সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড

সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড – রোমান্টিক লাভ স্টোরি | Senior Love Story

সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড – রোমান্টিক লাভ স্টোরি: ঘুমের ভিতর ভালো একটা স্বপ্ন দেখছিলাম এর ভিতর ছোট বোনটা এসে গায়ে পানি ঢেলে দিলো কারন আজকেও পতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠতে দেরি করেছি।
এই শীতের সকালে কেও গায়ে পানি ঢেলে দেই আপনারাই বলেন বোনটা কতো দুষ্টু।

যাই হোক, আমি ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। এখন তাড়াতাড়ি কলেজে যেতে হবে। কারণ আজ আমার কলেজের প্রথম ক্লাস। আমি বরিশাল কলেজে চান্স পেয়েছি।

বাইকটা নিয়ে কলেজে যাচ্ছি। যেতে যেতে পথে পুর্ণিমা রাতে চাঁদ উঠেছিলো গগনে।

থুক্কু যেতে যেতে আপনাদেরকে আমার নাম বলে দেই। আমার নাম হলো মোহন।

যাইহোক, আমি কলেজে চলে আসছি। কিন্তু এসেই পড়লাম এক মহাবিপদে। আমি তো আমাদের ক্লাস চিনি না। কি করবো? এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ এক ধাক্কা খেলাম ।

ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলাম এক আলুর বস্তার উপর। থুক্কু আলুর বস্তা না। একটা মেয়ের উপর পরে গেলাম।

মেয়েতো রেগে লাল হয়ে রয়েছে। আমি ভয়ে তো প্রায় শেষ। এভাবে কেহ তাকায় নাকি। এমনভাবে তাকাচ্ছে মনে হয় আমাকে তাজাই খেয়ে ফেলবে।

মেয়েটা বলা শুরু করলো,

মেয়েঃ চোখ কোথায় থাকে তোমার? দেখে শুনে চলতে পারো না, বেয়াদব ছেলে।

আমিঃ সরি আপু। আমি আপনাকে দেখতে পাই নি। আসলে আমি এই কলেজে নতুন তো। তাই আমাদের ক্লাসটা খুজতে ছিলাম। এ জন্য দেখতে পাই নি আপনাকে।

মেয়েঃ ঠিক আছে।

এই বলে মেয়েটা চলে গেলো। এবারের মতো আমি বেঁচে গেলাম।

অনেক কষ্ট করে আমাদের ক্লাসটা খুজে পেলাম।

ক্লাসে সোজা ঢুকে পড়লাম। খেয়ালি করি নাই যে ক্লাসে ম্যাম আছে।

ম্যামঃ এই ছেলে তুমি তো খুব বেয়াদব। কলেজে উঠে গেছো এখনো জানো না শিক্ষক শিক্ষিকা থাকলে তাদের অনুমতি নেয়ার পরে ক্লাসে ঢুকতে হয়।

মোহনঃ আসলে সরি ম্যাম আমি আপনাকে দেখতে পাইনি।

ম্যামঃ ওকে, ভিতরে ঢুকো। আজকে প্রথম দিন দেখে কিছু বললাম না। নেক্সট টাইম এমন দেখলে কান ধরে বাহিরে দাঁড় করায়ে রাখবো।

আমি কিছু না বলে সোজা গিয়ে সিটে বসলাম।

ম্যামের ক্লাস মন দিয়ে করতে থাকলাম। এভাবে সব ক্লাস শেষ হয়ে গেলো। আমিও এর ভিতর কিছু ফ্রেন্ড দের সাথে পরিচিত হয়ে নিলাম।

কলেজ থেকে বাইক নিয়ে আবার বাসায় রওনা হলাম।

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে গেমস খেলতে লাগলাম। এমন সময় আবার আপু এসে বললো খাবার খেয়ে নে, খাবার রেডি।

খাবার খেয়ে আমি একটু ঘুমাতে গেলাম। ৩০ মিনিট পর বন্ধুর ফোন। ক্রিকেট খেলতে যেতে হবে। ম্যাচ নিয়েছে অন্য এলাকার সাথে। আমার তো আর এখন ঘুম হবে না। কারণ ক্রিকেট মানেই আমার প্রিয় খেলা। আমি উঠে খেলতে চলে গেলাম।

আমি অনেক ভালোই খেললাম। ৩ ওভারে ২ উইকেট পেলাম। আর ব্যাটিংয়ে ১৩ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত ছিলাম।

