ছাত্রী ধর্ষণ ১

ছাত্রী ধর্ষণ – অতৃপ্ত আত্মার প্রতিশোধ পর্ব ১ | ভুতের গল্প | Bhoot Fm

ছাত্রী ধর্ষণ – অতৃপ্ত আত্মার প্রতিশোধ: প্রতিনিয়ত স্যারের হাতে ছাত্রী হেনস্তা ও ব্লাকমেইলের অভিযোগ ওঠে। অনেক অজানা গল্প নিরবে থেকে যায় সম্মান বাঁচানোর তাগিদে। আজ এমনি এক ভুতের গল্প আপনাদের বলব যেটা প্রতিশোধের একটা ভয়ানক থ্রিল নিয়ে আসবে। চলুন তবে শুরু করা যাক।

তুহিন স্যারের মুখোশ

ছাত্রীঃ স্যার, আপনি আমার পাজামা খুলছেন কেনো?
স্যারঃ ভয় পাবার কিছু নেই। আজকে আমি তোমাকে ফিজিক্যাল সাবজেক্ট নিয়ে শিখাবো।
ছাত্রীঃ কিন্তু স্যার পাজামা কেনো খুলছেন?
স্যারঃ চুপচাপ শুয়ে থাকো।
ছাত্রীঃ স্যার,আপনি আমার পেন্টি কেনো খুলছেন।
স্যারঃ বেশি কথা বলো তুমি৷ চুপচাপ শুয়ে থাকো না।

১৪ বছরের ছাত্রীকে বিছানায় ফেলে আকাম করার চিন্তায় আছে তুহিন স্যার। মেয়েটির নাম আঁখি। এবার সবে মাত্র ৮ম শ্রেনীতে পড়ে সে৷ আঁখির আব্বু আম্মু মার্কেটে গেছে কেনাকাটা করার জন্য। বাড়ি পুরো ফাকা। কাজের ছেলেটিকেও সাথে করে নিয়ে যায়। ফাকা বাড়িতে আঁখিকে একা পেয়ে তুহিন স্যারের মাথায় কু বুদ্ধির প্রভাব বিস্তার ঘটে।

আঁখি বাচ্চা মেয়ে। ওতটা জ্ঞান নেই ওর। ছোট বেলা থেকেই পড়াশুনা আর ঘুমের মধ্যে কেটে দিয়েছে। বান্ধবীরাও নেই যে, ছয় নয় সম্পর্কে কিছু বুঝবে। ওর আম্মুই তাকে দরকারি কাজ গুলো শিখায়। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি আঁখি কোনো চরিত্রহীন লোকের কবলে পড়বে কে জানতো। তুহিন স্যারের আলাদা কোনো খারাপ রেকর্ড নেই। শিক্ষক হওয়ার আগে অনেক রেকর্ড আছে, কিন্তু শিক্ষক হবার পর থেকেই ভালোর মুখোশ পড়ে নেয়।

আজ আঁখিকে ফাকা বাড়িতে একা পেয়ে উনার আর সইলো না। বিছানায় ফেলে জামাকাপড় খোলা শুরু করে দেয়। আঁখি সব বুঝতে না পারলেও, এইটা ঠিকই বুঝে গেছে, স্যার এখন তার ইজ্জৎ লুটে নিবে। কিন্তু বুঝতে যে দেরি হয়ে গেছে। এর আগেই স্যার আঁখির উপর ঝাপিয়ে পড়ে চেপেচুপে দেয়। আঁখি অবিরত কান্না করেই যাচ্ছে। তুহিন স্যারের মন তাতে গলে নি। উনি নরপশুর মত ছিড়েখুঁড়ে আঁখির ইজ্জৎ লুটে নিলো।

স্যারের ব্লাকমেইল

প্রায় ১০ মিনিট পর তুহিন সাহেব স্থির হন। এরপর আঁখির উদ্দেশ্যে বলে-

তুহিনঃ এখন আমি যা করেছি। এইটা সম্পুর্ণ ভিডিও করেছি আমি। যদি তোমার আব্বু আম্মুকে বলে দাও, তাহলে এই ভিডিও আমি ভাইরাল করে দিবো। তোমার জীবন শেষ হয়ে যাবে।
আখিঃ কিন্তু স্যার, আপনি এইটা কেনো করলেন? (কান্না করতে করতে)
তুহিনঃ আরেহহ বুঝোনা? এইটা তোমাকে শেখালাম। ভবিষ্যতে তোমার কাজে লাগবে।

আঁখিকে ইজ্জতের ভয় দেখিয়ে আর ছয় নয় বুঝিয়ে তুহিন স্যার চলে আসে। প্রাইভেট পড়ানোর বদলে আজ অন্য কিছু করে ভালোই ভাব বেড়েছে উনার। আঁখি বাথরুমে গিয়ে আবারো অনেক্ষন কান্না করে৷ রক্ত বন্ধ হওয়ার নামগন্ধও নেই। অন্যদিকে তার প্রস্রাবপথে অনেক ব্যাথা বেড়ে যায়। সব সহ্য করে আঁখি ফ্রেশ হয়ে রুমে আসে। চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায় তার। ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে অনেক কিছুই বুঝে ফেলে সে। স্যার বলেছিলো ভিডিও ভাইরাল করে দিবে। এতে আঁখির কোনো প্রব্লেম নেই। কিন্তু ওর মা বাবা জানতে পারলে কতোই কষ্ট পাবে। তা ভেবেই আঁখি নিজের ভিতর পুষে করে রাখে সব। সন্ধার দিকে বাড়িতে আসে আঁখির আব্বু আম্মু। বাড়িতে এসেই আঁখিকে বলল-
বাবাঃ কিরে মা! তোর স্যার কোথায়?
আখিঃ চলে গেছে।
বাবাঃ আরেহহ, আজ এত তাড়াতাড়ি? নিশ্চয় তুমি হোমওয়ার্ক ভালো করতে পেরেছো, রাইট?
আখিঃ হ্যাঁ।
বাবাঃ আমার লক্ষী মামুনি টা। এই নাও, তোমার জন্য পুতুল এনেছি।
আখিঃ লাগবেনা আমার।

তৎক্ষনাৎ আঁখি সোফা থেকে উঠে নিজের রুমে চলে যায়। আঁখির মা বাবা অপলক চাহনিতে আঁখির দিকে তাকায়। উনারাও বেশ অবাক হন। আঁখি তো এমন মেয়ে না। হটাৎ এতো গম্ভীর হলো কিভাবে৷ উনারাও আঁখির পিছু নিতে চেয়েছিলো। কিন্তু তার আগেই আঁখি রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।

নিরুপায় ছাত্রী

পরেরদিন সকাল বেলা আঁখির নাম্বারে একটা কল আসে। মোবাইল ফোনটা আঁখিকে দিয়েছিলো তার আব্বু। তাও নোকেয়া বাটন ফোন। শুধুমাত্র দরকারি কাজের কথা বলার জন্য। আঁখি ঘুম থেকে উঠে দেখে স্যারের নাম্বার। স্যারের নাম্বার দেখেই আঁখি ভয় পেয়ে যায়৷ কেমন যেনো উনাকে এখন অন্যরকম মনে হয় তার। প্রথমবার কল রিসিভ না করলেও, পরেরবার আঁখি রিসিভ করে৷

তুহিনঃ কি হলো, প্রথমবার কল ধরলেনা যে?
আঁখিঃ ঘুমে ছিলাম, স্যার।
তুহিনঃ তোমার গলায় ভয়ের চাপ কেনো?
আঁখিঃ কিছুনা স্যার।
তুহিনঃ আজ স্কুলের ব্যাগ নিয়ে সোজা আমার বাড়ি চলে আসো। স্কুল করতে হবেনা।
আঁখিঃ আমি আর পারবোনা স্যার।
তুহিনঃ আচ্ছা, ভিডিও তোমার আম্মু আব্বুর ফোনে পাঠাই?
আঁখিঃ না না না স্যার,আমি আসতেছি।
তুহিনঃ এইতো লক্ষী মেয়ে। জলদি আসো।

শুরু হয়ে যায় ব্লাকমেইল। প্রতিদিন একবার হলেও, ভিডিও এর ভয় দেখিয়ে আঁখির সাথে মাস্তি করে যাচ্ছে তুহিন স্যার। বাধ্যতামূলক যেতেও হয়। কি বা করবে মেয়েটি। অবুঝ মেয়ের মাথায় আর কি ঢুকবে। যত চায় রক্ষা করতে, তত হয়ে যায় বন্দি। এভাবে চলতে থাকে কয়েক মাস। আঁখি আর নিতে পারছেনা৷ অবশেষে আঁখির জন্য আত্মহত্যার পথ খোলা রইলো। আর সেটাই হলো।

লাশকাটা ঘর

ঘটনা এখানেই সমাপ্তি হতে পারতো৷ কিন্তু না, ঘটনা থেমে যায়নি এখানে। আঁখির মৃত্যুর পর আঁখির আত্মাও ফিরে আসেনি। অতৃপ্ত আত্মার আগমনে নাকি শত্রুর বিনাশ ঘটে। সেটাও হয়নি। বাস্তবতায় বুঝতে গেলে আরো কিছুও বাকি রয়ে যায়।

আঁখির লাশ মর্গে নেওয়ার পর লাশ কাটতে আসে ডক্টর। মর্গে আপাতত আর কোনো লাশ নেই। এই একটাই লাশ৷ কিন্তু অদ্ভুত ঘটনা ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়। হসপিটালের লোকজন বলে, সিসিটিভি ক্যামেরায় যে ডক্টরকে দেখা যাচ্ছে, তিনি এই হসপিটালের ডক্টর নয়। হসপিটালের ডক্টরের মাথা টাক। আর এই ডক্টরের মাথায় চুল ভর্তি। আরো ভয়ানক ব্যাপার হচ্ছে, ডক্টর এসে আঁখির মাথাটা এক কোপে আলাদা করে দেয়। এরপর সেটি তার ব্যাগে করে নিয়ে যায়। বাহিরের সিসিটিভি ক্যামেরায় কোন লোক মর্গের রুম থেকে বের হতে ধরা পড়েনি। অথচ মর্গের ভিতর লাগানো ফুটেজে তাকে দেখা যাচ্ছে। দরজা খুলতেই একটা মানুষ হাওয়া হয়ে যায় কিভাবে? প্রশ্ন?

এদিকে যে ডক্টর লাশ কাটার কথা ছিলো। সে সকাল থেকেই নিখোঁজ। কোথায় হারালেন ডক্টর? প্রশ্ন?

তুহিন সাহেব বিন্দাস ঘুরে বেড়াচ্ছে। উনি পরের টার্গেট হিসেবে বেচে নেয় আরেকটা ছাত্রীকে। খুব হুশিয়ার ভাবেই তিনি কাজ চালান। কনডম ব্যবহার করে চিহ্ন রেখে দেননা। এভাবেই কেটে আসছেন উনি। ছাত্রীদের নিজের বাসায় এনে বিছানায় ফেলে আকাম করে ছেড়ে দেয়। ভিডিও করে রাখে যাতে ভয় পায় তারা। এর মাঝে আঁখি বাচ্চা মেয়ে ছিলো তাই আত্মহত্যা করেছে। আর অনেকে তো নিজেরাই স্যারকে কল দিয়ে বলে “কনডম আছে? নাকি নিয়ে আসবো?”

অতৃপ্ত আত্মার প্রতিশোধ

যাইহোক, এভাবে বেশিদিন যায়নি। তুহিন সাহেব একদিন রাতে সুমিকে খবর দেয়। সুমি আসে। বিছানায় শুয়ে পড়ে। তুহিন সাহেব ঝাপিয়ে পড়ে। কাজ শেষ।

ক্লান্ত হয়ে শুয়ে থাকে তুহিন স্যার। সুমিকে বিদায় দিয়ে বাথরুমে যায় ফ্রেশ হতে। তুহিন স্যার বাথরুমের দরজা খোলে ভিতরে প্রবেশ করতে দেরি হলেও, দরজাটা অটোমেটিক আটকে যেতে দেরি করেনি। তুহিন স্যার অবাক হয়ে গেলেন। উনার জানামতে আজ গাঞ্জা খায়নি৷ তবে এমন হয়েছে কেনো? মাথা চুলকাতে চুলকাতে উনি বাথরুমের আয়নার সামনে যায়, আর ওমনি দেখে, উনার পিছনে একটা যুবক দাড়িয়ে আছে। ছেলেটিকে দেখতে খুব বাজে। বিশ্রি রকমের চেহারা।

তুহিন সাহেব আয়নায় চেহারাটা দেখেই পিছনে তাকালেন। দেখে কেও নেই। তুহিন সাহেব ভয়ে চিৎকার শুরু করে দেয়৷ দরজা ধাক্কাচ্ছে আর চিল্লাচ্ছে৷ আর তখনি নিভে যায় বাথরুমের লাইট৷ তুহিন স্যার কিছু বুঝার আগেই, উনার পিছন থেকে কেও, তার মাথা দরজার সঙ্গে চেপে ধরে পিছন থেকে রেএপ করা শুরু করেছে। তুহিন স্যার কষ্টে কাতরানি দিচ্ছে। এতদিন সব ছাত্রীদের তিনি যেভাবে খেয়েছেন, আজ উনাকেই কোনো অদ্ভুত মানুষ সেটা ভোগাচ্ছে। প্রচণ্ড ব্যাথ্যা, যেন মনে হচ্ছে গরম কোন লোহা তার পেছনে প্রবেশ করছে আর বের হচ্ছে।

তুহিন স্যার না পারছে নড়তে, আর না পারছে কিছু বলতে। টানা ৪ ঘন্টা ধরে চলছে। উনি নিজেই বুঝতে পারেনা। ছেলে হয় কোন ছেলে এমন করতেছে। ৫ ঘন্টা শেষ, ৬ ঘন্টা শেষ। এভাবে সারারাত কেটে সকাল হয়ে যায়, এখনো তুহিন সাহেব দরজার সঙ্গে আটকে আছে,আর কেও পিছন থেকে থেরাপি দিচ্ছে৷ সবশেষে সকাল ৮ টায় দরজা নিজে নিজে খুলে যায়। আর তুহিন স্যার উপচে এসে রুমের ফ্লোরে পড়ে যায় উলঙ্গ। সকাল ৮ টায় পড়ুয়া সকল প্রাইভেট ছাত্রী তখন উনার রুমে। তুহিন স্যার এই অবস্থায় দেখে, সবাই চিৎকার মেরে লোকজন জড়ো করে দেয়। তুহিন স্যারের হুশ নেই। উনি এই যে অজ্ঞান হয়েছেন, টানা দুইদিন বিছানা ছাড়তে পারেনি। এরপর থেকে শুরু আরো ভয়ংকর ঘটনা। এমন ভয়ংকর কিছু শুরু হয়।

চলবে…

পরের পর্ব- ছাত্রী ধর্ষণ – অতৃপ্ত আত্মার প্রতিশোধ পর্ব ২

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *