হব একদিন খুব বড় – প্রথম কিসের গল্প: সে আমাকে ঘুমের মধ্যে এত বেশি কিস দিছে যে আমার পুরো মুখ লিবিস্টিকের নিচে পড়ে গেছে। আমার মনে হয় এটা পাগল হয়ে গেছে কি করি আমি এখন।
পর্ব ১
আমিঃ প্লিজ এমন কোরো না আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না।
নাবিলাঃ সরি আমার কিছুই করার নাই।
আমিঃ তাহলে আমাকে ভালোবাসছিলা কেন।
নাবিলাঃ হা এটাই ভুল আমার আর আমাকে কল বা মেছেজ দিবা না।
তারপর সে চলে গেল আর আমি সেখানেই বসে রইলাম।
আমাদের রিলেশন ছিল ৩ বছরের কিন্তু আজকে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে শুধু আমি গরিব বলে।
আমি আজাদুল ইসলাম তুহিন এবার অনার্স ৩য় বর্ষে (এটা কিন্তু শুধু গল্পে) আমি গরিব বলে আমাকে এভাবে ছেড়ে চলে গেলো। আমিও আবার বলে গেল যে অর নাকি অনেক বড় লোকের ছেলের সাথে বিয়ে হবে।
তারপর বাসায় আসলাম বাসায় এসে শুয়ে পরলাম। আম্মু এসে খাওয়ার জন্য ডাক দিয়ে গেল। আর হে আমাদের দিক পরিবারের দিক দিয়ে না থাকলেও আমার মামা অনেক বড় লোক তারা সবাই আমকে অনেক ভালোবাসে কারন তার কোন ছেলে নেই। আমার পড়ালেখার খরচ সব তিনি চালান। তাই মাকে বললাম,
আমিঃ আম্মজ আমি মামার ওখানে চলে যাব।
আম্মুঃ কেন এখানে থাকলে সমস্যা কি?
আমিঃ আমাকে অনেক বড় হতে হবে। আর তা এখানে থাকলে পারব না।
আম্মুঃ আচ্ছা তোর ইচ্ছা।
হা আমি অনেক বড় হব। এই জেদটা মাথায় চেপে গেছে।
তারপর দিন সকালে রেডি হয়ে চলে গেলাম মামা বাসায় সবাই দেখে অনেক খুশি।
মামি এসে বলল,
মামিঃ কেমন আছিস বাবা।
আমিঃ আমি ভাল আছি আপনি।
মামিঃ হা আমিও ভালো আছি।
আমিঃ আচ্ছা মামা কোথায়।
মামিঃ অনি বাজারে গেছে।
আমিঃ আর চুন্নিটা কই।
মামিঃ অ তোর জন্য শপিং করতে গেছে।
আমিঃ আমার জন্য শপিং কেন করতে গেছে। আমারত জামা কাপর আছে।
মামিঃ সেটা ত দেখেই বুঝা যাচ্ছে কি পরে আছিস। আচ্ছা যা রেস্ট নে।
আমিঃ আচ্ছা মামি।
তারপর আমি চলে আসলাম আসার পর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া খেয়ে ঘুমালাম।
পর্ব ২
হঠাৎ করে কানে সুরসুরির কারনে ঘুমটা ভেংগে গেল আর তাকিয়ে দেখি পাজিটা দাঁড়িয়ে হাসছে।
আমি ভুজে গেছি যে ও কিছু করেছে। তারপর আমি বললাম,
আমিঃ কিরে পাজি তুই এমন করলি কেন।
পাজিঃ আরে তোরে সেই কখন থেকে তোকে ডাকতেছি। তুর কোনো সাড়াশব্দ নাই তাই এমন করছি।
আমিঃ এখন বল কি হইছে?
পাজিঃ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিছে আয় ঘুরতে যাব বুজছিস।
আমিঃ হ বুঝছি।
যাকে এতক্ষন পাজি বললাম সে হচ্ছে আমার মামার মেয়ে নাম রাহিমা আক্তার প্রিতি। আমার কয়েক মাসের ছোট। তাই তুই তুই বলে ডাকি।
অর জন্যই আসতে চাইনি মামার বাসায়। কিন্তু এখন সেখানেই থাকতে হবে অনেক পাজি মেয়ে আমাকে সবসময় দৌড়ের উপর রাখে।
এবার আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম তার পর অর সাথে বার হলাম। রাতে বাসায় ফিরে এসে দেখি মামা বসে আছে। তাই মামার কাছে গেলাম।
আমিঃ মামা কেমন আছেন।
মামাঃ ভাল তুই কেমন আছিস।
আমিঃ ভাল মামা।
মামাঃ ত কালকে ভর্তি হতে হবে। আমি সব ঠিক করে রাখছি কালকে শুধু গিয়ে ভর্তি করে দিব।
আমিঃ আচ্ছা মামা।
তারপর চলে আসলাম দেখলাম রাহিমাকে অনেক খুশি খুশি লাগছে। তাই জিগাস করলাম,
আমিঃ কিরে এমন খুশি খুশি লাগছে বেপার কি।
রাহিমাঃ হুম আমার প্রিয় মানুষটার সাথে কথা হবে প্রতি দিন।
আমিঃ অহ। মনটা খারাপ হয়ে গেল। সেই সাথে ছলনাময়ীর কথাটা মনে পড়ে গেল।
আমি সেখান থেকে চলে আসলাম। রুমে গিয়ে চুপচাপ বসে আছি।
একটু পর মামি এসে খাবারের জন্য বলে গেল।
পর্ব ৩
তারপর খাবার খেয়ে এসে শুয়ে পরলাম
সকালে
ঘুমিয়ে আছি হঠাৎ করে মনে হল কার নিশ্বাস আমার মুখে পরছে।
আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি কেউ নাই। তাই আবার ঘুমিয়ে গেলাম আর একটু পর….
রাহিমাঃ ওই তুই এখনো উঠিস নি।
আমিঃ
রাহিমাঃ আরে ওই উঠবি নাকি।
আমিঃ কে কে?
রাহিমাঃ আরে আমি। উঠ কলেজে যেতে হবে ত।
আমিঃ অহ আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি তুই যা।
রাহিমাঃ আচ্ছা তারাতারি আসব।
আমিঃআচ্ছা।
তারপর ফ্রেশ হয়ে গেলাম। কিন্তু একবারে ক্ষেত হয়ে বার হলাম।
এই দেখে রাহিমার মাথা গরম হয়ে গেল।
রাহিমাঃ এই এই তুই এগুলা কি পরেছিস।
আমিঃ আমার এগুলাই ভাল লাগে।
রাহিমাঃ আমি যেগুলা তোর জন্য কালকে আনছি সেগুলা থেকে একটা পরে আয় আচ্ছা দাড়া।
আমি তোকে চয়েজ করে দেই দাড়া।
আমিঃ আমি এগুলাই ভাল আছি
রাহিমাঃ আমি যা বলছি তাই।
আমিঃ……
তারপর অ একটা ড্রেস চয়েজ করে দিল। তারপর আমি পড়ে নিছে আসলাম। সবাই শুধু হা করে তাকিয়ে আছে।
আমিঃ ভাল লাগছে না আমাকে আমি জানি আমি বলছি পরব না।
মামাঃ আরে বলছ কি তোকে অনেক সুন্দর লাগছে।
মামিঃ এখন থেকে এভাবেই চলবি। তুই আমাদের ছেলে বুঝছোস। তোকে কোন কিছুতেই কম রাখব না।
আমিঃ আচ্ছা এবার আপনি বলেন কিছু।
রাহিমাঃ শুধু চেয়েই আছে।
আমিঃ অই তুই আবার কোন দেশে গেলি গা।
রাহিমাঃ ও হে হে তোকেত অনেক সুন্দর লাগছে এভাবে চললে কি সমস্যা হয়।
আমিঃ আমার এসবে মানায় নাহ।
রাহিমাঃ কে বলছে মানায় নাহ তুই আজকে থেকে এই ভাবেই চলবি। আর কলেজ থেকে আসার সময় তোর চুল দাড়ি কাটিয়ে আনব।
আমি আর কিছু বললাম নাহ খাওয়া করে বেরিয়ে পরলাম।
বাসা থেকে বের হয়ে একটা রিক্সা করে কলেজে গেলাম। কলেজে গিয়ে তারপর রাহিমা বলল,
রাহিমাঃ চল অই জায়গায় কিছু ছেলেমেয়েদের দেখিয়ে।
আমিঃ আচ্ছা।
তারপর সেখানে ওদের কাছে গেলাম।
তারপর রাহিমা সবার উদ্দেশ্যে বলল,
রাহিমাঃ সবাই শুন এই হল আমার মামাত ভাই যার কথা বলেছি আমি।
তারপর সবার সাথে পরিচয় হয়ে রাহিমা একসময় একটা ছেলেকে একটু দূরে গিয়ে ছেলেটাকে বলল
রাহিমাঃ রাকিব তুই সব জানি সব তুই অকে নিয়ে একটু ক্লাসে যা আমি এদের সবাইকে বলে দেই যে কেউ যেন অর দিকে চোখ না দেয়।
রাকিবঃ আচ্ছা।
তারপর তারা এসে আমাকে রাকিব বলল,
রাকিবঃ চল দোস্ত আমরা ক্লাসে যাই।
আমিঃ আচ্ছা তুই যাবি ক্লাসে। (রাহিমাকে বললাম)
রাহিমাঃ নাহ তুই যা আমি একটু পর আসছি।
আমিঃ ওকে।
তারপর আমি আর রাকিব চলে গেলাম ক্লাসে। আর এইদিকে কি কথা হচ্ছে তা যেনে নেই।
রাহিমাঃ শুন তোরা বলতি না যে আমি রিলেশন করি না কেন?