যাই হোক, অনেক ভালো খেলে আমরা ম্যাচটা জিতে গেলাম।

ম্যাচ শেষে সবাই ম্যাচের টাকা দিয়ে সেভেন আপ কিনে খেতে খেতে বাসায় আসলাম।

বাসায় আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। এখন একটু ফেসবুকে ঢুকে কিছু সময় ফেসবুক চালিয়ে পড়তে বসলাম। পড়া শেষে রাতের খাবার খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। আজকেও ঘুম থেকে উঠতে লেট করছি। আবার গতদিনের মতো তাড়াহুরো ক্লাসে যাওয়ার সময় খেলাম ধাক্কা। এবার কপালে নিশ্চিত মাইর আছে। কারণ কালকের আপুটার সাথেই ধাক্কা খেয়েছি।

আপু বলা শুরু করলো।

আপুঃ আজকেও কি কলেজে প্রথম মেয়ে দেখলেই শুধু ধাক্কা খেতে মন চায়।

আমিঃ সরি আপু, আজ কলেজে লেট করে আসছি। তাই দেখতে পাই নাই।

আপু আজকেও ওকে বলে চলে গেলো আজকে ক্লাসে এসে সব ফ্রেন্ডদের সাথে ক্লাস করতে লাগলাম এবং ক্লাস শেষে মাঠে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় দেখলাম ওই আপুটা একটা ছেলেকে ঠাস করে একটা চড় মারলো। আমি ফ্রেন্ড দের থেকে জিজ্ঞেস করলাম ওই আপুটাকে ওরা চেনে নাকি। ওরা বললো, এই আপু নাকি এই কলেজের সব চেয়ে রাগি মেয়ে।

কিন্ত আপুটা তো আমার সাথে ভালোই ব্যবহার করলো। আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না, আপুটা যে গুন্ডি টাইপের হবে।

আমি ছেলেটাকে মারার রহস্য জানার চেষ্টা করলাম। আসলে আমি যা বুঝলাম ছেলেটা একটা মেয়েকে ডিস্টার্ব করছে। তাই আপু ছেলেটাকে মেরেছে।

আমি তো মারার রহস্য জেনেই গেলাম। এখন বন্ধুদের বিদায় জানিয়ে আমি বাসায় চলে আসলাম।

বাসায় এসে প্রতিদিনের মতো ফ্রেশ হয়ে খেয়ে রেস্ট নিলাম।

বিকেলে মাঠে খেলতে যাচ্ছিলাম। এমন সময় কে যেনো আমাকে ডাক দিলো।

পিছনে তাকিয়ে দেখি সেই আপুটা। আমি তো ভয়ে শেষ। কলেজে কিছু বলে নাই এখন যদি কিছু বলে।

আপু আমাকে বললো, তুমি কি সামনে যাচ্ছো? সামনে গেলে আমার এই নাম্বারে ৪৯ টাকা লোড করে দিও তো। এইখানে দোকান সব বন্ধ। আমি টাকা আর নাম্বার নিয়ে সামনের থেকে টাকা লোড করে দিলাম।

লোড করে আমি খেলতে চলে গেলাম। খেলা শেষ করে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে পড়তে বসলাম। পড়া শেষ করে আমি একটু ফেসবুকে ঢুকলাম। তখুন মনে পরলো আপু যে আমারে তার নাম্বার দিছে।

আমি নাম্বারটা ফেসবুকে সার্চ দিলাম। সার্চ দিয়ে লায়লা ইসলাম নামে একটা আইডি পেলাম। তখন বুঝলাম, আপুর নাম হয়তো লায়লা হবে।

আমি আইডিটা দেখতে লাগলাম। আইডি তে আপুর কিছু পোস্ট ও আপুর কিছু পিক দেখতে দেখতে ঘুমাই গেলাম।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কলেজে গেলাম। কলেজে আজ একটু আগেই গিয়েছি। আজকেও আপুর সাথে দেখা। তবে আজকে আর ধাক্কা খাই নি। আপু বললো, কিগো আজকে আর ধাক্কা খাইলা না।

আমি হাসতে হাসতে বললাম, না। আপু বললো, তো তোমার নাম কি?

আমি বললাম, আমার নাম মোহন। তোমার নাম কি?

আপু বললো, আমি লায়লা। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পরি।

আপুর সাথে গল্প করতে করতে ক্লাস শুরু হয়ে গেলো। তাই যার যার ক্লাসে চলে গেলাম আমরা। ক্লাসে এসে বন্ধু মিশু বলে, কিরে মামা আজ দেখলাম আপুর সাথে ভালোই লাইন মারতেছো। আমি বললাম, আরে শালা না, এমনি গল্প করলাম আর কি।

ক্লাস করতে করতে আমি পুরোটা সময় আপুর কথা ভাবতে থাকলাম। মানুষটা নাকি অনেক রাগি। কিন্ত আমার সাথে এতো ভালোভাবে কথা বলে।

এসব ভাবতে ভাবতে এই ক্লাস শেষ হয়ে গেলে।

তাই ক্লাস শেষে একটু বাইরে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় চোখে পড়লো ওই আপুটা। আজকে আবার ওই ছেলেটাকে কান ধরাই রেখে দিছে। আমি গিয়ে ছেলেটাকে ঠাস ঠাস করে ২ টা চড় মেরে বললাম, কিরে কালকে উনার হাতে মাইর খেয়ে সোজা হও নাই। আজকে আবার ডিস্টার্ব করতে আসছো। শালা ভাগ এখান থেকে। নেক্সট টাইম যেনো আর না দেখি।

ছেলেটা দৌড়ে চলে গেলো। আপু বললো, আজকাল ছেলেগুলোও সব ফালতু হয়ে গেছে। মেয়ে দেখলেই ডিস্টার্ব করে। আমি আবার আপুর সাথে গল্প করতে শুরু করলাম। আপু আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করলো। আপুর এফবি আইডি দিলো। আপু তো জানে না আমি কালকেই আপুর এফবি আইডি পেয়ে গেছি।

আমরা কথা শেষ করে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নিচ্ছিলাম। এমন সময় রং নাম্বার থেকে কল আসলো।

কল ধরে সালাম দিলাম। ওপাশ থেকে সালামের উত্তর দিয়ে বললো মোহন আমি লায়লা।

আমি তো শুনে অবাক। আপু আমার নাম্বার কই পেলো? নিশ্চিত, ওই শালা মিশুের থেকে নিয়েছে।

এভাবে আপুর সাথে প্রতিদিন কথা হতে থাকলো।

আপু এখন আমার সবখবর রাখে। আমি কখন ঘুমাচ্ছি, কখন খাওয়া দাওয়া করি, এমনকি ঘুম থেকেও আপু ডেকে দেয়।

আমার এগুলো ভালোই লাগতেছিলো। কারণ আমি আপুর প্রেমে পড়ে গেছি। কিন্ত বলতে খুব ভয় হয়। যদি আপু আমাকে রিজেক্ট করে দেয়।

কিংবা আমাদের ফ্রেন্ডশিপটা এতো দুরে আসছে এখন যদি ফ্রেন্ডশিপটাও নষ্ট হয়ে যায়। এই ভয়ে আপুকে আমি আমার মনের খবর বলতে পারছি না। সামনে আমাদের কলেজে একটা অনুষ্টান আছে। আমি ভাবলাম, ওইদিনেই আপুকে মনের কথাটা বলে দিবো। এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমায় গেলাম।

সকালে আপুর ফোনে ঘুম ভাঙল। বললো, আজকে একটু আগে কলেজে আসতে। আমিও চলে গেলাম।

আপুর আগেই আমি কলেজে চলে আসছি। আপু ক্যান আমাকে ডাকলো, আমি এসব ভাবতে লাগলাম। এমন সময় দেখি আপু একটা ছেলের হাত ধরে কলেজে ঢুকলো।

আমার মন তো খারাপ হয়ে গেলো আপুর সাথে আর একটা ছেলে দেখে।

আপু আমার কাছে এসে যা বললো ওইটা শুনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।

আপু বললো, এটা নাকি তার বয়ফ্রেন্ড। আমি তার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পরিচয় হয়ে ওইখান থেকে চলে যাই। এরপর আমি ক্লাসে গেলাম।

আজ আর ক্লাসে মন বসছে না। সারাক্ষণ শুধু আপুর কথাই মনে পরতে থাকলো।

তাই আমি চিন্তা করলাম এই কলেজে আমি আর পড়বো না। আমি এখন অন্য জায়গা পড়বো। যেখানে গেলে আর আপুকে দেখতে হবে না। কেননা, আপুকে দেখলে আমার মন খারাপ হবে। তাই আমি অন্য কলেজে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম।

আমি ক্লাস শেষ করে বাসায় আসলাম। বাসায় এসে আমার রুম বন্ধ করে অনেকক্ষণ কান্না করলাম।

আপু আমার দরজা নক করতেছে। খাওয়ার জন্য আপুকে কিছু বুঝতে দেওয়া যাবে না। তাই চোখ মুখ ধুয়ে আমি খেতে গেলাম। খাওয়ার মাঝখানে আপুকে বললাম, আমি আর এই কলেজে পড়তে চাই না। অন্য কলেজে পড়বো। আপু আমার কোনো কথায় কখনো না করে নাই। আপুকে বললাম, আমি বাসায় গিয়ে পড়বো।

কারণ, আমি ক্লাস ৯ থেকে আপুদের কাছে থেকে পড়ি। তাই এখন বাসায় গিয়ে নিজের এলাকার কলেজে ভর্তি হবো। আমি ৭ দিন কলেজে গেলাম না। কারণ কলেজে গেলে লায়লাকে দেখলে আমার কষ্ট লাগবে।

