমি ফাঁশি দিয়ে আত্মহত্যা করবো!
আলোঃ চুপ কর! এইসব কোন ধরনের কথা! তোর সংসার চালাতে যত টাকা লাগবে আমি দিবো। তোরে কে বলছে এতো চিন্তা করতে?
রোদঃ আলো। তোকে আরেকটা কথা বলার ছিলো?
আলোঃ হুম। বলো কি বলবা?
রোদঃ এসব কি সব কাপড়- চোপড় পরিস? হাত- পায়ের অর্ধেক বের হয়ে থাকে! আমার তোহ অসুবিধা হয়, তোর সাথে কথা বলতে।
আলোঃ কিহহহহ। শয়তান! ওইই। তুই কি বলতে চাচ্ছিস?
রোদঃ নাহ। মানে, তোর লজ্জা করে নাহ? আমার সব বন্ধু- বান্ধবরা ছিঃ ছিঃ করে!
আলোঃ আমি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছি, তাতে তোর কি? তোর ইচ্ছে হলে, তুইও এমন পোষাক পড়! আর এটা এখন স্টাইল। হুম!
রোদঃ আলোর কথা শুনে আমার প্যান্ট খুলা শুরু করে দিলাম, আমাকে এই রকম করতে দেখে আলো বলল,
আলোঃ ওইই। তোর কি লাজ- লজ্জা বলতে কিছু নাই? প্যান্ট খুলছিস কেনো?
রোদঃ আজকে থেকে আর প্যান্ট পড়বো নাহ! সবার সামনে এইভাবেই যাবো। আর এটা স্টাইল। বুঝছিস!
আলোঃ হুম। বুঝতে পারছি! আর এখন থেকে শাড়ী পড়ার অভ্যাস করে নিব। এই যে পান্জাবীটা রেখে যাচ্ছি। পরে নিয়েন।
রোদঃ ওইইই। আজকে আমি বিয়ে করবো নাহ। আমার তোহ বৃষ্টির দিনে বিয়ে করার ইচ্ছা!
আলোঃ ওরে। দুষ্টু! সমস্যা নাই। এখন শীতের দিন, বিয়ে করলে বৃষ্টির দিনের থেকেও বেশি মজা পাবা! আর আজ সন্ধ্যায় আমাদের বিয়ে রেডি হয়ে থাকিস কিন্তু!
রোদঃ আচ্ছা!
রোদঃ সন্ধ্যায় আমাদের বিয়ের সম্পূর্ণ হয়ে গেলো। এখন আমি বাঁশঘর, সরি। সরি। বাসরঘড়ের সামনে দাঁড়িয়ে হাতের আঙ্গুল কামরাচ্ছি! একটু পড়েই ভাবী এসে, আমাকে ধাক্কা দিয়ে রুমে ঢুকিয়ে দিলো। আমি ধাক্কার ভর সামলাতে নাহ পেরে, হুরমুরিয়ে নিচে পড়ে গেলাম। তারাতাড়ি উঠে দাঁড়িয়ে আমি শুকনো কাঁশি দিয়ে জানান দিলাম, আমি এসে গেছি! আলো বিছানা থেকে নেমে এসে, আমাকে সালাম করতে লাগলো। আমি ওর কাঁধে হাত রেখে ওকে দাঁড় করিয়ে বললাম,
রোদঃ এই বাড়িতে যদি সংসার করতে চাস, তাহলে তোকে চাকরানী হয়ে থাকতে হবে। আর আমার কাছে একদম ভালোবাসা দাবি করতে পারবি নাহ। আমি মন থেকে তোকে বিয়ে করি নি! আর আমি বাড়িতে আসার পর আমার পা টিপে দিতে হবে বুঝছিস? এই সব নিয়ম মানলে আমার সঙ্গে সংসার করতে পারবি!
আলোঃ ঠাসসস। ঠাসসস!
রোদঃ ঠিক আছে। ঠিক আছে! তুমি যা বলবা তাই শুনবো।
আলোঃ ঠাসসসস। ! আমি তোর চার মাসের বড়। সো এখন থেকে আপনি বলে ডাকবি। আর বাড়ির সবার সামনে তুমি করে, বুঝলি?
রোদঃ হুম। বুঝছি!