তামান্নাঃ হু কেন করিস নি।
রাহিমাঃ তার কারন হচ্ছে ওকে আমি ভালোবাসি। সেই ছোট থেকে যে থেকে বুজেছি ভালোবাসা কি সেই থেকেই ওকে ভালোবাসি। আর কেউ ওর দিকে নজর দিবি নাহ ও তোদের দুলাভাই।
ফারজানাঃ হু বুজছি চোখ দিব নাহ।
তুই ওকে বলেছিস।
রাহিমাঃ নাহ তোরে বলব।
ফারজানাঃ তারাতারি বলেদে।
রাহিমাঃ হু।
এবার আমার অবস্থা।
ক্লাসে গিয়ে টেবিলে বসতেই কিছু মেয়ে এসে গিরে ধরলো।
আর রাহিমা এসে দেখলো।
পর্ব ৪
ক্লাসে বসার পর কিছু মেয়ে এসে আমাকে গিরে ধরে। আর বলে,
একটা মেয়েঃ এই তুই কেরে।
আমিঃ আমি কে তা জেনে আপনি কি করবেন।
মেয়েঃ অনেক কিছু করব।
আমিঃ আমি আপনাকে বলতে বাধ্য নই।
মেয়েঃ আমি কে জানিস।
আমিঃ আমি জেনে কি করব আমি এখানে পড়তে আসছি। আর কিছু নাহ।
মেয়েঃ কি করবি মানে তুই জানি আমি এই ভার্সিটির প্রিন্সিপালের মেয়ে।
আমিঃ আমাকে এগুলা বলে লাভ নাই এখন আসতে পারেন।
মেয়েঃ তোর সাথে আমি কথা বলতে আসছি আর তুই আমার সাথেই এভাবে কথা বলছিস।
আমিঃ দেখেন আমি আপনার সাথে কথা বলতে পারব না। আর আপনি না গেলে আমিই চলে যাই।
এটা বলে যেইনা উঠতে যাব অমনি আমাকে আবার বসিয়ে দিল। ও হে রাকিব তার গফের সাথে দেখা করতে।
আর বসিয়েই আমাকে একটা থাপ্পার মারল। আমি কিছু বললাম নাহ।
মেয়েঃ তুই কোথাও যাবি নাহ। বস এই জায়গায়।
আমিঃ আমাকে মারলেন কেন?
মেয়েঃ বেশ করেছি মারছি।
আমিঃ….
আমাকে আর একটা থাপ্পড় মারতে যাবে তখনই রাহিমা এসে দেখে ফেলে আর অর হাতটা ধরে ফেলে।
তখন রাহিমা।
অই মেয়েটাকে একটা থাপ্পড় মারে তার পর বলে।
রাহিমাঃ তুই ওকে মারছিলি কেন।
মেয়েঃ তুই এই ফকিরের জন্য আমাকে মারলি
রাহিমাঃ তুই জানিস অ কে না ভুজে ওকে থাপ্পড় মারতে গেছিস।
মেয়েঃ অ কে আর হবে কোনো এক রাস্তার ফকির।
রাহিমা আর একটা থাপ্পড় মারে আর বলে।
রাহিমাঃ নাহ অ কোনো রাস্তার ফকির না। । ও হচ্ছে আমার ফুফাতো ভাই, বুঝছোস।
মেয়েঃ হু বুজলাম।
এতক্ষন শুধু আমি দেখে গেছি কিছু বলি নাই। তখন রাহিমা আমার দিকে ভাল করে দেখে তারপর আবার ওই মেয়েটাকে ডাক দিল আর খুব রেগে। মেয়েটা আসার পর অনেক জোরে একটা থাপ্পড় মারে তারপর বলে,
রাহিমাঃ ওকে তুই থাপ্পড় মারছস কেন। যা এখান থেকে।
মেয়েটা গালে হাত দিএ চলে গেল।
তারপর আমার কাছে আসল।
রাহিমাঃ তুই আমাকে ডাক দিলি নাহ কেন শুনি।
আমিঃ আমি কি করব আমাকে এখান থেকে দিলেত তোর কাছে যাব।
রাহিমা আর কিছু বলল না। তারপর ক্লাস করে বাসায় আসলাম।
মামা আর মামি আমার গালে দাগ দেখে অনেক কিছু জিগাস করল কিন্তু রাহিমা সব ঠিক করে নিল।
তারপর ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে ঘুম দিলাম।
বিকালে ঘুম থেকে উঠে আমি আর রাহিমা একটু হাটতে বার হলাম।
সন্ধ্যায় বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে একটু পড়লাম তারপর রাহিমা খাবারের জন্য ডাকলো।
খাবার খেয়ে এসে ঘুম দিলাম।
পর্ব ৫
পরের দিন সকালে রাহিমার ডাকে ঘুম ভাংগলো।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কলেজের জন্য রেডি হয়ে বার হলাম।
কলেজে পৌছে সবার সাথে কথা বলে ক্লাসে চলে গেলাম।
এভাবেই ৩য় বর্ষের পরিক্ষা শেষ হলো। ভাবলাম কিছু দিন বাসায় গিয়ে কাটিয়ে আসি।
কালকে বাসায় যাব তাই মামা আর মামিকে বলতে হবে।
রাতে খাওয়ার সময় আমি বললাম,
আমিঃ আমি কালকে বাসায় যাব মামা।
মামাঃ হু ভালত আমরাও যাব।
আমিঃ কিহ আপনারা যাবেন।
মামিঃ হা আমরা যাব।
আমিঃ আপনারাকি থাকতে পারবেন ওইখানে।
মামাঃ আরে আমরা আগে তোদের মতই ছিলাম।
আমিঃ আচ্ছা আমি আম্মুকে বলে দিব।
মামাঃ ওকে।
খাওয়া খাইতেছি এরি মাঝে রাহিমা বল্
রাহিমাঃ আব্বু (মামাকে) আমরা ত অদের বাসায় যাব কিন্তু অনাদের জন্য কিছু নিয়ে যাব নাহ।
মামাঃ হে তা ত নিবই।
তারপর খাওয়া করে রুমে এসে আম্মুকে কল দিলাম।
আমিঃ হেলো আম্মু।
আম্মুঃ হ্যা বাবা বল।
আমিঃ কেমন আছো
আম্মুঃ ভাল তুই।
আমিঃ ভাল। শুনো কালকে বাসায় আসছি আর মামা মামি আর রাহিমা আসছে।
আম্মুঃ এত ভাল কথা কবে আসবি।
আমিঃ কালকে।
আম্মুঃ আচ্ছা আয়।
তারপর কথা বলে শুয়ে পরলাম। শুয়ে শুয়ে ভাবছি সেই আগের কথা গুলো কত ভাল ছিল। আমি আর নাবিলা কত কথা কত মজা করেছিলাম। থাক এখন আর ভেবে লাভ নাই। তারপর ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে….
পর্ব ৬
তার পরের দিন সকালে
রাহিমাঃ এই উঠ।
আমিঃ হু কি।
রাহিমাঃ আরে যেতে হবে ত নাকি।
আমিঃ আরে হে কয়টা বাজে।
রাহিমাঃ ১০:৩০ টা বাজে।
আমিঃ ওয়া কিতা কয় ১০:৩০ বাজে আর তুই এখন আমাকে ডাকিস।
রাহিমাঃ একবার ভাল করে আমার দিকে তাকা।
আমিঃ হু কি?
তাকিয়েই আমি শেষ এটা কে দেড়িয়ে আছে আমিত আগে কখনও খেয়াল করিনি। যে রাহিমাকে নিল শাড়ি পরলে এত সুন্দর লাগে। আমি শুধু তাকিয়েই আছি। হা করে একটু পর রাহিমার ডাকে জ্ঞান ফিরল। রাহিমা বলল,
রাহিমাঃ ওই কই গেলি আমাকে কেমন লাগছে?
আমিঃ একদম পেত্নীর মত লাগছে।
রাহিমাঃ দেখ এখন রাগাবি নাহ বলে দিলাম। বল কেমন লাগছে?
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে বলছি (বিছানা থাকে উঠতে উঠতে তারপর বললাম) একবারে পেত্নীর মত লাগছে। (বলেই দৌড় ফ্রেশ হতে চলে গেলাম)
আর রাহিমা বাহির থেকে চিৎকার দিয়ে আমাকে বকা বকি করে চলে গেল। আর আমি ফ্রেশ হয়ে বাহিরে এসে দেখি যে বিছানার উপর একটা ব্যাগ তার উপর একটা কাগজ। আমি খুলে দেখলাম।
তাতে লিখা যে “এই ব্যাগে যা আছে তা পড়ে রেডি হবি” আমি বুঝে গেছি যে কে এই কাজ করছে।
তারপর ব্যাগটা খুলে দেখি যে একটা নিল রং এর পাঞ্জাবি। তাই আমি পড়ে নিলাম।
তারপর নিচে গেলাম সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে হা করে।
আমি বললাম যে
আমিঃ কি হল সবাই তাকিয়ে আছো কেন ভাল লাগে নি আমি জানতাম ভাল লাগবে নাহ। খুলে আসছি।
মামাঃ আরে আরে দাড়া একদম খুলবি নাহ তোকে একে বারে রাজপুত্র লাগছে।
মামিঃ হা এটাই ভাল লাগছে খুব সুন্দর লাগছে তোকে।
আমিঃ আচ্ছা।
তারপর খাবার করে আমি বললাম,
আমিঃ সবাই গিয়ে গাড়িতে বসেন আমি জিনিস পত্র উঠাইতেছি।
মামাঃ আরে কাজের মানুষ থাকতে তুই কেন?
আমিঃ মামা ওনারা এমন ভারি জিনিস উঠাতে পারবে না। তাই আমি করি।
মামাঃ সত্যি তোকে নিয়ে আমার খুব গর্ব হয়। যে তুই নিজের কথা না ভেবে মানুষের কথা ভাবিস।
আমিঃ আরে মামা কি যে বল। আমি শুধু মানুষের সাহায্য করতে চাই।
মামাঃ আচ্ছা এখন উঠ।
আমিঃ হা বস গিয়ে আমি জিনিস গুলো নিয়ে আসি।
তারপর চললাম নিজের বাসার দিকে। অনেক দিন পর আবার সেই চিরচেনা শহরে যাচ্ছি। জানি নাহ হয়ত অনেক কিছু বদলে গেছে।
পর্ব ৭
তারপর ধিরে ধিরে বাসায় গেলাম।
বাসায় গিয়ে কলিংবেল টিপার কিছুক্ষন পর ধিরে ধিরে বাসায় গেলাম।
বাসায় গিয়ে কলিংবেল দেওয়ার কিছুক্ষন পর দরজা খুলে দিল আম্মু। আমাকে দেখেই আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপর বলল,
আম্মুঃ কেমন আছিস বাবা।
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভাল তোমরা।
আম্মুঃ আলহামদুলিল্লাহ আমরাও ভাল।
আমিঃ আচ্ছা ওনারা আসছে ওনাদের কে রেস্ট নিতে দেও।
আম্মুঃ হু সব করা আছে।
আমিঃ আচ্ছা।
তারপর আমার রুমে চলে গেলাম গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু ঘুমালাম।
ঘুম থেকে উঠলাম দুপুরের সময়।
উঠে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া করে আবার ঘুম দিলাম।
এক ঘুমে বিকেল বেলা উঠলাম তারপর বাহিরে যাব এমন সময় রাহিমা বলল
রাহিমাঃ কই যাচ।
আমিঃ বন্ধুদের সাথে দেখা করতে।
রাহিমাঃ আমিও যাব একা ভালো লাগে নাহ।
আমিঃ আচ্ছা আয়।
তারপর আমি আর রাহিমা চলে গেলামি সেই জায়গায় যে জায়গায় অনেক সৃতি জড়িয়ে আছে। আমার বন্ধু গুলা দেখেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে বলে।
ওরাঃ কেমন আছিস রে তুই।
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো তোরা।
ওরাঃ এত দিন ভাল ছিলাম নাহ তোকে খুব মিস করছি। তবে এখন ভাল।
আমিঃ হু। ত বল আমার ভাবিদের কি খবর।
ওরাঃ সব ব্রেকাপ করে দিছি।
আমিঃ কেন।
ওরাঃ তোর জন্য। তুই এখান থেকে যাওয়ার পর সব শেষ করে দিছি এখন ওরা পিছনে ঘুরে পাত্তা দেই নাহ।
আমিঃ কেন করছস এমন।
ওরাঃ যার জন্য এখান থেকে গেছস তার সাথের বান্ধবী গুলা কেমন হবে তা জানা আছে।
আমিঃ আরে সবাই কি এক নাকি।
ওরাঃ আমরা কিছু জানি নাহ ওদের সাথে আমরা আর রিলেশন রাখব নাহ। এটাই শেষ কথা।
আমিঃ আচ্ছা। তবে রিলেশন ব্রেকাপ করে তোরা ভাল আছিস ত।
ওরাঃ (সবাই চুপ)
আমিঃ হু আমি জানতাম তোরা ভাল নেই।
ওরা কিছু বলল না তাই আমি আবার বললাম,
আমিঃ ওনাদের নাম্বার গুলা দে।
ওরাঃ নাহ থাক। আমরা থাকতে পারব।
আমিঃ আবে হালা দিতে কইছি দে।
তারপর ওদের কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে সবাইকে কল দিয়ে আসতে বললাম,
সব কটার চোখের নিচে কালো দাগ পরে আছে। ।
আমিঃ তোরা কেমন দেখছিস তোদের জন্য আমার ভাবি গুলার কি অবস্থা হইছে। । আমার কুমড়ার মত ভাবি গুলা একবারে শুকিয়ে করলা হয়ে গেছে।
ওরাঃ (কিছু বলে নি)
আমিঃ সবাই আগের মত হয়ে যাবি ওকে এটা আমার কথা যেহেতু আমার জন্য তোরা ব্রেকাপ করছচ। ওকে আরে আমি ত ভুলেই গেছি এই যে সবাই এখানে একটু খেয়াল কর।
এ হচ্ছে আমার মামাত বোন রাহিমা। আজকে আমাদের এলাকায় আসছে। সবাই পরিচিত হ।
তারপর সবাই পরিচিত হল।
সবাই মিলে অনেক ঘুরলাম। এর মধ্যে আমার বন্ধু বোরহান বলল,
বোরহানঃ ভাই তুই ত অনেক স্মার্ট হয়েছিস।
আমিঃ আরে এসব আমি করিনি আমাকে ইনি করাইছে।
বোরহানঃ ও আচ্ছা ভালই।
আমিঃ হু।
তারপর বাসায় এসে পরলাম।
বাসায় আসার সময় রাহিমা বলল,
রাহিমাঃ তোর বন্ধু গুলা অনেক ভাল। নিজের বন্ধুর জন্য রিলেশন ব্রেকাপ করে দিছে।
আমিঃ হা ছোট থেকে এক সাথে চলছি অনেক সাহায্য করছে। । সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে ছিল।
রাহিমাঃ হা আচ্ছা কত দিন এখানে থাকবি।
আমিঃ কেন বোরিং লাগছে।
রাহিমাঃ তা একটু লাগছে।
আমিঃ আচ্ছা তুই নাহ বলেছিলি তোর কোন এক ফ্রেন্ডের এখানে আন্টির বাসা।
রাহিমাঃ হু। ।
আমিঃ তাহলে ওকে ডেকে নে তাহলে ওর সাথে ঘুরতে পারবি।
রাহিমাঃ সব গুলারে বলছি নিয়ে আসতে।
আমিঃ আমার একটা ফ্রেন্ড আছে যে আজকে ছিল নাহ। তাকে ত দেখলাম নাহ মনেও ছিলা নাহ একমিনিট আমি একটু জিগাস করি।
রাহিমাঃ আচ্ছা।
তারপর বোরহান কে কল দিলাম। দিয়ে নাম্বার নিলাম।
তার নাম রাকিব ওকে। রাকিবকে কল দিলাম দেওয়ার পর।
রাকিবঃ আসসালামু আলাইকুম কে।
আমিঃ ওয়ালাইকুম সালাম আমি আপনার দুলাভাই বলছি।
রাকিবঃ আমার দুলাভাই নাই। কে আপনি।
আমিঃ আবে হালা তোর দুলাভাই বলছি আমি।
রাকিবঃ আরে ভাই বললাম ত আমার কোন দুলাভাই নাই। আমার বোনের এখনও বিয়ে হয়নি।
আমিঃ আচ্ছা কালকে দেখা যাবে আড্ডা খানায় আসবি ওকে।
তারপর কেটে দিলাম তারপর বাসায় চলে আসলাম।
পর্ব ৮
রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে পরলাম।
পরের দিন সকালে ছোট বোনের ডাকে ঘুম ভাংলো।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম আড্ডা দিতে গিয়ে
বোরহানঃ আজকে ঘুরতে বাইকে।
আমিঃ বাইক কয়টা।
বোরহানঃ ওটা নিয়ে তুই টেনশন করিস নাহ আমরা সব মেনেছ করছি।
আমিঃ রাকিব কই।
বোরহানঃ আসছে।
আমিঃ ও এখনও সিঙ্গেল
বোরহানঃ হা এখনও রিলেশন এ জড়ায় নি।
আমিঃ কাউকে লাভ করে।
আবিরঃ আরে করে কিন্তু হালায় এখনো বলতে পারে নাহ।
আমিঃ মেয়েটা কে।
আবিরঃ ওর এক এফবির ফ্রেন্ড।
আমিঃ ওহ আচ্ছা।
আবিরঃ ওই যে আইসা পরছে।
আমিঃ আরে আমাকে যেন না দেখে ওকে।
কেউ বলবি নাহ যে আমি আসছি।
সবাইঃ ওকে
তারপর আমি লুকিয়ে গেলাম। হালারে ইচ্ছামত মারমু তাই লুকাইলাম।
ও আইসাই দাড়ায়া বলল
রাকিবঃ আবে আমারে কে যেন কল দিয়ে বলে যে ও নাকি আমার দুলাভাই। হালারে পাইলে কিযে করমু।
আবিরঃ ও তাই নাকি কার এত সাহস।
রাকিবঃ হ পাইলে কি যে করমু।
আমি তখন পিছন থেকে গিয়েই মাইর শুরু কোন কথা নাই ইচ্ছামত মারার পর বললাম,
আমিঃ এবার বল সালা দুলাভাইয়ের মাইরটা কেমন লাগলো।
রাকিবঃ তার মানে তুই।
আমিঃ হা আমিই কালকে তোরে হালা বলছি।
রাকিবঃ কিন্তু তুই আমাকে মারলি কেন।
আমিঃ আমিযে এলাকায় আসলাম তোরেত দেখি নি। তুই নাকি মেয়েদের পিছনে ঘুরস সারাদিন।
রাকিবঃ কি আমি কে কইছে বল।
আমিঃ আরে তোর ডায়লগ রাখ বুঝা যায় কেমন তুই।
রাকিবঃ ভাই তোর জন্য ভাবটাও দেখাতে পারব নাহ।
আমিঃ তোর ভাব পরে দেখাস এখন চল ঘুরতে যাব।
রাকিবঃ হা আমিত সে জন্যই আসলাম। আর আমি তোর সাথে বসব কথা আছে।
আমরা কিন্তু ৬ বন্ধু। সবারই বাইক আছে কিন্তু আমার নাই।
তারপর আমি আর রাকিব একটায় উঠলাম।
রাকিব চালাতে শুরু করল।
আর আমি বললাম,
আমিঃ তুই নাকি একটা মেয়েকে পছন্দ করিস।
রাকিবঃ হা করি কিন্তু বলতে পারি না আর ফেসবুক রিলেশন কি রিয়েল হয় নাকি।
আমিঃ বাসা কই মেয়েটার।
রাকিবঃএই জায়গায়।
আমিঃ মেয়েটার নাম কি।
রাকিবঃ ফারজানা।
আমিঃ পরে কিসে।
রাকিবঃ একই ক্লাসে।
আমিঃ কলেজের নাম জানোস।
রাকিবঃ হু এই কলেজে পড়ে।
আমিঃ কোন ডিপার্টমেন্টে পড়ে জানোস।
রাকিবঃ হু আমি যে ডিপার্টমেন্টে সেও একই। ।
আমিঃ শুধু হাসলাম।
রাকিবঃ আবে হালা হাসোস কে।
আমিঃ ট্রিট দিবি নাকি রিলেশন ব্রেকাপ করমু।
রাকিবঃ মানে।
আমিঃ ট্রিট দিবি নাকি সেটা ক।
রাকিবঃ দিব ত আগে রিলেশন হক।
আমিঃ ধরে নে রিলেশন হয়ে গেছে এখন ট্রিট দে।
রাকিবঃ তোর কথা আমি কিছুই বুঝি না আগেও বুঝতাম না এখনও নাহ।
আমিঃ হে হে আর বুঝিও নাহ।
তারপর আমি সবাইকে বললাম,
আমিঃ আজকে রাকিব আমাদের ট্রিট দিব।
সবাইঃ হা হা হা হা রাকিব দিব ট্রিট।
রাকিবঃ আবে হালা আমি দিব ট্রিট।
রাহিঃ এহ কোনো দিন দিছস নাকি।
রাকিবঃ আবে আমি আজকে দিব বলছিত।
রায়হানঃ ভাই হইছে এখন চল কোন রেস্টুরেন্টে।
আবিরঃ আমি জানি কোন রেস্টুরেন্ট ভাল চল।
সবাইঃ চল তাহলে।
তারপর গেলাম সেইখানে গিয়ে দেখি নাবিলা বসে আছে ওর ফ্রেন্ডদের সাথে।
আমি দেখেও না দেখার ভান করে অন্য সাইটে গিয়ে বসলাম।
বোরহানঃ ভাই দেখ নাবিলা তোর দিকে চেয়ে আছে। কিছু বলবে মনে হয়।
আমিঃ ওর দিকে কেউ চাইবি নাহ আর যদি চাস ত আমি চলে যাব।
বোরহানঃ এই কেউ ওই দিকে চাইস নাহ।
তারপর সবাই একসাথে বসে দুপুরের খাবার খেলাম।
তার একটু পর রাহিমা কল দিল।
রাহিমাঃ কিরে কই তুই কল দিচ্ছি ধরিস নি কেন।
আমিঃ আরে বন্ধুদের সাথে আছি।
রাহিমাঃ দুপুরে খাবি কখন।
আমিঃ আমি খেয়েছি তুই খাইছিস।
রাহিমাঃ নাহ এখন খাব।
আমিঃ কেন খাস নি এখনও।
রাহিমাঃ তোর জন্য (একটু আস্তে বলল)
কিন্তু আমি শুনে ফেলছি।
পর্ব ৯
তারপর আমি বললাম
আমিঃ বস এক সাথে খাব।
রাহিমাঃ হু বসছি।
আমিঃ আচ্ছা তোর ফ্রেড আছে নাহ ফারজানা।
রাহিমাঃ হু কেন।
আমিঃ আমার একটা ফ্রেন্ড ওকে অনেক লাভ করে কিন্তু বলতে পারে নাহ।
রাহিমাঃ ও তাই আচ্ছা কিভাবে হলো।
আমিঃ ওই যে ফেসবুক। হয়ে গেছে।
রাহিমাঃ বুঝলাম না।
আমিঃ আরে ফেসবুকে তাদের ইয়ে আছে।
রাহিমাঃ ইয়েটা কি।
আমিঃ আরে দূর ফ্রেন্ড আছে।
রাহিমাঃ ও এতটুকু কথা এত পেচিয়ে বলতে হয়।
আমিঃ তুই না বুঝলে আমি কি করব।
রাহিমাঃ ও এই বেপার। তা বিকালে কই যাবি।
আমিঃ সবাই এক সাথে বার হব তুই তোর ফ্রেন্ড। আর আমার কুত্তা ফ্রেন্ড গুলা।
রাহিমাঃ হাহাহাহাহাহাহা তোর বন্ধু কুত্তা হে হে হে হে তুই কুত্তাদের সাথে চলস।
আমিঃ দেত তুই যে কি বলস এটাত কথার কথা বলছি
রাহিমাঃ হাহাহাহাহা।
আমিঃ ওই হাসবি নাহ দাত পরে যাবে।
রাহিমাঃ দাত পরলে তোর কি।
আমিঃ তোর দাত পরলে আমার সমস্যা তোর বিয়ে হবে নাহ। সবাই বলবে দাত নাই মেয়ের সাথে বিয়ে দিব না। আর তোর বিয়ে না হলে আমার কপাল খারাপ তোর বিয়ের দাওয়াত খেতে পারব নাহ।
রাহিমাঃ কুত্তা তোরে জুতা পিটা করব।
আমিঃ ওমা হেতি কিতা কয় আমাকে তুই মারবি আমি মনে হয় বসে বসে বাচ্চাদের মত আঙুল চুসব।
রাহিমাঃ দেখ জিদ উঠাবি নাহ।
আমিঃ হুরররর
রাহিমাঃ হুসসসসসস।
তারপর মজা করতে করতে খাওয়া শেষ করলাম।
খাওয়া খেয়ে গেলাম রুমে।
গিয়ে শুয়ে পরলাম। তারপর একটু ফেসবুকে লগইন করলাম।
খুলে দেখি ডাইনিটা আমারে মেসেজ দিছে। বুঝলেন নাত কোন ডাইনি। আরে আগের ডাইনিটা। রাহিমা নাহ।
মেসেজে লিখা সরি ক্ষমা করে দেও ইত্যাদি ইত্যাদি লেখা।
আমি কিছু নাহ বলে শুধু আইডিটা ব্লক করে দিলাম আমি আর চাই নাহ এই ডাইনির সাথে দেখা হোক।
তারপর দিলাম ঘুম।
এক ঘুমে রাহিমার ডাকে ঘুম ভাংলো।
রাহিমাঃ এই উঠ। যাবি না আমি কিন্তু চলে যাইতেছি।
আমিঃ কিহ কয়টা বাজেরে।
রাহিমাঃ কয়টা আমার এইত ৪:০০ বাজে।
আমিঃ ওয়া কিতা কস।
রাহিমাঃ হা ঠিকইত কইছি।
আমিঃ তুই যা আমি আসছি।
রাহিমাঃ আমি থাকি।
আমিঃ কেন।
রাহিমাঃ তোর সব কিছু দেখব।
আমিঃ তুই কিন্তু পিচ্চি বাচ্চাকে অত্যাচার করতাছিস। আমি কিন্তু মামলা করব। যা প্লিজ আমি আসছি।
রাহিমাঃ হাহাহাহাহা। আচ্ছা আয়
তারপর ও চলে গেল। কিন্তু আমি জানি যে রাহিমা আমাকে লাভ করে কিন্তু আমি চাই নাহ আর রিলেশন করতে।
তারপর ফ্রেশ হয়ে। একটা নীল পাঞ্জাবি পরে বার হলাম। কিন্তু বের হয়ে দেখি রাহিমা নীল রঙের সালোয়ার-কামিজ পরছে।
এটা কিভাবে সম্ভব।
কিছু বললাম নাহ বার হলাম।
সবাই দেখি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের দেখে মনে হয় যে কোন এক কাপল রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।
তারপর রিক্সা নিয়ে চলে গেলাম সেখানে যেখানে সবাই আছে।
তারপর সবাই গেলাম নদীর পাড়ে যেখানে আমি সময় কাটাতাম আগে।
সেখানে গিয়ে বসলাম। সবাই মিলে গল্প করছি এমন সময় নাবিলা আমাদের নিকট আসছে। আমি সবার উদ্দেশ্যে বললাম,
আমিঃ কেউ ওর সাথে কোন প্রকার কথা বলবি। যে বলবি সে আমার সাথে কথা বলবি নাহ আর ওর সাথে কথা বলার জন্য কোন কথা বলবি নাহ।
সে এসে বলল,
নাবিলাঃ তুহিন তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
আমিঃ
নাবিলাঃ কি হলো আমি কিছু বলছি।
আমি এখনো কিছু বললাম নাহ। সবার রাহিমাকে বললাম,
আমিঃ চল আমার অন্য একটা জায়গায় গিয়ে বসি এটা ছাড়াও আমি আর একটা জায়গায় বসতাম।
সবাইঃ চল।
তারপর চলে আসলাম এসে একটা পার্কে বসলাম যেখানে আগে ফ্রেন্ডদের সাথে আসতাম।
রাহিমা বলল যে।
রাহিমাঃ এই আমি চটপটি ফুচকা খাব প্লিজ প্লিজ খাওয়া নাহ।
আমিঃ আচ্ছা চল।
পর্ব ১০
তারপর চলে গেলাম।
অনেকক্ষন আড্ডা দিলাম ঘুরলাম। তারপর সবাই বাসায় চলে গেলাম আর রাহিমার বান্ধবীরা ফারজানার মামার বাড়িতে আজকে থাকবে আর কালকে রাকিবেরটা করে দিব। আর শয়তানের নাম না নিতেই শয়তান হাজির মানে ফোন দিছে আর কি।
রাকিবঃ হারামি তুই ওরে কিছু বললি না কেনে।
আমিঃ আরে কালকে হবে আজকে যদি এসেই সক খায়। তাহলে যদি ইন্না-লিল্লাহ হয়ে যায় তখন তুই রিলেশন এর আগে বিদবা হবি মানে যেটাকে বলে রিলেশঅনের আগে ছেকা। হিহিহি।
আর আমি চাই নাহ আমার বন্ধুর এমন হোক।
রাকিবঃ আবে হালা মজা করবি নাহ হু।
আমিঃ আমি কি মজা করতে পারি তুই বল আমি পিচ্চি একটা পোলা।
রাকিবঃ আবে হালা তুই পিচ্চি। ঠিক সময় বিয়ে করলে এখন আমি চাচ্চু ডাক শুনতাম।
আমিঃ হালা একটা লাথি মেরে উগান্ডা পাঠিয়ে দিব। আমি তোর ছোট তাই তোর বিয়ে আগে তারপর আমার।
রাকিবঃ আমি বিয়ে করব নাহ।
আমিঃ তাহলে আমিও রিলেশন করিয়ে দিতে পারব নাহ। বিয়ে করতে হবে ওকেই আর আমাদের সবার আগে।
রাকিবঃ না না ভাই আমি বিয়ে করব সবার আগে ভাই তারপরও রিলেশনটা করিয়ে দে প্লিজ।
আমিঃ আচ্ছা।
তারপর কথা বলে শুয়ে পরলাম।
সকালে উঠে একটু হাটা হাটি করলাম।
তারপর বাসায় এসে নাস্তা করে বাসায়ই কাটালাম।
দুপুরে খাওয়া করে একটু ঘুম দিলাম।
চলেন একটু ঘুরে আসি রাহিমার কাছ থেকে কারন আজকে সে আমাকে তার মনের কথা বলতে চলেছে। সে তার ফ্রেন্ডের কাছে বলছে।
রাহিমাঃ এই শুন না আমি তুহিনকে আজকে মনের কথা বলব কিন্তু কি ভাবে বলব বুঝতেছি না।
ফারজানাঃ আরে বলে পেল। সমস্যা কোথায়।
রাহিমাঃ আরে সমস্যা হচ্ছে ও কি আমাকে মেনে নিবে নাকি।
ফারজানাঃ আরে মেনে নিবে। না নিলে আমরা মেনেছ করতে পারব কি ভাবে করতে হয়।
রাহিমাঃ আরে ও যদি মন থেকে ভাল না বাসে।
ফারজানাঃ আরে বাসবে টেনশন করিস নাহ।
রাহিমাঃ তাই যেন হয়রে কিন্তু বলব কি ভাবে।
ফারজানাঃ গিয়ে সরাসরি বলে দিবি এত কিছু বলার দরকার নাই।
রাহিমাঃ আরে তুই একটু তার আগে আমার সাথে তাকিস ঘুরতে যাওয়ার সময়।
ফারজানাঃ ওকে।
তারপর তারা ফোন রেখে দেয় আর কি।
আমিত ঘুম আহা কি মজা। কিন্তু বেশিক্ষন ঘুমাতে দিল নাহ এসে পেত্নিটা উঠিয়ে দিয়ে গেল।
তারপর ঘুরতে বার হলাম। আর এবার গেলাম একটু অন্য রকম জায়গায় সেখানে নির্জন প্রকৃতি আলাদা একটা জায়গা মানুষ কম। সেখানে যেতাম মন খারাপ থাকলে।
বসে আছি তাদের থেকে একটু দূর। তখন ফারজানা রাহিমাকে বলল
ফারজানাঃ এই দেখ তুহিন একা বসে আছে এখনই বলে দে।
রাহিমাঃ ওকে দাড়া একটু।
ফারজানাঃ যা এখনি।
ও আমার কাছে আসার সময় হঠাৎ কোথা থেকে নাবিলা এসে আমাকে প্রোপজ করে। আর আমার মাথায় রক্ত উঠে যায় তাই ঠাসসসসসসসসসসস করে একটা থাপ্পর মারি আর বলি।
আমিঃ কি মনে করিস নিজেকে হে। যখন চাইবি কাছে টানবি আবার পরে দূরে ঠেলে দিবি। তোদের মত মেয়েরা এটাই পরে। আমি ত তোকে আগে বলেছিলাম যে আমাকে ছেড়ে যাস না কিন্তু তুই নিজের বিয়ে ঠিক হয়েছে এখন তোর সেই স্বামী কই আরে ওই যে ওকে দেখ (রাহিমাকে দেখিয়ে) ও আমাকে সেই ছোট বেলা থেকে ভালবাসে কিন্তু কোন দিনো বলে নি আমার ভাগ্য খারাপ যে আমি ওর ভালবাসা বুঝতে পারিনি আর আমিও চাই না যে ওর সাথে আমি রিলেশন করি সব কথা বুকে জমা থাকে বলি না।
কারন ওর সাথে আমার যায় না ও অনেক ভাল কিন্তু ওকে যদি ভালবাসি ত আমার আর ওর সাথে মিলবে নাহ কারন ও হাই কোয়ালিটি আর আমি লো কোয়ালিটি ওর বাবা অনেক সাহায্য করে ধরতে গেলে আমার পরিবার ওর বাবাই চালায়। আর শুন আমি তোকে আর ভালবাসি নাহ শুধু শুধু আমার পিছনে না ঘুরে অন্য কাউকে নিয়ে জীবন শুরু কর ঠিক আছে ভাল থাকিস।
তারপর ওখান থেকে চলে আসলাম।
আমার পিছু পিছু আমার বন্ধু গুলা আসল আর রাহিমা ওকে গিয়ে বলল,
রাহিমাঃ তুমি ওকে অনেক কষ্ট দিয়ে পেলেছ ও তোমাকে আর ভালবাসে নাহ। আর ওকে আমি তোমার জন্য কষ্ট পেতে দিব নাহ। আমি বাবাকে বলে একে বারে বিয়ে করে ফেলব।
এই কথা বলে ও ওর ফ্রেন্ডদের সাথে চলে আসে সেখান থেকে আর আমি এসে নদীর পাড়ে বসে পরলাম। আর আমার বন্ধু গুলা এসে বলল
বোরহানঃ আরে ভাই রাগ করিস নাহ ওই মেয়ের জন্য তুই আনন্দ করা বন্ধ করে দিবি।
আমিঃ আরে ভাই কি বলিস আমি ঠিক আছি আর রাকিব সরিরে আমি ওকে বলতে পারি নি।
রাকিবঃ আরে আরও সময় আছে।
আমিঃ আচ্ছা
রাকিবঃ হু
আমিঃ চল বাসায় চলে যাই।
আর রাহিমাকে কল দিলাম। জিজ্ঞেস করলাম বাসায় চলে গেছে কি না।
তারপর পর বাসায় আসলাম। বাসায় এসে শুয়ে পরলাম। কিছু ভাল লাগছে নাহ রাহিমা সব কিছু জেনে গেছে যে আমি সব জানি যে ও আমাকে ভালোবাসে।
পর্ব ১১
কি করব এখন তাই ভাবছি। একটু পর আম্মু ডাক দিয়ে গেল খাওয়ার জন্য।
নিচে গেলাম। তখন খাওয়ার খেতে বসলাম আর মামা বলল
মামাঃ আমি রাহিমার বিয়ে ঠিক করছি। আর আমার ত কোন ছেলে নাই তাই তুই সব কিছু আমার সাথে একটু দেখা শুনা করবি।
আমার বুকের বা পাশে একটা কামর দিয়ে উঠল।
তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম,
আমিঃ এটাত খুশির কথা কিন্তু কবে বিয়ে।
মামাঃ ওর অনার্সের পরীক্ষা শেষ হলে।
আমিঃ ওহ আচ্ছা।
তারপর খাওয়া করে রুমে এসে পড়লাম। যাক ভালই হল সে আমার থেকে ওই জায়গায় ভাল থাকবে আর আমার সাথে থাকলে কষ্ট পাবে। আর আমি বিয়ে দিন সকাল ভোরে কোথাও চলে যাব।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম বুঝলামি নাহ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে।
নাস্তা করে চলে গেলাম বন্ধুদের সাথে ঘুরতে।
একবারে বাসায় আসলাম সন্ধ্যায়।
বাসায় আসার সাথে সাথে অনেক কথার উওর দিতে হলো।
তারপর রাহিমা আসলো।
রাহিমাঃ কালকে আমরা চলে যাব। রেডি থাকিস।
আমিঃ আচ্ছা।
রাহিমাঃ তুই এমন কেন রে।
আমিঃ কেমন।
রাহিমাঃ এই যে গম্ভির হয়ে থাকিস আগের মত হাসিস নাহ কেন।
আমিঃ আমি আগে যেমন ছিলাম তেমনি আছি।
রাহিমাঃ কই আমি ক্লাস ১০ম এর তুহিন আর এই তুহিনের মধ্যে কোন মিল পাইনা কেন।
আমিঃ আরে তুই সেই অতিত নিয়ে পড়ে আছিস কেন। আর এখন কি দুষ্টামি করব নাকি। অনেক বড় হতে হবে আমাকে।
রাহিমাঃ হা তা ত হবিই আমি আছিত।
আমিঃ তুই আছিস মানে।
রাহিমাঃ তুই বুঝবি নাহ।
আমিঃ বুঝলেই বুঝব।
রাহিমাঃ আমিও বুঝাব নাহ।
আমিঃ যা বাগ এখান থেকে।
রাহিমাঃ তুই আমাকে বাগানোর কে।
আমিঃ এহ তুই কে এখান থেকে না যাওয়ার যা।
রাহিমাঃ হু হু আর কিছু দিব তখন তোর এই ঘরে আমি আমার নামে করে নিব হু।
আমিঃ কিহ। তুই এই বাড়ি কিনে নিবি।
রাহিমাঃ নাহ এই ঘরটা কিনে নিব।
আমিঃ এহ আইছে আমার ঘর কিনতে আমি বিক্রি করব নাহ।
রাহিমাঃ তোর করতে হবে নাহ আংকেল করবে।
আমিঃ এহ যা যা যা আমি আমার ঘর বিক্রি করব নাহ এটাতে আমার বাবা কি বলবে।
রাহিমাঃ সেটা দেখা যাবে এখন আমার গালে একটা কিস দে।
আমিঃ ওই কি কস। (অবাক হয়ে)
রাহিমাঃ তুই দিবি নাকি আমি দিব।
আমিঃ এখন কিন্তু মার খাবি।
রাহিমাঃ এখন দিলি নাহ কিন্তু পড়ে আমি নিব।
এই বলে সে চলে গেল। আর আমি শুয়ে পড়লাম।
তারপরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে যেতেই
দেখি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
আমিঃ কি হল সবাই হাসছ কেন।
মাঃ তোর অবস্থা দেখে।
আমিঃ আমার আবার কি অবস্থা।
মাঃ একবার আয়নায় মুখ দেখেছিস।
আমিঃ মুখে আবার কি হল।
মাঃ একবার গিয়ে দেখে আয়।
যেই না আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালাম।
আমিঃ ভুউউউউউউউউউউউউউউত।
এহ এটাত আমি কিভাবে হলো নিশ্চয়ই রাহিমা এরকম করছে।
সব শেষ আমার মান ইজ্জত মুখ দেখাব কি করে। আরে আপনারা এখনো বুঝলেন নাহ।
সে আমাকে ঘুমের মধ্যে এত বেশি কিস দিছে যে আমার পুরো মুখ লিবিস্টিকের নিচে পড়ে গেছে। আমার মনে হয় এটা পাগল হয়ে গেছে কি করি আমি এখন।
এটা যে অন্যায় করছে সে তার বিয়ে ঠিক আমি কালকে ভাবছিলাম সে এমনি মজা করে বলছে এখনত দেখি এটা সত্যি।
ওর সাথে কথা বলতে হবে।
তারপর নাস্তা করে বের হয়ে গেলাম আর রাকিব আর ফারজানার রিলেশন কালকে সলভ করে দিয়েছি এখন রিলেশন করে।
তারপর সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আবার চলে গেলাম।
মামার বাসায় আমার তেমন ক্লোজ ফ্রেন্ড নাই আছে শুধু ১ জন।
তারপর দেখতে দেখতে আমাদের অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল অনেক ভাল পরীক্ষা হয়েছে।
কালকে পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে অনেক টেনশন হচ্ছে কারন আমার ভাল রেজাল্ট না হলে হবে নাহ।
এরি মাঝে রাহিমা এল আর বলল
রাহিমাঃ কিরে টেনশন করছিস।
আমিঃ হু
রাহিমাঃ আরে টেনশন করিস নাহ দেখবি অনেক ভাল রেজাল্ট হবে তোর।
আমিঃ সেটাই যেন হয়।
রাহিমাঃ হা হবে টেনশন না করে ঘুমা।
আমিঃ হা
তারপর সে চলে গেল আমি শুয়ে পরলাম।
তারপর দিন সকালে…
পর্ব ১২
তারপরের দিন সকালে অনেক লেট করে উঠলাম।
রাহিমা অনেক বার ডাক দিয়ে ছিল বলেছি যে পরে উঠব এখন নাহ।
তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে বসে আছি ভার্সিটি এখন যাব নাহ পরে যান একটু লেট করে।
কিছুক্ষন পর ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম রেডি হয়ে চলে গেলাম। কিন্তু আজ কিছু ভাল লাগছে নাহ। কি হবে তাই ভাবছি।
কিছুক্ষন পর রাহিমা এসে বলল
রাহিমাঃ আরে তুই এখানে আর আমি তোকে সব জায়গায় খুজেছি।
আমিঃ কেন কি হয়েছে।
রাহিমাঃ তোর জন্য সারপ্রাইজ আছে। চল
আমিঃ ওকে।
রাহিমাঃ আরে আরে এভাবে নাহ এভাবে। (আমার চোখ বন্ধ করে)
আমিঃ ওকে।
তারপর যেতে যেতে ভাবছি কি এমন সারপ্রাইজ দিবে তাও আবার এই দিনে।
যা হোক দেখা যাক কি হয় কিছুক্ষন।
রাহিমাঃ এই সব সর একটু সাইট দে।
তারপর তারা সবাই সরে গেল।
রাহিমাঃ তুই রেডি ত সারপ্রাইজটা নেওয়ার জন্য।
আমিঃ আচ্ছা এইদিনেও তোর সারপ্রাইজ।
রাহিমাঃ আরে এটাত ছোট বড় একটা আছে সেটা আজকে রাতে।
আমিঃ কি যে বলিস আমি সারপ্রাইজ পাওয়ার যোগ্য নাকি। আউ (বুঝলেন নাত চিমটি দিছে কি যে মজা লাগছে চামড়াটা ফেটে রক্ত বার হয়ে গেছে মনে হয়)
আমিঃ এত জোরে কেউ পিচ্চি ছেলেকে চিমটি দেয়।
রাহিমাঃ এহ আইছে আজকে বিয়ে করলে কালকে ১০ বাচ্চার বাবা হবে সে নাকি পিচ্চি।
এহ একবারে দিল পচিয়ে আল্লাহ এই মাইটা এমন কেন মনে হয় আমাকে নিরিহ ছেলে পেয়ে এমন করছে আমিও কম নাহ সব সুদে আসলে নিব।
আমিঃ এহ তুই এভাবে আমাকে পচাতে পারিস নাহ হু।
রাহিমাঃ আচ্ছা আচ্ছা এখন তোর চোখের কাপড়টা সরাচ্ছি ওকে।
আমিঃ হু।
তারপর আমি যা দেখলাম আমারত একলাফে চান্দে চইলা যাইতে ইচ্ছা করতেছে।
আপনাদের না বুঝাইলে বুঝবেন নাহ।
আরে আমি পরিক্ষায় ফাস্ট হয়েছি কি যে মজা ভার্সিটির সব ছাত্র–ছাত্রীদের উপড়ে আমার নাম মানে ১ নাম্বারে আমার রেজাল্ট আর পয়েন্ট ও সবার বেশি। (সবার একটু বুঝে পড়বেন কারন লেখক সাহেব এখনও সেই ক্লাসে যায় নি তাই জানে নাহ যে কিভাবে অনার্সের রেজাল্ট দেওয়া হয়)
তারপর সবার কাছে আসলাম আরকি ফ্রেন্ডদের কাছে।
তার মধ্যে একজন বলল
তানিয়াঃ ট্রিট দেও আমাদের।
আমিঃ আপনারা ভিক্ষা করছেন
তানিয়াঃ কি।
আমিঃ আমিত ঠিকি বলছি।
তানিয়াঃ কিভাবে। তোমার কাছে আমরা ভিক্ষা চাই নি ট্রিট চাইছি
আমিঃ আচ্ছা সবাই বলেন ট্রিট মানে কি।
সবাইঃ কি।
আমিঃ ডিজিটাল ভিক্ষা করা।
সবাইঃ কিভাবে।
আমিঃ ভিক্ষুক যারা গরিব তারা তাদের পেটের দায়ে ভিক্ষা করে আর যারা বড় লোক তারা ভিক্ষা চায় এইভাবে তাই ত বলি তারা ডিজিটাল ভিক্ষুক যেমন তোরা হিহি। (বলেই দৌড় মাইর খাওয়ার শখ নাই)
ওমা পিছনে ফিরে দেখি যে সব আমার পিছনে পরে আমি হচ্ছি হুচাইম বোল্ট এলাকার বন্ধুরা এই নামেই ডাকত। আর তারা আসছে আমার সাথে দৌড়াতে হে হে হে।
অনেকখন দৌড়ে যখন ওরা পারল নাহ।
তখন তারা বলল
তারাঃ ভাই আর দৌড়াইস নাহ আমরা শেষ আর পারমু নাহ। তোর এত দৌর জানলে জীবনও তোর সাথে দৌড়ে পারা যাবে নাহ বুঝি গেছি।
আমিঃ হ মুই হারমু ন। মুই গেলোম।
তারাঃ ভাই প্লিজ।
আমিঃ হ মুই তোমগো ওহানে যাইআর তোমরা মোরে মারি মারি তক্তা কর।
তারাঃ কিছু বলব নাহ তোর কসম
আমিঃ ওই হালারা আমার কসম দিলি কেনে।
তারাঃ আচ্ছা সরি সরি আয় প্লিজ।
আমিঃ ওকে কিছু বলতে পারবি নাহ কিন্তু।
ওরাঃ না কিছু বলব নাহ। এখন তোকে কিছু বললে রাতের প্লেনে কি করব।
আমিঃ আচ্ছা আসছি।
ওদের সাথে অনেকখন তাকার পর দেখি আমার এলাকার সেই ৫ হারামি এখানে আমাদের দিকে আসছে।
আমি দৌড়ে গিয়ে জরিয়ে ধরলাম। আর বললাম
আমিঃ কিরে তোরা এখানে।
বোরহানঃ চলে আসলাম তোর টানে।
আমিঃ এসেছিস ভাল হইছে। কিন্তু আসতে কে বলেছে।
রাহিমাঃ আমি।
আমিঃ তুই বলেছিস।
রাহিমাঃ হা তোর মন খারাপ তাই ওদের কালকে রাতে ফারজানাকে দিয়ে আনালাম।
আমিঃ ওহ এই ফারজানা আমার বন্ধুর সাথে কথা চলেত।
ফারজানাঃ হা তোমার ফ্রেন্ড আমাকে শুধু পেরা দেয়।
আমিঃ হা হা হা হা হা।
তারপর একটু পর যা করল তারা আমি ভাবি নাই এরকম হবে কিছু।
তারা কোন জায়গা থেকে ডিম আর ময়দা এনে সবাই আমার মাথায় আর পড়ে সবার মাথায় ভাংলো। মেয়েরা নাহ শুধু ছেলেরা আমি বুঝলাম নাহ কেন
তখন জিগাস করলাম যে কিরে আমার মাথায় ডিম ভাংলি কেন।
আবিরঃ আবে হালা আমাদের ফ্রেন্ড পরিক্ষায় ফাস্ট হয়েছে। আমরা কি বসে থাকব নাকি।
আমিঃ ও তাই বল।
সবাইঃ হা।
তারপর কলিজার টুকরা ফ্রেন্ড গুলাকে নিয়ে সাথে নিয়ে গেলাম।
মামিকে ফোন করে বললাম,
আমিঃ মামি আমার কয়েকটা ফ্রেন্ড আসছে আমাদের এলাকা থেকে আজকে আমার সাথে থাকলে কি কোন সমস্যা হবে।
মামিঃ তুই আমার থেকে কেন পারমিশন নিচ্ছিস আমি কেউ নাহ এটা তোর বাড়ি আর তুই আমার ছেলে তুই যা ইচ্ছা করতে পারিস আমার কিছু আসে যায় নাহ।
আমিঃ থ্যাংকিউ মামি।
মামিঃ হু আমার আজকে অনেক কাজ তারাতারি বাসায় আয়।
আমিঃ হা এসে গেছি আর একটু।
তারপর রেখে বাসার দিকে যাচ্ছি দেখলাম যে বাসাটা ডেকরেট করা মাথায় কিছু আসছে নাহ।
বাসায় কার আবার কি ওহ আমারত মাথায় ছিলনা আজকে মনে হয় রাহিমার এনগেজমেন্ট হবে মন টা খারাপ হয়ে গেল পেলাম নাহ রাহিমাকে।
মন খারাপ নিয়ে বাসায় গেলাম চুপচাপ ফ্রেশ হয়ে ঘুম দিলাম। একবারে ৫ টায় উঠলাম।
উঠে বাহিরে গেলাম সন্ধ্যা হয় হয় এমন অবস্থা তখন মামি কল।
মামিঃ কই তুই তারাতারি বাসায় আয়।
আমিঃ আচ্ছা আসছি।
আমি বাসায় এসে দেখি অনেক মানুষ আর আমার আর রাহিমার অনেক ফ্রেন্ড।
আমি আমার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম হয়ে মাথা ধরে বসে আছি মাথা খুব ব্যাথা করছে।
একটু পর মা এল আমি দেখে চমকে গেলাম।
আমিঃ মা কখন এলে।
মাঃ এই ত কিছুক্ষন হল।
আমিঃ বাবা কোথায়।
মাঃ নিচে আছে এটা পড়ে নিছে আয়।
একটা পাঞ্জাবি দিল। তারপর পড়ে নিচে আসলাম সবাই তাকিয়ে আছে আমার দিকে আমার একটু অসস্থি লাগছিল।
কিন্তু কিছু বললাম না কয়জন কে বলব।
আমার ফ্রেন্ডরা আমাকে বলল
রাহিঃ মামা কিছু মনে করিস নাহ তোকে অনেক কিউট লাগছে আজকে।
আমিঃ যা হালা।
রাকিবঃ আরে মামা সত্যি।
বোরহানঃ আরে তোরা কি শুরু করছচ চুপ।
সবাই চুপ হয়ে গেছে।
তারপর নিচে গেলাম।
পর্ব ১৩
নিচে গিয়ে অনেকক্ষন পর আমি বোরহানকে বললাম
আমিঃএই শুন আজকে কি রে রাহিমার এনগেজমেন্ট নাকি।
বোরহান আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি আবার বললাম
আমিঃ কি রে বল নাহ।
বোরহানঃ হালা সব কিছু ভুলে গেছস।
আমিঃ আমি আবার কি ভুলব।
বোরহানঃ হালা আজকে যে তোর জন্মদিন তা কি ভুলে গেছস।
আমিঃ কি আজকে (আমি আর কিছু বলতে পারলাম নাহ কারন মনে পড়ে গেছে যে আজকে আমার জন্ম দিন)
আমাত মনেই ছিল নাহ যে আজকে আমার জন্ম দিন সব ভুলে গেছিলামরে রেজাল্টের টেনশনে।
বোরহানঃ এখন মনে পরছেত
আমিঃ হা মনে পরছে।
বোরহানঃ আর একটা সারপ্রাইজ আছে যেটা একটু পর পাবি।
আমিঃ আমি জানি রাহিমার এনগেজমেন্ট। (মন খারাপ করে)
বোরহানঃ রাহিমাকে অনেক লাভ করিস তাই নাহ।
আমিঃ তোকে কে বলছে।
বোরহানঃ ভাই আমি জানি তুই হলি আমার কলিজার বন্ধু তোর মনে কখন কি চলে সব জানি। (সব বন্ধুরা যদি এমন হত তাহলে কত ভাল হত)
আমিঃ কিন্তু কিছুই করার নাই সে অন্য কারো হবে।
বোরহানঃ কিন্তুসে এটা বলেই থেমে গেল
আমিঃ কিন্তু কি।
বোরহানঃ কিছু নাহ।
আমিঃ আচ্ছা।
একটু পর দেখলাম রাহিমা কোথা থেকে এসে বলল
রাহিমাঃ কখন থেকে খুজছি তোকে আর তুই এদিকে।
আমিঃ কেন খুজছিস।
রাহিমাঃ তুই জানিস নাহ।
আমিঃ হা জানি ত।
রাহিমাঃ চল কেক কাটতে হবে।
আমিঃ কেক। ও হে চল (একটা কথা মুসলমানদের জন্ম দিন অনুষ্টান করে পালন করা জায়েজ নাহ সবাই এই দিকটা একটু দেখে চলবেন)
রাহিমাঃ হু চল চল।
আমিঃ হু
তারপর কেক কাটতে চলে গেলাম কেক কেটে সবাইকে খাওয়া দিলাম তারপর এলো সেই মুহুর্ত। মামা স্টেজে উঠে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বললেন।
মামাঃ লেডিজ এন্ড ডেন্টাল মেন আজকে আমি যে কথা গুলো বলতে যাচ্ছি তার জন্য অনেক দিন এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছি কবে আমার মেয়ে কে এমন একজনের হাতে তুলে দিব যে আমার মেয়েকে অনেক ভালবাসবে তার প্রতি কেয়ার করবে তাকে শুখে রাখবে। আর তেমনি একজনকে পেয়েছি পেয়েছি বলতে আমার মেয়েই তাকে পছন্দ করেছে। আর আমিও জানি সে অনেক ভাল একটি ছেলে যে সব দিক দিয়েই পারফেক্ট আমার মেয়ের জন্য আর আজকে তার সাথেই আমি আমার মেয়ের এনগেজমেন্ট করাব।
মামা আবার বললেন।
মামাঃ আর সেই ছেলেটি হল আমার নিজের ছেলের মত দেখি অনেক আদর করি আর সে আমাকে অনেক সম্মান করে শুধু আমাকে নয় অন্য সবাই কেও অনেক সম্মান করে আর সে হল আমার ভাগিনা তার নাম হল আজাদুল ইসলাম তুহিন।
সবাই হাতের তালি দিতে থাকে আর আমি আর আমার পিছনে আমার বন্ধু গুলা একপা একপা করে এগিয়ে যাচ্ছি মামা বলছে
মামাঃ তুহিন কোথায় তুমি স্টেজে আসো।
আমি একপা একপা করে এগিয়ে যাচ্ছি। তখন মামা বলল
মামাঃ ওই যে তুহিন সবাই ওকে আসতে একটু জায়গা করে দিন।
আমি স্টেযে গিয়ে দাড়ালাম।
মামাঃ এই হচ্ছে সেই ছেলে যাকে আমার মেয়ে সেই ছোট থেকে ভালবেসে আসছে আর আমি সেই ছোট থেকে আমার ছেলের হিসেবে জানি।
ওদের বিয়ে আরও ২ বছর আগে ঠিক করে রেখেছিলাম আর আজকে অনেক খুশির দিন আমার ছেলের মত ভাগিনা আজকে তার পরিক্ষায় তার ভার্সিটির সবার প্রথম হয়েছে। আর আজকে তার জম্ম দিন তাই আজকেই সব কিছু করা হল।
আমি শুধু অবাক হচ্ছি যে এত কিছু হল আর আমি জানি নাহ। সব যেন মাতাহ্র উপর দিয়ে যাচ্ছে।
তারপর মামা রাহিমাকে ডাকদিলেন।
আর আমাদের দুজনের হাতে দুটি আংটি দিলেন তারপর দুজন দুজনকে পড়িয়ে দিলাম। অথচ আমি এসবের কিছু জানি না কিভাবে কি হল
সেগুলো জানা যাবে পরে
এখন চুপচাপ থাকি তারপর সব কিছু শেষ করে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম আর ভাবতেছি কি থেকে কি হয়ে গেল।
একটু পর রাহিমা এসে বলল
রাহিমাঃ এই সে এসব নিয়ে এত ভেব নাহ।
আমিঃ একে বারে তুমিতে চলে গিয়েছিস।
রাহিমাঃ হা এখন থেকে তুমিও তুমি বলে ডাকবে আর জানো সেই কবে থেকে তুমি বলে ডাকতে চেয়েছি কিন্তু আজকে সম্পুর্ন হল।
আমিঃ ওহ তাই নাকি।
রাহিমাঃ হা এখন থেকে তুমি করে না বললে এমন মার দিব জীবনেও তুমি ছাড়া কথা বলবে নাহ।
আমিঃ থাক আর বলতে হবে আমি মার খেতে চাই নাহ আমি।
রাহিমাঃ হু।
আমিঃ কালকে একবার কলেজে জেতে হবে।
রাহিমাঃ একবার আই লাভ ইউ বলবা।
আমিঃ এখন নাহ সময় হলে বলব।
রাহিমাঃ না এখনি।
আমিঃ নাহ পরে।
রাহিমাঃ ঠিক আছে তোমার কথাই থাক।
আমিঃ হু এখন ঘুমাও গিয়ে।
রাহিমাঃ ওকে।
তারপর ঘুমিয়ে গেলাম
সকাল বেলা কারও মিস্টি ঠোঁটের স্পর্শে ঘুম ভাংলো লাপ মেরে উঠে।
আমিঃ এটা কি হল।
রাহিমাঃ কি আবার।
আমিঃ কিস করলে কেন।
রাহিমাঃ করতেই পারি তোমার কোন সমস্যা আমার হবু বর কে করছি।
আমিঃ এহ আমার গাল আমার সব কিছু।
রাহিমাঃ হয়ছে উঠে পড়ো।
তারপর উঠে চলে গেলাম।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে বের হলাম তবে রাহিমা কেমন যেন চেয়েছিল আর বলেছিল আমি আসি তোমার সাথে আমি মানা করছিলাম।
আমিঃ আরে আমি গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিত কিছু হবে নাহ।
রাহিমাঃ আচ্ছা তারাতারি আসবা।
আমিঃ ওকে।
তারপর কলেজে গেলাম গিয়ে কলেজের কাজ সেড়ে বাসায় যাচ্ছি বাসার কিছুটা দূরে আমার গাড়ির ব্রেক ফেল হয় সেই সাথে এক্সিডেন করে গাড়ির কিনারা গাছের সাথে বারি খেয়ে গাড়িটা কয়েকটা পল্টি খায়।
এখনো আমার ঙ্গান আছে আমি গাড়ি থেকে বার হয়ে একটা চাদর গায়ে পেচিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম কারন আমি যদি রাহিমাকে আমার মনের কথা নাহ বলতে পারি তাহলে আমি শান্তি পাব নাহ আস্তে আস্তে বাসার সামনে এলাম এসে ফোনটা কয়েকবার ট্রাই করতে ওপেন হলো আমার শরিলের বেশির ভাগ কেটে গেছে অনেক রক্ত বার হচ্ছে আমি বাসার গেটের কাছে গিয়ে রাহিমাকে কল দিলাম।
কল হওয়ার সাথে সাথে রিসিভ করল।
আমিঃ হেলো। (কাপা কাপা কন্ঠে)
রাহিমাঃ কি হইছে এভাবে কথা বলছ কেন।
আমিঃ আই লাভ ইউ। প্লিজ একবার বাসার সামনে আসো সবাইকে নিয়ে একবার দেখব হয়ত আর নাও দেখতে পারি।
রাহিমাঃ কি হইছে তোমার আমি এখনি আসছি। (কান্না করতে করতে)
আমিঃ তারাতারি আসো।
কলটা কেটে দেওয়ালের সাথে দাঁড়িয়ে আছি।
একটু পড় কারও ডাক শুনলাম কারো নাহ রাহিমা তুহিন তুহিন বলে ডাকছে তখন আমি ঘুরে দাড়ালাম আর দেখলাম সবাই দাঁড়িয়ে আছে। আমার বন্ধু গুলাও আছে আমি আর থাকতে পারলাম নাহ চাদরটা গা থেকে ফেলে দিলাম। আর সবাই দেখে একটা চিৎকার দিল তখন আমি মা–বাবা দিকে এক নজর দেখলাম তাদের বুকে যেতে মন চাইলো কিন্তু তার আগেই আমি মাটিতে পরে গেলাম ওই জায়গায়ই দেওয়ালের সাথে গেসে বসে পরলাম।
তারপর আমার বন্ধু গুলা দৌড়ে আসে আর আমাকে বলে।
বোরহানঃ এই রাহি তারাতারি এম্বুলেন্স খবর দে। ভাই তোর এসব কিভাবে হল চোখ খোলা রাখ প্লিজ।
আমিঃ ভাই আমার মা–বাবাকে দেখিস (আস্তে আস্তে বললাম কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে)
পর্ব ১৪ এবং শেষ
তারপর আস্তে আস্তে চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসছে সবাই আমার এ অবস্থা দেখে পাথর হয়ে গেছে মা–বাবারাহিমা সবাই আমাকে দেখার জন্য যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল এখনো ওই জায়গায়ই দাঁড়িয়ে আছে
আর যখন চোখ গুলো বন্ধ হয়ে যাবে সেই সময় সবাই আমার নাম ধরে ডাকছিল।
তারপর আর চোখ খুলে রাখতে পারলাম নাহ। বন্ধ হয়ে গেল
যখন চোখ খুললাম তখন মনে হলো যে কেউ আমার বুকের উপর শুয়ে আছে।
আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখলাম যে রাহিমা শুয়ে আছে। হয়ত ঘুমিয়ে আছে তাই তাকে ডিস্টার্ব করলাম নাহ।
আমি ওকে দেখতে লাগলাম অনেক শুকিয়ে গেছে এমনিত বাতাস আসলে উরে যাবে তার মধ্যে আবার শুকিয়ে গেছে।
এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ কেউ রুমে আসলো দেখলাম একজন নার্স আসলো আর আমি ওনাকে বললাম যে আওয়াজ করতে নাহ। ইশারাতে।
তার কিছুক্ষন পর রাহিমার ঘুম ভাংলে আমাকে দেখে ইচ্ছা মত কিস করে। আমি যা বুঝার বুঝে গেছি যে আমি এখানে অনেক দিন আছি।
কেন না আমার মনে হয় যে সে আমাকে অনেক দিন পর দেখেছে।
তারপর রাহিমা বলল
রাহিমাঃ তোমার ঙ্গান পিরেছে।
আমিঃ হু।
রাহিমাঃ জানো আজকে ২ মাস পর তোমার ঙ্গান ফিরেছে
আমিঃ কিহ।
আমিঃ এত দিন এখামে ছিলাম কেন। এত বড় কিছু হইছে নাকি।
রাহিমাঃ হু অনেক কিছু হইছে। পাহাত ভাংছেতারপর অনেক রক্ত বার হয়ে গেছে ৭ ব্যাগ রক্ত দিতে হইছে। ।
আমিঃ আচ্ছা আমার বন্ধুরা কোথায়।
রাহিমাঃ ওরা বাহিরে আছে কেউই ঠিক মত ঘুমায় নি খাওয়া দাওয়া করেনি সবাই তোমার চিন্তায় শুধু অপেক্ষা করেছে।
আমিঃ আমাকে নিয়ে চল প্লিজ।
রাহিমাঃ তুমি হাটতে পারবা।
আমিঃ কেন তুমি আছ না তুমি নিয়ে যাবা।
তারপর রাহিমার কাদে ভর দিয়ে বাহিরে গেলাম। দেখলাম সব গুলাই বসে আছে।
আমাকে দেখা মাত্রই সব গুলা দৌড়ে আসল।
আর বলতে লাগল
বোরহানঃ তুই এখানে কেন। ভিতরে যা।
আমিঃ আরে আমি ঠিক আছি চিন্তা করিস নাহ।
রাহিঃ আরে ভাই চল ভিতরে কথা বলার মত অনেক জায়গা আছে।
তারপর ভিতরে চলে আসলাম।
তারপর রাকিব বলল
রাকিবঃ এক্সিডেন্ট কিভাবে হইছে।
আমিঃ গাড়ি ব্রেক ফেল করছে।
বোরহানঃ না না গাড়ির ব্রেক ফেল করার প্রশ্নই আসে নাহ।
কারন আমি সব ঠিক ঠাক করে দিয়েছিলাম যেন তোর কোন সমস্যা না হয়।
আমিঃ তাহলে ব্রেকফেল হল কি ভাবে।
রাহিমাঃ আমি বুঝতে পারছি এটা কে করছে। তাকে আমি ছাড়ব নাহ।
আমিঃ কে করেছে।
রাহিমাঃ ওই যে মনে আছে যে একদিন একটা ছেলে আমাকে প্রোপজ করেছিল তোমার সাথে আমার এনগেজমেন্ট এর পর। তখন ছেলেটা বলছে যে তোমার ক্ষতি করবে মনে আছে।
আমিঃ হা মনে আছে তুমি বলতে চাইছ যে ওই ছেলেটা এইসব করছে।
রাহিমাঃ হা ওই দিন তোমাকে বলেছিলাম না যে আজ বাহিরে না যাইতে। তার আগের দিন রাতে একটা এস এম এস আসে যেটাতে তোমাকে মারার কথা বলা ছিল।
আমিঃ তুমি বললে নাহ কেন আমাকে।
রাহিমাঃ আমি ভাবছিলাম যে হয়ত কেউ মজা করছে কিন্তু ভয় হচ্ছিল আর তোমাকে বললে তুমি হয়ত বলতে যে আরে কিছু হবে নাহ দেখ কেউ মজা করছে।
আমিঃ হু। বাসায় যাওয়ার পর দেখা যাবে।
হা তারপর বাসায় এসে সেই ছেলেটিকে খুজে আমার বন্ধুরা অনেক মারে আর বলে যে আর যেন তোকে তাদের আশে পাশে না দেখি যদি দেখি ত একে বারে মেরে ফেলব।
৫ বছর পর….
অয়নঃ আব্বু আব্বু উতো আম্মু আমালে মতা দিতে।
আমিঃ হু তোমার আম্মু তোমাকে বকা দিয়েছে কেন।
অয়নঃ আমি কিতু তাবনা তাই।
আমিঃ আচ্ছা বাবা তুমি যদি ভাল করে না খাও তাহলে তুমি ওই যে রিহানের সাথে কিভাবে পেরে উঠবে। সে জন্যি তোমার আম্মু বকা দিছে।
অয়নঃ আচ্ছা আব্বু তারপর ও তুমি আম্মুকে বতা দিবা।
আমিঃ আচ্ছা।
ওহ আপনাদের ত বলাই হয়নি এখন আমি অনেক বড় একজন মানুষ সবাই এখন আমাকে এক নামে চিনে। আমার এখন কোন কিছুর অভাব পড়ে নাহ।
আমরা এখন অনেক সুখেই আছি আর ছোট বুড়াটা এসে আমাদের পরিবারটা আরো সুখে ভরে দিয়েছে। অনেক দুষ্টামি করে। আমারকে ভয় পায় নাহ রাহিমাকে ভয় পায় তাই রাহিমা কিছু বললে আমাকে বলে।
এখন আমাদের পরিবারে দুঃখের কোন চিহ্ন নাই। আমি একটা কম্পানির মালিক। নিজের পায়েই নিজে দাড়িয়েছি।
আমার আর রাহিমার ভালবাসা দিন দিন বাড়ছে।
আর আমার বন্ধুরা সব এখন বিয়ে করে নিয়েছে।
সবাই এখন অনেক হেপি আছে।
লেখা – আম্মুর দুষ্টু ছেলে
সমাপ্ত
(পাঠক আপনাদের ভালোলাগার উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের লেখা। আপনাদের একটি শেয়ার আমাদের লেখার স্পৃহা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমাদের এই পর্বের “হব একদিন খুব বড় – প্রথম কিসের গল্প”গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ। )
আরো পড়ূন – ইতি ২০২০ – নতুন জীবনের গল্প