তাই আমি ৭ দিন পর কলেজ থেকে টিসি নিয়ে নিলাম।

টিসি নেওয়ার দুই দিন পর আমি বাসায় যাওয়ার জন্য সবকিছু রেডি করি। আপুদের থেকে বিদায় জানিয়ে বাস কাউন্টার থেকে রংপুরের বাসের একটা টিকিট কাটলাম।

টিকিট কেটে বাসে উঠে গিয়ে বসলাম। বাসও ছেড়ে দিলো। আমি ঘুমাইতে ঘুমাইতে চলে আসলাম। বাসায় আসলাম। সবাই তো অবাক। কারণ কেও জানে না আমি যে বাসায় আসবো।

আম্মু আব্বু দেখে অনেক খুশি।

আম্মু তো জরাইয়া ধরে কান্না করে দিলো। বলে কতো দিন পর তুই আসছোস। আমাদের ভুলেই গেছোস। আমি বললাম, এই তো আসছি আর যাবোনা।

তারপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নিলাম। বিকেলে গ্রামে একটু ঘুরলাম। সবার সাথে দেখা হলো। মন একটু ভালো কিন্ত এর ভিতর ও আপুর কথা অনেক মনে পড়েছে।

সন্ধ্যায় বাসায় এসে সবার সাথে গল্প করতে করতে অনেক রাত হয়ে গেলো। একসময় গল্প শেষ করে সবাই যার যার ঘরে গিয়ে শুয়ে পরলো। আমিও আমার ঘরে এসে শুইলাম। কিন্ত আমার ঘুম আর হচ্ছে না।

সকালে উঠে খাওয়া দাওয়া করে কলেজে গিয়ে ভর্তি হলাম।

কলেজে কয়েক মাস ক্লাস করলাম।

একদিন এক বন্ধু ফোন দিয়ে বললো, আপুর নাকি ব্রেকআপ হয়ে গেছে অনেক দিন আগে। এখন নাকি আপু কলেজে আসলে মন মরা হয়ে থাকে। আর আপু নাকি আমাকে অনেক খুজেছে। সবার কাছ থেকে আমার কথা জিজ্ঞেস করছে।

আবার আমি আপুদের বাসায় গেলাম। গিয়ে কলেজের সামনে গিয়ে দাড়াই আছি।

এমন সময় দেখি কে যেনো এসে আমার কলার ধরল। আমাকে টানতে টানতে কলেজের বড় গাছটার ওইখানে নিয়ে গেলো।

ভালো ভাবে তাকাই দেখি এটা আপু। বলে, কিরে শয়তান! তুই আমাকে না বলে কই চলে গিয়েছিলি।

আমি বললাম, তোমার তো বয়ফ্রেন্ড আছে। তাই আমি চলে গেছিলাম।

আমার এখানে থাকলে কষ্ট হতো। আপু তখুন বললো, আমার বয়ফ্রেন্ড আছে তাতে তোর কি?

ওহরে আমার তো মনেই নাই। আমি তো আপুকে ভুলে মনের কথা বলে ফেলছি।

আমি বললাম, থুক্কু কিছুনা এমনি বললাম।

আপু বলে তাহলে আমাকে ফেসবুকে ব্লক মারছিস ক্যান? তোর নাম্বার অফ ক্যান রাখছিস?

আমি কিছু বললাম না। কারণ এবার ধরা খাইয়া গেছি। তাই আপুকে সরাসরি বললাম, আমি তোমাকে ভালোবাসি। তাই তোমার পাশে কাউকে সহ্য করতে পারমু না। তাই কলেজ থেকে টিসি নিয়ে নিজের গ্রামে চলে গেছিলাম। আর তোমাকে ব্লক আর আমার সিম ওইটা অফ করে দিছি।

এবার আপু বলে ভালোবাসিস তাহলে প্রপোজ কর। আপু কথাটা বলতে দেরি হলেও আমি প্রপোজ করতে দেরি নাই। আমি হাটু গেরে বসে আপুকে বললাম, তুমি কি আমার রাত জেগে তারা গুনার সঙ্গী হবা?

আপু সাথে সাথে আমাকে জরাই ধরে বললো, হুম। আমি আজীবন তোর সাথে থাকতে চাই। আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবি না। আমিও তোর প্রেমে পড়ে গেছি অনেক আগেই।

এভাবেই আমাদের রিলেশন চলতে থাকলো। সবাই দোয়া করবেন, আমরা যেনো আজীবন এক সাথে থাকতে পারি।

(সমাপ্ত)

আরও পড়ুন- টিউশন স্যারকে ভালবাসা পর্ব ১

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *