বাসর রাত জোকস – প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য গোপন কিছু কৌতুক: বাসর রাত নিয়ে সবার কত কি চিন্তা ভাবনা থাকে! কিন্তু মজার বিষয় হল বাসর কথাটা শুনলেই শুধু এডাল্ট জোক্স মনে পড়ে। এরকমি কিছু মজার গল্প আপনাদের শুনাব। বাচ্চারা দূরে থাকো।
বাসর রাত জোকস – ১
এক দম্পতির নতুন বিয়ে হয়েছে, স্বামীও খুব স্মার্ট, বউও খুব স্মার্ট।
বাসর রাতে ২জন ২জনকে জিজ্ঞেস করে তাদের আগে কোন প্রেম ছিল কি না! তখন ২জনই এমন কথা বলে যে বিয়ের
আগে তারা ভাজা মাছ উল্টিয়ে খেতে জানত না। যাই হোক, একদিন বউ বাবার বাড়ি যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়। সে এটা বলে যায় যে
বিকেলে বাসায় ফিরবে।
স্বামী খুব খুশি মনেই যেতে বলে। বউ যেতে না যেতেই স্বামী তার পুরনো প্রেমিকাকে ফোন দিয়ে পার্কে আসতে বলে। প্রেমিকাকে নিয়ে পার্কে ঢুকেই দেখে যে তার বউ অন্য একটা ছেলের বুকে মাথা দিয়ে বসে আছে।
তখন ২ জন ২ জনকে দেখে বাসর রাতের ওই কথাটা মনে করতে থাকে।
মোরালঃ এখানে ২জনই ছিল অসৎ ছিল। ২জনই ২জনকে ঠকিয়ে নিজে ভালো সেজেছে।
কিন্তু পবিত্র কুরআনের ২৪নং সূরা আন-নূর এর ০৩ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে “ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারীনী এবং মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী এবং মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে।”
এদেরকে মুমিনদের জন্য হারাম করা হয়েছে। সুতরাং নিঃসন্দেহে যার চরিত্র যেমন সে তেমন চরিত্রের মানুষকেই জীবন সাথী হিসেবে পাবে।
আমরা সবাই চাই, নিজের জীবন সাথী যেন ভালো হয় অনেকেই বলে ভালো কাউকে পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। অথচ নিজের কথা একবারও কেউ ভাবে না। নিশ্চিত থাকেন, যে আপনি যেমন আপনার স্বামী/স্ত্রীও তেমনই হবে।
তাই সুন্দর জীবন যাপনের জন্য নিজের চরিত্র সঠিক রাখুন।
বাসর রাত কৌতুক – ২
বাসর রাতে স্বামী তার স্ত্রীর কথোপকথন।
স্বামীঃ এই বিয়ের আগে তোমার কয়টা বয়ফ্রেন্ড ছিল?
স্ত্রী কোন কথা না বলে সেখান থেকে উঠে গিয়ে একটা খাম নিয়ে এসে স্বামীর হাতে ধরিয়ে দিল। খামের মধ্যে ছিল কিছু চাল আর ২০০ টাকা।
স্বামীঃ এইটা কি?
স্ত্রীঃ না মানে, আমি যখন কারো প্রেমে পড়তাম তখন ১টা করে চাল এই খামে ঢুকিয়ে রাখতাম।
স্বামী খাম খুলে চাল গোনা শুরু করল ১, ২,….. ৭টা।
স্বামীঃ ও তার মানে ৭টা বয়ফ্রেন্ড ছিল! আজকালকার যুগে এইটা কোন ব্যাপারই না। আচ্ছা, আর এই ২০০ টাকা কিসের?
স্ত্রীঃ না মানে গতকালকে ৪ কেজি চাল বিক্রি করছি।
এরপর স্বামী মাথায় হাত দিয়ে বেহুঁশ।
বাসর রাতের গোপন কথা – ৩
বাচ্চারা দূরে থেকো।
স্ত্রীঃ তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না!
স্বামীঃ আমি কম চেষ্টা করছি ঢোকাতে কিন্তু ঢোকাতেই পারতেছি না তো। ছিদ্র অনেক চাপা!
স্ত্রীঃ কেন একটু থুথু দিয়ে নাও ছিদ্রর মুখে, তার পরে জুড়ে ধাক্কা দাও।
স্বামীঃ তুমি তো ব্যথা পাবে, জুড়ে ধাক্কা দিলে।
স্ত্রীঃ একটু আনন্দ পেতে হলে তো একটু কষ্ট ব্যথা পেতেই হয়, যা বললাম তাই করো।
স্বামীঃ আচ্ছা, দিচ্ছি।
স্ত্রীঃ ওরে মা রে, ওরে বাবারে গেছিরে গেছি মরে, একবারে ছিঁড়ে ভিড়ে গেছে গো। কিভাবে রক্ত
বের হচ্ছে?
স্বামীঃ আমার কি দোষ! আমি তো আগেই বলছিলাম, ছিদ্র অনেক চাপা। আর কানের দুলের হুকটা অনেক মোটা।
স্ত্রীঃ সব দোষ ঐ কর্মকারের এত বার করে বললাম, হুকটা চিকন করে বানাতে আর সে মোটা করেই বানাইয়াছে।
তোমরা সব কিছুতেই এত খারাপ কিছু খুজে বেড়াও কেন বলতো?
আরো পড়ুন- বন্ধু যখন বর – বাসর রাতে উঠবে শুধু ঝড়