আলোঃ আসো বিছানায় আসো! আরে আমাকে এতো ভয় পাচ্ছো কেনো? আমি একটু রেগে গেলে এমন করি, নাহলে কিন্তু আমিও অনেক ভদ্র মেয়ে! আর আমার মতো অন্য কেউ তোমাকে ভালোবাসবে নাহ, দেখে নিও!
রোদঃ হুহ। এতো জোড়ে জোড়ে চড় মেরে, এখন আসছে আবার ভালোবাসা দেখাতে! (ফিসফিস করে বললাম)
আলোঃ মনে হয়। কিছু বললে?
রোদঃ নাহ। নাহ। আমি কিছু বলি নি! বলছি কি, আপনাকে নাহ আজ অনেক সুন্দর লাগছে।
আলোঃ আমার কিউট। সোনাটা! এই যে। এই গ্লাসের অর্ধেক দুধ তুমি খাও, তারপর বাঁকি অর্ধেক আমি খাবো।
রোদঃ আমি দুধ খাই নাহ! আপনি একাই খান।
আলোঃ ঠাসসস। ওইই একদম বেশি কথা বলবি নাহ। বাসর রাতের নিয়ম মানতে হয়। জানিস নাহ?
রোদঃ চড়ের ভয়ে আমি দ্রুত গ্লাসের অর্ধেক দুধ খেয়ে আলোকে গ্লাসটা দিয়ে দিলাম। ছিঃ। মেয়েটা কি খাচ্চর! আমার এটোঁ দুধ টুকু এক চুমুকেই খেয়ে নিলো। এইটা দেখে আমি আলোকে বললাম,
রোদঃ আপনি দেখি অনেক খাচ্চর! আমার এটোঁ করা দুধ। আপনি খেলেন!
আলোঃ এতো কথা নাহ বলে, অনেক রাত হয়ছে! এখন আসো ঘুমাবো!
রোদঃ আপনি তোহ একটা মেয়ে! আপনার সঙ্গে ঘুমাতে তোহ আমার অনেক লজ্জা লাগছে! আমি বরং পাশের রুমে গিয়ে ঘুমায়?
আলোঃ বিয়ের পরে বর আর বউ এক সঙ্গে ঘুমায়। এইটা তুমি জানো নাহ? তারাতাড়ি বিছানায় এসে ঘুমাও।
রোদঃ নাহ। আমি সোফায় ঘুমাবো! আপনার সাথে ঘুমাতে আমার অনেক লজ্জা করবে।
আলোঃ মারবো আরেকটা কসে থাপ্পড়? কেনো যে তোর মতো বোঁকা ছেলেকে বিয়ে করতে গেলাম? হায় আল্লাহ। আমার এখন কি হবে!
রোদঃ আচ্ছা। ঠিক আছে ঘুমাবো। কিন্তু আপনি আমার বুকে মাথা রাখবেন নাহ।
আলোঃ কেনো?
রোদঃ আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। আমি শ্বাস কষ্টের রোগী। (মন খারাপ করে)
আলোঃ সমস্যা নাই! তুমি আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়েও। আর হ্যাঁ। আমি বিয়ের কাপড় চেন্জ করে, অন্য কাপড় পরে আসি। এই শাড়ীটা আমার অনেক ভারি ভারি লাগছে! আর তুমিও এইসব চেঞ্জ করে আসো।
রোদঃ হুম।
রোদঃ তারপরে কাপড় চেঞ্জ করে, আমি বিছানায় উঠে বসলাম। আলো অনেক ছোট- ছোট কাপড়- চোপড় পড়ছে। এইটা দেখে আমি চেঁচিয়ে বলে উঠলাম,
রোদঃ ওইইই। আপনি এইসব কি পড়ছেন?
আলোঃ কেনো? স্কার্ট আর টি- শার্ট পড়ছি!
রোদঃ সেটা দেখতেই পাচ্ছি। কিন্তু এখন কি আপনি এগুলো পরে ঘুমাবেন? আচ্ছা। এইসব পড়তে আপনার লজ্জা করে নাহ?
আলোঃ তোমার সুবিধার জন্যই তোহ পড়ছি। বুঝছো?
রোদঃ হুহ। আমি কি পড়তে বলছি এইসব?
আলোঃ ওইই। তুমি কিন্তু বেশি কথা বলো! যারা বেশি কথা বলে, তাদের দেখলেই আমার রাগ উঠে যায়।
রোদঃ আমি আর কিছু নাহ বলে, শুকনো একটা কাঁশি দিয়ে ওর পাশে ঘুমানোর চেষ্টা করছি। আলো এসে আলতো করে ওর বুকের সাথে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমাকে জড়িয়ে ধরায়, আমার নড়াচড়া শুরু করে দিলাম। আমাকে এইরকম করতে দেখে আলো টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে ধমক দিয়ে বলল,
আলোঃ ওইইই। সমস্যা কি তোমার। হুম? এত নড়াচড়া কেউ করে নাকি?
রোদঃ এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে আছেন, মনে হচ্ছে আমাকে ছেড়ে দিলেই পালিয়ে যাবো! একটু আস্তে জড়িয়ে ধরেন, আমার কাতুকুতু লাগে তোহ!
আলোঃ ঠিক আছে! এখন ঘুমাও।
রোদঃ আমি আর কোনো কথা বলে, ঘুমিয়ে পরলাম। হঠাৎ মাঝ রাতে আবার ঘুম ভেঙে গেলো। আমি কুনুই দিয়ে আলোকে খোঁচা দিয়ে বললাম,
রোদঃ বউ। ও বউ। শুনছেন?
আলোঃ হঠাৎ রোদের ডাকে আমার ঘুম ভেঙে গেলো। আমি চোখ ঢলতে ঢলতে রাগি মেজাজে ওকে বললাম,
আলোঃ কি হয়ছে? মাঝ রাতে আবার তুমি এমন ডাকাডাকি শুরু করছো কেনো? আমাকে কি একটু কি শান্তি ঘুমাতেও দিবে নাহ?
রোদঃ আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি নাহ। আগে আমাকে ছাড়ো! তারপরে বলছি?
আলোঃ হুমম। এখন বলো?
রোদঃ আমার নাহ খুব জোড়ে হিসি পেয়েছে? (লজ্জায় লাল হয়ে)
আলোঃ তোহ যাও নাহ! কে বারন করছে?
রোদঃ আমার একা একা যেতে ভয় করে তোহ। আগে তোহ আম্মু ওয়াসরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো। কিন্তু এখন তোহ আম্মু নেই! তাই আপনাকেই যেতে হবে, আমার সাথে ওয়াসরুমের সামনে।
আলোঃ এমন বুইড়া মারা ছেলে বলে আবার ভয় পায়! আচ্ছা। তারাতারি চলো! প্যান্ট নষ্ট হয়ে গেলে পরে আরেক সমস্যা!
রোদঃ তাহলে এই বুড়ো ছেলেকে বিয়ে কেনো করছেন? আজব মেয়ে তোহ আপনি!
আলোঃ হয়ছে। আর পাকনামি করতে হবে নাহ!
রোদঃ ওয়াসরুম থেকে ফ্রেস হয়ে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। আলো আবার আমাকে জড়িয়ে ধরল! এইবার আমি মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললাম,
রোদঃ একটা কথা বলি?
আলোঃ বলো কি বলবা?
রোদঃ আমি তোমাকে তুমি বলে ডাকলে ভালো হবে। বুঝছো? যেহেতু আমরা এখন স্বামী- স্ত্রী। আর আপনি ডাকটাও আমাদের ভিতরে মানায় নাহ।
আলোঃ হুম। তুমি ঠিক বলছো। আচ্ছা। এখন থেকে তুমি করেই ডেকো।
রোদঃ থাপ্পড়াবে নাহ তোহ আবার?
আলোঃ আরে নাহ। বোঁকা ছেলে। আমার আরও কাছে আসো, এই শীতের ভিতরে তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে আমার অনেক অনেক ভালো লাগছে!
রোদঃ আমারও ভালো লাগে।
রোদঃ কথাটা সম্পূর্ণ শেষ করার আগেই, ভালো লাগার ঠেলায় আমার দুই চোখে ঘুম নেমে এলো। আর তাই আমি ঘুমিয়ে গেলাম।
লেখা – নিহান নীল
সমাপ্তি
(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “অত্যাচারী বেয়াইন – Dusto misti valobasar golpo” গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)
আরো পড়ূন – In the depths of love – ভালবাসার গভীরতায়